এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শীতের গপ্প---পৌষের সেই অন্যরকম দিন গুলো

    shrabani
    অন্যান্য | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ | ৯৬৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Manish | 117.241.228.8 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:৫৪432542
  • এ যেন তরুন মজুমদারের চলচিত্র। চোখের সমনে ভেসে উঠছে গ্রাম বাংলার পালাপার্বন।
  • Dalia | 83.83.40.194 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:২৭432543
  • বাইরে বরফ, জানলার ধারে বসে শ্রাবণী র শীতের গপ্প পড়তে পড়তে আমার মন ও চলে গেল শীতের সেই সুন্দর দিনগুলোতে।আমিও শীতকালে গ্রামে গিয়ে কাটিয়েছি, আমার মাসীমার থাকতেন ২৪ পরগণার একটি গ্রামে। শীতের ছুটি হলেই আমরা সেখানে যেতাম, পুকুরে স্নান, নতুন গুড়ের পায়েস, গাছের ফল, সন্ধ্যে হলেই ঝিঁঝিঁর ডাক আর ভুতের গল্প, দারুণ লিখেছ শ্রাবণী, আর ও লেখ, বরফ দেখতে দেখতে পড়ি তোমার গল্প।
  • Nina | 66.240.33.46 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:৩২432544
  • খুব ভাল লাগছে। মনে হচ্ছে সমস্ত চোখের সামনে দেখতে পারছি--কুলট গড়িয়ে গেল , বাবার কোলে উঠে বসা--সব সব---ভারি সুন্দর লেখা।
  • Dalia | 83.83.40.194 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:৪৫432545
  • ইশ!!! কুলের নাম শুনে নোলা দিয়ে জল পড়ছে গা!!! কেউ যদি একটু কুলের আচার দিত!!!!!!
  • M | 59.93.161.34 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৩:০২432546
  • ইনিকি আমাদের হল্যান্ডের ডালিয়াদি,

    আমি পাঠালুম গো।এক শিশি। খেয়ে টেয়ে বলো।
  • shrabani | 59.94.104.211 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৪:০৩432547
  • সত্যি কথা বলতে কি মকর খেতে আমার একটুও ভালো লাগেনি। কেমন মুখে কাঁচা চাল খাচ্ছি কাঁচা চাল খাচ্ছি মনে হল। ঐ ফলটল বাতাসা তিলকূট ঠিক আছে চালের স্বাদটাই গন্ডগোলের। কিন্তু কিছু বলিনি চুপচাপ খেয়ে নিয়েছি। ঠাকুরের প্রসাদ খারাপ বলতে আছে!
    দুরের অনেক পাড়া থেকে লোকে এসেছে মকর দেখতে, সঙ্গে বাটি নিয়ে এসেছে প্রসাদ নিয়ে যাবে। মকর নাকি সব মন্দিরে হয়না, দু এক জায়গাতেই হয়। মন্দিরের চাতাল উপছিয়ে ভীড় সামনের উঠোনে ভোগমন্দির অবধি। বামুনকাকা পূজো করছে, এত লোক দেখে আবার জোরে জোরে চেঁচিয়ে মন্ত্র পড়ছে। বড় দাদারা মজা করে বলছে, এইরে এত মহিলা দেখেছে, আজ আর কাকা সহজে পুজো শেষ করবেনা।

    এদিকে ভোগমন্দিরে জেঠু ভোগ রান্নায় বসেছে। উনুনের সামনে ছোট চৌকি পেতে দেওয়া হয়েছে। তার আশেপাশে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছেনা। শুধু জোগাড়ে বাবুদা, চান করে সেও পাটের শাড়ী ধুতির মতো পরে, খালি গা। রান্না তো কিছু নয়, দুধ, চাল আর নতুন গুড় একসঙ্গে হাঁড়িতে ঢেলে বসিয়ে দেওয়া। মাটির নতুন হাঁড়ি। মুখটা মাটির সরা দিয়ে আধঢাকা। জেঠু মাঝে মাঝে সেটা সরিয়ে আখের ডান্ডা দিয়ে নেড়ে দেয় হাঁড়ির ভেতর। বাবুদা উনুনে কাঠ পাটকাঠি দরকার মতো গুঁজে দেয়। ভোগ মন্দিরের ওপরে যেখানে ঠাকুর এসে বসবে সেখানে পুজোর সর ঞ্জাম ছাড়াও একদিকে রয়েছে অনেকগুলো নতুন মাটির সরা। পায়েসভোগ রান্না হলে ঐ সরাগুলোতে সমান মাপে ঢেলে দেওয়া হবে।

    মকরের পুজো হয়ে গিয়ে আরতি শুরু হল। মন্দিরে যারা বসেছিল সবাই উঠে দাঁড়ায় এবার। আরতি শেষে বামুনকাকা প্রথমে স্নানজল নিয়ে বাইরে আসে। সবাই মাটিতে গড় হয়ে প্রণাম করে উঠে স্নানজল নেয়। আমি যখনই স্নানজল নিতে যাই হাত গন্ডগোল হয়ে যায়, কোন হাতটা ওপরে থাকে আর কোনটা নীচে কিছুতেই বুঝতে পারিনি। যাই করি বামুন কাকা ঠিক ধমক দেবে, ঐ হাত নীচে, ঐ হাত নীচে, এখনো চানজল নিতে শেখোনি!
    এরপরে মকরের জালা বাইরে পাশের দালানে বার করে দেয়। দু তিনজন মিলে সবাইকে মকরের প্রসাদ দিতে থাকে। বামুন কাকা আরো তিনজনকে নিয়ে ঠাকুরের পাল্কি বের করে সামনের দালানে। পাল্কি টা একদম সত্যিকারের কাঠের পাল্কি, ভেতর দালানে একদিকে রাখা থাকে। বছরে একবার রঙ করা হয়। মা বলে আগে বিয়ের সময় বর কনে পাল্কি করেই যেত। দুদিকের ডান্ডা ধরে যারা পাল্কি বয়ে নিয়ে যেত তাদের বেহারা বলে। এখন আর কেউ পাল্কি চড়েনা, পাওয়াই যায়না। আমি পাল্কির ছবি দেখেছি আর সত্যিকারের পাল্কি এই ঠাকুরের পাল্কি। পাল্কির মধ্যে সুন্দর সিল্ক আর ভেলভেটের ছোট চাদর বিছিয়ে তার ওপরে ছোট সিংহাসন রাখল। ওর ওপরে ঠাকুর বসবে। ভোগ হয়ে গেলেই ঠাকুর যাবে ভোগ মন্দিরে।

    এদিকে মকর নেবার ওখেনে হুড়োহুড়ি। বাড়ির বউ মেয়েরা অনেকেই উপোস রেখেছে, মকর খেয়ে তবে জল খাবে। ইতিমধ্যে নারায়ণের পরে শীতলার মকর ও দেখানো হয়ে গেছে। তবে তার প্রসাদ বিলি হয়না সবাইকে। পরে শুধু আমাদের পাড়ায় বাড়ি বাড়ি একটু প্রসাদ যায়। আরেকটা মজার ব্যাপার হল মেয়েরা এদিন "মকর" পাতায়। আমি এতদিন শুনতাম দীপাপিসী বাণীদিকে "মকর" বলে ডাকে, কাকীমা এক বৌদিকে ডাকে মকর বলে, এরকম আরো অনেকে আছে। কেন জানতাম না, জিজ্ঞেসও করিনি কাউকে। চান করে ভালো জামা বা কাপড় পরে যে দুজন মকর পাতাবে তারা একটা মকরের বাতি নিয়ে পুকুরে যায়। সেখানে একটু জলে নেমে মকর নিয়ে এ ওকে খাওয়ায়, সামর্থ মত একে অন্যকে কিছু উপহার দেয় আর মকর হয়ে যায়। তারপর থেকে তারা নিজেদের মধ্যে আর নাম ধরে ডাকেনা। পরস্পরকে মকর বলে ডাকে। ফুলদি বলল যারা খুব বন্ধু তারা যাতে চিরকাল বন্ধুই থাকে তারজন্য মকর পাতায়।
    আমাকে বামুনকাকার মেয়ে মীনু এসে বলল, "চল তোতে আমাতে মকর পাতাই"। মীনু আমার থেকে একটু বড় তবে ঊ সব খেলাতে আমার মতৈ দুধেভাতে হয়, তাই আমার ওকে খুব বন্ধুই মনে হল। আমরা হাত ধরে মায়ের কাছে গেলাম, কারণ মা না বললে তো মকর হওয়া যায়না। মীনুর কাউকে জিজ্ঞেস করতে হবেনা, ওর মা নাকি কিছু বলবেনা। মা মকর নিয়ে বাড়ি চলে গেছিল, সারাদিন মন্দিরে। শাড়ীটাড়ী বদলে খাওয়াদাওয়ার জোগাড় করতে, ভোগ হতে বেশী সময় লাগবেনা। মা আর্জি শুনে প্রথমটায় কি বলবে ভেবে পেলনা। তারপরে মীনুকে বোঝালো, "তোমরা তো এখন ছোট, আর একটু বড় হয়ে যাও, তারপরে মকর পাতিও।" মীনু একটু হতাশ হয়ে চলে গেল। ফুলদি সব শুনে খুব হি হি করে হাসল, তারপর দুদিন ধরে "মীনুর মকর", "মীনুর মকর" বলে খেপাল। পরে ভেবে দেখলাম মা ভালৈ করেছে। কাউকে মকর বলে ডাকাটা কেমন যেন পরে ভেবে বেশ বদখত লাগছিল!

    ভোগ রান্না শেষ। আগুন জল ঢেলে নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঠাকুরের পাল্কির চার বেহারা আসলে চারজন ব্রাহ্মণ। তারা নিয়ে এল ঠাকুরকে ভোগ মন্দিরে। শাঁখ আর কাঁসর ঘন্টা বাজতে থাকল সমানে। আমার ঠিক মন ভরলনা। পাল্কিটা আরও একটু গেলে দেখতে ভালো লাগত, তা না এই মন্দির থেকে ঐ মন্দির, দুপা দুরে, তুলতে না তুলতেই পৌঁছে গেল ঠাকুর। শুনেছি দোলের আগের দিন সন্ধ্যেয় ঠাকুর পাল্কি চড়ে বেরোন চাঁচর দেখতে আর গ্রামের অন্যপ্রান্তে ভটচাজদের ঠাকুরের সঙ্গে আবীর খেলতে। সেইদিন আমাদের ঠাকুর বেরোলে গ্রামের সবাই বেরিয়ে সেই যাত্রায় সঙ্গী হয় আর সবাই আবীর খেলে। মাকে বলতে হবে একবার দোলে নিয়ে আসতে, ঠাকুরের পাল্কি চড়া ভালো করে অনেকক্ষণ ধরে দেখা যাবে।

    পুজোটুজো করে ভোগ দেখানো হয়ে গেলে, ঠাকুর আবার ফিরে গেল মন্দিরে। দুপুর হয়ে গেছে অনেকক্ষন, সবাই এবার বাড়ির দিকে। ভোগের সরা গোছাতে লাগল কয়েকজনে মিলে। কার বাড়িতে কটা সরা যাবে তা কার কত অংশ তার ওপরে। আমাদের চারটে সরা, বড়জেঠুদেরও। মা আমাদের থেকে দুটো নিয়ে জেঠুদের দিয়ে দেয়, ওদের বাড়ী অনেক লোক। ভোগের পায়েস রাখা থাকে। আমরা বিকেলে ঘুম থেকে উঠে খাই। এত ভালো পায়েস আমি কোনোদিন খাইনি মনে হয়। মাকে বলি বাড়ীতেও এভাবেই পায়েস বানাতে। মা হাসে, এ ঠাকুরের জিনিস তাই এত স্বাদ। বাড়িতে আনালে এ স্বাদ হবেই না।
  • shrabani | 59.94.104.211 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৪:১২432548
  • বিকেলবেলা ব্রাহ্মণ ভোজন। সারা গ্রামের যত ব্রাহ্মণ বাড়ী আছে তাদের এক দুজন করে নেমন্তন্ন করে খাওয়ানো হয় প্রতি বছর। এছাড়া আমাদের বাড়ীরও সবাই খায় এইদিন একসঙ্গে। মেনুও নাকি প্রতি বছর একই থাকে। লুচি, বাঁধাকপির তরকারী, বেগুনভাজা আর খেজুর গুড়। নতুনবাড়ীর সদরে কুটনো কোটা শুরু হয়েছে দুপুর থেকে। কুলো, বড় বড় ঝুড়িতে ডাঁই করে রাখা বাঁধাকপি, আলু বেগুন। পাশের চালা যেখানে ওদের বাড়ীর ধানসেদ্ধ হয়ে, সেখানে দুটো বড় উনুনে আঁচ দেওয়া হয়েছে।

    এইদিন আমাদের কারো বাড়ীতে খুব একটা পিঠে হয়না, নিয়মরক্ষা কেউ একটু কিছু করে, যেমন মা করল পাটিসাপটা আর গোকুল পিঠে। উনুনে আঁচ পড়ল না, রান্নার হাঙ্গামা নেই বলে। চায়ের পরে স্টোভেতেই বানালো দুয়ারে বসে। আমার পাটিসাপটা খুব ভালো লাগে, গোকুল তত নয়। গোকুল পিঠে দাদার প্রিয়।
    এদিকে সংক্রান্তির দিনই গ্রামের অন্যান্য বাড়ীতে পিঠে তৈরীর দিন। বাড়ির ছেলেদের, কর্তাদের সব নেমন্তন্ন থাকে অনেক জায়গায়। রাতে বামুনভোজন বলে ছেলেরা দল বেঁধে সন্ধ্যেবেলাতেই হানা দেয় নেমন্তন্নের বাড়ী পিঠে খেতে। ফিরে এসে কে কটা কোথায় খেয়েছে তার ফিরিস্তি আর শো অফ চলে। আমরা ছোটরা রান্নার ওখানেই খেলতে থাকি। মেয়েরা কুটনো কাটে, লুচি বেলে আর গল্প করে। এসময় আর মকরের মতো কড়াকড়ি নেই, এরকম একটা কর্মহীন রাত তো আসে কালেভদ্রে বছরে একটা কি দুটো। তাই প্রাণভরে প্রাণখুলে গল্প জমায় সবাই!

    দুগ্গামন্দিরের সামনে আটচালায় ব্রাহ্মনদের খাবার জায়গা করা হয়। তারা খেয়ে গেলে তবে বাড়ির লোকেরা খাবে।আমরা গোল করে দাঁড়িয়ে থাকি খাওয়া দেখব বলে। ছোটরা কেউ কেউ যারা খাইয়ে বলে বিখ্যাত তাদের লুচি গোণে, তিরিশ, একত্রিশ, বত্তিরিশ। খাওয়ার পরে একটাকা দুটাকা দক্ষিনা দেয় বড়রা। অবাক হয়ে দেখি বামুনদের ছোট্ট ছেলেটাও কেমন গম্ভীর সে টাকা নিয়ে বুড়ো কর্তাদের হাত তুলে আশীব্বাদ করছে। খুব হাসি পেল ঐরকম ভাব দেখে।
    এরপর আমাদের খাবার পালা। দাদারা সব পিঠে খেয়ে এসেও আবার কমপিটিশন করে লুচি খেতে শুরু করে, এক একজন আউট হতে হতে শেষে একজন রয়ে যায়। এতসব কান্ডের মধ্যে আমার আর খাওয়াটাওয়া খুব হয়না, সারাদিনের হুড়দাঙ্গায় ঘুমে চোখ ঢুলে এসেছে, শেষপর্যন্ত কে ফার্স্ট হলো না দেখেই ঘুমিয়ে পড়েছি মায়ের কোলে।

    পরদিন আমাদের পিঠের হিসেবে আসল দিন। এদিন সব বাড়ীতে হয় সেদ্ধ পিঠে আর দুধ পুলি। যার বাড়ীতে যত লোকই হোক না পিঠে হবে অনেক। এই দিনের পরে আর সেদ্ধ পিঠে কেউ বানাবেনা। অন্য রকমের ফ্যান্সী, জলখাবারী পিঠে বানাতে পারো কিন্তু পিঠে সেদ্ধ এই এক দিন। কম করে দু তিন দিন ধরে পিঠে থাকে। যেই আসে, বন্ধুবান্ধব, কাজের লোক মায় ভিখারীকে পর্যন্ত পিঠে খাওয়ানো হয়। আমাদের বাড়িতে মা কমই বানায়। প্রথম কারণ হচ্ছে, আমরা বেশী খেতে পারিনা, দ্বিতীয় পরদিন চলে যাব আর মা ছাড়া পিঠে বানানোর লোক নেই। মাখা গড়া সেদ্ধ এসব অনেক মেহনতের কাজ। কে সাহায্য করবে, সবার বাড়ীতে পিঠে আজ।

    পিঠের পুরও নানাবিধ। ঝাল ঝাল করে জিরে লঙ্কা গুঁড়ো দেওয়া ডাল, বাঁধাকপি, সাদা নারকেল, মিষ্টি ছাঁইমারা নারকেল। দুধপুলির জন্য খোয়া আর নারকেলের চিনি দিয়ে ছাঁই। ঝোলের মত খেজুর গুড় দিয়ে হাপুস হুপুস করে গরম পিঠে খাওয়া গরম উনুনের ধারে বসে বসে। যত ঠিকঠাক পিঠের উপাদান হবে আর ঠিকমত বানাতে পারবে (একদম বেশীও না কমও না সেদ্ধ) তত পিঠে হবে দুধসাদা। এখানে মায়ের করা পিঠে যেন একটু বেশীই সাদা হয়, মা বলে জলের গুণ। আমার কাছে তখন খাওয়ার চেয়েও তৈরী হতে দেখা এটাই অনেক মজার। আর এই তিনদিন তো অফিশিয়ালি পড়া থেকে ছুটি, তাই সবকিছুই বেশী বেশী ভালো লাগে। গড়ার সময় বাবাও হাত লাগায়, অনেক বায়না করলে মা আমাদের একটা দুটো গড়তে দেয়। তারপর নিজের গড়া পিঠে খুঁজে খাওয়া, সে এক দারুন উত্তেজনা। আমার মা আবার শেষ দিকে পুতুল পাখি ফুল গড়ে আমাদের জন্য। খাওয়ার সময় তার কি যত্ন, পুতুলের একটা হাত দিয়ে শুরু, পাখির লেজটা শেষে মুন্ডুটা।

    ব্যস, নটেগাছ এখেনেই মুড়োলো। বাসী পিঠে জল খেয়ে, জেঠীর হাতের তাড়াতাড়ি রাঁধা ঝোল ভাত খেয়ে বাক্স প্যাঁটরা নিয়ে রওনা দেওয়া। গোমড়া মুখ গুলোতে হাসি ফোটাতে বাবার প্রতিশ্রুতি, যদি রেজাল্ট ভালো করি আর মন দিয়ে লেখাপড়া করি পরের বছর নিয়ে আসার কথা ভাবা যাবে।

    সেরকমটা কি হয়েছিল? ঠিক মনে নেই, হয়ত হ্যাঁ, হয়ত নয়। তবু প্রথম পৌষপাব্বণের স্মৃতিটাই এখনো জীবন্ত এই মনে।

    হ্যাঁ হয়, এখনো মকর হয় ওরকমই, তবে মকর পাতায় না হয়ত কেউই। ভোগ মন্দিরে গুড়ের পায়েস রান্না করে জেষ্ঠ্য রায়, ব্রাহ্মণ ভোজনে গ্রামের বামুনদের সাথে সাথে লুচি বাঁধাকপি গুড় খায় সারা পাড়া। তবে লুচি খাওয়ার কমপিটিশন কেউ করেনা, না বামুনেরা না বাড়ির ছেলেরা। পিঠেও হয়, তবে কমকম, এখন অত কেউ খেতে পারেনা, দেওয়াথোয়ারও অত চল নেই। দেবার লোকই নেই আজকাল, যারা নিতে আসত তারা আর তেমন আসেনা, নিজেদের বাড়ীতেই পিঠে পুলি করতে পারে।

    হয়ত যেতে পারি আবার স্মৃতিটাকে ঝালাতে, কিন্তু হয়ে ওঠেনা। কোন না কোন কাজ পড়ে যায়। সবাই বলেও আসতে খুব, তবু হয়না। কে জানে, হয়ত ইচ্ছেটাই নেই, মনের কোথাও একটা আশংকা রয়ে গেছে হয়ত। ভোগের পায়েসের যদি সেই স্বাদ না পাই আর? গনগনে আঁচে অনভ্যস্ত জেঠুর ফরসা লাল মুখটার জায়গায় অন্য কেউ? সে কেমন লাগবে?
    যদি কালচে পিঠে দেখতে হয় সাদা ধবধবে পুলির জায়গায়? মায়ের অসন্তোষে ভ্রু কোঁচকানো জ্বলজ্বলে সিঁদুরছটার মুখটার জন্য যদি কেঁদে ওঠে তখন?
    যদি গাদা গুলো খুব কম লাগে, আমাদের বিশাল মাঠটাকে ছোট? তারচেয়ে এইরকমই থাকনা, সব সেই আগের মতো, চিরসবুজ আমার সেই ছোটোবেলার শীতের পৌষালী দিনগুলো!
  • M | 59.93.161.34 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৪:২৮432549
  • শ্রাবনী ,
    একদম ঠিক, সত্যি যেয়োনা।ছোটবেলার চোখটা আর মনটাও তো নেই, আমি এই ভুল করে আমার এক খুব মিষ্টি স্মৃতি ঘেঁটে ফেলেছি।আর এই টইটা আরো লেখো, এবার অন্য জায়গার শীতকাল।
  • M | 59.93.161.34 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৪:৩০432550
  • ও হ্যাঁ, খুব ভালো লেগেছে, আমারো ছোট বেলায় শীতের এমন স্মৃতি রয়েছে, তাই আরো ভালো লাগলো।

    আমিও ঢেঁকি তে একবার নাচানাচি করেছিলুম কিন্তু এত হাল্কা ছিলাম যে কিচ্ছু করতে পারিনি। ভ্যাঁক।
  • Dalia | 83.83.40.194 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৪:৩৯432552
  • M,
    এক নি:শ্বাসে খেয়ে ফেললাম তোমার পাঠানো কুলের আচার, কি ভাল যে লেগেছে, কি বলি। হ্যাঁ, আমি ই সেই হল্যান্ডের ডালিয়াদি।আর তুমি !!!!!!!!!!!!!!
  • shrabani | 59.96.160.112 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৪:৪২432553
  • টাইপো:

    ওও*
    মতোই*
    ভালোই*
  • M | 59.93.210.138 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৬:৪১432554
  • ডালিয়দি,
    আমি কিকি/চিনার/মানসী

    চিনলা?
  • d | 117.195.34.109 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৭:১৯432555
  • টিপিক্যাল "শ্রাবণী স্টাইল'এর লেখা। কাজে কাজেই ...... :) আগে একবার বলেছিলাম বোধহয়, যে জীবনটা আমি যাপন করি নি, সেটার কিছু গল্প শুনতে অদ্ভুত ভাল লাগে। আর এই গ্রামের অপেক্ষাকৃত অবস্থাপন্ন ঘরের পুরানো আচার আচরণ, পুজো পার্বণ, হইচই, জাঁকজমকের ছবি আঁকতে শ্রাবণী, পাল্লিন আর পিপি এক্কেবারে সিদ্ধহস্ত।

    আমার মামাবাড়ীতে আর পরে আমাদের বাড়ীতে (নিজেদের বাড়ী হওয়ার পর) মকরসংক্রান্তি আর বাস্তুপুজো হত, হয় এখনও নমোনমো করে। তবে তার গল্পসল্প আলাদা কিসিমের।

    এইবারে পাল্লিন আর পিপিও যদি নিজের নিজের গল্পের পোঁটলা খুলে বসত তো বড় ভাল হত।
  • shrabani | 59.94.103.152 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৭:২৩432556
  • দম,
    :)!
    সত্যি অনেককাল পাল্লিনের লেখা দেখিনি, দুই পুঁটিকে নিয়ে ব্যস্ততার ফাঁকে একটু যদি গল্প বলত।
  • dalia | 83.83.40.194 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৮:৫৮432557
  • কিকিয়া ------
    কি মজা!!!!!!!!!!১ আমাদের কিকিয়া ও এইখানে? আ জাও কিকিয়া, বৈঠ, আউর গল্প ভি বল, হে হে হে!!!
  • SS | 128.248.169.66 | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০২:৫৫432558
  • শ্রাবণী, লেখা খুব ভালো লাগল। আমার ছোটোবেলাও কিছুটা এরকম, সঙ্গে দু'বছরের জন্য অন্য এক 'শ্যামের পাঠশাল' এর অভিজ্ঞতা।

    আর পুজোর ধারাবিবরণী, শ্যামের পাঠশাল টই গুলো মাঝে মাঝেই পড়ি। প্রত্যেকের লেখা ভীষণ সুন্দর আর সাবলীল।
  • Shuchismita | 71.201.25.54 | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৩:২৪432559
  • ভারী সুন্দর!
  • sanjoy | 122.162.53.94 | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২১:৫৫432560
  • দুর্দান্ত
  • scott | 174.18.164.158 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১০ ০৫:৪৫432561
  • ইরিশ শলএলী ব্লর্ন্য স্তোনে ই বুদ্ধ নীদ হেল্প
  • scott | 174.18.164.158 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১০ ০৫:৪৮432563
  • ৫ চিনেসে য়েমোন মিসি্‌সঙ্গ অরে্‌রস্তেদ ৪ প্রোপসিসিওনিঙ্গ মে য়িচ নেএর হপ্পেন্দ ওপ্স ত্রুম্প উপ ইনেস য়েন ই ওম্‌প্‌লনে নীদ হেল্প বীন ওম্‌প্‌লইনিঙ্গ ৪ অবৌত ৮ মোন্‌থ্‌স নোয় অসপ
  • kallol | 220.226.209.2 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১০ ০৯:৩৮432564
  • বব্বা এটা কী? ১৭ শতকের জর্মন না কামস্কাটিয়ান?
    শুধু - বুদ্ধ নিড হেল্প - টা বোঝা গেলো।
    কি ধরনের হেল্প চাই তা জানতে যদি স্কট বা বুদ্ধবাবু একটু হেল্প করেন তো..........
  • shrabani | 124.30.233.102 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১০ ০৯:৫১432565
  • কিন্তু বেছে বেছে এই টই কেন!:(
    আমি তো সকালে দেখে ভাবলুম আবার শীত এসেছে বলে কেউ তুলে লিখেছে, খুলে দেখি এই কান্ড!!
  • kallol | 220.226.209.2 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১০ ১০:০৯432566
  • তাও বটে। তবে আমার মনে হয় ভদ্রলোক খুবই বিপদে। তাই সামনে যা পেয়েছেন তাতেই হেল্প হেল্প বলেছেন।
  • dd | 124.247.203.12 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১০ ১০:২৫432567
  • ফাইভ চাইনীজ উওমেন মিসিং অ্যারেস্টেদ ফোর....
    তাই তো ?
  • d | 14.96.0.175 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১০ ১০:৪১432568
  • 'irish shalaelI blarnya stone i buddha need help. '??
  • Bratin | 122.248.183.1 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:১৩432569
  • আমার কাছে শীতের দুপুর মানে ছাদে রোদে দেওয়া লেপের ওপর বসে আখ আর কমলালেবু খাওয়া। দাবার বই থেকে পছন্দের খেলা গুলো চেলে দেখা। রেডিও তে ভেসে আসা যাত্রা দলের প্রোমো।খুব প্রিয় ছিল সেই সময়। (এখনো একট দুটো মনে আছে । যেমন অপ্সরা অপেরার "বাইরে ভালো ভেতর কালো র রঙীন ফানুস ময়লা মানুষ" )। আর অলস দুপুরে পাশের মাঠে ক্রিকেট খেলা । পাড়া/বেপাড়ার সাথে ম্যাচ ধরা।
  • Netai | 121.241.98.225 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:০৫432570
  • এই ধাঁধাঁটা উদ্ধারের চেষ্টা করছিলাম-
    '5 chinese womon missing arrested 4 propasisioning me yich never happend ops trump up ines yen i complene need help complaining 4 about 8 months noy asap'

    তবুও মানে বের করতে পারলাম না
  • titir | 128.210.80.42 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:১৪432571
  • শীতের দিন শুরু হত, কালিপুজার পর থেকে। হাল্কা হিমের পরশ ছুঁয়ে যেত সকালবেলার ঘাসগুলিকে। ঠাণ্ডা ভেজা ভেজা। ঘাসে পা পড়লেই শিউরে ওঠা। সুর্যের আলো আসত বেশ দেরী করে। সকালবেলায় পড়তে বসার আগে পরখ করে দেখে নিত সবাই, কোথায় আগে আলো আসবে। সেই অনুযায়ী মাদুর পেতে তল্পিতল্পা নিয়ে বসে পড়া। আধ বা একঘন্টার পরে পেটে টান পড়লেই মুড়ি খাওয়ার জন্য ভেতর পানে ছুট। দুধ, চিনি মুড়ি ছিল নিত্য দিনের জলখাবার। গ্রামে গঞ্জে পাউরুটির তেমন প্রচলন ছিল না। তার বদলে বাড়িতে ভাজা মুড়ি বা রুটি সহজলভ্য।
    বাড়ির কাজের লোকেরা কিন্তু বেশ আয়েশ করে এই শীতের সকালে বাসি তরকারি বা বেগুন বা আলুপোড়া দিয়ে যখন পান্তা বাত খেত, অর্ধেকপ্রাণ ছুটে যেত সেই স্বর্গীয় বস্তুর স্বাদ নিতে। কিন্তু বাবার কড়া নিষেধ ছিল পান্তাভাত না খাওয়ার। তাই তার স্বাদ আর নেওয়া হয় নি শীতকালে।
    স্কুল শুরু হত এগারোটা থেকে।স্কুল অনেকটা দুরে, বাসে করে বা হেঁটে যেতে হবে। তাই সাড়ে নটা বাজতে না বাজতে বইখাতা গুছিয়ে স্নান । সেই নিয়ে এক ধুন্ধুমার কাণ্ড। শীতকাতুরেরা স্নান করতে চাইতনা কিছুতেই। ভাই আর নেড়ু(জ্যাঠতুতোভাই) ছিল এইদলে। আসলে স্নানের জন্য পুকুরের বা কলের জলই ভরষা। মা বড়মাদের অতো সময় কোথায় স্নানের জল গরম করার। তারা তো তখন রান্নাঘরে ছ্যাঁক ছোঁক করে স্কুলের ভাত তৈরী করতে ব্যস্ত। ছোটরা সারা গায়ে ভালো করে তেল মেখে দে ডুব পুকুরের জলে বা কলের জলে। এই পুকুরের জল, রোদের তাপ পেয়ে ধোঁয়া ছাড়ত সকালবেলায়। পুকুরের জলে নাবার আগে যেই একটু ইতস্তত করত, অমনি বড়রা বলত, যে আগে স্নান করে নিতে পারবে তার সব শীত অন্যের গায়ে চলে যাবে। সেই শুনে 'কে আগে প্রাণ, করিবে দান" এর বদলে ঝপাং করে একটা ডুব দেওয়া হতে যেত পুকুরে।
    এদিকে মায়েরা বাছাদের জন্য গায়ে রোদ লাগবে এমন জায়গায় আসন পেতে ভাত বেড়ে বসে থাকত। ভাত, ডাল, কিছু একটা তরকারি আর ভাজাভুজি। ঘী আর লেবু শীতকালের আর এক উপকরণ ভাতখাওয়ার। এই ঘী হত, বাড়ীর গোরুর দুধ থেকে। তবে এই দুধ আর ঘীতে আমাদের আসক্তি ছিল বড্ড কম। তাই নিয়ে মা খুব রাগ করত। আমাদের তখন বয়ে গেছে মায়ের রাগ দেখতে। তার বদলে দুচারতে ভাত গলধ:করন করে দে ছুট বাস ধরতে। বাস না পেলে হণ্টন তো অবধারিত। স্কুল, সে একদিন না গেলে পেটের ভাত হজম হবে না যে। একদিন স্কুল বন্ধ মানে সে যে কি বিচ্ছিরি ব্যাপার তা ভুক্তভোগীই জানেন। তাই পারতপক্ষে নো স্কুল বন্ধ। একবার বড়পিসির বাড়িতে কি একটা অনুষ্ঠান শেষ করেই না খেয়ে দেয়ে স্কুলে গমন, অত:পর বাড়ি থেকে ডাক এলো স্কুল শেষ না করে বাড়ী যেতে হবে বাহকের সঙ্গে। কি যে রাগ হয়েছিল মায়ের উপর। একবেলা না খেলে কেউ যেন শুকিয়ে যায়?
  • de | 59.163.30.3 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১০ ১০:৪১432572
  • বা: তিতির! খুব ভালো লাগছে-- চলুক!
  • shrabani | 124.124.244.109 | ১০ ডিসেম্বর ২০১০ ১৫:২৮432574
  • আরেক পৌষ সংক্রান্তির কথা....
    -------------------------------------
    শীতকাল আবার সবখানেই এক হয়না, কেমন বদলে বদলে যায় স্থানকাল ভেদে। ছোটবেলায় শীত মানেই ছুটি আর ছুটি মানেই মজা। সংক্রান্তি,পিঠেপাব্বন ,চড়ুইভাতি, কত খুশী আর আনন্দের পৌষবেলা। সময়ের সাথে সাথে কিভাবে আস্তে আস্তে যেন সেসবের মানে গুলো পাল্টে যেতে থাকল আমাদের কাছে। নতুন বছর, ক্রীসমাস, এসব আগেও ছিল কেক কমলালেবু আর বচ্ছরকার চিড়িয়াখানা যাত্রায়।বড়বেলায় এরাই কিরকম যেন মুখ্য হয়ে দাঁড়াল!
    পছন্দের খাবার হিসেবে পিঠেপুলির কদর অবশ্য কেক পেস্ট্রির চেয়ে কম হল না কিন্তু সেই বিশেষ তিনদিনের পিঠেভাত খাওয়া ঘিরে যে উৎসাহ উদ্দীপনা সেসব ছিলনা। অন্য যে কোনোদিনের পছন্দসই জলখাবারে আর পিঠে খাওয়ার মধ্যে তফাত কিছু রইল না।

    তবু শীতের আবহাওয়াটাই এমন যে মন ভালো করে দেয়। নানান মেলা, খাওয়াদাওয়া, শীতের ফ্যাশন, একটু এগিয়ে বইমেলা এসব আর অন্য কোন সময় পাওয়া যায়। কখনও খুব জোশ এলে ছোটখাটো ভ্রমণ, বাড়ীর সবাই মিলে একদিন দীঘা, বন্ধুরা মিলে পিকনিক।
    তবে এসব তো প্রতিবছরের গল্প, নতুনত্ব কিছু নেই। এই গল্পটাই একদিন বদলে গেল, এতকালের চিরচেনা শীতকাল সেবছর এল অন্যজায়গায়,অন্যভাবে।

    ......চাকরিজীবন.... প্রথম প্রথম মনে হয় যেন ডানা মেলার বেলা,বিশেষ করে তখন যখন ডানায় কারুকাজ। যদি আবার সেই ডানা মেলে উড়ে যাবার সুযোগ হয় তখন তো সোনায় সোহাগা! নতুন আকাশের হাতছানি যা কিছু পুরনো সব কেমন যেন ভুলিয়ে দেয়। প্রতি দিনই রঙীন, প্রতি রাতই উৎসবের রাত্রি।
    গ্রীষ্ম বর্ষা শরতের দিন কেমন করে যে পেরিয়ে এলাম নতুনকে আবিস্কারের আনন্দে। প্রত্যেক দিন হইহই করে কাটে, রাত কাটে আরেক নতুন দিনের প্রতিশ্রুতিতে।
    বেশ কাটছিল দিনগুলো, একদিন হঠাৎ হেমন্তের শেষে শিশির ভেজা সকালে ঘুম ভেঙে শিরশির অনুভব। হিসেব করে ঘুম না ভাঙিয়ে গায়ে চাদর ঢেকে দেবার লোকেরা তখন কয়েকশ মাইল দুরে। ঘুমচোখে হাত বাড়িয়ে এদিক ওদিক করে কোনোরকমে চেয়ারে রাখা আধময়লা বেডকভারটাই তুলে নিয়ে গায়ে জড়াতে হয়। আবার একপ্রস্থ ঘুমে ডুবে যেতে যেতে ছোট্ট একটা অনুভূতি, শীত এল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন