এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আত্মহত্যার কারন অকারন

    sibu
    অন্যান্য | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ | ৯১৪৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Blank | 59.93.247.122 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৯:০৫407798
  • ঠিক মরার আগের মুহুর্তে ব্রেন অন্য ধরনের অ্যাকটিভ হয়ে যায়। মানে যাকে রিফ্লেক্স বলে অথবা রিফ্লেক্স নয়। অন্য কিছু। আর তখন ব্রেন নিজের ক®¾ট্রাল নিজের হাতে তুলে নেয়, অন্য কিছু ভাবতে দেয় না। তাই ঠিক মরার আগের সময়ে যারা চেঁচায়, তারা ঐ কারনেই চেঁচায়, নিজের বিচার বুদ্ধি তে চেঁচায় না।
    (অ্যাক্সিডেন্টের ঠিক আগের মুহুর্তে শিখেছি আমি এটা, আর তখন যা যা করেছিলাম, সুস্থ মস্তিষ্কে ঐ জিনিস করতে পারতাম না)
  • ranjan roy | 122.168.78.22 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৯:৪৩407799
  • সোমনাথের বিশ্লেষণ, হিন্দিতে যাকে বলে-স্বত:স্পষ্ট।
    আমি তৎক্ষণাৎ কনভিন্সড্‌।
  • ranjan roy | 122.168.32.208 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১১:৫৩407800
  • আচ্ছা, ডিপ্রেসনের ফলে অনেকের যে যেন-তেন-প্রকারেণ মরার ইচ্ছে জাগে, এ নিয়ে যাঁরা জানেন , কিছু বলুন না!
    যেমন মঞ্জুশ্রী চাকীসরকারের মেয়েটি, যদুপুর থেকে মাস্টার্স করা ক্রিয়েটিভ ড্যান্সার। তিনবার বাঁচানো হয়, চতুর্থবার মুম্বাইতে প্রোগ্রামের সময় হোটেলে গিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। কেউ বিশদ জানেন?
  • m | 12.217.30.133 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১২:৫৬407802
  • আগুনে পুড়ে গেলে সবাই চিৎকার করে ওঠে না- এক ভদ্রমহিলাকে জানি,গায়ে আগুন ধরিয়ে যিনি চুপটি করে বারান্দায় বসে ছিলেন।মুখে একটি আওয়াজ পর্যন্ত করেন নি।

    ক্লাশ টুয়েলভে আমার একবন্ধু ভোর বেলা ট্রেন লাইনের ওপর আসন পিড়ি করে বসে পড়ে- সামনে লালগোলা প্যাসেঞ্জার আসছিলো।

    চেতনা থেকে বেদনাবোধ টাকেই কি করে বাতিল করে ফেলা যায় ,এ প্রশ্নের আজ ও কোনো যথাযথ উত্তর খুঁজে পাই না।

    গতবছর আমার প্রিয় বন্ধু আত্মহত্যা করেছে। তারপর থেকে কোনো মরে যাবার ভাবনাকেই ,কোনো আত্মহত্যাকেই কেন জানিনা তথাকথিত 'সুস্থতার 'ঠুলি চড়িয়ে আর বিচার করতে পারি না।
  • nyara | 64.105.168.210 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৩:১৪407803
  • আমার এক বন্ধুর সম্পাদনায় সম্প্রতি থিমা থেকে বেরিয়েছে Ranjabati: A Dancer and Her World। আমি কিছুই পড়িনি এখনও। তবে তার দীর্ঘ মুখবন্ধে একটা অংশ আছে রঞ্জাবতীর মৃত্যু সম্পর্কে। মারা যাবার আগে, বছর দুয়েক ধরে, কী কী ঘটেছিল তার কিছুটার এক পেন্সিল স্কেচ। শেষে লেখা হয়েছে

    The cracks in the armour had appeared long ago, said her doctors, and Ranjabati was suffering from a psychiatric disorder. Like many other creative persons, she inhabited a world of her own fantasy. She could not accept failure. She feared to be let down and to be left alone. The tall and towering dancer, becoming increasingly vulnerable and defenceless, was dying from inside.
  • ranjan roy | 122.168.69.211 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২১:২৩407804
  • এতক্ষণ যে কথাগুলো বলা হল তার থেকে দেখি কমন সিন্ড্রোম গুলো খেয়াল করে সবগুলোর মধ্যে কোন সামান্য লক্ষণ দেখা যায় কি না!
    কি কি ধরণের পরিস্থিতিতে লোকে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়?
    এক, আর্থিক ( বিশেষ করে ঋণের বোঝা) দায়দায়িত্ব।
    যখন দেখা যায় ডেট্‌ ট্র্যাপ থেকে বেরোনোর কোন উপায় নেই, ফলে বেঁচে থাকার অর্থ সীমাহীন অপমানের মুখোমুখি হওয়া।
    দুই, ব্ল্যাকমেল। বেরোনোর কোন রাস্তা নেই। এই সব ক্ষেত্রে লোকে বৌ-বাচ্চা সবাইকে শেষকরে নিজে মরে।
    তিন, প্রেম-অপ্রেম। ব্যর্থতা, বিশ্বাসঘাতকতা। মনে হয় চেনাজানা দুনিয়াটা পুরো উল্টে গেল।
    চার, অহং এমন পর্যায়ে যে ব্যর্থতার সম্ভাবনা কে স্বীকার করা হয় নি। ফলে সেটাই যখন সত্যি হয়, সেই বাস্তবকে স্বীকার করার সাহস না থাকা।
    রঞ্জাবতী সরকারের কেস, এরিক সেগালের "" দ্য ডক্টরস্‌'' এ হাভার্ড মেডিক্যাল স্কুলে যে মেয়েটি টপার ছিল সেই আত্মহত্যা করলো। কারণ সে খালি ভয় পাচ্ছিলো--- অন্যেরা তাকে ধরে ফেলবে। অন্যদের সঙ্গে ব্যবধান ক্রমেই কমে আসছিলো।
    আমার সহপাঠিনী একটি গুজরাতী মেয়ে এক বিবাহিত পুরুষের প্রেমে পড়লো। খুব হাসিখুশি, জিন্দাদিল বিন্দাস মেয়ে। পড়াশুনোয় ভাল। ক' বছর আগে জানলাম আত্মহত্যা করেছে।
    এই সবগুলোর মধ্যে আমি কমন প্যারামিটার খুঁজে পেলাম আত্মমর্যাদা( এর মাপকাঠি সাবজেক্টিভ, ব্যক্তিকেন্দ্রিক)তে যখন এমন আঘাত লাগে যে আগামী দিনের জীবন অসহনীয় হয়ে ওঠে তখন মৃত্যুই একমাত্র সল্যুশন হয়ে ওঠে।
    পেটের দায়ে ভরা গঙ্গায় শুয়োর পার করা সবার কম্মো নয়। কোটিকে-গোটিক টিঁকে থাকতে পারে।
    এসবের বাইরে আরেকটি সম্ভাব্য পরিস্থিতি আছে--যখন আত্মহত্যার প্রেরণা দেয় "" উটের গলার মত কোন এক নি:স্তব্ধতা এসে''।
    একে বোঝা আমার সাধ্যের বাইরে, ইন্দো-ডাক্তার বলতে পারে।
  • I | 59.93.215.174 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২১:৪৯407805
  • আর একটা বড় কারণ রঞ্জনদা ভুলে গেছেন-Disease. cancer pains, crippling morbidities.
  • I | 59.93.215.174 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২২:০২407806
  • Depression itself. Indigenous depression
    বাইরের কোনো কারণের দরকারই পড়ে না।

    সাধারণত: দেখা যায়, দুধরণের suicidal attempt হয়। একটা হল successful, অন্যটা unsuccessful

    না, হাসির কথা না। এই তফাৎটা important । প্রথম ধরণের ক্ষেত্রে লোকে সত্যি সত্যি মরতে চায়, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ভয় দেখানোটা মূল উদ্দেশ্য; আত্মহত্যার trivial attempt। সিলভিয়া প্ল্যাথের আগের অ্যাটেম্পটগুলো যেমন ছিল; এবং শেষবারও নাকি তাই ভেবেছিলেন, সময়টা এমন বেছেছিলেন, যাতে কেউ না কেউ এসে বাঁচাতে পারে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। দুর্ঘটনাক্রমে সুইসাইড হয়ে গেল। তবে , এ নিয়ে তক্কো আছে।

    স্ট্যাটিস্টিক্যালি, প্রথম ধরণের অ্যাটেম্‌প্‌ট ছেলেরা বেশী করে। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে মেয়েরা এগিয়ে।
    এবং প্রতিটি failed attempt next suicidal attempt-এর probability of success বাড়িয়ে দেয়।
  • I | 59.93.215.174 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২২:০৮407808
  • মজার কথা হচ্ছে, অত্যন্ত severe depression-এ মানুষ সুইসাইড করতে পারে না। সুইসাইডাল অ্যাটেম্পটের জন্য যেটুকু activity দরকার, ডিপ্রেস্‌ড মানুষটি তার বন্দোবস্ত করে উঠতে পারেনা। অত্যন্ত সিভিয়ার ডিপ্রেশনে মানুষ কখনো কখনো মিউট জড়বস্তু হয়ে যায়(akinetic mutism)।
    এখন, এই মানুষকে যদি চিকিৎসা করা হয় এবং তাতে খানিকটা ফল দেয়, তখন সে সুইসাইডের জন্য জরুরী কর্মক্ষমতা ফিরে পায়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসা তার মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠতে পারে, যদি না সতর্ক থাকা হয়।
  • ranjan roy | 122.168.31.237 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২২:৫০407809
  • এই প্যারাডক্স! এটা তো কোনদিন ভাবিনি। সত্যি, বিশেষ সাবধান হওয়া দরকার
  • M | 118.69.170.237 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১২:৪৫407810
  • ধুস্‌স্‌স্‌স্‌স, এসব কিছু এত্ত জটিল ব্যাপার নয়, হঠাৎ খুব রাগ হলে, আর রাগটা এমন কারনে হলো যে কোন কিছুরই মানে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, বাঁচাটা বেজায় চাপের হয়ে যাচ্ছে, তখন মাথাটা ফাঁকা হয়ে যায় আর খালি মনে হয় মরে যাই, তখন অত ভাবার সময় থাকে না বাঁচলে কি হবে, বা মরার সময় কষ্ট পাবো কিনা? স্রেফ মরে যেতে ইচ্ছা যায়, আর মনে হয় মাদের ক্ষেত্রে আর কি, কচিটাকে কারোর ঘারে ছাড়ার থেকে সেটাকেও মেরে ফেলা ভালো, আমি একবার এমন সময় ঋভুটাকে পটকে দিয়ে উপরে যাবার তাল করছিলাম, কিন্তু বিধি বাম , তখনই কি একটা যেন গুড নিউজ এসে গেলো, আর বলতে নেই পরের দিন সব কিছুই ভালো লাগছিলো, এমনকি পটল আর ঝিঙে পর্যন্ত্য।
  • pi | 128.231.22.89 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৩:৫৬407811
  • পটল আর ঝিঙে তো সবসময় ই ভালো লাগে।
  • sibu | 207.47.98.129 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৩:৫৭407812
  • পটল সবসময়েই ভাল লাগে, আর ঝিঙে সবসময়েই খারাপ।
  • pi | 128.231.22.89 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৪:৪১407813
  • ধুর কি যে বলে। জীবনে অরুচি ধরলেও আলু-ঝিঙে পোস্ততে ধরতে পারে না। আত্মহত্যার জন্য মন যখন উড়ু উড়ু, তখন মুখের সামনে আলু-ঝিঙের বাটি M এর ঐ 'গুড নিউজ' আসার ইক্যুইভ্যালেন্ট হতেই পারে।
    তবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের রিপোর্ট অনুযায়ী, এসব অ্যান্টিডিপ্রেশান্ট দাওয়াই খুব ই পেশেন্ট স্পেসিফিক। এথনিসিটি, অরিজিন সব বিবেচ্য।
  • rimi | 168.26.215.135 | ২৩ মার্চ ২০০৯ ২২:১২407814
  • সিলভিয়া প্ল্যাথের ছেলে গত সপ্তাহে আত্মহত্যা করেছেন গলায় দড়ি দিয়ে। ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন। কি অদ্ভুত ট্র্যাডিশন!
  • I | 59.93.192.48 | ২৩ মার্চ ২০০৯ ২২:৪২407815
  • সত্যিই অদ্ভুত। আমাদের ফ্যামিলিতে কেউ কোনোদিন আত্মহত্যা করেনি। আমিও করিনি। এমনকি সুইসাইড পর্যন্ত না।
  • dipu | 121.243.161.234 | ২৪ মার্চ ২০০৯ ০৭:৫১407816
  • :))
  • pi | 72.83.87.179 | ০৮ অক্টোবর ২০১১ ১৮:৫৫407817
  • http://timesofindia.indiatimes.com/india/Satisfied-with-life-couple-ends-life-in-Goa/articleshow/10272043.cms

    The single-page suicide note, addressed to "whom it may concern", states, "We have lived a very eventful and happy life together. We've travelled the world, lived in different countries, made more money than we ever thought possible, and enjoyed spending as much of it as we could on things that brought us joy and satisfaction. We believe in the philosophy that our life belongs to us and only us, and we have the right to choose to die as much as we have the right to live."

  • ranjan roy | 59.161.18.164 | ০৯ অক্টোবর ২০১১ ০৬:১৭407819
  • এটা অসাধারণ। জন্ম-মৃত্যুর এক আলাদা অর্থ এনে দিল।
  • i | 124.171.52.102 | ০৯ অক্টোবর ২০১১ ১১:০৮407820
  • কয়েকবছর আগে এবিপিতেই একটা লেখা পড়েছিলাম। পশ্চিমবঙ্গের একটি গ্রাম আত্মহত্যাপ্রবণ। বোধ হয় বর্ধমানে। কিছু মনে পড়ছে না আর। শুধু মনে আছে, সে গ্রামের বেশির ভাগ মানুষের প্রিয় গান-তুমি যে গিয়াছ বকুলবিছানো পথে।
    কারোর বিশদ মনে আছে?
  • omnath | 117.194.202.159 | ০৯ অক্টোবর ২০১১ ১৬:৪৫407821
  • এবার পুজোসংখ্যা ভাষাবন্ধনে নবারুণ আত্মহত্যা নিয়ে গল্প লিখেছেন। খুব ভালো হয় নি, সুইসাইড নোটের কালেকশনটাও মোনোটোনাস।
  • pi | 72.83.87.179 | ১০ অক্টোবর ২০১১ ০৭:৪৩407822
  • রঞ্জনদা, এই সুতোয় করা অনেক আগে করা নিচের এই পোস্টটার প্রেক্ষিতে ঐ খবরটা দিয়েছিলাম। একরকমের প্‌র্‌যাকটিকাল প্রুফ পাওয়া গেল না ? :)

    লোকে বুঝি খালি দু:খ পেলেই মরতে চায় ?
    প্রচণ্ড সুখের মুহুর্তে ও চাইতে পারে।
    চাইতেই পারে।
    যদি মনে হয়, এর থেকে বেশি সুখ আর কিছু হতেই পারেনা। যদি মনে হয়, এর পর থেকে যা কিছু হবে, যত মুহূর্ত আসবে, সব এর থেকে কম সুখের, কি দু:খের ও হতে পারে।
    তাহলে, তাহলেও ও কিন্তু সে সেই মুহূর্তে মরে যেতে চাইতেই পারে।
  • kallol | 119.226.79.139 | ১০ অক্টোবর ২০১১ ০৯:৪২407823
  • আমার বেশ কয়েকজন বন্ধু আত্মহত্যা করেছে। কারন, অন্তত: আমরা যা বুঝেছি নানা রকম।
    ক। ১৯৮২। বয়স ২৭-২৮ পুরুষ। নকশাল রাজনীতি করতো। চাকরী করছিলো একটি কাপড়ের মিলে। যে মেয়েটিকে সে প্রস্তাব দিয়েছিলো, সে তার আগেই অন্য আর এক বন্ধুর সাথে সম্পর্কে ছিলো। সেটা ক জানতো না। কিন্তু সে মেয়েটির কাছে ঘ্যানঘ্যান করতে থাকে। ক, সেন্টু দেবারও চেষ্টা করে। মেয়েটি ব্যাঙ্ক কর্মী, গান গাইতো। তার প্রেমিকও ব্যাঙ্ক কর্মী, গান গাইতো। ক গান গাইতো না, কারখানায় কাজ করতো, তাই নিয়ে সেন্টু দেবার চেষ্টা করে। শেষে যখন দেখে বিষয়টা অন্য বন্ধুরা জেনে যাচ্ছে, তখন মেয়েটির কাছ থেকে কোন একটা ছুতোয় টাকা নেয়, ও সেই টাকা দিয়ে দড়ি কেনে।
    খ। ১৯৭৫। বয়স ২০-২২ পুরুষ। মামাদের মিস্টির দোকানের ব্যাবসা দেখতো। নকশাল রাজনীতি করতো। প্রথম দিকে অনেকেই তাকে সন্দেহ করতো পুলিশের চর বলে। পরে সেটা কেটে যায়। যখন সেটা প্রায় কেটেই গেছে, তখন গলায় দড়ি।
    গ। ১৯৭২। বয়স ১৬-১৭। সদ্য উচ্চমাধ্যমিক দিয়েছিলো। ভালো কবিতা কিখতো। শক্তির গুণমুগ্‌ধ। সেদিনও বন্ধুদের সাথে প্রচুর গাঁজা খেয়ে আড্ডা দিয়েছে, কবিতা শুনিয়েছে। রাতে প্রচুর লিপাটন খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে।
    ঘ। বয়স ৫৫-৫৬। নকশাল রাজনীতি করতো। এখন মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে। এখনো আত্মহত্যা করেনি। আমায় বহুবার বলেছে, তার আর বাঁচার তেমন ইচ্ছে নেই। মানে, মরে গেলে আফশোস নেই। ডায়বিটিক। প্রচন্ড মিস্টি খায়, কোন ওষুধ নেয় না, কোন রেস্ট্রিকশন মানে না।

    কোন প্যাটার্ণ পাই না।
  • kallol | 119.226.79.139 | ১০ অক্টোবর ২০১১ ০৯:৪৩407824
  • সকলেই বাঙ্গালী মধ্যবিত্ত।
  • maximin | 59.93.170.50 | ১০ অক্টোবর ২০১১ ১৩:২১407825
  • কয়েকবছর আগে এবিপিতেই একটা লেখা পড়েছিলাম। পশ্চিমবঙ্গের একটি গ্রাম আত্মহত্যাপ্রবণ। বোধ হয় বর্ধমানে। কিছু মনে পড়ছে না আর। শুধু মনে আছে, সে গ্রামের বেশির ভাগ মানুষের প্রিয় গান-তুমি যে গিয়াছ বকুলবিছানো পথে।
    কারোর বিশদ মনে আছে?

    এটার তো কেউ উত্তর দিল না। যিনি লিখেছিলেন নিশ্চয়ই তিনি রম্যরচনা হিসেবে লিখেছেন।
  • i | 124.168.169.20 | ১০ অক্টোবর ২০১১ ১৬:৪৪407826
  • আমি এদ্দিন জানতাম অদৃশ্য কালিতে লিখি। এখন দেখছি তা নয়কো।

    দেখি খুঁজে পাই কি না।।কবের পুরোনো লেখা। স্মৃতিশক্তির অবস্থা খুবই করুণ। হয়তো দেখব এরকম কোনো লেখাই নেই আদৌ। ছিলই না। স্বপ্ন দেখেছিলাম। আজকাল হচ্ছে এ রকম। সত্যি।
  • riddhi | 143.111.80.26 | ১১ অক্টোবর ২০১১ ০১:৪৮407827
  • ব্যক্তিগত ঝামেলার জন্য আত্মহত্যা করা খুব অস্বাভাবিক। জেনেতিক্সের বিরোধী। কিছু স্পিশি করে তবে তা মাস। এখন যেটা হয় সেটা মোস্টলি ইমিটেশান মিমিক্রি। কেউ একজন করেছিল আগে, সেটা ব্যথা থেকে বেরনোর প্রতীক হয়ে রয়ে গেছে। যদি সরকার আত্মহত্যার স্ট্যট চেপে দেয়, বা সেগুলো স্বাভাবিক মৃত্যু বলে প্রকাশ করে, বা এমন হয় জনমানসে আত্মহত্যার বিষয় মুছে দেয়া হয়, তাহলে এটা আর হবে না। নিজে থেকে এই আত্মহত্যর স্কিম ভেবে বের করা খুব মুস্কিল। কামু বলেছিলেন সবথেকে বড় দার্শনিক প্রশ্ন এই আত্মহত্যার ইসু টা। এটা ভুল কথা।
    খুব সুখেও কেউ এটা ভাববে না। মৃত্যুর থেকে নিস্তরঙ্গ কিছু নেই।
  • riddhi | 143.111.80.26 | ১১ অক্টোবর ২০১১ ০২:১৫407828
  • একটু জ্ঞান দিচ্চি। চর্চা আছে তাই।

    দৈহিক ছাড়া যাবতীয় মানসিক সুখ দু:খ কে দুটো অনুভুতি তে ফেলা যায় । আনন্দ মানে কোন কিছুর সমাধান করা, জট ছড়ানো , একটা নিশ্চয়টা অর্জন করা। আর দু:খ মানে অনিশ্চিতি। এভাবে দেখলে সব মানসিক সুখ-সু:খ এক অর্থে একডেমিক। এই বেসিক দুটো জিনিসের স্পিল ওভার। 'মন খারাপ' বলে কিছু হয় না, যেটা আমরা অনুভব করি সেটা ঐ 'মন খারাপ'এর উৎস সন্ধানে অনিশ্চিত হাতড়ানির বিরক্তি টা।
    এই কারণে অনেক সময় আত্মহত্যা কামী মানুষদের সরাসরি 'আত্মহত্যর বিষয়ে ফোকাস করতে বলা হয়। কিভাবে করবেন, দড়ির মাপ কতটা নেবেন ভাবছেন, বিষের রিএকশান টাইম কত ইত্যাদি। স্পেসিপইক ডিটেল্ড প্রশ্ন। মানুষের মন ফোকাসে বা একটা পারপসে পৌচতে ভালবাসে, তই এই প্রশ্ন গুলো তার মনকে সেই লক্ষ্যহীনতা থেকে মুক্তি দেয়। আর ফলত: সাময়িক ভাবে সে একটু হলেও 'সুখী' অনুভব করে স্কিম বানচাল করে।

  • i | 137.157.8.253 | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৮:১২407830
  • আমার ৯ই অক্টোবরের পোস্টের ফলো আপ-

    লেখাটা খুঁজে পেয়েছি। ১৯৯৩এর ৩০মে আনন্দবাজারে বেরিয়েছিল।
    গ্রামের নাম ইছাবট।বর্ধমান জেলা। কাটোয়া সাবডিভিশন। থানা ব্লক মঙ্গলকোট।

    আমি ভুল বলেছিলাম-তুমি যে গিয়াছ বকুল বিছানো পথে নয়। মালাখানি ছিল হাতে ঐ গ্রামের সকলেরই মুখস্ত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন