জীবদ্দশায় মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী যেমন ভারতীয় উপমহাদেশ সহ গোটা পৃথিবীকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, তেমনি এদেশের প্রায় সমস্ত অঞ্চলের সমস্ত বোলি'র চারণকবিদের সৃজনশীলতাকেও সুগভীরভাবে প্রভাবিত করেছিলেন তিনি। একদিকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম আর অন্যদিকে গান্ধীবাবার সন্তসম জীবনভাবনা, একের পর এক অহিংস সত্যাগ্রহ আন্দোলন, স্বাবলম্বন ও সম্প্রীতির ডাক, আম জনতার মনে তাঁর প্রতি অপার ভালোবাসা ইত্যাদি সমস্ত বিষয়কে কেন্দ্র করেই চেনাজানা ধর্মীয় ও সামাজিক রূপকের কাঠামোয় এই পল্লীকবিরা রচনা করেছিলেন 'গান্ধীগীত' নামে জনপ্রিয় বহু শত লোকগান। গান্ধীগীতের এই অনন্য ধারাটির সূত্রপাত হয়েছিল সেই ১৯১৭র চম্পারণ এবং ১৯১৮র খেদার সত্যাগ্রহ আন্দোলনের অসামান্য দিনগুলোতে…. ... ...
আকাশে মেঘের আর কলকেতার মাটিতে থিমের ঘোর ঘনঘটা। থিমময় প্যান্ডেলের কোনটায় মুগ্ধ, কোনটায় সন্দিগ্ধ, আর বেশিরভাগেই বোল্ড আউট হই। মধ্যবিত্ত বাড়িতে এমনিতেই অনেক ঝুলকালি, তোবড়ানো হাঁড়িকুড়ি, বাড়ি মেরে চালানো টিভি ওয়াশিংমেশিন মেলে। ঘেমেনেয়ে লাইন দিয়ে তেষ্টার গুঁতো চেপে, মন্ডপে মন্ডপে এসব দশশনের দুগ্গতিকে নাশ করো মা দুগ্গা.... ... ...
শুরুতেই জানব, আগে কীকরে মিল দেওয়া হত। ওসব ছিল, একদম মাপে-মাপ মিলিয়ে, দুলে-দুলে পড়ার মতো করে। রবিঠাকুর লিখেছিলেন, আমাদের ছোটো নদী চলে আঁকে বাঁকে/ বৈশাখ মাসে তাতে হাঁটুজল থাকে। শঙ্খ ঘোষঃ দুপুরে রুক্ষ গাছের পাতার কোমলতাগুলি হারালে/তোমাকে বকব ভীষণ বকব আড়ালে। জয় গোস্বামীরঃ নাম লিখেছি একটি তৃণে/ আমার মায়ের মৃত্যুদিনে। কিন্তু এগুলি একে বোরিং, তায় কঠিন, তদুপরি চটক কম। কাজেই বাজারে এসেছে নতুন নতুন পদ্ধতি। জেনে নিন পদ্ধতিগুলি। ... ...
মঞ্জুদিদি তারপরেও অনেকদিন, যতদিন না ওর বিয়ে ঠিক হয়, আমাদের বাড়িতেই ছিল। বেশ কিছুদিন আমার সাথে সরাসরি কথা বলত না, আমিও না। পরে আর মঞ্জুদিদির সাথে কখনো যোগাযোগ হয় নি। এখন বুঝি সেই সময় জিজির যা অবস্থা তাতে চার পাঁচশো টাকা হারানো কতটা তার জন্যও ভয়ানক ছিল। আমার অন্যায়টা- It was wrong on so many levels...। এই অন্যায়টার কথা কেউ জানে না, ভাইও না। আজ এখানে লিখে রাখলাম। শুধু মঞ্জুদিদির কাছে ক্ষমা চাইবার একটা সুযোগ যদি পেতাম। ... ...
পুজোর উৎসবের আতিশয্যে ভুলে না যাই, আজ গান্ধী জয়ন্তী। আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারাবার পরে গান্ধীজির প্রথম জন্মদিনটি পালিত হয়েছিল স্মরণে। আজ এত দশক বাদে জনচেতনার পরিসরে গান্ধী কি ধীরে ধীরে প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছেন? সরকারি-বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে গান্ধী-চর্চা কি তেমনভাবে কোথাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে? খবরের কাগজে চোখে পড়ল, কেন্দ্রীয় সরকারি তরফে গান্ধী এবং সঙ্গত কারণেই লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর ছবি দিয়ে বিজ্ঞাপন মারফত শ্রদ্ধা নিবেদন। রয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য। আকাশবাণীর প্রভাতী অনুষ্ঠান 'প্রত্যহিকী'তে দিনটির বিশেষ তাৎপর্যের উল্লেখ, 'মৈত্রী' প্রচারতরঙ্গে 'সুচিন্তন' অনুষ্ঠানে গান্ধিবাণী এবং 'সঞ্চয়িতা' প্রচারতরঙ্গে রিলে করা হয়েছে দিল্লির হিন্দি অনুষ্ঠান। ওই পর্যন্ত। ইঙ্গিত স্পষ্ট, অনুষ্ঠান পরিকল্পনায় গান্ধী আজ কার্যত ফিকে। ... ...
বাংলার আকাশে বাতাসে এখন বড় বেশি উৎসবের গন্ধ। আশি ও নব্বইয়ের দশকে গণবিজ্ঞান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন বহু মানুষ। ঈশ্বর তত্ত্বের পাশাপাশি জ্যোতিষ, তন্ত্র-মন্ত্র, ধাপ্পাবাজির বিরুদ্ধে ঘরে বাইরে সরব ছিলেন তারা। দুর্গাপুজোর মত চার-পাঁচ দিনের ধর্মের গন্ধ মেশা জগঝম্প আয়োজনে হয় বইয়ের স্টল না হয় সম মনভাবাপন্ন মানুষজনের সঙ্গে আড্ডা মেরে সময় কাটিয়ে দিতেন ওরা। পুজোর বাজারেই এই নাস্তিকদের জন্য তৈরি হয়ে যেত আর একটা স্পেস। আজকের দিনে সেই জায়গাটাই গিয়েছে হারিয়ে। ... ...
১৯৪৭ সালের ১৩ অক্টোবর সোমবার ছিল মহালয়া আর ২১ তারিখ মঙ্গলবার ছিল মহাসপ্তমী। দেশ যখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে, সমাজে যখন পারস্পরিক অবিশ্বাস আর বিভেদের রেশ, সেই মুহূর্তে উৎসবের সুর কেমন ছিল এই কৌতূহল তো স্বাভাবিক। আজ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও যখন নানা প্রান্তে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প থেকে থেকেই মাথাচাড়া দেয় তখন আমরা দেখি, পারস্পরিক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজি নজরুল ইসলামের কলমে ফুটে উঠেছে দুর্গা-বন্দনা। নজরুল-রচিত অনেক শ্যামাসঙ্গীত সুপরিচিত। কিন্তু আগমনীর আগমনে ১৯৪২ সালে নজরুলের লেখা গান ততটা পরিচিত নয়। অল ইন্ডিয়া রেডিওর কলকাতা কেন্দ্র থেকে সেই বছর সপ্তমীর দিন সকাল সওয়া সাতটায় 'আগমনী' অনুষ্ঠানে সে যুগে ভক্তিগীতির জনপ্রিয় শিল্পী মৃনালকান্তি ঘোষের কণ্ঠে সম্প্রচারিত হয়েছিল এই নজরুলগীতি। স্বাধীনতা লাভের বছরে পুজোর সূচনায় যে গানটি বাজানোর জন্যে রেডিও চয়ন করেছিল আজ সকলের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতির ভাব গড়ে তুলতে মন্ডপে মন্ডপে আবার বেজে উঠুক নজরুলের সেই বিখ্যাত গান। ... ...
গোয়েন্দা শোভাময়ী সান্যালের রহস্যভেদের কাহিনী - পড়তে পড়তে পুজোর ছুটিটা উপভোগ করুন। ... ...
২০১৪ সালে তখনও মূলত ফিল্মমেকারদের যুগ চলছে। সেখানে আজকের এই পোস্ট-ফিল্ম জমানায় বরঞ্চ কন্টেন্ট প্রোডিউসারের সংখ্যাই বেশি। আর সবচেয়ে মজার কথা এই যে গত পাঁচ বছরে প্রোডিউসড সবচেয়ে পপুলার কন্টেন্টটা কিন্তু আবার ইন্ডাস্ট্রি-র বানানো নয়, কনফিউজড পিকচার নামে একটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রোডাকশন হাউজ তথা নেহাতই আমাদের অরিজিৎ সরকারের বানানো। ... ...
মন্দিরে মসজিদে না থাকুন, ঈশ্বর আছেন আমাদের মননে, চিন্তায়, দৃষ্টিতে, অনুভবে। সে উপলব্ধি আমাদের অন্তরে আসে অহরহ। তিনি আছেন, শরতের নির্মল আকাশ ও সোনালী রোদ্দুরে। তীব্র গ্রীষ্মের পর ঘন বর্ষার প্রভাতে। শীতের শুকনো-ঝরাপাতা বওয়া হিমেল হাওয়ায়। বসন্তের পলাশ-রাঙা অরণ্যের অভিলাষে। সমুদ্রের ব্যাপ্তিতে, পর্বতের মহিমায়। প্রতিটি শিশুর দৃষ্টি ও হাসিতে। নিরন্ন মানুষের ক্ষুন্নিবৃত্তিতে। মায়ের মমতায়, পিতার হাত ধরে উৎসবের মণ্ডপে ঘুরে বেড়ানোয়। ভ্রাতৃ দ্বিতীয়ায় কপালে দিদি বা বোনের অনামিকার স্পর্শে, প্রিয়ার মুখ চুম্বনে। ... ...
পাঞ্জাবের শহীদ নকশাল কবি অবতার সিংহ সন্ধু 'পাশ' - এর দু-টুকরো অসামান্য কবিতার বঙ্গানুবাদ। ... ...
পিএফআই যে ঠিক কী 'দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র' করেছে, খবরের কাগজ তন্ন তন্ন করেও খুঁজে পেলামনা। অবশ্য এখন গণতন্ত্রের কারবারই আলাদা। সেই উপকথার গপ্পে ছিল, 'তুই না, তোর বাপ জল ঘুলিয়েছিল', সেখান থেকে একটা জিনিস বোঝা যায়, যে, খুব বদ হলেও, রাজা-বাদশারা ইচ্ছে হলেই কারো মুন্ডু কেটে ফেলতে পারতেননা। অন্তত একটা ফালতু অভিযোগ খাড়া করতে হত। এখন দারুণ গণতন্ত্রে সেই চক্ষুলজ্জাও উঠে গেছে। এমন সব দুর্দান্ত আইন বেরিয়েছে, যাতে, সব গোপন। তদন্ত তো গোপন বটেই, বিচারও চুপি-চুপি, এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে অভিযোগও গোপন। আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার ব্যাপারটা তো ক্রমে উঠেই যেতে চলেছে। খুব ইচ্ছে হলে করতেই পারেন, কেউ আটকাবেনা, কিন্তু আপনি কেন নির্দোষ সেটা বলবেন কীকরে, অভিযোগটাই তো জানা নেই। হয়তো বললেন, আমি তো চুরি করিনি, খুনও করিনি, কিন্তু তদন্তকারীদের খাতায় লেখা আছে, সুপ্রিম কোর্টের দিকে ট্যারা চোখে তাকিয়েছিলেন, ওইটাই অপরাধ। কিন্তু সেটা আপনাকে বলা যাবেনা। সে আপনি জানবেনই কীকরে, আর পাল্টা বলবেনই বা কীকরে। ... ...
কী করব বলুন, আদতে বীরভূম জেলার লোক তো, ঢেঁকিতে চড়ে সেখানকার আকাশ দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময়ে নারদ মুনির কী অবস্থা হয়েছিল জানেনই তো। অ, জানেন না, তাইলে শুনুন। বেলা তখন দশটা হবে। প্রভু নারায়নের নাম জপতে জপতে বীরভূমের ওপর দিয়ে যাচ্ছেন নারদ। হঠাৎ সোঁ সোঁ করে একটা অদ্ভুত শব্দ। কী ব্যাপার? মেঘ করল নাকি? ঝড় এল? না তো, আকাশ দিব্যি পরিস্কার। ওদিকে সোঁ সোঁ আওয়াজটা হয়েই চলেছে। ভয় পেয়ে স্পিড বাড়িয়ে দ্রুত চলে গেলেন নারদ। নারায়নের কাছে গিয়ে সব খুলে বলে জিজ্ঞেস করলেন, “ওটা কিসের শব্দ ছিল?” ... ...
(আমার এ রচনা বিভিন্ন সিঁড়ি নিয়েই। হঠাৎ করেই একদিন অন্যমনায় ছিলাম। সে সময়ে মাথার মধ্যে ছোটবেলার আমাদের বাড়ির এক প্রাচীন আমলের সিঁড়ির নানান ঘটনা ভেসে উঠল অতর্কিতেই। ভাবলাম লিখেই ফেলি। এই নিয়ে গুগুল মামার শরণাপন্ন হতেই দেখলাম - ওরে বাবা, এই সিঁড়ি নিয়েই হয়তো একটা বিরাট রচনা নামিয়ে ফেলা যায়। সারা বিশ্বের নানান সিঁড়ি, সেগুলোর ইতিহাস, সবচেয়ে বড় কথা সেই আদিম যুগ থেকে কতই না পরিবর্তন হয়ে আজকের গতিমান লিফট থেকে এস্ক্যালেটর। আমারই চোখে দেখা কত কিছুই। স্মৃতির মননে ছোট বেলা থেকে কলেজ জীবন পেরিয়ে চাকরি জীবন। সব কিছুর সাথেই জড়িয়ে আছে এই সিঁড়ি। জানিনা আপনাদের ভাল লাগবে কিনা...ভাল লাগলে যদি জানান তাহলে আরো একটু বিস্তৃত ভাবে রচনাটি শেষ করবো। আমি এ রচনাটিকে "ধারাবাহিক" বিভাগ আর "ইতিহাস" উপবিভাগেই রাখছি।) ... ...
তর্পণমন্ত্রগুলি কেবলই কি পিতৃপুরুষকে জল দেওয়ার কথা বলে? নাকি তার গভীরে নিহিত আছে বৃহত্তর মহত্তর কোন অর্থ ও উদ্দেশ্য? শুধু মানুষ নয়, এই বিশ্বপ্রকৃতির প্রতিটি প্রাণ-অপ্রাণকে ভালোবেসে, তার তৃপ্তি ও শান্তি কামনা করে আত্মা থেকে পরমাত্মায় উত্তরণের সমার্থক হলো শাশ্বত ভারতীয় সংস্কৃতি। তর্পণ মন্ত্র তাই নিজ পরিবার থেকে সেই বিপুল আপনের ডাক, ঠিক যেমন দূর ইরানের প্রতিবাদী মেয়েদের ছবি এই আশ্বিনে একাকার হয়ে যাচ্ছে এই মাটির রণরঙ্গিনী দুর্গা রূপের সঙ্গে.... ... ...
সোফায় পা গুটিয়ে বসে গুছিয়ে ভাট শুনবেন যাঁদের এমন বাঙালী আইকনিক আঁতেল এখন বিলুপ্তপ্রায়। কিন্তু আঁতেল আইকন সামনে না থাকলে কি নিয়ে দিন কাটবে সেই চিন্তা থেকে ঋতুদা চলে যাবার পর চন্দ্রিলের আশ্রয়ে ছিলাম। তবে সেবারে ‘ক্যালকাটা লিটারেরী ফেষ্টিভ্যাল’ না কিসে যেন একটা চন্দ্রিলের বক্তৃতায় গোদার, বার্তোলুচি, বেলা লুচি, ফালুদা, ভারমিচিলি কি সব ঢুকে যাবার পর বুঝতে পারলাম চন্দ্রিল-দা আমার নাগাল ছাড়িয়ে এগিয়ে গেল – মধ্যবিত্ত আঁতেল থেকে উচ্চবিত্ত আঁতেল পর্যায়ে উন্নিত হয়েছেন দাদা। ফলে আমি আবার মধ্যবিত্ত আইকন খুঁজতে বসলাম – মার্কেটের অবস্থা খুব খারাপ। শেষে স্মরণাপন্ন হতে হলে শান্তনু মৈত্র মানে আমাদের সবার প্রিয় জি বাংলা সা রে গা মা পা-র শান্তনু-দা। তো শান্তনু-দাকে ফলো করেই আমার সেই কনফারেন্স কাঁপানো - ... ...
দেবীপক্ষে দেবীর কেবল পুজো হয়। দেবীরা বেয়াড়াপনা কেউ সয় না। দেবীর ইচ্ছে অনিচ্ছের তোয়াক্কা করে না। প্রয়োজন হলে বোধনের আগেই বিসর্জন দিয়ে দিতে কসুর করে না। ... ...
প্রায় সকল অনার্য দেবতারাই এখন হিন্দু দেবতা। কিন্তু তাও দুয়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক, দেবতাদের থেকে এখন সাধারণ মানুষের দূরত্ব বেড়ে উঠেছে বহুগুণ। আগে অনার্য মানুষরা দেবতাদের কাছে সরাসরি প্রার্থনা করতে পারতেন। কিন্তু এখন সে প্রার্থনার অনেক রীতি, অনেক পদ্ধতি, অনেক মন্ত্র, সে মন্ত্র আবার কোন আঞ্চলিক ভাষায় নয় – সে ভাষা দেবভাষা সংস্কৃত। আর এই সকল পূজার বিচিত্র বিধি-বিধান, বিভিন্ন দেব-দেবীর বিবিধ মন্ত্র যিনি জানেন, তিনিই পুরোহিত এবং তিনি অবশ্যই ব্রাহ্মণ। ... ...