এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • h | 203.99.212.224 | ২০ এপ্রিল ২০০৯ ১০:১৭412133
  • রঞ্জনদারে সালাম।
  • arunava | 121.247.77.107 | ২০ এপ্রিল ২০০৯ ১০:৫১412151
  • কবিতার কয়েকটি দিক আছে। তার ভাষার richness, মানে শব্দ ব্যবহারের দ্‌ক্ষতা, expressions, তার flow, আর ভবনাগুলি যাদের নিয়ে কবিতা বড় হবে। ভাবনার সাথে জড়িয়ে থাকে observation। এসব বিচার কর্লে সোমনাথের কবিতাগুলি খুবি সাধারন মানের। তর্তাজা ভাবের অভাব। monotonous tone বেজে চলে।
  • arunava | 121.247.77.107 | ২০ এপ্রিল ২০০৯ ১০:৫৯412162
  • সৈকতদার সিরিয়াস কবিতাগুলি ভালো লাগলো। কবি কবিতার পেছনে থাকে নিভৃতে, কবিতার মধ্যে নয়। কবিতা কবি উৎস থেকে পাঠক- পাঠিকার অতীত বর্তমান ভবিষ্যতের মধ্য দিয়ে বয়।
  • arunava | 121.247.77.107 | ২০ এপ্রিল ২০০৯ ১১:০৭412173
  • সবাই লিখতে পারে নিজের অধিকারে। কিন্তু সব লেখা ছাপতেই হবে? বিক্রম খুব talented একটি ছেলে নি:সন্দেহে। কিন্তু তার ঝলক তার যেকোনো চিন্তা ভাবনাতেই থাকবে, কিন্তু গল্পটা মোটেই ভালো হয় নি। আসলেই ওর লেখা নিজের নিভৃত চারণ ভুমি হতে পারে বা ঘরোয়া বৈঠকে ব্যক্তিগত পাঠ হতে পারে কিন্তু ছাপানোর যোগ্য নয়। এধরনের সমোলোচোনা ব্যক্তি আক্রমণের উদ্দেশ্যে করা নয়।
  • dipu | 207.179.11.216 | ২০ এপ্রিল ২০০৯ ১২:২২412184
  • কবিতার সাথে এই আবহ চিত্রণগুলো দারুউউণ হয়েছে।
  • sibu | 71.106.244.161 | ২০ এপ্রিল ২০০৯ ১২:৪৩412195
  • নৈতিকতার জৈব মূল
    ----------------------

    সকালবেলা বাইরের বেতের চেয়ারে চায়ের কাপে সদ্য চুমুক দিয়েছেন ড: ব্যানার্জী, কলিং বেলের ডাক শোনা গেল - পিঁউ কাহা, পিঁউ কাহা। মাথার চুলের মধ্যে একবার হাত চালিয়ে হাঁক দিলেন - দরজা খোলাই আছে। দরজা খুলে ভেতরে ঢুকলো রাজর্ষি। সদ্য ডক্টরেট শেষ করে যখন প্রথম অধ্যাপনা আরম্ভ করেছিলেন তখন এই ছেলেটি তাঁর প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিল। তারপর পাশ করে রাজর্ষি চাকরি নিয়ে চলে যায়, আর ড: ব্যানার্জি চাকরি জীবনের বেশ কিছুটা বাকী থাকতেই রিটায়ার করে দেশে ফিরে একটা প্রাইভেট কলেজে চাকরি নেন। রাজর্ষির সাথে ড: ব্যানার্জির যোগাযোগ, অনিয়মিত হলেও, আছে। আর তাতে গরজ দু'তরফাই। দেশে এলে স্যারের সাথে আড্ডা দিতে আসাটা দুপক্ষেরই অকথিত প্রত্যাশা।

    রা।। স্যার, পাটা দিন, একবার প্রনাম করি।
    ব্যা।। এটা তো নতুন দেখছি। আগে তো বিজয়ার পেন্নামটাও দায়সারা ভাবে সারতিস।
    রা।। না স্যার, ছেলে বড় হচ্ছে। এখন আমিই যদি গুরুজনদের শ্রদ্ধা না করি তো ছেলে কি শিখবে?
    ব্যা।। হুম্‌। তা তুই তো আর ছেলে নিয়ে এদেশে ফেরার কথা ভাবছিস না। ওদেশে পেন্নাম করে ভক্তি দেখানোর অভ্যাস না থাকলেই বা ক্ষতি কি? আর এখানে তুই কি করছিস সে তো তোর ছেলে দেখছে না। এরপর যখন সাথে করে আনবি তখন না হয় আপনি আচরি ধর্ম পোলারে শিখাবি।
    রা।। কিছুদিন আগেও স্যার আপনার সাথে একমত হতে আমার কোন অসুবিধা ছিল না। কিন্তু গুরুচন্ডালীর নতুন সংখ্যায় বৈজয়ন্ত-দার একটা লেখা বেরিয়েছে। সেটা পড়ে অবধি ব্যক্তিগত সততার প্রশ্নে মনটা বড্ড খচখচ করছে। মরালিটি ব্যাপারটাকে সুবিধা-অসুবিধার তুলাদন্ডে মাপতে মন চাইছে না।

    এই বাংলা ওয়েবজাইনটির কথা ড: ব্যানার্জী রাজর্ষির মুখেই প্রথম শোনেন। কলেজে ক্লাসের ফাঁকে-ফাঁকে ভাটিয়ালী, টইপত্তর, বুলবুলভাজা নিয়মিত পড়ে থাকেন। অনেকদিন পত্রিকাটি বেরোয়নি বলে পত্রিকার নতুন সংখ্যার খোঁজ করা ছেড়েই দিয়েছিলেন। রাজর্ষির মুখে নতুন সংখ্যা বেরিয়েছে শুনে বললেন।

    ব্যা।। নতুন ইস্যু বেরিয়েছে বুঝি? পড়ে উঠতে পারিনি এখনো।
    রা।। এই যে, ট্রেনে ভাল করে পড়ব বলে ভাইয়ের কম্পূ থেকে বৈজয়ন্ত-দার লেখাটা ছাপিয়ে নিয়েছিলাম। আপনি এই কপিটা দেখতে পারেন।
    ব্যা।। ঐ তোর চা এসে গেল। তুই চা খেতে খেতে আমি একবার চোখ বুলিয়ে নেই।

    রাজর্ষি চা খাওয়া শেষ করে দেখল স্যার জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছেন, ঠোঁটের কোনে এক চিলতে হাসি। সে একবার গলা ঝেড়ে নিয়ে ডাকল - স্যার। ড: ব্যানার্জি বাইরে থেকে দৃষ্টি সরিয়ে এনে বললেন -

    ব্যা।। দ্যাখ, বৈজয়ন্তবাবুর কথা থেকে আমি দুটো পয়েন্ট দেখতে পেলাম। একটা হল নৈতিকতা বা ব্যক্তিধর্ম হল লাভ-ক্ষতি নিরপেক্ষ। আর অন্য পয়েন্টটি হল প্রথম পয়েন্টটির করোলারি - দলধর্ম আর ব্যক্তিধর্মের মূলগত বিরোধ নিয়ে। সেকুলার দৃষ্টিভঙ্গী থেকে প্রথম পয়েন্টটাকে দেখলে গোটা কতক খুব ইন্টারেস্টিং ব্যাপার দেখা যায়।
    রা।। রবীন্দ্রনাথ আর মার্কসের যে উদাহরণদুটো বৈজয়ন্তদা দিয়েছেন তার সাথে সেকুলারিজমের কোন বিরোধ তো দেখতে পাই না। আর ডকিন্স বা হিচেন্সের যে মিলিট্যান্ট নাস্তিকতা, তার সাথে এনলাইটেনমেন্টের কতটাই বা সম্পর্ক?
    ব্যা।। সেকুলার কথাটা আমি ব্যবহার করেছিলাম মুক্ত চিন্তা অর্থে। মোটের ওপর আমরা মহাপুরুষদের বড্ড ভয়-ভক্তি করে থাকি। প্রকৃতির নিয়ম বা লজিক্যাল অ্যানালিসিস মহাপুরুষদের সম্বন্ধে ব্যবহার করতে চাইলে তাঁদের ভক্তরা রুষ্ট হন। এ বাবদে সাঁইবাবার কাল্ট, রামকৃষ্ণের কাল্ট আর রবিঠাকুর কি মার্কসের কাল্টে খুব তফাৎ চোখে পড়ে না। তা তোর যদি সময় থাকে তো কস্ট-বেনিফিট অ্যানালিসিস আর নৈতিকতার সম্পর্ক নিয়ে একটু ভাঁটানো যেতেই পারে। তবে মহাপুরুষদের নিয়ে লজিক্যাল অ্যানালিসিসে যদি তোর আপত্তি থাকে তো কাটিয়ে দে।

    স্যার এই বয়সেও গুরুর ইডিয়মগুলো কেমন আয়ত্ত করে নিয়েছেন দেখে রাজর্ষির ভারী মজা লাগল। একটু মাথা চুলকে সে বলল - আপনার আড্ডা কবে অল্প সময়ে শেষ হয় স্যার? আপনি বলুন।
    ব্যা।। একটা কথা প্রথমেই বোঝা দরকার যে কস্ট-বেনিফিটের মূল কারেন্সি হল ব্যক্তিগত ভাল লাগা, খারাপ লাগা। যে কোন অ্যাকশন শেষ বিচারে কতটা ব্যক্তিগত ভাল লাগা তৈরী করল বা মন্দ লাগা তোরী করল, তাই দিয়েই সেই অ্যাকশনের লাভ-ক্ষতি ঠিক হয়। ইকনমিস্টরা এই ধারনাকেই ইউটিলিটি শব্দ দিয়ে প্রকাশ করেন।
    রা।। তবে তো স্যার আপনি বৈজয়ন্ত-দার সাথে একমত হচ্ছেন বলেই মনে হচ্ছে। মার্কস আর রবীন্দ্রনাথ তো তাঁদের ব্যক্তিধর্মকেই পার্সোনাল ইউটিলিটি এনহ্যান্সমেন্টের ঊর্দ্ধে রেখেছিলেন।
    ব্যা।। দাঁড়া, দাঁড়া, ঘোড়া একটু বাঁধ। প্রথমত:, ব্যক্তিগত ভাল লাগাটা ঠিক ডিটারমিনিস্টিক নয়। অর্থাৎ কোন জিনিষ কার কতটা ভাল লাগবে তার কোন বাঁধা-ধরা নিয়ম নেই। একটা এক্সট্রিম উদাহরণ দি। ম্যাসোখিস্টদের অনেক কিছু ভাল লাগে যা তোর-আমার কাছে ভাল লাগার প্রশ্নই ওঠে না। কাজেই মার্কস বা রবিঠাকুর আসলে ইউটিলিটি ম্যাক্সিমাইজ করছিলেন না তা এত নিশ্চিত করে বলা যায় না।
  • h | 203.99.212.224 | ২০ এপ্রিল ২০০৯ ১২:৪৭412206
  • আমার অসম্ভব ভালো লেগেছে, কবিতার পেছনে ছবির ব্যাপারটা। আমি খুব খুশি হয়েছি, এই আইডিয়াটার জন্য। এটার জন্য আমি শিল্পী,সৈকত(ইশান),দময়ন্তী, আর যারা যারা কাজটার সঙ্গে যুক্ত, সকলকে অনেক সাধুবাদ জানালাম।
    আর আমি প্রচন্ড খচে গেছি, সৈকত(ইশান) এবং ইন্দোর উপরে, কোন ফর্মে একটা গদ্য অন্তত: না লেখার জন্য। খালি ইয়ার্কি মারবে আর লিখবে না, এটা জাস্ট অ্যাকসেপ্টেবল নয়, দেবো ধরে প্যাঁদানি।
  • sayan | 160.83.96.81 | ২০ এপ্রিল ২০০৯ ১২:৫৩412217
  • সবকটি কবিতা এবং তার সাথে "আবহ চিত্রণ'গুলি অপূর্ব্ব সুন্দর হয়েছে।

    অপ্পন্দা, টুপি খুললাম।
  • sahana | 218.248.76.22 | ২০ এপ্রিল ২০০৯ ১২:৫৪412228
  • বৈজয়ন্ত এর লেখা পডে খুব শান্তি হল। কতকগুলো প্রাসঙ্গিক স্ববিরোধী শব্দের, যেমন বিশ্বাস আর যুক্তি, ধর্ম আর ঈশ্বর, কর্তব্য আর আর ব্যক্তিস্বার্থ ইত্যাদির একদম সঠিক সম্পর্ক ওঁর লেখার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে। এমন স্বচ্ছ চিন্তা ভাবনা বোধের গভীরতা আর সততা ছাডা সম্ভব নয়। আমার মাঝে মাঝে সত্যি মনে হয় যে আমরা কত অনর্থকভাবে শব্দের সারবত্তা থেকে দুরে সরে যাই নিজেদের চেতনার অগোচরে আর নিজেদের স্বার্থের পুরণে শব্দ সাজাই । বলি আমি ওমুক উনি তমুক। যা বলি তা আদৌ কি শব্দের মাত্রায় যথার্থতা পায়?

    নিজের কাছে সত্যি হয়ে থাকলে আপাত ভাবে হয়ত কোন লাভ হয়না কিন্তু ঐ নিজের ধর্ম চেনা যায়। ভালো মন্দ ব্যতিরেকেও আমার কাঠামো যা তা অনুভব করা যায়। সবাইকে তখন একইরকমভাবে ভালোবাসতে ইচ্ছে করে। ভালো মন্দ ব্যতিরেকে। নিজের বাইরে বা ভেতরেও আরো যে অনেক "নিজেরা" আছি সব্বাইকে সুন্দর মনে হয়।

    বৈজয়ন্তর লেখা খুব সুন্দর। শব্দরা সব লেখকের অনুভুতিদেশ থেকে আলো পাওয়া। স্বধার্মিক । এমন লেখার জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ।
  • stoic | 160.103.2.224 | ২০ এপ্রিল ২০০৯ ১২:৫৬412134
  • বৈজয়ন্তর লেখাটা বেড়ে হয়েচে। এটা নিয়ে একটা গুরুগম্ভীর টই খুলে আলোচনা করা যেতেই পারে।
  • h | 203.99.212.224 | ২০ এপ্রিল ২০০৯ ১৩:০০412142
  • মাইরি, ছবির জন্য কিনা জানিনা, আমি সুমন আর অর্পণের কবিতা গুলো পড়েছি। এবং যতটুকু ধরতে পেরেছি, সত্যি ভালো লেগেছে। কবিদের সেলাম। এমনকি আরেকবার পড়তে ইচ্ছে করছে।

    কবিতা ব্যাপারটা তাহলে অত বাজে কিছু না।
  • I | 59.93.165.253 | ২০ এপ্রিল ২০০৯ ১৩:০২412143
  • বৈজয়ন্তর লেখাটা প্রথম পড়লাম। বেড়ে লাগলো। এবার এই নিয়ে দু-চার-পাঁচখান কথা বলার ইচ্ছে জাগলো (শিবুদা যেমন বলতে লেগেছে), যা কিনা কোনোমতেই সম্ভবে না।
    রজতদা aka রঞ্জনদাকে সালাম।
    আর অপ্পনের কবিতা পড়েছি। প্রথমবার পড়ে ভালো লেগেছে। আবার পড়তে হবে। কখন লেখে, এইসব?
  • I | 59.93.165.253 | ২০ এপ্রিল ২০০৯ ১৩:০৬412144
  • হায়, হনুদা, সময় নাই। এই যে, প্র বৈ-এর লেখাটা নিয়ে লেখারও সময় নাই।
    তুমি লেখোনি কেন?
  • h | 203.99.212.224 | ২০ এপ্রিল ২০০৯ ১৩:০৮412145
  • গত বছর খানেক ধরে মাথা ফাঁকা বলে।
  • sayan | 160.83.96.82 | ২০ এপ্রিল ২০০৯ ১৩:০৯412147
  • না-লেখার মত নন-বেইলেবল অফেন্সের জন্য সোমবেরি হানুদার ভুঁড়ি ফাঁসিয়ে দেওয়া হোক।
  • I | 59.93.165.253 | ২০ এপ্রিল ২০০৯ ১৩:০৯412146
  • ঈশেনের লেখা ভাল্লাগে নি।
  • saikat | 202.54.74.119 | ২০ এপ্রিল ২০০৯ ১৩:৩১412148
  • ইয়ে, ইন জেনেরাল কবিতার সাথে ছবির ব্যাপারটা আমার না পসন্দ। বোধ হয়, কবিতাগুলোর যেন নিজের জোর নেই, তাই ছবিগুলি দিয়ে 'প্রপ' করা হয়েছে। ধরা যাক, সোমনাথের 'গুলাল' কবিতাটি। কবিতায় ব্যবহৃত 'মৃত্যুস্বপ্ন', 'দহনের খনি' ' যন্ত্রনা', 'ভ্রাতৃহত্যা, 'বুলেট', 'ছুরি' ইত্যাদি শব্দের পরেও কবিতার বক্তব্যাকে সাপ্লিমেন্ট করার জন্য বন্দুক আর রক্তের ছবিটা দেয়ার দরকার আছে কি? পাঠককে যেন একটা ইঙ্গিত দেয়া হোল।
  • saikat | 202.54.74.119 | ২০ এপ্রিল ২০০৯ ১৩:৩৫412149
  • সবারই বৈজয়ন্তর লেখাটা নিয়ে বলার কিছু আছে। আমারো আছে। সময় পেলে লিখব। কিন্তু লেখাটার বিভাগ 'নক্সা' কেন? আমি ঐ শব্দ দেখে অন্য কিছু আশা করেছিলাম। অবশ্য যা পড়লাম তাতে আশাহত হয়নি। :-)
  • saikat | 202.54.74.119 | ২০ এপ্রিল ২০০৯ ১৩:৩৬412150
  • * হইনি।
  • sibu | 71.106.244.161 | ২০ এপ্রিল ২০০৯ ১৩:৩৮412152
  • নৈতিকতার জৈব মূল
    -------------------
    রা।। না স্যার, আপনার কথা মানতে অসুবিধা হচ্ছে। অন্তত: মার্কসের ক্ষেত্রে তো ওনার ধর্ম প্রায় সেলফ-ডেস্ট্রাকটিভ। সেলফ-ডেস্ট্রাকশন কি করে ইউটিলিটি এনহ্যান্স করে?
    ব্যা।। ঐ জন্যই আমি ম্যাসোখিস্টদের উদাহরণ দিয়েছিলাম। ওদের ক্ষেত্রে সেলফ-ডেস্ট্রাকটিভ ব্যবহারের কোন সামাজিক অনুমোদন নেই বা কোন রকম সামাজিক কন্ডিশনিং-ও নেই। তবু ওরা তার থেকে যথেষ্ট ইউটিলিটি পেয়ে থাকে।
    রা।। কিন্তু সমাজ কি করে সেলফ-ডেস্ট্রাকটিভ ব্যবহারকে নৈতিক বলে, বা এমনকি এনকারেজ করে?
    ব্যা।। এই নিয়ে আমি কিছু কিছু চিন্তা করেছি। আমার মনে হয় নৈতিকতাকে, এমনকি মার্কস, রবীন্দ্রনাথের যে ব্যক্তিগত নৈতিকতার কথা বৈজয়ন্তবাবু বলেছেন, তাকে ইভোলিউশন আর প্রোব্যাবিলিটি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়। ইভোলিউশনের মেকানিজম যদি দ্যাখ তো মোদ্দা কথাটা হল জীবের সবসময়েই পরিবর্তন ঘটছে। কিছু পরিবর্তন বেনিফিসিয়াল। সেগুলো একবার ঘটলে টিঁকে যাবে। কিছু কিছু পরিবর্তন ডেট্রিমেন্টাল। সেগুলো টিঁকবে না। আর কিছু পরিবর্তন নিউট্রাল। এখন কোন মিউটেশন যদি কোন মানুষের মধ্যে তার ব্যক্তিগত ইউটিলিটির এমন পরিবর্তন ঘটায় যে মার্কস, রবীন্দ্রনাথের মত আচরণ করতে তাদের ভাল লাগে, তবে?
    রা।। না স্যার, ও কথা শুনব না। আপনি যে মিউটেশনের কথা বলছেন সে তো বেনিফিসিয়াল মিউটেশন। আপনার কথা অনুযায়ী এই মিউটেশন তো ছড়িয়ে পড়া উচিৎ। মানে মার্কস বা রবীন্দ্রনাথের মত আচরণ তো খুব ঘনঘন দেখতে পাওয়া উচিৎ।
    ব্যা।। প্রজাতির দিক থেকে দেখলে সেল্ফ-ডেস্ট্রাকটিভ ব্যবহার কিন্তু সবসময় বেনিফিসিয়াল না। সমাজের গড়পরতা মানুষ যদি ঐ রকম করে তো প্রজাতি বিলুপ্ত হতে সময় লাগবে না। শুধু প্রতিভাবান মানুষেরা এরকম করলে তবেই তা প্রজাতির পক্ষে লাভজনক।
    রা।। কিন্তু স্যার কি করে প্রতিভাবান মানুষ ধরে ধরে তাদের ইউটিলিটি ফাংশন বদলে দেবে প্রকৃতি, তা তো বোঝা গেল না।
    ব্যা।। একটা উদাহরন দিয়ে ব্যাপারটা বোঝাই। ধর দুরকম ইউটিলিটি ফাংশন আছে। এক রকম শতকরা নিরানব্বই জনের, আর অন্য রকম (মার্কসের, রবিঠাকুরের) শতকরা এক জনের। এবারে ধর প্রতিভাবান গড়ে হাজারে একজন। তখন লক্ষে একজন মানুষ প্রতিভাবান ও মার্কসপ্রতিম (পার্সোনাল ইউটিলিটি ফাংশনের বাবদে) হবেন। এর মধ্যে আরো কিছু গল্প আছে। কি হলে এই এক শতাংশ বনাম নিরানব্বই শতাংশের (বা অন্য কোন স্টেডি স্টেট) বজায় থাকবে সেটা হিসেব কষে বের করা সহজ না। কিন্তু মোদ্দা কথাটা বোঝা গেল বোধ হয়।
    রা।। কিন্তু স্যার সাধারন নৈতিকতার সাথে আপনার ইভোলিউশন-বেসড মডেলের যোগ কোথায়।
    ব্যা।। দ্যাখ, যে কোন নৈতিকতাই সোসাইটি এনফোর্সড। মানে সব মানুষ জাস্ট নিজের আগ্রহে যা মেনে চলে তাকে কোন নৈতিক অনুশাসনে বাঁধার দরকার হয় না। এখন সামাজিক ভাবে কিছুকিছু বেনিফিসিয়াল ব্যবহার এনফোর্স করতে উৎসাহ দেয় যে সব মিউটেশন সেগুলো প্রজাতির মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী হবে। আর এই ধরনের সোশ্যাল প্রেসার যদি বেশী লোক মেনে নেয় তো প্রজাতি বাড়বে। এখন কিছু কিছু নৈতিকতার সাথে সোশ্যাল বেনিফিটের কোন আপাত সম্পর্ক নাও থাকতে পারে। সেগুলো কোন রকম বিনাইন মিউটেশন থেকে এসেছে বলতে হবে?
    রা।। বা:, স্যার তো মরালিটির দারুণ বায়োলজিক্যাল ব্যাখ্যা বের করেছেন!! এবারে পেপার ছাপিয়ে ফেলুন।
    ব্যা।। পেপার ছাপানোর মুশকিল আছে রে। যতক্ষণ নৈতিকতার জিন(বা জিনেরা) আবিষ্কার না হচ্ছে, ততক্ষণ এ সবই স্পেকুলেশন। নে এবারে স্নানে যা। সময়ে খেতে না গেলে তোর বউদির হাতে ঝাড় আছে।
  • h | 203.99.212.224 | ২০ এপ্রিল ২০০৯ ১৪:২০412153
  • বৈজয়ন্তর লেখাটা কি নক্সা? নক্সা সাহিত্য ব্যাপারটা তো সম্পূর্ণ আলাদা। এটা কি 'স্কেচ' এর বাংলা? আজকাল 'সংলাপ' বলে একটা বস্তু হয়েছে, সেই রকম একটা কিসু করলে হত। প্রবন্ধেই রাখা যেত ইজিলি। এটা অবশ্য আদৌ ইম্পর্টান্ট কিসু ব্যাপার নয়। লেখাটা তো ভালো লেগেছে। সাহানা,সিবুদা সহ অনেকের প্রতিক্রিয়া তেই বোঝা যাচ্ছে, big questions should be continued to be asked and talked about. লোকে নেবে না, এটা কোন অজুহাত হতে পারে না।

  • Samik | 122.160.41.29 | ২০ এপ্রিল ২০০৯ ১৮:১৫412154
  • রজত রায়, হাতটা একটু বাড়াবেন, একটু ঝাঁকাতে চাই।
  • h | 203.99.212.224 | ২০ এপ্রিল ২০০৯ ১৮:২৯412155
  • কাঠের সেনাপতি - মু নুরুল হাসান। দারুণ লাগলো। একদিন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে , এই গল্পটা আর আগের গল্পটা (সমান্তরাল?) যথাযোগ্য সম্মান যেন পায়, এই কামনা করি। এ ছেলে শিওর ছোটবেলায় গুঙ্গা বলেছিল।
  • arindam chakrabarti | 59.93.210.116 | ২০ এপ্রিল ২০০৯ ২১:০৫412156
  • বৈজয়ন্ত আবার লিখিয়া প্রমাণ করিলেন এইরকম লেখা একমাত্র বৈজয়ন্তই লিখিতে পারেন
  • arjo | 168.26.215.13 | ২০ এপ্রিল ২০০৯ ২৩:০৩412157
  • রঞ্জনদার লেখাটা ব্যপক হয়েছে। খুব ভালো লাগছে। পরের সংখ্যার জন্য অপেক্ষা করে রইলাম।
  • d | 117.195.36.192 | ২০ এপ্রিল ২০০৯ ২৩:১৬412158
  • কনফু'র গল্পটা সত্যিই অসাধারণ। দুর্দান্ত! এই গল্পের জন্য ৫ মাস ধরে অপেক্ষা করা সার্থক।

    সৈকতের চন্ডা৯ মোটেই ভাল লাগেনি।

    কবিতায় ছবিগুলো নিয়ে আমার ব্যক্তিগত মত হল, অত অত ছবি যেন বড্ড গিলে খাচ্ছে টাইপ লাগছে। একেকজনের জন্য একটাই ছবি পুরো পাতাটার জন্য হলে ভালো হত। আমি এক্ষেত্রে সৈকত-২ এর সাথে একমত। কবিতা কি সত্যিই অত বেশী করে পেন্সিল দিয়ে দাগিয়ে দেবার প্রয়োজন আছে! "চা' কবিতার জন্য চায়ের কাপ যেন বড্ড কিরকম একটা।
  • AB | 135.214.154.100 | ২১ এপ্রিল ২০০৯ ০২:২৩412159
  • বৈজয়ন্ত-র এই লেখা (বা for that matter ওর অধিকাংশ লেখার) কাটাছেঁড়া করার মতো যদি বিদ্যেবুদ্ধি থাকত তাহলে জীবনে অনেক কিছু করে ফেলতে পারতাম, এতদিনে...

    শুধুমাত্র এই অবিশ্বাস্য প্রতিভার তারিফ-ই করতে পারি

    ইন ফ্যাক্ট, একটু তলিয়ে ভেবে দেখলাম গুরুর অন্যান্য অনেক লেখার ক্ষেত্রেই আমার উপরের উপলব্ধি মোটামুটি খেটে যায়, সব সময় যে সবটা বুঝতে পারি তাও নয়, তবু ভালো লাগে পড়তে

    আর এই মওকায় অকুন্ঠ ধন্যবাদ জানিয়ে যাই গুরুর সেই সকলকে, যাঁরা এই প্রয়াসের পেছনে রয়েছেন....

    এই ওয়েবজিনের unconventional চরিত্র-টাই বাধ্য করে দিনের মধ্যে পাঁচশ বার করে ফিরে ফিরে আসতে

    বাকি লেখাগুলও শিগগিরি পড়ে শেষ করতে হবে
  • d | 117.195.36.164 | ২১ এপ্রিল ২০০৯ ০৮:১৪412160
  • রঙ্গনের লেখার ফর্ম্যাটিং ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। অর্পণকে একটা বিশাল বুড়ো আঙুল উঁচু করে দেখালাম।
  • Somnath | 220.226.186.71 | ২১ এপ্রিল ২০০৯ ০৯:১২412161
  • এই সোমনাথ রায় কি সে, অর্কুটে যে "তাই তোমার আনন্দ আমার পর' - চন্দ্রবিন্দুর গানটার শরীরতাত্বিক ব্যাখ্যা লিখেছিল? তাইলে, তার থেকে চণ্ডা৯র দাবি রইল।
  • dipu | 207.179.11.216 | ২১ এপ্রিল ২০০৯ ১০:৪০412163
  • "কাঠের সেনাপতি' খুব ভালো লাগল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন