এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • তৃ-প-বু-ভু ৪

    Blank
    অন্যান্য | ০৫ জানুয়ারি ২০১০ | ২৯২০৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kallol | 115.184.66.221 | ২৪ জানুয়ারি ২০১০ ১৬:৪৮439071
  • মরিচঝাঁপি - যতদূর মনে পড়ে, পূর্ব পাকিস্তানের বাঙ্গালী উদ্বাস্তুদের দন্ডকারণ্যে পাঠানোর তীব্র বিরোধীতা করেছিলো সব বামদলগুলিই। তাদের দাবী ছিলো প:ব:তেই পুনর্বাসন দিতে হবে সবাই কে। তখন আন্দামানেও যাবার বিরোধীতা করে তারা। বাম সরকার আসার পর স্বাভাবিকভাবে দন্ডকারণ্যের উদ্বাস্তুরা ধরেই নেন, যারা তাদের প:ব:তে পুনর্বাসনের জন্য এতো গলা ফাটিয়েছে, লড়াই করেছে - তারাই যখন ক্ষমতায়, তখন সুরাহা নিশ্চই হবে। সেই আশায় এসেছিলেন। এর মধ্যে কং ষড়যন্ত্র দেখার কোন মানে হয় না।
    ঠিক যে চিন্তায় ৬৭তে যুক্তফ্রন্ট আসার পর নকশালবাড়ি সহ প:ব: নানান জায়গায় জঙ্গী কৃষক আন্দোলন গড়ে ওঠে। জমি দখলের আন্দোলন সিপিএমএর কিষান সভাই পথ দেখিয়েছিলো। নেতারা সরকার গড়ে বক্তিমে করেছিলেন - গণ-আন্দোলনে পুলিশ যাবে না। কেউ কথা রাখে নি.......
  • Mmu | 78.236.153.102 | ২৪ জানুয়ারি ২০১০ ১৯:৫৭439072
  • ধন্যবাদ Ranjan দা।
    ( শ্রদ্ধেয় )- ঠিক আছে তো।
  • PT | 203.110.246.23 | ২৪ জানুয়ারি ২০১০ ২২:০৬439073
  • Kallol

    একটু বোধহয় কং-কে defend করা হয়ে গেল। আমি একটা প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছিনা। ষড়যন্ত্র নয়, আমি কং-এর মরিচঝাঁপি প্রসঙ্গে অবস্থানটা পরিষ্কার করে নিতে চাইছি। যে দল থেকে মমতার উত্থান, সেই কং-এর সেই সময়কার অবস্থানটা চেপে গিয়ে, হঠাৎ এখন তৃণমূল এটা নিয়ে মাতামাতি শুরু করলে একটু সন্দেহ তো হবেই!!
  • Mmu | 78.236.153.102 | ২৫ জানুয়ারি ২০১০ ০৩:০৮439074
  • PT দা এই লেখাটা খুবই ইন্টারেসটিনগ। পড়ে দেখুন ভালো লাগবে।

  • Vidya | 69.249.223.76 | ২৫ জানুয়ারি ২০১০ ০৩:৪১439075
  • a-কে,
    লোভ যে মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি এই conviction তৈরী করাই মনে হয় ক্যাপিটালিস্ট সমাজের সব থেকে বড় achievement। একটু ভেবে দেখলেই দেখবি বর্তমান সিস্টেমটার মূল চালিকাশক্তি-ই হচ্ছে "আরো ভালো চাই", 'একটার জায়গায় দুটো চাই"- এই দাবী। আজ যদি সবাই নির্লোভ হয়ে গিয়ে spending বন্ধ করে দেয় তাহলে যে বাজারে কি হাল হয় তা তো আমাদের মতো recession-আহত জনতা- র ভালোমতই জানা আছে।

    -এই lecture-টায় লাদাখ-এর একটা নির্লোভ ট্রাইবাল সমাজের কথা বলা হচ্ছে যেটাকে সভ্য (ক্যাপিটালিস্ট) বানানোর জন্য প্রথমেই সেখানে লোভ ঢোকানো হয়।
  • ranjan roy | 115.117.202.74 | ২৫ জানুয়ারি ২০১০ ০৬:০১439076
  • SB,
    আমি কিস্যু করছি না। শুধু পড়ছি। ওই তদন্ত করছেন কিছু লেখকসাংবাদিক-- দু;পক্ষই একতরফা প্রচার চালাচ্ছেন এই প্রতীতি থেকে। আর সমস্ত ফ্যাক্ট সামনে না আসলে শুধু আবেগমথিত হিন্দি ফিলিম করলে আখেরে বিরাট সর্বনাশ হবে।
    ওরা বিধানসভার রেকর্ড, তৎকালীন সংবাদপত্রের রিপোর্ট সবই দেখে নিয়েছেন। সেই সময়কার জীবিত মানুষদের সঙ্গে কথা বলছেন।
  • ranjan roy | 115.117.202.74 | ২৫ জানুয়ারি ২০১০ ০৬:০৬439077
  • বিদ্যাকে সমর্থন করে দুটো কথা বলি।
    লোভ কাকে বলবো?
    অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান মানুষের বেসিক নীড, নইলে দেহধারণ অসম্ভব।
    কিন্তু আমি যদি ভাবি যে আমার উন্নততর বা অধিক পরিমাণে ওগুলো চাই, দরকার হলে অন্যদের বঞ্চিত করে, দরকার হলে কেড়ে নিয়ে, দরকার হলে ওরা মরলো কি বাঁচলো সে বিষয়ে উদাসীন হয়ে তাহলে সেটা লোভ। এটা সহজাত নয়, বরং কালচারালি অ্যাকোয়ার্ড।
  • aka | 24.42.203.194 | ২৫ জানুয়ারি ২০১০ ০৮:২৩439078
  • একটা প্রশ্ন আছে। ধরা যাক ওয়েলফেয়ার স্টেট হল, সবাই অলট্রুইস্টিক, দরকার সেই জন্যই ব্রীজ বানানো হচ্ছে, দরকার সেই জন্যই আলু চাষ হচ্ছে। এই ব্যবস্থায় জিনিষের দাম কিভাবে নির্ধারিত হবে?
  • Tim | 117.194.225.220 | ২৫ জানুয়ারি ২০১০ ০৮:৩১439079
  • রঞ্জনদা,
    ""অধিক পরিমাণে"" বা ""উৎকৃষ্টতর"" জিনিসের জন্য হাত না বাড়িয়ে কেউ যদি নিজের এবং পরবর্তী কয়েক জেনারেশনের ""দেহধারণ" সিকিওর করার চেষ্টা করে তবে তাকে কি বলা হবে?
  • Tim | 117.194.225.220 | ২৫ জানুয়ারি ২০১০ ০৮:৩৫439081
  • এবং এই প্রবৃত্তি সহজাত না অ্যাকোয়ার্ড সেটাও ভাবছি। কেমন সন্দ হচ্ছে এটা সহজাত।
  • SB | 114.31.249.105 | ২৫ জানুয়ারি ২০১০ ১০:০২439082
  • কল্লোলদা, আপনার ইমেলটা জানাবেন,পাঠিয়ে দেব আজকেই, আমার bishnu.s অ্যাট জিমেল
  • kallol | 124.124.93.202 | ২৫ জানুয়ারি ২০১০ ১০:১২439083
  • aka - আপনার বর্ণিত দেশ-কালে ঐ প্রশ্নটা করলে উত্তর পাবেন - দাম কাকে বলে ভাই????? আর যদি বলেন কেন ব্রিজ বানাবে? কেন আলু ফলাবে? সকলের দরকার আছে তাই। আর, সকলের কজে লাগতে পারার আনন্দে।
  • kc | 213.132.250.2 | ২৫ জানুয়ারি ২০১০ ১০:২৪439084
  • কল্লোলদার স্বপ্নটা আস্তে আস্তে আধ্যাত্মিক দিকে এগুচ্ছে। :)
  • kallol | 124.124.93.202 | ২৫ জানুয়ারি ২০১০ ১০:৩০439085
  • টিম - প্রয়োজনকে একটা মাত্রার মধ্যে রাখা - এটাকে মনুষ্যত্ব বলে। আর, এটাও অর্জন করতে হয়।
  • kallol | 124.124.93.202 | ২৫ জানুয়ারি ২০১০ ১০:৩৪439086
  • কেসি - কেন ? এই আধ্যাত্মিকতা কি দোষ করলো? এই আধ্যাত্মিকতাও অর্জন করতে হয়। এটাও প্রবৃত্তি নয়। আপনি গুরু পড়ে আনন্দ পান - সেটাও তো আধ্যাত্মিকতা - এবং অর্জন করা।
  • SB | 114.31.249.105 | ২৫ জানুয়ারি ২০১০ ১০:৩৬439087
  • আমি অনেক মার্ক্সবাদীকেই আধ্যাত্মিকতার দিকে পা বাড়াতে দেখেছি, বেশীরভাগই ব্যক্তিগত ভাবেই (privately), আর ব্যাপারটাকে খারাপ চোখে দেখারও কোন মানে খুঁজে পাইনি ....
  • aka | 24.42.203.194 | ২৫ জানুয়ারি ২০১০ ১০:৫১439089
  • কল্লোল-দা, সেই দেশে কি সবাই সবাইকে আপনি করে কথা বলেন? (এটা একটু ইয়ার্কি মারলাম, আপনি যতদূর মনে হয় আমাকে আপনি বলতেন না) :)

    বিনিময় প্রথা তো ছিল এককালে। যার আলু আছে সে আলুর বদলে পটল কিনল। যার ধান আছে সে তার বিনিময়ে কিনবে রেডিও।

    কিন্তু কিকরে ঠিক করা হবে কে ধান চাষ করবে আর কে রেডিও বানাবে? আর কে ঠিক করবে?
  • kc | 213.132.250.2 | ২৫ জানুয়ারি ২০১০ ১০:৫১439088
  • আরে আরে কল্লোলদা, আর শৈবাল, আমি খারাপভাবে কথাটা বলিনি মোটেই, বরং আলোচোনাটাতে একটা নতুন ডাইমেনশন আসার চান্স দেখে উৎসাহী হয়ে স্মাইলিটা লাগিয়েছিলাম।
    মানুষের, সাধারণ লোকের উন্নতি করতে গেলে আধ্যাত্মিকতার আশ্রয় ছাড়া উপায় বোধ হয় নেই। মানুষকে ভুলিয়ে রাখার জন্যও বটে।
    বেলুর মঠে নিজের ঘর থেকে হুগলী নদী দেখে স্বামীজী বলেছিলেন, যেদিন এই নদী দিয়ে ভাতের ফ্যান বয়ে যাবে, সেদিন সব লোকেরা খেতে পাবে, সেদিন বোধহয় শান্তি পাব। লোকের ভাল করতে গেলে মনে হয় তখন এরকম চিন্তারই দরকার হয়। তখন মনে হয় চুলোয় যাক ওসব বাকুনিন, বুলগানিন... । আর হ্যাঁ, এই চিন্তাধারাটাও অর্জনসাপেক্ষও বটে।
  • kallol | 124.124.93.202 | ২৫ জানুয়ারি ২০১০ ১৩:৪৩439090
  • aka এতো খুঁটিনাটি জানি না। প্রেমেন মিত্তির আর লীলা মজুমদার বেঁচে থাকলে বলতে পারতেন হয়তো। বাদল সরকারও বলতে পারেন - যদি ওনার বলার মুড ত্থকে।
    তবু বলি - নিজেরাই ঠিক করে নেবে কে ব্রিজ বানবে আর কে ধান ফলাবে।
  • Ri | 121.241.218.132 | ২৫ জানুয়ারি ২০১০ ১৫:১৪439092
  • ও কল্লোল দা, অয়নের লেখার উত্তর দিয়ে দিলেন আমাকে। যাগ্গে, আমার চাট্টে প্রশ্নের উত্তর গুলো আমি পাই নি বলে আর ঘ্যান ঘ্যান করব না। :-) স্বপ্ন দেখুন। শুধু দেখবেন কেউ যদি বিরোধী হয় তাদের সেই দিনবদলের বিপ্লবী রা গুলি করে মেরে না ফেলে।
    আত্রেয়ী দি,
    শুধু নিজের ফিল্ডে টেনে নিয়ে গেলে খেলবো না,আমি বা অয়ন কেউ তো জিনোমিক্স এর লোক নই।তাই ডারউইনের স্ট্রাগল ফর এক্সিস্টেন্সের বেশী থিওরি জানা নেই :-)
    তবে বস বাংলা কথা তুমি- আমি - অয়ন ইত্যাদি সবার মধ্যেই অল্প বিস্তর আছে - সেটা লোভ ই হোক বা ইচ্ছেপুরণ। কারুর লোভের প্রকাশ কলকাতায় সুখী গৃহকোণে বসে নলেন গুড়ের সন্দেশ আর মালপোয়া খাওয়ায় , কারুর লোভের প্রকাশ বেশী মাইনের চাকরি তে জাম্প করায় আর কারুর লোভের প্রকাশ পায় আরো ভালো গবেষণার ইচ্ছেপুরণে রিসার্চ ইন্সটিটিউট চেঞ্জ করায় ( অর্থনৈতিক ব্যপার টা উহ্য থাক :-) )। কেউ যদি নিজের প্রতিভায় সৎ পথে কাউকে না ঠকিয়ে "করে খেতে পারে" তাতে অন্যায় টা কোথায়? এটা কে তুমি innate nature বল কি না বল কিছু এসে যায় না।ফ্যাক্ট ইস ফ্যাক্ট।

    হ্যাঁ kc -র কথা টায় আমিও সহমত। আর সেই চিন্তাধারা অর্জন করা টাও যে সে লোক পারে না, সিমলের বিলে অন্য পদার্থ ছিলো ,পেরেছিলো।
  • a | 59.161.122.48 | ২৫ জানুয়ারি ২০১০ ১৬:০৩439093
  • বিদ্যা, যা বলেছিলি, দেখেই চিন্তে পাল্লুম :)
    তবে তুই যেতা বলিছিস, সেটা নিয়ে পরে বলছি

    লোভের কথা যখন উঠলই, তখন বলি, লোভ মানুষের স্বভাবে আছে, এটা আমি ঠিক বলিনি, এটা বলেছে যে ষড়রিপুর ডেফিনিশন যে বানিয়েছে সে।

    আমি লোভ জিনিসটাকে ঠিক মেটিরিয়ালিস্টিক ধরণে বলতে চাইনি, আমি বলেছি যে আদতে দুটো মানুষ একরকম হয় না। কেউ সমকাল থেকে এগিয়ে থাকে, কেউ পেছিয়ে থাকে। তো যে এগিয়ে থাকবে সেতো এই স্বপ্নময় equilibrium টাকে কোথাও না কোথাও ব্রেক করে দেবেই। তো, সেই পরিস্থিতিতে, কি হবে? আবার বিপ্লব হবে? না কি এর কোন ফেইল সেফ থাকবে?

    হয়ে্‌তা, জাস্ট হয়তো, সিপিয়েম এই জিনিসটাই করতে গিয়ে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে, (আবাপ র ভাষায়) মধ্যমেধার দাসত্ব তইরী করেছে।
  • kallol | 124.124.93.202 | ২৫ জানুয়ারি ২০১০ ১৬:০৬439094
  • বুনিয়াদী প্রবৃত্তি বলে কিছু হয় না। সমাজ আমদের লোভ শেখায়। এক এক সমাজ এক এক রকম লোভ শেখায়। অন্য সমস্ত প্রবৃত্তিও তাই।
  • kc | 213.132.250.2 | ২৫ জানুয়ারি ২০১০ ১৭:৩১439095
  • ঠিক কথা, সমাজই আমাদের লোভ শেখায়। বিভিন্ন সমাজে লোভও নানা রকম। কিন্তু কোন লোভটা ভাল আর কোনটা খারাপ, সেটা জানা যায় কেং কয়ে? আর লোভটাও তো ষড়রিপুর মধ্যেই পড়ে। তাহলে কথাটা কি রিপুকে জয় করার উপায়ের খোঁজের দিকে যাচ্ছে?
  • kallol | 124.124.93.202 | ২৫ জানুয়ারি ২০১০ ১৭:৪৮439096
  • ভালো লোভ বলে কিছু হয় না।
    ষড়রিপু কথাটা এমনভাবে বলা হচ্ছে যেন ওগুলো হাত পায়ের মত মানুষের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
    মানুষের বা সেই অর্থে প্রায় সব প্রাণের দু রকমের রকম অভিব্যক্তি আছে - যন্ত্রনা, আনন্দ। কিন্তু একে প্রবৃত্তি বলে না। কারন, যন্ত্রনা কি ? বা, আনন্দ কি ? তার কোন বুনিয়াদী সংজ্ঞা হয় না।
    যদি এমন কোন সমাজ গড়ে ওঠে যেখানে ভয় নেই, বঞ্চনা নেই, অসততা নেই, সকলেই সম্মানে সমান, সকলের পেটে খাবার, মাথার ওপর ছাদ আর পরনের কাপড় আছে (শেষ দুটো যারা প্রয়োজন বোধ করবে তাদের), তাহলে লোভ-হিংসা এগুলো থাকার মত অবস্থাই থাকবে না। জয়-টয় করতে হবে না। ওগুলো থাকবে না।
    যারা বলবেন - এরকম কোনদিন হবে না - সেটা তাদের বিশ্বাস। আমার বিশ্বাস - হবে।
  • a | 59.161.122.48 | ২৫ জানুয়ারি ২০১০ ১৭:৫৩439098
  • হবে কি মশাই!!! হয়ে গেছে তো!!! তাকেই তো স্বর্গ বলে। এখন, স্বর্গ জিনিসটার অস্তিত্ব যদি না মানতে চান, তাইলে আমি নাচার!!

    কল্লোলদা, আঘাত দিতে চাইছি না কিন্তু
  • kc | 213.132.250.2 | ২৫ জানুয়ারি ২০১০ ১৭:৫৩439097
  • মানে হল
    "" চিত্ত যেথা ভয়শুন্য, উচ্চ যেথা শির.........
    এরকম কিছু?
    তাহলে তো ইউটোপিয়ার পিছনে ছোটার মতন হয়ে যাবে।
  • a | 59.161.122.48 | ২৫ জানুয়ারি ২০১০ ১৭:৫৬439099
  • বাই দি ওয়ে, এই বিশ্বাসের ভিত্তিটা কি, কল্লোলদা?

    না:, বাকিটা রাতে
  • kallol | 124.124.93.202 | ২৫ জানুয়ারি ২০১০ ১৮:৩২439100
  • একদম ঠিক - ইউটোপিয়া বা স্বর্গ। ওগুলো-ও আমরাই বানিয়েছি। আমাদের ইচ্ছে আমরা একদিন অমন একটা অবস্থায় পৌঁছবো। যদিও ইউটোপিয়া বা স্বর্গ নানা রকম। ধরুন - ক্রিশ্চিয়ান বা ইসলামের স্বর্গে ইলিশ মাছ নেই তাই মুজতুবা সায়েব বেহস্তে যাবেন না বলে গেছিলেন। হিন্দুদের স্বর্গে ভিল বা পোর্ক নেই তাই অনেকেই হয়তো যেতে চাইবেন না।
    তবে সব ইউটোপিয়া বা স্বর্গের কিছু সাধারন ব্যাপার আছে - সকলে আনন্দে থাকবে সকলের মতো করে, কাউকে কষ্ট না দিয়ে।

    আমার বিশ্বাসের ভিত্তি আমার অভিজ্ঞতা। এমন বহু মানুষের সঙ্গ পেয়েছি যাঁরা প্রয়োজন কে কমিয়ে এনেছেন - সব কিছু পাওয়ার ক্ষমতা থাকা সঙ্কেÄও।
    বারীনদার মতো মানুষ - তেরো নদীর পারের মত ফিল্ম করে চলে গেলেন একটা আদিবাসী গ্রামে। সেখানে বাচ্চাদের পড়িয়ে, হাড়িয়া-মহুয়া খেয়ে দিব্যি কাটিয়ে দিলেন সারা জীবন - আনন্দে।
    কমলদা - কৌরবের মতো পত্রিকার জন্ম দিয়েছে যে। বাংলা সাহিত্য জগতে একডাকে চেনে কমল চক্রবর্তিকে। টাটার চাকুরে। অবসর নেবার পর প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকায় একটা পাহাড় কিনে ফেলে, সেখানে ইস্কুল চালায়, পাহাড়ে জঙ্গল বানায়।
    এরাই আমার বিশ্বাসের ভিত্তি।
  • a x | 75.53.204.181 | ২৫ জানুয়ারি ২০১০ ১৯:১১439101
  • ঋজু, নিজের ফিল্ড তো নয় এটা আমার। যদি ইচ্ছে থাকে, এদের লেখা পড়ে দেখতে পার -
    Dennett, Jay-Gould, Dawkins

    আর জেনেটিক্সে, একটা মানুষকে দেখা হয়না, পপুলেশনকে দেখা হয়। সার্ভাইভাল অফ দ্য ফিটেস্ট আসলে হওয়া উচিৎ ফিটার। একটা ইন্ডিভিজ্যুআলের বৈশিষ্ট দেখা হচ্ছেনা, একটা পপুলেশনের। কাজেই এই অÒট্রুইস্টিক কাজকম্ম গুলো পপুলেশনের স্বার্থে হয়, ইন্ডিভিজুয়ালের বাইরে গিয়ে। এবং সেভাবেই অÒট্রুইস্টিক কাজকম্মের ব্যখ্যা সেলফিস জিন দিয়ে করা হয়ে থাকে (ব্যাখ্যাতে নানা মুনির নানা মত, কিন্তু অÒট্রুইস্ম যে ভালো মাত্রায় জীবজগতে বিরাজ করে এই নিয়ে দ্বিমত নেই)।
  • aka | 168.26.215.13 | ২৫ জানুয়ারি ২০১০ ২০:০৩439103
  • কল্লোল-দা, যা বলতে চাইছিলাম তাহল বাজারের অলটারনেটিভ কোন বামপন্থী অর্থনৈতিক মডেল ঠিক মতন তৈরি হয়ে ওঠে নি। সাপ্লাই, ডিমান্ড এবং প্রাইসিং এর মাইক্রো ইকনমিক মডেলের আজও কোন বিকল্প নেই। তাই লেনিনকে নিউ ইকনমিক মডেল বানাতে হয়। মেনে নিতে হয় বাজারের অস্তিত্ব। সেদিনের রাশিয়া থেকে আজকের চীনে যা হয়েছে তাহল স্টেট ব্যাকড ক্যাপিটালিসম। ফল কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা, করাপশন, বঞ্চনার নতুন ইতিহাস। শুধু বামপন্থার আড়ালে হওয়ার জন্য সেকথা খুব বেশি বাইরে বেরয় না। যেটুকু বেরয় তাই ভয়ানক। আমার কেমন মনে হয় বাজারকে অস্বীকার করার প্রথম পদক্ষেপ হল ঢোঁক গিলে বাজারকে স্বীকার করে নেওয়া। আর তার পরবর্তী অবভিয়াস কনসিকোয়েন্স হল আজকের চীন।

    অন্যদিকে যে ক্যাপিটালিস্ট ইকনমিক মডেলকে আমরা উঠতে বসতে গালি দিই। যে বাজার আমাদের কাছে সোনাগাছি র সমার্থক, সেই বাজার ক্রমাগত আরও সফিস্টিকেটেড হচ্ছে। এমনকি বিজনেস স্কুলগুলোর খচ্চর প্রফেসররাও ফ্রি মার্কেট হাইপথিসিসে বিশ্বাস করে না। খুল্লাম খুল্লা বলতে থাকে 'মার্কেট ইজ নট এফিশিয়েন্ট'। কোথাও কোন বঞ্চনা, শোষন রাষ্ট্র নামক যন্ত্রের আড়ালে যাতে চাপা না পড়ে যায় তার নিরন্তর প্রয়াস। তার মানে কি এই বাজার পার্ফেক্ট? না, কিন্তু যা কিছু কাজকম্ম হবার তা এখানেই হচ্ছে। একটা অর্থনৈতিক মডেল দিনের পর দিন ব্যবহৃত হতে হতে যেখানে নিজেকে পরিশীলিত করছে অন্যদিকে তার বিকল্প এখনো আঁতুড় ঘরে। প্রবল বামপন্থী অর্থনীতিবীদেরাও (যেমন অমিত ভাদুড়ী) আজ বাজারের অস্তিত্ব মেনে নেন। তাই বাজার মানি না বললে সেই বক্তব্য আরও খানিকটা বিস্তার দাবী করে। নইলে তা একটি ব্যক্তিগত বিশ্বাসের কথা হয়ে ওঠে।

    শেষ কথা, যে হায়ার্কি নিয়ে, পিরামিড স্ট্রাকচার নিয়ে এতকথা আজকে দাঁড়িয়ে আমার মনে হয় সেটাই ঠিক। সবাই সমান নয়, সবাইকে সমান হিসেবে ট্রিট করাই উচিত নয়। এই যেমন আমি আর আইনস্টাইন এক নই। যেমন লাউজি জর্জ বেস্ট আছে, পরিশ্রমী বেকেনবাউয়ার আছে তেমনি প্রতিভাবান, ফোকাসড তেন্ডুলকর আছে। এমন কোন সমাজের স্বপ্ন আমি আর দেখি না যেখানে এই সবাইকে একই দৃষ্টিতে দেখা হবে। সবাই সমান নয়।

    কিন্তু সকলেরই সমান অধিকার আছে। একটাই দেখার তাহলে যাতে আমি আর শচীন একই রকম অপরচুনিটি পেয়ে থাকি। শুধুমাত্র গ্রামে স্কুল নেই বলে আমার শিক্ষাই যাতে আটকে না যায়। একটাও হাসপাতাল নেই বলে অকালে সাপের কামড়ে মারা না যাই। তার সাথে হায়ার ইন্সেটিভ ফর বেটার অ্যাচিভার্স।

    স্বপ্নই যদি দেখি তাহলে ঈশ্বরে বিশ্বাসের মতন এমন একটি থিওরীর স্বপ্ন দেখব কেন যার ভিত্তিটাই খুব নড়বড়ে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন