এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পুরনো বাংলা (যখন তিনোমুল ছিলোনা, এমনকি সিপিয়েম ও না)

    Blank
    অন্যান্য | ২৪ মার্চ ২০১০ | ২১৮৯৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • J | 210.193.178.129 | ১৯ এপ্রিল ২০১০ ১৪:৪৬442904
  • ধুর!
    philTaar kaam spliTaar*
  • J | 220.253.70.126 | ১৯ এপ্রিল ২০১০ ১৬:৫৫442905
  • সিকি,
    এক নি:শ্বাসেই লিখেছি, ভাটাতে গেলে অত ভাবা যায় কি?
    ভক্ত মানে fan ( আবার ডি:
    হাওয়া খাওয়ার ফ্যান নয়), এই যেমন শাহরুখের ফ্যান তেমনি আমি রামমোহন বা চৈতন্যের ভক্ত; এতে ভক্তির প্রাবল্য অনুপস্থিত, উদ্বাহু হয়ে নৃত্য তো দূর অস্ত।
    এই লোকদুটোকে আমি সত্যই শ্রদ্ধা করি, ভাবি সেই ৫০০/২০০ বছর আগের বাঙলাদেশের কথা, তখনই এরা এইসব করে বেড়িয়েছেন। এই ২১ শতাব্দীতে, জেট এয়ার, দিদির দুরন্ত ট্রেন থাকতেও চৈতন্যদেব যে খেল দেখিয়েছেন সারা ভারত প্রায় ঘুরে, তা আমার সাধ্যাতীত, এমনকি ফ্রী ক্রেডিট কার্ড দিলেও।
    গোঁড়ামি আমি দেখেছি অত্যন্ত কাছে থেকে, তারা সকলেই আমার বন্ধু, তাদের এই আচরণ আমায় বিন্দুমাত্র স্পর্শ করে না, আমি দর্শক মাত্র।
    কোন "বাদ"ই আমায় আকৃষ্ট করে না।
  • J | 220.253.70.126 | ২০ এপ্রিল ২০১০ ১৪:২৩442906
  • কল্লোল কোথায় গেলেন? চৈতন্যদেবের অবদান সম্বন্ধে কিছু বলুন। উনি না এলে কি হতো?
    What if?
  • SB | 114.31.249.105 | ২৬ এপ্রিল ২০১০ ১০:২৪442907
  • বইবাজার থেকে বৃহৎবঙ্গ হস্তগত করলাম, আগের এডিশনটা কম দামে পেয়ে গেলাম :)

    হিন্দু এবং বৌদ্ধ তান্ত্রিকদের নিয়ে বিস্তারিত লেখা আছে দেখলাম। ব্ল্যাংকি তো আর লিখলই না!
  • basanta raay | 203.99.212.53 | ১১ মে ২০১০ ১২:৩৫442908
  • অত:পর কি হইল?
  • pratapaditya | 125.18.104.1 | ১১ মে ২০১০ ১২:৩৭442909
  • পোচ্চোন্ডো গর্মি পড়িল ও দদ্দড় করিয়া ঘাম ঝরিতে লাগিল।
  • basanta raay | 203.99.212.53 | ১১ মে ২০১০ ১২:৪০442910
  • বৃদ্ধ খুড়াকে লইয়া এবম্বিধ মস্করা?
    হা হতোস্মি। আমাদিগের কালে... যাউক।
  • udayaditya | 61.95.144.122 | ১১ মে ২০১০ ১২:৪৪442911
  • এই লও বীণা, খুড়ামহাশয় - একটা গান গাও।
  • dhananjay boiragi | 125.18.104.1 | ১১ মে ২০১০ ১২:৫৩442912
  • যা খুশি তাই করতে পারো
    ঠাউর্দাকে ডাকছ খুড়ো-
    নয়ন মুদে ভাবছ বুঝি
    হয় না যেটা সেটাও হবে।
  • uday | 61.95.144.122 | ১১ মে ২০১০ ১২:৫৪442914
  • ** দাদামহাশয় **
  • basanta raay | 203.99.212.53 | ১১ মে ২০১০ ১৩:১৮442915
  • খুড়াটাকে হাসিচ্ছলে বলছে বুড়া যেজন
    সে যে বিষম ঠ্যাঁটা
    খুড়া যাবে জামতাড়াতে থাকবে ঘরে সেজন
    হবে বিষম হ্যাটা
    খুড়া খাবে অমৃতি আর রম্ভা হাতে সেজন
    সেদিন বুঝবে ব্যাটা
    কত ধানে কতটা চাল কষবে হিষেব সেজন
    সিদিন চুকবে ল্যাঠা

  • kallol | 115.184.31.208 | ১৪ মে ২০১০ ০৬:১১442916
  • কথা ছিলো ব্ল্যাঙ্কি আর আমি বেষ্পতিবার যাবো কাকদ্বীপে গঙ্গাহৃদি গবেষণা কেন্দ্র খুঁজতে। ওদিকে বুধবার রাত থেকে ব্ল্যাঙ্কিকে ফোনিয়ে ফোনিয়ে হাল্লাক। ফোন করলেই হিন্দিতে শোনা যায় ফোনমালিক গাড়ি চালাচ্ছেন। এই অ্যাক্সিডেন্ট হতে হতে বেঁচে গেলেন ও আমায় ""বুরবাক বল্লেন। ইত্যাদি। কিন্তু ব্ল্যাঙ্কির পাত্তা নেই। মেট্রো ধরে কবি নজরুল হয়ে গড়িয়া স্টেশন। শেষ কালে সন্দেহ হলো নম্বরটা ঠিক আছে তো? সামরানকে ফোনালুম। নাহ, নম্বর তো ঠিকই আছে। ওদিকে আমার ফোন থেকে আর কাউকেই ডাকা যাচ্ছে না, কেউ আমায়ও পাচ্ছে না। শেষে বুথ থেকে ফোন। ব্ল্যাঙ্কির শরীর ভালো না।
    ঠিক হ্যায়। ব্ল্যাঙ্কির মেসেজ এলো। এক কৃষ্ণকালি বাবুকে ফোন করে নিতে। ইতিমধ্যে সুভাসগ্রাম। ভাবলাম নেমে ফোনটা করেই নি। ভাগ্যিস ভাবলাম। ফোন করে জানলাম গঙ্গাহৃদি গবেষণা কেন্দ্রের প্রাণপুরুষ প্রাণগোপালবাবু দেহ রেখেছেন। সে বস্তুটি এখন সোনারপুর দাস পাড়ায় পুলিশ বাড়ির উল্টোদিকে অবস্থান কচ্ছেন। তবে রোববারে খোলেন। একটা দোকানের বুথ থেকে ফোন করছিলাম। পেছনের ভদ্রলোক ""গঙ্গাহৃদি"" শুনে এগিয়ে এলেন। ব্যাস তো জমে পুউরো ক্ষীর। প্রায় ঘন্টা তিনেক আড্ডা হলো সামনের এক চায়ের দোকানে। উনি অবসর নেওয়া স্কুল শিক্ষক। নতুন বন্ধু হলো। আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে। তাপ্পর ফোননং দেওয়া নেওয়া ইত্যাদি। ব্যাঙ্গালোরে আসতে নেমন্তন্ন করে দিলুম।
    শেষে ধীরে সুস্থে শ্যালদা এসে, টুকটুক করে চর্চাপদ। রঘুদা আর বৌদির সাথে আবারও তুমুল আড্ডা মেরে বই কিনে ঘরে।
    ব্ল্যাঙ্কির শরীর খারাপ (কেমন আছিস রে!) জিন্দাবাদ।
  • til | 210.193.178.129 | ১৪ মে ২০১০ ০৮:৪৬442917
  • ব্ল্যাঙ্কের এই রিঙটোন বড় কনফিয়ুসিং, এত রিয়াল!
  • Samik | 122.162.75.214 | ১৪ মে ২০১০ ০৮:৫২442918
  • আরে আমিও প্রথম শুনে ভেবেছিলাম ব্ল্যাঙ্ক এত ভালো বিহারি হিন্দি কোত্থেকে শিখল!!
  • dri | 117.194.227.158 | ২৩ মে ২০১০ ০২:০৫442919
  • কল্লোলদার পোস্টটা (Date:17 Apr 2010 -- 02:51 AM) আমার বেশ বিশ্বাসযোগ্য লেগেছিল। ভাবছিলাম এর বেসিক প্রেমিসগুলোর সপক্ষে কোন রেফারেন্স পাওয়া যায় কিনা।

    আর্য্যদের সাথে তান্ত্রিকদের যে একটা মারামারি ছিল সেটা পুরাণে খুঁজে পেলাম।

    বেদ ভিন্ন ধর্মাভিধায়ক অন্য কিছু শাস্ত্রই নাই; এই শাস্ত্র পরিত্যাগ করিয়া যে ব্যক্তি অন্য শাস্ত্রে রত হয়, সে ব্যক্তি দ্বিজাতিগণের সম্ভাষ্য নহে। এই জগতে শ্রুতিস্মৃতিবিরুদ্ধ যে সকল বিবিধ শাস্ত্র দেখিতে পাওয়া যায়, সেই সকল শাস্ত্রের নিষ্ঠা তামসী। কাপাল, ভৈরব, যামল, বাম, আর্হত, কাপিল, পাঞ্চরাত্র, ডামর শাস্ত্র মোহনাত্মক; এই সকল শাস্ত্র ও এবংবিধ অন্যান্য শাস্ত্র মোহনের নিমিত্ত। (কূর্ম্মপুরাণ, পূর্ব্বভাগ, দ্বাদশ অধ্যায়, স্লোক নাম্বার ২৫৬, ২৫৭, ২৫৮)

    অরিজিনাল :

    ন চ বেদাদৃতে কিঞ্চিচ্ছাস্ত্রং ধর্ম্মাবিধায়কম্‌।
    যোহন্যত্র রমতে সোহসৌ ন সম্ভাষ্যো দ্বিজাতিভি:।।
    যানি শাস্ত্রাণি দৃশ্যন্তে লোকেহস্মিন্‌ বিবিধানি তু।
    শ্রুতিস্মৃতিবিরুদ্ধানি নিষ্ঠা তেষাং হি তামসী।।
    কাপালং ভৈরবঞ্চৈব যামলং বামমার্হতম্‌।
    কাপিং পাঞ্চরাত্রঞ্চ ডামরং মোহনাত্মকম্‌।
    এবংবিধানি চান্যানি মোহনার্থানি তানি তু।।

    অভিধানে কাপাল, ভৈরব, যামল, ডামর এগুলো সবই তন্ত্রের এক এক ফর্ম বলা আছে। আর আর্হত বলছে জৈনধর্ম। বাম আর পাঞ্চরাত্র এই দুটো চলন্তিকায় পেলাম না। আরেকটু হেভি ডিউটি ডিকশ্‌নারি দেখে কেউ কি বলতে পারবেন এই দুটো কী?
  • kallol | 124.124.93.202 | ২৩ মে ২০১০ ১১:০২442920
  • দ্রি - পুরাণগুলোতে খুঁজলে কিছু পাবে। বিশেষ করে কালিকাপুরানে।
    এন এন ভট্টাচার্য্যের একটা বই আছে History of the Tantric Religion. New Delhi: Manohar ওটা দেখতে পারো।
  • Blank | 64.255.180.66 | ২৩ মে ২০১০ ১২:৫৬442921
  • কল্লোল দা
    এখন আমি ঠিক ঠাক। কৃষ্ণকালি বাবুর সাথে অনেক কথা হলো সেদিন। ওনার বাড়িত যেতে বললেন সকালের দিকে। অনেক বই পত্তর আছে, ওনার নিজের ও অনেক কালেকশান আছে, সে সব দেখাবেন।

    তন্ত্র আর বৈদিক আচারের একটা তুলনামুলক আলোচনা চললে ব্যপক হয়। দু জায়গাতেই তো দেখেছি সেই একই ভানে দেহের চক্র জাগিয়ে তোলা, সহস্রার পদ্মে পৌছানোর কনসেপ্ট। তাহলে বিরোধিতা কোথায়? পদ্ধতি তে? যোগ এর নিয়ম আলাদা বলে? আমি শৈলদারঞ্জনের বই তে দেখছিলাম যে ওনার প্রচুর নাক কুঁচকানো ব্যপার আছে তন্ত্র নিয়ে। একটা তুলনামুলক আলোচনা শুরু হয়ে ভালো হয়।
  • ranjan roy | 122.168.14.156 | ২৩ মে ২০১০ ১৬:২৩442922
  • একটু অনধিকার চর্চা করছি, মূলত: ব্ল্যাংকিকে উস্কে দিতে। দময়ন্তীর ভাষায় " ব্যাটা যেটা পড়ে, সলিড পড়ে'। আমি কিছু আন্দাজে, কিছু স্মৃতি থেকে, কিছু অতি-সরলীকরণের প্রচেষ্টায় ভাট বকলে ব্ল্যাংকি শুধরে দেবে। সেরে উঠে নিজে লিখবে।
    ( এখানে কল্লোল ছাড়া আরও দুজন অধিকারী আছে। ডিডি আর ফুটকি বা প্রো বৈ চ; এবং বোধি ও ইন্দোডাক্তার।)

    প্রথমে J,
    না, চরিতামৃত এবং চৈতন্যভাগবত দুটোই ভক্তিমার্গের লেখা, অত: প্রামাণিক নয়। ওনার তিরোধানের বর্ণনাটাই দেখুন না! জগন্নাথের মূর্তিতে বা নীল সমুদ্রে লীন হওয়ার মিস্টিক বর্ণনা।
    বরং জয়ানন্দের চৈতন্যমঙ্গল অনেক লৌকিক।
    "রথযাত্রা দিনে প্রভূ নাচিতে নাচিতে,
    ইঁটলখন্ড বাজিল পায়েতে।'
    পুরীর রাস্তায় নগ্নপদে সংকীর্তন করতে গিয়ে ইঁটের টুকরো লেগে ধনুষ্টংকার হয়ে প্রয়াণ।
    দাক্ষিণাত্য সমস্যা:
    দেখুন, বেদান্ত-আশ্রিত হিন্দুধর্মের পুনরুত্থানের পেচনে যে তিনটে দার্শনিক স্কুল তাদের আচার্যরা সবাই দক্ষিণী।
    এক, অদ্বৈত বেদান্ত: ( ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা), আচারে শৈব, আচার্য্য শংকর কেরলের নম্বুদ্রি ব্রাহ্মণ।
    দুই, দ্বৈত,:( ব্রহ্ম ও জগৎ দুটোই সমান সত্য।) আচারে বৈষ্ণব, মধ্বাচার্য্য, সম্ভবত: কন্নড়।
    তিন, বিশিষ্টাদ্বৈত: ( ব্রহ্মই সত্য, কিন্তু জগৎ স্বতন্ত্রভাবে নয়, ব্রহ্মের প্রতিফলন হিসেবে সত্য,) আচারে বৈষ্ণব, রামানুজাচার্য্য, সম্ভবত: তামিল ব্রাহ্মণ।
    চৈতন্যমহাপ্রভূও বৈষ্ণব, কিন্তু রামানুজের সঙ্গে সূক্ষ্ম দার্শনিক তফাৎ আছে। ওনার দর্শনের নাম "অচিন্ত্যভেদাভেদ''। অর্থাৎ ব্রহ্মের সঙ্গে জগতের ভেদ ও অভেদ কল্পনা পরিপ্রেক্ষিত জন্য, আল্টিমেট নয়।
    ( হয়তো ভাট বকলাম, আনি যেমন বুঝেছি।)
    কাজেই দক্ষিণের নিজেদের বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের দুই মহা আচার্য থাকতে পূবদেশের আর এক আচার্য্যকে নিয়ে কেন মাথা ঘামাবে। আর ভাষার অসুবিধেটাও দেখুন। যদিও মহাপ্রভূ দক্ষিণে গিয়ে রায় রামানন্দকে শিষ্য করেছিলেন।
  • ranjan roy | 122.168.14.156 | ২৩ মে ২০১০ ১৬:৩১442923
  • কল্লোল,
    আমার ছোটভাইয়ের মত হল " নাস্তিকের শিরোমণি'' অখন্ড নৈয়ায়িক চৈতন্য যখন নব্যন্যায়ের ওপর দারুণ টীকা লিখেও বন্ধু রঘুনাথের চোখের জল দেখে পুঁথি গঙ্গার জলে বিসর্জন দিলেন, তখন থেকে বাংলার বিজ্ঞানের অগ্রগতির সম্ভাবনা পিছিয়ে গেল।
    কারণ, তখন নব্যন্যায়ের চর্চায় বাংলা ভারতের সর্বোচ্চ কেন্দ্র। ওরা খুব জোর দিত ভাষাবিজ্ঞানের ওপর, লজিকের ওপর। একে শুধু "" শাস্ত্রাধার কি তৈল, বা তৈলাধার কি পাত্র'' বলে ইয়ার্কি মেরে উড়িয়ে দেয়া যায় না। গ্রামার-ব্যাকরণের এবং আজকের ভাষায় semantics থেকে semiologyর চর্চায় সায়েন্সের পথ প্রশস্ত হত। তেমনি বিবেকানন্দের ভক্তিবাদে প্রত্যাবর্তন।
  • ranjan roy | 122.168.14.156 | ২৩ মে ২০১০ ১৬:৫৬442925
  • ব্ল্যাংকি,
    আমার অতি-সরলীকরণের ঝোঁক গুলোকে কচকচিয়ে কাটতে সংকোচ কোর না।

    তান্ত্রিক আচার : বৈদিক/ দ্রাবিড়

    সব সমাজেরই মূলকথা হল খাবে কেং করে, বাঁচবে কেং করে?

    বৈদিক সমাজ ছিল প্রথমদিকে যাযাবর, শিকার-পশুপালন-দস্যুবৃত্তি-যজ্ঞ আধারিত। আগুনে মাংস পুড়িয়ে শিককাবাব বানিয়ে খাও (আহা!)।
    কাজেই অগ্নি ও ইন্দ্র প্রধান দেবতা। যজ্ঞ প্রধান আচরণ বিধি। তাই পরে ঘরের কোণেও গারহ্যপত্য অগ্নি সদা জ্বালিয়ে রাখার বিধান। পুরুষপ্রধান, তাই সমগ্র ঋগ্বেদে ঊষা ও সরস্বতী বিনা অন্য কোন দেবীর খোঁজ চোখে পড়েনি। এখানে তন্ত্র এলো প্রকৃতির প্রতিকূল শক্তিকে বশ করার সাধন হয়ে। খানিকটা প্রাচীন সমাজের ইমিটেটিভ ম্যাজিকের হাত ধরে। যেমন বৃষ্টি নামাতে পুরোহিতেরা ব্যাঙের মতন আকাশের দিকে মুখ করে গ্যাঙর-গ্যাঙ্‌ বা "মন্ডুক স্তোত্র' পাঠ করবে।
    বৈদিক তান্ত্রিক অনুষ্ঠানে যজ্ঞের বিরাট ভূমিকা। এগুলোকে দার্শনিক স্তরে জাস্টিফিকেশন দিয়েচে পূর্ব-মীমাংসা দর্শন।এদের মতে কোন ঈশ্বর নেই, কিন্তু মন্ত্র এফেক্টিভ। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্পেসিফিক ফল লাভ হয়।
    আবার দেখ রাজাদের অশ্বমেধ যজ্ঞের সময় অন্তিম অনুষ্ঠানে মৃত অশ্বের সংগে পুরোহিত পাটরাণীর প্রতীকী সঙ্গম করায়। তারপর পুরোহিত ও রাণীর মধ্যে আজকের ভাষায় অশ্লীল গালির ঝড় বয়ে যায় ( তৈত্তিরীয় বাজসনেয় সংহিতায় লিপিবদ্ধ কোডিফায়েড গালি।) তারপর ওই পুরোহিত ও রাণীর সঙ্গমে অনুষ্ঠানের নান্দনিক সমাপন হয়। বেচারা পুরোহিত।
    কিন্তু মূল তন্ত্র মনে হয় কৃষিআশ্রিত মাতৃতান্ত্রিক দ্রাবিড় সমাজের দেন। আদি উৎস কিন্তু সেই উৎপাদনের বৃদ্ধি কামনায় ম্যাজিক থেকেই।
    একই রুউট থেকে এসে সামান্য ভিন্ন দুই পদ্ধতির মধ্যে মিল ও দ্বন্দ্ব দুইই আছে। সিপিএম ও মাওবাদীদের মত:))))
    আসলে হল চালিয়ে জমিতে বীজরোপণ করে ফসলের জন্ম দেয়া আর নারীতে উপগত হয়ে বীজ রোপণ করে মানবসন্তানের জন্ম দেয়া বেশ সিমিলার নয়! কাজেই এতে বামাচার বা সাধন সংগিনী নিয়ে কুলকুন্ডলিনী জাগ্রত করা শ্রেষ্ঠ পন্থা।
  • ranjan roy | 122.168.14.156 | ২৩ মে ২০১০ ১৮:৩১442926
  • ডি: "শাস্ত্রাধার'' নয়, "পাত্রাধার'।

    ব্ল্যাংকি,
    এই দ্রাবিড় সংস্কৃতির তন্ত্রকে দার্শনিক ভিত্তি দিয়েছে পুরুষ-প্রকৃতির তঙ্কÄ আধারিত সাংখ্যদর্শন। যোগেরও দার্শনিক ভিত্তি হল সাংখ্য। সাংখ্যকে দেবীপ্রসাদ সম্ভবত: সবচেয়ে প্রাচীন ভারতীয় দর্শন বলেছেন।
    সংঘর্ষ একটা আছেই। তাই বৈদিক দর্শন বেদান্তের ব্রহ্মসূত্রে বিভিন্ন দার্শনিক স্কুলের সঙ্গে বিতর্কে প্রধানমল্লনিপাতসূত্রে বলা হয়েছে যে যেমন আখড়ার সেরা পালোয়ানকে পটকে দিলে গোটা আখড়া হার মেনে নেয়, তেমনি সাংখ্য হল প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, ওকে হারাতে পারলেই--।
    এইবার দেখ, মহানির্বাণ্‌তন্ত্রের বই বা অন্য বইয়ে শিব -শক্তির সঙ্গমের ছবি। দেখ বিপরীতবিহার, অর্থাৎ পুরুষ নীচে, প্রায় অচেতন, নারী ওপরে সক্রিয়।
    ( খাকি হাফপ্যান্টরা আমাকে ক্যালাবে নির্ঘাৎ!)
    কেন? যোগ বা সাংখ্যদর্শনে পুরুষ নিষ্ক্রিয়, স্ত্রী-শক্তি বা প্রকৃতি( premordial nature) সক্রিয়। সঙ্কÄ:-রজ:-তম: প্রকৃতির বৈশিষ্ট্য, পুরুষের নয়। সৃষ্টির মূলে প্রকৃতি, পুরুষ ক্যাটালিস্ট মাত্র।
    রিয়াল লাইফেও তাই নয় কি?
    অনেক ভাট বকলাম:)))।
  • ranjan roy | 122.168.14.156 | ২৩ মে ২০১০ ১৮:৩৬442927
  • দ্রি,
    বাম হল বামাচারী মার্গ। বামা অর্থাৎ সাধনসঙ্গিনীকে নিয়ে কোডিফায়েড মৈথুনের মধ্যে দিয়ে সহস্রাধার পদ্মকে জাগৃত করা।
    পাঞ্চরাত্র সম্প্রদায়ের কথা ব্রহ্মসূত্রে আছে। সম্ভবত: অবৈদিক কোন শৈব সম্প্রদায়। একটু দেখে জানাবো।
  • Blank | 59.93.192.150 | ২৩ মে ২০১০ ২০:৫৯442928
  • রঞ্জন দা
    আমি চাইছি কিছুটা পাশাপাশি আলোচনা, বৈদিক ক্রিয়া আর তান্ত্রিক ক্রিয়া কে পাশাপাশি রেখে। যদিও এর বেশীর ভাগ টাই তথাকথিত গুহ্য ক্রিয়া, কিন্তু তাও তো এদিক সেদিকে কিছু কিছু জিনিস ডকুমেন্টেড। কালকুটের উপন্যাস ছিলো 'অমাবস্যায় চাঁদের উদয়', কামাখ্যার এক তান্ত্রিক আশ্রম নিয়ে লেখা। তন্ত্রানুসারে এটা সাধনার খুব গুরুঙ্কÄপুর্ন অংশ। এটাই তান্ত্রিক দের লক্ষ্য, অমাবস্যায় চাঁদের উদায় ঘটানো।
    এবারে তুমি বৈদিক ঋষি দের দিকে তাকাও, সেখানেও এই একই জিনিসের রেফারেন্স পাবে। জাবালদর্শন উপনিষদে বলছে
    পিঙ্গলায়াৎ: ইড়ায়ান্ত বায়ো: সংক্রমনং তু যৎ
    তদুত্তরায়ণং প্রোক্তং মূনে বেদান্তবাদিভি:।
    ইড়ায়া: পিঙ্গলায়াং তু প্রানসংক্রমনং মুনে
    দক্ষিণায়ান্মিত্যুক্তং পিঙ্গলায়াৎ ইতি শ্রুতি:।
    ইড়া পিঙ্গলয়ো: সন্ধিং যদা প্রান: সমাগত:
    অমাবস্যা তদা প্রোক্তা দেহে দেহবৃতাং বর:।।
    অর্থাৎ পিঙ্গলা থেকে ইড়ায় বায়ু গেলে উত্তরায়ন, উল্টোটা দক্ষিনায়ন। আর এর সন্ধিস্থলে বায়ুর অবস্থান হলো 'অমাবস্যা'। এই সেই 'অমাবস্যা' যেখান থেকে সিদ্ধিলাভের শুরু। প্রানবায়ু কে এখানে এনেই শুরু হয় সমস্ত ক্রিয়া।
    তার মানে তন্ত্র আর যোগ, এদের মধ্যে ফ্রেমওয়ার্ক টা মোটামুটি এক। এই জায়গা গুলোর কিছু ডিটেলস পেলে বোঝা যেতে পারে যে কখন থেকে আলাদা, কোথায় গিয়ে আলাদা etc
  • SB | 114.31.249.105 | ২৪ মে ২০১০ ১২:১৩442929
  • ইসে, একটা অন্য ব্যাপার। মুর্শিদাবাদ কাহিনী বইটা একটা সময়ে, ক্লাস নাইনের পাঠ্য ছিল দেখলাম। এটা এখানে কেউ পাঠ্য হিসেবে পড়েছেন? আর এই বইটা নিশ্চই এখনো কিনতে পাওয়া যায়? যদি যায়, কোথায় একটু জানালে ভাল লাগবে। আলোচনা চলুক।
  • Manish | 117.241.228.137 | ২৫ মে ২০১০ ১৫:৩৮442930
  • তুলে দিলাম।
  • kallol | 124.124.93.205 | ২১ জুন ২০১০ ১৫:১০442931
  • গঙ্গহৃদি
  • kallol | 115.242.169.140 | ২১ জুন ২০১০ ২১:২১442932
  • রসাতল - এই নামেই পরিচিত ছিলো ভাগিরথীর মোহনা জোড়া দেশটার। কোথাও কোথাও পাতাল নামেও ডাকা হতো তাকে। ভগীরথ তার ষাঠহাজার পূর্বজকে মুক্তি দিতে গঙ্গাকে এনে ফেলেছিলেন এই রসাতলে। রামায়ন, মহাভারত, মৎস্য আর বায়ু পুরাণেও এই ভূখন্ডের উল্লেখ, ঐ পাতাল বা রসাতল বলেই।
    বোঝাই যাচ্ছে উত্তর ভারতের আর্য্যরা খুব ভালো চোখে দেখতেন না এই অঞ্চলটিকে।
    সেই গুরুপুর্ণিমা। আচার্য্য দ্রোণ সমস্ত কুরুপতিদের আহ্বান করেছেন রঙ্গভূমিতে। রঙ্গভূমি পরিপূর্ণ। কুরুকুলের পুরুষরাই নন, কুরুকূলকামিনীরাও উপস্থিত। নগরবাসী সাধারণ কেউই আর বাদ নেই।
    আজ আচার্য্যদেবের শিক্ষা সমাপ্ত। শিষ্যরা তাদের অস্ত্রবিদ্যার কলা-কৌশল এই প্রথম জনসমক্ষে প্রদর্শন করবেন।
    একে একে কৌরব ও পান্ডবরা তাদের বিস্ময়কর অস্ত্রকৌশল দেখালেন। এবার আচার্য্যের প্রিয়তম অর্জুন তার ধনুর্বিদ্যার সম্মোহনী কৌশল দেখাতে শুরু করেছেন। দর্শকেরা - সাধারণ থেকে অসাধারণ অভিভূত, বিহ্বল। অর্জুনের জয়ধ্বনিতে রঙ্গমঞ্চে যেন শত-সমুদ্র-কোলাহল। হঠাৎই এক সিংহ গর্জনে বজ্রাহতের মতো স্তব্ধ হয়ে গেলো সমস্ত কিছু। এক দিব্যকান্তি সূর্যপ্রভাসম যুবক রঙ্গমঞ্চের দ্বার প্রান্তে উপস্থিত। তিনি অর্জুনকে যুদ্ধে আহ্বান করছেন। সকলে হতবাক, শুধু একজন চিনেছেন তাকে। সেই যুবকের জন্মদাত্রী তিনি, আবার তিনিই অর্জুনের গর্ভধারিনীও বটে।
    এগিয়ে এলেন আচার্য্য। জিজ্ঞাসা করলেন তার পরিচয়। আমি সূতপুত্র - কর্ণ নামে পরিচিত। কূট চাল চাললেন আচার্য্য দ্রোণ। সে বেশ ভালো কথা, তবে কি, এ যুদ্ধ তো হতে পারে না। যুদ্ধ হবে সমানে সমানে। রাজপুত্রের সাথে সূতপুত্রের যুদ্ধ তো হবার নয়।
    সুযোধন লক্ষ্য করছিলেন ঐ মহাতেজাকে। কবাটের মতো প্রশস্ত বুক, সিংহকটি, প্রকান্ড ধনু হাতে এই মানুষটিই অর্জুনের যোগ্য উত্তর হতে পারেন।
    আদেশ করলেন সুযোধন - কে আছিস, মালা চন্দন নিয়ে আয়। মালা চন্দন এলো। কর্ণকে বরণ করলেন তিনি। ঘোষনা করলেন - আজ থেকে কর্ণ অঙ্গদেশনৃপতি। এবার তবে যুদ্ধ হোক।
    প্রাজ্ঞরা এগিয়ে এলেন। নিরস্ত করলেন সকলকে। যুদ্ধ হলো না। কিন্তু ভীম ছাড়ার পাত্র নন। কর্ণকে গালি দিতে দিতে বললেন - আরে যা যা, ভারি তো রাজা। তাও আবার কোথাকার? না, অঙ্গদেশের!! যেখানে শুধু জল আর জঙ্গল। খানিক ম্লেচ্ছরা থাকে, যারা পাখীর ভাষায় কথা বলে।
    গোটা পূব নিয়েই তখন এই ছিলো মনোভাব। সেদিনের বাংলা ভাষা - উত্তরের আর্য্যদের কাছে পাখীর ভাষার মতো কিচিরমিচির বলে মনে হতো।
  • kallol | 115.184.67.189 | ২১ জুন ২০১০ ২২:৩৬442933
  • এর কিছুকাল পরেই রাজসূয় যজ্ঞের জন্য দিগ্বিজয়ে বের হলেন ভীমার্জুন। অর্জুন গেলেন উত্তর-উত্তরপূর্বে প্রাগজ্যোতীষ পর্যন্ত। ভীম গেলেন পূবে। তিনি পাঞ্চাল, গন্ডকীয়, বিদেহ, দশার্ণ, পুলিন্দনগর, চেদী, কুমার, কোশল, অযোধ্যা, গোপালকচ্ছ, বৎস, সূহ্ন জয় করে, আরও পূবে, তাম্রলিপ্ত ছড়িয়ে, ব্রহ্মপুত্র নদ ও পূর্বসাগর তীরবর্তী ম্লেচ্ছ দেশ জয় করেন। তবে এ তো জয় করতে যাওয়া।
    পরে অবশ্য গিয়েছিলেন তারা, অবস্থা বিপাকে। বনপর্বে। পান্ডবেরা গঙ্গাসাগরে স্নান করে সমুদ্র তীর ধরে কলিঙ্গের বৈতরনী নদীর দিকে চলে যান।

  • kallol | 115.242.142.159 | ২২ জুন ২০১০ ০০:১৫442934
  • এ তো গেলো আমাদের ইতিহাস। এবার, চলো মন পশ্চিমে।
    যিশু জন্মাতে তখনো ৪০০ বছর বাকি থেকে ওনার মারা যাবার ২০০ বছর পরে পর্যন্ত গ্রীক আর রোমানদের লেখায়, মানচিত্রে গঙ্গাহৃদৈ বা গঙ্গাহৃদাই বা গঙ্গাহৃদ বা গঙ্গাহৃদি নামে একটা দেশের / জাতির উল্লেখ বারবার আসে।
    গ্রীক ডিওডরাস লিখছেন - এই নদী ৩০ স্টাডিও মতো চওড়া (১ স্টাডিও = ২০০ মিটার)। দক্ষিণপ্রবাহিনী এই নদী সমুদ্রে এসে মিলিত হয়। এই নদীর পূবে গঙ্গাহৃদি জাতির বাস।
    যিশু জন্মাতে তখনো ৩২৬ বছর বাকি। গ্রীক মহাপন্ডিত অ্যারিস্টটলের ছাত্র সিকন্দর শাহ দিগ্বিজয়ে বেরিয়ে এসেছেন সিন্ধু পেরিয়ে পঞ্জাবে। যুদ্ধ জয় চলছে বটে, কিন্তু শরীর আর দিচ্ছে না। প্রায় ৮ বছর ধরে ক্রমাগত যুদ্ধ আর যুদ্ধ। সৈন্যরা হাক্লান্ত, ওরা ঘরে ফিরতে চায়। আরও এগোবেন কি না ভাবছেন সিকন্দর। খবর নিচ্ছেন ভারতবর্ষের অন্য রাজত্বের শক্তি পরাক্রমের। মগধ, সেখানে আছেন নন্দ। তারপর গঙ্গাহৃদি আর প্রাগজ্যোতীষ। এই দুই জাতির সৈন্যবল অগণিত যুদ্ধনিপুন গজবাহিনী নিয়ে গড়া। জাতি হিসাবেও এরা মহাপরাক্রন্ত। নাহ। ঐ পাহাড়ের মতো গজবাহিনীর সাথে এই ঘরকাতুরে হয়ে পরা বাহিনী নিয়ে লড়া মানেই অবিমৃষ্যকারীতা। একথা অনুধাবন করতে সিকন্দর শাহের মতো পোড়খাওয়া যুদ্ধবিশারদের ভুল হলো না। অতএব ফিরে চলো নিজ নিকেতনে। যাওয়া আর হয়নি তার। তবে, সে অন্য কিস্‌সা।
    সেই সিকন্দর শাহের সময় থেকে তারও প্রায় তিনশ বছর পরে এক পরিচয়হীন নাবিকের লেখা পেরিপ্লৌস তেস ইরিথ্রাস থালাসেসস (পেরিপ্লাস অফ দ্য ইরিত্রিয়ান সি)। সেখানেও গঙ্গে বন্দরের কথা, যেখান থেকে বিদেশে পাড়ি দিতো অতি সূক্ষ্ম কার্পাস বস্ত্র। কিংবা তারও ১০০ বছর পরে টলেমী তাঁর জিওগ্রাফিতে লিখছেন - গঙ্গার গোটা মোহনা অঞ্চলটি জুড়েই গঙ্গাহৃদিদের রাজত্ব। নগর-গঙ্গা তাদের প্রধান পুর।
    এভাবে টুকরো টুকরো পাওয়া যায় প্রায় ৬০০ বছরের হিসাব। এরই মধ্যে চলে আসে ""বাঙ্গালীর ছেলে বিজয় সিংহ / লঙ্কা করিল জয়""। শ্রীলঙ্কার ইতিহাস বলে বিজয় তাদের প্রথম নায়ক, যিশু জন্মানোর ৫০০ বছর আগেকার কথা। সে তো সেই সময়েরই কথা - যখন, গঙ্গার গোটা মোহনা অঞ্চলটি জুড়েই গঙ্গাহৃদিদের রাজত্ব। কিংবা চাঁদ। এ কি চাঁদ বণিকের দেশও নয়? যেখান থেকে সপ্তডিঙ্গা ভাসতো মধু, সূক্ষ্ম কার্পাস বস্ত্র, হাতির দাঁত নিয়ে। ফিরে আসতো দামাস্কাসের তরবারী, রোমের সুগন্ধী, বালি দ্বীপের দারুচিনি আর লঙ্কার চন্দন কাঠ নিয়ে। ডিঙ্গা ভিড়েছে বন্দরে। তাকে বরণ করার গান গায় ওঠে কোন সে মেয়েটি আজও - ডিঙ্গা বরণ করে মা সনকা / তরী বরণ করে লো / ট্যাকা লিবো পয়সা লোবো আমি / লিবো কুচিকানি সাড়ি লো...........
  • kallol | 124.124.93.205 | ২২ জুন ২০১০ ০৯:২৭442936
  • আমার দম আপাতত: এতটাই। এবার ব্ল্যাঙ্কি হাল ধর।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন