![]() বইমেলা হোক বা নাহোক চটপট নামিয়ে নিন রঙচঙে হাতে গরম গুরুর গাইড । |
জীবন বাজি রেখে লড়েছি, আর জিতেছি
সোহেল আবদুলালি
আমি একজন সারভাইভর। আমি আমাকে ধর্ষণ করার জন্য কাউকে অনুরোধ করি নি, আমি ধর্ষণ উপভোগও করি নি। এটা ছিল আমার জীবনে সহ্য করা সবচেয়ে কষ্টকর অত্যাচার। কোনও ধর্ষণ কখনও কোনও মেয়ের দোষে ঘটে না। ধর্ষণকে নিয়ে আমাদের সমাজে পালন করে চলা অদ্ভুত নীরবতা আর অবাস্তব কাল্পনিক মিথকে ছিন্নভিন্ন করে দেবার উদ্দেশ্যেই আমার এই লেখা। আমি এই লেখার মাধ্যমে শুধু এইটুকু সবাইকে জানাতে চাই যে মেয়েরা কোনও সহজলভ্য ভোগসামগ্রী নয়, ধর্ষণের মত অপরাধ একজন মেয়েকে, মানুষ হিসেবে, সামাজিক ও মানসিকভাবে সবচেয়ে একা করে দেয়।
কামদুনি থেকে
দীপাঞ্জন
বারাসাতের কামদুনি গ্রামটিতে গণধর্ষণ আর হত্যা ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর, কলকাতার কিছু রাজনৈতিক কর্মী, আর অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে স্থানীয় মানুষদের আন্দোলনের সংহতিতে গ্রামটিতে গিয়েছিলাম গত ১৬ জুন। মমতার কামদুনি সফরের ঠিক একদিন আগে। নিচের লেখায় তারই একটা সংক্ষিপ্ত বিবরণ ধরা থাকল।
একটি পিটিশন, দু'চার কথা
শমীক মুখোপাধ্যায়
আমাদের পিটিশনটি প্রাথমিকভাবে তৈরি হয়ে আছে এই দুটি জায়গায়।
http://www.change.org/petitions/chief-minister-west-bengal-confront-violence-against-women-2
http://www.causes.com/causes/1011344-confront-violence-against-women
যে কোনও একটি লিঙ্কে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন। যদি সহমত হন পিটিশনের দাবির সঙ্গে, তা হলে আপনার কাছে আমাদের থাকবে দুটি অনুরোধ।
প্রথম অনুরোধ, আপনার একটি সই। পিটিশনেই সই করার ব্যবস্থা আছে দুটি সাইটেই।
দ্বিতীয় অনুরোধ, এই পিটিশনটিকে আপনার আরও পরিচিতজনেদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া, যাতে পিটিশনটি আরও বেশি সই সংগ্রহ করতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর আগে আমরা যত বেশি সংখ্যক সই সংগ্রহ করতে চাই। আর সেটা করতে চাই খুব তাড়াতাড়ি।
ইতিমধ্যেই আমরা ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছি এই পিটিশনের লিঙ্ক। অনেকেই সই করেছেন। কেউ কেউ এখনও হয় তো করে ওঠেন নি, তাঁদের প্রতি আমাদের সনির্বন্ধ অনুরোধ, যদি আপনার কোনও প্রিয়জন পশ্চিমবঙ্গে বাস করে থাকেন, যদি তাঁদের জন্য আপনার মনে এতটুকুও ভালোবাসা, উদ্বেগবোধ থাকে, শুধু তাঁদের মুখটি মনে করে তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার স্বার্থে এই পিটিশনে একটা সই করুন, আরও দশজনকে সই করতে উৎসাহিত করুন।
আমরা সবাই মিলে একসাথে প্রতিবাদ না জানালে, এ অন্ধকার কাটবে কী করে?
তাকসিম স্কোয়্যার থেকে
শিল্পী সুনেজা
আমার বন্ধু বলল, “যখনই সরকার বুঝবে ঐ পেপার স্প্রে দিয়ে আর কাজ হচ্ছে না, দেখিস তখন “সাইলেন্ট গার্ড” কিনবে বিদেশ থেকে।” তাকসিম স্কোয়ার থেকে চুখুরিয়েম কাদেসিতে বন্ধুর বাড়ীর দিকে দিকে তখন রওনা হয়ে গেছি। মাইলখানেক দূরেও বেশ টের পাওয়া যায় মরিচের ঝাঁঝালো গন্ধ। চোখ ,নাক, গলায় একটা জ্বলুনি ভাব। প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেলো তাকসিম স্কোয়ারে নিয়মিত এই মরিচের স্প্রে চালানো হয়েছে, আমার বন্ধু বেচারা মরিচের ঝাঁঝ ছাড়া নিঃশ্বাস নিতেই ভুলে গেছে। আর তার এটাও মনে নেই কোন ম্যাজিকে হাজারে হাজরে লোক জমায়েৎ হয়েছিল গেজি পার্ক আর তাকসিম স্কোয়ারে। “সামান্য কয়েকটা গাছে”র বদলে পার্কের ভিতরে শপিং মল বানানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কীভাবে একটি একনায়কের শাসনের বিরুদ্ধে সারা দেশের প্রতিবাদ হয়ে উঠল সেটাও আশ্চর্যের। প্রধানমন্ত্রী তায়িপ এর্দোগানের হিংস্র পুলিসের অত্যাচারের মুখোমুখি হয়ে ঐ আন্দোলন ছাড়িয়ে গেল দেশের সর্বত্র।
কয়েক টুকরো কবিতা
আফজল আহমেদ সৈয়দ
আফজল আহমেদ সৈয়দ। উর্দু কবি ও অনুবাদক। জন্ম অবিভক্ত ভারতবর্ষের গাজীপুরে। ১৯৪৬ সালে। ১৯৭৬ থেকে বসবাস পাকিস্তানের করাচিতে। পেশায় কীটপতঙ্গ বিশারদ। উর্দু নাজম-এর অন্যতম আধুনিক কবি। নাজম লেখা হয় ছন্দোবদ্ধভাবে এবং মুক্ত বা গদ্যছন্দেও।
তাঁর উর্দু নাজমের অনুবাদ প্রকাশিত হয় ইংরিজিতে।
An arrogated past (১৯৮৪), Death sentence (দু'টি ভাষায় অনূদিত , ১৯৯০ ), Rococo and other worlds (২০০০) গজল সংগ্রহ The dark pavilion (১৯৮৮)।
তাঁর কবিতা সংকলিত হয় An evening of caged beasts: seven poets (post modernist Urdu poetry collection .. New York, Oxford University Press, ১৯৯৯)।
The Wesleyan University press poetry series তাঁর নির্বাচিত কিছু কবিতার অনুবাদ প্রকাশ করে ২০১০ সালে।
আফজাল প্রচুর কবিতা, নাটক আর উপন্যাসের সফল অনুবাদক. কবিতা অনুবাদ করেছেন চেক, হিব্রু, আরবী, পোলিশ, রুমানিয়ান, রাশিয়ান আর তুর্কী ভাষা থেকে। গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের উপন্যাস "Chronicle of a death foretold" উর্দুতে অনুবাদ করেন আফজাল. এছাড়া উল্লেখযোগ্য অনেক সাম্প্রতিক নাটকের ভাষান্তরও।
আফজলের কবিতার ইংরিজি ভাষান্তর অনেকটাই করেছেন টরন্টো নিবাসী অনুবাদক মুশারফ আলী ফারুকী
ব্যক্তিগত নয়
ইন্দ্রাণী
ডঃ জয়ন্ত দাসের সঙ্গে আমার কথা শুরু হয় এবছরের মার্চে। নিতান্ত ব্যক্তিগত শোকের প্রেক্ষিতে শুরু হয়েছিল কথা চালাচালি – অনুসন্ধিৎসাই ছিল তার মূলে – প্রথমে, ডঃ দাসের সঙ্গেই। ডঃ বিশ্বরূপ চ্যাটার্জী এলেন তার পরে। আলাপন, যা মূলতঃ হাসপাতাল থেকে আসা সংক্রমণ বিষয়ে প্রশ্নোত্তর- চলেছিল ই মেইলে; ভাষা কখনও বাংলা ছিল, কখনও ইংরিজি । আলাপনের ভঙ্গি ও কালানুবর্তিতা অটুট রেখে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথাকে ব্যক্তিগতর গণ্ডী টপকে দেওয়ার চেষ্টা করলাম।
এত খেয়ে তবু যদি নাহি ওঠে মনটা - পর্ব এক
সুকান্ত ঘোষ
খাবার হবে পরিমাণ মত - তবে হ্যাঁ, পরিমাণ কেমন হবে সেটাকে সরলীকরণেরও বিপদ আছে। যারা আমেরিকান খাদ্য সংস্কৃতির সাথে পরিচিত তাঁরা কথাটির অর্থ আশা করি বুঝতে পারবেন। আমেরিকান রেষ্টুরান্টে ৩-কোর্স ডিনার আমার মত খানেবালার কাছে প্রহসনের মত। স্টার্টার শেষ করেই আমার পেট ভরে যায়, বাকি দুই পদ তো দূর অস্ত। এই প্রসঙ্গে আমার আর এক জ্যেঠতুতো ভাই পিকুলের লাইফের ট্রাজেডির কথাটা বলে নিই। ও তরকারি খেতে এত ভালোবাসে যে আজ পর্যন্ত কোন নিমন্ত্রণ বাড়িতে মাছ-মাংসের পদ পর্যন্ত পৌঁছতে পারলনা। শাক, ডাল, চচ্চড়ি দিয়েই তার খাবার শেষ। রান্নাঘরে তরকারি হাতড়াতে গিয়ে ও বহুবার ধরা পড়েছে। ওই জন্যই বলে আপ্ রুচি খানা।
সংবাদ সারাক্ষণ - পর্ব তিন
শ্রমণগৌতম শীল
কাল রাতে যথারীতি মদটা বেশি খাওয়া হয়ে গিয়েছে। এই জন্যে বৌ রেগে যায়। কিন্তু অমিতাভ কী করবে! অনুরাগ আর জয়ন্তর সঙ্গে আগে রাতে বসতো যখন তখন অন্য রকম ব্যাপার ছিল। জয়ন্ত খুব নিয়ম মানা ছেলে। ঠিক সময়ে থেমে যেত। আর খেতে বসতো জয়ন্তর বাড়িতেই। তাই বেশি বাড়া যেত না। জয়ন্তর বৌ একটু হেসে মনে করিয়ে দিত বাড়ি যেতে হবে। সে আর অনুরাগ বেরিয়ে পড়ত। তার গাড়িতে আগে অনুরাগকে ছেড়ে সে ফিরতো। এখন তো আর তা না! জয়ন্ত পার্ক স্ট্রীট-এ আসে না। অনুরাগ কিছুদিন হল আলাদা। অবশ্য তারা জেনেবুঝেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনিই কিছুদিন ধরে কাজের চাপ বাড়ছিল। তারপরে এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট লাইসেন্স হয়ে যাওয়াতে আর চায়নার মাল আসতে শুরু করাতে আর কিছু করার ছিল না। অনুরাগ বললো ও কম্পিউটারটা দেখবে। চায়নায় সারে সারে শহরে ছোট ছোট ইউনিট করে কম্পিউটার যন্ত্রাংশ তৈরী হচ্ছে। তারা আনছে। এখানে অ্যাসেম্বল করছে। মেড ইন ইন্ডিয়া ছাপ দিয়ে আলিবাবা কম্পিউটার ব্র্যান্ড করে বেচে দিচ্ছে।