যাচ্ছি উত্তরাখণ্ডে, আমরা তিনজন। আমি, অমিতাভ দা আর তিতলি। প্ল্যান কিছুটা এইরকম – দিন দশেকের আশ্রমিক জীবন কাটানো। প্রথমে আলমোড়া, তারপর মায়াবতী, আর সবশেষে শ্যমলাতাল। প্রথম ও শেষ জায়গায় আমাদের ঠিকানা হবে রামকৃষ্ণ মিশনের দুটি আশ্রম; আর মায়াবতীতে নিশিযাপনটুকু বাদ দিলে বাকি সময়টা কাটবে অদ্বৈত আশ্রমে। ... ...
গতকাল সিলেটে ৭নম্বর বারের জন্য T-20 এশিয়া কাল জয়ী ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের এই ১১জন 'উইমেন ইন ব্লু'র সবার নাম হয়ত আমরা অনেকেই জানি না। তাঁদের নাম তো বটেই সংক্ষেপে একটু জেনে নেওয়া যাক ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের শুরুর দিনগুলোর কথাও.... ... ...
ব্যাপারটা কী ভীষণ বিপজ্জনক, আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের হাত ধরে মেটা, সম্ভবত ৯০% ভারতীয়ের কাছে পৌঁছে গেছে। এবং নিজেদের এরা বাকস্বাধীনতা, এবং সামাজিক ন্যায়ের ধর্মযোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত করে, যে মতাদর্শে বিশ্বজুড়ে বহু মানুষকে প্রভাবিত করতেও সক্ষম হয়েছে। যেমন, ন্যায়বিচারের পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে এরা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরিয়ে দিয়েছে সামাজিক মাধ্যম থেকে। কিন্তু এখন, এতদিনের সন্দেহের পর, যদি, সত্যিই দেখা যায়, কিছু লোক, স্রেফ রাজনৈতিক কারণে, গোটা সামাজিক মাধ্যম জুড়েই অতিরিক্ত এবং অপার ক্ষমতা পেয়ে চলেছেন, তাহলে প্রায় নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়, সামাজিক মাধ্যম ন্যায়বিচারের পরাকাষ্ঠা নয়, বরং নির্দিষ্ট মতাদর্শের প্রচার ও প্রসারে, এবং বাকিদের কণ্ঠরোধ করতেই ব্যস্ত, আর সমস্ত একনায়কের মতো। ইতিপূর্বের সব একনায়কদের সঙ্গে এদের একটাই তফাত, তা হল, এদের হাতে আছে বিপুল ক্ষমতা, যা রোম থেকে চিলে পর্যন্ত, আজ পর্যন্ত কোনো একনায়ক অর্জন করতে পারেননি। ... ...
যাচ্ছি উত্তরাখণ্ডে, আমরা তিনজন। আমি, অমিতাভ দা আর তিতলি। প্ল্যান কিছুটা এইরকম – দিন দশেকের আশ্রমিক জীবন কাটানো। প্রথমে আলমোড়া, তারপর মায়াবতী, আর সবশেষে শ্যমলাতাল। প্রথম ও শেষ জায়গায় আমাদের ঠিকানা হবে রামকৃষ্ণ মিশনের দুটি আশ্রম; আর মায়াবতীতে নিশিযাপনটুকু বাদ দিলে বাকি সময়টা কাটবে অদ্বৈত আশ্রমে। ... ...
যাচ্ছি উত্তরাখণ্ডে, আমরা তিনজন। আমি, অমিতাভ দা আর তিতলি। প্ল্যান কিছুটা এইরকম – দিন দশেকের আশ্রমিক জীবন কাটানো। প্রথমে আলমোড়া, তারপর মায়াবতী, আর সবশেষে শ্যমলাতাল। প্রথম ও শেষ জায়গায় আমাদের ঠিকানা হবে রামকৃষ্ণ মিশনের দুটি আশ্রম; আর মায়াবতীতে নিশিযাপনটুকু বাদ দিলে বাকি সময়টা কাটবে অদ্বৈত আশ্রমে। ... ...
(আমার এ রচনা বিভিন্ন সিঁড়ি নিয়েই। হঠাৎ করেই একদিন অন্যমনায় ছিলাম। সে সময়ে মাথার মধ্যে ছোটবেলার আমাদের বাড়ির এক প্রাচীন আমলের সিঁড়ির নানান ঘটনা ভেসে উঠল অতর্কিতেই। ভাবলাম লিখেই ফেলি। এই নিয়ে গুগুল মামার শরণাপন্ন হতেই দেখলাম - ওরে বাবা, এই সিঁড়ি নিয়েই হয়তো একটা বিরাট রচনা নামিয়ে ফেলা যায়। সারা বিশ্বের নানান সিঁড়ি, সেগুলোর ইতিহাস, সবচেয়ে বড় কথা সেই আদিম যুগ থেকে কতই না পরিবর্তন হয়ে আজকের গতিমান লিফট থেকে এস্ক্যালেটর। আমারই চোখে দেখা কত কিছুই। স্মৃতির মননে ছোট বেলা থেকে কলেজ জীবন পেরিয়ে চাকরি জীবন। সব কিছুর সাথেই জড়িয়ে আছে এই সিঁড়ি।) ... ...
সব ব্যাপারে আদালতই শেষ কথা বলবে, এ অতি বিপজ্জনক ব্যাপার। আদালত যখন সমকামিতার পক্ষে রায় দেয়, তখন আমরা নাচি, যখন অযোধ্যা-বিবাদে একরকম করে বিজেপির পক্ষে রায় দেয়, তখন আমরা গেল-গেল রব তুলি, কিন্তু কথা হল, এগুলো আদৌ আদালতের বিচার্য কেন? আইন প্রণয়ন করা, সমাজকে সঠিক (অথবা বেঠিক) পথে চালনা করা, মানুষের বোরখা পরে ঘোরার অধিকার আছে, নাকি ন্যাংটো হয়ে, খুনে মৃত্যুদন্ড থাকবে না নয়, এগুলো দেখা আদৌ আদালতের কাজ নয়। ... ...
ডায়াল করার পর যান্ত্রিক কণ্ঠে ঘোষণা হত – ‘আপ কাতার মে হ্যায়, কৃপয়া প্রতীক্সা কিজিয়ে’। ‘কাতার’ মানে আরব দেশটির কথা বলা হচ্ছে না। জানানো হচ্ছে যে আপনি একটি লম্বা লাইনের কোনও একটা অংশে রয়েছেন যেখানে সবাই ঠিক সেই জায়গায় ফোন করতে চাইছে যেথায় আপনিও কারও সাথে বাক্যালাপ করতে অধীর হয়ে রয়েছেন। অবশ্য কত জনের ‘কাতারে’ দাঁড়িয়ে আছেন আর কত ঘণ্টা ‘প্রতীক্সা’ করতে হবে তা নিয়ে কোনও অ্যাডভাইসরি আসত না। ... ...
যাচ্ছি উত্তরাখণ্ডে, আমরা তিনজন। আমি, অমিতাভ দা আর তিতলি। প্ল্যান কিছুটা এইরকম – দিন দশেকের আশ্রমিক জীবন কাটানো। প্রথমে আলমোড়া, তারপর মায়াবতী, আর সবশেষে শ্যমলাতাল। প্রথম ও শেষ জায়গায় আমাদের ঠিকানা হবে রামকৃষ্ণ মিশনের দুটি আশ্রম; আর মায়াবতীতে নিশিযাপনটুকু বাদ দিলে বাকি সময়টা কাটবে অদ্বৈত আশ্রমে। ... ...
পাঞ্জাবের নকশাল কবি অবতার সিংহ সন্ধু পাশ মানে আসলে এক নিখাদ অনিঃশেষ আগুন..। পাঞ্জাবি ভাষার কবি হয়েও তিনি সার্বজনীন। স্বপ্নের-আদর্শবাদের- লড়াইয়ের- আবেগের- কবিতার- প্রেমের- জীবনের- জিজীবিষার সমার্থক সেই বিপ্লবী কবির ৫টি কবিতার বাঙলা অনুবাদ ও জীবনকথা সংক্ষেপে ধরা রইল এই নিবন্ধে। পাশ-এর সমস্ত স্বপ্ন ও সংগ্রামের রক্তিম আলো আর ওম দেশকালভাষার সমস্ত কাঁটাতার পেরিয়ে তাঁর কবিতার পংক্তি ছুঁয়ে বেঁচে থাকুক আবহমানকাল ধরে। ... ...
যাচ্ছি উত্তরাখণ্ডে, আমরা তিনজন। আমি, অমিতাভ দা আর তিতলি। প্ল্যান কিছুটা এইরকম – দিন দশেকের আশ্রমিক জীবন কাটানো। প্রথমে আলমোড়া, তারপর মায়াবতী, আর সবশেষে শ্যমলাতাল। প্রথম ও শেষ জায়গায় আমাদের ঠিকানা হবে রামকৃষ্ণ মিশনের দুটি আশ্রম; আর মায়াবতীতে নিশিযাপনটুকু বাদ দিলে বাকি সময়টা কাটবে অদ্বৈত আশ্রমে। ... ...
সাধারণত অর্থনীতির নোবেল শুনলেই মনে হয় খুব জটিল কোন তত্ত্বকথা অথবা লম্বা লম্বা অংক। অংক ছাড়া অর্থনীতি হয় না এ কথা ঠিক। তবুও কিছু কিছু অর্থনীতির তত্ত্ব যা কিনা ভবিষ্যতে নোবেল পাবে, তার সাথে আমাদের দৈনন্দিন অর্থনৈতিক জীবনের টুকটাক যোগাযোগ আছে। অংক না কষেও সেগুলোর একটা ধারণা করা যায় বৈকি। এরকমই একটা বিষয় ব্যাংক ফেল করে সঞ্চিত টাকা খোয়া যাওয়ার সম্ভাবনা এবং তার থেকে পরিত্রানের উপায়। এই বিষয়ে কাজ করার জন্য ইকোনমিক সায়েন্সে ২০২২ সালে নোবেল মেমোরিয়াল পুরস্কার দেওয়া হল দুইজন বিশিষ্ট অধ্যাপক এবং প্রাক্তন ফেডারেল রিজার্ভ প্রেসিডেন্টকে। ... ...
পরিস্থিতি অবশ্য এরকমই হবার কথা। নিজের ভাষা, নিজের জাতীয়তাকে রক্ষা করা একটা রাজনৈতিক কাজ, সেটাকে দশকের পর দশক ধরে উপেক্ষা এবং দুচ্ছাই করে যাওয়া হয়েছে। কংগ্রেস দিল্লির ধামা ধরেছে, সিপিএম বামফ্রন্ট সরকারকে চোখের মনির মতো রক্ষা করতে গিয়ে ৭৭এর স্মারকলিপি গিলে ফেলেছে, অশোক মিত্র সরকার ছেড়েছেন, আর তৃণমূল ঠিক কী চায় নিজেই জানে কিনা সন্দেহ। সবার উপরে অবশ্যই বিজেপি, যাদের অ্যাজেন্ডা, বস্তুত, বাংলাভাষী ধর আর বাংলাদেশে পাঠাও। বাংলাদেশী হটাও আর গরু-পাচার বন্ধ কর। অস্যার্থ, গরুরাই এপারে থাকবে, বাংলাভাষীরা সীমানার ওপারে। ... ...
লক্ষ্মী হলেন বাঙালির লৌকিক দেবী। আগে আমাদের সমাজে বিশেষ করে গ্রামে দুর্গাপূজা নিয়ে এত মাতামাতি ছিল না। বরং কোজাগরী লক্ষ্মীপূজাই ছিল বড় উৎসব। কোজাগরীর রকমফের ছিল দেখার মতো। ছড়া কেটেই মা লক্ষ্মীকে আবাহন করত গৃহস্থ। করজোড়ে বাড়ির নারীরা একসঙ্গে বলতেন, ‘আঁকিলাম পদ দু’টি, তাই মাগো নিই লুটি। দিবারাত পা দু’টি ধরি, বন্দনা করি। আঁকি মাগো আল্পনা, এই পূজা এই বন্দনা।’ ... ...
বহু যুগ ধরে বাঙ্গালী মেয়েরা লক্ষ্মীর আরাধনা করে আসছেন, এই শারদীয়া মাসে দিকে দিকে তাঁর নামে শঙ্খধ্বনি হতেই থাকবে। তবু যতই তাঁরা লক্ষ্মীর জন্য হৃদয়মাঝারে ঠাঁই করে রাখুন, লক্ষ্মী কি সেই আসনে এসে বসলেন? ... ...
জীবদ্দশায় গান্ধী যেমন ভারতীয় উপমহাদেশ সহ গোটা পৃথিবীকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, তেমনি এদেশের প্রায় সমস্ত অঞ্চলের সমস্ত বোলি'র চারণকবিদের সৃজনশীলতাকেও সুগভীরভাবে প্রভাবিত করেছিলেন তিনি। একদিকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম আর অন্যদিকে গান্ধীবাবার সন্তসম জীবনভাবনা, একের পর এক অহিংস সত্যাগ্রহ আন্দোলন, স্বাবলম্বন ও সম্প্রীতির ডাক, আম জনতার মনে তাঁর প্রতি অপার ভালোবাসা ইত্যাদি সমস্ত বিষয়কে কেন্দ্র করেই চেনাজানা ধর্মীয় ও সামাজিক রূপকের কাঠামোয় এই পল্লীকবিরা রচনা করেছিলেন 'গান্ধীগীত' নামে জনপ্রিয় বহু শত লোকগান। গান্ধীগীতের এই অনন্য ধারাটির সূত্রপাত হয়েছিল সেই ১৯১৭র চম্পারণ এবং ১৯১৮র খেদার সত্যাগ্রহ আন্দোলনের অসামান্য দিনগুলোতে…. ... ...
হাসিমুখে তাকে বলে ফেলার সময়ই আমরা বুঝতে পারি যেন একটা জলাজমি চাপা পড়ে যাচ্ছে বুকের ভেতরে। তার উপরে হু হু করে বহুতল উঠে যাবে শীঘ্রই। এতগুলো বছরের বর্ষার কচুপাতায় জমে থাকা জল, নেউলের দৌড়, ইঁদুরের ডাক; --- এসবের আর কোনও সাক্ষী থাকবে না। জীবিতের শোক যে মৃত বহন করে না সে তো আমরা বহুকাল আগেই জেনেছি! জীবিতের ভেতরে মরে যাওয়া এই ছোট্ট অংশটিকেও জীবিত একাই বহন করে চলে আজীবন ... ...
এটা একবারের অভিজ্ঞতা হলে ছুটকো ছাটকা বিষয় বলে উড়িয়ে দেওয়াই যেত। কিন্তু ব্যাপারটা ধারাবাহিক। যখনই শাসক দলের কিছু সমালোচনা করা হয়, সিপিআইএম এর অনলাইন কিছু কর্মী দেখি ঝাঁপিয়ে পড়েন তার বিরুদ্ধে। না, সবাই না, বেশিরভাগও না, দক্ষিণ কলকাতার একটি অংশের কিছু উগ্র কর্মীবৃন্দ। এটা বহু সময় দেখেছি। বগটুইএর ঘটনায় নিজে লিখে দেখেছি। জয় গোস্বামীর 'দগ্ধ' বইটি আমরা প্রকাশ করেছি, তখন দেখেছি। ব্যাপর দেখে মনে হচ্ছিল বগটুই না, পশ্চিমবঙ্গে আলোড়ন ফেলা নিন্দনীয় একটাই ঘটনা ঘটেছে, যার নাম দগ্ধ। এই সব আক্রমণেরই মূল উপজীব্য একটাই। পছন্দমতো কেন প্রতিবাদ হচ্ছেনা। কেন 'শাসক দল' লেখা হচ্ছে। কেন ঘটনা দেখে দুঃখ হচ্ছে, 'প্রতিবাদে গর্জে উঠুন' কেন বলা নেই। সারা জীবনে বহু জিনিসে প্রতিবাদ ইত্যাদি করেছি। কিন্তু এই অদ্ভুত জিনিস কখনও দেখিনি, যে, যাঁরা সর্বস্তরের মানুষের কাছে প্রতিবাদের আহ্বান করছেন, তাঁদেরই কর্মীবাহিনীর একাংশ সেটাকে বানচাল করে দিতে চাইছেন। এই ঔদ্ধত্য, কে কী বলবে, ঠিক করে দেবার মানসিকতা, কোথা থেকে আসে বলা মুশকিল। হয়তো একরকম অন্তর্ঘাতও হতে পারে। আমার জানা নেই। ... ...
ডিপ্লোম্যাসি কাকে বলে? সে জিনিসটা হল এমন একটা আর্ট, যাতে একটা কুকুরকে ততক্ষণই বাবা বাছা করতে হয়, যতক্ষণ না হাতে ঢিল পাওয়া যাচ্ছে। এখন এরা হল রাজধানীর কুকুর; তাই পলিটিক্স, ডিপ্লোম্যাসি ভালোই বোঝে। আর বোঝে বলেই বাবা বাছা করার সুযোগটুকু দেয় না, খুব জানে যে সুযোগ দিলেই আপনি ঢিলের খোঁজ করবেন। তবু যে তারা আমাদের দাঁত খিঁচানো ছাড়া আর কিছু করেনি তার কারণ বোধ হয় দুবলা পাতলা বাঙালী বলে ক্ষমা ঘেন্না করে দিয়েছিল। ... ...