এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আত্মহত্যার কারন অকারন

    sibu
    অন্যান্য | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ | ৯১৯১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Tim | 71.62.2.93 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১২:৪১407765
  • মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি আর মরতে চাওয়া কি এক?
    বরং জীবন-মৃত্যু নিয়ে চরম অনাগ্রহের একটা অবস্থানেই বোধকরি যেতে চেয়েছিলেন উনি।

    এভাবে বোঝা যায় কিনা কে জানে। আমাদের অনেকের ক্ষেত্রেই দ্রিদার কথাগুলো প্রযোজ্য। আর ঠিক সেই কারণেই হয়ত আমাদের ভুল হচ্ছে বুঝতে। আমরা হয়ত সেই প্লেনে ভাবতেই পারছিনা যেখানে অ-কারণগুলো খুব স্পষ্ট নয়। কারণগুলোই প্রধান। এটা অবশ্য একেবারেই আমার ব্যক্তিগত মত, এবং চিন্তার সীমাবদ্ধতা।
  • sayan | 160.83.96.82 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১২:৫০407766
  • ডেরেক হামফ্রি'র লেখা একটি বই পড়িয়াছিলাম, ফাইনাল এক্‌জিট, "The Practicalities of Self-Deliverance and Assisted Suicide for the Dying"
  • b | 203.199.255.110 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৪:২৮407767
  • dri এর পোস্টের সূত্র ধরে, একটু লম্বা কোট

    Rieux fell silent and sat down. He felt his mouth dry.
    "After all—?" Tarrou prompted softly.
    "After all," the doctor repeated, then hesitated again, fixing his eyes on Tarrou, "it's something that a man of
    your sort can understand most likely, but, since the order of the world is shaped by death, mightn't it be better for God if we refuse to believe in Him and struggle with all our might against death, without raising our eyes toward the heaven where He sits in silence."
    Tarrou nodded.
    "Yes. But your victories will never be lasting; that's all."
    Rieux's face darkened.
    "Yes, I know that. But it's no reason for giving up the struggle."
    "No reason, I agree. Only, I now can picture what this plague must mean for you."
    "Yes. A never ending defeat."
    Tarrou stared at the doctor for a moment, then turned and tramped heavily toward the door. Rieux followed him and was almost at his side when Tarrou, who was staring at the floor, suddenly said:
    "Who taught you all this, doctor?"
    The reply came promptly:
    "Suffering."
  • sibu | 71.106.244.161 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৮:৫৯407768
  • মোটের ওপর সেই কথাই তো ঘুরেফিরে আসছে, ইনস্টিংকট বেঁচে থাকতে বলে, তাই বেঁচে থাকি। মরে যেতে ভয় পাই (ভয়ও ইনস্টিংকট), তাই বাঁচি। তাহলে কোন যুক্তিতে যে মানুষ মরে যেতে চায় তাকে কাউন্সেলিং করা যাবে? একমাত্র অবশিষ্ট কারণ থাকে ডেথ ইজ ইরিভার্সিবল। করে ফেলে যদি অনুশোচনা হয় তো আর সিদ্ধান্ত বদলানোর সুযোগ পাবে না। তা যে মানুষ মৃত্যুর পরের অস্তিত্ব মানে না, তার তো অনুশোচনার অবকাশ নেই মৃত্যুর পরে। তবে কি বলব, হোয়াট ইফ ইউ আর রং! যদিই মরে গিয়ে দেখ তোমার একটা অস্তিত্ব আছে তখনো। আর সে অস্তিত্ব তোমার এখনকার যন্ত্রনাদায়ক জীবনের থেকেও খারাপ। তখন যদি তোমার অনুশোচনা হয় ফিরে যাবার উপায় নেই বলে। সুতরাং নোন ডেভিলের সাথেই ঝুলে থাক হে মানবক। হেজ ইয়োর বেট এগেনস্ট আননোন।

    কি অসম্ভব বর্ণহীন বাঁচা!!!
  • saikat | 202.54.74.119 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৯:৪৯407769
  • মরে যেতে ভয় পাই বলে বাঁচি। তাহলে কি যেন সব বলা হয় - free will - তার কি হবে? আর যে লোকটা আত্মহত্যা করল, সেটা কি তার free will? নাকি মাথার ভেতরে একটা ঝড় যাতে সবই ধুয়ে মুছে গেল? তাহলে কি আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধান না করে বাঁচার কারণ খুঁজতে হবে?
  • a x | 143.111.22.23 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২১:৫২407770
  • রাশিয়ার কবি, সার্গেই এসেনিন আত্মহত্যা করেন ১৯২০'র মাঝামাঝি কোনো এক সময়। নিজের হাতের শিরা কেটে সেই রক্ত দিয়ে লিখেন -
    Goodbye, dear friend, goodbye
    My love, you are in my heart.
    It was preordained we should part
    And be reunited by and by.
    Goodbye: no handshake to endure.
    Let's have no sadness furrowed brow.
    In this life to die is nothing new
    and, in truth, to live, is not much newer.


    মারা যান তার পরদিন গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে।

    এই সময়েরই কবি মায়াকোভ্‌স্কি। অসম্ভব বিরক্ত হন এসেনিনের মৃত্যুতে। তাঁর ধারণা ছিল শ্রমিক শ্রেণীর কাছে এইসব আত্মহত্যা জাতীয় জিনিস খুবই ডিমোর‌্যালাইজিং। উঠে পড়ে লাগেন কিভাবে ঐ শেষ দুটো পংক্তির থেকে সব অনুভূতি, সব আবেগ, সব গভীরতা, যেটুকু অবশিষ্ট সৌন্দর্য, তাকে নিংড়ে ফেলে দিতে। এবং লেখেন -
    In this life it is not hard to die,
    to mold life is more difficult

    নিজেই বলেন, ওনার উদ্দেশ্য, ঐ শেষ দুই লাইনকে প্যারালাইজ করা, "to make Esenin's end uninteresting"। বক্তব্য ছিল, ওয়ার্কিং ক্লাসের কাছে জীবনের বাণী পৌছনো অনেক বেশি দরকার। মৃত্যু অনেক সুবিধেবাদী, সহজ রাস্তা। কম্যুনিজমের পথ অনেক কঠিন, কিন্তু তাতে জীবনের সৌন্দর্য্য, আনন্দ অনেক বেশি।

    ১৯৩০'এর ১৪ই এপ্রিল, মায়াকোভ্‌স্কি আত্মহত্যা করেন।
  • ranjan roy | 122.168.17.135 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২১:৫৪407771
  • সুভাষ মুখো: বা অন্য কারো একটি কবিতার লাইন স্মৃতিতে ঘেঁটে গিয়ে এ'রম মনে আছে।
    "" অন্ন আছে?-- নেই।
    বস্ত্র আছে?-- না, নেই।
    মৃত্যু আছে?- - আছে, কিন্তু দেবো না। পাছে শান্তি পেয়ে যাও!''
    তাহলে কখনও কখনও বাঁচাও এমন ভয়ংকর হতে পারে যে মানুষ মৃত্যুতে পরিত্রাণ খুঁজবে।
    সেটা বর্তমান জীবন ও তার সম্ভাবনা নিয়ে মানুষটির কল্পিত নরক ও হতে পারে।
    আসল কথা মুহুর্তের জুনুন। দীর্ঘকালীন র‌্যাশনাল প্ল্যানিং করে কেউ আত্মহত্যা করেছে বলে শুনিনি।
    এক মহিলা আমাকে বলে ছিলেন আন্দামানে ছোটবেলায় স্টীমারে করে এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে স্কুলে যেতে তার ইচ্ছে হত--সমুদ্রে ঝাঁপ দিই, ঝাঁপ দিই, দিই, দিই।
    কোলের ছোট বাচ্চাটার মাথার নরম তুলতুলে জায়গাটায় হত বুলিয়ে বলতেন--- মনে হয় এখানে পেরেক ঢুকিয়ে দিই, দিই,।।।
  • a x | 143.111.22.23 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২২:০০407773
  • মায়াকোভ্‌স্কির এই আত্মহত্যা নিয়ে প্রচুর ক®¾ট্রাভার্সি আছে। লিলি ব্রিকের প্রতি ব্যর্থ প্রেমের পরিণতি না স্তালিনের পরিকল্পিত খুন। লিলি ব্রিকের নিজের বিশ্বাস ছিল মায়াকোভ্‌স্কি আত্মহত্যাই করেছেন। "একটা ঘুন ধরা অসুখের মত, আত্মহত্যার চিন্তা কবিকে কুরে কুরে খেত।"
  • I | 59.93.160.152 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২২:০০407772
  • ট্রেনের চাকা দেখলে এখনো আমার মনে হয়-যাই, যাই...
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২২:০৯407775
  • মায়াকভস্কির টা আত্মহত্যাই। ড্যাম শিওর। অত প্রেম করলে ওরকমই হয়। :)

    তবে আত্মহত্যায় লজিকাল ফ্যালাসি আছে। ফ্যালাসিটি নিম্নরূপ:

    আত্মহত্যা সচেতন জীবন্ত মানুষের সচেতন কাজ।

    অতএব, আত্মহত্যা জীবনেরই অংশ।

    অতএব, জীবন অর্থহীন হলে আত্মহত্যাও অর্থহীন।

    মিথ অফ সিসিফাসে এই কেসটাতে তাই ঢোকেইনি। ঢুকলে ফেঁসে যেত। ;-)
  • a x | 143.111.22.23 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২২:১২407776
  • সিলভিয়া প্ল্যাথের আত্মহত্যা নিয়ে অবসেশনের কথা হয়ত সবাই জানেন। "বেল জার"এর এস্থারের মধ্যে দিয়ে যা বলে গেছেন। শেষ এবং আল্টিমেট অ্যাটেম্পট হয় তাঁর যখন বয়স মাত্র ৩০। ওপরের শোবার ঘরে বাচ্চারা তখন ঘুমিয়ে পড়েছে। বাচ্চাদের জন্য রুটি, দুধ গুছিয়ে রাখেন। রান্নাঘরের দরজাটা ভালো করে বন্ধ করেন। ওভেন অন করে, এক বোতল ঘুমের ওষুধ মুখে ঢেলে, ওভেনের দরজা খুলে মাথা ঢুকিয়ে দেন।
  • I | 59.93.160.152 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২২:১৪407777
  • ভার্জিনিয়া উলফ। ওভারকোটের পকেট পাথরে ভর্তি করে নদীতে ঝাঁপ দিলেন। কি যুক্তি? না, বেঁচে থাকা আর সহ্য করা যাচ্ছে না। আবার সেই পাগলামো ফিরে এসেছে।
    কেমন লাগে কে জানে, সেই lucid interval, পাগলামো আর না-পাগলামো-র মাঝখানের নো-ম্যানস ল্যান্ড। ভাল্লাগে না মনে হয়।
  • a x | 143.111.22.23 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২২:৩৫407778
  • সিলভিয়া প্ল্যাথের স্বামী - টেড হিউস। অত্যন্ত শক্তিশালী কবি। সিলভিয়ার আত্মহত্যার সময় টেড হিউসের সন্তান ধারণ করেছিলেন অ্যাসিয়া ওয়েভিল। সিলভিয়ার সাথে সেপারশনের পরে এর সাথেই থাকতেন টেড। অ্যাসিয়া বিবাহিতা ছিলেন। সিলভিয়ার মৃত্যুর পরে পরেই অ্যাসিয়া প্রেগন্যান্সি টার্মিনেট করেন। এর কিছু বছর পরে আবার তিনি টেডের সন্তান ধারণ করেন - কন্যা।

    টেডের মন তখন অন্য নারীতে, ক্যারোল, যাঁর সাথে তিনি জীবনের শেষ অবধি কাটান। ৪ বছর বয়েসের এই কন্যাসন্তান মারা যায় মা'র হাতে। বাচ্চাকে মেরে মা-ও আত্মহত্যা করেন। ঠিক যেভাবে টেডের প্রথম স্ত্রী সিলভিয়া মারা যান। রান্নাঘরের দরজা ভালো করে বন্ধ করেন। উইস্কি তে ঘুমের ওষুধ গুলে খান, ওভেনের গ্যাস খুলে দিয়ে, মেয়ের পাশে শুয়ে পড়েন।
  • Binary | 198.169.6.69 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০১:০৬407779
  • মায়াভস্কি, ভার্জিনিয়া উলফ এসব নয়, বা জীবনানন্দ-ও নয়, একটা পাতি সুইসাইডের গপ্প। শ্যামবাজার মেট্রোতে ঘটেছিলো, ৩/৪ বছর আগে। যেমন প্রায়-ই ঘটে। রেকের তলায় ঝাঁপ দেওয়ার আগে ছেলেটা নাকি অনেকক্ষন মোবাইলে কথা বলছিলো, তারপর আচমকা ঝাঁপ দেয়। এসব খবরে-ই প্রকাশ। বাকিটা এরকম হতে পারে।

    মোবাইল কানে ছেলেটা। জিন্স, স্নিকার, লাল টিসার্ট। অল্প দাঁড়ি, রোগারদিকে। কোঁকড়া চুল, চশমা। কাঁধে ঝোলা ব্যাগ, কলেজের। শ্যমবাজার মেট্রো-র সিঁড়িতে ঘন ঘন উপরনীচ করছে। অস্থির। শুকনো ঠোঁট।
    -- 'তুই আজ-ও এলিনা, এত করে বললাম'
    -- 'জানতিস-ই তো আসব না, কেন বলেছিলি, আসতে ?, তুই আর আমাকে ফোন করিস না'
    -- 'তুই আমাকে অয়াভয়েড করছিস কেন ?'
    -- 'আগেই তো বলেছি এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর হয় না, আমি এখন ফোন রাখব'
    -- 'তুই আমাকে এরকম ভাবে রিজেক্ট করছিস !!! কেন ? বল না !! কেন ?'
    -- 'আমি এখন রাখবো ......'
    -- 'আমি এখন কি করবো ? ..... বল কি করবো ??'
    -- '....... অমি ছাড়ছি'।
    -- 'আমি , আমি, কালকে আমাকে কেউ আর খুঁজে পাবে না, দেখিস .....'
    -- ........
    -- 'কিছু বলছিস না যে ?'
    -- 'কি বলবো ?'
    -- 'আমি মরে যাবো .....'
    -- 'ধুস্‌স্‌স (অধৈর্য্যের নি:স্বাস)'
    -- 'দেখিস আমি পারি কিনা, মরতে, তুই বিলিভ-ই করছিস না ....'
    -- 'তুই এখন ফোন রাখ আমার কাজ আছে'
    ছেলেটা পায়ে পায়ে মেট্রোর প্ল্যাটফর্মে। ভীড়। ছেলেটা ঠেলেঠুলে সামনে এগোয়। কানে মোবাইল।
    -- 'তুই প্লিজ, কালকে আয়, একবার'
    -- 'না (কঠিন স্বর)।
    -- 'প্লিজ'
    -- '......'
    -- 'সত্যি বলছি, কালকে আর আমাকে খুঁজে পাবিনা'
    -- '...... ফোন রাখছি'
    -- 'দেখিস ......'
    ট্রেন আসে টানেল দিয়ে, মূহূর্তে, ছেলেটা ঝাঁপায়, হইহই, ট্রেন থামতে পারেনা। পুলিশ, মেট্রোকর্মী এসে রেক সরিয়ে বার করে তালগোল পাকানো দেহ।
    এই আত্মহত্যাটা বেঁচে যেত, শুধু একটা উত্তর যদি হত

    -- 'এসব পাগলামি করিস না, এখন রাখি, পরে কথা বলব'।
  • a x | 143.111.22.23 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০১:৩৩407780
  • আমাদের ছোটবেলায় রেগুলারে রেটে একসাথে হাত বাঁধা অবস্থায় টিনেজ কাপল পাওয়া যেত লেকের জলের তলায়। আজকাল সবাই চালাক হয়ে গেছে। বোকা চাষী গুলো বাদে।
  • a x | 143.111.22.23 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০১:৩৬407781
  • হয়ত, আগে বহুবার শুনেছে, "আর আমাকে কেউ দেখতে পাবেনা", হয়ত আগে বহুবার মেয়েটি তখন বলেছে, "এসব পাগলামি করিসনা..." হয়ত, আবারও ছেলেটি সেই একই রকম ভাবে মেয়েটিকে ছোট করেছে সবার সামনে, বারবার কথা দিয়েও নিজের দৈন্যতা নিজেই বেআব্রু করে দিয়েছে। হয়ত বহুবার মেয়েটি ভেবেছে, বদলে যাবে, ঠিক বদলাবে, আর এরকম হবেনা... কিন্তু আবার সেই।

    হয়ত তারপর আর কিছু অনুভূতিই হয়না। মেয়েটির ক্লান্তি লাগে, মনে হয় একটা দায়। তখন এইসব শুনলে বিরক্তি, একটা গা ঘিনঘিনে ভাব ছাড়া আর কিছুই হয়না। পায়ে জড়িয়ে যাওয়া নোংরা ন্যাকড়ার মত লাগে, ইচ্ছে হয় লাথি মেরে ছুঁড়ে ফেলতে। কথা বলতে হলে যেন নি:শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়, কেউ যেন গলা টিপে ধরছে। কতক্ষণে ফোনটা রেখে হাঁফ ছাড়বে। হয়ত।
  • Binary | 198.169.6.69 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০১:৩৮407782
  • :))) হয়তো তাই
  • pi | 128.231.22.89 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০২:২২407783
  • লোকে বুঝি খালি দু:খ পেলেই মরতে চায় ?
    প্রচণ্ড সুখের মুহুর্তে ও চাইতে পারে।
    চাইতেই পারে।
    যদি মনে হয়, এর থেকে বেশি সুখ আর কিছু হতেই পারেনা। যদি মনে হয়, এর পর থেকে যা কিছু হবে, যত মুহূর্ত আসবে, সব এর থেকে কম সুখের, কি দু:খের ও হতে পারে।
    তাহলে, তাহলেও ও কিন্তু সে সেই মুহূর্তে মরে যেতে চাইতেই পারে।

  • Blank | 59.93.193.139 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০২:৩০407784
  • বেসিকালি বেঁচে থাকা বেশ বোরিং কাজ, প্রচুর ক্যালোরি নষ্ট
  • Binary | 198.169.6.69 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০২:৩১407786
  • আত্মহত্যাটা মনে হয় একটা বাঁচার ইনস্টিংট। এতাটা প্রবল অনুভূতি সহন করতে পারছিনা, তাই মরে যাই, মরে গিয়ে এর থেকে বেঁচে যাই।

    তবে পাই যেটা বল্ল, সেটা মরে যাওয়া নয়, -- সমাধি। সম্ভোগ সে সমাধি, ইসো রজনীস বলে গেছেন।
  • Blank | 59.93.193.139 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০২:৪০407787
  • অনেকটা তাই। যেমন ভাবি যে ধুর বেশি চাপ হলে এখানে পাতা ফেলে ইনফি কি আইবিএম যাবো। তেমনি ...
  • debu | 72.130.158.122 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৪:৩৪407788
  • আত্মহত্যা হলো একটি software bug , ইন্‌ফানইট লূপ এ ঘুরতে থাকে।।
    As per Chemistry : dopamin,seritonin এর লেভেল ডিস ব্যলন্সে হয়ে যায়
  • sibu | 207.47.98.129 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৫:৩১407789
  • ঈশানের কথাটা, ঐ যে, বেঁচে থাকা আর মরে যাওয়া - দুই সমান। মনে হল অক্ষর কোট করা এসেনিনের কবিতার শেষ লাইন দুটোও ঐ একই কথা বলছে - to die is nothing new, ... to live, is not much newer. তাহলে বেঁচে থাকাটা একটা আনস্টেবল ইকুইলিব্রিয়াম, শুধু একটু ধাক্কার অপেক্ষা। মৃত্যু বরং স্টেবল, কেউ ফিরে আসে বলে তো কখনো শুনি নি। একটুখানি উদ্যম আর সাহস যোগাড় করতে পারলেই অধ্রুব থেকে ধ্রুবে পৌঁছনো যায়।
  • Binary | 70.64.8.206 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১১:০৪407790
  • ধ্রুবে পৌছাঁনোর যে উপলব্ধি, সেটা জানা গেল অধ্রুবেই (জানিনা এই শব্দটা ঠিক বাংলা কিনা) কারণ অধ্রুব অসীম অন্ধকার, মগজ নেই সেখানে .....
  • Binary | 70.64.8.206 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১১:০৬407791
  • ** ধ্রুব অসীম অন্ধকার , না: বাকার্ডীটা বেশী হয়ে গেছে।
  • bb | 117.195.162.88 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৪:২৪407792
  • আমার মতে আত্মহত্যা করে যারা তারা জীবনের সমস্যা থেকে পালিয়ে যায়। আমাদের অনেকের মনেই হয়তো একটা দিকশুণ্যপুর লুকিয়ে থাকে। মাঝে মাঝে মনে হয় ঘুরে আসি সেখান থেকে কিছু দিন।
    কিন্তু শেষপর্যন্ত আমার কাছে জীবনের মুল্য অনেক বেশী। যত:ক্ষণ একটা উদ্দেশ্য থাকে তত:ক্ষণ মানুষ বোধহয় বে'চে থাকতে চায়।
  • ranjan roy | 122.168.68.251 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২৩:৫৭407793
  • একটা কথা: বেসিক্যালি আমরা কেউই বোধহয় মরতে চাইনা। গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেশলাই ঠুকে তারপর সবাই ছটফট করে, ছুটোছুটি করে--- আমাকে বাঁচাও!
    যারা ঘুমের বড়ি খায় বা ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেয় - তারা আসলে রি-থিংক করার সুযোগ পায় না। নইলে ঠিক চ্যাঁচাতো।
    বিজন ভট্টাচার্যের ""দেবীগর্জন'' নাটকে সঞ্চারিয়া সাঁওতালের মোনোলগ:
    আমি তো মরিবার চাহি না! তুমিতো মরিবার চাহ না। আরে, কাল যে বাচ্চাঠো পয়দা হইছে, সেও হাত মুঠা করি চিল্লাইছে--- হামাকে বাঁচাও, হামি বাঁচবে!

    আমার বন্ধু বিজয় বর্মার ফান্ডা:
    বেঁচে থাকার সবচেয়ে বড় মজা এই--- যে আমরা জানি না কবে মরবো। যদিও জানি যে একদিন তো মরতে হবেই।
    যদি আমরা জানতে পারি যে কবে নাগাদ মরবো তাহলে সেইদিন থেকে বাঁচার আনন্দ মাটি হয়ে যাবে।
    ধরুন, আমি যদি ৮০ বছরও বাঁচি তবুও যদি সেটা ৩০ বছরে যেনে যাই তো সেদিন থেকে আমার টেনশনের শুরু। তক্ষুণি লম্বা লিস্টি শুরু হয়ে যাবে --- জীবনে অপূর্ণ যর সাধ আহ্লাদের। মনে হবে ৮০ বছর অনেককম/
  • Somnath | 117.194.199.176 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০০:২২407794
  • কেরোসিন জ্বেলে ছুটোছুটি করার সাথে মরার ইচ্ছের বিশেষ সম্পর্ক নেই। চামড়া পুড়লে যান্ত্রণা হয়, যা জীবীত মানুষের স্নায়ু নিতে পারে না। গলায় ফাঁস এর কেস ও তাই। দম বন্ধ হয়ে গেলে বাই রিফেক্স ছটপট করবে। ঘুমের বড়ির কেস এ এইসব ফালতু ঝামেলা নেই। স্মুদ।

    "নইলে ঠিক চ্যাঁচাতো'' টা রঞ্জনদার কথা হয়ে গেল। হয়তো চ্যাঁচাতো না - এটা যেমন আমার কথা হল। ইত্যাদি।

    বিজন ভট্টাচার্যের নাটকের ডায়লগ ও বিজনের দর্শন ছাড়া কিছু নয়। এতে করে এমনকি আদিবাসী দর্শনটাও জানা গেল না। কাল পয়দা হওয়া বাচ্চাটা অত কিছু ভেবে কাঁদে -কেসটা ডাক্তারেরা সাপোর্ট করবে না।

    বিজয় বর্মার ফাণ্ডা টাও একজন বিজয় বর্মার মৃত্যুদর্শন, যে বাঁচতে চায়। অন্য কেউ যে মরতে চায়, তাকে ৮০ বছরের ফাণ্ডা দিলে সে পরের দিনই গুচ্ছ ঘুমের অসুধ যোগাড় করে বাঁচা ব্যপারটা কাটিয়ে দিতে পারে।

    মানে এসব থেকে কিসুই পোমাণ হোলো না। :-(
    ঠিক অবজেক্টিভ আলোচনাটা জমছে না। :-(

    আত্মহত্যার অধিকার নিয়ে দেশ এ একটা ভালো লেখা পড়েছিলাম অনেকদিন আগে। দেশেই বোধহয়। নাকি দেশ এ নয়?
  • m | 12.217.30.133 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৫:৪৮407795
  • . | 123.239.41.219 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৬:৩১407797
  • আত্মহত্যার একটাই কারন, অভিমান।
    কখনো অন্যের ওপর, কখনো নিজের।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন