এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • কী লিখি? 

    প্যালারাম লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৭ জানুয়ারি ২০২৩ | ১০৬৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)

  • হ্যারল্ড ক্রিক এক সকালে জানতে পেরেছিল, যে, তার জীবনটা তার নিজের নয়—এক লেখিকার গল্পের সে মুখ্য চরিত্র। মহিলার আবার বদনাম আছে—নিজের সব মুখ্য চরিত্রকেই তিনি গল্পের শেষে টুক করে মেরে ফেলেন। সক্কাল সক্কাল নিজের জীবনের ধারাবিবরণী শুনতে শুরু করা হ্যারল্ডের সঙ্গে অবশেষে একদিন দেখা হয় তার জীবনের লেখিকার...

    হ্যারল্ডের মত নেপথ্য-কথকের কণ্ঠস্বর আমরা শুনতে পাইনে ঠিকই, কিন্তু কোনো কোনো ধূসর মুহূর্তে সকলেই নিশ্চয়ই ভেবে আকুল হয়েছি: নিজেদের জীবনের—যার ওপর মালিকানা ঘোষণা করতে আমাদের একটুও সমস্যা হয় না—তার কতটুকু আমার নিজের লেখা?

    ইচ্ছে থাকে। লেখা হয় না। কারণ, কাগজ-কলমে কল্প-চরিত্রের গল্প লিখতে যত সময়, যত পরিশ্রম—নিজের জীবন লিখতে তার অযুত গুণ। ঘণ্টা, দিন, সপ্তাহে নয়—মাস, বছর, দশকে লিখতে হয় সেই ওপাস। যত জীবন লিখি, জীবনও তত আমাদের লেখে। অরুন্ধতী রায়ের গল্পে ভেলুথা-র বর্ণনা ছিল এইরকম—

    "... As she watched him she understood the quality of his beauty. How his labour had shaped him. How the wood he fashioned had fashioned him. Each plank he planed, each nail he drove, each thing he made, had moulded him. Had left its stamp on him...."

    কেউ কেউ লেখে। নিজের গল্প, নিজেই। কেউ থ্রিলার, কেউ হরর, কেউ কেউ শুধুই চুটকির কালেকশন। হাতে গোনা কিছু মানুষকে শুধু দেখা যায়—জীবনটাকে কাব্যের চেহারা দেওয়ার চেষ্টা করতে আর সেই চেষ্টায় ক্রমশ ক্ষয় পেতে। একসময় মিলিয়ে যায় তারা।

    উপন্যাস লেখে না কেউ। খুব খাটুনি। ড্রামায় ছিন্নভিন্ন হও রে, আবেগে থরথর কাঁপো রে, শেষমেশ যদি বা সব পেরিয়ে একটু শান্তি পেলে, জীবনান্তের চূড়ান্ত ট্র‍্যাজেডি তোমার জন্যে ওঁত পেতে বসে আছে। দর্শনের বই? সেই এক ডায়োজিনিসের পর আর তেমন লিখলো কোন খ্যাতনামা? আছেন নিশ্চয়ই অনেক। জানা যায় না। জীবনকে দর্শন বানালে, খ্যাতি আসবে কোথা থেকে?

    যারা থ্রিলার লেখে? কাহিনী-অন্ত দুঃখের হলে? কেউ খবর রাখে না। পাড়ায়/সমাজে উদাহরণ হয়ে থাকে ক্ষণকাল, তারপর সেই দুঃখ ভুলতে লাগে বাকি জীবন।
    আনন্দের গল্প হলে, তার শেষ হয় কোনো এক পোডিয়ামে, মালা গলায়—স্তবক হাতে।
    তারপর চলে সে-এ-ই এক পদক ভাঙিয়ে খাওয়া, চর্বিত চর্বন। নইলে সিক্যুয়েল — রকি ২, ৩, ৪...

    কী লেখেন লেখক? কবি?

    পল সালোপেক তাঁর মিলনান্তক থ্রিলারের শেষটা দেখে ফেলেছিলেন সেই ১৯৯৮-এ। ১৯৮৫-তে, নিউ মেক্সিকোয়, নিজের খারাপ হওয়া মোটরসাইকেল সারানোর টাকা তুলতে সেই যে শুরু করেছিলেন শখের সাংবাদিকতা, তারপর আফ্রিকার পাহাড়ি গোরিলা থেকে শুরু করে অভিবাসন, শহুরে জীবন, জীববিজ্ঞান — কী নিয়ে লেখেননি ভদ্রলোক? অবশেষে, শিকাগো ট্রিবিউনে কাজ করতে করতে, ১৯৯৬–৯৭-এ লেখা, হিউম্যান জিনোম ডাইভার্সিটি প্রোজেক্ট নিয়ে কিছু নিবন্ধ-সংকলনের জন্যে ১৯৯৮-এ পেলেন পুলিৎজার পুরস্কার।

    গল্পের বই হলে, এখানেই শেষ হত। আমার-আপনার জীবন হলে, ফ্রেমে বাঁধানো ওই দিন আর তার আগের গল্প শুনত নাতি-নাতনিরা।
    জীবন লেখার অসুবিধে—জীবন চলতেই থাকে। খিদের মত। ক্ষণিক মেটে, আবার পায়। ভদ্রলোক সিক্যুয়েলের দিকে গেলেন এবার। ২০০১-এ আবার পুলিৎজার। আগেরবার ছিল "Explanatory Reporting" বিভাগে, এবার পেলেন 'International Affairs'-এ। কঙ্গো-র সশস্ত্র জঙ্গি-অধ্যুষিত জঙ্গলে ঘুরে, কখনো নদীতে canoe চালিয়ে, ঘোড়ার মুখের খবর দিলেন—এ মহাদেশে ছোঁয়াচে রোগ কীভাবে মহামারী হয়, তার সামাজিক-রাজনৈতিক আখ্যান।

    সহজ? ঝুঁকি নেই? এক পাতা লিখে, না পোষালে ঝুড়িতে ছুঁড়ে ফেলবেন—জীবন লেখা বুঝি অতই সোজা? এই মহা সমারোহের পিছনে লুকিয়ে থাকে প্রতিদিন ঝুঁকি নেওয়ার মরণকামড়। এত কিছুর পরও, এই লোক ২০০৬ সালে, সুদানে, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে জেল খেটেছেন একমাস।

    পাতা না-ই উলটোতে পারতো। ওখানেই শেষ হত বই।
    আমাদের কপাল ভালো, হয়নি। সেইটেই আজ বলার জন্যে এত কথা বললাম।
    পল সালোপেক শুধু থামেননি, শুধুই উত্তেজনাপূর্ণ এক জীবন বেঁচেছেন— তা নয়। নিজের জীবন এরপর উনি নিজেই লিখছেন।
    সে এক অদ্ভুত আখ্যান।

    সকলেই নিশ্চয়ই জানেন—জীববিজ্ঞানের যে শাখাটি বিবর্তনের আলোয়, মানব-ইতিহাস—বিশেষ করে গোটা পৃথিবী জুড়ে তার ছড়িয়ে পড়া নিয়ে চর্চা করে, তার আধুনিকতম মত হল, এক বিশেষ রাস্তায় হেঁটেছিল আমাদের পূর্বজ সেপিয়েন্সরা (এখানে সে নিয়ে আর গপ্পো ফাঁদছি না; বিশেষ না জানা থাকলে, আপনি ভাগ্যবান! 'early human migration' বলে সার্চিয়ে দেখবেন—চোয়াল মাটিতে ঝুলে যাবে)।




    তা, এই গতি, তস্য গতির যুগে ভদ্রলোক ঠিক করেছেন, সেই আদি(এবং মহা)-পরিযানের প্রধান ও দীর্ঘতম রাস্তা-বরাবর তিনি হাঁটবেন। মোটের ওপর ২৪ হাজার কিলোমিটার।
    ঠিক পড়েছেন। 'হাঁটবেন'। সেই আদিম রাস্তার কিছু অংশ এখন জলের তলায়, তাই সেটুকু বাদ দিলে, হাঁটবেন। হাঁটবেন আর লিখবেন। কী লিখবেন? যা দেখবেন, তা-ই।

    কী যেন লেখেন লেখক, কবি?

    শুধু কি ছাপা অক্ষরে? ছবি, ভিডিও, গল্প নিয়ে এ এক মহাকাব্যের শুরু হয়েছে ২০১৩ সালে। এক দশক সময়ের আন্দাজ ছিল। মাঝে অতিমারী এসেছে, গেছে। পল আছেন। হাঁটছেন। কেমন লিখছেন? ও নিয়ে আমার বলা সাজে না। এই নিন, পড়ুন, সে গল্পের শুরুর কয়েক লাইন—

    "Walking is falling forward.

    Each step we take is an arrested plunge, a collapse averted, a disaster braked. In this way, to walk becomes an act of faith. We perform it daily: a two-beat miracle—an iambic teetering, a holding on and letting go. For the next seven years I will plummet across the world."

    — To Walk the World, Paul Salopek [১]

    প্রতি মুহূর্তের পতন সচেতনভাবে রোধ করার নামই চলা? স্থাবরের নয়, পতনের বিপরীত তবে জঙ্গম?
    কারা যেন অনেকদিন আগে, নভেলের শুরুর কয়েক লাইন নিয়ে একখান গবেষণা-গোছের করেছিল। তার ফলাফল নিখুঁত মনে না থাকলেও, এটুকু মনে আছে—মহৎ সাহিত্যের জাত—সকালেই যায় চেনা। এ সাহিত্য নয়, জীবন। তবু, পড়েই যেতে ইচ্ছে করে।

    অনেক কিছু জানা যাবে এই লেখা থেকে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের আশা, এই রাস্তা বরাবর বিশ্ব-উষ্ণায়ন, প্রযুক্তির বিবর্তন, গণ-পরিযান, আঞ্চলিক সংস্কৃতির বয়ান — সব হবে পলের লেখায়, শব্দে, ছবিতে। এই পথের বসবাসকারী মানুষের মুখে ভাষা দেবেন তিনি। [২]

    খুবই ভালো কথা, সন্দেহ নেই, কিন্তু অন্তত আমার কাছে, এই পদব্রজে কাটানো বাকি জীবনের গল্পটুকুই সব। জীবন লেখার জোর জোগাড় করছি আপাতত পলের উদাহরণ থেকে। শব্দে না হলে ছবিতে, নইলে অন্য কোনোভাবে। হাঁটতে না পারি, জীবন লিখে যেতে আপত্তি কোথায়? 
     
    কী যেন বলেছেন কবি? 
    "লেখো আয়ু, লেখো আয়ু..."




    [১] https://pulitzercenter.org/stories/walk-world-part-one-series
    [২] https://www.nationalgeographic.org/projects/out-of-eden-walk/

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৭ জানুয়ারি ২০২৩ | ১০৬৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 2401:4900:1f2b:12c9:d50:392d:9dc9:40c4 | ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:৫৫515995
  • বাঃ খুব ভালো লাগলো। আউট অফ ইডেন ওয়াক আমি বহু বছর ধরে অল্প অল্প ফলো করি, তার কারন মূলত টোলকিয়েনের সেই ফেলোশিপের জার্নি পড়ার পর থেকেই এরকম দীর্ঘ সফরের গল্পগুলো আমার ভারি ইন্টারেস্টিং লাগে। প্যালারাম বাবুকে ধন্যবাদ এটা নিয়ে লেখার জন্য :-) 
     
    এই প্রোজেক্টটা নিয়ে বহু ডকুমেন্টারি, য়ুটুব ভিডিও ইত্যাদি আছে। এগুলো দেখলেই ইচ্ছে করে গভীর রাতে একদিন বেরিয়ে পড়ি, তারপর হাঁটতে হাঁটতে মিস্টি মাউন্টেন পেরিয়ে পৌঁছে যাই মঙ্গোলিয়ার ধু ধু মাঠের মধ্যে বা ফিনল্যান্ডের ফিয়র্ড এর পারে। আর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক শুনবো লোনলি প্ল্যানেটের জন্য ইয়ান রিচির বানানো গ্লোব ট্রেকার থিম। 
     
    মাঝখানে পল সালোপেক এর জার্নি বন্ধ ছিলো, প্যান্ডেমিক কমে যাওয়ার পর বোধায় আবার শুরু হয়েছে। 
  • যদুবাবু | ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:৫৬515996
  • বাঃ, মাঝে মাঝে জ্বর বাঁধিয়ে এতো ভালো লেখা বেরুলে ... নাঃ, থাক, এমনিই লেখো। 
     
    পল সালোপেক কিন্তু সত্যিই ভয়ানক আউটলায়ার, এবং বেঁচে আছেন যে সেটাই একটা অদ্ভুত আশ্চর্য। মাঝে মাঝে এমন জীবনের গল্প শুনলে সত্যি 'বৃথা কালক্ষয়' বলে গলা ছেড়ে গাইতে ইচ্ছে করে। তবে, এও একরকমের নেশার মত, নিশির ডাকের মত। যেমন নেশা বিশাল সমুদ্র বা পাহাড়ের সামনে গিয়ে দাঁড়ালে হয়, অসীমত্বের সামনে নিজেকে তুচ্ছ মনে হওয়ার মধ্যে যে লিবারেটিং এক্সট্যাসি আছে, আর কিসে? 
     
    এই হিউম্যান মাইগ্রেশন বললে একটা জিনিষ মনে পড়ল। সেদিন পিপিএমের একটা লেখা পড়ছিলাম, পাবোদের নোবেলজয়ী এনশিয়েন্ট ডিএনএ অ্যানালিসিস নিয়েই একটা পপুলার সায়েন্স আর্টিকল। তাতে একটা দারুণ জিনিষ জানলাম যে কিছু কিছু নিয়েন্ডারথাল জেনেটিক ভেরিয়েন্ট একসময় হয়তো বেশ উপকারী ছিলো, যেমন 'ব্লাড ক্লটিং' ভেরিয়েন্ট। যখন সেই আর্লি মাইগ্রেশন হচ্ছে, মানুষ মূলতঃ হান্টার-গ্যাদারার, তখন তাড়াতাড়ি ক্লট করার ভেরিয়েন্ট উপকারী, ইনফেকশন রোধ করতে হেব্বি কাজে লাগবে, কিন্তু আস্তে আস্তে মানুষ যতো এগ্রারিয়ান হচ্ছে, সেই এক-ই ভেরিয়েন্টের কাজ কমে যাচ্ছে, আরও এগোলে এখনকার পৃথিবীতে ঐ এক-ই ভেরিয়েণ্টের জন্য মানুষের স্ট্রোকের প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে, মানে এখন সে ভিলেনের রোলে - 'রিস্ক ভ্যারিয়ান্ট'। তেমনি নাকি পাবোদের কাজ আছে, এই ২০২০ সালের, যে ঐ নিয়েন্ডারথাল ভেরিয়েন্ট থাকলে নাকি কোভিড-১৯-এর সিভিয়ার সিম্পটমের রিস্ক অনেক বেশি। পড়তে পড়তে মনে হলো ঐ যেন অনেক, অনেকদিন আগে খুব স্লো একটা এক্সটিংশন শুরু হয়েছিলো যেটা কোনোদিন-ই শেষ হয়নি, অ্যাডমিক্সচার হয়েছে, মিশে গেছে, তারপরেও সেইসব হোমিনিনদের চিহ্ন একটু একটু করে ডাস্টার দিয়ে ঘষে ঘষে মোছা চলছে। 

    বাই দ্য ওয়ে, ডেভিড রাইক পড়েছো? "Who we are & how we got here" (https://reich.hms.harvard.edu/why-i-wrote-book) মনেপ্রাণে রেকোইলাম। বইমেলা শেষ হলেই দরজায় ছিটকিনি দিয়ে ... 
     
  • dc | 2401:4900:1f2b:12c9:d50:392d:9dc9:40c4 | ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:০২515997
  • ঠিক ঠিক, ঘুরে বেড়ানো আর পথ চলা, নতুন নতুন জিনিষ দেখা, নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করা, এ এক নেশার মতো। আর এই নেশা আমাদের, মানে মানুষের মধ্যে, হার্ড কোডেড। আফ্রিকা থেকে পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু হয়েছিল, একদিন সেই রাস্তা ধরেই আমরা পৌঁছে যাবো মার্সে, তারপর য়ুরোপাকে বাদ দিয়ে জুপিটার, তারপর একদিন পুরো মিল্কি ওয়ে। কিন্তু সেও তো সবে শুরু! 
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:০৬515998
  • আগে বলত রিপ্লেসমেন্ট। নিয়েন্ডারথালরা নাকি সব লোপ পেয়ে গেল। মডার্ন হিউম্যান ওদের মেরে কেটে শেষ করে রিপ্লেস করে দিল।( ভাবতাম ওরা তো জানত না অসবর্ণ বিয়ে করতে নেই, তাহলে কিছু কিছু হিউম্যান আর নিয়েন্ডার্থাল নির্ঘাৎ গান্ধর্বমতে বিয়ে করত। তেমন বাপমায়ের ছেলেপিলে হয়তো বাঁচত না। নাহলে রিপ্লেসমেন্ট হবেই বা কী করে? কিছু তো থেকেই যাবে। ) এখন আবার নতুনতর তত্ত্ব এসেছে, বলছে ওরা দিব্যি মেলামেশা করত। ছেলেপিলেও হত, বেঁচেবর্তেও থাকত তারা। বালাই ষাট, মরবে কেন? ঃ-)
  • প্যালারাম | ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:২৬515999
  • @dc, "আফ্রিকা থেকে পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু হয়েছিল, একদিন সেই রাস্তা ধরেই আমরা পৌঁছে যাবো মার্সে, তারপর য়ুরোপাকে বাদ দিয়ে জুপিটার, তারপর একদিন পুরো মিল্কি ওয়ে। কিন্তু সেও তো সবে শুরু!"
    আহা! 
    সায়েন্স ফিকশন পড়ার এটাও একটা কারণ, জানেন... যেভাবে অন্য দেশ, অন্য জনপদের রিপোর্ট পড়ি, মনে হয়, যদি সোলার সিস্টেমের একটা নিউজ চ্যানেল থাকতো! হয়তো থাকবে। আমি তো তখন থাকবো না, তাই কল্পনা করেই আনন্দ। laugh
    আর হ্যাঁ, সালোপেকের খবর আমি জেনেছি এই সবে কিছুদিন। ফলো করছি, আরও করবো। 
     
    @যদুবাবু, তোমায় আর কী বলি। সেদিন তোমার থেকে সাজেশন পাওয়ার পর কার্ল জিমার আর ডেভিড রাইখ জোগাড় করে রেখেছি। কিন্তু ওই, বইমেলা শেষ হলে তবেই...crying
     
    @&/ ঠিক, ও যৌবন জলতরঙ্গ কবে আর রোখা গেছে। 
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:৩৩516000
  • হরে মুরারে। ঃ-)
  • যদুবাবু | ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:৩৮516001
  • "আর এই নেশা আমাদের, মানে মানুষের মধ্যে, হার্ড কোডেড" - হ্যাঁ যা বলেছেন, এই আলো নিভিয়ে কোথায় কোথায় কোনোদিন যাওয়া হবে না ভেবে মেলানকলির উদ্রেক হচ্ছে। 
     
    পূর্ব ইউরোপের ডায়েরি পড়েও ঐ চৈতন্যদশা হয়েছে অবশ্য। মনে মনে অনেক দেশ ও ভাষার বিচিত্র সংলাপ কল্পনা করে নিয়েছি। একদিন স্বপ্নে দেখেছি একটা স্টেশনে নামলাম আর কী আশ্চর্য সেখানকার আঞ্চলিক ভাষা জানি। 

    @ অ্যাণ্ডরঃ হ্যাঁ। সেটাই তো। হয়তো তখনও এক একটা হোমিনিন-পক্ষ ছিলো, মাঝে মাঝে 'এ কি আমাদের এই বাঁশবনে নিয়েনডারথালরা নাচে ক্যানো?' বা 'ডেনিসোভান ডিস্কো কেমন অপসংস্কৃতি না?' বলে ধুমা বাওয়াল দিত। তারপর আবার যেই-কে-সেই। এর মধ্যেই কেউ কেউ ... 
     
  • dc | 2401:4900:1f2b:12c9:d50:392d:9dc9:40c4 | ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:৫৪516002
  • হ্যাঁ পূর্ব ইউরোপের ডায়েরি পড়তেও ভালো লেগেছে, মিশর ভ্রুমনও ভালো লাগে, দ দির ঘুরে বেড়ানোর লেখা আর ছবিগুলোও দেখতে / পড়তে খুব ভালো লাগে। ঘুরে বেড়ানোর বেশীর ভাগ গল্প / ছবি ভিডিওই ভালো লাগে, সেসব জায়গার মানুষের জীবন দেখতে ভালো লাগে, ভাষা, পোষাক, খাবার, কালচারাল আর্টেফ্যাক্ট নিয়ে ভাবতে ভালো লাগে। নিজে তো বেশীর ভাগ জায়গায় যেতে পারবো না, তাই এই সব লেখা-ছবি-ভিডিও ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে ভিকারিয়াসলি যতোটা আনন্দ পাওয়া যায় আর কি। 
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ০৯:০৯516003
  • মিশর গেলে ভ্রুমন বলতে হয়, খুব স্পেশাল। অর্থাৎ কিনা ভুবন ভ্রমণ হয়ে যায় ওখানে গেলে। পিরামিড টিরামিড আছে কিনা! ঃ-)
  • aranya | 2601:84:4600:5410:ed6d:7c26:a554:83d4 | ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:৫৮516017
  • বাঃ 
    ভ্রমণ-ই  জীবন 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন