এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গুরুতে প্রথম কি ভাবে - গুরুর যা ভাল লাগে

    shrabani
    অন্যান্য | ১৭ এপ্রিল ২০০৯ | ১৪৯৯৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Bratin | 14.99.164.77 | ০৩ এপ্রিল ২০১২ ২২:৩০412541
  • ২০০৬ থেকে পড়ি। ২০০৬ ই প্রথম লিখি মনে হয়। ব্ল্যাঙ্কি আর অপ্পন কে তোমরা কোথা থেকে লিখছো জিগাতে নিজেদের আই পি দিয়েছিল। হনু আমকে নিয়ে একটু মজা করেছিল। তরপরে আস্তে আস্তে কত বন্ধু হয়ে গেল।ব্ল্যাঙ্কি, সুদীপ্ত,ব্রতীশ,সিঁফো,কেসি,আকা,মিঠু,সৈকত,শ্রাবনী দি,অপ্পন,অরি,রঞ্জন দা,কল্লো ল দা, ডিডি,শিবাংশু দা,শিবু দা,রিমি,ওমনাথ,নীনা দি,বোধি দা, বৈজয়ন্ত,দুখে,সুচেতনা দি আর ভিকি দা,দুই পারমিতা,ন্যাড়া দা। পরে এল মানসী,ব্যাং,কুমু দি,নেতাই,কাজু,সদা।
  • Bratin | 14.99.164.77 | ০৩ এপ্রিল ২০১২ ২৩:১৩412542
  • ধুর অনেকের নাম বাদ গেল তীর্থং দা, লসাগু দা,দু দি, সায়ন( কবি),অভ্যু। আরো অনেকে আছে...
  • Binary | 198.169.6.50 | ০৩ এপ্রিল ২০১২ ২৩:১৮412543
  • যা: বোতিন আমারেও ভুলে গেল
  • aka | 168.26.215.13 | ০৩ এপ্রিল ২০১২ ২৩:২০412544
  • এটা বোতিন বরাবরই করে। একটা ড্রাফট লিস্টের পরে অসংখ্য ভার্সন।
  • Sam | 117.216.200.64 | ০৩ এপ্রিল ২০১২ ২৩:২৫412545
  • ব্যাঙ্গালোরে বেঙ্গলি ইন ব্যাঙ্গালোর এর সরস্বতী পুজোতে ২০১০ এ প্রথম গুরুচন্ডালি পত্রিকা হাতে পাই. ওতে এক ব্যাগ ল্যালা দেখে প্রেম শুরু.
  • Bratin | 14.99.164.77 | ০৩ এপ্রিল ২০১২ ২৩:২৭412546
  • সরি বায়নারী দা। :-((

    তুমি তো অনেক আগে থেকে লিখতে। তখন কার কথা একটু বলো না।
  • Tim | 198.82.16.242 | ০৩ এপ্রিল ২০১২ ২৩:৩০412547
  • আমার নামও বলে নি। সব নোট করে রাখছি।
  • Bratin | 14.99.164.77 | ০৩ এপ্রিল ২০১২ ২৩:৩২412548
  • সরি। আর ভার্সান দিলে আকা ক্যালাবে :-((
  • Binary | 198.169.6.50 | ০৪ এপ্রিল ২০১২ ০১:৫৫412549
  • ক্যালানোর ভয়ে বন্ধু বিচ্ছেদ ? এ কি পোষাবে ? ব্রতীন ?
  • SC | 150.212.34.209 | ০৪ এপ্রিল ২০১২ ০২:০৪412551
  • কবে পেথোম লিখেছিলাম মনে নেই। পাইদি বলেছিলো না লিখলে মারবে, তাই ভয়ে ভয়ে লিখেছিলাম এসে। :)

  • kelo | 117.254.246.8 | ০৪ এপ্রিল ২০১২ ০২:৫৯412552
  • ও: সে কতকাল হয়ে গেল।
    আমার প্রথম কোন অনলাইন কম্যুনিটিতে যোগ দেওয়া বোধহয় আটানব্বুই কি নিরানব্বুই সনে। তখন স্ল্যাশডটে যোগ দিয়েছিলাম। তার পর থেকে স্যোসাল, অ্যান্টিসোস্যাল, এত কম্যুনিটিতে যোগ দিয়েছি যে তার সবার আইডি আর পাসওয়ার্ড লিখে রাখার জন্য আমার একটা জাবদা কালো খাতাই রয়েছে। নতুন কোন জায়গায় খাতা খুললেই তড়িঘড়ি ঐ কালো খাতায় নাম-পাসওয়ার্ড জায়গাটার ইউআরেল লিখে রাখি। ইদানীং অবশ্য গুগল ডকে একটা প্যারালাল স্প্রেডশীটও বানিয়েছি ঐ খাতার ডাটাসমূহকে একত্র করে। খাতাটা তো আর বগলদাবা করে বিশ্বময় ঘুরে বেড়ানো যায় না। আর সবাই গুরুর মত সহজ সরলও না, যে ঐসব তথ্য যাচাই না করে ঢুকতে দেবে।

    গুরুতে প্রথম কিভাবে-
    -------------------

    ২০০৪ সাল বোধহয়, আমার ইস্কুলের বন্ধু সমরজিত তখন আমেরিকায়। একদিন, মানে, এক রাতে ইয়াহুচ্যাটে আলোচনা হল যে নিজেরা একটা ওয়েবসাইট বানালে কেমন হয়। তো যা ভাবা তাই কাজ। পরদিন আমি গিয়ে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কে ক্যানডিড-ইনফো র নামে ২৫০ টাকার একটা চেক ফেলে এলাম। এদের দিয়েই আমরা ডোমেন রেজিস্ট্রেশন করিয়েছিলাম। আমাদের ডোমেন হল নক্সীকাঁথা ডট নেট। আমরা ঠিক করেছিলাম সেখানে আমাদের নিজেদের লেখা আর নিজেদের তোলা ছবি রাখব। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু বান্ধবের লেখাপত্তরও রাখব। বহুবার হোস্ট পাল্টে পাল্টে চলে, সে সাইট বোধহয় গতবছর কি তার আগের বছর বন্ধ হল।
    নক্সীকাঁথা ডট নেট খোলার পরেই সমরজিত তার আইবিএম এর বন্ধু সৈকত এর বানানো ওয়েবসাইট গুরুচন্ডালীর লিঙ্ক দিয়েছিল। সেই আমার প্রথম গুরুতে আসা। টিনটিন বোধহয় তখনো জন্মায় নি। সে কি আজকের কথা!
    তারপর থেকে অনিয়মিত ভাবে গুরুতে আসতাম, যেমন আজও আসি। একদিন লিনাক্স না কি নিয়ে একটা থ্রেডে লিখতে গিয়ে সমরজিতের রেফারেন্স যেই না দিয়েছি, অম্নি আধ ঘন্টার মধ্যে সৈকতদার ফোন। কোত্থেকে ফোন্নং জোগাড় করেছে কে জানে !

    গুরুর যা ভাল লাগে-
    ---------------------

    গুরুর যা ভাল লাগে তা তো আমি আপনাদের মত পয়েন্ট করে গুছিয়ে বলতে পারব না। আপনারা ট্রেনের জেনারেল কম্পার্টমেন্টে যাতায়াত করেন নিশ্চয়ই। (যদিও জানি. দায় না পড়লে কেউ করে না)। আমি কিন্তু রিজার্ভড কম্পার্টমেন্টের চেয়ে জেনারেলে অনেক বেশী স্বচ্ছন্দ, জেনারেলই আমার বেশী পছন্দের।
    ধরুন ডিডিদাদা আমাকে এই শনিবার শ্রী-সেন্নাইতে জলপান করার নেমন্তন্নো করলেন। আমার কিন্তু রাজী হতে কিচ্ছু ভাবতে হবে না। বিজয় মাল্য কে যাতায়াতের কারনে একরাশ টাকাও দিতে হবে না, (অন্য কারনে সেটা ওনাকে ডিডিদাদাই দেবেন)। চাট্টি ডিমের ঝোল ভাত খেয়ে, বিষ্যুদবার বিকেলের দিকে হাওডা বা সাঁতরাগাছি গিয়ে কোন একটা ট্রেনের জেনারেলে উঠে পড়লেই চলবে। আপনারা হাঁ হাঁ করে উঠবেন। বলবেন আপনি একা মানুষ ওরকম পারেন। আমরা বৌ বাচ্চা নিয়ে সঙ্গের দামী জিনিসপত্র নিয়ে জেনারেলে দু রাতের রাস্তা যাওয়া অসম্ভব (তাও আবার বিষুদবারের বারবেলায়)।
    - - কী জানি, দামী জিনিস তো আমার কাছেও থাকে। একটা নিকন ডি-৮০ ক্যামেরা একটা নেটবুক আর একটা মাঝারী দামের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল তো থাকেই। ক্যামেরাটা আছে ২০০৫ থেকে নেটবুকটা ২০০৮ থেকে আর মোবাইলটা ২০১০ থেকে। আমি তো বসে বসে অজানা লোকের দেওয়া খাবার খাই, যে ব্যাগে ক্যামেরা আর নেটবুক রয়েছে সেটার দিকে গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে ঘুরেও দেখি না। তাও তো কিছু চুরি যায় নি, হারায় নি। মানুষকে বিশ্বাস করে তেমনভাবে ঠকি নি আজও। জানি কালই ঠকতে পারি। বিশ্বাস করে বিষ মেশানো খাবার খেয়ে হারাতে পারি ক্যামেরা, ঘড়ি, মোবাইল, মানিব্যাগ এমনকি কিডনি পর্যন্ত। (প্রাণ হারাব না এটুকু আমার বদ্ধমূল বিশ্বাস, তাই এর চেয়ে আমাকে নাবাতে পারবেন না কিছুতেই) কিন্তু বিশ্বাস করুন, কিছুই হারাই নি। পরিবর্তে মানুষকে অবিশ্বাস করলে হারাতাম বহু সুন্দর মূহূর্ত, পেতাম না বহু সুন্দর মানুষের পরিচয়। যাঁদের কথা মরার সময় পর্যন্ত মনে থাকবে।
    শিখতে পারতাম না অনেক কিছু।
    পরিবার নিয়ে জেনারেলে যাবার হ্যাপার কথা যদি বলেন, তবে একটা গল্প শোনাতে পারি-
    আমার তো আর আপনাদের মত ঢাউস পরিবার নেই। থাকার মধ্যে মা আর আমি। তার মধ্যে মার বয়েস পঁচাত্তর তাই রেলে মোটামত ছাড় পান। তাই উনি দূরে গেলে এসি থ্রী বা টু টিয়ারেই যাতায়াত করেন। (হাজার হোক আমার মত অ্যানার্কিস্ট নন তো!)
    একবার আমরা পন্ডিচেরী থেকে ফিরছি। তখন সবে দিদি হাওড়া পন্ডিচেরী সরাসরি ট্রেন দিয়েছেন। কিন্তু মুশকিল হল যে ট্রেনটা রাতের দিকে হাওড়া পৌঁছায়। তার ওপর সেদিন বেজায় লেট। শ্রী-কাকুলাম পেরোতে হিসেব কষে দেখা গেল ট্রেন মাঝরাত বরাবর হাওড়া পৌঁছাবে। কে অত রাতে ট্যাক্সিঅলার সঙ্গে ভাড়া নিয়ে দর কষাকষি করবে! তাই ট্রেনে বসেই আমরা ঠিক করে ফেল্লাম কলকাতা নয়, পুরী চলে যাব, পুরীতে দুদিন কাটিয়ে একটা ভাল সময় পৌঁছায় এমন ট্রেন দেখে কলকাতা ফিরলেই চলবে। বসে বসেই ফোন লাগিয়ে এক বন্ধুকে দিয়ে রাজ হোটেলের কাছে একটা হলিডে হোম ঠিক করে ফেলা গেল। বিকেলের দিকে আমাদের ট্রেন ভুবনেশ্বর পৌঁছাবে। নেট ঘেঁটে তখন এমন কোন ট্রেন পেলাম না যেটা ঐ সময় পুরীর দিকে যাচ্ছে কিন্তু সেটাতে স্লিপার ক্লাসে রিজার্ভেশন খালি আছে। সুতরাং শেষ বিকেলে কপাল ঠুকে ভুবনেশ্বরে নেবেই পড়লাম আমরা। তখনো সমস্ত ট্রেনে পাঁচ সংখ্যার ট্রেন নাম্বার হয় নি। ফলে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের টাইমিং দেখা যেত না ইরেল ডট ইন থেকে। এখন যায়। নেবে প্লাটফর্মের আধো অন্ধকার জায়গায় মা কে একটা গাছতলায় বসালাম। ব্যাগ রেখে নিজেও বসে একটু জিরিয়ে নিলাম। পাশে দেখি তিনজন লুঙিপরা দাড়িওয়ালা মুসলিম বসে ওড়িয়া ভাষায় নিজেদের মধ্যে কথা বলছে। তাদের সঙ্গে বিরাট বিরাট হাতা খুন্তি কড়াই ডেকচী। বুঝলাম তারা রসুয়ে বামুন ( আই মিন উড়িয়া- মুসলীম-পাচকঠাকুর)। তাদেরকে বাংলায় বললাম যে পুরী যাব, টিকিট কাটতে যাচ্ছি মা কে আপনাদের হেফাজতে রেখে গেলাম, ওনার কিছু দরকার পড়লে একটু দেখবেন। ওরা আশ্বাস দিলেন। টিকিট কেটে, প্যাসেঞ্জার ট্রেনের টাইম জেনে তিন প্যাকেট দিদির লুচি (দশ টাকার জনতা মিল) কিনে ফিরে এলাম। এসে এক প্যাকেট খুলে খেতে শুরু করলাম ওদেরকেও অফার করলাম, ওরা নিলেন না যদিও। আমাকে ওরা নানা প্রশ্ন করা শুরু করলেন। সব জবাব দিলাম। ওরা বল্লেন ওরা পুরীর দিকে যাবেন না, ওরা খুরদা রোড থেকে সোজা যাবেন বেরহামপুরের দিকে। জায়গাটার নাম বলেছিলেন, আমার এখুনি মনে পড়ছে না। আপনাদের সেন্নাই-লুরুর মোটা মোটা গাড়ী সেখানে দাঁড়ায় না। টিকিট কাটার সময় শুনে এসেছিলাম খানিক পরেই কটক-পুরী প্যাসেঞ্জার আছে। খেয়ে দেয়ে জল খেয়ে বসে আছি এমন সময় সেই প্লাটফর্মেই আমাদের গাড়ী দিল। গাড়ী যখন ঢুকছে, তখন আমার দুই সঙ্গী উঠে দাঁড়ালেন ট্রেনে উঠবেন বলেই হয়ত। আমি একটু অবাকই হলাম। কারন এরা তো সোজা যাবে বলেছিল, তা- এই গাড়ী তো খুরদা থেকেই বাঁয়ে পুরীর দিকে ঘুরে যাবে, বেরহামপুরের দিকে তো যাবে না। আমি ভাবলাম কি জানি, হয়ত এই গাড়ীতে খুরদা রোড অব্দি গিয়ে ওরা অন্য গাড়ী ধরবে। আমি আর ওদের কিছু জিঞ্জেস করলাম না। গাড়ীতে বেশ ভীড় হবে বুঝতে পারলাম। কারন অ্যানাউন্সমেন্টের পরেই বেশ লোক চলে এসেছিল আমাদের প্লাটফর্মে। এবার ব্যাগ ঝুলিয়ে আমি রেডী হয়ে নিলাম, মাকে আমার পেছনে পেছনে থাকতে বললাম। আমার রসুই-ঠাকুর বন্ধুরা ততক্ষনে দরজার পাশে পজিশন নিয়ে নিয়েছেন। নিশ্চয় ওরা আগে উঠে জায়গা রাখবেন। পরে অল্পবয়সী ছেলেটি আস্তে আস্তে হাঁড়ি কড়াই তুলবে। গাড়ী তো মোটে এক মিনিট দাঁড়ায়। যাক আমার অত ভেবে কি হবে। মাকে বসাবার জায়গা নিয়ে আমি বিন্দুমাত্র চিন্তিত ছিলাম না। বহুবারের দূরপাল্লার জেনারেলে ভ্রমনের অভিজ্ঞতা থেকে জানি, যে লোক বুঝে একটু হাত জোড় করে অনুরোধ করলে মায়ের অন্তত একটু বসার মত জায়গা জুটেই যাবে। আর দূরপাল্লার জেনারেলের কাছে এই কটক-পুরী প্যাসেঞ্জার তো তুচ্ছ। প্রকৃত দূরপাল্লার জেনারেলে - একটি সীট একটি প্রাণ। ( সে আমার বোকারো-অ্যালেপ্পি এক্স তে যাত্রার গল্প শুনলেই বুঝবেন) যাহোক ঠেলাঠেলি করে মাকে নিয়ে উঠে পড়লাম। দুটো খোপ পার হয়েছি, দেখি তৃতীয় খোপ থেকে আমার বামুনঠাকুর বন্ধুরা হাত নেড়ে আমাদের ডাকছেন। খুশী হয়ে সেদিকে যেতেই ওদের একজন মাকে জায়গা ছেড়ে দিলেন। বেঞ্চির নিচে ব্যাগ ঢোকাচ্ছি, এমন সময় আর একজনও আমাকে তার সীটে বসতে বলে দরজার দিকে এগোতে লাগলেন। বুঝতে পারলাম অন্য ছেলেটি একা অত হাঁড়িকুড়ি তুলতে পারবে না বলেই এরা হাত লাগাতে যাচ্ছে। সীট তো আমাকে দিয়ে দখল করিয়েই রাখল। আমি ভাবলাম সীট তো আমি ঠিকই ম্যানেজ করে নেব ফের, যাই ওদের একটু সাহায্য করি, নয়তো বাকি ৩০ সেকেন্ডে কি অত মালপত্র তুলতে পারবে? মা আর ওদের মধ্যে যাঁর বয়স বেশী তিনি বসতে পারলেই তো হবে, আমি না হয় দাঁড়িয়েই যাব। ওরা দেখি নেবে বেশ হেলেদুলে হাঁড়ি কড়াই আনতে যাচ্ছে। হঠাত ওদের তৃতীয়জন ট্রেন থেকে নামা বাকি দুজনকে আমার দিকে দেখাল। ওরা দুজন ঘুরে দাঁড়িয়ে বিস্ময়ে চিত্‌কার করে উঠল – এ কি আপনি নামলেন কেন ?
    …... না মানে আপনারা কি এত কম সময়ে পারবেন এ সব তুলতে? একটু হাত লাগাতাম আর কি ।
    হায় আল্লা! আমরা তো এই গাড়ীতে যাব না...
    ব্যস আর কিছু বলতে হল না। দু পক্ষই বুঝে গেলাম দু পক্ষের কথা। আমি তখন জোড়হাতে ওদের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে পেছনে গাড়ী ছেড়ে দিয়েছে। আমার চোখে জল। ধন্যবাদ দেব কি! সে সময় ওদের দিক থেকে কেউ যদি আমার কোন ছবি তুলে রাখত তবে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি সেটা হত অবিকল কুতুবুদ্দিনের ছবি – সেই ২০০২ এর ফেস অফ গুজরাট রায়টস, যাকে বুদ্ধবাবুরা পশ্চিমবঙ্গে পুনর্বাসন (কি নির্বাসন, কে জানে!) দিয়েছিলেন। আমার চোখে জল, কিন্তু ওদের এক মুখ হাসি। লাফিয়ে গাড়িতে চড়লাম। ঘুরে দেখলাম তখনো অন্ধকার গাছতলায় একজন খুন্তি হাতে আর বাকি দুজন আশীর্বাদের ভঙ্গীতে হাত তুলে দাঁড়িয়ে আছে। ওদের বাবা মা ওদের বোধহয় হাত নাড়িয়ে টা টা করতে শেখায় নি ছোটবেলায়। কিন্তু যা শিখিয়েছেন তাতে আমাকে একেবারে ধুলোয় মিশিয়ে দিল।
    দুটো খোপ পার হয়ে মায়ের কাছে ফিরে এসে দেখি আমার জায়গাটায় একজন কুচকুচে কালো, ময়লা মত হেটো ধুতি আর নীল জামা পরা বৃদ্ধ বসেছেন। মা ও নিশ্চয়ই সঙ্গত কারনেই কোন আপত্তি করেন নি। আমাকে একা ফিরতে দেখে মা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠলেন – সে কি রে ! ওরা উঠতে পারল না ? আগেই গাড়ী ছেড়ে দিল নাকি? আমি নাক চোখ মুছতে মুছতে শুধু বল্লাম - না মা, ওরা ওঠার জন্য ওঠে নি, শুধু তোমাকে বসাতে উঠেছিল। মাও দেখলাম অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলেন।
    নীল জামা পরা রোগা বৃদ্ধ আমাকে সামনে দাঁড়াতে দেখেই তড়িঘড়ি দাঁড়িয়ে উঠলেন । আমি তাকে হাতজোড় করে বসতে বল্লাম। বললাম যে একটু আগুপিছু করে বসলে সাবারই জায়গা হয়ে যাবে। আমি তো তখন আলোকপ্রাপ্ত। :)
    এবারে ক্যুপের বাকিদের দিকে তাকিয়ে দেখি , আমার চিরপরিচিত জেনারেলের যাত্রীরা সব ওপরের বার্থে পা গুটিয়ে বসে আছে। নিচে যারা আছে তারা সব স্যুটেড বুটেড অফিসযাত্রী। এ ধরনের লোককেও আমি চিনি, যখন বর্ধমান রাজ কলেজে পড়াতাম তখন এ ধরনের ডেলি প্যাসেঞ্জার সকালের শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস ধরত। তাদের কাছে এক্সপ্রেসের টিকিট তো দুরস্থান, কর্ডলাইনের মান্থলিও থাকত না। কিন্তু তাদের এমনই তেজ, যে কোন রেলকর্মী ঘাঁটাতে সাহস পেত না। সে ছিয়ানব্বুই সালের কথা। তখনও তো ইজ্জত টিজ্জত চালু হয় নি। হলেও তারা যে সেটুকুও করত না সেটা নিশ্চিত। যাহোক, এই নিত্যযাত্রীরা অবাক হয়ে ব্যাপার স্যাপার দেখছিল। একজন ওড়িয়া টানের বাংলায় প্রশ্ন করলেন, আপনারা কোথায় যাবেন? বললাম। তখন জিজ্ঞেস করলেন হঠাত আমরা এই প্যাসেঞ্জার ট্রেনে যাচ্ছি কেন। কলকাতা থেকে তো ভাল ভাল ট্রেন আছে পুরীর। আপনাদেরকে বলা ঐ পন্ডীচেরী থেকে ফেরার ট্রেন লেটের গল্পটা শুনিয়ে দিলাম ওনাদেরকেও। ওদের একজন জিজ্ঞেস করলেন, যে যারা আমাদের তুলে দিয়ে গেল তারা কি আমাদের পূর্বপরিচিত?
    - একেবারেই না, ঠিক যতটা আপনাদের চিনি, ততটাই ওদেরকেও চিনি। এই একটু আগে প্লাটফর্মে আলাপ।
    ওরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে লাগলেন, যে - দেখেছো, এখনও দুনিয়ায় ভাল লোক আছে কিছু কিছু, নয়ত দুদিন জার্নি করে এই বৃদ্ধা মহিলা এখন বসতে না পেলে কি হত বলোতো। ব্যস লাইন পেয়েই আমি বলে ফেল্লাম – না না কি বলছেন, দুনিয়ায় বেশীভাগ লোকই ভাল। নাহলে দুনিয়া চলত নাকি? (খাঁটি অ্যানার্কিজম) আমরা সবাই সবাইকে বিশ্বাসই করি, সরকারই নিজের কাজ ঠিকমত করতে না পেরে বিজ্ঞাপন দিয়ে বলে - পাশের লোককে বিশ্বাস করবেন না। ঐ দেখুন^– মাথার ওপর একটা বিজ্ঞাপন ছিল। তিনটে সিঙ্গাড়ার ওপর একটা লাল ক্রস মারা - "অচেনা লোকের দেওয়া খাবার খাবেন না"। সবাই ওপরে তাকিয়ে বিজ্ঞাপনটা দেখল – কেউ কোন মন্তব্য করল না। হঠাতই কি করে সকলে যেন সকলের বন্ধু হয়ে গেল। খুরদা রোড আসতে জানালা দিয়ে সিঙ্গড়া কিনে খুব ভাগযোগ করে সবাই হাসতে হাসতে খেলাম। যেন সরকারী বিজ্ঞাপনটাকে ব্যঙ্গ করেই। আগের কেনা দিদির লুচির দুটো প্যাকেট তো ছিলই। আমার মাও চল্লিশ বছর হাওড়া হিন্দমোটর ডেলি প্যাসেঞ্জারী করা লোক। তাই তাঁরও ওদের সঙ্গে মিশে যেতে বেশী সময় লাগল না। ট্রেন চলতে চলতে বিভিন্ন জায়গার স্থানমাহাত্য শুনতে শুনতে কখন পুরী এসে গেল টেরই পেলাম না। ওঁরা আগেই বলেছিলেন যে এই ট্রেনকে অন্য সব ট্রেনের আগে পাস করিয়ে দেয়, কারন এটাতে ভুবনেশ্বর কটকের সব অফিসযাত্রীরা যান। তাই ট্রেন রাইট টাইমের আগেই পৌঁছাবে। ওদের কথাই ঠিক- ট্রেন পুরো পঁচিশ মিনিট বিফোরটাইম। ওদের একজন আমাদের সঙ্গে এসে 'মাসীমা' কে দরদাম করে অটোয় তুলে দিয়ে তবে ছাড়লেন। যত বলি পুরী আমাদের হাতের তালুর মত চেনা, কোন অসুবিধা হবে না - কে শোনে কার কথা।
    আপনারা যদি কপাল ঠুকে সপরিবারে কোনদিন জেনারেলে উঠেই পড়েন ৯০% চান্স, যে আপনারও আমার এই গল্পের মত অভিজ্ঞতাই হবে।
    কিন্তু ৯০% !
    ভাবছেন আমি ওভারকনফিডেন্ট? জেনে রাখুন দুনিয়ায় বেশীভাগটাই ভাল, নয়ত দুনিয়া চলত না। মানুষের শুভবোধই দুনিয়া চালাচ্ছে। নিছক নিয়মকানুন আর চোখরাঙ্গানি নয়। GNU র প্রবক্তা রিচার্ড স্টালম্যান সাহেব একটা কথা নিয়ম করে ওনার প্রতিটি বক্তৃতায় বলে থাকেন। (আর আমিও নিয়ম করে শুধু এই কটা কথাই শুনতে যাই)। উনি বলেন যে স্কুলে ছোটবেলায়ই ছেলেমেয়েদের শেখানো হয় যে - অমুক গতকাল ক্লাসে আসে নি, সুতরাং কালকের নেওয়া তোমার নোট তুমি ওকে দিও না। দিলে ও তো না এসেও তোমার সমান হয়ে যাবে। উনি বলেন এটা শেখানো ঠিক ? নাকি এটা শেখানো ঠিক – যে, তোমার বন্ধু না আসতে পারলে আগে তুমি কালকের পড়া ওকে বুঝিয়ে দাও, তারপর খোঁজ নাও, সে বেচারা কাল কেন আসতে পারে নি। সাহায্য করতে শেখ। শেয়ারিং শেখ – সেলফিসনেস নয়।
    কিন্তু তাহলে সারভাইভাল অফ দ্য ফিটেস্ট কোথায় যাবে !
    কোনটা ঠিক ?
    আমি কিন্তু রিচার্ড স্টালম্যানের দলে, বারবিয়ানা স্কুলের ছেলেদের দলে, মুসলিম ঐ বামুনঠাকুরদের দলে, যারা নিজেদের কাজের মধ্যে দিয়ে প্রতি পদে শিখিয়ে দিচ্ছে যে - অন্যের কথাও একটু ভাবো, তোমার অন্তর যা চাইবে সেটাই শুভবুদ্ধি।
    এই নি:স্বার্থ শুভবোধের (পড়ুন অ্যানার্কিজম) ওপরেই চলছে, উইকিপিডিয়া, চলছে গ্নু/লিনাক্স, চলছে পুরো ইন্টারনেট, চলছে গুরুচন্ডালী।

    তাই আমার জেনারেল কম্পার্টমেন্টই পছন্দ।
    গুরুচন্ডালী জেনারেল কম্পার্টমেন্টই থাকুক না ….
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ০৪ এপ্রিল ২০১২ ০৩:১৪412553
  • আমার একবার ট্রেনে একটা খুচরো প্রেম হয়েছিল। মানুষ কত ভাল এটাই তার প্রমাণ।

    আর মানুষ কত হারামী তার প্রমাণ হল, মেয়েটার কাকা সেই প্রেমে কাঠি করে দিল্লী যাবার আগেই প্রেমটা কেঁচিয়ে দিয়েছিল।

    ক্ষমা করিনি সেই কাকাকে
  • anandaB | 135.214.42.30 | ০৪ এপ্রিল ২০১২ ০৩:২১412554
  • কেলো,
    একটু হালকা চালে আপনার লেখাটা পড়া শুরু করেছিলাম.... কিন্তু শেষ হবার পর সেই ভারহীন ব্যাপার টা আর রইল না (কি জানি কখন নিজের কিছু এইরকম ঘটনার কথা মনে পড়িয়ে দিল).... অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য

    দিনের শেষে এটাই ম্যাটার করে - গুরুতে
  • lcm | 128.48.44.141 | ০৪ এপ্রিল ২০১২ ০৩:৪৮412555
  • ওহ্‌, বহুদিন বাদে কেলোর লেখা।
    যাক, গুরু মুক্ত, ফ্রি, নো ইউজার আইডি/পাসওয়ার্ড।
  • pi | 137.187.241.4 | ০৪ এপ্রিল ২০১২ ০৪:২৬412556
  • কেলোদা, কী আর বলি!
    দুম করে মনটা ভাল হয়ে গেল ! :)

  • Nina | 69.141.168.183 | ০৪ এপ্রিল ২০১২ ০৪:২৯412557
  • গুরুতে এইরকম লেখা ও পাওয়া যায় তাই তো আসা--অসাধারন ভাল একটা অনুভুতি আর অশ্বাসে মনটা ভাল হয়ে গেল----ডিমের্ঝোল খেলে মানুষ কত্ত ভাল হয়--তাই না--এবার থেকে নিয়ম করে খাব।
  • Tim | 128.173.39.3 | ০৪ এপ্রিল ২০১২ ০৫:৪৯412558
  • এত ভালো লেখে কেলোদা!

    তবে মনটা খারাপ হয়ে গেল বারবিয়ানার কথায়। ঐ দিয়েই আমার টইতে লেখার শুরু। কিছু ছুটকোছাটকা পোস্ট বাদ দিলে। অনেকদিন হয়ে গেল, আজ খুব করে মনে হচ্ছে এতদিন সরব পাঠক থেকে গিয়ে ভালো করিনি। হয়ত অনেক কিছুই এড়ানো যেত।

    কেলোদা ভালো থাকবেন খুব। আমরা অনেকেই তো আজ মার্কামারা স্বার্থপর, আপনাদের লেখা আরো বেশি করে দেখলে ভালো লাগবে।
  • kd | 74.66.241.238 | ০৪ এপ্রিল ২০১২ ০৬:২২412559
  • এবার দেখুন, সায়ন আর পাল্লিন উদ্বাহু হয়ে নেত্য করছে। হুঁ হুঁ বাবা, সব ওই ডিমের গুন।
  • tatin | 117.197.68.66 | ০৪ এপ্রিল ২০১২ ০৬:৪৯412560
  • দুর্দান্ত
  • Generic letter | 67.171.97.37 | ০৪ এপ্রিল ২০১২ ০৭:০৭412562
  • আচ্ছা, আমার ধারণা ছিল পাই অনেককেই গানপয়েন্টে গুরুতে এনেছে।
    এতক্ষণে সেরকম একজনমাত্রের দেখা পেলাম। বাকীরা কি ভয় পাচ্ছে, নাকি আমার ভুল ধারণা?

    আমি তো ভাবতাম পাইকে ভয় পায় না এমন লোক যদি কোথাও থাকে, তাহলে তার ফোন বা ইমেল নেই।
  • Nim | 72.89.192.241 | ০৪ এপ্রিল ২০১২ ০৭:২৫412563
  • প্রথম যেবার ব্যাঙ্গালোর যাই, এক কাকু ছিলেন পাশের এসি কামরায়, সকালে দেখা করতে গেলুম, বললেন "চা খাবি", সায় দেবার পর চা বলা হোলো, কাকু জিজ্ঞেস করলেন "কি রে দিয়ে দেবো? খুচরো আছে কিন্তু আমার কাছে!" :P

    আমরা আর কিছু বলিনি, কাকুর ছেলে আমাদের কলেজসঙ্গী!

    ফেরার সময় একা ফিরছি, কাকু আবারো পাশের কামরায়, সন্ধেবেলা দেখা করতে গেলুম, কাকু জোর করে বিস্কুট খাইয়ে ছাড়লেন, আমি নানা করা সত্বেও ঝুলিতে হাত ভরে ঠিক দুটো বিস্কুট বের করে আনলেন প্যাকেট হাতড়ে! :P

    আবার এই খেপেই যশবন্তপুর স্টেশনের রাস্তা চিনতে না পারায় এক কানাড়া বৃদ্ধ রাস্তা চিনিয়ে সাথে হেঁটে এসেছিলেন!

    সেবারেই আমার উপরের বার্থের লোকের সাথে দারুণ জমে যায়, আমরা খাবার ভাগাভাগি করে খেতুম, নামধাম জানা হয়নি যদিও!

    আরেকবার আমেরিকা থেকে ডেনমার্ক ফেরার পথে, প্রবল জানুয়ারীতে বরফ বিভ্রাটে লণ্ডনে আটক পড়ি, সে বৃত্তান্ত বিরাট বড় বলে ছেঁটে দিলাম, কিন্তু দুদিন কোটবিহীন থেকে অবশেষে যখন কোপেনহেগেনে নামলাম তখন রাত দুটো! এয়ারপোর্ট থেকে কোন ট্রেন নেই, অতএব আমি চলে এলাম স্টেশনে, -১৭ চলছে, আবিষ্কার করা গেলো, এখানে হিটিং নেই, এবং সাড়ে পাঁচটার আগে ট্রেনও নেই, যাইহোক, সাথে ভারী সুটকেস, আমি ৫:২০ তে প্ল্যাটফর্মে নেমে হিহি করে কাঁপছি, দেখি দুটি ছেলে আসছে রক্তাক্ত অবস্থায়, কথায় বার্তায় জানা গেলো তারাও অড়ুস যাবে, এবং কেন জানি না, তারাই আমার সুটকেস তুলে দিলো, আমি নিশ্চিন্তে ল্যাপটপ খুলে ঘুমিয়ে গেলাম, তারাই তুলে দিলো, এবং সুটকেস নামিয়ে দিলো, আমি হতভম্ব হয়ে গেছিলাম,

    অতএব আমার ধারণা আপনার চেয়ে পর ভালো পরের চেয়ে বন ভালো :)

    অতএব যেমন আছে তেমনই থাক :)
  • hu | 24.13.11.220 | ০৪ এপ্রিল ২০১২ ০৮:২১412564
  • কেলোদার লেখাটা খুব ভালো লাগল। আমার অভিজ্ঞতাও অনুরূপ। জীবনের যেকোন ওঠাপড়ায় - ঘরে হোক বা বাইরে - মধুসূদনদাদা ঠিক একজন জুটে যায়।
  • byaang | 122.178.208.207 | ০৪ এপ্রিল ২০১২ ০৮:৩৯412565
  • কেলো, এ এক অদ্ভুত লেখা, পড়তে পড়তে চোখে জল-ও এল, আবার মনটাও ভালো হয়ে গেল। সারাদিন আপনার লেখা কথাগুলৈ মনে পড়বে আজ, ঠিক জানি। এ লেখার রেশ সহজে আমাকে ছেড়ে যাবে না।
    হুচির মতন আমারও একই অভিজ্ঞতা। জীবনের ছোটোবড় সমস্ত কঠিন সময়ে ঠিক কোনো না কোনো অপরিচিত মধুসূদনদাদা ঠিক আমাকে তরিয়ে দিয়েছেন, কোনো প্রত্যাশা না রেখেই।
  • byaang | 122.178.208.207 | ০৪ এপ্রিল ২০১২ ০৮:৪৩412566
  • কেলো, আমি জানি না আপনি আমার থেকে বয়সে ছোট না বড়, আপনার শুভবোধ এবং বিশ্বাসের প্রতি প্রণাম জানালাম।
  • Du | 117.194.200.27 | ০৪ এপ্রিল ২০১২ ০৯:২৯412567
  • একদম
  • siki | 155.136.80.36 | ০৪ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৫১412568
  • কেলোদাকে আমি জানি। কেলোদা সবার চেয়ে ছোট। সেই জন্য এমন সুন্দর মন রয়ে গেছে। :)

    কেলোদা, খুব সুন্দর লাগল। এত কম লেখেন কেন? ডিমের্ঝোলেরও কি দাম বেড়ে গেছে বাজেটে?
  • Bratin | 14.99.139.117 | ০৪ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৫৮412569
  • কৌশিক, (কেলো) আমার ব্যাচের।

    তুমি এত সুন্দর লেখো। কেন যে এত অল্প লেখো। অনেক দিন কথা হয় নি।শিগ্গির কথা হবে।
  • kc | 194.126.37.78 | ০৪ এপ্রিল ২০১২ ১০:০৩412570
  • সব কৌশিকেরাই ওরম সুন্দর মনের হয়। কেলোবাউ আম্মো আফনার মতই সবাইকে বিশ্বেস করি। আজ অবধি একবারও ঠকিনি।
  • d | 14.99.51.188 | ০৪ এপ্রিল ২০১২ ১০:৩৮412571
  • আমিও দিব্বি মানুষের প্রতি বিশ্বাস নিয়েই একলা একলা ঘুরে ঘুরে বেড়াই। দিল্লী-গুরগাঁও অঞ্চলে রাত সাড়ে দশটায় দিব্বি একলা একলা হেঁটে হেঁটে বাড়ী ফিরেছি। কিস্যু হয় নি। একসময় নিয়মিতই রাত সাড়ে দশটার ডানকুনি লোকাল ধরে বালীহল্টের ঐ স্বর্গের সিঁড়ি বেয়ে রাত সাড়ে এগারোটা পৌনে বারোটা নাগাদ নেমে হেঁটে বালী স্টেশানে গিয়ে ট্রেন ধরে বারোটার পর কোন্নগর ফিরেছি একলা একলা -- মেয়েদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় বিধিনিষেধকে তরুণ কদলী দেখিয়ে।

    আমিও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বেশীরভাগ মানুষই বেশ ভাল, শুধু দু চারজন তেএঁটে বজ্জাত ছাড়া।

    তবে জেনারেল আনরিজার্ভড কামরার প্রধান অসুবিধে হল বাথরুম। ঐ বাথরুমগুলো মোট্টেও বন্ধুত্বপূর্ণ হয় না।
  • tatin | 122.252.251.244 | ০৪ এপ্রিল ২০১২ ১০:৪১412573
  • আমার একটা ধারণা 'আমার তো আপনাদের মতন ঢাউস পরিবার নেই। থাকার মধ্যে মাআর আমি' - এই সিচুয়েশনটাই কেলোদাকে মানুষকে বিশ্বাস করার মানুষের সংগে ইচ্ছেমতন মিশবার শক্তি দ্যায়।নিজের ক্ষতি হওয়ার আশংকা বাদ দিয়ে উনি ফ্রিলি ঘুরতে পারেন।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন