এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আত্মহত্যার কারন অকারন

    sibu
    অন্যান্য | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ | ৯০৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sibu | 207.47.98.129 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০২:৪০407677
  • আজ সকালে উঠে দেখি বড় মেয়ে জি-টকে 'মিথ অফ সিসিফাস' চেয়ে পাঠিয়েছে। অনেক কাল আগে কলেজে থাকতে পড়া বইটা। কিন্তু প্রথম প্রবন্ধটির একটি যুক্তি মনে পড়ে গেল। অনেক মানুষ বলে তারা অমুক কাজটি করার জন্য বেঁচে আছে। প্যারাডক্স হল, সেই কাজটির জন্যই তারা অনেক সময় মারা যায়।

    মনে হল গুরুর লোকজন এই বেঁচে থাকা/ মরে যাওয়া এবং তার কারন নিয়ে কি ভাবে একবার জিজ্ঞেস করে দেখা যাক। তাই এই সুতো।
  • d | 117.195.33.230 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৭:৪১407752
  • কারণ আর অকারণ দুইই মুর্ধণ্য "ণ'
  • Bhuto | 203.91.207.30 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৯:৪৮407763
  • বাঁচা আর মরা এই দুটোর মাঝে সময়ের উপভোগ করাটাই যে আসল সেটাই তো কেউ বোঝে না। খালি বাঁচা আর মরা নিয়ে ভাবে :( । আরে কাজ করার তো করো না বাপু,করা হয়ে গেলে আরেকটা কাজ করো , নয়তো ল্যাদ খাও। জন্ম যখন নিজে হাতে ছিল না মরণ নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার কারণ কি?

    -হ ম ম ম , তবে সুখাদ্যেই সুখ ,আর সেই খাদ্যের কারণে আমার কোনোদিন মৃত্যু হইলেও হইতে পারে :-(।
  • pi | 128.231.22.89 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৯:৫৯407774
  • বাঁচা আর মরা, এদুটোর মাঝের সময় উপভোগ !! :-o :-o
    ইয়ে, বাঁচা বলতে কি জন্মানো বোঝানো হতেছে ?
  • siki | 122.160.41.29 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১০:০৮407785
  • চেতন ভগৎ লিখেছিল, রাজনীতিকরা নাকি কখনও আত্মহত্যা করে না, স্ট্যাট অনুযায়ী।
  • Mandira | 98.207.187.245 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১১:২৯407796
  • Robert Dwyer -- এক্‌জন আমেরিকান পলিটিশিয়ান '৮৭ তে আত্মহত্যা করেছিল। বিশদ বিবরণ আছে উইকি তে ...

  • Bhuto | 203.91.207.30 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১১:৩০407807
  • হে হে ,হ্যাঁ বাঁচা অর্থে জন্ম আর তার পরের সময়কে (মৃত্যুর আগে অবধি)বললাম।
  • Bhuto | 203.91.207.30 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১১:৩২407818
  • সিকি ভারতীয় রাজনীতিবিদদের কথা বলেছিল নিশ্চয়। ভারতীয় রাজনীতিবিদেদের মরার তো কোনো কারণ দেখি না। উল্টে তাদের দেখে বাকিদের পটল তুলতে ইচ্ছা যায় :-)
  • Du | 65.124.26.7 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২০:৪২407829
  • মরার কোন কারণ হয় না। অনেক দু:খে মরে যায় লোকে, কিন্তু তার চেয়ে অনেক বেশি দু:খেও কি লোকে বেঁচে থাকে না?
    এ তো ছেপে যাওয়া বই নয়, যে ভাল লাগলো না, মলাট বন্ধ করে রাখলাম। এ তোমার বই, তুমি তো বদলেও দিতে পারো শেষটা।
    মরে যাওয়াটা একটা অপশন বলে না ভাবলেই বেঁচে যেত অনেকে - দুদিন, শুধু দুটো দিন দাও জীবনকে - এমন কিছুই নয় পুলিশের দুটো শাসানি, তার চলে যাওয়া বা যাই কিছু হোক না কেন। কারো শিক্ষা হয় না আমার মরে যাওয়ায়, কোন বক্তব্যও হয় না। মৃত্যু কি জীবনের চেয়ে ভাল? যদি নাও হয়, ফিরে আসার উপায় নেই।

    দেখা গেছে বিশ্বাস (ঈশ্বর বা যাতেই হোক) মানুষকে টানতে পারে অনেকটাই জীবনের দিকে। আর রাজনীতিকদের আত্মহত্যা না করাটাও তার আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন হিসেবেই নেবো আমি - এখন বিশেষ করে ফেসবুকে এসে আত্মহত্যা নিয়ে দলবেঁধে মাতামাতি করার দিনে - আত্মহত্যাকে একটুও অপ্রয়োজনীয় গ্লোরি দেওয়া খুবই ভুল হবে।
  • Du | 65.124.26.7 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২১:২১407678
  • সেই বিষাদ নিয়ে শ্যামল লিখলেন, তার প্রায় সমসময়েই সেই ছেলেটির কথা পড়লাম মস্কোতে পড়তে গিয়েছিল সে, সেই বাবাকে ফোন করে বলেছিল কারা নাকি তাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করছে। পরদিন সে ছাদ থেকে পড়ে মারা যায়। আমি সঠিক জানি না , ডাক্তারবাবু আলোকপাত করতে পারেন - তবে এগুলো যদি ডিপ্রেশনের চিহ্ন হয়, অনেক সচেতনতার দরকার আছে এখানে। সেই বাবা হয়তো কিছু করতেও পারতেন তার ছেলেকে বাঁচানোর জন্যে।
  • siki | 122.162.81.5 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২২:৩৭407689
  • হুঁ, স্ট্যাটটা বোধ হয় ভারতীয় রাজনীতিকদের সম্বন্ধে বলা। নইলে হিটলারকেও এক্সেপশন ধরতে হয়।
  • arjo | 168.26.215.13 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৩:২৯407700
  • কিছুকাল আগে প:ব: এর এক মন্ত্রীই আত্মহত্যা করেছিলেন।
  • Arpan | 122.252.231.12 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৯:২৫407711
  • মন্ত্রী? না সুসি নেতা?
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৯:২৭407722
  • মন্ত্রীই - বিদ্যুৎ কি যেন। সম্ভবত: প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
  • sibu | 71.106.244.161 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৯:৩৫407733
  • দু-এর পোস্টটা। টেনেটুনে বেঁচে থাকা কেমন যেন।

    মানে, বেঁচে থাকাটা পাথ অফ লিস্ট রেজিস্ট্যান্স। নিজে থেকে কিছু না করলে মানুষ বেঁচেই থাকে। যেমন ধাক্কা না দিলে পাথর দাঁড়িয়ে থাকে বুনান তাদের ছবি তুলবে বলে। বেঁচে থাকার পক্ষে আর কোন যুক্তি কি দেওয়া যায়? মানে বেঁচে থাকার বখেড়া কম, এই যুক্তি ছাড়া!
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৯:৩৮407744
  • হিটুবাবু? দাঁড়াও বস - হিটলার বাঙ্কারে আত্মহত্যা করেছিলেন কিনা সেই নিয়ে পোচুর কন্সপিরেসি থিওরী আছে। এই সেদিনই আর্ভিং ওয়ালেসের একখান গপ্প পড়লুম এই নিয়ে...
  • I | 59.93.214.158 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২২:২৯407750
  • আমি একটু সম্পূর্ণ অন্য ছোট (আর বাজে) গপ্পো বলবো। আমায় কিন্তু খানিকটা মাপ করে দিতে হবে। বাকিটা বকে দিলেও চলবে।
    কাল বালিগঞ্জে আমার এক আত্মীয়া মারা গেলেন। রক্তের সম্পর্ক নয়, তবু আত্মীয়। ৯৪ বছর বয়স হয়েছিল। বিদুষী ছিলেন, আর উইটি। শেষ দিকে মাঝেমধ্যেই বলতেন, আমি তো বেঁধেছেঁদে স্টেশনে বসে আছি, কিন্তু ট্রেন কখন আসবে ! ট্রেন এল, একটু দেরী করে , কিন্তু অবধারিতভাবে এল গতকাল। দেরীর ঠেলায় যাত্রীটির একটু চাপ হয়ে গিয়েছিল। শেষদিকে কোমায় ছিলেন, শরীর ভরে গিয়েছিল বেডসোরে। কাল গিয়ে দেখলাম, কানে ড্রাই গ্যাংগ্রিন হয়ে গিয়েছিল। এই সব ব্যথার অনুভূতি ছিল না অনেকদিন, কিন্তু মৃত্যুর আগের দিন তারা সম্পূর্ণ ফিরে এসেছিল।
    সে দৃশ্যের ধাক্কা তাও যাহোক মানিয়ে নেওয়া গেছিল; কিন্তু দেখলাম, পাশে বসে আছেন আমার আর এক পরিচিতা। ক্যান্সারে ভুগছেন দীর্ঘদিন। মরে কুঁকড়ে যাওয়া একজন মানুষের পাশে বসে আছেন, হাত দুটো কোলের মধ্যে জড়ো করে। কি ভাবছেন, কে জানে। ট্রেন কবে আসবে?

    কাকু যখন খবরটা দিলেন, তখন দুপুর তিনটে। আমি যে বইটার পাতা ওল্টাচ্ছিলাম, সেটা জীবনানন্দ দাশের কবিতাসংগ্রহ। as luck would have it, সেসময়ে আমার খোলা পাতায় ক্ষেত্র গুপ্তর লাইনটা চেয়ে আছে : জীবনানন্দের কবিতায় মৃত্যু বড় বেশী।
    আর, তথ্য হিসেবে এইটুকুই, যেটা সব্বাই জানেন, কাল জীবনানন্দের জন্মদিন ছিল।
  • I | 59.93.214.158 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২২:৪৮407751
  • মরে যেতে কি আপনারা ভয় পান? আমি পাই।

    সম্প্রতি আমার হীনযান বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে খানিকটা আগ্রহ জন্মেছে। কয়েকদিন আগে আমার এক রোগী, তিনি হীনযান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন জেনে আমি জিগ্গেশ করে বসেছিলাম-আচ্ছা, এই যে আপনারা এত নির্বাণ-নির্বাণ করেন, নির্বাণটা কি বস্তু?
    উত্তরে তিনি একটা গল্প বললেন। ভদ্রলোক কোর্টে কাজ করতেন, সেই সুবাদে বিভিন্ন উকিলের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ হত। একবার একজন বৃদ্ধ উকিলকে দেখেছিলেন, তিনি কেসটেস কিছু নিতেন না, অথচ নিয়ম করে কোর্টে আসতেন। তো, উনি তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, আপনার এত বয়স হয়েছে, আপনি তো আর ব্রীফ নেন না, তাহলে আসেন কেন?
    বুড়ো ভদ্রলোক বলেছিলেন- হ্যা , আসি। আমার একজন রিক্সাওলা ঠিক করা আছে, তাকে আমি মাসে একটা থোক টাকা দিই; সে আমাকে রিক্সা করে নিয়ে আসে, আবার বিকেলে রিক্সা করে ফেরত নিয়ে যায়, এখন আর হাঁটতে পারি না তো। গাড়ি অন্যরা ব্যবহার করে, আমি গাড়ি চড়া ছেড়ে দিয়েছি। এককালে অনেক উপার্জন করেছি । ষাট বছর বয়স যখন হল, তখন ছেলে-মেয়ে-বৌ-বৌমাদের ডেকে বললাম, আজ থেকে আমি তোমাদের সংসারে জীবন্মৃতের মত থাকবো। ধরে নাও, আমি বেঁচে নেই। কোনো সাংসারিক পরামর্শ আমার কাছে চাইবে না; চাইলেও পাবে না।
    আমি এখন সব বাঁধন আস্তে আস্তে ছাড়িয়ে নিচ্ছি, সেই শেষের দিনের জন্য তৈরী হচ্ছি। যেন সেইদিন এলে পৃথিবীর কোনো কিছুর ওপরেই আমার আর টান না থাকে। এই প্রিপারেশন শেষ হলেই আর মরে যাওয়ার ভয় থাকবে না। আমি আসি, বার লাইব্রেরীতে বসে থাকি, কোনো জুনিয়র যদি পরামর্শ চায়, দিই; বিকেল হলে আবার রিক্সা করে বাড়ি ফিরে যাই।
    আমার সেই পরিচিত ভদ্রলোক তাঁকে জিগ্গেস করেছিলেন, এই আইডিয়া আপনি পেলেন কোথা থেকে। তাতে উকিল ভদ্রলোক ওঁকে বলেছিলেন, আমি পুরুলিয়ার লোক তো, পুরুলিয়ায় এক সময় বৌদ্ধ-জৈন ধর্মের খুব প্রভাব ছিল। আমি সেখান থেকেই পেয়েছি।

    গল্প থামিয়ে আমার রোগী বলেছিলেন, এরই নাম নির্বাণ। আর কিছু নয়।
  • Du | 65.124.26.7 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০০:৩৬407753
  • সেক্ষেত্রে মরে যাওয়ার পক্ষেও সেরকম যুক্তি থাকা উচিত। বরং কিছু করার জন্যেই তো যুক্তির বেশি দরকার, তাই নয় কি?

    বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই, তেমন কোনও যুক্তি থাকেনা। যদি বেঁচে থাকাটাই কোন কারণে বলে ভাবে কেউ, তবে সেই কারণটা কেঁচে গেলে বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য হারিয়ে যায়। গন্ডগোলটা এখানেই। আমি আছি, যেমন অন্য কেউ, যেমন গাছ পালা, যেমন ঐ পাখীটা। পুরো ছবিটার মধ্যে নিজেকে ধরলে আলাদা করে বেঁচে থাকার কারণ খুঁজতে হয় না।

    আমার কাছেরই কেউ ( এটা লিখতে চাইছিলাম না - বড় কঠিন - কিন্তু এটা একটা কারণও এই টপিকটা নিয়ে স্ট্রংলি ফীল করার) জীবনের ষোলতম বছরে নিজেকে শেষ করে দিয়েছিল - বান্ধবীর মৃত্যুকে নিতে না পেরে। মেয়েটির মা কিন্তু তার চেয়েও বেশি আঘাত পেয়েছিলেন - সেই দুর্ঘটনায় তার চোখের সামনেই মেয়ে ও স্বামী শেষ হয়ে যান। তিনি তো সারা জীবন ধরে সয়েছেন। তবে? কোনটা লিস্ট রেজিস্ট্যান্স ? মরে যেতে পারে নি বলে বেঁচে থাকা নয়, বেঁচে থাকতে না পেরেই মরে যাওয়া।

    শিবসেনারা অপমান করলো বলে যে মেয়েটা মরে গেল, বা শিক্ষিকা বকেছিলেন বলে আর সেদিন টেলিগ্রাফে যে অল্পবয়েসী মেয়েটির কথা পড়লাম, নিজের শিশুকে নিয়ে যে দুনিয়ার অপমান সয়ে বেড়াচ্ছে - ঝড়ের উল্টোদিকে কে গেল বেশিদূর? সেই ছেলের মাকে আমি দেখেছি, দু:সহ অভিমানে কোনওদিন মুখ ফুটে বলেননি পর্য্যন্ত - আমার কথা একটু ভাবলি না তুই?

    বেঁচে থাকার কোন কারণ থাকা ভাল, কিন্তু গ্যারান্টীড নয়। সব কারণই কখনও শেষ হয়ে যায়।
  • Ishan | 12.217.30.133 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১০:০৮407754
  • জীবনানন্দ কেন, আমার কারো জম্মোদিন মনে থাকেনা। শুধু রবি ঠাকুর আর সুভাষ বোসের বাদ দিলে। আর হ্যাঁ, লেনিনের টাও মনে আছে। বাইশে এপ্রিল। ঐ দিন, ইন্দো জানে, আমরা ধম্মোতলা যেতুম। মোচ্ছব করতে। :)
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১০:০৯407755
  • তাই বল। কদিন ধরে বাইশে এপ্রিল কি যে আছে, কি যেন আছে মনে হচ্ছে, কিন্তু কি, সেটা মনে আসছিলো না।
  • Ishan | 12.217.30.133 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১০:১৬407756
  • আরে বাইশে এপ্রিল সিপিআইএমএল এর জম্মোদিনও বটে। মহতী শহীদ মিনার ময়দানে লক্ষাধিক লোকের সমাবেশে নকশাল নেতাগণ ঐ দিন নতুন পার্টি গড়ার কথা ঘোষণা করেন।

    এবার এই সুতোটার সঙ্গে আত্মহত্যার একটা সম্পক্কো পাওয়া যাচ্ছে বটে। :)
  • kd | 59.93.201.217 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১১:১৬407757
  • এমা, ঈশেনের যীশুবাবু আর গাঁধিবাবুর জন্মদিন মনে থাকে না!
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১১:২৭407758
  • যীশুবাবুর জন্মদিন তো ২৫শে ডিসেম্বর নয়।
  • Bhuto | 203.91.207.30 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১২:০২407759
  • Duপ্পাই দি ঠিক ।
    ইন্দোদা, ভাববার বিষয়।
  • dri | 75.3.201.181 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১২:১১407760
  • ইন্দোর গল্পের ষাটোর্দ্ধ এই বৃদ্ধ। ইনি কি সত্যি মরতে চান? মুখে যাই বলুন, আমার বিশ্বাস হয় না। যিনি রিটায়ারমেন্টের পরেও রিক্সা করে ওয়ার্কপ্লেসে যান, যিনি লাইব্রেরীতে সময় কাটান, সর্বোপরি যিনি ডাগ্‌তারের কাছে রোগের চিকিৎসা করাতে এসেছেন, তিনি মরতে চান এ কথা প্রত্যয় হয় না।

    কি জানি বাবা, সুইসাইডাল টেনডেন্সি ব্যাপারটা আমি একদম বুঝিনা। শুধু এইটুকু বুঝি কিছু কিছু মানুষের মধ্যে সুইসাইডের পোকা থাকে। তেমন সিচুয়েশান হলে সেই পোকা নড়ে চড়ে উঠতে পারে। কিন্তু আমি কিছুতেই নিজেকে ঐ জায়গায় প্লেস করতে পারি না। অপ্টিমিস্ট আমি নই। পৃথিবী এবং তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কোন রোজি পিকচার আমার নেই। বরং একটু দু:খবিলাসী টাইপেরই। কিন্তু আত্মহত্যার কথা ভাবতেই পারি না। আমার জীবনের প্রতি মায়া বড় বেশী।

    একটা সিনেমার কথা মনে পড়ে। বন্দীর এগ্‌জিকিউশান হবে, অর্ডার এসে গেছে। যেদিন এগ্‌জিকিউশান, তার আগের দিন। দিনটা ভেজা, স্যাঁতস্যাঁতে। ক্যাম্পের ভেতর প্যাচপ্যাচে কাদা। বন্দীর জুতো ভিজে জল ঢুকে পায়ের মোজা পর্য্যন্ত ভিজে গেছে। খুব শীত করছে। আর লোকটি অনেকক্ষণ ধরে হেঁটে চলেছে একটু শুকনো জায়গা খোঁজার জন্য। মৃত্যুর আগের দিনও পা শোকানোর কি ভীষণ ইচ্ছে লোকটির!

    'ল্য মিথ দ্য সিসিফ' আমি এইভাবে নিই। হ্যাঁ, জীবনটা পাহাড়ের ওপর পাথর ঠেলে তোলার মতই ফিউটাইল। আমি জীবনের মহান আদর্শ আর পারপাসে বিশ্বাসী নই। কিন্তু ঐ পাথর ঠেলে তোলাতেই আনন্দ। ওর সাথে অন্য কিছু ট্রেড করা ভাবতেই পারি না।
  • shrabani | 124.30.233.101 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১২:৩২407761
  • বৃদ্ধ বোধহয় রোগীর পরিচিত নিজে রোগী নন।

    তবু তিনি আর কারও রোগী হতেই পারেন। আমার ওনার গল্পে নির্বাণটা ঠিক পরিস্কার হলনা। উনি যেভাবে রিক্সা করে প্রাক্তন কাজের জায়গায় এসে বসেন, উপদেশ দেন সেটা কাজে ইন্টারেস্ট না নিলে হয়না। সংসারের ব্যাপারে থাকেননা অথচ নিজের পছন্দের কাজের ব্যাপারে থাকেন এ কোনদেশী নির্বাণ!
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১২:৩৬407762
  • এ হল দশকরণের কোটিকরণ একীকরণ। শ্রাবণী পরশুরামের গপ্পটা পড়ো নাই, তাই না?
  • shrabani | 124.30.233.101 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১২:৪০407764
  • কোনটা?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন