এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • জ্যোতির সাথে এক অদ্ভুত যাত্রা!

    Muhammad Sadequzzaman Sharif লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২০ মে ২০২৩ | ৫৭৭ বার পঠিত
  • জ্যোতির সাথে আমার এক অদ্ভুত যাত্রা! 

    জ্যোতি জাতীয় দলে নিয়মিত হওয়ার পরে আমি আস্তে আস্তে ওর নানা কাজের ভাগ নিতে থাকি। আর জ্যোতিও ওর আরও প্রায় কয়েক ডজন কাজিন থাকার পরেও নানা কাজে প্রথমে আমাকেই খুঁজতে শুরু করে। ছোটখাটো কাজ দিয়ে শুরু করে আমি কতদূর পর্যন্ত পৌঁছে ছিলাম তার গল্প বলার জন্যই লিখতে বসছি। কারণ নাহলে এই গল্প হারিয়ে যাবে। আমি নিজেই ভুলে যাব কিছুদিন পরে। 

    জ্যোতির পেজ খুলা দিয়ে শুরু করি। আমরা পেজ খোলার ব্যাপারে রাজি ছিলাম না, বিশেষ করে আমি। ধুর, ওর কাজ হচ্ছে খেলা, খেলুক। পরে দেখা যাবে। কিন্তু খুলতে হল। আমরা না খুললেও কেউ কেউ খুলে জ্যোতির নামের সর্বনাশ করার ব্যবস্থা করে ফেলছিল প্রায়। তাই প্রথমে থানায় গিয়ে জানানো হল নকল গুলোর ব্যাপারে। সাথে শামিম ভাইয়া সহ বর্তমান শেরপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মানিক দাও ছিল, আমি আর জ্যোতিই কথা বলছিলাম ওসির সাথে। এরপরেই খোলা হল জ্যোতির পেজ। আমি খুললাম, স্পোর্টস মেইল ২৪ নিউজ পোর্টালের সেলিম ভাই সুন্দর করে গুছিয়ে দিলেন পেজটাকে। আমরা ভাবলাম, আমাদের কাজ শেষ। ফেসবুক পেজ নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নাই। মাঠে খেলতে থাক, মাঝে মধ্যে ছবি আপলোড দেওয়া হবে তাইলেই হবে। এর চেয়ে বেশি কিছু আবার কি দরকার? 

    এরপরের গল্প ভিন্ন। আমি জ্যোতির ভাল মন্দের ব্যাপারে আগ্রহী হওয়ার সময় থেকেই চেষ্টা করা শুরু করি জ্যোতির একটা পৃষ্ঠপোষকতা জোগাড়ের। একটা স্পন্সর পাওয়ার জন্য আমি আমার বন্ধু বান্ধব প্রায় সবাইকে বলে ফেলছিলাম, ফেসবুকে যারা একটু হাই প্রোফাইল আছে তাদেরকে ইনবক্সে ভাই একটু কথা বলা যাবে বলে নক দিছি। কেউ পাত্তা দেয় নাই। আমি লেগেই ছিলাম, যাকে পাইতাম বলতাম জ্যোতি এখন নারী ক্রিকেট দলের সবচেয়ে বড় তারকা, ওর যদি একটা স্পন্সর না থাকে তাহলে আর কার থাকবে? আসলে কারোই নাই। নারী দলের খেলোয়াড়দের স্পন্সর লাগে না! সবাই ছুটছে পুরুষ দলের দিকে। পুরুষ দলের বাতিল যে খেলোয়াড় তারও আর কিছু না হোক গিয়ারের স্পন্সরশীপ আছে, থাকে। 

    কোথাও থেকে কোন কিছুই হচ্ছিল না। এর মধ্যে জ্যোতি অধিনায়ক হিসেবে অভিষিক্ত হল। আমি আবার ঝাঁপায় পড়লাম। আরে, ক্যাপ্টেনের একটা স্পন্সর পাওয়া যাবে না? না, নাই, কোন সারা শব্দ নাই। এই রকম পরিস্থিতিতে জ্যোতি একদিন আমাকে বলল ভাই, অমুক কোম্পানির স্পন্সরের ব্যাপারে কথা বলতে চায়। আপনে আমার সাথে চলেন। আমি ঢাকায় ছিলাম না কি এই উপলক্ষে ঢাকা গিয়েছিলাম মনে নাই। গুলশান একে বেশ নামি এক কফিশপি আমরা প্রথম বসলাম। ওই কোম্পানির মার্কেটিং ভিপি আসলেন, আরেকজন মার্কেটিং ম্যানেজার সম্ভবত। কফি নিয়ে বসার পরে শুরু হল ম্যারাথন সাক্ষাৎকার। উনারা জ্যোতিকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বানাবে, নানা প্রশ্ন করে নিশ্চিত হতে চাচ্ছে জ্যোতি তার উপযুক্ত কি না। নানা প্রাসঙ্গিক, অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করতে থাকল। জ্যোতি আমার দেখা সেরা স্মার্ট নারী, ও দারুণ ভাবে সব কিছু বলে যাচ্ছিল। যদিও এমন পরিস্থিতিতে আমি জ্যোতি জীবনেও ঢুকি নাই। 

    উনারা বেশ কিছু সময় পরে জ্যোতিকে বাদ দিয়ে আমাকে প্রশ্ন করা শুরু করলেন! আমি কীভাবে দেখি জ্যোতির সাফল্য! হাস্যকর প্রশ্ন, কিন্তু আমিও আমার মত করে বললাম। আমি বলছিলাম, আমি সম্ভবত দুনিয়ায় জ্যোতির সবচেয়ে বড় ফ্যান। আর বলছিলাম আমি বা আমরা ভাই বোনেরা যেটা অনুভব করছি তা অন্য কেউ, মানে অন্য যে কোন লোক জীবনেও বুঝবে না। আমরা চোখের সামনে, ধুলায় গড়াগড়ি খাইতে দেখতে দেখতে মাঠে নেতৃত্ব দিতে দেখছি, এই অনুভূতি কাওকে বলে বুঝানো সম্ভব না। কেউ বুঝবেও না। 
    এইটা এখানে আরও একটু বলি, জ্যোতির জীবনে স্বাভাবিক ভাবেই আরও নানা কাছের লোক এখন আছে, তারাও কোনদিন আমাদের এই অনুভূতির ভাগীদার হতে পারবে না। এইটা একান্তই আমাদের স্পেশাল অনুভূতি। 

    সেদিন কোন কিছু ফয়সালা না করেই শেষ হল মিটিং। আমরা উঠলাম, জ্যোতি চলে গেল মিরপুর, আমি ফিরেছিলাম তন্ময়ের বাসা, বাড্ডায়। আমাদেরকে বলা হল জ্যোতির সময় সুযোগ মত আবার একদিন বসা হবে। তবে এবার তাদের হেড অফিসে। আমরা অপেক্ষায় রইলাম। দিন মাস গড়িয়ে কই থেকে কই চলে গেল জানি না। আমি আমার জীবনে আর জ্যোতি জাতীয় জীবনে ব্যস্ত সময় কাটাতে লাগল। তারপর একদিন তারা আবার যোগাযোগ করলেন। জ্যোতি আমাকে বলল, ভাই, হেড অফিসে যাইতে হবে, চলেন। আমিও বুচ্চকাবুচ্চকি নিয়া রউনা দিয়ে দিলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে। 

    আমি মিরপুর চলে গেলাম। মিরপুর থেকে দুইজন এক সাথে গেলাম তাদের হেড অফিসে। নানা সৌজন্য আলাপ হল। আমি কর্পোরেট জীবন থেকে সরে গেছি বহুদিন। খুব চেষ্টা করতে থাকলাম মানিয়ে যাওয়ার। আর জ্যোতি তো জ্যোতিই, সব জায়গায় সব সময় ফিট। উল্লেখযোগ্য কিছুই হল না। চা- টা বেশ মজার ছিল। অফিস গুলাতে লালা চা খাওয়ায়, এরা দুধ চা দিয়েছিল আর তা সুস্বাদু ছিল! আরও রথী মহারথীদের সাথে পরিচয় হল, হা হ্যালো হল। কাজের কিছুই হল না। বলা হল আবার আরেকটা মিটিং হবে, সেদিন সব ফাইনাল হবে। আমরা একটু হতাশ হলেও কিছুই করার নাই আমাদের। আমরা আশা করছিলাম সেদিন হয়ত কিছু একটা খোলাসা করবে। এর মধ্যে কাজ যেটা হল তা হচ্ছে আমাকে উনাদের একজনের সাথে যুক্ত করে দেওয়া হল। জ্যোতি ব্যস্ত থাকবে, তাই উনি আমার সাথে যোগাযোগ করবেন সব সময়। জ্যোতি একটু মুক্তি পেল তাদের ফোন থেকে। 

    হোয়াটসঅ্যাপে একদিন যোগাযোগ রক্ষাকারী একটা খসড়া চুক্তিপত্র পাঠাইল। ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চায়। টাকা অংকও একটা লেখা। আরও নানা কিচ্ছা কাহিনী ইংরেজিতে লেখা। আমি পড়লাম না বিপদে? চুক্তিপত্র কাকে দিয়ে এখন রিভিউ করাব? উকিল বন্ধু কাকনকে পাঠালাম। ও ভীষণ ব্যস্ত, সময় করে দেখতে পারছিল না। হুট করে মনে হল আমার বন্ধু একজন আছে জজ। আমি ফয়সালকে সরাসরি জিজ্ঞাস করলাম, ওর সময় হবে কি না এই জিনিসটাকে একটু দেখে দিতে?  ফয়সাল আমাকে মুগ্ধ করল। বলল শরীফ, এইটা আমার জন্য  অত্যন্ত সম্মানের হবে যে আমি জ্যোতির চুক্তিপত্র রিভিউ করতে পারব! তুমি পাঠাও। আমি দিলাম মেইল করে। নানা রকমের কথা লেখা। ফয়সাল খুব যত্ন করে বেশ কিছু পয়েন্ট খুঁজে বের করল যা সাদা চোখে আমার চোখে ধরা পড়েনি। আমি শুধু বলছি ফয়সাল, ব্র্যান্ড যাই করুক, জ্যোতির ব্র্যান্ড ইমেজে কোন ক্ষতি হবে না, জ্যোতি কোন দায় নিবে না ওদের কোন কর্মকাণ্ডের, তুমি এমন একটা ক্লজ ঢুকিয়ে দেও। ফয়সাল ওইটা তো ঢুকালোই আরও লিখল জ্যোতি যেহেতু নারী, তাই বাহিরে কোথাও শুটিং করতে গেলে একজন সঙ্গী যাবে, কোম্পানিকে তার পূর্ণ খরচ দিতে হবে! 

    যাই হোক, আমি ফয়সালের রিভিউটা ওদেরকে মেইল করে দিলাম। ওরা এবার আমাদের রিভিউ নিয়ে মাথা ঘামানো শুরু করল। তারপর একদিন দিল ডাক। অফিসে আসেন, সব ফাইনাল হবে আজকে। যেহেতু দর কষাকষির ব্যাপার আছে। আর চুক্তিপত্র নিয়েও কথা বলতে হবে তাই আমি ঠিক করলাম আমি একা যাব না, জ্যোতি তো যাবেই, আমি কাকনকে বললাম আমার সাথে থাকতে। ও বলল কোর্ট শেষ করে চলে আসবে। বন্ধু তন্ময় মার্কেটিং এ চাকরি করত তখন এবিসি নিউজে, ওকে বললাম, আয়, সাথে থাকলেও ভরসা। আমি আমার মত করে, আমার বন্ধুদের সাহায্য নিয়ে তৈরি হয়ে গেলাম ওদের অফিসে। কাকন একটু দেরি করে আসলেও, সব সেদিন আমাদের পক্ষেই ছিল। টাকাও আমাদের মোটামুটি প্রত্যাশা অনুযায়ীই পাচ্ছিলাম। সব ওকে, এবার একটা দিন দেখে, সাংবাদিকদের ডেকে ধামাক করে ঘোষণা, নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি আমাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর! সেদিন হাসিখুশি ফিরে গেলাম যার যার গন্তব্যে। 

    কোম্পানির যোগাযোগ রক্ষাকারী নানা কিছু জিজ্ঞাস করে। জ্যোতির জুতার সাইজ, ব্র্যান্ড, টিশার্ট, ট্রাউজার ইত্যাদির মাপ, ব্র্যান্ড জিজ্ঞাস করে, আমি জ্যোতির সাথে কথা বলে ওদের জানাই। একদিন একটা ব্যানারের ছবি পাঠাল, এইটা যেদিন জ্যোতিকে সবার সামনে উপস্থাপন করবে সেদিনের মঞ্চের ব্যাক ড্রপ! সব সমাধান হচ্ছিল সুন্দর করে। জ্যোতি দেশের বাহিরে চলে যাবে, এর মধ্যেই সাক্ষর করে যাবে, এইটা হচ্ছে পরিকল্পনা। সব হচ্ছিল, বিসিবির কাছ থেকে একটা অনাপত্তিপত্র নিতে হবে, এই কাজটাই বাকি ছিল শুধু। ভেজাল শুরু এরপরেই। 

    বিসিবি যে ফরম দিল তা ওদেরকে পাঠিয়ে দিলাম। ওরা আকাশ থেকে পড়ল। এই ফরমে ওরা সাক্ষর দিবে না! আমি নিজেও ঠিকমত পড়ে দেখিনি। এবার শুধু আমাকে ডেকে পাঠাল, শরীফ ভাই, আপনে একটু আসুন আমাদের অফিসে। আমার টনক নড়ে উঠল। আমি ফরমটা ফয়সালকে পাঠালাম। ও বলল কিছু ঝামেলা আছে, কিন্তু এমন কঠিন কিছু তো না। আমি গেলাম অফিসে। ওরা বিশাল বড় স্ক্রিনে বিসিবির নানা পয়েন্ট গুলো দেখা যাচ্ছে। প্রায় প্রতিটা নিয়েই তাদের আপত্তি! আমাকে বলল এগুলা নিয়ে বিসিবির সাথে কথা বলুন, বা জ্যোতি আপাকে বলুন কথা বলতে। 

    জ্যোতি পরেরদিন গেল বিসিবি অফিসে। বিসিবি জানাল এই ফরমের একটা শব্দও পরিবর্তন হবে না। আর ফরমটা বানানো হয়েছে জ্যোতির জন্য না, সবার জন্য। সব খেলোয়াড় এই ফরমে সাক্ষর নিয়েই কাজ করছে। ওই ফরমে একটা পয়েন্ট ছিল আইসিসির কোন ইভেন্ট চলা কালে কোন বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না! আমি জ্যোতিকে বলছিলাম তুই জিজ্ঞাস করিস, সাকিবের বিজ্ঞাপন তাহলে কীভাবে চলে। জ্যোতি এই প্রশ্নটা বিসিবিকে করেছিল। উত্তর পাওয়া গেল চমকপ্রদ, সাকিবকে যারা নেয় তারা জরিমানার টাকা দিয়েই বিজ্ঞাপন চালায়! আর এক মাত্র সাকিবেরই বিজ্ঞাপন চলে, অন্যদের না কি বন্ধ থাকে! 

    আমি জানায় দিলাম, ফরম পরিবর্তন হবে না। সাকিবের কাহিনীও বললাম। এই শেষ। এরপরে আর তাদের সাথে কোন ফোন আলাপ হয়নি। এই দিনই চাম্পা খালা মারা যায়। আমি আর জ্যোতি একটা গাড়ি নিয়ে রউনা দেই শেরপুরের উদ্দেশ্যে। 

    তারা যে পিছিয়ে গেল এর পিছনে কারণ বুঝার চেষ্টা করছি অনেকদিন। তাদের যুক্তি ঠিক আছে। তাদের কথা হচ্ছে যখন বড় কোন ইভেন্ট হবে তখনই তো আমি বেশি করে বিজ্ঞাপন দিব। বিসিবির যুক্তি হচ্ছে সবাই সমান, সবাই এইটাতেই সাক্ষর করে খেলোয়াড়দেরকে নিজেদের সাথে নেয়। 
    আমার কথাটা এখানেই। সবাই সমান না। নারীরা যে কত হাজার মাইল পিছনে তা না বুঝার কথা না বিসিবির। সাকিব তামিম, মাশরাফির জন্য যে ঝুঁকি নিবে একটা কোম্পানি জ্যোতির জন্য তা নিবে? নারীদেরকে বেশি দেওয়া হয় কেন? কারণ সমান করতে হলে বেশি দিয়ে সমান করতে হয়। যে ফরমটা বানাও হয়েছে তা দিয়ে আমার ধারনা কোন নারী ক্রিকেটার কোন ভাল ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসেডর হতে পারবে না। নিয়ম কানুনের ব্যাপার আছে, তাই পরিষ্কার করে কিছু লিখতেও পারছি না।

    তবে জ্যোতির কপাল হুট করেই একটু ভাল হয়ে গেল। দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলার সময় ওইখানের একটা কোম্পানি জ্যোতির গিয়ারের দায়িত্ব নিয়ে নিল। সব গিয়ার দিবে ওরা! আপাতত এইটা অনেক বড় প্রাপ্তি আমাদের জন্য।
     
     আমার রোমানিয়া চলে আসায় জ্যোতি একটু ফাপরে পড়েছে। তবে জ্যোতি তো জ্যোতি, ও নিজেই একশ। আমি আসার আগে পেজের জন্য একটা এজেন্সি ঠিক করে দিয়েছে। আপাতত পেজ নিয়ে আমাদের না ভাবলেও চলছে। আমার আর জ্যোতির যাত্রা বিরতি মনে হলেও আসলে আমরা এক সাথেই চলছি।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২০ মে ২০২৩ | ৫৭৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 2601:84:4600:5410:18f0:aa6a:2619:d230 | ২১ মে ২০২৩ ০০:২৮519945
  • মেয়েদের লড়াই বেশি কঠিন, সন্দেহ নেই।  জ্যোতির জন্য অনেক শুভ কামনা 
  • Kuntala | ২১ মে ২০২৩ ১৭:১৭519955
  • চমৎকার লিখেছেন সাদেক।
    যারা মইটার অনেক নীচের ধাপে আছে, গাছের ফলে তাদের হাত পৌঁছাতে গেলে তাদের জন্য আলাদা মই-এর ব্যবস্থা করতে হবে। সবাই সমান নয়, তাই সবাই-এর জন্য সমান ব্যবস্থা নয়।
     
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ২১ মে ২০২৩ ২৩:১৭519961
  • Kuntala দিদি, এই সহজ কথাটা কেউ বুঝতেছে না। বিসিবি গর্ব করে বলছে তোমার জন্য আলাদা করে আইন করা হয়নি, সবার জন্য এক নিয়ম। এই কথাটাই যে ভুল তা কে বলে দিবে তাদের? জ্যোতি নিজে নিয়মের শিকলে বন্দী, হাত পা বাধা! তাই ওর পক্ষে কিছুই করা সম্ভব না। সাংবাদিকরা অনেকেই জানে কিন্তু এইটা নিয়ে কথা বলতে তাদের কোন আগ্রহ আছে বলে মনে হয় না। তাই চলছে যেমন চলছে আগে থেকে!
     
    অরণ্যদা, দেখতে দেখতে জ্যোতি এখন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের পোস্টার গার্ল হয়ে উঠেছে। নারী দলের সব রেকর্ড ওর হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা! বিদেশ আসায় আমার সবচেয়ে বড় আফসোস হচ্ছে আমি জ্যোতির সামনের অবিস্মরণীয় সময়টাতে ওর পাসে থাকতে পারব না! ও সামনে আরও বহু কিছু করবে তা আমি শতভাগ নিশ্চিত। যাই হোক, দোয়া করবেন ওর জন্য।  
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন