এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পুরনো বাংলা (যখন তিনোমুল ছিলোনা, এমনকি সিপিয়েম ও না)

    Blank
    অন্যান্য | ২৪ মার্চ ২০১০ | ২২৩০৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Samik | 121.242.177.19 | ২২ জুন ২০১০ ১৪:০৪442937
  • তা হলে গুরগাঁওয়ের অদূরে এই যে কারনাল বলে এলাকাটা, লোকে বলে কর্ণ এখানকারই অধিপতি ছিলেন, এই এলাকাটা কর্ণকে কে কবে দান করে? কর্ণ তো যতদূর জানতাম চিরদিন অঙ্গরাজ পরিচয়েই সন্তুষ্ট ছিলেন। সাম্রাজ্য বাড়ানোর ঈপ্সা তাঁর কখনওই ছিল না।
  • kallol | 124.124.93.205 | ২২ জুন ২০১০ ১৪:৪৪442938
  • কর্ণ তো অঙ্গরাজ্যের নন-রেসিডেন্ট রাজা। সারা জীবন হস্তিনাপুরেই কাটালেন। তা উনি হয়তো কিছু জমি-টমি কিনে কার্ণালে ডেরা গেড়েছিলেন।
  • Shuchismita | 71.201.25.54 | ২২ জুন ২০১০ ১৬:৫২442939
  • কল্লোলদার এই লেখাটা আমার খুব ভালো লাগলো। এতে আরো মালমশলা যোগ হোক।
  • SB | 114.31.249.109 | ২২ জুন ২০১০ ১৭:২৩442940
  • সত্যি, কল্লোলদার লেখাটা দারুণ! অমিয়ভূষনের একটা উপন্যাস পড়েছিলাম, চাঁদবেনে, যাদের এই সুতো ভাল লাগছে, তাদের জন্যে রেকমেন্ড করলাম।
  • chayan | 203.91.201.57 | ০৫ মে ২০১১ ২০:২১442941
  • দারুন লাগল এই আলোচোনা টা পড়ে। আরো চাই।
  • Sags | 122.170.76.74 | ০৭ মে ২০১১ ১২:২৯442942
  • তুলে দিলাম। প্লিজ আরো লিখুন।
  • kallol | 115.241.98.206 | ০৭ মে ২০১১ ২১:৪৯442943
  • আমার চারপাশ।
    বাবার একটা গুণ ছিলো, চটপট ছড়া বানাতে পারতেন। প্রায়ই অন্য কোথাও থেকে বাড়ি ফেরার সময়, ট্রাম যখন আমাদের স্টপেজে থামতো, অবধারিত ভাবে বাবা বলে উঠতেন - আমাদের বাড়ি / টালিগঞ্জ ফাঁড়ি। আমরা হেসে উঠতাম, কন্ডাক্টার আর সহযাত্রীরাও হাসতেন, আর মা অন্য দিকে তাকিয়ে ট্রাম থেকে নামতেন।
    আমার ছোটবেলা থেকেই টনসিল, আর ভাই-বোনের জুভেনাইল অ্যাজমা। আমরা রাসবিহারী মোড়ে এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের বাড়িটার দোতলায় এক হোমিওপ্যাথে বদলে যাওয়া অ্যালোপ্যাথ ডাক্তারকে দেখাতাম। ড: দাস। নামটা আর মনে নেই। উনি বেশ রাত করে আসতেন। তাই আমরা পড়শোনা শেষ করে, খেয়ে দেয়ে, রাত ১০টা নাগাদ যেতাম। আমাদের তিন ভাই বোনের যে কোন কেউ অসুস্থ হলেও তিনজনেই যেতাম। নাম লেখাতে হতো। তারপর উনি সময় এলে ডাকতেন, কল-লোল-কাকলি-হিল্লোওওওওল। সাধারনত: আমরাই শেষ রোগী। তাই বাবার সাথে নানান গল্প করতে করতে আমাদের দেখতেন।
    আমাদের ডাক আসার আগের সময়টুকু কাটতো কম্পাউন্ডার কাকুদের পুরিয়া তৈরী দেখতে দেখতে। ওঁরা তিনজন ছিলেন। কারুর নাম জানার প্রয়োজন বা ইচ্ছে কোনটাই হয় নি, তাই জানিও না। একজন সৌম্য মধ্যবয়সী, পরিস্কার কামানো মুখ, পাতলা চুল। মুখে হাসিটি লেগেই আছে। সবচেয়ে তাড়াতাড়ি পুরিয়া বানাতেন। যন্ত্রের মতো হাত চলছে, তার মধ্যেই সকলের সাথে নানান গল্প। পুরিয়া বানানো হয়ে গেলেই একটা ছোট্ট খামে নাম লিখে পুরিয়া গুলো নম্বর দিয়ে খামে ভরে নাম ডাকতেন। বুঝিয়ে দিতেন কিভাবে খেতে হবে। পারদের দানার মতো ঝকঝকে আর নিটোল ছিলো ওনার হাতের লেখা।
    আরেকজন মাথা ভর্তি কালো কুচকুচে চুল, একটু মোটার ধাত, বিশেষ কথা বলতেন না। গলার স্বরটি ছিলো ভীষন পাতলা। উনি নাম ডাকলে আমাদের খুব হাসি পেতো। কিন্তু হাসতাম না। বাবা খুব রেগে যেতো তাহলে। তৃতীয়জন, রোগা, অল্পবয়সী, খুব পাওয়ারওয়ালা চশমা পরতেন। প্রায়ই পুরিয়া খামে ভরতে গিয়ে পড়ে যেতো। কেন জানি না এই তিজনকে আমার অজয় বসু, কমল ভট্টাচার্য আর পুষ্পেন সরকার বলে ভাবতে ভালো লাগতো।
  • achintyarup | 121.241.214.38 | ০৮ মে ২০১১ ০০:৩৮442944
  • আরিত্তারা! দ্দারুণ, দ্দারুণ টই!
  • kallol | 220.226.209.2 | ০৮ মে ২০১১ ১১:২৫442945
  • তারপর তো ফেরার পালা। প্রায় রাত ১১টা সাড়ে ১১টায় রাসবিহারী মোড়ে ট্রাম স্টপে এসে দাঁড়াতাম আমরা লাস্ট ট্রামের অপেক্ষায়। তখন রাসবিহারী মোড় ছিলো একদম অন্যরকম। আশুতোষ মুখার্জি রোডের মাঝখান দিয়ে চওড়া বুলেভার্ড দিয়ে ট্রাম চলতো। ট্রাম লাইনের দুধার দিয়ে মস্তো মস্তো শিরিষ গাছ। দূর থেকে ট্রাম আসছে, তার মাথার দিকের আলো দুটো দেখে বলতে হবে কতো নম্বর ট্রাম ২৪ না ২৯ না ৩২। ২৪ নম্বর ট্রাম এসপ্ল্যানেড থেকে বালিগঞ্জ, ২৯ নম্বর এসপ্ল্যানেড থেকে টালিগঞ্জ আর ৩২ নম্বর হাওড়া থেকে টালিগঞ্জ। বাবা শিখিয়েছিলেন চৌকো হলুদ আলো ২৪ নম্বর বালিগঞ্জ, গোল হলুদ আলো ২৯ নম্বর টালিগঞ্জ, আর গোল কিন্তু একটা লাল একটা হলুদ আলো ৩২ নম্বর টালিগঞ্জ।
    রাসবিহারী মোড়ের উ:পূ: কোনে বাটা আর অমৃতায়ন। অমৃতায়ন তখনকার দ: কলকাতার শিল্পী সাহিত্যিকদের আড্ডাস্থল, সাধারনভাবে মুক্ত শিল্পে বিশ্বাসীদের। দ:পূ: কোনে চন্দ্রকুমার স্টোর্স শাড়ীর দোকান। দ:প: কোনে বারোহাত কালী মন্দির, যার সামনের চাতালে একসময় শচীনকত্তা আসর জমাতেন - রঙ্গীলা রঙ্গীলা রঙ্গীলারে..... আর উ:প: কোনে ময়রা মিস্টির দোকান আর শোভা রেস্টুরেন্ট বাম ঘেঁষা বুদ্ধিজীবীদের আড্ডা।
    অত রাতে আমরা ছাড়া আর যারা থাকতেন তারা হলেন অমৃতায়ন আর শোভায় আড্ডা মেরে ফেরা চরম আড্ডাধারীরা আর মুক্তাঙ্গন থেকে নাটক করে ফেরা অভিনেতা কলাকুশলীর দল। শেষ ট্রাম আসতো আমাদের বাড়ি নিয়ে যেতে। ট্রাম যখন সাদার্ন অ্যাভেনিউ, মুদীয়ালী, লেক স্টপেজ পেরিয়ে টালিগঞ্জ রেল ব্রিজ ছাড়াতো, তখন বাঁদিকে এক আশ্চর্য চিত্রপট ভেসে উঠতো। সারি সারি আগুন দুলছে, অগুন্তি আগুন। আর তার সাথে আবহসঙ্গীতের মতো ভেসে আসছে হাপর আর লোহা পেটানোর আওয়াজ। টালিগঞ্জের কামার পাড়া।
    এইত্তো তারপরেই ভবানী সিনেমা পেরোলেই টালিগঞ্জ ফাঁড়ি / আমাদের বাড়ি।
  • kallol | 220.226.209.2 | ০৮ মে ২০১১ ১২:০৪442948
  • ট্রাম থেকে নেমেই ঘড়িঘরের গেটের মধ্যে দিয়ে এক পা এগুলেই যাদবের মিস্টির দোকান। অত রাতেও পেট্রোম্যাক্স জ্বালিয় কাজ করছেন যাদববাবুর ছেলে ও তার কারিগরেরা। পাক হচ্ছে সন্দেশ আর জ্বাল হচ্ছে রসগোল্লা। সেখানেই দাঁড়িয়ে গরম গরম রসোগোল্লা খাওয়া হতো আর নিয়ে আসা হতো দাদু আর মার জন্য। ওঁরা পরদিন খেতেন, তখন আমরাও ভাগ পেতাম।

    আমাদের বাড়িকে ডাকা হতো মাঠের বাড়ি বলে। একটা মাঝারি মাপের মাঠের দ:পূ: কোনে ছিলো আমাদের একতলা বাড়িটি, যার একটা ঘরে পাকা ছাদ অন্য ঘরটায় অ্যাসবেস্টাস আর সামনে একটা ছোট্ট বারান্দা আর খোলা উঠোন। মাঠটা আমাদের পাড়ার খেলার মাঠ, দুগ্গোপূজোর মাঠ। মাঠের মাঝখানে একটা বেল অশ্বত্থ গাছ। একটা বেল গাছের মধ্যেই গজিয়ে গেছিলো অশ্বত্থ গাছটি। মাঠের পশ্চিম ধার দিয়ে সার দেওয়া সাতটি নারকেল গাছ। মাঠের পূব দিকে আমাদের পাড়া, শান্তিপল্লী। মাঠের পশ্চিমে মুসলমান বস্তি। পাড়ার দক্ষিণে দীপক সংঘ, পূবে বৈশাখী সংঘ, উত্তরে খাটাল আর মস্তো একটা ঝিল। সেই ঝিল পেরিয়ে আরও উত্তরে অ্যামপিউল ফাক্টারী আর রেল লাইন। তখন কয়লার ইঞ্জিন। রাতে বাড়ি থেকে শোনা যেতো ঝুকঝুক ঝুকঝুক - কুউউউউ - বজবজ যাচ্ছে প্যাসেঞ্জার গাড়ি। আরও রাতে ঝুস ঝুস ক্যাঁচ কোঁচ - ওটা মালগাড়ি। অ্যাসবেস্টাসের ঘরে আমি শুতাম দাদুর সাথে। ভাই বোন মা বাবা পাশের ঘরে বড় খাটে।
    দাদু গল্প বলতেন ছেড়ে আসা দেশের গল্প............... তারপর তো তর ম্যাজজ্যাডায় করসে কি, রাগ কইরা পিছনের আম গাছাডায় চইড়া বসছে। আমরা ব্যাবাক খুঁইজ্যা মরি। শ্যাসে, রাইত বাড়লে হ্যায় নিজেই নাইম্যা আইছে, কি না তার খিদা পাইছে। কিংবা আগরতলার গল্প........ আমাগো বাসার সামনে দিয়া ছিলো হাওড়া নদী। নদীতে মহারাজের হাতিশাল থ্যিক্যা হাতি নিয়া আইতো হেড মাহুত আসানুল্লা - ছান করাইতে। তরা তো আর দ্যাখলি না................ আমার ঘুমের দেশের ওপার হতে ভেসে আসতো সেই স্খলিত বিলাপ, তরা আর দ্যাখলি কই........
  • kallol | 220.226.209.2 | ০৮ মে ২০১১ ১২:৪৭442949
  • তাবলে আমাদেরও দ্যাখার কিছু কম ছিলো না।
    সক্কাল হলেই দাদুর হাত ধরে বের হতাম। দাদু গুণগুণ করে গাইতেন - প্রভাত সময়কালে শচীর আঙ্গিনাতে / গৌরচান নাচিয়া বেড়ায় রে................
    আমাদের বাড়িতে কোন ফুলগাছ ছিলো না। কিন্তু পাড়ার সবার ফুলগাছে ছিলো দাদুর অবাধ অধিকার। কারুর গাছের জবা, কারুর গাছের থলপদ্ম। কিন্তু কলকে ফুল তার নিতে হবেই বড় মসজিদ থেকে। আনওয়ার শাহ রোডের মোড়ে বড় মসজিদ। টিপু সুলতানের ছেলেদের প্রতিষ্ঠা করা। তার উল্টোদিকেই নবাব বাড়ি। লাল রংয়ের মস্তো দোতলা বাড়ি। যার বিশাল বিশাল জানলা দিয়ে দেখা যেতো একটা ইয়াব্বড়ো ঝাড় বাতি। মসজিদের মাঝে দুটি কবর। কবর দুটি ঘিরে কলকে ফুলের গাছ। ঠিক সেই সময়েই কেন জানি বড় মৌলভী সায়েব আসতেন সেখানে আর নিজে হাতে ফুল পেড়ে দিতেন। তারপর মসজিদের চাতালে বসে দাদুর সাথে নানান কথা বলতেন। আমি মসজিদের পূবে এক মজা দিঘীর ধারে মৃত ঘাটে বসে থাকতাম। মজা দিঘীটা ছিলো বেশ গভীর। একফোঁটা জল থাকতো না তাতে। আমি ঘাটে বসে তলার জঙ্গল হয়ে যাওয়া দিঘীতলে পাখীদের আনাগোনা দেখতাম। দাদু আসতেন, আমার পাশে বসতেন, কখনো পাখী দেখিয়ে বলে উঠতেন - ওই দ্যাখো দাদু সিপাই বুলবুলি, ওওওই যে।
    ছিলো চারুবাবুর বাড়ি। তাতে ময়ুর, খরগোশ, রাজহাঁস এমনকি হরিনও ছিলো। আর ছিলো দুটো বিশাল চেহারার কুকুর। এখন আবছা মনে হয় গোল্ডেন রিট্রিভার। তবে সবচেয়ে মজার ছিলো একটা মস্তো চৌবাচ্চা। তাতে কতো লাল নীল মাছ। হলধর মালী সেই বিশাল বাড়িটার বাগানের পরিচর্যা করতো। কতো গাছ ছিলো বাগানে, করমচা, কাঠবাদাম, জামরুল, গোলাপজাম। পেয়ারা, আম, জাম, কাঁঠাল তো ছিলোই।
    তখন চারুবাবু গত হয়েছেন। ওঁর ছেলে দেববাবু দাদুকে কাকামশাই বলতেন। আমাদের মিউনিসিপালিটির কংগ্রেস কাউন্সিলার, দুগ্গোপূজোর চাঁই। একটা ঢাউস গাড়ি ছিলো। ডজ। গাড়ি চালাতো সুদর্শন। দারুন সাদা টুপি আর সাদা জামা প্যান্টের সাথে কালো জুতো। সুদর্শন আমাদের হীরো ছিলো। একবার গাড়িতে বসতে পাবার জন্য কি ঝুলোঝুলিই না করতে হতো। আর ছিলেন দিদুন। দেববাবুর মা। গোলগাল মানুষটি সাদা থান আর মাথায় চন্দনের তিলক। দেখতে পেলেই ডাক দিতেন - ও দাদুভাই একবার এসোতো। ডাকা মাত্রই দৌড়ে যেতাম, কারন গেলেই আমসঙ্কÄ বা নারকেল তক্তি। দৌড় দৌড় দৌড়.............
  • Sags | 122.169.18.124 | ০৮ মে ২০১১ ১৪:২৮442950
  • বছরখানেক আগে এই টই-তে একটা কোস্নো ওঠে চৈতন্যদেবের গুজরাট ভ্রমণ নিয়ে। কিছু কিছু প্রমাণ-ও পাওয়া যায়। কিন্তু একটা ব্যাপারে খটকা দেখা যায় যে তিনি হঠাত সোমনাথ মন্দির দেখতে যাবেন কেনো। মোস্ট লাইকলি তিনি গেছিলেন দ্বারকা-তে, সেখানেই পথে সোমনাথ মন্দির।
  • achintyarup | 59.93.244.155 | ৩১ মে ২০১১ ০৩:৪৩442951
  • তুলে দিলাম, কল্লোলদার জন্য।
  • kallol | 220.226.209.2 | ৩১ মে ২০১১ ১২:১৮442952
  • আর ছিলো ওঁদের বাড়ির পুকুরটি। আমাদের পাড়ার আশেপাশে প্রচুর পুকুর আর জলাজমি ছিলো। একতো চারুবাবুর বাড়ির পুকুর, তারপর পাশের পাড়া সংষ্কৃত পরিষদে (এমন একটা নাম কেন, আমি আজও জানি না। ওখানে কোনকালে সংষ্কৃত পরিষদ বলে কোন প্রতিষ্ঠান ছিলো কি না জানা নেই) বালি পুকুর। পরে সেটা বুজিয়ে টালিগগঞ্জ গার্লস স্কুলের নতুন বাড়ি হলো। আর ছিলো খাটালের ঝিল। আমাদের পাড়ার উত্তর সীমায় বিস্তির্ণ জলাভূমি, মূলত: পানায় ঢাকা। তার পাড় দিয়ে অনেক খাটাল। গরু মোষের এই খাটালগুলো ছিলো বিহারী গোয়ালাদের (যাদব)। ওখানে কুস্তির আখড়াও ছিলো একটা। এসবই এখন অতীত। এখন ঐ জায়গাটি সুইস পার্ক নামে খ্যাত। এবং সবার উপরে লেক। বালিগঞ্জ লেক/ঢাকুরিয়া লেক বা শুধুই লেক যে নামেই ডাকুন। কিছুটা ডানপিটেদের জন্য টালিগঞ্জ বাজারের ঘাটে আদিগঙ্গা।
    সে যাগ্গে।
    আমাদের পাড়া তো বটেই আশেপাশের পাড়ার বাচ্চাদের কাছেও চারুবাবুর পুকুর ছিলো সাঁতার শেখার জায়গা। বাড়ির বড়রা বাচ্চাদের এই প্রচেষ্টাকে মোটেও ভালো চোখে দেখতো না। ফলে সাঁতার টাঁতার লুকিয়েই চলতো। গরমের ছুটির দুপুরবেলা ছিলো আদর্শ সময়। খাওয়ার পর, পেটে গামছা বেঁধে তার ওপর শার্ট পরে - মা, খেলতে যাচ্ছি বলে সোজা পুকুরে। ওখানে পাড়ার দাদারা অলিখিত শিক্ষক। তাদের কেউ কেউ সমকামী প্রবণতা দেখাতেন। ওসব গায়ে মাখা চলবে না, বরং পরে বিকালে বন্ধুদের মধ্যে - অমুকদা না, জানিস তো হা হা হা হি হি হি........
    শেখানোর পদ্ধতি সেই একই রকম। প্রথমে হাত পা চালানো শেখা, তারপর দাদার কাঁধের উপর ভর করে মাঝপুকুরে এবং দাদা ডুব সাঁতারে হাওয়া। ব্যাস খাবি খেতে খেতে হাত পা ছুঁড়তে ছুঁড়তে পাড়ে। পিছন থেকে দাদার উৎসাহ - চালিয়ে যা। পরের দিন সে দাদার থেকে সমস্ত বিশ্বাস উড়ে যাবেই। তাতে কি! অন্য দাদারাও তো রয়েছে। কিন্তু................। দাও টু ব্রুটাস পড়ে বুঝতে আমাদের কোনদিন কোনও অসুবিধা হয় নি।
  • kallol | 220.226.209.2 | ৩১ মে ২০১১ ১৫:০৫442953
  • পুকুরে নানান কিছু ঘটতো। আমাদের মধ্যে ভোলানাথ ভালো সাঁতার কাটতো। ভোলার দাদারা পাড়ার নামকরা গুন্ডা ও দেববাবুর তথা কংগ্রেসের নন্দী-ভৃঙ্গী, বিশ্বনাথ, তারকনাথ। ফলে ভোলাও গুন্ডা তৈরী হচ্ছে। কিন্তু তাতে আমাদের কি! ভোলা এক ডুবে পুকুরের তলার পাঁক তুলে আনতে পারে। কাঠবাদাম গাছে তরতর করে চড়ে বাদাম পাড়তে পারে। ওর কাছে একটা স্প্রিঙ দেওয়া ফোল্ডিং ছুরি থাকে, যেটা এক ঝটকায় খুলে যায়। তাই দিয়ে কাঠবাদাম ফলের ভিতর থেকে বাদাম বার করে আনা যায়। তাছাড়া ঐ ছুরি দেখিয়ে ও উজ্জলদাকে দৌড় করিয়েছিলো। তারপর থেকে উজ্জলদা আর ঝর্ণার দিকে তাকায় না পর্যন্ত। আর ঝর্ণা ভোলাকে দেখলে খিল্লি দেয়।
    কিন্তু এর মধ্যে ভোলা একটা কান্ড করে বসলো। ওই পুকুরে দেববাবুদের বাড়ির কাজের মহিলারাও স্নান করতেন একই ঘাটে। আসলে ঘাট একটাই ছিলো। একদিন এক মহিলা স্নান সেরে উঠছেন, এমন সময় তার সামনে দাঁড়িয়ে ভোলা প্যান্ট খুলে ফেললো। সে এক সাংঘাতিক ব্যাপার। মহিলা কি করবেন বুঝতে না পেরে হাঁ করে দাঁড়িয়ে আছেন। ভোলা তার দুটো কি তিনটে সিঁড়ি উপরে সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়ে। হঠাৎ পিছন থেকে দিদুন কখন যে এসে গেছেন বুঝিনি, হাতে কুয়োঁর জল তোলার মোটা কাছি। তাই দিয়ে ভোলাকে পিছন থেকে চাবকাতে চাবকাতে ঘাট থেকে বড় দরজা দিয়ে রাস্তায়।
    হয়ে গেলো। সেইবার গোটা গরমের ছুটিতে পুকুরে সাঁতার কাটা বন্ধ হয়ে গেলো।
    সেটা ৬৭ সাল। সেবার কর্পোরেশন ভোটে দেববাবু হেরে গেলেন আরএসপির প্রণব মুখার্জির কাছে। ওমা, দেখি ভোলানাথ আর তার দাদারা, পাড়ার সব ল্যাম্পপোষ্টের আলো লাল সেলোফেন কাগজে মুড়ে দিলো। আবার প্রণববাবুর বিজয় মিছিলে ওরা ইনক্লাব জিন্দাবাদও দিচ্ছিলো।
  • kallol | 220.226.209.2 | ৩১ মে ২০১১ ১৭:৩৭442954
  • আমাদের পাড়াটা বর্ষাকালে পাশের ঝিলটার বেড়ে যাওয়া অংশ হয়ে যেতো। ব্যাপারটা যতোটা রোমাঞ্চকর বলে মনে হচ্ছে ততটা ছলাৎছল ছিলো না। কারন আমাদের পাড়ায় তখন প্রায় ১৫ থেকে ১৭টা খাটা পায়খানা ছিলো। ফলে ঐ বরষার উচ্ছল জলে মাটির গামলার আকারে গোটা দশেক রাসায়নিক বোমা পাড়াময় ঘুরে বেড়াতো। গামলা হারানো বাড়ির মালিকেরা সে সময় ঝন্টু জমাদারের হাতে পায়ে ধরে ঘরের ছেলে ঘরে ফেরাতো। কোন ঘরের কোন ছেলে, সেটা শনাক্ত কিভাবে করা হতো তা আজও রহস্য। ঝন্টু জমাদারও তার ট্রেড সিক্রেট ফাঁস করতো না। প্রতি বছর এই একই কান্ডো।
    কিন্তু এসব কি আর আমাদের দমাতে পারে! হুড়মুড় বৃষ্টি মানেই স্কুলে রেইনি ডে। মানে জলভরা মাঠে জলবল শুরু। আর কারনে অকারনে আছাড় খাওয়া। তারপর অবধারিত শোনা যেতো কাজলদের বাড়ির দাওয়ায় কিংবা মন্টুদাদের বাগানে কিংবা দীপদের রান্নাঘরে কিংবা মনাদের বাইরঘরে সাপ ঢুকেছে। চলল বাচ্চাবাহিনী, গাছের ডাল, লোহার রড, খাটের ছত্রি নিয়ে সর্পাভিযানে। বেশীরভাগ সময়েই তারে পাওয়া যেতো না, গেলেও হেলে বা জলঢোড়া জাতীয়। সেটিকে পিটিয়ে মেরে, তার ল্যাজ ধরে তুলে খাটালে নিয়ে গিয়ে, গোবরের গাদায় সেটির থ্যাঁতলানো মাথাটি গুঁজে পেচ্ছাপ করে দেওয়া হতো। নাহলে, রাতে ও সাপ জ্যান্ত হয়ে যে যে তাকে মেরেছে তাদের কামড়াবেই।
    এতো ছোটদের বর্ষাকাল। বড়দেরও নানান মজা ছিলো। অমনধারা বৃষ্টি হলেই বাবারা থলে নিয়ে যেতো ঝোড়ো বস্তিতে। ঝোড়ো বস্তির পাশেই টালিগঞ্জ গল্ফ ক্লাব। তার মধ্যে প্রচুর ডোবা ছিলো। সে ডোবাগুলো ভরে থাকতো ইয়া ইয়া হলদেরঙ্গা কই মাছে। বর্ষায় সেগুলো ভেসে চলে আসতো ঝোড়ো বস্তির আধডোবা ঘরগুলোতে। বাজারের অর্ধেক দামে বিকোতো সেই কই। চার আনায় পাঁচটা। অর্থাৎ টাকায় কুড়িটা। সেই থলে ভার্তি কইয়ের গণহত্যা সংগঠিত হতো বেলন পেটায়। তারপর দুইদিনব্যাপি তেল কই, ঝোল কই, ভাজা কই। খাবার থালা কইময় হয়ে থাকতো।
  • Manish | 59.90.135.107 | ০১ জুন ২০১১ ১৯:২৩442955
  • kallol খুব মজা করে লেখাটা পড়ছি। হাত চালিয়ে।
    গোলাপজাম,ফলসা,আসফল,গাব,ডাউয়া.... এই ফলগুলি আর দেখা যায় না।

    ছোটো ডাউয়া ফল দিয়ে আমরা স্লেট মুছতাম।
  • Manish | 59.90.135.107 | ০১ জুন ২০১১ ১৯:২৫442956
  • Kallol এর লেখার সাথে আমার বালকবেলাকে অনেকটাই মেলাতে পারছি।
  • Netai | 121.241.98.225 | ০১ জুন ২০১১ ১৯:৩৫442958
  • একঘর একঘর।
    কিন্তু কথা হল গিয়ে, তখন তো সিপিয়েম ছিল। :))
  • kallol | 115.242.228.203 | ০১ জুন ২০১১ ১৯:৫৩442959
  • তখন মোট্টেও সিপিয়েম ছিলো না। তখন ডানপন্থী কম্যুনিষ্ট পার্টি আর বামপন্থী কম্যুনিষ্ট পার্টি ছিলো। ঝ্যালঝ্যালে হাতা গোটানো পাঞ্জাবী, বড় ঘেরের পাজামা উলুকঝুলুক দাড়ি আর বিড়িমুখে, মার্কস ফ্রয়েড আর ইয়ুং নিয়ে ফাটাফাটি তক্কো করতো, শান্তিনিকেতনি ঝোলায় সুতলি দড়ির লাল-সাদা পেটো নিয়ে মিছিলে যেতো। ক্রুশ্চভকে গাল পাড়তো। মনুমেন্টে মিটিংএর দিন পাড়ার বাড়িতে বাড়িতে বৌদি-কাকীমা-মাসীমা-পিসিমাদের কাছে চারটে রুটি আর আলুরদমের বায়না করতো। তখন সিপিয়েম মোট্টেও ছিলো না। হ্যাঁ, ডানপন্থী কম্যুনিষ্ট পার্টি আর বামপন্থী কম্যুনিষ্ট পার্টি ছিলো।
  • somnath | 207.239.86.106 | ০১ জুন ২০১১ ২১:০২442960
  • এই টই টাকে লাইকিয়ে গেলুম। Blank, Kallol এবং বাকিদের অনেক ধন্যবাদ বঙ্গের ইতিহাস সম্পক্কে এন্‌লাইটেন করার জন্য। আদি গঙ্গা, দক্ষিন কল কাতা এবং শহর তলি তে যে এতো ঐতিহাসিক মনি মানিক্য ছড়ানো আছে জান তাম না। দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া... এই টই টা বন্ধ কর বেন ন, চালিয়ে যান।
  • somnath | 207.239.86.106 | ০১ জুন ২০১১ ২১:০৬442961
  • বন্ধ কর বেন না *
  • omnath | 117.194.203.106 | ০২ জুন ২০১১ ০০:০৫442962
  • ও: । যাক এটা আমি নয়। কনফুজড হয়ে গেছিলু আমার নাম দেখে।
  • kd | 99.38.123.8 | ০২ জুন ২০১১ ০০:৪২442963
  • মনীশ, ডাউয়া কী জানি না তবে বাকীগুলো তো রেগুলার পাওয়া যায় আমাদের জগুরবাজারেই। মানে যখন ওদের ছিজন, তখন।
  • pi | 128.231.22.150 | ০২ জুন ২০১১ ০০:৫৪442964
  • আমি তো ছোটোবেলায় ফলসা খেতুম। ইন ফ্যাক্ট ঐ একটাই ফল ভালবেসে খেতুম। ফল-ফল কম আর হজমি-হজমি বেশি ছিল বলে।
  • kallol | 220.226.209.2 | ০২ জুন ২০১১ ১৭:৪৫442965
  • আর ছিলো আমাদের পানায় ঢাকা ঝিল।
    একসময় হয়তো বেশ বড়সর একটা ঝিল ছিলো সেটা। আমার জ্ঞান হওয়া অবধি দেখছি তা খন্ড খন্ড হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে সরু আলের মতো একটা খাটালের সাথে আরেকটাকে যোগ করেছে। শুরুতেই মদন গোয়ালার খাটাল। খাটালের অর্ধেক জুড়ে আখাড়া। একদিকে একটা প্যারালাল বার। পাশেই একটা চালার নীচে গোটা পাঁচেক কাঠের মুগুর। ওফ কি ভারী। কি করে জানলাম। খুব সোজা, তুলতে গিয়ে। কিন্তু প্রশ্ন তুলতে গেলাম কেন? একবার যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা হচ্ছিলো। সেটা মহাভারতের যুদ্ধ। ফলে তীর ধনুক নিয়ে অর্জুন হওয়ার ধুম। তা গোটা ছয়-সাতেক অর্জুন চাদ্দিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং সাঁই সাঁই তীর চলছে। এর মধ্যে বুবুর ধনুকটা ভেঙ্গে গেছে, নাকি তীরের স্টক শেষ। তাইতে বুবু হুংকার দিয়ে বলল, "আমি ভীম হবো"। বলেই এক দৌড়। তো, ধর ধর ধর করে আমরাও ছুটলাম পেছনে। সে তো দেখি পাড়া ছড়িয়ে ঝিলের দিকে। তাপ্পর হঠাৎ সাঁৎ করে নব্বই ডিগ্রি ঘুরে মদনের খাটালে। তখনও বুঝিনি মতলব কি। ওম্মা, সে দেখি চালাটার ভিতরে ঢুকে একটা মুগুর নিয়ে টানাটানি করছে। এখন ব্যাপার হলো, খাটালবাসী অনেক গোয়ালাই বেশ তরিবৎ করে মুগুর ভাঁজতো। মাথার উপর দিয়ে নিয়ে পিঠের পিছন দিয়ে ঘুরিয়ে আনতো এক হাতেই। ফলে ওগুলোর ওজন সম্পর্কে আমাদের সম্যক ধারনাই ছিলো না। বা, বলা যাক বেশ ভুল ধারনাই ছিলো। বুবুও তার ব্যাতিক্রম নয়। ফলে বুবুর প্রাণপন টান উপেক্ষা করে, বিলকুল পাত্তা না দিয়ে মুগুরটির হেলদোল নাই। আমরাও সেকেন্ড কয়েকের মধ্যে বুঝে গেলাম কেসটা কি হয়েছে। সেদিন অভিমুণ্য বধ হলো। একমাস বুবু আমাদের বেতাল আর ম্যান্ড্রেক্সকের কমিকের বই দ্যায় নি।
  • Somnath | 207.239.86.106 | ০২ জুন ২০১১ ১৯:৪৩442966
  • @ omnath আমি গুচ তে একেবারে নবীশ.. এই প্রথম টই তে লিখ্‌লাম ..confused হোবেন না পিলিজ :-)
  • aka | 168.26.215.13 | ০২ জুন ২০১১ ২২:৩৪442967
  • নতুন সোমনাথের পুরনো পোস্ট টা একেবারে পুলিশের গু খেয়ে বকের মৃত্যুর মতন হল।
  • achintyarup | 59.93.246.194 | ০৩ জুন ২০১১ ০৪:১৭442969
  • ডাউয়া ফলেরে পশ্চিমবঙ্গীয় ভাষায় কয় ডেফল। খুব বেশী দেখা যায় না, তবে এখনো পাওয়া যায় কোনো কোনো বাজারে। বাঘাযতীনেই দেখেছি। গোলালো টাইপের, কিন্তু একেবারে গোল নয়। সারা গায়ে হাল্কা রোঁয়া, অ্যাপ্রিকটের মত। পাকা ফলের রং-ও অ্যাপ্রিকটের মত। ফলটা কিন্তু নরম। ভেতরে ছোট্ট ছোট্ট কোয়া থাকে, টক-মিষ্টি খেতে হয়। দারুণ। কাঁচা অবস্থায় ফলের রং সবুজ, দারুণ রসালো। গাঁয়ে থাকতে সেলেট মোছার জন্য ঐ কাঁচা ফল বাবা পেড়ে নিয়ে আসত মনে আছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন