এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  সমাজ

  • হালখাতার লজ্জা

    ষষ্ঠ পাণ্ডব
    আলোচনা | সমাজ | ১৫ এপ্রিল ২০২৩ | ৯৮৬ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)

  • আমাদের বিয়ে হবার আগে দিশা যখন করুণাকর রকমের অল্প বেতনে একটা ক্ষয়িষ্ণু স্কুলে শিক্ষকতা করতেন তখন তিনি মন খারাপ হলে বা কোনো কারণে রাগ করলে ঢাকার ইস্টার্ন প্লাজা নামের মার্কেটে স্বর্ণের গহনা বানাতে যেতেন। ‘স্বর্ণের গহনা’ কথাটিতে যে ভারভারিক্কি আছে দিশার ঐসব গহনা অমন নয়। হয়তো একটা লকেট, অথবা আংটি, অথবা টিকলি – এমনসব হালকা-পাতলা ধরনের সস্তার জিনিস। তখন স্বর্ণের ভরি ৬,৬০০ টাকা (৫৬৬ টাকা/গ্রাম), এক হাজার টাকায় দু’আনা ওজনের একটা লকেট হয়ে যেতো। দিশার গহনাগুলো ঠিক একবারে বানানো হতো না। প্রথমে আইটেম, ডিজাইন, ওজন ইত্যাদি ঠিক করে খুব অল্প কিছু টাকা আগাম দেয়া হতো। তারপর হাতে যখন যেমন টাকা জমত সেটা ঐ অর্ডারের হিসাবে জমা দেয়া চলতো। কয়েক মাস পরে সর্বশেষ বাজার দর অনুযায়ী পুরো মূল্য পরিশোধ হলে গহনাটি নিয়ে আসা হতো। এভাবে কোনো গহনার পুরো মূল্য পরিশোধ হতে দেড়-দুই বছরও লেগে গেছে। ঠিক কাছাকাছি প্রক্রিয়ায় দিশা ঢাকার নিউ মার্কেটের একটা ভালো বইয়ের দোকান থেকে দামী বইগুলো কিনতেন – দোকানটি এখন আর নেই। আমাদের বিয়ের পরে প্রথম প্রথম আমাদের দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হলেই দিশা গহনার দোকানে চলে যেতেন। সেসব গহনার মূল্য আমাকে কখনো পরিশোধ করতে হয়নি। এই গহনাগুলোর সিংহভাগ দিশা নানা উপলক্ষে বিভিন্ন জনকে উপহার দিয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশের অনেকে উপহার হিসেবে স্বর্ণ পেতে ভালোবাসেন – তা যত টিঙটিঙে হোক।

    গহনার জন্য দিশা সাধারণত ইস্টার্ন প্লাজার ‘অনিন্দ্যা’ বা ‘রূপবতী’ বা ‘নিউ স্বর্ণালী’-এর মত অপেক্ষাকৃত ছোটো, দরিদ্র দোকানগুলোতে যেতেন, এবং একইসাথে একাধিক দোকানে কোনো না কোনো অর্ডার চালাতেন। ‘আফ্রোদিতি’, ‘সামিন’, ‘স্বজন’, বা ‘প্লাটিনাম ওয়ার্ল্ড’-এর মত বড়, ধনী দোকানগুলো যারা কেউ দোকানে ঢুকলে তাঁর অ্যাপিয়ারেন্স দেখে তাঁর সামর্থ্য মেপে ঠিক করেন কতটুকু কম বা বেশি দুর্ব্যবহার করবেন, সেসব দোকানে দিশা যেতেন না। একদিন একটা বিশেষ উপলক্ষে একটু ভালো মানের গহনা একটা গহনা প্রয়োজন ছিল, তাই আমি আর দিশা অমন একটা ধনী দোকানে গিয়েছিলাম। আমাদের দু’জনের চেহারা সুরত দেখে দোকানের বিক্রয়কর্মীরা ভাবলেন, যেহেতু এরা কিছু কিনবে না তাই এদের সাথে যা খুশি আচরণ করা যায়। যেহেতু আমাদের ‘ঠ্যাকা’ ছিল তাই আমরা চরম অপমান সহ্য করে প্রয়োজনীয় বাছাবাছি করে গহনাটি কিনলাম। আমরা যখন মূল্য পরিশোধ করছিলাম তখন বিক্রয়কর্মীরা মোটামুটি বিস্মিত হয়ে গেলেন। একজন বিক্রয়কর্মী হতবিহ্বল অবস্থা কাটিয়ে নিতান্ত অনিচ্ছায় বললেন, ঠান্ডা কিছু আনাই? আমি ঠান্ডা স্বরে বললাম, না, আমরা বরং যাই, আমাদের একটু তাড়া আছে।

    গহনার যে দোকান থেকে জীবনে একবারও স্বর্ণের গহনা কিনেছি তার প্রত্যেকটি থেকে মার্চের শেষ থেকে এপ্রিলের শুরু পর্যন্ত ‘হালখাতা’র নিমন্ত্রণলিপি আসতো। বাংলাদেশে স্বর্ণের দোকানের অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম অত্যন্ত নিখুঁত এবং ডাটাবেস অত্যন্ত শক্তিশালী। এক দোকান ভেঙে একাধিক দোকান হলে তার প্রতিটি অংশীদারের কাছ থেকে হালখাতার নিমন্ত্রণলিপি আসতো। যেমন, ‘স্বর্ণালী’ ভেঙে যখন ‘নিউ স্বর্ণালী’ গঠিত হল তখন দুটো থেকেই নিমন্ত্রণলিপি আসতো। আবার এক দোকানের কোনো দক্ষ কর্মী অন্য দোকানে যোগ দেবার সময় যদি আগের দোকানের ডাটাবেস নিয়ে আসতে পারতেন তাহলে নতুন দোকানের পক্ষ থেকে ঐ ডাটাবেসে নাম-ঠিকানা থাকা সবাই হালখাতার নিমন্ত্রণলিপি পেতেন। এভাবে একেবারে অপরিচিত কিছু দোকান থেকে কয়েক বার হালখাতার নিমন্ত্রণলিপি পেয়েছি।

    নববর্ষের দিনে সম্ভব হলে দিশা ‘অনিন্দ্যা’ বা ‘রূপবতী’ বা ‘নিউ স্বর্ণালী’-এর হিসেবের খাতায় থাকা বাকি বকেয়া সমুদয় মিটিয়ে দিতেন। বকেয়া মেটানো হোক বা না হোক আমাদেরকে আসতে দেখলে এই দোকানের মালিক-বিক্রয়কর্মীরা খুশি হতেন। তাঁরা আমাদেরকে যথাসাধ্য আপ্যায়ন করতেন। দুই-তিন বার কী করে যেন হালখাতার দিনেই আমাদের কেনাকাটা করার প্রয়োজন হয়েছিল। ঐ কয়েকবার তাঁরা বিপুল আনন্দিত হয়েছিলেন। অবশ্য বকেয়া মেটানোর বা কেনাকাটার ব্যাপার না থাকলে আমরা পারতপক্ষে হালখাতার দিনে এসব দোকানে যেতাম না। সেক্ষেত্রে কিছু দিন পরে দোকানে গেলে, হালখাতাতে কেন আসিনি সেই প্রশ্ন তাঁরা করতেন। তাঁদের এই আন্তরিকতা আমাদের ভালো লাগতো।

    ২০০৪ সালে ঢাকার পান্থপথে বসুন্ধরা সিটি নামের বিশাল শপিং কমপ্লেক্সটি চালু হবার আগে পর্যন্ত হাতিরপুলের ইস্টার্ন প্লাজা মার্কেটটি বেশ জমজমাট ছিল। গোড়াতে বসুন্ধরা ঠিক জমে উঠতে পারেনি। একবার একটি ছোট অগ্নিকাণ্ড আর ২০০৯ সালে একটি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা মার্কেটটির জমে ওঠাকে কিছুটা বাধাগ্রস্থ করে। অর্থনীতির স্বাভাবিক নিয়মে যেহেতু কোনো ইন্ডাস্ট্রিতে বৃহৎ বিনিয়োগের ঘটনা ঘটতে শুরু করলে কুলুঙ্গি বাজার (niche market) ছাড়া বাকি বাজারের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক বিনিয়োগগুলোকে সাধারণত লোকসান গুনে গুটিয়ে ফেলতে হয় তাই বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স বা যমুনা ফিউচার পার্কের মত বিশাল বিনিয়োগগুলোর সামনে ইস্টার্ন প্লাজা বা মিরপুর রোডের ধানমণ্ডি অংশের মার্কেটগুলোর মত অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র বিনিয়োগগুলো মার খেতে থাকে। এই মার্কেটগুলো ক্রমে তাদের জৌলুস এবং ক্রেতাগোষ্ঠী হারাতে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় ইস্টার্ন প্লাজার অপেক্ষাকৃত দরিদ্র স্বর্ণের দোকানগুলো তাদের অনেক বছরের পুরনো ক্রেতাদের হারাতে থাকে। দিনের পর দিন যায় এসব দোকানের কোনো কোনোটিতে সারা দিনে এত নগণ্য পরিমাণে বিক্রয় হতে থাকে যে তাদের পরিচালনা ব্যয় সঙ্কুলান করা পর্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে।

    যেহেতু অন্য সব কেনাকাটার জন্য দিশাকে বসুন্ধরা যেতে হতো তাই কেবল স্বর্ণের জন্য তিনি ইস্টার্ন প্লাজায় যাওয়া প্রায় বন্ধ করে দেন। বসুন্ধরার অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক দোকান ‘স্বর্ণবীথি’র সাথে তাঁর সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। অবশ্য এর মধ্যে আরেকটি ঘটনা ঘটে। স্বর্ণের মূল্য নিয়মিতভাবে বাড়তে বাড়তে এতোটাই বেড়ে যায় যে সেটা আর আমাদের নাগালের মধ্যে থাকে না। ফলে আমার সাথে দিশার যত বড়ো ঝগড়াই হোক না কেন তাঁর পক্ষে আর গহনার দোকানে যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। দীর্ঘ দিনের অদর্শনের কারণে হোক, অথবা ব্যবসায়ের মন্দার কারণে হোক স্বর্ণের দোকানগুলো থেকে হালখাতার নিমন্ত্রণ আসার সংখ্যা এক সময় কমতে থাকে। ২০২০-এর করোনা অতিমারীর আগে পর্যন্ত বায়তুল মোকাররমের জুয়েলারী মার্কেট আর বসুন্ধরা সিটির দোকানগুলো থেকে অল্প কিছু নিমন্ত্রণলিপি এসেছে, ইস্টার্ন প্লাজা থেকে প্রায় কিছুই আসেনি। ইস্টার্ন প্লাজা থেকে নিমন্ত্রণলিপি না আসলেও হালখাতার আগে তাঁদের কারো সাথে দেখা হয়ে গেলে মুখে মুখে নিমন্ত্রণ জানাতেন। আমরা অবশ্য লজ্জায় আর সেসব নিমন্ত্রণে যাইনি। আমাদের প্রথম লজ্জা – আমরা আর স্বর্ণের গহনা কিনতে পারছিলাম না। আমাদের দ্বিতীয় লজ্জা – বিক্রিবাটা কমে যাওয়ায় দোকানগুলোর হতশ্রী দশা হওয়ায় পুরোনো ক্রেতাদের সামনে দোকানের মালিক-বিক্রয়কর্মীগণ একটু বিব্রত হতেন। কয়েক বছর আগে এক হালখাতার দিন শেষ সন্ধ্যায় ‘রূপবতী’তে গিয়ে দেখি তাঁদের আয়োজনের সিকিভাগও ফুরোয়নি। অর্থাৎ, নিমন্ত্রিত অতিথিদের বেশির ভাগ জন আসেননি। আমাদেরকে আপ্যায়ন করার পরে তাঁরা খুব জোরাজুরি করছিলেন আমরা যেন আমাদের বাসার লোকজনদের জন্য খাবার নিয়ে যাই। বিষয়টি উভয়পক্ষের জন্যই বিব্রতকর।

    এখনো চৈত্র মাস আসলে আমি আর দিশা স্বর্ণের দোকান থেকে হালখাতার নিমন্ত্রণ নিয়ে কথা বলি, স্মৃতিচারণ করি, নিজেদের সামর্থ্য কমে যাওয়া নিয়ে যতটা মন খারাপ হয়, ইস্টার্ন প্লাজার পুরোনো দোকানগুলোর কথা ভেবে তারচেয়ে ঢের বেশি মন খারাপ হয়। যে প্রসঙ্গ দিয়ে শুরু করেছিলাম সেটা দিয়ে শেষ করি। কর্মজীবনের শুরুর ঐ ক্ষয়িষ্ণু স্কুলে সদ্য স্নাতক দিশার বেতন তখনকার বাজারমূল্য অনুযায়ী যত গ্রাম স্বর্ণের দামের সমান ছিলো, তার প্রায় দুই যুগ পরে একাধিক বিষয়ে স্নাতকোত্তর করা, নানা রকমের পেশাদার ট্রেনিং করা, এবং দীর্ঘ কর্মাভিজ্ঞতা সম্পন্ন দিশা যে বর্ধিষ্ণু স্কুলটিতে শিক্ষকতা করেন সেখানে তাঁর বেতন ঠিক ঐ তত গ্রাম স্বর্ণের দামের সমান। স্বর্ণের দাম কি অস্বাভাবিক রকমে বেড়ে গেছে নাকি দেশে শিক্ষকতার বেতন অস্বাভাবিক রকমে কমে গেছে বুঝতে পারছি না। এখানে দিশার মত শিক্ষকদের লজ্জা পাওয়া উচিত নাকি অন্য কারো লজ্জা পাওয়া উচিত কিনা সেটাও বুঝতে পারছি না।

    রাষ্ট্রীয় এবং নানা প্রকারের বাণিজ্যিক উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশে এখন বাংলা নববর্ষ বিশাল এক উৎসবে পরিণত হয়েছে। সেটা নিয়ে আমাদের দু’জনের মধ্যে আনন্দ যেমন আছে তেমন হালখাতা উদযাপনের কথা ভেবে তেমন সামান্য হলেও লজ্জাও আছে।

    এসব ব্যক্তিগত বিষয় থাক, সবাইকে ১৪৩০ নববর্ষের শুভেচ্ছা। অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৫ এপ্রিল ২০২৩ | ৯৮৬ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    নবীন - Suvasri Roy
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Kuntala | ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ১২:৫৫518650
  •  খুব সুন্দর লিখেছেন কর্ণ।
    অনেকগুলো বিষয় এনেছেন, তার মধ্যে সোনার মাত্রাছাড়া দাম নিয়ে অর্থনীতিবিদেরা মত দিতে পারেন  - আমার মনে হয় যে পুঁজিবাদের অনিশ্চয়তা প্রায় সবাই বুঝতে পারে, আর সেই কারণেই এত সোনা জমানোর নেশা বেড়ে গেছে, সবাই একটা নিরাপত্তা খুঁজছে।
    আর লেখাপড়ার আনুপাতিক মূল্য নিয়ে কিছু বলার নেই  - এটাও হয়তো ওই একই অসুখের প্রকারভেদ।
    তবে পয়লা বৈশাখ নিয়ে আপনার কথাগুলো খুব ভালো লাগলো।
    এই মাত্র দুই দশক আগেও পয়লা বৈশাখে ব্যবসায়ীরা 'নতুন' বা 'হালখাতা' চালু করতেন। পুরনো বছরের ধার-বাকি আর নতুন বছরে টানা যেতো না। মধ্যবিত্তরা এই দিনে যেমন পুরনো দেনা চুকিয়ে দিতেন, তেমনি ব্যবসায়ীদের কাছে মিষ্টির বাক্সও সংগ্রহ করতে যেতেন। ব্যবসায়ীরাও খুশি মনে হালখাতার দিনে সারা বছর ব্যবসা দেওয়ার জন্য মিষ্টির প্যাকেট তৈরি রাখতেন।
    আজকের যুগে 'শুভ নববর্ষের' কোনোই আর্থিক, ব্যবসায়িক, সামাজিক মূল্য নেই, একমাত্র সাংস্কৃতিক মূল্য আছে। এই জন্যই আমরা বাঙালিরা এই দিনটিকে বিশেষ ভাবে পালন করি: নতুন পোষাক, বাড়তি খাওয়া আর সবাইকে অভিবাদন জানানো।
    আপনার দেখা অভিজ্ঞত  অসাধারণ। হালখাতার দিনে মিটমিট করছে ছোটো ব্যবসায়ীর দোকান! আর আজ সকাল থেকে সামাজিক মাধ্যমে কার্ড পেতে পেতে ফোনের গ্যালারি ভর্তি হতে চলেছে। 
    আপনার মত করে ভাবলে সত্যিই অবাক লাগে যে আমরা কি ছিলাম আর কি হয়েছি।
  • ষষ্ঠ পাণ্ডব | 103.98.204.123 | ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:২১518653
  • Kuntala:
    বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। বহু শতাব্দী ধরে মানুষ ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার কথা ভেবে যথাসাধ্য স্বর্ণ কিনে রাখার চেষ্টা করেন। তবে এই ব্যবস্থাটি বোধকরি আর foolproof নেই। এই ব্যাপারে অন্যত্র একবার লিখেছিলাম।

    লেখাপড়া, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা - এসব গালভারি বিষয়গুলো আসলে কখন, কোথায় যে যথাযথ মূল্য পায় বলা কঠিন।

    এই কথাটি খুব ভালো বলেছেন যে - বাংলা নববর্ষের এখন সামাজিক মূল্য নেই, সাংস্কৃতিক মূল্য আছে। আমাদের আর্থিক বা দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড বাংলা ক্যালেন্ডার মেপে চলে না। তাই এর ব্যবহারিক মূল্য খুব কম। তবে কেবল এই দিনটি কেন্দ্রিক মোট আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ শুধু বাংলাদেশেই বোধকরি হাজার কোটি টাকা ছুঁয়েছে। এই বিচারে এর গুরুত্ব এখনো নেহাত কম নয়।

    সমাজ-সংস্কৃতি বহতা নদীর মতো বলে আগের অনেক কিছুই এখন আর থাকবে না। তবে কিছু কিছু শুভর চর্চ্চা বোধকরি আমরা চালিয়ে যেতে পারি। হালখাতার ভোরে লোকে পূজো-প্রার্থনা করুন বা না করুন সামাজিকতাগুলো বজায় রাখলে কারো উপকার বই অপকার হয় না।  
  • ইয়ে | 2405:8100:8000:5ca1::300:d04f | ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:২৩518662
  • কর্ণকে কি ঠিক ষষ্ঠ পান্ডব বলা যায়?পান্ডু ত কর্ণকে মান্যতা দেয় নি জানার চান্সই পায় নি। বাকী ৫ জন অন্যদের ঔরসে হলেও পান্ডুসন্তান হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছে।
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:৫৩518664
  • একটু হয়তো প্রসঙ্গান্তরে চলে যাচ্ছি, আপনার সোনায় খাদ মেশানো নিয়ে প্রবন্ধটি পড়লাম। ভারতে কিন্তু সোনায় বি আই এস এর টেস্টিং ও ছাপ দিয়েই সোনা বিক্রি করা হয়। এবার এতে খাদ কিছুটাতো থাকবেই, 24 ক্যারেট সোনায় গয়না তৈরি সম্ভব নয়। ভারতে 22 ক্যারেট হলমার্ক সোনা গয়নার সোনা হিসেবে বিক্রি হয়। 
    এখন প্রশ্ন হল ভারতের অর্থনীতি ও স্বর্ণ ব্যবসার সাথে ওয়াকিবহাল মানুষ দের থেকে জানতে চাই এদেশের আসল সিচুয়েশন কি ?
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:৫৫518665
  • ষষ্ঠ পাণ্ডবের লেখা অনুযায়ী বাংলাদেশে সোনায় গড়ে 50% এর থেকেও বেশি খাদ মেশানো থাকে, তাই এক দোকানের সোনা অন্য দোকানে বিক্রি করা মুশকিল।
  • ষষ্ঠ পাণ্ডব | 103.98.204.123 | ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:২৪518667
  • @ইয়েঃ পাণ্ডব সংক্রান্ত ব্যাপারে আপনার ব্যাখ্যা সঠিক। কর্ণ কৌন্তেয় বটে, তাঁকে পাণ্ডুসন্তান বলার উপায় নেই।   
  • ষষ্ঠ পাণ্ডব | 103.98.204.123 | ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:৩৭518668
  • @রমিত চট্টোপাধ্যায় 
    বাংলাদেশে যে ২২৯ প্রকারের পণ্য বাজারজাতকরণে বিএসটিআই-এর অনুমোদন আবশ্যক সেখানে "গোল্ড এন্ড গোল্ড এলয়েস্‌ - গ্রেডস এন্ড মার্কিং' আছে। এখন এই হিসাবে স্বর্ণালঙ্কারও পড়লো কিনা আমি নিশ্চিত না। তবে বাংলাদেশের কোনো দোকানে স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করার সময় ক্রেতা বা বিক্রেতাকে বিএসটিআই-এর সনদ থাকা সংক্রান্ত ব্যাপারে কখনো কথা বলতে শুনিনি। সুতরাং এই ক্ষেত্রে মান নিয়ন্ত্রণ কতোটা হয় সেটা বলা কঠিন, বিশেষত ছোট ও শহরের বাইরের দোকানগুলোতে। তবে ভালো দোকানের গয়না মানে খাঁটি স্বর্ণের এমন বিশ্বাস প্রচলিত আছে। এর বাইরে পুরনো স্বর্ণালঙ্কার বিক্রয় বা ভাঙানোর ক্ষেত্রে যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় সেটা আমি ওখানে বলেছি। 
  • স্বাতী রায় | 2402:3a80:1981:3e05:9639:9326:3f40:51d5 | ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:৩৯518671
  • সোনার দামের মুভমেন্ট সর্বত্রই খুবই uneven. দীর্ঘ দিন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকে হঠাৎ গাছে চড়ে পড়ে। তাই সোনার দামের সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির তুলনা করা ঠিক না। 
     
    এইদিকে বেশির ভাগ সোনার দোকানে মনে হয় হাল খাতা হয় অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে।  আমার পরিচিত একজন কোনরকম কোন বকেয়া না থাকা সত্ত্বেও প্রতিবার পাড়ার সোনার দোকানে হালখাতার নেমন্তন্ন রাখতে যেতেন আর কিছু টাকা দিয়ে আসতেন।  তাঁর ধারণা ছিল সেই টাকা তাঁর নামে জমা থাকছে । এমনি করে পাঁচ সাত বছর কাটার পরে একবার বর্ষা কালে তাঁর গয়না কেনার দরকার পড়তে তিনি গিয়ে দাবি করেন যে ওই অতদিনের জমা টাকা গয়নার দামের থেকে adjust করতে । তখন দোকানে হুলুস্থুল পড়ে যায়। দোকানদার টাকা দিয়েছেন সেটা মানলেও সেই টাকা adjust করতে রাজি নন। বেশ ঝামেলার পরে সেই পরিচিত র হালখাতার নেমন্তন্ন খাওয়ার শখ মেটে। 
     
    এই ঘটনার পরে আমারও ধারণা হয়েছে হালখাতা ধার বাকি না থাকলে একটি অতি বিপজ্জনক সামন্ততান্ত্রিক প্রথা। 
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ২১:৪৮518677
  • ষষ্ঠ পাণ্ডব, ধন্যবাদ। আপনার লেখার মধ্যে দিয়ে পড়শি দেশের বাণিজ্য ও অর্থনীতি নিয়ে কিছু নতুন কথা জানা গেল। আপনি যেভাবে অভিজ্ঞতা গুলো তুলে ধরেছেন, পড়ে বেশ ভালো লাগল।
     
    আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, ভারতে সোনার গয়নায় বাধ্যতামূলক ভাবেই বি এস আই এর হলমার্ক থাকে এবং সেই হলমার্কের নম্বর বি এস আই এর ওয়েবসাইটে গিয়ে বসালে তার পিওরিটি, ওজন, কোন দোকান এই গয়না চেক করিয়েছে, তার নাম ইত্যাদি পাওয়া যায়। তাতে আপাত ভাবে ক্রেতা অনেকটা নিশ্চিন্ত হয়। এবার এর পিছনে খুব বেশি কারচুপির কথা আমার অন্তত জানা নেই, থাকলেও থাকতে পারে। 
     
    তবে সোনায় বিনিয়োগ করতে চাইলে সোনার গয়না বা বাঁটের তুলনায় গোল্ড বন্ডে বিনিয়োগ অনেক ভালো উপায়। গয়নায় প্রথমত মজুরি সহ অনেক টাকা বাদ চলে যায়, বন্ধক রেখে টাকা নিলেও অনেক কম টাকা মেলে। বন্ড সেক্ষেত্রে অনেক সুবিধা জনক।
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ২১:৫০518678
  • ভারতেও স্যাকরার দোকানের সোনাকে কেউ বিশ্বাস করে না। এখন লোকজন হলমার্ক ছাড়া সোনা কিনতেও চায়না আর লোকজন উপহার হিসেবে হলমার্ক ছাড়া সোনা পেলে মনক্ষুণ্ণ হয়।
  • ষষ্ঠ পাণ্ডব | 103.220.204.68 | ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ২১:৫৯518679
  • রমিত চট্টোপাধ্যায়:
    বাংলাদেশের সোনার গয়নায় ৫০%-এরও বেশি খাদ থাকে এমন স্যুইপিং কমেন্ট আমি করিনি। অমন কথা আসলে কেউ বলতে পারবেন না। আপনিও তা বোঝাতে চাননি বলে মনে করি। গহনাতে খাদ আবশ্যিক ব্যাপার নয়তো সেটা ব্যবহার করা অসুবিধাজনক হবে। তবে খাদের পরিমাণ কোন দোকান কতটুকু দেয় সেটা প্রমাণ করা কঠিন। সম্ভবত এই কারণে এখানে এক দোকান অন্য দোকানের গহনা কিনতে অনিচ্ছুক থাকেন। আপনি মান নিয়ন্ত্রণে ভারতে বিদ্যমান যে ব্যবস্থার কথা বললেন অমন কিছু বাংলাদেশে চালু করা গেলে ক্রেতা বিক্রেতা উভয় পক্ষ উপকৃত হবেন।
  • ষষ্ঠ পাণ্ডব | 103.98.204.123 | ১৬ এপ্রিল ২০২৩ ১০:১৯518720
  • @স্বাতী রায় :
    স্বর্ণের দামের স্থিরতা নেই বলে 'গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড' অনেক আগেই বাদ পড়েছে। বেতনের হিসেবটা যদি ডলারের বিনিময় হারের সাথে তুলনা করি তাহলেও সেটা ভদ্রস্থ কিছু হয় না। প্রকৃত বাজার মূল্যস্ফীতি (actual market inflation) হিসেব করে যদি সমন্বয় করা হয় এবং সেখানে যদি দুই যুগে প্রাপ্য বেতন বৃদ্ধি যোগ করা হয় তাহলে আসলে বোঝা যাবে বর্তমানে প্রাপ্য বেতন কতো হওয়া উচিত ছিল। আমরা জানি সেই হিসেব কেউ করবেন না। 

    বাংলাদেশে অক্ষয় তৃতীয়া সম্ভবত ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কেউ কেউ পালন করে থাকেন, কিন্তু বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে এবং বাজারে বিদ্যমান সংস্কৃতির সাথে মিলিয়ে বেশিরভাগ জন পহেলা বৈশাখে হালখাতা পালন করে থাকেন।

    আরেক প্রকারের হালখাতা পালন করতে দেখেছি কৃষি যন্ত্রপাতি, বীজ, সার, কীটনাশক ইত্যাদি কৃষি সংশ্লিষ্ট পণ্যের ব্যবসায়ীদেরকে। তাঁরা আশ্বিন মাসের দিকে, মানে বোরো ও রবি মৌসুমের আগে বিগত বছরের সকল পাওনা আদায়ের লক্ষে বিশাল হালখাতা পালন করে থাকেন। বড় বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে একেক জন একেক দিনে এই হালখাতা আয়োজন করে থাকেন। আমি দেখেছি ঢাকার ব্যবসায়ীরা মফস্বলের ব্যবসায়ীদেরকে নিজ খরচে ঢাকায় এনে, হোটেলে রেখে, বিপুল পরিমাণে খানাপিনার ব্যবস্থা করে তাঁদের কাছ থেকে পাওনা আদায় করতেন এবং নতুন মৌসুমের জন্য আগাম অর্ডার নিতেন। এই দিনে যে বিপুল পরিমাণে নগদ টাকার লেনদেন হয় সেটা নেবার জন্য হালখাতাতে স্থানীয় ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা এসে বসে থাকতেন। কয়েক কোটি টাকা জমা হলেই এক একটি ব্যাংকের কর্মকর্তারা তা নিয়ে চলে যেতেন।     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন