এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • সমান নাগরিক সংহিতাঃ বিতর্ক হোক

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ | ৬০৫৯ বার পঠিত
  • সমান নাগরিক সংহিতাঃ বিতর্ক হোক

    নান্দীমুখ

    গত ৯ ডিসেম্বর, ২০২২ বিজেপি সাংসদ কিরোড়ী লাল মীণা রাজ্যসভায় একটি প্রাইভেট মেম্বার্স বিলে পেশ করেছেন যার সার কথা হল দেশে ইউনিফর্ম সিভিল কোড বা সমান আচার সংহিতা জারি করার উদ্দেশ্যে একটি কমিটি গঠন করা হোক।

    ব্যস, যাকে বলে একেবারে হল্লা বোল শুরু হয়ে গেল। সমস্ত বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের এক রায় — বিজেপি গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে বিজয়ের পর একজন সাংসদকে দিয়ে একটি ব্যক্তিগত বিল পেশ করে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে জল মাপছে।

    কারণ, তার আগে একবছর ধরে কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা, ত্রিপুরার মত ৯টি বিধানসভা নির্বাচন এবং একগাদা পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে।

    বিজেপির নেতারা মুখ ভার করে বলছেন — এসব কী? সংবিধান সভা দেশকে যে কথা দিয়েছিলেন – যা এতদিন কেউ রাখে নি — আমরা তো সেটাকেই আইনের চেহারা দেওয়ার চেষ্টা করছি মাত্র।

    আরএসএসের লোকেরা ব্যক্তিগত স্তরে বলছেন — আমরা তো কবে থেকে বলছি যে এক জাতি, এক রাষ্ট্রভাষা, এক আচার সংহিতা দেশ এবং রাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ করে, সুদৃঢ় করে।

    এই শব্দকল্পদ্রুমের পরিবেশে বর্তমান প্রবন্ধে নিচের বিন্দুগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করছি। মোদ্দা কথা -- ইউনিফর্ম সিভিল কোড ব্যাপারটা কী - খায় না মাথায় দেয়? সংবিধান সভা এ নিয়ে ৩ নভেম্বর ১৯৪৮ এবং ১৯৪৯ সালে কী বলেছিল?

    এবং, এটা যদি সবার জন্যে উইন-উইন গেম হয় তাহলে আপত্তির কারণ কী? এ নিয়ে কতদূর চেষ্টা করা হয়েছে এবং কোথায় আটকাচ্ছে?

    একটা ডিসক্লেমার দিয়ে রাখি — এই আলোচনার জন্যে আমি ঠিক যোগ্য ব্যক্তি নই। আমি খালি বিতর্কের মুখ খুলে দিচ্ছি, সুস্থ তথ্যসমৃদ্ধ বিতর্ক চলুক।

    আমার একটাই যোগ্যতা — যখন ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে ২২তম ল’ কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত জাস্টিস বি এস চোপরা ইউনিফর্ম সিভিল কোডের ব্যাপারে আমজনতার মতামত জানতে চেয়ে মিডিয়ায় এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ১৬ পয়েন্ট প্রশ্নাবলী জারি করেছিলেন এবং নভেম্বর মাসের মধ্যেই প্রায় ১০,০০০ উত্তর পেয়েছিলেন তার মধ্যে একটা সেট আমারও ছিল। স্বল্পবুদ্ধিতে যা মনে হয়েছিল তাই উত্তরের খোপে ভরে দিয়েছিলাম।

    সিভিল ও ক্রিমিনাল কোড

    যে কোন দেশের আইনকানুনকে মোটামুটি দুটো ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।

    এক, ক্রিমিনাল কোড – যা রাষ্ট্র এবং সমাজের বিরুদ্ধে অপরাধ; এর আওতায় আসবে চুরি-ডাকাতি, খুনজখম, শারীরিক আক্রমণ, ধর্ষণ ইত্যাদি।

    দুই, সিভিল কোড – যার ভিত্তি হল এক দেশ বা সমাজে বাস করার আচরণ বিধির সামাজিক কন্ট্র্যাক্ট। এতে রয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠান পদ্ধতি, বিচ্ছেদ, এবং সম্পত্তির কেনাবেচা, ব্যবসার নিয়ম, উত্তরাধিকার এবং দত্তক নেয়ার নিয়ম কানুন ইত্যদি।

    ইউনিফর্ম সিভিল কোড বা সমান নাগরিক আচার সংহিতাঃ

    এইখানে এসে কি একটু গুলিয়ে যাচ্ছে?

    এক, ক্রিমিনাল কোড তো জাতিধর্ম নির্বিশেষে দেশের সমস্ত নাগরিকের জন্যে সমান। খুন-চুরি-ডাকাতির অপরাধে শাস্তি দেবার সময় আইন বা রাষ্ট্র নাগরিকের জাতধর্ম দেখে না, একই আইনে একই শাস্তি দেয়। তাহলে সিভিল কোড এক হবে না কেন?

    -- আরে সিভিল কোডের অনেকগুলো তো মূলতঃ সবার জন্যেই সমান!

    ব্যবসা করতে কন্ট্র্যাক্টের নিয়ম ও আইন, সেলস্‌ অফ গুডস অ্যাক্টের আইন, জি এস টি, ইনকাম ট্যাক্স, রেজিস্ট্রির নিয়ম, জমি বাড়ি সম্পত্তি কেনাবেচার আইন, মর্টগেজ বা সম্পত্তি বন্ধক রাখার আইন – সবই তো হিন্দু-বৌদ্ধ-শিখ-জৈন-পারসিক-মুসলমান-খ্রিস্টানী সবার জন্যে এক। তাহলে?

    -- আছে, তফাৎ আছে। ভারতবর্ষে সিভিল কোডের অন্তর্গত কিছু বিষয় বিভিন্ন ধার্মিক এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্যে আলাদা। সেগুলো হল মুখ্যতঃ তিনটি -- বিয়ের অনুষ্ঠান পদ্ধতি এবং বিচ্ছেদ; সম্পত্তির উত্তরাধিকার; এবং দত্তক নেয়ার নিয়ম কানুন।

    সমান নাগরিক আচার সংহিতার সমর্থকেরা চাইছেন - ওই তিনটে ব্যাপারেও বিভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায়ের লোকজনের জন্যে আলাদা আলাদা নিয়ম বন্ধ হোক। সব ধুয়ে মুছে এক হয়ে যাক, ঠিক স্কুল ইউনিফর্মের মত।

    ধুয়ো উঠছেঃ এক হউক, এক হউক, এক হউক, হে ভগবান!

    আমরা সংক্ষেপে আলোচনার সুবিধের জন্যে দেশের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মভিত্তিক সম্প্রদায়ের (হিন্দু ও মুসলিম) কোড বিল নিয়ে আলোচনা করব।

    হিন্দু কোড বিলের অন্তর্গত রয়েছে তিনটে আইন — হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট ১৯৫৫; হিন্দু সাকসেসন অ্যাক্ট; হিন্দু মাইনরিটি অ্যান্ড গার্ডিয়ানশিপ অ্যাক্ট এবং হিন্দু অ্যাডপশন (দত্তক নেয়া) এবং মেইন্টেন্যান্স (খোরপোষ) অ্যাক্ট।

    এইসব তৈরি হয়েছে ইংরেজ আমলে কিছু টুলো পণ্ডিত ডেকে বিভিন্ন স্মৃতি বা সংহিতা (মনু, যাজ্ঞবল্ক্য, পরাশর ইত্যাদি) ঘেঁটে। এ নিয়ে বিদ্যাসাগর প্রসঙ্গে গুরুর পাতায় গত বছর আমাদের এলেবেলে (দেবোত্তম চক্রবর্তী) চমৎকার আলোচনা করেছিলেন।

    তেমনই ভারতের মুসলিমদের রয়েছে মুসলিম পার্সোনাল ল (শরিয়ত) অ্যাক্ট ১৯৩৭। এতে বিয়ে, তালাক, খোরপোষ, দান-দক্ষিণা সব কিছুর ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকে মুসলিম জীবনযাপন পদ্ধতির নির্দেশের ব্যাপারে চারটি উৎসকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলঃ কুরআন, সুন্না বা অহল-এ-হাদিস (হজরত মহম্মদের নিজের আচরণে যা সিদ্ধ), কিয়াস (ব্যাখ্যা টীকা ভাষ্য ইত্যাদি) এবং ইজমা (বিদ্বানদের সর্বসম্মত ব্যাখ্যা)।  

    এখন ইউনিফর্ম সিভিল কোড মানে — ওইসব বিভিন্ন আইন বাতিল করে সবার জন্য কোন ধার্মিক রেফারেন্স ছাড়া একটাই আইন চালু করা।

    আচ্ছা, তাতে অসুবিধা কী? বেশ আধুনিক এবং প্রগতিশীল শোনাচ্ছে।

    ধর্মনিরপেক্ষ আধুনিক ভারতে এরকমটা হওয়ারই কথা তো! অসুবিধেটা কোথায়?

    সংবিধান সভার আর্টিকল ৪৪ এ নেহরুজি এমনই কিছু বলেছিলেন কিনা?

    -- বলেছিলেন বটে, কিন্তু অসুবিধেটাও তখনই স্পষ্ট হয়েছিল। কন্সটিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলি বা সংবিধান প্রণয়ন সভার ২৩ নভেম্বর, ১৯৪৮ এর বিতর্কটি দেখলেই বোঝা যাবে।

    বোম্বাই থেকে কংগ্রেসের নির্বাচিত প্রতিনিধি স্বাধীন দেশের জন্যে ধর্মের অনুশাসনের উর্দ্ধে উঠে একটি সমান নাগরিকতার পক্ষে যুক্তি দেন। বিরুদ্ধে মাদ্রাজ এবং বিহারের প্রতিনিধিরা বলেন – এতে ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং বিবিধতা নষ্ট হবে। ঐক্য এবং একরূপতা এক কথা নয়।

    ওঁরা উদাহরণ দিয়ে বললেন — বিশাল দেশ ভারতবর্ষে ভৌগলিক এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের জন্য বিখ্যাত। পূবে আসামে এত বৃষ্টি হয়, কিন্তু পশ্চিমে রাজস্থানে খটখটে মরুভূমি। উত্তরে বরফ পড়ে, হাড়কঁপানো শীত। কিন্তু দক্ষিণে শীত সেভাবে টের পাওয়া যায় না।

    শেষে একবছর পরে ১৪ নভেম্বর, ১৯৪৯ সালে সংবিধান সভার এই বিষয়ে বিতর্ক সমাপ্ত করে নেহরু বললেন — তাড়াহুড়ো না করে এই প্রগতি জনতার উপর চাপিয়ে না দিয়ে ধীরে ধীরে জনতার মধ্যে চেতনার বিকাশ ঘটিয়ে ওদের সম্মতি নিয়ে ট্র্যাডিশনে পরিবর্তন আনতে হবে। এবং, ওঁর পরামর্শ মত ইউনিফর্ম সিভিল কোডের ধারণাটিকে সংবিধানের ডায়রেক্টিভ প্রিন্সিপলের (মার্গদর্শী সিদ্ধান্ত) অধীনে আর্টিকল ৪৪ এ নিচের শব্দে বাঁধা হলঃ

    Article 44. Uniform civil code for the citizens.
    The State shall endeavour to secure for the citizens a uniform civil code throughout the territory of India.

    ঠিক আছে, কিন্তু করে ফেলতে কিসের অসুবিধে? সত্তর বছর হয়ে গেল যে!

    -- দেখুন, হিন্দুদের স্মৃতিশাস্ত্রে বিহিত আট রকমের বিয়ের মধ্যে শুধু ‘প্রাজাপত্য’ই আজকাল চলছে। এতে বাবা বা তাঁর অবর্তমানে পরিবারের কোন গুরুজন ‘কন্যাদান’ করে। আর বিয়ের কার্ডে প্রজাপতির ছবি এঁকে ‘প্রজাপতয়ে নমঃ’ লেখা থাকে। প্রজাপতির নির্বন্ধে ডিভোর্সের কথাই ওঠে না, জন্ম-জন্মান্তরের বন্ধনে হাঁসফাস করলেও।

    অবশ্য আজকাল যেটাকে লাভ ম্যারেজ বলা হয় সেটা মনু’র গান্ধর্ব বিবাহের (বর কনে নিজেদের সম্মতি বা পছন্দের হিসেবে) আধুনিক রূপ মাত্র।

    তবে ইদানীং হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টে কিছু সংশোধন হয়েছে। তাই সময়ের দাবিতে কিছু শর্ত সাপেক্ষে ডিভোর্সের সুযোগ রয়েছে। এই বিয়ের অনুষ্ঠানে সপ্তপদী গমন এবং যজ্ঞ একটি আবশ্যিক অনুষ্ঠান। আর রয়েছে (হিন্দি বলয়ে) সাতটি শপথ (সাতোঁ বচন) নেওয়ার কথা, যেমন পরস্পরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকা, ভাত-কাপড়ের দায়িত্ব নেওয়া, ইত্যাদি।

    কিন্তু মুসলিম বিয়ে হল পিওর কন্ট্র্যাক্ট। বিয়ে মসজিদে না হয়ে কারও বাড়িতে (কন্যার ঘরে) হয়। পুরোহিতের স্থানে কাজি বসেন বটে, তবে পাঁচ জন সাক্ষী রেখে কন্যাকে বসিয়ে তিনবার জিজ্ঞেস করা হয় — আপনি কি অমুককে কবুলনামায় লেখা শর্ত অনুযায়ী জীবনসঙ্গী হিসেবে স্বীকার করতে রাজি? 

    কন্যা তিনবার ‘কবুল’ বললে একই কন্ট্র্যাক্টের পাঁচ কপিতে ওরা দুজন, কাজি এবং সাক্ষীদের সইসাবুদ হয়ে গেলে বিয়ে সম্পন্ন হয়। ওদের দুজন এবং সাক্ষীদের কাছেও একটি করে ওই নিকাহ্‌নামা বা চুক্তির কপি থাকে। তাতে কন্যার সিকিউরিটি হিসেবে পূর্বনির্ধারিত ‘দেনমোহর’ কত টাকা তার উল্লেখ থাকে।

    আমি এক মুসলিম কলিগের ছোট ভাইয়ের বিয়েতে সাক্ষী একজন কম পড়ে যাওয়ায় এন্ট্রি পেয়েছিলাম এবং সই করার পরে এক কপি (বেশ রঙীন কাগজে) পেয়েছিলাম।

    চুক্তি বলেই মুসলিম ম্যারেজ অ্যাক্টে তিন রকমের তালাকের প্রথা রয়েছে — আহসান, হাসান, এবং বিদ্যৎ। 

    ভাববার সময় না দিয়ে যখন মর্জি তখন তিনবার ‘তালাক’ বলে স্ত্রীকে ঘরের বাইরে করে দিলাম - এটাই ওই বিদ্যৎ তালাক। এটা প্রথাসিদ্ধ কিন্তু শরিয়ত অনুমোদিত নয়, তাই অধিকাংশ মুসলিম দেশে এই রকম তালাক উঠে গেছে।

    ভারতেও সুপ্রীম কোর্টের রায় মেনে আইন করে শুধু ওই তালাক-এ-বিদ্যৎ নিষিদ্ধ হয়েছে, বাকি নিয়ম যথাবৎ আছে।

    স্বামী তালাক দিলে ওই দেনমোহর বিবিকে ফেরত দিতে হবে। বাস্তবে কী হয় সেটা অন্য প্রসংগ।

    একটা কথা; ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী মুসলিম মেয়ে কোন অন্য ধর্মের ছেলেকে বিয়ে করতে পারে না। তবে মুসলিম ছেলে একেশ্বরবাদী ধর্মের (ক্রিশ্চান ও ইহুদী) মেয়েকে বিয়ে করতে পারে, কিন্তু কোন বহুদেববাদী ধর্মের ( হিন্দু) মেয়েকে নয় (কুর্‌আন, সুরা ৫.৫)।

    ক্রীশ্চান ম্যারেজ অ্যান্ড ডিভোর্স অ্যাক্টের (১৮৭২) অনুষ্ঠান চার্চে হতেই হবে। কিন্তু ইসলাম ও ক্রিশ্চানিটি দুটোই আব্রাহামিক ধর্ম, তাই অনুষ্ঠানে কিছুটা মিল রয়েছে। পাদ্রী সবার সামনে ব্রাইডকে তিনবার জিজ্ঞেস করে সম্মতি পেলে পরমপিতা পরমেশ্বরের আশীর্বাদে বা দৈব ইচ্ছায় ওই জোড়াকে তখন বিধিসম্মত স্বামী-স্ত্রী বলে ঘোষণা করেন। তারপর বলেন – এখন তোমরা একে অপরকে চুমো খেতে পার।

    তখন ওরা সবার সামনে একে অপরকে চুমো খায়, ব্যস্‌।

    হিন্দুদে্র শুধু মালাবদল হয়, সবার সামনে চুমো-টুমো খাওয়ার সুযোগ নেই।

    এবার বলুন, এই তিনরকমের বিয়ের আইন তুলে দিয়ে কী করতে চান? কেমন কোড আনতে চান?

    চুমো খাওয়া তুলে দেবেন? নাকি সবাইকেই ভবিষ্যতে আইন মেনে চুমো খেতে হবে?

    সাক্ষীসাবুদ-দেনমোহর করে রীতিমত চুক্তিপত্রে সই করে বিয়ে দেওয়া তুলে দেবেন? নাকি সবাইকেই ওইরকম করতে হবে?

    সপ্তপদী, যজ্ঞ, অরুন্ধতী নক্ষত্র দেখানো তুলে দেবেন? নাকি সবাইকেই তাই করতে হবে?

    আরও আছে। হিন্দু তেলুগু সম্প্রদায়ে মামাতো ভাইবোনের মধ্যে বিয়ে সবচেয়ে উত্তম সম্বন্ধ ধরা হয়। আমার এক কলিগ তিন ভাই। ওরা ওদের আপন মামার মেয়েদের বিয়ে করেছে।

    এটা কি বাদ যাবে? নাকি সবাইকে মামাতো পিসতুতো ভাইবোনের মধ্যে বিয়ে করতে হবে?

    মুসলমানদের মধ্যেও তুতো ভাইবোনের মধ্যে বিয়ে করার চল আছে। ওদের হয়তো অসুবিধে হবে না? কিন্তু আমাদের?

    মৈত্রী কড়ার (Friendship Contract):

    সত্তরের দশকের গুজরাতে কোন এক প্রাচীন ট্র্যাডিশনের ধুয়ো তুলে ঊচ্চবর্ণের হিন্দুদের মধ্যে শুরু হল মৈত্রী কড়ার। এর মানে দুজন প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়ে সাব-রেজিস্ট্রারের অফিসে গিয়ে ১০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে এগ্রিমেন্ট বানিয়ে একসঙ্গে লিভ টুগেদার করতে পারে — আশা এই যে ওরা কিছুদিন পরে বিয়ে করবে।

    হিন্দু কোডে কোথাও এমন কোন টেম্পোরারি বিয়ের কথা বলা নেই। কিন্তু আইন এর প্রতিবন্ধক নয়। শুধু ছ’বছর আগে দুই ছোটবেলার সাথী (ছেলে মুসলিম, মেয়ে হিন্দু) ওই কড়ার করে বাধা পেয়ে শেষে গুজরাতের হাইকোর্টে গিয়ে ২৫ নভেম্বর, ২০১৬ রায়ে অনুমোদন আদায় করায় গুজরাতে উচ্চবর্ণের হিন্দুদের টনক নড়ল। শেষে কি আমাদের ঘরের মেয়েরা শ্বশুরবাড়ি গিয়ে মাছ-মাংস রান্না করতে বাধ্য হবে? [1]

    আজকে সমান আচার সংহিতা শুরু হলে মৈত্রী কড়ার বন্ধ হবে নাকি?

    তারপর অ্যান্থ্রোপলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার হিসেবে ভারতে ৪৬০০ আদিবাসী সম্প্রদায় আছে যাদের পূজার্চনা এবং বিবাহ সংস্কারের নিয়ম আমাদের থেকে ভিন্ন। ওদের সংস্কৃতিকেও কি দুরমুশ করে আমাদের মত করতে হবে?

    -- ভাল জ্বালা! তার চেয়ে বিয়ের জন্যে এমন একটা আইন করা যায় না যাতে দুজন প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেমেয়ে, নিজেদের জাত ধর্ম বাবা-মার অনুমতির তোয়াক্কা না করে ধর্মের দোহাই না দিয়ে বিয়ে করতে পারে? তাহলেই তো ল্যাটা চুকে যায়।

    সে আইন তো কবেই হয়ে গেছে — স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট ১৯৫৪। অর্থাৎ হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টের (১৯৫৫) একবছর আগে। তাতে শুধু ছেলের বয়েস ২১ হতে হবে, আর মেয়ের ১৮। তবে প্রধানমন্ত্রী বলছেন শিগগিরই মেয়েদের বয়েসও আইন করে বাড়িয়ে ২১ করে দেওয়া হবে, ভাল কথা।

    তফাৎ হল — হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টে আগে বিয়ে, পরে রেজিস্ট্রি। স্পেশ্যাল অ্যাক্টে আগে দরখাস্ত দিলে রেজিস্ট্রার দেবে একমাসের নোটিস, তারপরও যদি মিয়া-বিবি রাজি থাকে, তবে একই সঙ্গে রেজিস্ট্রি এবং বিয়ে।

    তাহলে আর হৈ চৈ কিসের?

    কারণটা রাজনৈতিক, পরে আসছি। আগে সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে বলি।

    হিন্দু ও মুসলিম কোডে মেয়েদের সম্পত্তির অধিকার

    হিন্দু কোড বিলে আগো মেয়েদের পৈতৃক সম্পত্তিতে কোন অধিকার ছিল না। প্রথমে সংশোধিত হয়ে মেয়েদের বসবাসের অধিকার স্বীকৃত হল, কিন্তু মালিকানা হক নয়। পরে ২০০৫ সালের সংশোধনে ভাই এবং বোনের সমান অধিকার স্বীকৃত হল। তারপর ২০২২ সালের একটি রায়ে সুপ্রীম কোর্ট বললেন যে বিবাহিত মেয়েরাও ভাইয়ের সমান অংশীদার, সমান ভাগ পাবে।[2]

    মুসলিম কোডে কিন্তু প্রাচীন কাল থেকেই সম্পত্তিতে বাবা-মায়ের পৈতৃক এবং স্বোপার্জিত সম্পত্তিতে মেয়েদের অধিকার স্বীকৃত, সে বিবাহিত হলেও।  তবে সবসময় সেটা ছেলেদের সমান ভাগ নয়, কখনও ১/২, কখনও ১/৪।

    ব্যাপারটা বেশ জটিল। যখন আইনের স্নাতক স্তরের পরীক্ষায় বসেছিলাম তখন আমরা সবাই ভয় পেতাম মুসলিম সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারার প্রশ্নকে। তাতে খেয়াল করে ভগ্নাংশের অংক কষতে হত।

    -- যাকগে, এসব জটিল ব্যাপারে আপনার আমার মত হরিদাস পালেদের মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। এর জন্যে উপযুক্ত সংস্থা হল ল’ কমিশন। ওদের দিয়েই এসব আইন ও ট্র্যাডিশনের প্যাঁচ খুলে একটি আধুনিক সিভিল কোডের খসড়া বানানো হোক। মিঃ আম্বেদকর, নেহেরুজী, প্যাটেলজী – সবার আত্মা শান্তি পাক। অসমাপ্ত কাজ পুরো করা হোক।

    ল’ কমিশন

    গোড়াতেই বলা দরকার যে ল’ কমিশন কোন সাংবিধানিক (constitutional) অথবা বৈধানিক (statutory) সংস্থা (body) নয়। এটি বিশুদ্ধ প্রশাসনিক (executive) সংস্থা যা ভারত সরকারের নির্দেশে কোন নিশ্চিত ইস্যুতে এবং নির্ধারিত সময়ের (tenure) জন্য গঠিত হয়।

    এর দায়িত্ব হল আইনের সংস্কারের ব্যাপারে রিসার্চ করে সরকার চাইলে বা স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে (suo moto) পরামর্শ দেওয়া।

    বর্তমান ভারত সরকার ইউসিসি’র বিষয়ে ২০১৬ সালে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জাস্টিস বি এস চৌহানের অধ্যক্ষতায় ২১ তম ল’ কমিশন গঠন করে।

    উনি এ’ব্যাপারে আম-নাগরিক এবং সিভিল সোসাইটির অভিমত এবং পরামর্শ জানতে চেয়ে ৩/১০/২০১৬ তারিখে এক ১৬ বিন্দু প্রশ্নাবলী  সম্প্রচারিত করেন। নভেম্বর মাসের মধ্যে প্রায় দশ হাজার উত্তর এবং মতামত পেয়ে বেজায় খুশি হয়ে প্রেসকে জানিয়েও দেন।

    কিন্তু বুঝতে পারছিলেন যে ব্যাপারটা এত সোজা হবে না। তারপর জাস্টিস চৌহান ২০১৮ তে কোন রিপোর্ট পেশ না করেই অবসর নেন।
      
    তারপর গত চার বছর ধরে কমিশনের কোন চেয়ারম্যান না থাকায় ব্যাপারটা ন যযৌ ন তস্থৌ হয়ে থেমে ছিল।

    অবশেষে ভারত সরকার গত ৮/১১/২২  তারিখে কর্ণাটক হাইকোর্টের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত চিফ জাস্টিস ঋতুরাজ অবস্থী-র অধ্যক্ষতায় ২২তম ল’ কমিশন গঠন করেছে। জাস্টিস অবস্থী কর্ণাটকের বিবাদিত হিজাব মামলার রায়দাতা।

    আশা করা যাচ্ছে আগামী মার্চ ২০২৩ নাগাদ ল’ কমিশন ইউসিসি ইস্যুতে তাঁদের রেকমেন্ডেশন বা সুপারিশ ভারত সরকারকে জানিয়ে দেবেন।

    কিন্তু তাই যদি হয় তাহলে আমরা মার্চ অব্দি অপেক্ষা না করে এখন থেকেই চেঁচামেচি করছি কেন? উত্তরটাও সহজ, রাজনীতি।

    সমান নাগরিক আচার সংহিতা বা ইউনিফর্ম সিভিল কোড (ইউসিসি) ও রাজনীতি

    আসলে সমান আচার সংহিতা নিয়ে এত আগ্রহের পেছনে রয়েছে আরেকটি ইস্যু – মুসলিম সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ।

    মোদীজি ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই বিজেপি ও আরএসএসের ঘোষিত তিনটে এজেন্ডা ছিল – রাম মন্দির নির্মাণ, সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল এবং ইউনিফর্ম সিভিল কোড। এর জন্যে দরকার ছিল বড় মাপের সংখ্যাগরিষ্ঠতার। সেটা পাওয়া গেল ২০১৯ সালের মে মাসের সাধারণ নির্বাচনে।

    ব্যস্‌, ব্রুট মেজরিটির জোরে ৫ অগাস্ট ২০১৯ সালে বাতিল হল আর্টিকল ৩৭০, অবশ্য নাগাল্যান্ড, মিজোরাম ইত্যাদির আলাদা আইন, আলাদা পতাকা নিয়ে আর্টিকল ৩৭১ আগের মতই রয়ে গেল।

    তারপর ৯ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে অযোধ্যা মামলার রায় বেরোল। ৫ অগাস্ট ২০২০তে সংসদে মন্দির নির্মাণের জন্য বিশেষ ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা হল।

    বাকি রইল একটাই— সমান নাগরিক আচার সংহিতা, ইউনিফর্ম সিভিল কোড।

    এতসব চেঁচামেচির একটাই লক্ষ্য — মুসলিম আইনে যে চারটে বিয়ের অনুমোদন রয়েছে সেটা বাতিল করে সবাইকে এক পত্নীব্রতে থাকতে বাধ্য করা। বাকি সম্পত্তির অধিকার-টার যাক চুলোয়।

    ওদের যুক্তিঃ বেশি পত্নী মানেই বেশি সন্তান; এর মানে মুসলিমদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি। তার মানে কোন এক ভবিষ্যতে ওরা মেজরিটি হবে এবং আমাদের দেশকে ফের ভাগ করবে।

    এটা খোলাখুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় বলা হয় এবং বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক নেতারা এটাকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মোড়কে গম্ভীর মুখে বলে থাকেন।

    বিজেপি সাংসদ এবং আরএসএসের তাত্ত্বিক নেতা রাকেশ সিনহা সংসদে জুলাই ২০১৯ সালে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি প্রাইভেট মেম্বার্স বিল পেশ করলেন।
     
    প্রধানমন্ত্রী সে’ বছর স্বাধীনতা দিবসের অভিভাষণে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বের কথা বলে এটাকে ‘a form of patriotism’ আখ্যা দেন। [3] অর্থাৎ যাদের সন্তান বেশি তারা দেশকে ভালবাসে না।

    উনি সেটা বলতেই পারেন।

    মোদীজির ভাষণের একই দিনে ১৫ই অগাস্ট, ২০১৯শের  স্বাধীনতা দিবসে আসাম সরকার ঘোষণা করে দিল যে যাদের দুটোর বেশি সন্তান রয়েছে তারা সরকারি চাকরি পাবে না এবং স্থানীয় স্তরে কোন নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না। [4]

    অবশ্য এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে এসে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার স্বাধীনতা দিবসের অভিভাষণে বলেছেন যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন নতুন আইনের দরকার নেই। ওঁর একটিই সন্তান।

    এদিকে প্রাক্তন মন্ত্রী এবং ইউপির মুজফফরনগর কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত সাংসদ সঞ্জীব বালিয়ান সেই ২০১৯ থেকে নিয়মিত সংসদে বলছেন ভারতে জনসংখ্যা যে হারে বেড়ে চলেছে যে রিসোর্সে টান পড়ছে, করদাতাদের উপর বোঝা বাড়ছে, এখনই ১৩৫ কোটি ছাড়িয়ে গেছে, ভবিষ্যতে কী হবে? ওঁর আবেদনে ১২৫ জন সাংসদের সই ছিল।
     
    তবে  ডঃ রাকেশ সিনহার (আরএসএস বুদ্ধিজীবি এবং রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য) তিনবছর আগে পেশ করা বিলটিকে এ’বছর এপ্রিল মাসে স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মনসুখ মণ্ডাভিয়া অপ্রয়োজনীর বলে মতপ্রকাশ করেন।

    ওনার মতে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির দর আশংকাজনক নয়। জোর করে প্রতি পরিবার দুই সন্তানের লক্ষণরেখা টেনে দেওয়ার দরকার নেই। সরকারের প্রচেষ্টায় জনতা এখন অনেক জাগরুক, বাকিটুকু শিক্ষার আরও প্রসার হলেই হয়ে যাবে।

    তখন রাকেশ সিনহা বিলটি প্রত্যাহার করে নেন। [5]

    কিন্তু উত্তরপ্রদেশ সরকার দুই সন্তানকে বাধ্যতামূলক করার খসড়া বিল জুলাই ২০২১ এ বিধানসভায় পেশ করে।

    তবে গত বছর জুলাই মাসে সংসদে  দুই বিজেপি এমপির প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী  জানিয়েছিলেন যে NFHS III(2005-06) সার্ভে হিসেবে TFR 2.7 ছিল, তারপর NFHS IV (2015-16) [6] অনুযায়ী কমে 2.2 হয়ে গেছে। কাজেই আইন করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার দরকার নেই।

    তারপর এ’বছর জুন মাসে এক সাংবাদিককে স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে জানানো হয় যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মণ্ডাভিয়া কোনরকম জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল আনার কথা ভাবছেন না যেহেতু NFHS V অনুযায়ী ভারতের টোটাল ফার্টিলিটি রেশিও স্থায়িত্ব দর ২.১ থেকে কমে ২.০ হয়ে গেছে। [7]

    অথচ এ’বছর গত ৯ ডিসেম্বর তারিখে দু’জন বিজেপি এমপি নিশিকান্ত দুবে এবং রবিকিষণ লোকসভায়  প্রাইভেট মেম্বার্স পপুলেশন কন্ট্রোল বিল পেশ করেছেন। রবিকিষণ, ভোজপুরি লোকগায়ক এবং গোরখপুরের বিজেপি এমপি, ওঁর তিন মেয়ে এক ছেলে।

    এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে উনি বলছেন এর জন্যে কংগ্রেস দায়ি। [8] ওরা যদি আগেই এই বিল আনত তাহলে নাকি  রবিকিষণ আগের থেকে সতর্ক হয়ে যেতেন।

    মুশকিলে পড়লাম, কে ঠিক বলছেন?

    প্রধানমন্ত্রী না স্বাস্থ্যমন্ত্রী, কে ঠিক?

    দুই বিপরীত মেরুর বক্তব্য বুঝতে হলে কিছু সরকারী ডেটা দেখুন। প্রথমে বিগত ২০১১ সালের সেন্সাস অনুয়ায়ী আমাদের দেশে ধর্মভিত্তিক নাগরিকদের  সংখ্যা ও অনুপাতঃ   

    তালিকা -১  

    সম্প্রদায়জনসংখ্যার প্রতিশত
    হিন্দু৭৯.৮০
    ইসলাম১৪.২৩
    খ্রীস্টান২.৩০
    শিখ১.৭২
    অন্যান্য১.৯৫
    মোট১০০.০০

    National Family Health Survey (NFHS-5) অনুযায়ী ভারতের গড় ফার্টিলিটি রেশিও ২.২ থেকে কমে ২.০ হয়েছে। আন্তর্জাতিক রিপ্লেসমেন্ট রেশিও হল ২.১। অর্থাৎ যে অনুপাতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি (নতুন জন্ম-নতুন মৃত্যুর সংখ্যা কাটাকুটি করে যা পাওয়া যায়) স্থির থাকে। তার মানে এখন ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার আশংকাজনক নয়।

    মাত্র পাঁচটি স্টেটের টিএফআর ন্যাশনাল অ্যাভারেজের এবং রিপ্লেসমেন্ট রেশিওর থেকে বেশি। তারা হল—

    বিহার (২.৯৮), মেঘালয় (২.৯১), উত্তরপ্রদেশ (২.৩৫), ঝাড়খণ্ড (২.২৬) এবং মনিপুর (২.১৭)। [9]

    এর কোনটিই মুসলিম বহুল রাজ্য নয়। অথচ, মুসলিম প্রধান জম্মু-কাশ্মীর (১.৩) এবং বঙ্গে (১.৬) টিএফআর ন্যাশনাল গড়ের থেকে অনেক কম।

    তার মানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির দর ধর্ম নির্ভর নয়, বরং শিক্ষার হার এবং জীবনযাপনের স্তরের উপর নির্ভরশীল।

    এবার ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সমস্ত জনগোষ্ঠীতে সন্তানোৎপাদনক্ষম বয়সের মহিলার সন্তান সংখ্যা কত নিচের তালিকায় দেখুন।

    তালিকা-২

    Total Fertility Rate (TFR) by Religion, average number of children by woman of reproductive age

    ReligionAverage number of children
    Hindu1.94
    Muslim2.36
    Christian1.88
    Sikh1.61
    Buddhist1.39
    Jain1.66
    Others2.15

    সূত্রঃ National Family Health Survey (NFHS-5)

    সিদ্ধান্তের ভার পাঠকের উপর ছেড়ে দিলাম। আমি অংকে কাঁচা। তালিকা একের জনসংখ্যাকে মূলধন এবং TFR  কে সূদের হার ধরে কম্পাউণ্ড ইন্টারেস্টের ফর্মূলা লাগিয়ে আঁক কষে বলুন তো এভাবে চললে কত বছর পরে মুসলিম জনসংখ্যা হিন্দুদের ছাড়িয়ে যাবে?

    শেষপাতেঃ

    বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো বসে নেই। বিশেষ করে যেখানে একের পর এক নির্বাচন। উত্তরাখণ্ডে রিটায়ার্ড জাস্টিস রঞ্জনা দেশাইকে অধ্যক্ষ করে রাজ্য ল’ কমিশন কাজ শুরু করে দিয়েছে। হিমাচলের বিজেপি সরকার দু’মাস আগে বলেছিল – নির্বাচনে জিতলে ওরা রাজ্যে ইউসিসি চালু করবে। চিঁড়ে ভেজে নি। গুজরাতে মহারাস্ট্রে মধ্যপ্রদেশে এবং গুজরাতে শোনা যাচ্ছে ইউসিসি নিয়ে কমিটির কথা এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণেরও।

    কিন্তু সুপ্রীম কোর্টের প্রখ্যাত অ্যাডভোকেট সঞ্জয় হেগড়ে বলছেন — ভিন্ন রাজ্যের ভিন্ন সংস্কৃতি। তাহলে তো কোন প্রথা, ধরুণ বিয়ে এক রাজ্যে বৈধ হবে তো অন্য রাজ্যে অবৈধ। কিন্তু এটি তো গোটা দেশের জন্যে ‘ইউনিফর্ম’ হওয়ার কথা।

    নিন্দুকে বলছে — আরে এগুলো ইলেকশনের আগে জিগির তোলা। হবে সেই মার্চে কেন্দ্রীয় ল’ কমিশনের রিপোর্ট এলে।

    দিন গুণছি।

    =======================================================================
    [1] ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬।
    [2]  সুপ্রীম কোর্ট,অরুণাচল গৌন্ডার বনাম পন্নুস্বামী, জানুয়ারি ২০২২।
    [3]  দি স্টেটস্‌ম্যান, ১৬ অগাস্ট, ২০১৯।  
    [4]  দি হিন্দু, ১৬ অগাস্ট, ২০১৯।
    [5] ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ২ এপ্রিল, ২০২২।
    [6] হিন্দুস্থান টাইমস্‌ ২৪ জুলাই, ২০২১।
    [7] টাইমস অফ ইন্ডিয়া, ৯ জুন, ২০২২।
    [8] ঐ, ৯ ডিসেম্বর, ২০২২।
    [9]  টাইমস্‌ অফ ইণ্ডিয়া, ৬ মে, ২০২২।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ | ৬০৫৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৪৩514645
  • অমিত ও হুতো, 
    গোলপোস্ট না সরানোর অর্থ  যখন শুধু আইনের কথা হবে তখন আইনের পাতায় আলোচনা সীমিত রাখা, বাস্তবের প্র্যাকটিস,   লোকাচার  বা সামাজিক প্রথাকে না টানা। 
    এটাই আমার গোলপোস্ট। 
    আমি কড়ি খেলা, দর্পণ ওসব বাদ দিয়ে  আইনে যেটুকু এসেনশিয়াল  বলা আছে-- কন্যাদান,  সপ্তপদী;  কবুলনামা এবং দেনমোহর ও পাঁচ কপি এগ্রিমেন্ট; চার্চে বিশপের সামনে রিং বদল, ইয়েস বলা ও তারপর বিশপের  নির্দেশে চুমু খাওয়া-- সবই আইনের অনুমোদিত অনুষ্ঠান। 
     
    সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন কাম্য এবং হচ্ছে, ধীরগতিতে।
    কিন্ত এখানে  রাষ্ট্র জোর করে চাপিয়ে দিলে ভুল হবে। চাই স্টেট হোল্ডারদের সঙ্গে নেওয়া।
     
    দেখুন,  তালাক-এ-বিদ্যৎ সফল হওয়ার বড় কারণ মুসলিমদের ভেতর থেকেই  দাবি ওঠা। এই দাবিতে মুসলিম মহিলাদের এক সংগঠন দাবি তোলেন,  লড়াই করেন এবং সুপ্রীম কোর্টে যান।
     
    অমিত
    একদম  ঠিক বলেছেন যে তালাক যেহেতু অ-মুসলিমদের মধ্যে নেই, তাই ইউনিভার্সাল কোডে না এনেই সংশোধন করা গেছে।
    --আরে, আমিও তাই বলছি। পলিগ্যামি যেহেতু এখন অ-মুসলিমদের মধ্যে নেই, তাই আলাদা আইনের বদলে ওদেরটা সংশোধন করে দিলেই কাজ শেষ।
  • Amit | 118.208.211.74 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৪৫514646
  • আমার মত - যে যার মত চান ধর্মীয় এক্ট এ বিয়ে করুন গিয়ে।  কিন্তু বিয়ের সরকারি রেজিস্ট্রেশন মাস্ট হোক আধার প্যান সমস্ত ডিটেলস সুদ্ধু। যারা সেটা করবেনা তাদের সমস্ত সরকারি সাবসিডি থেকে পাসপোর্ট থেকে বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি সমস্ত কিছু রেসট্রিক্ট করা হোক। 
     
    সম্পত্তি ডিস্ট্রিবিউশন ​​​​​​​অবশ্যই ​​​​​​​ইউনিফর্ম ​​​​​​​আইন ​​​​​​​দরকার যেটা ​​​​​​​ধর্মীয় ​​​​​​​আইনকে ওভার ​​​​​​​রুল ​​​​​​​করার ​​​​​​​ক্ষমতা ​​​​​​​থাকবে। ​​​​​​​যদি ​​​​​​​সমস্ত ​​​​​​​ইনভলভ্ড ​​​​​​​পার্টি ​​​​​​​লিখিত ​​​​​​​ভাবে ​​​​​​​প্রতিশ্রুতি ​​​​​​​দ্যান ​​​​​​​যে ​​​​​​​তারা ​​​​​​​সবাই ​​​​​​​শুধুমাত্র ​​​​​​​তাদের ​​​​​​​ধর্মীয় ​​​​​​​আইন ​​​​​​​মেনে ​​​​​​​চলতে চান & ভবিষ্যতে ​​​​​​​কোনো ​​​​​​​সিদ্ধান্ত পাল্টাবেন ​​​​​​​না , তাহলে একমাত্র ​​​​​​​সেক্ষত্রে ​​​​​​​তেনাদের ​​​​​​​কে ​​​​​​​তাদের ​​​​​​​ধর্মীয় ​​​​​​​আইন ​​​​​​​মেনে ​​​​​​​বাটোয়ারা ​​​​​​​করা ​​​​​​​হোক। ​​​​​​​যদি ​​​​​​​একজনও ​​​​​​​রাজি ​​​​​​​না ​​​​​​​হন ​​​​​​​সেক্ষত্রে ​​​​​​​ইউনিফর্ম ​​​​​​​সিভিল ​​​​​​​কোড ​​​​​​​এপলাই ​​​​​​​করা ​​​​​​​হবে। 
     
    দত্তক ​​​​​​​আইন ​​​​​​​নিয়ে ​​​​​​​বেশি ​​​​​​​জানা ​​​​​​​নেই। তবে ​​​​​​​মত ​​​​​​​একই। ​​​​​​​যেকোনো ​​​​​​​ডিসপিউট ​​​​​​​এর ​​​​​​​ক্ষেত্রে ​​​​​​​ইউনিফর্ম ​​​​​​​কোড ​​​​​​​ক্যান ​​​​​​​ওভার ​​​​​​​রুল ​​​​​​​আদার্স। 
     
    ডাইভারসিটি ​​​​​​র ​​​​​​​নাম ​​​​​​​করে ​​​​​​​বেসিক্যালি ​​​​​​​খাপ ​​​​​​​পঞ্চায়েত ​​​​​​​এর ​​​​​​​মত ​​​​​​​রিলিজিয়াস ​​​​​​​বডিগুলোকে ​​​​​​​ফ্রিহ্যান্ড ​​​​​​​দিয়ে ​​​​​​​রাখা হয়েছে। ​​​​​​​এবারে যারা ​​​​​​​সব ​​​​​​​জেনেও ​​​​​​​সেগুলোকে ​​​​​​​অন্ধের ​​​​​​​মত ​​​​​​​ফলো ​​​​​​​করতে ​​​​​​​চান ​​​​​​​তাঁরা করুন ​​​​​​​গিয়ে। ​​​​​​​কিন্তু যেকোনো ​​​​​​​ধর্মের ​​​​​​​একজনও ​​​​​​​যদি ​​​​​​​সেই ​​​​​​​খাপ ​​​​​​​থেকে ​​​​​​​বেরোতে ​​​​​​​চান , তার ​​​​​​​বেরোনোর ​​​​​​​রাস্তা ​​​​​​​স্মুথ ​​​​​​​রাখা ​​​​​​​সবথেকে ​​​​​​​বেশি ​​​​​​​দরকারি। 
     
  • দীপ | 2402:3a80:1968:dbf0:a517:f65e:9bfd:a178 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৪৫514647
  • তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে বিয়ে দেওয়া হয়। তবে পরিষ্কার বলা আছে, প্রথমে ম্যারেজ রেজিস্ট্রি সার্টিফিকেট মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে দেখাতে হবে। তারপর বিয়ের আয়োজন হবে। অর্থাৎ সবাই রেজিস্ট্রি সার্টিফিকেট কেই গুরুত্ব দিচ্ছে।
     আর যেটুকু জানি, এখন সবাই প্রথমে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করে নেয়। তারপর আনুষ্ঠানিক বিয়ের আয়োজন হয়।
  • Amit | 118.208.211.74 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৪৯514648
  • ব্যস। আবার সেই রাষ্ট্র জোর করে চাপানোর গোল গোল লুপে ঢোকার ইচ্ছে নেই। সেই একই যুক্তিতে যদি এবার দাবি আসে  সতীদাহ ঐচ্ছিক করা হোক , সেটা মেনে নেবেন তো ? সত্যি তো - কেও নিজের ইচ্ছায় সত্যি হতে চাইলে রাষ্ট্র জোর করে থামাবে কেন ?
  • দীপ | 2402:3a80:1968:dbf0:a517:f65e:9bfd:a178 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৫২514649
  • একসময় সতীদাহ প্রথা ছিল, বন্ধ হয়েছে।
    ১৮৫৬ সালে বিদ্যাসাগরের প্রচেষ্টায় বিধবাবিবাহ আইনসম্মত হয়েছে।
    পরবর্তীকালে লগ্নচ্ছেদ (ডিভোর্স) স্বীকৃতি পেয়েছে, পিতার সম্পত্তিতে কন্যার অধিকার মেনে নেওয়া হয়েছে। 
    সমাজ তো এইভাবেই এগিয়ে চলে।
     
    কামাল পাশাও তো তুরস্কে হিজাব-বোরখা নিষিদ্ধ করেছিলেন, তুরস্ককে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র রূপে ঘোষণা করেছিলেন।
  • দীপ | 2402:3a80:1968:dbf0:a517:f65e:9bfd:a178 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৫৪514650
  • আধুনিক দেশ মনুসংহিতা অনুযায়ী চলবে না, শরিয়তী আইনেও নয়! এটাই ধর্মনিরপেক্ষ দেশের কাছে প্রত্যাশিত।
     
  • Ranjan Roy | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৫৮514651
  • দীপ 
    আরে মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করবে কি কাজী ডেকে-- সেটাই দুটো ম্যারেজ অ্যাক্ট এর বলা আছে।
     
    আপনার অপশন মাত্র দুটো।
     
    হয় আপনি সেকুলার বিয়ে,  মানে সিভিল ম্যারেজ অ্যাক্ট  1954 এর  হিসেবে কোর্ট ম্যারেজ করবেন,  অথবা আপনার পছন্দের কোন ধার্মিক ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুযায়ী করবেন ।
    ইউনিফর্ম কোড হলে আপনার কোন অপশন থাকবে না। সবাইকেই এক ভাবে বিয়ে করতে হবে।
  • দীপ | 2402:3a80:1968:dbf0:a517:f65e:9bfd:a178 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:০০514652
  • সেটাই তো বলা হয়েছে। প্রথমে রেজিস্ট্রি করে নিতে হবে। তারপর পু্রুত ডাকুক, কাজী ডাকুক, ব্যান্ডপার্টি ডাকুক, অর্কেস্ট্রা ডাকুক- কোনো সমস্যা নেই।
  • Amit | 118.208.211.74 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:০২514653
  • মানে সবাইকে সাতপাক ঘুরতে হবে এটা নিয়েই আসল টেনশন তো ? ঠিক আছে। ইউসিসি র ড্রাফট ভার্সন বাজারে নামুক। তাপ্পর দেখা যাবে। 
  • Ranjan Roy | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:২২514654
  • দীপ
    যাঁরা বিয়ের ব্যাপারে শরিয়ত বা মনুসংহিতা মানতে চান না, তাদের জন্য  সিভিল ম্যারেজ অ্যাক্ট  আছে তো।
    আর বিয়ে ইত্যাদি কয়েকটা ব্যাপার ছাড়া বাকি সব সিভিল কোড তো সেকুলার এবং আধুনিক। 
    নো শরিয়ত অর মনু।
     
    আর ক্রিমিনাল কোডও তো সেকুলার এবং সবার জন্য সমান। নো শরিয়ত অর মনু।
     
    গোটা দেশের 90% আইন তো  সেকুলার।
    দেশ কোথায় মনু  বা শরিয়ত এর হিসেবে  চলছে?
     
    অমিত, 
    সতীদাহের মহিমা নিয়ে  বয়ান এবং  দাবি তো  এখনও  চলে। রূপরেলা  পদ্মার বিবাদ  খেয়াল করুন।
     
    হযবরল
    এখন জন্ম- মৃত্যু-- বিবাহের স্থানীয় মিউনিসিপ্যাল অফিসে রেজিস্ট্রেশন ম্যান্ডেটরি,  না করলে পেনাল্টি।
    তবু চিটিং  সম্ভব বলে মনে হল। 
     
  • দীপ | 2402:3a80:1968:dbf0:a517:f65e:9bfd:a178 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:৩০514655
  • তা বাকিগুলো করতেই বা সমস্যা কোথায়?
  • দীপ | 2402:3a80:1968:dbf0:a517:f65e:9bfd:a178 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:৩২514656
  • কিছুদিন আগেই তাৎক্ষণিক তালাক নিয়েই অজস্র কথা উঠেছে। যদিও তা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে অনেক আগেই নিষিদ্ধ।
  • Ranjan Roy | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:৩৬514657
  • দীপ
    মন্দ বলেন  নি। 
    আগে সিভিল  ম্যারেজ অ্যাক্ট এর হিসেবে রেজিস্ট্রেশন হোক। তারপর  নিজের  পছন্দের ধার্মিক অনুষ্ঠান খাওয়া দাওয়া যা ইচ্ছে।
    কিন্ত এটা  তো এখন আকতর  হচ্ছ। 
    আমার আপন ভাইঝি।
     
    আগে রেজিস্ট্রেশন হল।  তারপর বাঙালি অনুষ্ঠান। ক'য় দিন পরে চার্চে ছেলের বাড়ির অনুষ্ঠান। 
     
    কিন্ত তার জন্য কোন আলাদা আইন বা ইউনিফর্ম  কোড লাগে নি তো!
  • র২হ | 96.230.209.161 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:২৪514658
    • Ranjan Roy | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:০২
    • ...  সবাই বলছেন আজকে চারপাশে তাকালে polygamy চোখেই পড়ে না...
     
    • Ranjan Roy | ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:৩৮
    • ...এবার আমি একটা স্পেসিফিক প্রশ্ন করি?
      -- বর্তমান প্রজন্মের মুসলিমদের মধ্যে কয়জনের একাধিক স্ত্রী দেখেছেন?
      আপনার চারপাশের পরিচিত মুসলিমদের দিকে তাকিয়ে বলুন। 
      আমি একটাও দেখি নি।
     
    রঞ্জনদা, পলিগ্যামি আজকাল বিরল এটা আপনিই বলেছিলেন।
     
     
    আর আইন দেশাচার ইত্যাদি - সামাজিক বা ধর্মীয় বিয়ের একমাস পর রেজিস্ট্রি করতে হয় বটে তবে সেই বিয়েতে সম্প্রদান বা মন্ত্রতন্ত্র হয়েছিল কিনা কেউ দেখতে যায় না। আইনের চোখে আদৌ ম্যাটারও করে কিনা জানি না। 
     
    আবারও, বিজেপি আরএসএসের উদ্যোগে কোন ভালো সংস্কার উদ্যোগ হতে পারে এমন বিশ্বাস আমার নেই। কিন্তু পলিগ্যামি উত্তরাধিকার ও দত্তক সংক্রান্ত আইন সব নাগরিকের জন্য এক হবে - শুধু এটুকুতে কোন সমস্যা দেখি না।
     
  • a | 61.68.244.161 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:২৪514659
  • সমস্যাটা বিয়ের আচার বা আইন নিয়ে অতটা নয় মনে হয়। সেটা হল সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে। দত্তক, ডিভোর্স এগুলো ঐ সমস্যার সাবসেট। 
     
    ইউসিসি তে এবিষয়ে কি বলা হয়েছে জানা যায় কি? 
  • Ranjan Roy | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ২১:৫৮514663
  • হুতো 
      মিস করেছ।অমিতও  বলেছেন।
     
     আমার  16 তারিখের 7.38 পোস্টের ঠিক পরেই অমিতের উত্তর "আমিও দেখি নি।"
    উনিই পলিগ্যামি নিয়ে বেশি চিন্তিত ছিলেন।
    অর্থাৎ উনি ভ্যালিডেট করলেন আমার পারসেপশন-- পলিগ্যামির সমস্যা তাত্ত্বিক বেশি, বাস্তবিক কম। 
    আর কয়েক' শ পাঠক যাঁরা বিতর্ক ফলো করছেন তাঁরাও কেউ আমাদের দুজনকে কন্ট্রাডিক্ট  করেন নি। 
    তাই আমার ইনফারেন্স-- সবার বক্তব্য আজকাল পলিগ্যামি  বিরল।
     
    দেখতে না গেলেও প্রমাণ হিসেবে বিয়ের কার্ড এবং ফটোগ্রাফ জমা  করতে হয়।
    আর এই লেখার বিষয়  কত নিষ্ঠার সঙ্গে ধর্মীয় আইন পালন করা হচ্ছে সেটা পর্যবেক্ষণ করা নয়, কেবল প্রস্তাবিত UCC বিধিক সংস্কার এর background and intent দেখা।
     এর বিরোধিতার মূল বক্তব্য:
    সংবিধানের মৌলিক অধিকার চ্যাপ্টার এর আর্টিকেল 25 অনুযায়ী সব নাগরিকের নিজের ধর্ম পালনের অধিকার  আছে। নিজস্ব শাস্ত্র নির্ধারিত পদ্ধতি অনুযায়ী বিয়ের করা সেই অধিকারের মধ্যে পরে।
    যে আচরণগুলো অন্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করে না, কারো ক্ষতি করে না, সেগুলো ছাড়তে হবে কেন?
    আমাদের কি নিজস্ব আইডেন্টিটি ছেড়ে বহুমাত্রিক জনতার ভিড়ে মিশে যেতে হবে?
  • Ranjan Roy | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:০৯514664
  • a,
    UCC নিয়ে  কোন recommendation না দিয়েই জাস্টিস Balawant Singh Chouhan 2018  সাল নাগাদ অবসর নিয়েছেন। 
    এত বছর পরে কর্নাটকের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত চিফ জাস্টিসকে চেয়ারম্যান করা  হয়েছে।
    আশা, উনি মার্চ 2023 নাগাদ রিপোর্ট দেবেন।
    এখন যতটুকু বোঝা যাচ্ছে তা 16 পয়েন্ট প্রশ্ন আর সরকারের বিভিন্ন বক্তব্য থেকে।
  • র২হ | 96.230.209.161 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:০৯514665
  • রঞ্জনদা, মিস করিনি। আপনার প্রস্তাবনা, অন্যের সম্মতি।
     
    তবে এটা ছোট বিষয়, মূল তর্কের জন্যে তেমন কিছু না।
     
    আর, ছাড়তে তো হবে না। ধর্মীয় আচার যে যার মত করুক, পরে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক, ওটাই আইনের চোখে আসল। কালীঘাটের বিয়েতে নেমন্তন্ন চিঠি হয়? সব 'হিন্দু' টোপর মাথায় মালাবদল করে?
     
    "...আর কয়েক' শ পাঠক যাঁরা বিতর্ক ফলো করছেন তাঁরাও কেউ আমাদের দুজনকে কন্ট্রাডিক্ট  করেন নি। ..." - এ আবার কী যুক্তি! কয়েকশো পাঠক পার্টিসিপেটও করেননি।
    আর কন্ট্রাডিক্ট আমিও করিনি। বলেছি তাই যদি হয় তাতে আইনি সীলমোহর লাগুক।
  • র২হ | 96.230.209.161 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:১৩514666
  • ধর্মীয় আইডেন্টিটি ছেড়ে জনসমুদ্রে মেশার দরকার নেই। যে যার মত গণেশ চতুর্থী খারচি পুজো মিলাদ কনগ্রিগেশন করুন। রাষ্ট্রীয় আতুপুতু বন্ধ হলেই হলো।
  • r2h | 96.230.209.161 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:১৭514667
  • আর, আবারও, এই সরকারের যেকোন জিনিসের ইন্টেন্ট নিয়ে আমার ঘোরতর সন্দেহ। তার পক্ষে যুক্তি পেলে স্বস্তি হয়।

    কিন্তু এই যুক্তিগুলো মানা যাচ্ছে না।
  • dc | 2401:4900:2306:a6d0:9d01:1d48:dae3:8916 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:৩৩514668
  • রঞ্জনদা, একটা দলের আইডিওলজি হলো দেশটাকে মেজরিটারিয়ান হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করা, মুসলমান আর অন্য ধর্মাবলম্বীদের সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেনে পরিণত করা। এটাই আরেসেসের ডিএনএ, এই আইডিওলজি ফুলফিল করার জন্য বিজেপি যাবতীয় কাজ করে। এটা মনে রাখলেই মনে হয় এই সব কিছুর সঠিক পারস্পেকটিভ বা এর পেছনে ইনটেন্ট বুঝতে অসুবিধা হবে না। আর তাতেও অসুবিধে হলে আধ ঘন্টা আস্তাকুঁড় টিভি দেখুন, বিজেপি কেন ইউসিসি, সিএএ, এনারসি ইত্যাদি আনতে চাইছে সেটা পরিষ্কার হয়ে যাবে :-)  
  • @Stats_of_India | 2601:5c0:c280:d900:4156:913e:b1ac:6c8 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:৪৫514669
  • Image
     
    Image
  • r2h | 96.230.209.161 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:৫৮514670
  • ডিসি, এটা তো আমরা সবাই জানি। কিন্তু আইনের ধারা ধরে ধরে যুক্তি দিতে গেলে তো সলিড কিছু লাগবে। যদি শুধুই পলিগ্যামি দত্তক ইত্যাদি সংক্রান্ত আইন হয়, তাহলে এগুলোয় কি রাষ্ট্রের ধর্মীয় আচার অ্যাগনোস্টিক হওয়া উচিত না?

    কোন নির্দিষ্ট অংশের জনসংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে - সেটা বন্ধ করতে হবে - এমন দাবি ভয়ানক, এবং ঘুরিয়ে জেনোসাইডের লক্ষ্য। কিন্তু আমরা এও জানি যে মুসলিম জনসংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে এমন দাবী একটি ঢপ, সুতরাং এই বহুবিবাহ আর জনসংখ্যার সম্পর্কটাও ঢপ।

    তো, আদালত বা আইঅনসভার বাইরে মূলত আইন ফর ডামিজ টাইপের বৃত্তে যুক্তিগুলো পরিস্কার না হলে কুযুক্তিগুলো ফেঁপে ওঠার সুযোগ পায়।

    ইন্টেন্ট খারাপ এই নিয়ে আমার সন্দেহ নেই, আর এই তর্কটায় আমি রঞ্জনদার বিপক্ষে সেটা আমার কাছে বিড়ম্বনার বিষয়।
    কিন্তু যুক্তিগুলো হজম করার মত না। বহুবিবাহবিরোধী আইনে কীভাবে কোন সমাজকে ডিপ্রাইভ করা যায় সেটা তো বুঝতে হবে। 
  • dc | 2401:4900:2306:a6d0:9d01:1d48:dae3:8916 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:১১514671
  • ঠিক আছে, পরে এসব নিয়ে আরও লিখবো। আর হপ্তা খানেক কাজের চাপ থাকবে, তারপর আবার রেগুলার আসতে পারবো। একোন ইস্যুকেই কিভাবে আরেসেস নিজেদের অ্যাজেন্ডায় পরিণত করে আর হিন্দুত্ব ফ্রেমে আটকে ফেলে সেসব নিয়ে তো লেখাই উচিত।
     
    তবে চুপি চুপি একটা কথা এখনই বলা যেতে পারে। ইউসিসি, এনারসি, সিএএ, অযোধ্যা, বিলকিস বানুর রেপিস্টদের এন মাস মুক্তি দেওয়া, এসবই হলো ২০২৪ লোক সভা ভোটের প্রস্তুতি আর লং টার্মে হিন্দু রাষ্ট্র তৈরি করার প্রস্তুতি। পার্ট অফ আ লং টার্ম প্ল্যান।  
  • r2h | 96.230.209.161 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:১৫514672
    • dc  | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:১১
    • ...এসবই হলো ২০২৪ লোক সভা ভোটের প্রস্তুতি আর লং টার্মে হিন্দু রাষ্ট্র তৈরি করার প্রস্তুতি। পার্ট অফ আ লং টার্ম প্ল্যান।  
     
    একদম।
    আর আমার আরও মনে হয় এইসব ইউনিফিকেশন আস্তে আস্তে (বা তত আস্তেও না) হল সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার ধাপ।
  • Ranjan Roy | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:৪৯514674
  • ডিসি 
    একমত. 
     
     
    r2h
    তোমার কথা বুঝতে পারছি. 
    কিন্তু নিজে  যা  বললে সেটা আবার ভাব. 
    Registration এবং নিজের পছন্দ মত ধার্মিক অনুষ্ঠান?
    তাই তো হচ্ছে। আকছার হচ্ছে।
    তুমি  নিজেই বললে , আমিও আমার আপন ভাইডি উদাহরণ দিলাম।
    কিন্তু এসব  তো ইউ সি সি ছাড়াই হচ্ছে,  তাহলে?
    আর মুসলিম দের পক্ষে এটা সহজ।
    কারণ ওদের বিয়ের অনুষ্ঠান টাই রেজিস্ট্রেশন ভিত্তিক। 
     
    কিন্ত 2017  সালে  ইউ পি সরকারের বিয়ে রেজিস্ট্রেশন ম্যান্ডেটরি এবং না করলে সরকারি সুবিধার থেকে  বঞ্চিত হবে--- ঘোষণা করায় বিরোধ হয়েছিল। 
     
    দেওবন্দ স্পষ্ট  করেছিল ওরাr egistrarion এর per se
    বিরোধী নয়. ।আপত্তি এটা  শাস্তি যোগ্য  অপরাধ বলায়.। ।কারণ,  গরীব এবং অশিক্ষিত মুসলমানেরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত  হবে  
     
     
     
     
     
     
     
  • r2h | 96.230.209.161 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:৫৪514675
  • রঞ্জনদা, একই জায়গায় ঘুরে ঘুরে আসছি। এই সবই যদি অলরেডি সম্ভব হয়, তাহলে ইউসিসিতে ঠিক কি বাড়তি আছে যেটা বিপজ্জনক হতে পারে?

    কিছু আছে, কিছু মিস করছি আমি নিশ্চিত - এই সরকার ঠিক সাদাসিধে জণকল্যান ও সংস্কারমূলক কাজ করবে এমন বিশ্বাস করার কারন নেই। কিন্তু সেটা কী?

    ওদিকে,
    • Amit | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৪৫
    • ...যারা সেটা করবেনা তাদের সমস্ত সরকারি সাবসিডি থেকে পাসপোর্ট থেকে বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি সমস্ত কিছু রেসট্রিক্ট করা হোক। 
    একা অভিভাবকদের জন্যে কী বিধান? অবিবাহিত মায়েদের জন্যে? লিভ টুগেদার করা দম্পতির জন্যে? 
    নাকি সেসব ভারতীয় 'সংস্কৃতির' পরিপন্থী?ঃ)
  • aranya | 2601:84:4600:5410:ed86:c41e:b52d:3781 | ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ ০০:০৬514676
  • এই টই তে ভাল আলোচনা হচ্ছে। 
     
    'সংবিধানের মৌলিক অধিকার চ্যাপ্টার এর আর্টিকেল 25 অনুযায়ী সব নাগরিকের নিজের ধর্ম পালনের অধিকার  আছে। নিজস্ব শাস্ত্র নির্ধারিত পদ্ধতি অনুযায়ী বিয়ের করা সেই অধিকারের মধ্যে পরে।
    যে আচরণগুলো অন্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করে না, কারো ক্ষতি করে না, সেগুলো ছাড়তে হবে কেন?'
     
    - যে আচরণগুলো অন্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করে, কারো ক্ষতি করে - সেগুলো কি ধর্ম পালনের অধিকারের কারণে মেনে নেওয়া উচিত, নাকি পাল্টানো দরকার? 
     
    যেমন ধরুণ, রঞ্জন দা লিখেছেন -
    ' ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী মুসলিম মেয়ে কোন অন্য ধর্মের ছেলেকে বিয়ে করতে পারে না। তবে মুসলিম ছেলে একেশ্বরবাদী ধর্মের (ক্রিশ্চান ও ইহুদী) মেয়েকে বিয়ে করতে পারে, কিন্তু কোন বহুদেববাদী ধর্মের ( হিন্দু) মেয়েকে নয়।'
     
    এ তো মুসলিম ​​​​​​​মেয়েদের ​​​​​​​অধিকারে প্রচন্ড হস্তক্ষেপ , মুসলিম ছেলেদেরও ​​​​​​​অধিকারে ​​​​​​​কিছুটা ​​​​​​​হস্তক্ষেপ। ​​​​​​
     
    আরও সমস্যা হল , বিজেপি আরএসএস- এর অভিপ্রায় আমরা জানি। ইসলাম -এর রিগ্রেসিভ ব্যাপার স্যাপার নিয়ে কথা বললে, তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে কিং কর্তব্যম? 
     
    আমরা কি শুধু বিশ্বকাপ নিয়ে লিখব, ধর্ম নিয়ে কিছু বলব না? বলব না কিছুই মোরা ধর্ম নিয়ে? 
  • r2h | 96.230.209.161 | ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ ০০:১০514677
    • aranya  | ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ ০০:০৬
    • ... 
      যেমন ধরুণ, রঞ্জন দা লিখেছেন -
      ' ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী মুসলিম মেয়ে কোন অন্য ধর্মের ছেলেকে বিয়ে করতে পারে না। তবে মুসলিম ছেলে একেশ্বরবাদী ধর্মের (ক্রিশ্চান ও ইহুদী) মেয়েকে বিয়ে করতে পারে, কিন্তু কোন বহুদেববাদী ধর্মের ( হিন্দু) মেয়েকে নয়।'
       
      এ তো মুসলিম মেয়েদের ​​​​​​​অধিকারে প্রচন্ড হস্তক্ষেপ , মুসলিম ছেলেদেরও ​​​​​​​অধিকারে ​​​​​​​কিছুটা ​​​​​​​হস্তক্ষেপ। ​​​​​​
    •  
    একদম। এটা অতি ভুলভাল, আইনে এর স্বীকৃতি থাকা কোনভাবেই উচিত না। এমন হলে তো জাতপাতকেও স্বীকৃতি দিতে হয়। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:ed86:c41e:b52d:3781 | ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ ০০:১৫514678
  • পৃথিবীর অন্য দেশগুলো কী করছে, তাও দেখা যেতে পারে। যেমন আমেরিকা বা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কোন ধর্মের লোকেদের জন্য পলিগ্যামি আইনত বৈধ কিনা 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন