প্রাচীন কাল থেকে নৃত্য ভারতীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্য । ... ...
পাঁচটি চেনা গল্প, বিভিন্ন জনের রচনা, রঙ-রসও তাদের আলাদা। মিল একটাই, অন্তিম পংক্তিগুলি যেন কবিতার মত ডানা মেলে, গল্পের আওতায় আটকে থাকতে চায় না। আর সেই শেষ শব্দগুলির মধ্যে দিয়েই তাদের অন্তরে পৌঁছনোর চেষ্টা। ... ...
অবাক না হলে কি আর প্রশ্ন জাগে? অবাকের নেপথ্যে থাকে এক রকমের ভ্রান্তি, আর তাই বোধ হয় দুর্গা মন্ত্রে ও স্থান পেয়েছে ভ্রন্তি। কয়েক দিন পরে দুর্গা পুজো , এই মন্ত্র উচ্চারণের আগে একবার ঢুঁ মেরে আসি চলুন ভ্রান্তির আঁতুড় ঘরে ... ...
অতিমারী সম্পর্কে যেমন আমরা ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি, তেমনি বোধ হয় এই সংক্রান্ত আলাপ আলোচনাতেও উৎসাহ কমতে শুরু করেছে, যদিও চিন্তাভাবনার কারণ ও প্রয়োজন মোটেই কমে নি। এইসব তাৎক্ষণিক লেখালেখি আর তর্ক-বিতর্কের একটা প্রধান অংশ হল স্বাস্থ্যপরিষেবা ও চিকিৎসাবিজ্ঞান। অন্যদিকে রয়েছে অর্থনীতি, যার প্রভাব প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ, বর্তমানে এবং দীর্ঘস্থায়ী আগামীতে। এই অতিমারীর দিনগুলোতে ফুটে উঠেছে আরো অজস্র সামাজিক দিক- মানুষের গ্রহণ, বর্জন, পাশে থাকা আর না থাকার গল্প। আমরা যদি আমাদের এতোদিনের কৃতকর্ম আর ভবিষ্যতের আতঙ্কের কথা একটু গভীরভাবে ভাবি, তাহলে কোভিড সমস্যার আরেকটি দিকও স্পষ্ট দেখতে পাবো। ... ...
রবীন্দ্রনাথ বাঙালি জীবনে এক রহস্যের নাম। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে বাঙালি মেয়েরাও এগিয়ে আসছেন কারাবরণে। দেশের জন্য প্রাণ দিচ্ছেন তাঁরা। কেমন করে তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ? ... ...
আমাদের বিষন্নতা, সংস্কৃতি এবং রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে কিছু বিচ্ছিন্ন ভাবনা চিন্তা। ভাবছেন ফার্মা'র শেষ উপপাদ্যের সাথে এসবের সম্পর্ক কি? তাহলে পড়েই দেখুন না! ... ...
কৃষ্ণর উল্লেখ কবে কোথায় প্রথম পাই আমরা ? তার পরিচয় নিয়ে তর্ক বিতর্কে পণ্ডিতেরা কি বলেছেন ? ভারতীয় ও বাংলা সাহিত্যে কৃষ্ণকথার ক্রমবিকাশের ইতিহাসটি কেমন ? এসব নিয়েই দু চার কথা এখানে। ... ...
দাগ কাটতে গেলে ঝকমক করার দরকার নেই। একথা বিশ্বাস করি বলে আমরা ওসবের কারবারে নেই। ফলে জগৎ জোড়া জালে যখন গিজগিজ করছে জাল-সিরিজ, তখন আমরা, আমরা, গুরুচণ্ডা৯ সদলবলে ও সগর্বে হাঁটছি উল্টো-পাল্টা দিকে। উল্টো দিকে নয়, উল্টোপাল্টা দিকে। দৃশ্যশ্রাব্য আমাদের ভালই লাগে। ঝিম মেরে সিনেমা টিনেমা দেখি, পারলে দু-একটা বানিয়েও ফেলি। কিন্তু আমরা ঋত্বিক ঘটকও নই, যে, পুরোনো জিনিসকে লাথি মেরে "উন্নততর" মাধ্যমে চলে যাবার তাড়া আছে। আমরা উন্নততর বা ওটিটি প্লাটফর্ম কিসুই নই, নিজেদের তালে চলি। আমরা তাই সিরিজ বা সিরিয়াল নয়, নিয়ে এসেছি চিত্ররূপ ও অক্ষরে বাঙ্ময় কিছু ধারাবাহিককে। স্রেফ অক্ষরে। প্রকাশিত হচ্ছে প্রতি শনিবার। আমাদের ওয়েবসাইটে। ... ...
স্বাদের কথা যখন বললাম তখন আরেকটু বলি। বড় ঈদ মূলত খাওয়ার ঈদ। কোন পরিসংখ্যান আছে কিনা জানা নাই আমার। আমার ধারনা এই ঈদের পরে মানুষ বেশি অসুস্থ হয়। কারণ সবার ঘরে ঘরে গোরুর মাংস। সকাল বিকাল সন্ধ্যা রাত চলছে গোরু খাওয়া। এখন অনেক ধরনের রান্না হয় মাংস। আগে তা হত না। আম্মাকে দেখতাম বড় এক পাতিলে অনেক মাংস একবারে রান্না করত। ওই এক জিনিসই। চলত জ্বাল দেওয়া আর খাওয়া। একদিন পর থেকে স্বাদ পরিবর্তন হয়ে যেত। যতই দিন যেত ততই নতুন স্বাদ পাওয়া যেত। দুইদিন তিনদিনের মাংসের যে স্বাদ তা রীতিমত স্বর্গীয় লাগত আমাদের। জ্বালে জ্বালে মাংস আর মাংস থাকত না, সব মিশে অন্য কিছু একটা হয়ে যেত, যার কোন তুলনা নাই। ঈদের পর দিন আমাদের বাড়িতে খাওয়া হত গোরুর মাংস আর পরোটা। কেউ কেউ চালের গুড়ার রুটি খেত, আমাদের এখানেও হত। লা জবাব স্বাদ! এখন নানান ধরনের রান্না হয় মাংস। কাবাব হয়, কোরমা হয়, টিকিয়া হয়, সাদা মাংস রান্না হয়, এবং আরও নানান ধরনের রান্নায় এখন ঈদ জমে যায়। ... ...
Commonwealth War Graves Commission নামে একটা সংস্থা আছে। এরা প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ব্রিটিশ যত সৈন্য নিহত হয়েছে তাদের প্রতি সম্মান জানানোর কাজ করে। বিভিন্ন জায়গায় যত কবর আছে যুদ্ধের সব গুলোর যত্ন নেওয়া, ইতিহাস তুলে রাখা এবং তাদের যেন কখনোই মানুষ ভুলে না যায় তা নিশ্চিত করা হচ্ছে এদের কাজ। CWGC একটা ওয়েব সাইট আছে, তাতে তারা বলছে পুরো দুনিয়ায় ২৩ হাজার স্থানে ওয়ার সিমেট্রি আছে আর তাতে শায়িত আছে ১.৭ মিলিয়ন নর নারী সৈনিক। এই সংস্থা ১৯১৭ সালে Imperial War Graves Commission নামে যাত্রা শুরু করে, ১৯৬৫ সালে নাম পরিবর্তন করে Commonwealth War Graves Commission হয়। কিন্তু কাজ একই আছে, এই দীর্ঘ দিন ধরে তারা নিজেদের বীরদের সম্মান দিয়ে আসছে। ... ...
মোক্ষম বোমাটা ফাটিয়েছেন শংকরাচার্য স্বামী স্বরূপানন্দ সরস্বতী। কারণ কী জানা নেই, তবে কিঞ্চিৎ কাণ্ডজ্ঞান খাটিয়েই দ্বারকাপীঠের ভূতপূর্ব শংকরাচার্যের ঘোষণা: রূপান্তরিত বাবরি মসজিদ, থুড়ি রামমন্দিরের শিলান্যাস-নির্ঘণ্টটি ‘অশুভ’। নানা মহলেও তোলপাড়, যে সময় মহামারীতে উজাড় হয়ে যাচ্ছে দেশ, কিঞ্চিৎ শ্রদ্ধাবশতই কি সে’ সময় স্থগিত রাখা যেত না আলো-ঝলমলে এই সব অনুষ্ঠানের বাহার? যোগী আদিত্যনাথ অবশ্য গাঁট। ... ...
ফেব্রুয়ারি ২০, ১৯১৮। সেদিন সকাল থেকেই বুকটা দুরুদুরু কাঁপছে। আজ আমার ১৮ বছরের জন্মদিন। সকাল থেকে গোলাপের তোড়া আর হরেক কিসিমের কেকে ভেসে যাচ্ছে বোম্বের বাড়িটা। বাবা-মা দু’জনেই মহা-ব্যস্ত, একমাত্র মেয়ের জন্মদিন বলে কথা। বাবুর্চি-খানসামায় ঘর ছয়লাপ। আমাদের বোম্বের বাড়িটায় তো সব অতিথিকে বসানোই যাবে না। সামনের লনটায় প্রচুর আয়োজন করা হয়েছে। খাবার-দাবার, আলো-ফুলে ছয়লাপ কাণ্ড। কিন্তু একটা মজার ব্যাপার আছে। সকাল থেকে আমি খুব খুশি। সেই জে বাবার সাথে কথা বলে যাওয়ার পর থেকে এরম খুশির দিন আমার জীবনে আর আসে নি। আজ আমায় একজন মস্ত বড়ো একটা উপহার দেবেন। নিশ্চিত দেবেন। কিন্তু মজাটা কি জানেন, আমি ছাড়া আর কেউ জানে না আমায় সব থেকে বড়ো গিফ্টটা কে দিচ্ছে? আপনি জানেন কে? একটু ভাবুন তো। না না দুর। বাবা-মা নন, অন্য কেউ। না, হলো না। জে’ও নন। জে কি করে আমায় উপহার দেবেন? তিনি তো আজকে নিমন্ত্রিতই নন। বাবা বোম্বে হাইকোর্ট থেকে একটা রিস্ট্রেইনিং অর্ডার বার করেছেন। রুট্ঠি নাবালিকা, তাই তার বিষয়ে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব তার পরিবারের। মহামান্য আদালত আদেশ দিয়েছেন রুট্ঠি আর জে দেখা করতে পারবে না। কোনো প্রকাশ্য স্থানে জে’কে যেন রুট্ঠির সাথে দেখা না যায়। হ্যাঁ, যা বলছিলাম। বলুন দেখি সেরা উপহারটা কে দিলো? আগের প্যারাগ্রাফে আপনাকে কিন্তু একটা ক্লু দিয়েছি, ভাবুন দেখি। বুঝতেই পারছেন কোনো রাজা-মহারাজা-নবাবের দেয়া উপহার এটা নয়। এ উপহার যার দেয়া, তার কাছে কোনো রাজা-মহারাজা পাত্তা পায় না। সারা পৃথিবীর মানুষ এর কাছে মাথা নিচু করে কুর্নিশ করে। ভাবুন ভাবুন, না পারলে এই একটু পরেই বলে দেবো’খন। ... ...
ফেলুদা হঠাৎ 'জ্যাক দ্যা রিপার' শব্দটা কয়েকবার অস্ফুট উচ্চারণ করলো। লালমোহনবাবু বোধহয় ঠিক শুনতে পারেননি। উনি প্রশ্ন করলেন, "জ্যাক ফ্রুটের কথা বলছেন? মানে কাঁঠাল?"। ফেলুদা লালমোহন বাবুকে বললেন, "নাহ্। জ্যাক দ্যা রিপার"। তারপর আমাকে বললো, "চল তোর সিধু জ্যাঠার বাড়িতে, কয়েকটা ইনফর্মেশনের দরকার আছে। এ ব্যাপারে সিধু জ্যাঠার শরণাপন্ন হতেই হবে। আপনিও যাবেন নাকি লালমোহন বাবু? কাছেই। হাঁটাপথ।" ... ...
ভদ্রলোক বিহারি। ভুবনলাল চৌবে। লেখাপড়া অল্পই জানেন। অল্পবয়সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বম্বে চলে গেছিলেন নায়ক হতে। সিনেমা পাড়ায় অনেক ঘোরাঘুরি করেও কোন রোল জোটেনি, কিন্তু জুটে গেছিল লেবারারের কাজ। ইলেক্ট্রিকের ভারি ভারি জিনিস তুলে এদিক-ওদিকে সরানো, লাইটম্যানের অ্যাসিস্টেন্টের অ্যাসিস্টেন্ট। সেই করতে করতে কদিন পরে বিড়লাদের কারখানায় মেটিরিয়াল হ্যান্ডলারের কাজ পেয়ে সিনেমা লাইনের কাজ ছেড়ে দেওয়া। ... ...
আমি মালা। নবমের বার্ষিক পরীক্ষা দিলাম না। গরমের ছুটিতেই প্রেম। তারপর পালিয়ে বিয়ে। এখন আমরা তিনজন। বুবুনকে স্কুলে আমিই রাখতে যাই। ওর বাবা সকালে ঘুমিয়ে থাকে। মায়েদের ক্লান্তি বলে কিছু হয় না। শুধু এক লহমায় সব উথাল পাথাল হয়। যেমন আমার হয়েছিল। এক ম্যাসেজে। ছয় হাজার টাকা তোলার ম্যাসেজ। তুলেছিল বুবুনের বাবা। আমার এটি এম কার্ড চুরী করে। তারপর সব ছবির মত। ... ...
গুরুচণ্ডালীতে একজন লিখেছিলেন হুমায়ুন আহমেদ মৃদু মানুষের ঈশ্বর। উপযুক্ত বিশেষণ। নারায়ণ সান্যালের অবশ্য সেরকম কোনো বিশেষণ নেই। ইনি হুমায়ুনের তুলনায় বেশ খানিকটা কম জনপ্রিয়। সম্ভবতঃ একটি বিশেষ প্রকাশনা গোষ্ঠীর কাছে মাথা নত না করতে পারায় তাঁর লেখার প্রাপ্য প্রচারে অনেকটা খামতি থেকে গেছে। ‘বিশ্বাসঘাতক’ এখনও প্রচুর বিক্রি হয়। কিন্তু ‘আনন্দে’ না থাকতে পারলে ‘টপ টেনে’ টিকে থাকা বড়োই মুশকিল। নারায়ণ সান্যালের অনেকগুলো স্টাইলের মধ্যে একটি অনবদ্য স্টাইল ছিল - যেটা কিছুটা ইতিহাস, কিছুটা কল্পনা। এই স্টাইলটাকে সঠিকভাবে ভাষায় বর্ণনা করা মুশকিল। চেষ্টা করছি। এককথায় বলতে পারেন ইতিহাসের শূন্যস্থান পূরণ। ইতিহাসের বিকৃতি বলবেন না, প্রেম আর যুদ্ধের থেকেও সাহিত্যে গণ্ডি বেঁধে দেয়া আরো বেশি কষ্টকর। এবারের লেখা নারায়ণ সান্যালের সেই স্টাইলে। স্টাইলের নাম? – ওই যে বললাম 'ইতিহাসের শূন্যস্থান পূরণ'। ... ...
জ্যোতিষ আসলে কী - তা নিয়ে জ্যোতিষ বিরোধী অর্থাৎ বিজ্ঞানসম্মত ভাবনাচিন্তায় আগ্রহী মহলেও পরিষ্কার ধারণা থাকা জরুরি। সেরকমই একটি ধারণা নিয়ে এসেছেন সুকল্প কুণ্ডু। জ্যোতিষ যে আসলে বিজ্ঞান, তবুও কেন জ্যোতিষ সফল এবং জ্যোতিষের বৈজ্ঞানিক বিরোধিতাও কেন সাফল্য পাচ্ছে না, তার নির্মোহ বিশ্লেষণ ফুটে উঠেছে এই লেখায়। ... ...
সেই যে আমরা জন্মের পর ছুটতে শিখলাম, তারপর আর থামলামই না। ছোটবেলায় শিক্ষার পেছনে ছুটলাম, অথচ সেই শিক্ষাটাই আমাদের কখনো হলো না। তারপর রূপ-যৌবন-যৌনতার পেছনে ছুটলাম কিন্তু মানুষ অধরা রয়ে গেল। তারপর অর্থ, স্বাচ্ছন্দ, সমৃদ্ধি, উন্নতির পেছনে ছুটলাম, সুখ,শান্তি, মানুষত্ব হাত ছাড়া হয়ে গেল। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে নিজের যাত্রা পথের দিকে তাকালে কেউ যদি হঠাৎ আবিষ্কার করেন, ছোটবেলায় তিনি বড্ড সুখী ছিলেন, তাহলে তাকে কি বলবেন, সুখ কোনটা। ... ...
জীবনে সেই প্রথম চক্ষুকর্ণের বিবাদ ভঞ্জন করে "কম্পিউটার" দেখা হল - ইনটেল 386 - সাদা রঙের পিসি - টিভির মত দেখতে সাদা দামড়া মনিটার, ইয়া গাব্বা সাইজের সি পি ইউ, সেটাও সাদা, তাতে ছোট এবং বড় দুই রকমের ফ্লপি ডিস্কের স্লট। বলা বাহুল্য এসব ডিটেইল কিছুই তখন জানতাম না - ওটাকে ফ্লপি বলে বা ওই ঢোকানোর জায়গাটাকে স্লট বলে, সেটুকুও না। সিডি ব্যপারটার নামই শুনব আরো প্রায় বছরখানেক পরে ... ...