এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  অর্থনীতি

  • নিতুই নব সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের পরমগতি প্রাপ্তি পর্ব ২ 

    হীরেন সিংহরায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | অর্থনীতি | ১৪ মার্চ ২০২৩ | ২০৮৭ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • নিতুই নব : সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের পরমগতি প্রাপ্তি

    পর্ব ২

    ঋণ কখনো নেবে না, ঋণ কখনো দেবে না *



    জুলাই মাসের অন্তহীন দিন। ডেনমার্কে হেলসিঙ্গরের ফেরিতে গাড়ি উঠেছে, মাত্র আধ ঘণ্টায় পৌঁছে যাব সুইডেনের হেলসিংগর। পেছনে ফেলে যাচ্ছি ক্রোনবর্গ দুর্গ - বলা হয় এই সেই হ্যামলেটের এলসিনোর (হেলসিঙ্গর থেকে এইচ আর জি কাটলেই এলসিনোর) প্রাসাদ যার প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন এমন অনেক কিছু আছে হোরেশিও তোমার দর্শন যার ব্যাখ্যা করতে পারে না। সেদিকে চেয়ে ইন্দ্রনীলকে বললাম,  ‘বাবা আজ তোমাকে সেই উপদেশ দিই যা এইখানে এই বন্দরে দাঁড়িয়ে ডেনমার্কের এক প্রধানমন্ত্রী তাঁর পুত্রকে প্যারিসগামী জাহাজে তুলে দিতে এসে বলেছিলেন – পুত্র, ঋণ কখনো নেবে না, কাউকে ঋণ কখনো দেবে না।’

    ইন্দ্রনীল বললে, জানি, এটা হ্যামলেট নাটকে পোলোনিউসের সংলাপ, আমাদের স্কুলে পড়তে হয়েছে। কিন্তু এ পরামর্শ তো তোমার পেশার পরিপন্থী (গোজ এগেনসট দি স্পিরিট অফ ইয়োর চোজন প্রফেশন!), কেউ যদি ধার না করতে চায় বা দিতে চায় তাহলে তোমাদের ব্যাঙ্ক বন্ধ হবে না কি?  

    আমার জ্ঞানটা মাঠে মারা গেলো।

    এর টাকা তাকে, শ্যামের টাকা ধার নিয়ে রহিমকে ধার বা গ্যারান্টি দেওয়ার নাম ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং - পরের ধনে পোদ্দারি আর কাকে বলে! এই বাজারে ধারের নেশাটা ওই আলিবাবার  চিচিং ফাঁকের মতন - রত্নের গুহায় ঢোকার মতন, মন্তরটা ভুলে গেলে সোনা দানা হীরে জহরত প্রাইভেট জেট, ইয়ট আর কিছুই মেলে না। মেরিল লিঞ্চ, বেয়ার স্টার্ন, লেমান ব্রাদার্সের মতন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক, ওয়াশিংটন মিচুয়ালের মতন বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক সেই সত্য প্রমাণ করেছে ২০০৭-২০১০ সালের বৃহৎ মন্দার কালে। একজন পণ্ডিত সেদিন বললেন আমাদের ব্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা খুবই পোক্ত - গত আটশো দিনে এই প্রথম কোন ব্যাঙ্ক দেউলে হলো। এটা কেউ বললেন না যে ২০০৮ সালের পরে ছোটো মেজো মিলিয়ে ৫১২টি ব্যাঙ্ক দোকান বন্ধ করেছে তাঁদের সামগ্রিক সমস্যার চেহারা একই প্রকারের সম্পদের চেয়ে দায় বেশি।

    সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কে সেই অঙ্কটা মেলে না। গত শুক্রবার ব্যাঙ্কের কাছে জমা টাকার পরিমাণ ছিল প্রদত্ত ঋণের ডবল। একে আমরা বলি লোন টু ডিপোজিট রেশিও। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড লন্ডন বাজার থেকে ধার করে ডলার ধার দিয়েছে – একশো ডলার যদি ধার দেওয়া হয়েছে তার চল্লিশ শতাংশ বাজারে বা ব্যাঙ্কের অন্যান্য ব্রাঞ্চের কাছে হাত পেতে। আমাদের একটি ব্রাঞ্চ অবধি দেশে নেই যে কেউ দু পয়সা কৌটোয় ফেলে যাবে।  

    দীর্ঘ ব্যাংকিং জীবনে দেখলাম সবচেয়ে বিশ্বস্ত নিবেশক আপনার আমার মতন সাধারণ নাগরিক যারা ব্যাঙ্ককে টাকা ধার দিই, যৎ সামান্য সুদের বিনিময়ে। খুব একটা লোভ করি না, প্রত্যেক দিন খবরের কাগজের পাতা উলটে ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম চেক করি না। মাঝে মধ্যে অ্যাকাউনট ব্যাল্যান্স দেখি; অন্য কোন ব্যাঙ্ক দু পয়সা বেশি সুদ দিচ্ছে শুনেই সেদিকে ছুটি না। ছুটলেও অন্য ব্যাঙ্কে খাতা খোলা সহজ নয় – সেখানে আপনার ফোন, জল, বিজলির বিল, মাইনের প্রমাণ দিতে হবে। আপনার ব্যাঙ্ক কম সুদ দিচ্ছে বলে বন্ধু বান্ধবের কাছে অভিযোগ করেই ভুলে যাবেন। ফ্লোরেন্সের সেই মেদিচিদের আমল থেকে আপনারা এই দুনিয়ার ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। লন্ডন বাজারে আপনার আমার আমানতকে বলা হয় স্টিকি ডিপোজিট, যা আঠার মতন লেগে থাকে। জানি খাতার অ্যাকাউনট পিছু এই জমার পরিমাণ কম কিন্তু সেই যে ছোটবেলায় বীরভূমে একটা কথা শুনেছি – রাই কুড়িয়ে বেল হয় গো!

    কর্পোরেটরা অবশ্যই বিশাল সংখ্যা জমা দিয়ে থাকেন। তাঁদের বড়ো কর্তাদের আমরা উইম্বলডনে টেনিস, লর্ডসে ক্রিকেট দেখাতে নিয়ে যাই। যদিও জানি শুধু আমাদের আপ্যায়নের বহর দেখেই তাঁরা  ভুলে যাবেন না – একটা বড়ো পরিমাণ আমাদের দেওয়ার আগে কোম্পানির সিএফও আপন অফিসের চার জনকে ডেকে বলবেন, ‘মোটামুটি চেনা জানা বারোটা ব্যাঙ্কে ফোন করে জেনে নাও তো নব্বুই দিনের ডিপোজিটে কে কত সুদ দিচ্ছে। দু মিলিয়ন ডলার জমা দিচ্ছি বাবা, দর দাম করো’ (আপনি যা স্বপ্নেও করতে পারেন না)। তাগড়া রকম জমা পড়লে আমাদের ব্যাঙ্কের মানি মার্কেটের স্কটিশ ট্রেডার গ্রাহাম বলতো ‘যাক অন্তত নব্বুই দিনের মতো কিছু পাওয়া গেলো। তার পরে আবার পথে নামতে হবে’। কর্পোরেট ডিপোজিটকে আমরা  বলি নন স্টিকি – কবে আছে কবে নেই, আজ আছে কাল নেই!

    সিটি ব্যাঙ্কে যিনি আমাকে চাকরি এবং নব জন্ম দিয়েছিলেন সেই জো ম্যাকিয়েভিতস বলতেন, যখনই মনে হবে সবকিছু দেখা শোনা জানা হয়ে গেছে, একটা অচেনা অজানা জিনিসের মুখোমুখী হবে, তৈরি থেকো! 

    কনটিনেনটাল ইলিনয় ব্যাঙ্কে কাজ করেছি – ১৯৮২ সালে চল্লিশ বিলিয়ন ডলার নিয়ে সে ব্যাঙ্ক দেউলে হল ঋণের গোঁজামিলে, দুর্নীতিতে। ২০০৮ সালে বহু ব্যাঙ্ক বিপন্ন হলো সিডিও সিএলও স্বরূপ নব নির্মিত ব্যাংকিং বোমা নিয়ে খেলা করতে গিয়ে (যাকে ওমাহার সন্ত ওয়ারেন বাফেট বলেছিলেন ফাইনান্সিয়াল ওয়েপনস অফ মাস ডেসট্রাকশন) – টাকা ফুরিয়ে গেলো।

    সিলিকন ভ্যালিতে সিলিকন পাওয়া গেছে বলে জানা যায় নি। বছর পঞ্চাশ আগে এই অঞ্চলে ট্রানজিসটর রেডিও (পঞ্চাশের অনূর্ধ্ব পাঠক কখনো চোখে দেখেন নি!) ইত্যাদি তৈরি হয়েছে সিলিকন চিপ দিয়ে - রালফ ভেরসট নামে একজন ঠাট্টা করে বলেছিলেন, এখানে কেবল  সিলিকনের কাজ হয়! নামটা টিকে গেলো - আজকের টেকনোলজিকাল কোম্পানিতে সিলিকন চিপের ব্যবহার বিপুল।

    সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের সমস্যা অন্য রকম। মাত্র  চল্লিশ বছরের পুরনো এই ব্যাঙ্কে আপনার আমার মতন সাধারণ নাগরিক খুব সামান্য টাকা রেখেছিলেন, মোট অঙ্কের দশ শতাংশও নয়। সেখানে যারা বৃহৎ অঙ্কের ডলার জমা রেখেছেন তাঁরা ব্যাংকিং জগতে হালে আবির্ভূত এক প্রজন্ম  – এঁরা উদ্যোগী মূলধনের সরবরাহকারি – ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট। টাকার প্রকাণ্ড পোঁটলা নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন, আপনার আমার পাড়ায় নয়, সেই সিলিকন ভ্যালিতে যেখানে টেক জগতের অনেক উজ্জ্বল তারকা কিছু না কিছু নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন – তাঁদের মাথায় বুদ্ধি আছে, একটা দুর্দান্ত কিছু বানানোর পুরো ব্লু প্রিন্ট আছে। নেই শুধু অর্থ। তাঁদের মধ্যে কেউ না কেউ একদিন বিল গেটস হয়ে উঠবেন – এই উদ্যোগী মূলধনের মালিক আজকে তাঁদের শেয়ার সস্তায় কিনে নিয়ে অগ্রিম অর্থ সাপ্লাই করছেন। আশা রাখেন এই টেক তারকারা একদিন এমন কেরামতি দেখাবেন যে সে শেয়ারের দাম লক্ষ ডলার হবে। অবশ্যই দশ জন উদ্ভাবকের  মধ্যে দু চার জন এলিজাবেথ হোমসের মতন টোটাল ফ্রড হবেন (উনিশ বছরে স্ট্যানফোরডের ড্রপ আউট এই বালিকা নয় বিলিয়ন ডলার মূল্যের কোম্পানি  বানিয়ে ফেলেছিলেন - এক ফোঁটা রক্ত থেকে ১৮০ রকমের টেস্ট করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে - এখন হাওয়ালাতে আছেন) তাতে কি? জুয়ার সব দান সমান হয় না, তাহলে তো সব খিলাড়ি রকিফেলার হয়ে যেত।

    এ ব্যাঙ্কের খাতাপত্র সম্বন্ধে যতটুকু জানা গেলো ভেঞ্চার ক্যাপিটালের মালিকরা ডলার জমা করেন, টেক কোম্পানিগুলির চাহিদা মতন তাঁদের কর্মীদের বেতন, কর্তাদের বোনাস ইত্যাদি ক্ষেপে ক্ষেপে দিয়ে থাকেন। একসঙ্গে বেশি দেওয়ার নাকি প্রথা নেই – সবটাই ইকুইটি, তাঁরা টেকিদের ধার দিচ্ছেন না তবে সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক টেক প্রতিষ্ঠানগুলিকে সরাসরি ধার দিয়ে থাকে। অত্যন্ত সহজভাবে বলতে গেলে যেদিন সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের দরোজায় তালা পড়লো সেদিন কাগজে কলমে তাদের মোট অর্থের পরিমাণ (লায়াবিলিটি) দেওয়া ঋনের (অ্যাসেট) চেয়ে অনেক বেশি।

    তাহলে ব্যাঙ্ক বন্ধ হল কেন?

    দুটো স্বতন্ত্র ঘটনা ঘটতে দেখা গেলো।

    এক : ব্যাঙ্কের ভাঁড়ারে বন্ড ও সরকারি ঋণপত্র সহ যে ১৮০ বিলিয়ন ডলার আছে তার দুয়োরে একটা ভারি তালা -  সেটি খোলা যায় দশ বছর বাদে। সে অর্থ অত্যন্ত সুরক্ষিত, প্রতি বছর ১.৫৬% সুদ পাওয়া যায় কিন্তু সম্প্রতি ফেডারাল রিজার্ভ সুদের হার বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে এই দীর্ঘ মেয়াদি কাগজের বাজার দর কমে গেছে আজ তার একটি অংশ মাত্র, ২৮ বিলিয়নকে, নগদে পরিবর্তিত করতে গেল দু বিলিয়নের লোকসান।

    দুই: টেক কোম্পানিগুলির বিজ্ঞাপনে, ওয়েব সাইটে চমক দেখা যায় সেটির পিছনে লাভের পরিমাণ অতি সামান্য কোভিডের কারণে তাদের অবস্থা আরও সঙ্গিন - আয় নেই, টাকার খাঁই বেড়ে উঠেছে (নাম করার কোন প্রয়োজন নেই - কয়েকটি নামকরা ভারতীয় টেক প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক হিসেব নিকেশ দেখে নিন গুগলে)। 

    আরও জানা গেল - প্রায় এক বছর যাবৎ সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কে রিস্ক ম্যানেজারের পদটি শূন্য পড়ে আছে। ফলে দীর্ঘ মেয়াদি জমাকে প্রয়োজনে নগদ নারায়ণের রূপ দেওয়ার কথাটা কেউ ভাবেন নি। একটা দীর্ঘ মেয়াদি বন্ডের সঙ্গে চলতি দরের কোন কাগজের বিনিময় করা যায় যেখানে সেই ক্রেতা পাবে সেই বাৎসরিক ১.৫৬% আমি পাবো  চলতি সুদের হার (এখন ৪%)। এর খরচা আছে, তবে ওই জীবন বা মোটর গাড়ির বিমার মতন। এর নাম সোয়াপ (জটিলতর ব্যাখ্যায় যাচ্ছি না)।  

    পু:  ১। সিইও শ্রী বেকার গত সপ্তাহে ৩৬ লক্ষ ডলারের শেয়ার বিক্রি করেছেন। তিনি কি কিছু জানতেন?  

         ২। ব্রিটেনের এসভিবি ব্যাঙ্ক এক পাউনডে বিক্রি হয়েছে আজ সকালে। ক্রেতা হংকং সাংহাই ব্যাঙ্ক।

         ৩। যদিও ফেডারাল বিমা সংস্থা আমানতকারিদের প্রথম ২৫০,০০০ ডলার দিতে বাধ্য, এখন জানা গেছে সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের সকল আমানতকারি পুরো জমা টাকা ফিরে পাবেন, শুধু বিমা করা ২৫০,০০০ ডলার নয়

    মার্চ ১৩ ২০২৩

     
    • ‘Neither a borrower nor a lender be’ Polonius to his son Laertes at the harbour: Hamlet: Act 1 Scene 3   

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৪ মার্চ ২০২৩ | ২০৮৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Ranjan Roy | ১৪ মার্চ ২০২৩ ০৭:২৪517371
  • ভাবছি, সব যে ঘুলিয়ে দিলেন!
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:4086:1b9c:4988:c8a5 | ১৪ মার্চ ২০২৩ ০৮:৫১517375
  • ফুড প্রাইস ইনফ্লেশন নিয়ে ফোর্বস লিখছে। মূল পয়েন্ট দুটি।
     
    এক, খাবারের দাম বাড়ার বড় কারণ প্রাইস গাউজিং।
    দুই, ফেড ইন্টারেস্ট বাড়িয়ে খাবারের দাম কমাতে পারবে না।
     
    খাবারের দাম সিপিআইয়ের চেয়ে অনেক বেশী গতিতে বাড়ছে।
     
  • Ranjan Roy | ১৪ মার্চ ২০২৩ ১১:১১517376
  • "ভয় পাচ্ছি, ভীষণ ভয়, পেয়েছি ভয় ভীষণ ,
    আত্মারাম ছেড়ে  যাচ্ছে খাঁচার ইস্টিশন"।
  • হীরেন সিংহরায় | ১৪ মার্চ ২০২৩ ২১:০৫517394
  • শ্রী পলিটিশিয়ান 
    সহমত ! না হয়ে উপায় নেই! সি পি আই ১০.১%। আমাদের দেশে  দাম বাডছে সর্বত্র - কাউন্সিল ট্যাক্স ৫% বাডলো। ফেড এখন খ্যাঁচাকলে - রেট বাড়াবে কি বাডাবে না। 
  • প্যানিক ও পতন | 2601:205:c280:2890:2c75:f418:ac5:aea8 | ১৫ মার্চ ২০২৩ ০০:০৭517399
  • Customers withdrew $42 billion in a single day last week from Silicon Valley Bank, leaving the bank with $1 billion in negative cash balance, the company said in a regulatory filing. The staggering withdrawals unfolded at a speed enabled by digital banking and were likely fueled in part by viral panic spreading on social media platforms and, reportedly, in private chat groups
  • হীরেন সিংহরায় | ১৫ মার্চ ২০২৩ ০০:৪২517400
  • প্যানিক ও পতন 
     
    একেবারে সঠিক- সেপ্টেম্বর ২০০৭ সালে নর্দার্ন রক ব্যাংকের সামনে প্র্যাম ঠেলে মহিলা লাঠিতে ভর করে বৃদ্ধদের লাইনে দাঁড়াতে দেখেছি মুরগেট লন্ডনে । সেটাই হয়তো শেষ আক্ষরিক ব্যাংকের দিকে দৌড ছিলো। কোনকলে সূচনা হতো কানাকানি দিয়ে - মেরি পপিনস ও টাপেনস মনে করুন। এখন হোয়াটসএ্যাপ টুইটার দিয়ে । কিসসা ওহি সিরফ ঢং বদল গয়ে। 
  • প্যানিক ও পতন | 2601:205:c280:2890:2c75:f418:ac5:aea8 | ১৫ মার্চ ২০২৩ ০০:৫৬517401
  • প্যানিকটা শুরু হয় যখন ভেনচার ক্যাপাটাসিস্টরা স্টার্ট-আপগুলোকে নির্দেশ দেয় এসভিবি থেকে ইমিডিয়েটলি টাকা তুলে নিতে। 
  • lcm | ১৫ মার্চ ২০২৩ ০১:০৫517402
  • হীরেনবাবু বিশ্লেষণ করে দিয়েছেন। এটা এখন একটু বড় সাইজের ব্যাপার। যেমন, আজকের খবরে বলছে,
    US banks sitting on unrealized losses of $620 billion, 
    অর্থাৎ SVB একা নয়। এখানে,
    unrealized loss = assets that have decreased in price but haven’t been sold yet ..
    অর্থাৎ কিনা, ব্যাংকগুলি যে সরকারি ট্রেজারি এবং বন্ড কিনেছিল, সেগুলোর থেকে কারেন্ট রেট অফ রিটার্ন কমে গেছে। ব্যাংক অফ আমেরিকার বন্ড এর এখন লস বলছে ১০০ বিলিয়নের ওপর ।
    রবার্ট কিওসাকি ('Rich Dad, Poor Dad' বই এর লেখক) বলছেন, এর পরে নাকি সুইস ব্যাংকের (ক্রেডিট সুইসে) নিউজ আসছে।
  • হীরেন সিংহরায় | ১৫ মার্চ ২০২৩ ০১:২৯517404
  • এখানে হোলড টু ম্যাচিউরিটি ( HTM) বনাম এ্যাভলেবল ফর সেলের খেলা। আমরাও করেছি সেকেন্ডারি লোন ট্রেডিংএ যখন আনডাররাইটিং নামাতে লাভ/লোকসান নিতে হবে। যেমন মেলে। দুনিয়া প্রায় ২৪ বছর কম সুদ দেখেছে। আমার প্রথম বাড়ির মরটগেজের সুদ ছিল ১২%। 
  • হীরেন সিংহরায় | ১৫ মার্চ ২০২৩ ০১:৪২517405
  • সি এসকে বলা হয়েছে আবার হাতের লেখা করে আনতে। গত দু বছরের হিসেব নতুন করে লিখলে অনেক ভুল বেরুনোর সমভাবনা আছে! শেয়ারের  দাম শূন্যের কাছাকাছি এসে পৌঁচেছে। 
  • Amit | 121.200.237.26 | ১৫ মার্চ ২০২৩ ০৫:১৬517406
  • কিন্তু ইন্টারেস্ট রেট বেশি থাকলে সেটা লং টার্মে গ্রোথ এর ওপর নেগেটিভ হতে পারে না ? যেমন ৮০-৯০স এ বা আগে মর্টগেজ রেট অনেক বেশি ছিল। হাউসিং লোন ও লোকে কমই নিতো-বেশির ভাগ হয়তো রিটায়ারমেন্ট এর পরে নিজের পয়সায় বাড়ি বানাতেন- দাদুদের আমলে যা দেখেছি। বাড়িও কম তৈরী হতো। পুরোনো পাড়াগুলো যেমন দেখি। 
     
    পরে ইন্টারেস্ট রেট কমলে আমাদের জেনারেশন এ সবাই অনেক আর্লি কেরিয়ার স্টেজ এ লোন নিয়েছে। হাউসিং ইন্ডাস্ট্রি টাও প্যারালালি বুম করেছে। তার সাথে সাথে সিমেন্ট , লোহা গ্লাস সেরামিক আপলিয়েন্সেস টিভি থেকে সবই বুম করেছে। শহরগুলো দূরে ছড়িয়ে পড়ায় গাড়ির ডিমান্ড বেড়েছে যেটা ইটসেলফ বড়ো ইন্ডাস্ট্রি। রোড ব্রিজ ইত্যাদি ইনফ্রাস্ট্রাকচার বানাতে হয়েছে যেগুলো একটা বড়ো সংখ্যায় এমপ্লয়মেন্ট জেনারেট করেছে। এমপ্লয়মেন্ট বাড়লে ​​​​​​​ডিমান্ড + কনসাম্পসন ও ​​​​​​​বেড়েছে ​​​​​​​পাল্লা দিয়ে যেটা ​​​​​​​এগেন ​​​​​​​বিজনেস + এমপ্লয়মেন্ট ​​​​​​​জেনারেট ​​​​​​​করেছে। একটা ওভারঅল ​​​​​​​পজিটিভ ​​​​​​​সাইকেল। 
     
    শর্ট টার্ম নিয়ে কোশ্নো নয়। কিন্তু বোঝার  চেষ্টা করছি উল্টোদিকে হাঁটলে দেশের ম্যাক্রোইকোনোমিক স্কেলে লং টার্মে বেনিফিট টা কোথায় বা কিভাবে ? বরং স্লো দোউন হয়ে রিসেশন এর দিকে যাওয়ার চান্স টাই তো বেশি লাগছে ?
     
     
  • dc | 2401:4900:1f2b:5989:ac92:a580:5113:6b64 | ১৫ মার্চ ২০২৩ ০৮:০১517408
  • আমেরিকার ইনফ্লেশান রেট এই মাসে নেমে এলো ৬% এ। কাজেই ফেড মনে হয় ইন্টারেস্ট রেট আর বাড়াবে না। বা হয়তো আরেকটা 0.২৫% বাড়িয়ে আপাতত বসে পড়বে। 
  • ইনফ্লেশন | 2601:5c0:c280:d900:5963:cd12:99a9:730f | ১৫ মার্চ ২০২৩ ০৮:০৮517409
  • dc | 2401:4900:1f2b:5989:ac92:a580:5113:6b64 | ১৫ মার্চ ২০২৩ ০৮:২৭517410
  • আর ক্রেডিট সুইসের গন্ডগোল তো বেশ কিছুদিন ধরে চলছে। কয়েক মাস ধরেই স্পেকুলেশান চলছে যে ক্রেডিট সুইস পটোল তুললো বলে। 
     
    তবে ২০০৮ এর সাথে এবারের একটা পার্থক্য আছে। ২০০৮এ পুরো ব্যাংকিং সেক্টরের সিস্টেমিক রিস্ক হয়ে দাঁড়িয়েছিলো নানারকমের সিন্থেটিক আর ডেরিভেটিভ ফিনান্সিয়াল ইন্সট্রুমেন্ট, কারন আন্ডারলায়িং অ্যাসেটের ভ্যালু ছিলো না। অর্থাত কিনা আমেরিকার হাউসিং মার্কেট ক্র‌্যাশ করে গেছিলো, ফলে অ্যাসেট ভ্যালু কমে গেছিলো। 
     
    এবার কিন্তু ব্যাপারটা অন্যরকম। এবার, ২০২০ বা তার কিছু আগে থেকে, অনেক ব্যাংক আর বড়ো কোম্পানি মিউনিসিপ্যাল আর সরকারি বন্ড কিনে রেখেছিল, যখন ইন্টারেস্ট রেট প্রায় ০ এর কাছাকাছি ছিল। এখন ফেড যেই ইন্টারেস্ট রেট হুহু করে বাড়িয়েছে, ওমনি লং টার্ম বন্ড য়িল্ড পড়ে গেছে। তার মানে কিন্তু এই নয় যে বন্ডটাই জাংক হয়ে গেছে, কারন বন্ডগুলোর পেছনে সরকারের গ্যারান্টি আছে। মুশকিলে পড়েছে এসভিবি বা ওরকম কিছু রিজিওনাল ব্যাংক, যারা লং টার্ম বন্ড কিনেছিলো। এই ব্যাংকগুলোর লিকুইডিটিতে টান পড়ছে কারন ওরা এখন বন্ড গুলো বিক্রি করতে গেলে লস বুক করতে হবে, ফলে মার্জিন কলের মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। 
     
    গ্লোবাল বা ডাইভার্সিফায়েড ব্যাংক্গুলোর এই রিস্ক নাও আসতে পারে, কারন এদের অনেকেই বন্ডগুলো ম্যাচিওরিটি অবধি ধরে রাখার প্ল্যান করে কিনেছিল। এদের সোর্স অফ ফান্ডিংও ডাইভার্সিফায়েড, ফলে বন্ড সেল করে হয়তো লিকুইডিটি যোগাড় করতে হবে না। যতোক্ষন না বন্ড সেল করতে হচ্ছে, ততোক্ষন পুরোটাই নোশনাল লস, আর পুরো টার্ম ধরে রাখতে পারলে লসের তো প্রশ্নই নেই। 
     
    আপাতত এই হলো ব্যাপার, তবে কিনা মার্কেটে একবার প্যানিক ছড়াতে শুরু করলে অনেক হিসেবই উল্টে যেতে পারে। দেখা যাক কি হয়। 
  • dc | 2401:4900:1f2b:5989:ac92:a580:5113:6b64 | ১৫ মার্চ ২০২৩ ০৮:৪০517411
  • অন্যদিকে থেকে দেখলে, অনেকগুলো বড়ো বড়ো ইনভেস্টমেন্ট গান্ড আছে, যেমন পেনশান ফান্ড, সোভারেন ফান্ড ইত্যাদি, যারা দুদিক থেকেই লস খাচ্ছে। ২০২১ এর পর থেকে স্টক মার্কেট ক্র‌্যাশের ফলে স্টকেও লস খাচ্ছে, আর এখন বন্ড য়িল্ড কমে যাওয়ার ফলে বন্ডেও লস খাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে যে পোর্টফোলিও ডাইভার্সিফাই করেও রিস্ক কমানো যায়নি। কাজেই, সিস্টেমিক রিস্ক যে একেবারেই নেই তাও বলা যায় না :-) 
  • dc | 2a02:26f7:d6d0:680d:0:4a7e:87ec:d37f | ১৫ মার্চ ২০২৩ ২৩:০২517442
  • ক্রেডিট সুইস গেল বলে। 
  • হীরেন সিংহরায় | ১৬ মার্চ ২০২৩ ০১:৩০517446
  • অমিতাভ

    ক্রেদি সুইসের প্রসঙ্গ যখন তুললেন, নিজের বইয়ের বিজ্ঞাপন করার সুযোগ ছাড়া গেলো না । “ আমার আফ্রিকা “ বইতে মোজাম্বিক পর্বে ( ৯৫ পাতায় ) আমি এদের টুনা মাছের ডিলটির কথা বলেছি ।  “মোজাম্বিক সরকার দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ নিয়েছেন,  একটির আয়োজক ক্রেদি সুইস । এক লেবানিজ জাহাজ তৈরির সংস্থা টুনা মাছ ধরার নৌকো বানাবে , বিশ্বের বাজারে সে মাছ বেচে এই ঋণ শোধ হবে “।  আমরা সাইড লাইনের বাইরে থেকে খেলা দেখেছি ( তার নাটের গুরু যে ছেলেটি  আমার খুব চেনা তার শ্বশুর জাম্বিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের গভর্নর , জার্মান, সে অনেকবার আমাদের দলে টানার চেষ্টা করে ) ।  এই লোন ছিল সম্পূর্ণ ধাপ্পার  ওপরে প্রতিষ্ঠিত -কিন্তু ক্রেদি সুইসকে অবিশ্বাস করে কে? – বাজারে বলে সরকারি গ্যারান্টি আছে – ছিল না।  দুশ মিলিয়ন ফি নিয়ে তারা কেটে পড়ে।  মোজাম্বিক সরকার এখন গভীর গাড্ডায়।  দুটি ব্যাঙ্ককে জানি যারা হাতে হ্যারিকেন ধরে বসে আছে ।
    “টুনা শিকারি বোটগুলি মাপুতু বন্দরে বাঁধা আছে মাছ । জলে সানন্দে খেলা করে “।
    হালে আর্চেগোস , গ্রিনসিল ব্যাঙ্কের দশ বিলিয়ন ডলারের ডিল এখন বাচ্চা বাচ্চা জানে – তালিকা অন্তহীন।  দশ বছর আগেও ক্রেদি সুইস ইউ বি এসের নাম শুনে খদ্দের, টমসন আই এফ আর চমৎকৃত হতেন । আমাদের মত হরিদাস পালের কথা কে শোনে ? তবে ওই যে , গরিবের কথা বাসী হলে সত্যি হয়!

    নিয়ন্ত্রক কর্তা FINMA , সুইস ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক – আপনারা এতদিন কোথায় ছিলেন? বাজপাখির মতন চোখ তুলে শেয়ার হোল্ডার বলছেন 
     
  • হীরেন সিংহরায় | ১৬ মার্চ ২০২৩ ০১:৪৫517447
  • ডয়েচে ব্যাঙ্কের শেয়ার পড়ছে দুর্বার বেগে . আজকের টাইমস পত্রিকায় এ নিয়ে অনেক লেখা লেখি চলেছে । আমার চিঠির একটি অংশ 
     
    As for DB, I have worked ইন  Germany, watched them with awe !  I Remember customers making us feel small,  refusing to deal with us and saying , Ach, wissen Sie was? Wir arbeiten mit der Deutschen Bank! 
    Call it Schadenfreude but I have that Freude !
    How DB was destroyed by the collective greed led by Ackermann the Swiss and Jain of Delhi ( RIP) 
     

     
  • হীরেন সিংহরায় | ১৬ মার্চ ২০২৩ ০১:৫২517448
  • অমিতাভ 
    প্রসঙ্গ ক্রেদি সুইস 
     
    আজকের টাইমসে চিঠি পত্রের কলামে আমাকে লিখলেন - 
    R Holbrooke -
    FINMA, Switzerland and Swiss banks ate themselves many years years. They are now the centre of all corruption, insider trading, ML & shocking risk management which has shifted away from London (70s-80s) & (Germany 90s-10s)
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ১৬ মার্চ ২০২৩ ০২:০১517449
  • হীরেনদা, সেই বিখ্যাত পংক্তি
    "প্রবল ক্ষুধায় শেষে কি নিজেরে খাবে" - খেয়েছে, খাচ্ছে।
  • হীরেন সিংহরায় | ১৬ মার্চ ২০২৩ ০৪:০৫517450
  • কাল ই সি বি .৫০ পয়সা সুদের দর বাড়াবে বলে হুমকি দিচ্ছে । আজ ফুটসির পতন প্রায় ৪% -£৭৫ বিলিয়ন। ই সি বি দর বাড়ালে চিত্তির! 
  • dc | 2401:4900:2329:36a3:1df4:64c3:25d0:dfbf | ১৬ মার্চ ২০২৩ ০৭:৪৯517452
  • আচ্ছা, এই যে ডিপোজিটররা ছোট ছোট ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে নিচ্ছে, এই টাকাগুলো যাচ্ছে কোথায়? চেজ, এইচএসবিসি বা ব্যাংকঅ্যাম এর মতো বড়ো ব্যাংকগুলোতে। অর্থাত কিনা সবই বিল গেটসের চক্রান্ত laugh
  • হীরেন সিংহরায় | ১৬ মার্চ ২০২৩ ১১:৪০517459
  • কাউকে নয়। 
    ১২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ২০০৮ লেমান ভায়েদের S&P Rating ছিলো A : leverage 33:1
     
    সোমবারে দোকান বন্ধ হলো । 
  • | 146.196.33.96 | ১৬ মার্চ ২০২৩ ১২:২৯517463
  • এবার কি ডোমিনো এফেক্ট শুরু হবে ?
  • যোষিতা | ১৬ মার্চ ২০২৩ ১৬:০৮517471
  • সাধারণ জনগনের টাকা একলাখ পর্যন্ত প্রতিটি ব্যাংকে ইনশিওরড। কাজেই টাকা তুলে নেবার জন্য হুড়োহুড়ির কোনও চিত্র আপাতত দেখতে পাচ্ছি না।
    ক্রেডি সুইস বরাবরই ভুলভাল কাজ করেছে, ওদের সার্ভিসও ভাল না। এই ইনশিওরড অ্যামাউন্টের সর্বোচ্য সীমার জন্যই জনগন ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা রাখে। একটি মাত্র ব্যাংক এর ব্যতিক্রম। সম্ভবত জুরিখের কান্টোনাল বাংক। এদের ইনশিওর্ড অ্যামাউন্ট এক লাখের বেশি বলে শুনেছি।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন