এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • তৃ-প-বু-ভু ৪

    Blank
    অন্যান্য | ০৫ জানুয়ারি ২০১০ | ২৯২৫২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 115.117.232.70 | ২৬ জানুয়ারি ২০১০ ১৯:৫৫439138
  • আর্য্যকে,
    প্রথম কথা হচ্ছে আপনি এমন একটা কমপ্লেক্স বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যে তার কোন সরলীকৃত উত্তর এই অল্প অবসরে টইয়ের পাতায় দিতে বেশ চাপ লাগছে।
    তবু একটু চেষ্টা করছি।
    প্রথমে অকা ও ঋজুকে বলে নিই যে এতে কোন সন্দেহ নেই যে বিকাশ ও পরিবর্তনের দীর্ঘ দীর্ঘ কাল ধরে রাষ্ট্র থাকবে, তার রূপ( হয়তো নাম ও ) বদলাবে। এবং ও ক্রমশ: বুড়ো হবে , অপ্রয়োজনীয় হবে এবং শুকিয়ে ফুলের মত ঝরে যাবে। ঠিক যেমন ফুলের বুড়ো হওয়া এবং শুকিয়ে ঝরে যাওয়ার পিরিয়ড নির্ভর করে তার ভেতরের বীজ/ফল কতটা বিকশিত হয়েছে তার ওপর, তেমনি রাষ্ট্রের বুড়ো হয়ে শুকিয়ে ঝরে যাওয়াও নির্ভর করে তার কর্তৃত্বে উৎপাদনী শক্তি কতটা বিকশিত হয়েছে তার ওপর।
    সব সিস্টেম বা এন্টিটির সকারাত্মক ও নকারাত্মক দিক থাকে। ক্রমশ: সকারাত্মক দিকের ক্ষয় হতে থাকে ও নকারাত্মক দিকের পাল্লা ভারি হতে থাকে।
    পুঁজিবাদী ব্যবস্থা/বাজার এর ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। যতদিন পুঁজিবাদ বা বাজারের সামাজিক উৎপাদন ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার পোটেনশিয়াল থাকবে
    ততদিন এদের অস্তিত্ব থাকবে, আপনি আমি চাই বা না চাই।
    ২) এর থেকে আদৌ এই সিদ্ধান্তে আসা যায় না যে পুঁজিবাদ বা বাজার নৈতিক ভাবে সমর্থনযোগ্য বা বাজারের শক্তির মাধ্যমে এক ন্যায়্‌পূর্ণ বিতরণ ব্যবস্থা সম্ভব।
    মুশকিল হল আপনারা যে সব কংক্রিট উদাহরণ নিয়ে একগাদা প্যারামিটার এর সমাধান চাইছেন তা আলাদা লেভেলের অ্যাপ্রক্সিমেশনের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
    একটা উদাহরণ দিই।
    নিও ক্ল্যাসিক্যাল ইকনমিক্স মার্জিনালিস্ট কন্সেপ্টের ওপর নির্ভর করে পার্শিয়াল ডিফারেনশিয়েশনের ইউলার'স থিওরেম অ্যাপ্লাই করে বলে যে উৎপাদনের সমস্ত ফ্যাকটর্স কে যদি ওদের নিজ নিজ মার্জিনাল উৎপাদনের হিসেবে পে করা হয় তাহলে সবার সঙ্গে ন্যায় করা হয় কারণ ঐ থিওরেম অনুসারে প্রত্যেক ভ্যারিয়েবলকে তার পার্শিয়াল ডিফারেনশিয়েটেড ভ্যাল্যু দিয়ে মাল্টিপ্লাই করে যোগ করলে তা টোটাল ডিফারেনি্‌শয়েশনের সমান হয়। কি চমৎকার!
    আসলে এটি বড় ঢপ।
    এখানে কী-বোর্ডের সাহায্যে ম্যাথমেটিক্যাল সিম্বলগুলো লিখতে পারছিনা বলে যা তা লাগছে। তাই কোয়ান্টিটেটিভ উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছি।
    খুব সরল ফার্স্ট ডিগ্রি অ্যাপ্রক্সিমেশনের উদাহরণ।

  • ranjan roy | 115.117.232.70 | ২৬ জানুয়ারি ২০১০ ২০:১০439139
  • আমি এত কম্পু গোলা যে এতে চার্ট বানাতে পারছি না।তবু চেষ্টা করছি।
    ধরা যাক একজন লেবার দশ ইউনিট উৎপাদন করলো। যদি ক্যাপিটাল, ল্যান্ড ইত্যাদি কনস্ট্যান্ট থাকে তালে দ্বিতীয় লেবার লাগালে তার উৎপাদন কম হয়ে ৮ হবে। এতে ওর কোন দোষ নেই। এটা অন্য এনভায়রনমেন্টাল ফ্যাকটরের দান। এখন মার্জিনাল উৎপাদন হল ৮ । তালে সব লেবার কে (একই ক্যাটিগরির ) একই মজুরি দেয়্যা হবে। এটা যদি মার্জিনাল প্রোডাক্টিভিটির উপর দেয়া হয়, তাহলে প্র্যাক্টিক্যালি দুই লেবারকে পে করা হবে ৮+৮= ১৬। উদ্বৃত্ত ২ মালিকের পকেটে গেল। এতা ইউলার'স থিওরেম এর সুন্দর ডিফারেনি্‌শয়াল ইকুয়েশনের আড়ালে ঢাকা পড়ে যায়।
    জরুরি কাজে এক্ষুণি বেরুছি। পরে হাত লাগাবো।
  • Du | 65.124.26.7 | ২৬ জানুয়ারি ২০১০ ২০:৩৮439140
  • আর্য্য কোথায়?
  • aka | 168.26.215.13 | ২৬ জানুয়ারি ২০১০ ২১:২৯439141
  • আমিও ভাবছি। রঞ্জন দা আর্য্য এখানে লেখে নাই। আকা লিখেছে। অনেকে ভুল করে আকাকে অন্য নামে ডেকে থাকে। আর আপনিও মনে হয় আমাকে আপনি কইতেন না। :)

    রঞ্জন দা, এই মাইনে নিয়ে আমার একটা ফার্স্ট হ্যান্ড উদাহরণ দিই। বছর দুয়েক আগে আমি এখন যেখানে থাকি সেখানে চাকরি খুঁজছিলাম। যে চাকরি এখন করছি সেখানে প্রথমবারে x ডলার মাইনে দেবে বলল। সেটা বেশ কম, কাটিয়ে দিলাম। শুধু আমি নয় অন্য যারা অ্যাপ্লাই করেছিল তারাও কাটিয়ে দিল। দিন কয়েকের মধ্যেই আবার সেই পজিশনের অ্যাড বেরল, এবারে মাইনে হল y ডলার। x এর থেকে বেশ খানিকটা বেশি। আবার যোগাযোগ করলাম এবং চাকরি জয়েন করলাম। সাপ্লাই এবং ডিমান্ড।

    নিজেকে প্রতিযোগীতায় টিঁকিয়ে রাখতে, রেলেভ্যান্ট রাখতে লোকে নিজের স্কিল সেট বাড়ায়, সার্টিফিকেশন করে, প্রফেশনাল ডিগ্রি বাড়ায় ইত্যাদি ইত্যাদি। যাতে নিজের ডিমান্ড অন্যদের থেকে বেশি হয়। এমনকি অনেকে নিজের কাজের ফাংশনাল এরিয়াও বদলে নেয়। ন্যায় নীতির প্রশ্ন নয়, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তবে ফেয়ার প্লে। মাঠের মাঝখানে বল আছে যার স্কিল বেশি সেই গোল দেবে। ফাউল প্লে হচ্ছে কিনা দেখার জন্য রেফারি থাকুক, নিয়ম থাকুক। কিন্তু বলে লাথি মারা সবার অধিকার বলে সবাইকে বলে একটা করে লাথি মারতে দেওয়া হবে, এটা কি ঠিক? কোন খেলাটা দেখতে ভালো লাগবে? :))
  • kd | 59.93.196.104 | ২৬ জানুয়ারি ২০১০ ২২:১৪439142
  • আকা'র উদাহরণে একটি পুরোনো গপ্পো মনে পড়লো। এক সাম্যবাদে বিশ্বাসী শিক্ষিকা ফুটবল খেলার মাঠে দেখলেন সকলে খেলছে, শুধু একটি ছেলে একা একা মাঠের শেষে দাঁড়িয়ে আছে - তিনি ধমকে তাকে অন্য সকলের সঙ্গে খেলতে যেতে হুকুম করলেন - ছেলেটি প্রচন্ড অনিচ্ছাসঙ্কেÄও শিক্ষিকার আদেশ মান্য করলো। বলা বাহুল্য, ছেলেটির টীম গোহারান হারলো - গোলপোস্টে কেউ ছিলো না তো!

    আর একটি খবর। সামরান/সুমেরুর রান্না খেয়ে রঞ্জনের তিরিশবছর বয়স কমে গেছে - তাই সক্কলেরে 'আপনি' কইছে। :)
  • Ri | 121.247.231.201 | ২৬ জানুয়ারি ২০১০ ২২:৫১439143
  • অক্ষ দি,
    বেশ তো।
    "বিবেকানন্দ ফন্দ না" 'আকছার' হওয়া এমন ছেলেমেয়ের উদাহরন দুচাট্টে দাও না যে তার কেরিয়ার জলাঞ্জলি দিয়েছে কমিউনিটির জন্যে? আর তারা ক পার্সেন্ট অফ টোটাল পপুলেশন? র‌্যান্ডম স্যাম্পল নিয়ে স্ট্যান্ডার্ড ডিভিয়েশন দাও । ফিগার চাই, তবে তো মানবো "আকছার" শব্দ টা। আদার ওয়াইস এক্সেপশন প্রুভস দ্য রুল :-) (আমাদের আলোচনার সুরুয়াত ছিলো লোভ ইনেট নেচার কিনা। রাইট? )

    (পরবর্তী প্যারা ব্যক্তি আত্রেয়ীকে আঘাত করার জন্যে নয়।বিতর্কে স্পেড কে স্পেড বলি আমি।তবু যদি আঘাত লাগে আগেই কাছে ক্ষমা চেয়ে রাখলাম)
    "আমার পরিবার থেকে আমার কমিউনিটি তে এক্সটেন্ড কেন হতে পারবে না" বলা খুব সহজ কাজে করাটা অতটা নয়।বুকে হাত দিয়ে বল পাড়ায় নি:সন্তান দাদু দিদিমা কে সেবা করার জন্যে কজন স্যাক্রিফাইস করেছে নিজের ক্যারিয়ার কে? আমাদের মধ্যে কজন না খেতে পাওয়া মানুষের কথা ভেবে ক্রিসমাস মদ মাংস কেক খেতে পারিনি? আমি তুমি কেউ না।( টাকা ডোনেট সবাই করেছি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কে কিন্তু সেটাকে স্যাক্রিফাইস করা বলে না।)আর কোন অন্যায় তো করিনি আমরা। আমাদের প্রতিভা আছে,পরিশ্রম করেছি, নিজের যোগ্যতায় সৎ ভাবে করে খাচ্ছি। তাহলে কোন মুখে লোক কে বলব 'লোভ ত্যাগ কর'।
    দুপয়সা চন্দ্রিল দিয়ে দি -
    "তোমরা খাবে মুড়কি মুড়ি আমরা চিকেন চাউ
    আমরা হলাম ভিআইপি আর তোমরা হলে ফাউ।"
    মামদোবাজি? লোকে বলবে ফোট - practise before you preach । ঐ
    "
    বিবেকানন্দ ফন্দ" এটা করেছিলো বলেই জনতার চোখে লোকটার আলাদা ইজ্জত আছে , তোমার মানা না মানায় কিস্যু আসে যায় না।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২৬ জানুয়ারি ২০১০ ২৩:০৪439144
  • ভি আইপি না। এসেনশিয়াল। এর পিছনে গভীর তত্ব আছে। বিশ্বাস না হলে অজিত চৌধুরিকে জিগাও। :)
  • dri | 117.194.230.157 | ২৬ জানুয়ারি ২০১০ ২৩:৪১439145
  • আমার দুটো ছোট্ট কথা বলার ছিল।

    এক, এই থ্রেডে মূল বিষয় থেকে আমরা দূরে সরে এসেছি। তাতে অবশ্য আমার বিশেষ গ্রাইপ নেই। মানুষের কথোপকথন একটা থ্রেড দিয়ে কতটা মডেল করা যায় সেই নিয়ে ডাউট আমার অনেক দিনের। জাস্ট একটা অবজার্ভেশান।

    দুই, ভারত এখন স্ক্যান্ডিনেভিয়ান কাϾট্রগুলোর মত ওয়েলফেয়ার স্টেট হবার কথা ভাবতে পারে, এই ভাবনাটা প্রায় স্টেটলেস সোসাইটির মতই ফার ফেচ্‌ড। উদাহরণ হিসেবে সুইডেন নিলাম। সুইডেনের পপুলেশান সাড়ে নয় মিলিয়ানেরও কম। সেখানে জাস্ট বম্বের পপুলেশানও প্রায় ১৪ মিলিয়ানের কাছাকাছি। সুইডেনের পার ক্যাপিটা জিডিপি হল ৫২০০০ ডলারের বেশী। ভারতের সেখানে ১০০০ ডলার। পার্চেজিং পাওয়ার প্যারিটি ধরলেও তফাতটা ৩০০০ ভার্সেস ৩৭০০০। একটা ওয়েলফেয়ার স্টেট তার ওয়েলফেয়ারের এফেক্টিভনেস মেন্টেন করে মানুষকে ট্যাক্স করে। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো ট্যাক্স বেশ হাই। মোদ্দা কথা হল জাস্ট ঐ কটা মানুষের ভরণপোষণ ঐ এরিকসন, ভলভো, আইকিয়া ইত্যাদি বড় বড় কয়েকটা কোম্পানীকে আচ্ছা করে ট্যাক্স করলেই উঠে আসে। তাছাড়া সুইডেন মাঝে সাঝে আবার বোফোর্সের কামান টামান বেচেও অনেক পয়সা করে। ওতে এই নয় মিলিয়ান মানুষের ওয়েলফেয়ার আরামসে হয়ে যায়। এই ৩০০০ ডলার পার ক্যাপিটা জিডিপি নিয়ে সুইডেনের স্ট্যান্ডার্ডে ওয়েলফেয়ার দেওয়া সম্ভব নয়। ওসব পাইপড্রিম। আর জিডিপি সুইডেনের লেভেলে পৌঁছতে অনেক সময় লাগবে। বছরে ৫% আনইন্টারাপ্টেড ভাবে প্রতি বছর ধরে নিলেও চল্লিশ পঞ্চাশ বছর লেগে যাবে। এবং এতটা সময় ধরে এত গ্রোথ রেট রাখাও খুব শক্ত।
  • Sibu | 216.239.45.4 | ২৬ জানুয়ারি ২০১০ ২৩:৪৭439146
  • ওকে, প্রশ্নটা একটু অন্যভাবে করা যাক। কেউ দুটি ব্যবসা করছে। দুটিতেই সে দশ টাকা ইনভেস্ট করেছে। দুটি ব্যবসায় কি তার রিস্ক সমান? যদি না হয়, তাহলে ইনভেস্টমেন্ট আর রিস্ক সমান এটা মানা চলে না।
  • a x | 143.111.109.1 | ২৬ জানুয়ারি ২০১০ ২৩:৪৯439148
  • ঋজু, আমার বাবার আমলে অনেক বেশি লোক করত। তার বাবার আমলে আরও বেশি। এই ধর আমার বাবাই, পুরো ডিসিএইচ একজন বন্ধুর সাথে বেড শেয়ার করে হোস্টেলে কাটিয়েছে। সেই ছেলেটির বাড়ি থেকেই ওর জন্য খাবার আসত, বাবার জন্যও। দু বছর টানা। এরকম তো আমিই করবনা আমার ছেলের বন্ধুর জন্য।

    তাহলে কি বদলেছে? সেই বদল গুলো কিভাবে এসেছে? প্রতিযোগিতা তৈরি করছে কোত্থেকে? ক্লিশে মনে হবে কিন্তু কনসিউমারিস্টিক সোসাইটির কি কোনো অবদান নেই এর পেছনে? আমার দাদুর মনে হবে সবাই দু বেলা ডাল ভাত খেতে পেলে আর পরনে কাপড় থাকলেই যথেষ্ট। আমার বাবার মনে হবে ঐটা প্লাস ছেলেমেয়ের ভালো পড়াশোনা প্লাস একটু গুছিয়ে এই সোফা টিভি কিনে থাকতে পারলে যথেষ্ট। আমার মনে হবে ঐ ঐ প্লাস একটু ফ্ল্যাট স্ক্রীন, একটু হাইব্রিড, একটু গোছনো একটা ফ্ল্যাট। চাহিদার এই ক্রমবিবর্তনের ম্যানুফ্যাকচার কোত্থেকে? ইনেট নেচার?

    ইনেট নেচার যে নয় সেটাই তো বললাম বায়োলজিকালি। যে প্রাণী ভাবনা চিন্তা করেনা, অর্থাৎ সে¾ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম নেই, তার থেকে শুরু করে এপ পর্যন্ত অÒট্রুইস্টিক বিহেভিয়ার দেখা যায়।
  • aka | 168.26.215.13 | ২৬ জানুয়ারি ২০১০ ২৩:৫১439149
  • শিবুদা, এই কথা আমি বলি নি তো। আমি যা বোঝাতে চেয়েছি বলে দিয়েছি।
  • Sibu | 216.239.45.4 | ২৬ জানুয়ারি ২০১০ ২৩:৫৮439150
  • আকা কি বলেছ সে তো আমি বলিনি। আমি বলেছি রিস্ককে ইনভেস্টমেন্ট দিয়ে মাপা যায় না। তুমি খুব ডাটা ডাটা করছিলে তো অক্ষের সাথে। তাই আমার জানতে ইচ্ছে হল প্রফিট আর রিস্কের সম্পর্ক তুমি কিভাবে ডাটা দিয়ে জাস্টিফাই করবে।

    তবে সব ক্যাপিটালিস্টই মোটামুটি এক রকম। বাঁধা বুলির বাইরে কিছু জানে না।
  • aka | 168.26.215.13 | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০০:০৩439151
  • শিবুদা, আমাকে ক্যাপিটালিস্ট বললে? ওরেত্তারা। থ্যাংকু, থ্যাংকু তোমার মুখে চপ কাটলেট পড়ুক।

    যা আমি ক্লেম করি নি তার ডেটা আমি ক্ষি/ক্ষী করে দেব সেটাই বুঝতে পারছি না।
  • ranjan roy | 115.117.239.198 | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০৩:০৮439152
  • ইনভেস্টমেন্ট আর রিস্ক সমানুপাতিক নয় কারণ প্রফিটের কম্পোনেন্ট ফ্যাক্টরগুলোর মধ্যে রিস্ক অন্যতম, একমাত্র নয়।
    প্রফিট কিসে হয়? আমি মূলশক্তি টাকে বিশ্লেষণ করার জন্যে ফার্স্টডিগ্রি অ্যাপ্রোক্সিমেশন করছি। অর্থাৎ অস্বাভাবিক মার্কেট কন্ডিশনে যে অল্পকালীন উইন্ডফল প্রফিট হয় তা বাদ দিয়ে নর্মাল কন্ডিশনে নর্মাল প্রফিটের কথা বলছি-- যেখানে কোন মনোপলি নেই, প্রচূর ক্রেতা, প্রচুর বিক্রেতা।
    এখানে উৎপাদনের ফলে যে ভ্যালু অ্যাড হয় তার থেকে পুঁজির বাজার দরে সুদ, ও মজদুরের বাজার দরে মজুরি ইত্যাদির পরে যা রেসিডুয়াল পরে থাকে তাই প্রফিট।
    এইখানেই প্রশ্ন: মজদুরের শ্রমশক্তি কাঁচামালকে উৎপাদন পদ্ধতির ব্যবহারে ভ্যালু অ্যাড করে যে মূল্য বাড়ায় তা মজদুরকেই দিলে আদৌ কতটুকু লাভ পুঁজিপতির ঘরে যাবে?
    আসলে একটি নির্দিষ্ট স্তরের মজদুরদের বাজারদরে যে গড় মজদূরী তাই দিয়ে কনট্রাক্ট বেসিসে লেবার লাগানো হয়, নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে। এখন কুশল ম্যানেজমেন্ট মানেই ঐ সময়ে কতটা অতিরিক্ত উৎপাদন ওদের দিয়ে করানো যায়।
    রিস্ক নেয়ার লাভ অল্পকালীন অসম মার্কেটে। যেমন আমি খেয়াল করলাম যে আগামী ছয়মাস পরে চালের দাম বাড়বে। পুঁজি লাগিয়ে বেশ খানিকটা চাল মজুত করলাম। ছ'মাস পরে আশানুরূপ দাম বাড়লে বেচে এই কয়মাস যে সুদ থেকে বঞ্চিত হলাম তার ওপর অতিরিক্ত যা পেলাম তাই রিস্ক নেয়ার প্রফিট। যদি তেমন দাম না বাড়ে আর বাজারে সুদের হার বাড়ে তাহলে এই রিস্ক নিতে গিয়ে লাভের যায়গায় লোকসান ও হতে পারে।
  • Sibu | 216.239.45.4 | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০৩:০৯439153
  • তুমি কি এই ক্লেমটা করেছিলে যে আন্ত্রেপ্রেনুয়ার রিস্ক বেশী নেয় বলে তার প্রফিট বেশী? অর্থাৎ প্রফিট ইজ রিওয়ার্ড ফর রিস্ক টেকিং। যদি সে রকম কিছু তুমি না বলে থাক তো আমি সরি। যদি বলে থাক তো ডাটা দাও।
  • Sibu | 216.239.45.4 | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০৩:২৪439154
  • রঞ্জনবাবুর সাথে মোটামুটি একমত। লং রানে প্রফিট হল উদ্বৃত্ত মূল্য চুরি। কিন্তু ক্যাপিটালিজমের সমর্থকেরা সে কথাটা ঢাকা দিয়ে রিস্কের কথাটা বেশী করে বলে।

    আর স্বপ্লকালীন লাভের ক্ষেত্রেও রিস্ক আর প্রফিটের সম্পর্ক কতটা ইউনিভার্সাল কে জানে। মোটের ওপর ফাটকা খেলে লাভ ব্যাঙ্কের আর রিস্ক ট্যাক্সপেয়ারের, এই তো দেখতে পাই।
  • ranjan roy | 115.117.239.198 | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০৩:৩১439155
  • Ri, টিম ও অন্য সবাইকে। টইটা আমিই বোধহয় সবচে ঘেঁটে ফেলেছি। যে হারে নেমন্তন্ন খাচ্চি অগ্নিমান্দ্য না হয়েই জায় না। আজ "" ওহ ক্যালকাটা'' তো কাল বিয়েবাড়ি। সেই যে কাব্লিদার বাড়ি ভাট থেকে শুরু হল----। এবার পরশু মুম্বাই মেলে উঠতে পারলে হয়। বয়সের খেয়াল করিনি, ভগবান দেখছেন।

    যাকগে, আমার বক্তব্য হল এক,বাজার ভগবান নয়, আবার রাষ্ট্রও মুক্তির আলোকের গ্যারান্টি নয়। কাজেই একটি ঐতিহাসিক পর্ব জুড়ে দুইই থাকবে, তাদের ভাল-মন্দ নিয়েই। আমাদের তার মধ্যে একটি ব্যালেন্স, স্ট্যাটিক নয় ডায়নামিক, মেইনটেইন করতে হবে। যেমন ভালো ছেলেরা মা ও বৌয়ের মাঝখানে করে। কার কি অধিকার ক্ষেত্র ইত্যাদি। এবং ক্রমশ: একজনের ক্ষেত্র সীমিত হতে থাকে,:)))))
    দুই, লোভ নিয়ে।
    আমরা ব্যক্তির স্তরে যা যা ব্যবহার করছি তা সামাজিক মূল্যবোধের এক স্বীকৃত প্যাটার্ণের অন্তর্গত, inherent quality নয়।
    কয়েক দশক আগে বৌ ছিল পরিবারের সম্পত্তি, ছেলের একার নয়। ফলে বৌমা থাকতেন সংযুক্ত পরিবারে। রান্নাবান্না-শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর সেবাযত্ন ইত্যাদি। ছেলে রোজগার করতে বাইরে যেত একা, ছুটিছাটায় বাড়িতে আসতো, আজকে সেটা ভাবাই যায় না।
    টিম যা বলছো তাতে আমার প্রশ্ন পরিবার বলতে ক'জন কে ধরছো?
    উদহরণস্বরূপ, আগে জয়েন্ট ফ্যামিলিতে সবার রোজগার এক ঝুলিতে রেখে আবশ্যকতা অনুযায়ী দেয়া হত। কে কতটা রোজগার করছে সেই অনুপাতে নয়। কেউ রোজগার করছে না তার মানে সে খেতে পাবে না আর রোজগেরে ভাইরা খাবে এমন নয়। এখন আমরা শুধু নিউক্লিয়ার পরিবারের কথা ভাবি, আমি শুদ্ধু।
    অক্ষ যা বলছে তা বৃহত্তর পরিপ্রেক্ষিতে, কোন মাইক্রো উদাহরণের জন্যে নয়।
    ধর আমি যখন রোজগার করে আনি তখন তো ভাবি না যে স্ত্রী রোজগার করছে না, ছেলেও না। তো আমার রোজগারের ভাগ কেন ওদের দেব? আমি সবটাই একা কেন খরচ করবো না?
    এরকম ভাবি না কারণ আমার বৌ-বাচ্চাকে নিয়ে একটাই ইউনিট ধরি, আগে গোটা পরিবারকে ধরতাম। অক্ষ বলছে এইভাবে গোটা কমিউনিটিকে এক ইউনিট মনে করার কথা।
  • Mmu | 78.236.153.102 | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০৩:৩৯439156
  • আচ্ছা একটা কথা সব্বাইকে জিগ্যেস করি (বানান ভুল), আপনারা সবাই সবাইকে ' তুমি' বলে সম্বোধন করেন। ব্যাপারটা বুঝলাম না। আপনারা কি সবাই পুর্ব পরিচিত?
    যে কেউ উত্তরটা দেবেন please.
    আমার সব গুলিয়ে যাচ্ছে।
  • Vidya | 69.249.219.21 | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০৫:৫৬439157
  • লোভের ব্যাপারে aka যে লুচির উদাহরণ দিলেন সেই প্রসঙ্গে বলি, খাদ্যের ওপর লোভটা instinctive, কিন্তু সেটা ঐ ১৫টা লুচি (আমার ক্ষেত্রে হয়তো ১০টা) খেলেই মিটে যায়। তখন বহু লোভ দেখিয়েও আমাকে আর খাওয়ানো যাবেনা।
    কিন্তু পণ্যের প্রতি লোভটা সহজাত নয়। আমার একটা সেলফোনেই হয়তো ৫ বছর চলে যেত, কিন্তু তাহলে তো সেলফোন কোম্পানীর ব্যবসা চলে না। তাই সামান্য কিছু পরিবর্তন করে নতুন একটা সেট নিয়ে আসা হল বাজারে আর বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে কৃত্রিম চাহিদা তৈরী করা হল। আর আমি নতুন সেটটা কিনে ফেললাম, প্রয়োজন না থাকলেও। এই লোভটাকে তাই কোনোমতেই সহজাত বলতে পারছি না।
  • aka | 24.42.203.194 | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ১০:৩৫439159
  • রঞ্জন দার প্রথম পোস্ট সম্পর্কে কয়েকটি কথা

    ১। ক্যাপিটালিস্ট ইনভেস্ট না করলে শিল্পের জন্য যে মূলধন লাগে সেটা আসে না। আমি ১০০ টাকা ইনভেস্ট তখনই করব যখন সেই ইনভেস্টমেন্ট থেকে আমি লাভের আশা করব। সেই লভ্যাংশ অন্যদের মধ্যে বিলিয়ে দিতে নয়। ব্যবসা ফেল করলে আমারই সবথেকে বেশি ক্ষতি হল। যারা চাকরি করছে তারা অন্য জায়গায় চাকরি খুঁজে নেবে। কিন্তু আমি ১০০ টাকার মালিক থেকে পথের ভিখিরি হলাম। রিস্কটা কি আমার বেশি হল না? অতএব ১০০ টাকা ইনভেস্ট করে যদি ১০০ + x টাকা পাবার ইন্সেটিভ না থাকে তাহলে আমি গঙ্গার ধারে বা দার্জিলিংয়ে বাড়ি কিনে সুখে শান্তিতে দিন কাটাব। আমার তো পথের ভিখিরি হবার রিস্ক নেবার দরকার নেই। ফলে শিল্পটাই হবে না।

    ২। হ্যাঁ উদ্বৃত্ত মূল্য বা প্রফিট জেনারেশনে ক্যাপিটাল এবং লেবার দুজনেরই কϾট্রবিউশন আছে। কার জন্য কতটা প্রফিট হল তা মাপা বোধহয় সম্ভব নয়। আজকাল অনেক ক্ষেত্রেই কমপ্লেক্স কোম্পানি স্ট্রাকচারে সেই উদ্বৃত্ত মূল্য এমপ্লয়িদের মধ্যে প্রফিট শেয়ারিং হিসেবে বিলি করা হয়। হ্যাঁ আগের পোস্টের কথা মাথায় রাখলে সেই প্রফিট শেয়ারিং এন্তারপ্রেনরের থেকে কম হয়। আমি মনে করি ফেয়ার এনাফ। এক্ষেত্রে মার্ক্স যে শোষণের কথা বলেছিলেন বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে তার আরও একটা অ্যাকাডেমিক মূল্যায়ন দরকার। কিন্তু দু:খের বিষয় বিকল্প ব্যবস্থায় এখনো সেই মার্ক্সই শেষ কথা।

    ৩। কর্মদক্ষ ম্যানেজার মানেই লেবার দের দিয়ে অধিক কাজ করিয়ে নেওয়া নয়। সে মার্ক্স যখন বই লিখেছিলেন তখন ছিল। এখন এফিসিয়েন্সি মানে তো অটোমেশন। আধুনিক কারখানার অ্যাসেম্বলি লাইন অনেক সময়েই সম্পূর্ণ অটোমেটেড।



    হ্যাঁ সব কিছু আমার মনোমত নয়, আই উইশ আই হ্যাড এ ডিফারেন্ট সিস্টেম।

    ভিদ্যা, আপনার যদি লোভ সহজাত না হলে বিজ্ঞাপনে লোভটা জাগ্রত হল কি করে? আমি এই বিষয় একেবারেই জানি না, জানতে চাইছি। আমার মধ্যে যে জিনিষটা নেই তা কি এক্সটারনাল এফেক্টে জাগিয়ে তোলা যায়?
  • Sibu | 64.105.38.106 | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ১০:৪৪439160
  • বাকী তক্কের কুনই মানে নাই। শুধু ঐ 'আমার মধ্যে যে জিনিষটা নেই তা কি এক্সটারনাল এফেক্টে জাগিয়ে তোলা যায়' কথাটার পতিবাদ করতে চাই। অক কি ভায়াগ্রার কথা শোনে নাই? শুধু চার ঘন্টার বেশী জাগ্রত হলে একটু মুশকিল।
  • ranjan roy | 219.64.74.14 | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ১৪:৩৪439161
  • আকা, ও মেরে আকা!( একটু মজা করলাম, হিন্দিতে আকা মানে গুরু, রক্ষাকর্তা, কি নয়!)
    কিন্তু আমি সত্যি বলছি তুমি ব্যাপারটা একেবারে কনসাইজ ফর্মে এমন জায়গায় এনে ফেলেছ যে আমার বলতে সুবিধে হবে।

    এক, ঠিক বলেছ যে কোন ইন্ডাস্ট্রি বা ট্রেডিং অ্যাকটিভিটিতে কোন ক্যাপিটালিস্ট কেন ইনভেস্ট করবে, যদি না একটা মিনিমাম রিটার্ন অ্যাসিওরড্‌ হয়! এটাকে বলে নর্মাল প্রফিট, সেটা ট্রেড টু ট্রেড, বা ইন্ডাস্ট্রি টু ইন্ডাস্ট্রি ডিফার করতে পারে।
    এখন কথা হল সেই অ্যামাউন্ট কিভাবে ডিটারমাইন্ড হবে?
    এনিয়ে মার্ক্সের পরে অনেক অ্যাকাডেমিক কাজ হয়েছে। বিশেষত: কেম্ব্রিজ স্কুল অফ ইকনমিকস্‌এ। যেমন জোয়ান রবিনসন, পিয়েরো স্রাফা, মরিস ডব, ওস্কার ল্যাঙ্গে, কালেকি ইত্যাদি।
    মিসেস রবিনসন মার্ক্সের লেবার থিওরি কে ফালতু ( ভলতেয়ারের ভেড়া মারতে মন্ত্রের সাথে বিষ দেয়ার গল্পের অং বং চং এর সাথে তুলনা করেছিলেন) মনে করতেন, কিন্তু উনি স্যামুয়েলসন আদি নিও ক্লাসিক্যাল এর সঙ্গে ডিবেটে মার্ক্সের রেট অফ একসপ্লয়টেশন কে ভ্যালিড মনে করতেন।
    সেসব কচকচির এখানে জায়গা নেই।
    বরং লর্ড কেইনস্‌ এর কথা বলি যাঁর ফুল এম্‌প্‌লয়মেন্ট এর চিন্তা থেকে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তা ( অর্থাৎ মার্কেট কে রেগুলেট করতে রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ)এবং ওয়েলফেয়ার স্টেটস্‌ এর কনসেপ্ট এল।
    কেইনস্‌ দেখালেন যে ঐ expected rate of return যাকে উনি বলছেন marginal efficiency of capital যদি মার্কেট রেট অফ ইন্টারেস্ট থেকে বেশি না হয় তাহলে ক্যাপিটালিস্ট ইনভেস্ট না করে বসে বসে সুদ খাবে।
    আর ফাটকা খেলার লোভ বা তুমি যাকে বলছ রিস্ক তাও ইনভেস্ট করার একটা মোটিভ।
    রবিনসন দেখিয়েছেন যে এটা শর্ট টার্ম সময়ের ব্যাপার। কারণ কেইনস্‌ এর কনসার্ন ছিল শর্ট টার্ম। উনি বলতেন in the long run, we are all dead
    মার্ক্সের চিন্তা ছিল ডায়নামিক্স অফ ক্যাপিটালিজম নিয়ে, তাও লং টার্ম।
  • Sibu | 64.105.38.106 | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ১৭:১১439162
  • রঞ্জনবাবুকে:

    একটু কচকচি করতে ইচ্ছে হচ্ছে। কেইনস সাহেব যে এক্সপেক্টেড রেট অফ রিটার্নের কথা বলেছেন সেটা প্রফিট না ডিভিডেন্ড।

    আবার, প্রফিট রেট অফ ইণ্টারেস্টের চেয়ে বেশী হবে সেটা খুব বড় কথা নয়। কিন্তু ইন প্র্যাকটিস সেটা অনেক বেশী হয়। মানে ফেডারেল রিজার্ভ ইন্টারেস্ট কমালেই প্রফিট তার সাথে কমে না। তা ইন্টারেস্ট রেট আর প্রফিটের এই স্প্রেডটা কি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়?
  • aka | 168.26.215.13 | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ১৯:২৮439163
  • রঞ্জন-দা আমি তো কনসাইজ ফর্মে আনি নি। আমি আমাকে করা প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলাম।

    আমি তারও আগে এই টইতেই করা আরও কনসাইজ ফর্মের কিছু ক্লেম কিভাবে করা হল জানতে চেয়েছি।

    যেমন ছিল বাজারের বিকল্প সম্ভব। কিভাবে এবং কেমন করে?

    আরও ক্লেম ছিল যে রাষ্ট্র উঠে গিয়ে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এমন হবে যাতে আমরা সবাই রাজা। এবং তার স্বপ্ন আমাদের দেখতে হবে। সেই স্বপ্ন না দেখলে আমি একজন স্বার্থপর দৈত্য (এটা এখানে কেউ বলে নি, জেনারাল নেটওয়ার্ক এফেক্টের কথা বললাম, জেনারাল অভিজ্ঞতা থেকে)। কিসের স্বপ্ন দেখব সেটা জানতে চেয়েছি।

    ক্লেম ছিল যে, ইরাক যুদ্ধ, আফগানিস্তান যুদ্ধ ক্যাপিটালিজম বাঁচিয়ে রাখতে দরকার। জানতে চেয়েছিলাম কেমন করে।

    ক্লেম ছিল যে, লোভ মানুষের সহজাত নয়, বিজ্ঞাপন না থাকলে, ক্যাপিটালিজম না থাকলে লোভ বলে কিছু মানুষের মধ্যে থাকতই না। কেমন ভাবে?

    লাস্ট বাট নট লিস্ট, ভাগ্যিস ভায়াগ্রার অ্যাডে বলে নি সেক্ষ মানুষের সহজাত নয়। কোম্পানিটা লাটে উঠত।

    এটাই শেষ পয়েন, কেইনসই বলুন, জোয়ান রবিনসনই বলুন, আধুনিক সাপ্লাই সাইডই বলুন বা ডিমান্ড সাইডই বলুন বাজারের অস্তিত্বকে অস্বীকার কেউ করে না। আজকের যুগে দাঁড়িয়ে কেইনসকেও মার্ক্সের দিকে লাগে তার কারণ হাওয়া এখন অতটাই ডানপন্থী। এনারা কেউই শ্রেণী সংগ্রামের কথাও বলেন নি, শ্রেণী বিহীন সমাজের কথাও বলেন নি। এনারা কেউই সমাজকে উল্টে পাল্টে দিয়ে "উন্নততর গণতন্ত্র' র কথা বলেন নি। ভারত/প:ব:য়ের বামপন্থী আন্দোলনের উদ্দেশ্য বিধেয় পাশ্চাত্ত্যের ডিমান্ড সাইড ইকনমিক্স দিয়ে কতটা ব্যাখ্যা করা যায় জানতে আগ্রহী রইলাম। আর ওয়েলফেয়ার স্টেট নিয়ে দ্রি কিছু বক্তব্য রেখেছেন, একমত। অন্য কিছু হলে জানতে চাই।

    যদি বলেন টইয়ের সীমিত জায়গায় এগুলো ব্যাখ্যা করা যাবে না তাহলে টইয়ের সীমিত জায়গায় ক্লেমগুলো শুধু বিশ্বাস হয়ে দেখা দেয়, যেমন ভগবান বিশ্বাস।

    (রঞ্জনদা, একটু অ্যাগ্রেসিভ ভাষায় লিখি, নইলে ঠিক জোশ আসে না, অন্য কিছু মনে করবেন না)।
  • Sibu | 216.239.44.65 | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ২০:৫০439164
  • বাজার নেই এমন কথা কি মার্ক্স বলেছিলেন নাকি? স্ট্র-ম্যান খাড়া করলেই কি কিছু প্রমান হয় নাকি?

    প্রশ্ন হল:

    ১। এফিসিয়েন্ট মার্কেট হাইপোথেসিস ঠিক না ভুল।

    ২। প্রফিট যাস্ট কেন? কতটা প্রফিট যাস্ট?

    ৩। প্রফিট অপটিমাইজেশন (গোল ফর ক্যাপিটালিজম) আর এফিসিয়েন্ট রিসোর্স অ্যালোকেশন, এ দুটো সিনোনিমাস কি না।
  • Vidya | 129.32.100.45 | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ২১:২৫439165
  • aka-র যুক্তি এবার একটু 'তর্কের জন্যই তর্ক'-টাইপ হয়ে যাচ্ছে। বিরোধীপক্ষের বক্তব্যগুলো একটু change করে নিচ্ছেন প্রতিবাদ করার জন্য।

    ১) আমি বলিনি যে ক্যাপিটালিজ্‌ম বাঁচিয়ে রাখতে যুদ্ধ দরকার। আমি বলেছি কয়েকটা কোম্পানীকে বাঁচাতে দরকার এবং সেজন্য তারা জনমত তৈরী করে। শুধু আমি নয় স্বয়ং প্রেসিডেন্ট Eisenhower এই military-industrial complex-এর ব্যাপারে আমেরিকানদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন তাঁর বিদায়ী ভাষণে। এই ব্যাপারে আরো একটা তথ্য দিয়ে যাই, NBC-এর মালিকানা GE-এর হাতে যারা কিনা DoD-এর সবথেকে বড় electrical parts-এর কনট্র্যাকটর (প্রায় $2.5-3 bn)।

    ২) শিবুবাবু external agent দ্বারা যে অনিচ্ছুকের (বা অপারগের) মধ্যেও প্রবৃত্তি তৈরী করা সম্ভব এইটার উদা হিসেবে ভায়াগ্রার কথা বলেন, উনি তো বলেননি যে sex মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি নয়। আর আমি বারবার বলেছি যে পণ্যের প্রতি লোভ মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি নয়, সেটা জাগিয়ে তোলা হয়( না হলে আর সেসবের জন্য এতো বিজ্ঞাপণ লাগতো কেন?)। আর জীবনধারণের বেসিক নীডগুলির জন্য যে আকর্ষণ সেটাকে ঠিক লোভ বলা যায়না,সেটাকে জাগিয়ে তুলতেও হয়না (আলু-পটল ইত্যাদির বিজ্ঞাপণ দিতে হয় কি?)

    ৩) পরে লিখছি। ফিরে এসে।
  • stoic | 160.103.2.224 | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ২১:৫৯439166
  • দ্রি এর সুইডেন সম্পর্কে বক্তব্যর সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। আড়াই বছর ছিলাম ওখানে, সুইডিশ ওয়েলফেয়ার স্টেট মডেলের প্রোজ অ্যান্ড কন্স দুটো ই দেখেছি।

    মজার ব্যাপার হল, সুইডেনের আমজনতা এই ওয়েলফেয়ার স্টেট মডেলটাকে এক লাইনে সাম আপ করে:
    "ফ্রম ইচ অ্যাকর্ডিং টু এবিলিটি, টু ইচ অ্যাকর্ডিং টু নিড"
    অর্থাৎ যার বেশী আর্থিক সামর্থ্য সে বেশী কϾট্রবিউট করছে সিস্টেমে, আর যার বেশি দরকার, সে বেশি নিচ্ছে সিস্টেম থেকে। এখানে সিস্টেম অ্যাবিউস করার একটা গপ্পো থেকেই যায়, এবং সেটা যে হয় না তাও নয়, তবে, অ্যাট দ্য এন্ড অফ দ্য ডে, ইট ওয়ার্ক্স। অ্যাট লিস্ট আনটিল নাও।
    এবার প্রশ্ন হল, এইরকম একটা সিস্টেম ভারতীয় সমাজে এস্টাব্লিশ করা যাবে কিনা। তার জন্য কি জিডিপি বাড়া এসেন্সিয়াল? এটা আমার প্রশ্ন, ইকনমিক্সের জনতার কাছে।
  • aka | 168.26.215.13 | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ২২:০৪439167
  • ভিদ্যা, আপনার নাম করে বলি নি তো। একটু পিছিয়ে এই টই পড়ে দেখুন না।

    আর আপনার Date:26 Jan 2010 -- 02:55 AM
    পোস্টটার পরে লুচির উদাহরণ ছিল। লুচি কিন্তু বেসিক নিডের মধ্যে পড়ে না। বরং বয়স একটু বাড়তির দিকে হলে খানিক রয়ে সয়ে খাওয়াই ভালো। কিন্তু রয়ে সয়ে খাব না, গণ্ডা গণ্ডা খাব সেটা ঠিক করবে কে? আপনি যাকে লোভ বলছেন আমি তাকে বলছি ইন্ডিভিজুয়াল পাওয়ার। ক্যাপিটালিজমে কেউ আপনাকে নতুন নতুন গ্যাজেট কিনতে বলে না, আবার কিনতে বাধাও দেয় না। কনজিউমারিজমকে প্রোমোট করা হয় কিন্তু বাধ্য করা হয় না। আপনার ইচ্ছে হলে কিনবেন না হলে নয়। আর ঠিক কি কি বেসিক নিড আর কতটা হলে তা লোভ তার বিভাজনটা খুব স্বচ্ছ কি? জানার ইচ্ছে রইল।
  • a x | 143.111.109.1 | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ২২:১৯439168
  • এবার কি ফ্রী উইল আসবে? ;-)
  • aka | 168.26.215.13 | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ২২:২০439170
  • আওয়াজ নয় বিকল্প চাই কমরেড। ;)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন