সমাজ কোথায় নিয়ে যায় ! ... ...
কে বলে মানুষের পাশে আজ মানুষ থাকে না। ঘরে সাপ ঢুকেছে? ডাকো তাঁকে। বাড়িতে করোনা? অক্সিজেন চাই। ফোন দাও তাঁকে। করোনা? ঘরেতে কেউ আসছে না! খাবার বা ফলমূল দরকার? জানাও তাঁকে? বয়স্ক মানুষ। বাজার দোকান করার লোক নেই? খবর দাও তাঁকে। বাড়িতে ভূতুড়ে কারবার? প্রমোটারের কারসাজি? হাজির তিনি। ... ...
দিনে ১০-১২ ঘন্টা কাজ। বসার ব্যবস্থা নেই। আমার চেনা একজন কাজ করেন শপিং মলে। শুনলাম সেখানেও বসার নিয়ম নেই। ১০-১২ ঘন্টা বিউটি। হাজার দশেক টাকা বেতন। যাতায়াত সাজপোশাকেই কত খরচ চলে যায়? আগে শুনতাম ইউনিয়নের জন্য ঝামেলা। এখন তো দেখছি, ইউনিয়ন না থাকলেই ঝামেলা। ১০-১২ ঘন্টা দাঁড়িয়ে কাজ করতে পারেন মানুষ? ... ...
সেক্স একটি অতি সেক্সি বিষয়। কিন্তু সেক্সের কোনো বাংলা নেই। ... ...
আমষ্টারডামে ট্যুরিজিমের সমীক্ষায় দেখা গেছে এই শহরে বাইরের দেশ থেকে যে সব পর্যটকেরা আসেন তাঁদের থাকার মেয়াদ গড়ে মোটামুটি ৩ থেকে ৪ রাত। তো এত কম সময়ের মধ্যে রেড লাইট ডিষ্ট্রিক্ট সম্পর্কে বিশাল কিছু জ্ঞান সঞ্চয় করা সম্ভব নয় যদি না আগে থেকে এই বিষয়ে ইন্টারেষ্ট নিয়ে পড়াশুনা করে থাকেন। হাতে খুব বেশী ঘুরে ফিরে দেখার সময় নেই, কিন্তু এদিকে ইচ্ছে আছে আমষ্টারডামের এই বিখ্যাত এলাকার সম্পর্কে কিছু জানতে এবং ঘুরে দেখতে। তাহলে কি করবেন? বেশীর ভাগ পর্যটক যেটা করে সেটাই – একটা রেড লাইট ডিষ্ট্রিক্ট হেঁটে দেখার গাইডেড ট্যুর নিয়ে নেবেন! ... ...
এইভাবেই আলাপ হয়ে যায় রোমানিয়ান মেয়ে দুটির সাথে। বন্ধুর অ্যাপার্টমেন্টের একদম লাগোয়া একটা গলি আর সেই গলিতে ছিল দুটি লাল-জানালা। অনেকেই হয়ত এটা জানেন যে আমষ্টারডামে বিশেষ ভাবে চিহ্নত রেড-লাইট ডিষ্ট্রিক্ট ছাড়াও, গোটা শহর জুড়ে বেশ কিছু জায়গায় আরো ছড়িয়ে আছে এমন লাল-জানালা। আসল রেড-লাইট ডিষ্ট্রিক্টের মোট জানালার তুলনায় এরা গুণতিতে তত না হলেও – মাঝে মাঝেই চোখে পড়ে যেত এদের উপস্থিতি। ঠিক তেমন ভাবেই বন্ধুর অ্যাপার্টমেন্টের পাশের গলির সেই লাল-জানালা দুটো চোখ পরে যায় একদিন। ... ...
গাড়ি, মহাভারত, কৃষ্ঞ, কর্ণ, বুদ্ধদেব, নেতাজী, রবীন্দ্রনাথ | সবাই একসূত্রে বাঁধা। ... ...
জন্মের দুশো বছর পরেও, বিদ্যাসাগরকে ঘিরে ‘ভদ্রলোক’ শ্রেণির চিরাচরিত চর্বিতচর্বণ চলতে থাকুক। লুঠেরা উপনিবেশের প্রতি অকুণ্ঠ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন, অব্যাহত থাকুক তাঁদের। শুধু অগণন অন্ত্যজ হিন্দু ও দরিদ্র মুসলমান এবং আর্ত ও অসহায় নারী, সেই দাসত্বের দোসর হবেন না। সুকৌশলে তাঁদের চিরদিন অপাঙ্ক্তেয়, প্রান্তিক, বঞ্চিত করে রাখার দিন শেষ। তাই, তাঁরা তাঁদের দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করবেন বিদ্যাসাগরকে। তাতে যদি তিলে তিলে গড়ে তোলা সযত্ন ‘নির্মাণ’ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে, তবুও তাঁদের প্রতিস্পর্ধী দৃপ্ত উচ্চারণ থমকে যাবে না এক মুহূর্তের জন্যও। কারণ তাঁদের কথা কেউ বলেনি এতদিন, পরেও বলবে না। তাঁরা যে ‘ছোটলোক’! ... ...