এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • সমান নাগরিক সংহিতাঃ বিতর্ক হোক

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ | ৫৯০১ বার পঠিত
  • সমান নাগরিক সংহিতাঃ বিতর্ক হোক

    নান্দীমুখ

    গত ৯ ডিসেম্বর, ২০২২ বিজেপি সাংসদ কিরোড়ী লাল মীণা রাজ্যসভায় একটি প্রাইভেট মেম্বার্স বিলে পেশ করেছেন যার সার কথা হল দেশে ইউনিফর্ম সিভিল কোড বা সমান আচার সংহিতা জারি করার উদ্দেশ্যে একটি কমিটি গঠন করা হোক।

    ব্যস, যাকে বলে একেবারে হল্লা বোল শুরু হয়ে গেল। সমস্ত বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের এক রায় — বিজেপি গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে বিজয়ের পর একজন সাংসদকে দিয়ে একটি ব্যক্তিগত বিল পেশ করে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে জল মাপছে।

    কারণ, তার আগে একবছর ধরে কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা, ত্রিপুরার মত ৯টি বিধানসভা নির্বাচন এবং একগাদা পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে।

    বিজেপির নেতারা মুখ ভার করে বলছেন — এসব কী? সংবিধান সভা দেশকে যে কথা দিয়েছিলেন – যা এতদিন কেউ রাখে নি — আমরা তো সেটাকেই আইনের চেহারা দেওয়ার চেষ্টা করছি মাত্র।

    আরএসএসের লোকেরা ব্যক্তিগত স্তরে বলছেন — আমরা তো কবে থেকে বলছি যে এক জাতি, এক রাষ্ট্রভাষা, এক আচার সংহিতা দেশ এবং রাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ করে, সুদৃঢ় করে।

    এই শব্দকল্পদ্রুমের পরিবেশে বর্তমান প্রবন্ধে নিচের বিন্দুগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করছি। মোদ্দা কথা -- ইউনিফর্ম সিভিল কোড ব্যাপারটা কী - খায় না মাথায় দেয়? সংবিধান সভা এ নিয়ে ৩ নভেম্বর ১৯৪৮ এবং ১৯৪৯ সালে কী বলেছিল?

    এবং, এটা যদি সবার জন্যে উইন-উইন গেম হয় তাহলে আপত্তির কারণ কী? এ নিয়ে কতদূর চেষ্টা করা হয়েছে এবং কোথায় আটকাচ্ছে?

    একটা ডিসক্লেমার দিয়ে রাখি — এই আলোচনার জন্যে আমি ঠিক যোগ্য ব্যক্তি নই। আমি খালি বিতর্কের মুখ খুলে দিচ্ছি, সুস্থ তথ্যসমৃদ্ধ বিতর্ক চলুক।

    আমার একটাই যোগ্যতা — যখন ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে ২২তম ল’ কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত জাস্টিস বি এস চোপরা ইউনিফর্ম সিভিল কোডের ব্যাপারে আমজনতার মতামত জানতে চেয়ে মিডিয়ায় এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ১৬ পয়েন্ট প্রশ্নাবলী জারি করেছিলেন এবং নভেম্বর মাসের মধ্যেই প্রায় ১০,০০০ উত্তর পেয়েছিলেন তার মধ্যে একটা সেট আমারও ছিল। স্বল্পবুদ্ধিতে যা মনে হয়েছিল তাই উত্তরের খোপে ভরে দিয়েছিলাম।

    সিভিল ও ক্রিমিনাল কোড

    যে কোন দেশের আইনকানুনকে মোটামুটি দুটো ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।

    এক, ক্রিমিনাল কোড – যা রাষ্ট্র এবং সমাজের বিরুদ্ধে অপরাধ; এর আওতায় আসবে চুরি-ডাকাতি, খুনজখম, শারীরিক আক্রমণ, ধর্ষণ ইত্যাদি।

    দুই, সিভিল কোড – যার ভিত্তি হল এক দেশ বা সমাজে বাস করার আচরণ বিধির সামাজিক কন্ট্র্যাক্ট। এতে রয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠান পদ্ধতি, বিচ্ছেদ, এবং সম্পত্তির কেনাবেচা, ব্যবসার নিয়ম, উত্তরাধিকার এবং দত্তক নেয়ার নিয়ম কানুন ইত্যদি।

    ইউনিফর্ম সিভিল কোড বা সমান নাগরিক আচার সংহিতাঃ

    এইখানে এসে কি একটু গুলিয়ে যাচ্ছে?

    এক, ক্রিমিনাল কোড তো জাতিধর্ম নির্বিশেষে দেশের সমস্ত নাগরিকের জন্যে সমান। খুন-চুরি-ডাকাতির অপরাধে শাস্তি দেবার সময় আইন বা রাষ্ট্র নাগরিকের জাতধর্ম দেখে না, একই আইনে একই শাস্তি দেয়। তাহলে সিভিল কোড এক হবে না কেন?

    -- আরে সিভিল কোডের অনেকগুলো তো মূলতঃ সবার জন্যেই সমান!

    ব্যবসা করতে কন্ট্র্যাক্টের নিয়ম ও আইন, সেলস্‌ অফ গুডস অ্যাক্টের আইন, জি এস টি, ইনকাম ট্যাক্স, রেজিস্ট্রির নিয়ম, জমি বাড়ি সম্পত্তি কেনাবেচার আইন, মর্টগেজ বা সম্পত্তি বন্ধক রাখার আইন – সবই তো হিন্দু-বৌদ্ধ-শিখ-জৈন-পারসিক-মুসলমান-খ্রিস্টানী সবার জন্যে এক। তাহলে?

    -- আছে, তফাৎ আছে। ভারতবর্ষে সিভিল কোডের অন্তর্গত কিছু বিষয় বিভিন্ন ধার্মিক এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্যে আলাদা। সেগুলো হল মুখ্যতঃ তিনটি -- বিয়ের অনুষ্ঠান পদ্ধতি এবং বিচ্ছেদ; সম্পত্তির উত্তরাধিকার; এবং দত্তক নেয়ার নিয়ম কানুন।

    সমান নাগরিক আচার সংহিতার সমর্থকেরা চাইছেন - ওই তিনটে ব্যাপারেও বিভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায়ের লোকজনের জন্যে আলাদা আলাদা নিয়ম বন্ধ হোক। সব ধুয়ে মুছে এক হয়ে যাক, ঠিক স্কুল ইউনিফর্মের মত।

    ধুয়ো উঠছেঃ এক হউক, এক হউক, এক হউক, হে ভগবান!

    আমরা সংক্ষেপে আলোচনার সুবিধের জন্যে দেশের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মভিত্তিক সম্প্রদায়ের (হিন্দু ও মুসলিম) কোড বিল নিয়ে আলোচনা করব।

    হিন্দু কোড বিলের অন্তর্গত রয়েছে তিনটে আইন — হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট ১৯৫৫; হিন্দু সাকসেসন অ্যাক্ট; হিন্দু মাইনরিটি অ্যান্ড গার্ডিয়ানশিপ অ্যাক্ট এবং হিন্দু অ্যাডপশন (দত্তক নেয়া) এবং মেইন্টেন্যান্স (খোরপোষ) অ্যাক্ট।

    এইসব তৈরি হয়েছে ইংরেজ আমলে কিছু টুলো পণ্ডিত ডেকে বিভিন্ন স্মৃতি বা সংহিতা (মনু, যাজ্ঞবল্ক্য, পরাশর ইত্যাদি) ঘেঁটে। এ নিয়ে বিদ্যাসাগর প্রসঙ্গে গুরুর পাতায় গত বছর আমাদের এলেবেলে (দেবোত্তম চক্রবর্তী) চমৎকার আলোচনা করেছিলেন।

    তেমনই ভারতের মুসলিমদের রয়েছে মুসলিম পার্সোনাল ল (শরিয়ত) অ্যাক্ট ১৯৩৭। এতে বিয়ে, তালাক, খোরপোষ, দান-দক্ষিণা সব কিছুর ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকে মুসলিম জীবনযাপন পদ্ধতির নির্দেশের ব্যাপারে চারটি উৎসকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলঃ কুরআন, সুন্না বা অহল-এ-হাদিস (হজরত মহম্মদের নিজের আচরণে যা সিদ্ধ), কিয়াস (ব্যাখ্যা টীকা ভাষ্য ইত্যাদি) এবং ইজমা (বিদ্বানদের সর্বসম্মত ব্যাখ্যা)।  

    এখন ইউনিফর্ম সিভিল কোড মানে — ওইসব বিভিন্ন আইন বাতিল করে সবার জন্য কোন ধার্মিক রেফারেন্স ছাড়া একটাই আইন চালু করা।

    আচ্ছা, তাতে অসুবিধা কী? বেশ আধুনিক এবং প্রগতিশীল শোনাচ্ছে।

    ধর্মনিরপেক্ষ আধুনিক ভারতে এরকমটা হওয়ারই কথা তো! অসুবিধেটা কোথায়?

    সংবিধান সভার আর্টিকল ৪৪ এ নেহরুজি এমনই কিছু বলেছিলেন কিনা?

    -- বলেছিলেন বটে, কিন্তু অসুবিধেটাও তখনই স্পষ্ট হয়েছিল। কন্সটিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলি বা সংবিধান প্রণয়ন সভার ২৩ নভেম্বর, ১৯৪৮ এর বিতর্কটি দেখলেই বোঝা যাবে।

    বোম্বাই থেকে কংগ্রেসের নির্বাচিত প্রতিনিধি স্বাধীন দেশের জন্যে ধর্মের অনুশাসনের উর্দ্ধে উঠে একটি সমান নাগরিকতার পক্ষে যুক্তি দেন। বিরুদ্ধে মাদ্রাজ এবং বিহারের প্রতিনিধিরা বলেন – এতে ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং বিবিধতা নষ্ট হবে। ঐক্য এবং একরূপতা এক কথা নয়।

    ওঁরা উদাহরণ দিয়ে বললেন — বিশাল দেশ ভারতবর্ষে ভৌগলিক এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের জন্য বিখ্যাত। পূবে আসামে এত বৃষ্টি হয়, কিন্তু পশ্চিমে রাজস্থানে খটখটে মরুভূমি। উত্তরে বরফ পড়ে, হাড়কঁপানো শীত। কিন্তু দক্ষিণে শীত সেভাবে টের পাওয়া যায় না।

    শেষে একবছর পরে ১৪ নভেম্বর, ১৯৪৯ সালে সংবিধান সভার এই বিষয়ে বিতর্ক সমাপ্ত করে নেহরু বললেন — তাড়াহুড়ো না করে এই প্রগতি জনতার উপর চাপিয়ে না দিয়ে ধীরে ধীরে জনতার মধ্যে চেতনার বিকাশ ঘটিয়ে ওদের সম্মতি নিয়ে ট্র্যাডিশনে পরিবর্তন আনতে হবে। এবং, ওঁর পরামর্শ মত ইউনিফর্ম সিভিল কোডের ধারণাটিকে সংবিধানের ডায়রেক্টিভ প্রিন্সিপলের (মার্গদর্শী সিদ্ধান্ত) অধীনে আর্টিকল ৪৪ এ নিচের শব্দে বাঁধা হলঃ

    Article 44. Uniform civil code for the citizens.
    The State shall endeavour to secure for the citizens a uniform civil code throughout the territory of India.

    ঠিক আছে, কিন্তু করে ফেলতে কিসের অসুবিধে? সত্তর বছর হয়ে গেল যে!

    -- দেখুন, হিন্দুদের স্মৃতিশাস্ত্রে বিহিত আট রকমের বিয়ের মধ্যে শুধু ‘প্রাজাপত্য’ই আজকাল চলছে। এতে বাবা বা তাঁর অবর্তমানে পরিবারের কোন গুরুজন ‘কন্যাদান’ করে। আর বিয়ের কার্ডে প্রজাপতির ছবি এঁকে ‘প্রজাপতয়ে নমঃ’ লেখা থাকে। প্রজাপতির নির্বন্ধে ডিভোর্সের কথাই ওঠে না, জন্ম-জন্মান্তরের বন্ধনে হাঁসফাস করলেও।

    অবশ্য আজকাল যেটাকে লাভ ম্যারেজ বলা হয় সেটা মনু’র গান্ধর্ব বিবাহের (বর কনে নিজেদের সম্মতি বা পছন্দের হিসেবে) আধুনিক রূপ মাত্র।

    তবে ইদানীং হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টে কিছু সংশোধন হয়েছে। তাই সময়ের দাবিতে কিছু শর্ত সাপেক্ষে ডিভোর্সের সুযোগ রয়েছে। এই বিয়ের অনুষ্ঠানে সপ্তপদী গমন এবং যজ্ঞ একটি আবশ্যিক অনুষ্ঠান। আর রয়েছে (হিন্দি বলয়ে) সাতটি শপথ (সাতোঁ বচন) নেওয়ার কথা, যেমন পরস্পরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকা, ভাত-কাপড়ের দায়িত্ব নেওয়া, ইত্যাদি।

    কিন্তু মুসলিম বিয়ে হল পিওর কন্ট্র্যাক্ট। বিয়ে মসজিদে না হয়ে কারও বাড়িতে (কন্যার ঘরে) হয়। পুরোহিতের স্থানে কাজি বসেন বটে, তবে পাঁচ জন সাক্ষী রেখে কন্যাকে বসিয়ে তিনবার জিজ্ঞেস করা হয় — আপনি কি অমুককে কবুলনামায় লেখা শর্ত অনুযায়ী জীবনসঙ্গী হিসেবে স্বীকার করতে রাজি? 

    কন্যা তিনবার ‘কবুল’ বললে একই কন্ট্র্যাক্টের পাঁচ কপিতে ওরা দুজন, কাজি এবং সাক্ষীদের সইসাবুদ হয়ে গেলে বিয়ে সম্পন্ন হয়। ওদের দুজন এবং সাক্ষীদের কাছেও একটি করে ওই নিকাহ্‌নামা বা চুক্তির কপি থাকে। তাতে কন্যার সিকিউরিটি হিসেবে পূর্বনির্ধারিত ‘দেনমোহর’ কত টাকা তার উল্লেখ থাকে।

    আমি এক মুসলিম কলিগের ছোট ভাইয়ের বিয়েতে সাক্ষী একজন কম পড়ে যাওয়ায় এন্ট্রি পেয়েছিলাম এবং সই করার পরে এক কপি (বেশ রঙীন কাগজে) পেয়েছিলাম।

    চুক্তি বলেই মুসলিম ম্যারেজ অ্যাক্টে তিন রকমের তালাকের প্রথা রয়েছে — আহসান, হাসান, এবং বিদ্যৎ। 

    ভাববার সময় না দিয়ে যখন মর্জি তখন তিনবার ‘তালাক’ বলে স্ত্রীকে ঘরের বাইরে করে দিলাম - এটাই ওই বিদ্যৎ তালাক। এটা প্রথাসিদ্ধ কিন্তু শরিয়ত অনুমোদিত নয়, তাই অধিকাংশ মুসলিম দেশে এই রকম তালাক উঠে গেছে।

    ভারতেও সুপ্রীম কোর্টের রায় মেনে আইন করে শুধু ওই তালাক-এ-বিদ্যৎ নিষিদ্ধ হয়েছে, বাকি নিয়ম যথাবৎ আছে।

    স্বামী তালাক দিলে ওই দেনমোহর বিবিকে ফেরত দিতে হবে। বাস্তবে কী হয় সেটা অন্য প্রসংগ।

    একটা কথা; ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী মুসলিম মেয়ে কোন অন্য ধর্মের ছেলেকে বিয়ে করতে পারে না। তবে মুসলিম ছেলে একেশ্বরবাদী ধর্মের (ক্রিশ্চান ও ইহুদী) মেয়েকে বিয়ে করতে পারে, কিন্তু কোন বহুদেববাদী ধর্মের ( হিন্দু) মেয়েকে নয় (কুর্‌আন, সুরা ৫.৫)।

    ক্রীশ্চান ম্যারেজ অ্যান্ড ডিভোর্স অ্যাক্টের (১৮৭২) অনুষ্ঠান চার্চে হতেই হবে। কিন্তু ইসলাম ও ক্রিশ্চানিটি দুটোই আব্রাহামিক ধর্ম, তাই অনুষ্ঠানে কিছুটা মিল রয়েছে। পাদ্রী সবার সামনে ব্রাইডকে তিনবার জিজ্ঞেস করে সম্মতি পেলে পরমপিতা পরমেশ্বরের আশীর্বাদে বা দৈব ইচ্ছায় ওই জোড়াকে তখন বিধিসম্মত স্বামী-স্ত্রী বলে ঘোষণা করেন। তারপর বলেন – এখন তোমরা একে অপরকে চুমো খেতে পার।

    তখন ওরা সবার সামনে একে অপরকে চুমো খায়, ব্যস্‌।

    হিন্দুদে্র শুধু মালাবদল হয়, সবার সামনে চুমো-টুমো খাওয়ার সুযোগ নেই।

    এবার বলুন, এই তিনরকমের বিয়ের আইন তুলে দিয়ে কী করতে চান? কেমন কোড আনতে চান?

    চুমো খাওয়া তুলে দেবেন? নাকি সবাইকেই ভবিষ্যতে আইন মেনে চুমো খেতে হবে?

    সাক্ষীসাবুদ-দেনমোহর করে রীতিমত চুক্তিপত্রে সই করে বিয়ে দেওয়া তুলে দেবেন? নাকি সবাইকেই ওইরকম করতে হবে?

    সপ্তপদী, যজ্ঞ, অরুন্ধতী নক্ষত্র দেখানো তুলে দেবেন? নাকি সবাইকেই তাই করতে হবে?

    আরও আছে। হিন্দু তেলুগু সম্প্রদায়ে মামাতো ভাইবোনের মধ্যে বিয়ে সবচেয়ে উত্তম সম্বন্ধ ধরা হয়। আমার এক কলিগ তিন ভাই। ওরা ওদের আপন মামার মেয়েদের বিয়ে করেছে।

    এটা কি বাদ যাবে? নাকি সবাইকে মামাতো পিসতুতো ভাইবোনের মধ্যে বিয়ে করতে হবে?

    মুসলমানদের মধ্যেও তুতো ভাইবোনের মধ্যে বিয়ে করার চল আছে। ওদের হয়তো অসুবিধে হবে না? কিন্তু আমাদের?

    মৈত্রী কড়ার (Friendship Contract):

    সত্তরের দশকের গুজরাতে কোন এক প্রাচীন ট্র্যাডিশনের ধুয়ো তুলে ঊচ্চবর্ণের হিন্দুদের মধ্যে শুরু হল মৈত্রী কড়ার। এর মানে দুজন প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়ে সাব-রেজিস্ট্রারের অফিসে গিয়ে ১০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে এগ্রিমেন্ট বানিয়ে একসঙ্গে লিভ টুগেদার করতে পারে — আশা এই যে ওরা কিছুদিন পরে বিয়ে করবে।

    হিন্দু কোডে কোথাও এমন কোন টেম্পোরারি বিয়ের কথা বলা নেই। কিন্তু আইন এর প্রতিবন্ধক নয়। শুধু ছ’বছর আগে দুই ছোটবেলার সাথী (ছেলে মুসলিম, মেয়ে হিন্দু) ওই কড়ার করে বাধা পেয়ে শেষে গুজরাতের হাইকোর্টে গিয়ে ২৫ নভেম্বর, ২০১৬ রায়ে অনুমোদন আদায় করায় গুজরাতে উচ্চবর্ণের হিন্দুদের টনক নড়ল। শেষে কি আমাদের ঘরের মেয়েরা শ্বশুরবাড়ি গিয়ে মাছ-মাংস রান্না করতে বাধ্য হবে? [1]

    আজকে সমান আচার সংহিতা শুরু হলে মৈত্রী কড়ার বন্ধ হবে নাকি?

    তারপর অ্যান্থ্রোপলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার হিসেবে ভারতে ৪৬০০ আদিবাসী সম্প্রদায় আছে যাদের পূজার্চনা এবং বিবাহ সংস্কারের নিয়ম আমাদের থেকে ভিন্ন। ওদের সংস্কৃতিকেও কি দুরমুশ করে আমাদের মত করতে হবে?

    -- ভাল জ্বালা! তার চেয়ে বিয়ের জন্যে এমন একটা আইন করা যায় না যাতে দুজন প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেমেয়ে, নিজেদের জাত ধর্ম বাবা-মার অনুমতির তোয়াক্কা না করে ধর্মের দোহাই না দিয়ে বিয়ে করতে পারে? তাহলেই তো ল্যাটা চুকে যায়।

    সে আইন তো কবেই হয়ে গেছে — স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট ১৯৫৪। অর্থাৎ হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টের (১৯৫৫) একবছর আগে। তাতে শুধু ছেলের বয়েস ২১ হতে হবে, আর মেয়ের ১৮। তবে প্রধানমন্ত্রী বলছেন শিগগিরই মেয়েদের বয়েসও আইন করে বাড়িয়ে ২১ করে দেওয়া হবে, ভাল কথা।

    তফাৎ হল — হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টে আগে বিয়ে, পরে রেজিস্ট্রি। স্পেশ্যাল অ্যাক্টে আগে দরখাস্ত দিলে রেজিস্ট্রার দেবে একমাসের নোটিস, তারপরও যদি মিয়া-বিবি রাজি থাকে, তবে একই সঙ্গে রেজিস্ট্রি এবং বিয়ে।

    তাহলে আর হৈ চৈ কিসের?

    কারণটা রাজনৈতিক, পরে আসছি। আগে সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে বলি।

    হিন্দু ও মুসলিম কোডে মেয়েদের সম্পত্তির অধিকার

    হিন্দু কোড বিলে আগো মেয়েদের পৈতৃক সম্পত্তিতে কোন অধিকার ছিল না। প্রথমে সংশোধিত হয়ে মেয়েদের বসবাসের অধিকার স্বীকৃত হল, কিন্তু মালিকানা হক নয়। পরে ২০০৫ সালের সংশোধনে ভাই এবং বোনের সমান অধিকার স্বীকৃত হল। তারপর ২০২২ সালের একটি রায়ে সুপ্রীম কোর্ট বললেন যে বিবাহিত মেয়েরাও ভাইয়ের সমান অংশীদার, সমান ভাগ পাবে।[2]

    মুসলিম কোডে কিন্তু প্রাচীন কাল থেকেই সম্পত্তিতে বাবা-মায়ের পৈতৃক এবং স্বোপার্জিত সম্পত্তিতে মেয়েদের অধিকার স্বীকৃত, সে বিবাহিত হলেও।  তবে সবসময় সেটা ছেলেদের সমান ভাগ নয়, কখনও ১/২, কখনও ১/৪।

    ব্যাপারটা বেশ জটিল। যখন আইনের স্নাতক স্তরের পরীক্ষায় বসেছিলাম তখন আমরা সবাই ভয় পেতাম মুসলিম সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারার প্রশ্নকে। তাতে খেয়াল করে ভগ্নাংশের অংক কষতে হত।

    -- যাকগে, এসব জটিল ব্যাপারে আপনার আমার মত হরিদাস পালেদের মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। এর জন্যে উপযুক্ত সংস্থা হল ল’ কমিশন। ওদের দিয়েই এসব আইন ও ট্র্যাডিশনের প্যাঁচ খুলে একটি আধুনিক সিভিল কোডের খসড়া বানানো হোক। মিঃ আম্বেদকর, নেহেরুজী, প্যাটেলজী – সবার আত্মা শান্তি পাক। অসমাপ্ত কাজ পুরো করা হোক।

    ল’ কমিশন

    গোড়াতেই বলা দরকার যে ল’ কমিশন কোন সাংবিধানিক (constitutional) অথবা বৈধানিক (statutory) সংস্থা (body) নয়। এটি বিশুদ্ধ প্রশাসনিক (executive) সংস্থা যা ভারত সরকারের নির্দেশে কোন নিশ্চিত ইস্যুতে এবং নির্ধারিত সময়ের (tenure) জন্য গঠিত হয়।

    এর দায়িত্ব হল আইনের সংস্কারের ব্যাপারে রিসার্চ করে সরকার চাইলে বা স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে (suo moto) পরামর্শ দেওয়া।

    বর্তমান ভারত সরকার ইউসিসি’র বিষয়ে ২০১৬ সালে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জাস্টিস বি এস চৌহানের অধ্যক্ষতায় ২১ তম ল’ কমিশন গঠন করে।

    উনি এ’ব্যাপারে আম-নাগরিক এবং সিভিল সোসাইটির অভিমত এবং পরামর্শ জানতে চেয়ে ৩/১০/২০১৬ তারিখে এক ১৬ বিন্দু প্রশ্নাবলী  সম্প্রচারিত করেন। নভেম্বর মাসের মধ্যে প্রায় দশ হাজার উত্তর এবং মতামত পেয়ে বেজায় খুশি হয়ে প্রেসকে জানিয়েও দেন।

    কিন্তু বুঝতে পারছিলেন যে ব্যাপারটা এত সোজা হবে না। তারপর জাস্টিস চৌহান ২০১৮ তে কোন রিপোর্ট পেশ না করেই অবসর নেন।
      
    তারপর গত চার বছর ধরে কমিশনের কোন চেয়ারম্যান না থাকায় ব্যাপারটা ন যযৌ ন তস্থৌ হয়ে থেমে ছিল।

    অবশেষে ভারত সরকার গত ৮/১১/২২  তারিখে কর্ণাটক হাইকোর্টের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত চিফ জাস্টিস ঋতুরাজ অবস্থী-র অধ্যক্ষতায় ২২তম ল’ কমিশন গঠন করেছে। জাস্টিস অবস্থী কর্ণাটকের বিবাদিত হিজাব মামলার রায়দাতা।

    আশা করা যাচ্ছে আগামী মার্চ ২০২৩ নাগাদ ল’ কমিশন ইউসিসি ইস্যুতে তাঁদের রেকমেন্ডেশন বা সুপারিশ ভারত সরকারকে জানিয়ে দেবেন।

    কিন্তু তাই যদি হয় তাহলে আমরা মার্চ অব্দি অপেক্ষা না করে এখন থেকেই চেঁচামেচি করছি কেন? উত্তরটাও সহজ, রাজনীতি।

    সমান নাগরিক আচার সংহিতা বা ইউনিফর্ম সিভিল কোড (ইউসিসি) ও রাজনীতি

    আসলে সমান আচার সংহিতা নিয়ে এত আগ্রহের পেছনে রয়েছে আরেকটি ইস্যু – মুসলিম সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ।

    মোদীজি ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই বিজেপি ও আরএসএসের ঘোষিত তিনটে এজেন্ডা ছিল – রাম মন্দির নির্মাণ, সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল এবং ইউনিফর্ম সিভিল কোড। এর জন্যে দরকার ছিল বড় মাপের সংখ্যাগরিষ্ঠতার। সেটা পাওয়া গেল ২০১৯ সালের মে মাসের সাধারণ নির্বাচনে।

    ব্যস্‌, ব্রুট মেজরিটির জোরে ৫ অগাস্ট ২০১৯ সালে বাতিল হল আর্টিকল ৩৭০, অবশ্য নাগাল্যান্ড, মিজোরাম ইত্যাদির আলাদা আইন, আলাদা পতাকা নিয়ে আর্টিকল ৩৭১ আগের মতই রয়ে গেল।

    তারপর ৯ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে অযোধ্যা মামলার রায় বেরোল। ৫ অগাস্ট ২০২০তে সংসদে মন্দির নির্মাণের জন্য বিশেষ ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা হল।

    বাকি রইল একটাই— সমান নাগরিক আচার সংহিতা, ইউনিফর্ম সিভিল কোড।

    এতসব চেঁচামেচির একটাই লক্ষ্য — মুসলিম আইনে যে চারটে বিয়ের অনুমোদন রয়েছে সেটা বাতিল করে সবাইকে এক পত্নীব্রতে থাকতে বাধ্য করা। বাকি সম্পত্তির অধিকার-টার যাক চুলোয়।

    ওদের যুক্তিঃ বেশি পত্নী মানেই বেশি সন্তান; এর মানে মুসলিমদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি। তার মানে কোন এক ভবিষ্যতে ওরা মেজরিটি হবে এবং আমাদের দেশকে ফের ভাগ করবে।

    এটা খোলাখুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় বলা হয় এবং বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক নেতারা এটাকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মোড়কে গম্ভীর মুখে বলে থাকেন।

    বিজেপি সাংসদ এবং আরএসএসের তাত্ত্বিক নেতা রাকেশ সিনহা সংসদে জুলাই ২০১৯ সালে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি প্রাইভেট মেম্বার্স বিল পেশ করলেন।
     
    প্রধানমন্ত্রী সে’ বছর স্বাধীনতা দিবসের অভিভাষণে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বের কথা বলে এটাকে ‘a form of patriotism’ আখ্যা দেন। [3] অর্থাৎ যাদের সন্তান বেশি তারা দেশকে ভালবাসে না।

    উনি সেটা বলতেই পারেন।

    মোদীজির ভাষণের একই দিনে ১৫ই অগাস্ট, ২০১৯শের  স্বাধীনতা দিবসে আসাম সরকার ঘোষণা করে দিল যে যাদের দুটোর বেশি সন্তান রয়েছে তারা সরকারি চাকরি পাবে না এবং স্থানীয় স্তরে কোন নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না। [4]

    অবশ্য এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে এসে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার স্বাধীনতা দিবসের অভিভাষণে বলেছেন যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন নতুন আইনের দরকার নেই। ওঁর একটিই সন্তান।

    এদিকে প্রাক্তন মন্ত্রী এবং ইউপির মুজফফরনগর কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত সাংসদ সঞ্জীব বালিয়ান সেই ২০১৯ থেকে নিয়মিত সংসদে বলছেন ভারতে জনসংখ্যা যে হারে বেড়ে চলেছে যে রিসোর্সে টান পড়ছে, করদাতাদের উপর বোঝা বাড়ছে, এখনই ১৩৫ কোটি ছাড়িয়ে গেছে, ভবিষ্যতে কী হবে? ওঁর আবেদনে ১২৫ জন সাংসদের সই ছিল।
     
    তবে  ডঃ রাকেশ সিনহার (আরএসএস বুদ্ধিজীবি এবং রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য) তিনবছর আগে পেশ করা বিলটিকে এ’বছর এপ্রিল মাসে স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মনসুখ মণ্ডাভিয়া অপ্রয়োজনীর বলে মতপ্রকাশ করেন।

    ওনার মতে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির দর আশংকাজনক নয়। জোর করে প্রতি পরিবার দুই সন্তানের লক্ষণরেখা টেনে দেওয়ার দরকার নেই। সরকারের প্রচেষ্টায় জনতা এখন অনেক জাগরুক, বাকিটুকু শিক্ষার আরও প্রসার হলেই হয়ে যাবে।

    তখন রাকেশ সিনহা বিলটি প্রত্যাহার করে নেন। [5]

    কিন্তু উত্তরপ্রদেশ সরকার দুই সন্তানকে বাধ্যতামূলক করার খসড়া বিল জুলাই ২০২১ এ বিধানসভায় পেশ করে।

    তবে গত বছর জুলাই মাসে সংসদে  দুই বিজেপি এমপির প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী  জানিয়েছিলেন যে NFHS III(2005-06) সার্ভে হিসেবে TFR 2.7 ছিল, তারপর NFHS IV (2015-16) [6] অনুযায়ী কমে 2.2 হয়ে গেছে। কাজেই আইন করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার দরকার নেই।

    তারপর এ’বছর জুন মাসে এক সাংবাদিককে স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে জানানো হয় যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মণ্ডাভিয়া কোনরকম জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল আনার কথা ভাবছেন না যেহেতু NFHS V অনুযায়ী ভারতের টোটাল ফার্টিলিটি রেশিও স্থায়িত্ব দর ২.১ থেকে কমে ২.০ হয়ে গেছে। [7]

    অথচ এ’বছর গত ৯ ডিসেম্বর তারিখে দু’জন বিজেপি এমপি নিশিকান্ত দুবে এবং রবিকিষণ লোকসভায়  প্রাইভেট মেম্বার্স পপুলেশন কন্ট্রোল বিল পেশ করেছেন। রবিকিষণ, ভোজপুরি লোকগায়ক এবং গোরখপুরের বিজেপি এমপি, ওঁর তিন মেয়ে এক ছেলে।

    এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে উনি বলছেন এর জন্যে কংগ্রেস দায়ি। [8] ওরা যদি আগেই এই বিল আনত তাহলে নাকি  রবিকিষণ আগের থেকে সতর্ক হয়ে যেতেন।

    মুশকিলে পড়লাম, কে ঠিক বলছেন?

    প্রধানমন্ত্রী না স্বাস্থ্যমন্ত্রী, কে ঠিক?

    দুই বিপরীত মেরুর বক্তব্য বুঝতে হলে কিছু সরকারী ডেটা দেখুন। প্রথমে বিগত ২০১১ সালের সেন্সাস অনুয়ায়ী আমাদের দেশে ধর্মভিত্তিক নাগরিকদের  সংখ্যা ও অনুপাতঃ   

    তালিকা -১  

    সম্প্রদায়জনসংখ্যার প্রতিশত
    হিন্দু৭৯.৮০
    ইসলাম১৪.২৩
    খ্রীস্টান২.৩০
    শিখ১.৭২
    অন্যান্য১.৯৫
    মোট১০০.০০

    National Family Health Survey (NFHS-5) অনুযায়ী ভারতের গড় ফার্টিলিটি রেশিও ২.২ থেকে কমে ২.০ হয়েছে। আন্তর্জাতিক রিপ্লেসমেন্ট রেশিও হল ২.১। অর্থাৎ যে অনুপাতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি (নতুন জন্ম-নতুন মৃত্যুর সংখ্যা কাটাকুটি করে যা পাওয়া যায়) স্থির থাকে। তার মানে এখন ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার আশংকাজনক নয়।

    মাত্র পাঁচটি স্টেটের টিএফআর ন্যাশনাল অ্যাভারেজের এবং রিপ্লেসমেন্ট রেশিওর থেকে বেশি। তারা হল—

    বিহার (২.৯৮), মেঘালয় (২.৯১), উত্তরপ্রদেশ (২.৩৫), ঝাড়খণ্ড (২.২৬) এবং মনিপুর (২.১৭)। [9]

    এর কোনটিই মুসলিম বহুল রাজ্য নয়। অথচ, মুসলিম প্রধান জম্মু-কাশ্মীর (১.৩) এবং বঙ্গে (১.৬) টিএফআর ন্যাশনাল গড়ের থেকে অনেক কম।

    তার মানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির দর ধর্ম নির্ভর নয়, বরং শিক্ষার হার এবং জীবনযাপনের স্তরের উপর নির্ভরশীল।

    এবার ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সমস্ত জনগোষ্ঠীতে সন্তানোৎপাদনক্ষম বয়সের মহিলার সন্তান সংখ্যা কত নিচের তালিকায় দেখুন।

    তালিকা-২

    Total Fertility Rate (TFR) by Religion, average number of children by woman of reproductive age

    ReligionAverage number of children
    Hindu1.94
    Muslim2.36
    Christian1.88
    Sikh1.61
    Buddhist1.39
    Jain1.66
    Others2.15

    সূত্রঃ National Family Health Survey (NFHS-5)

    সিদ্ধান্তের ভার পাঠকের উপর ছেড়ে দিলাম। আমি অংকে কাঁচা। তালিকা একের জনসংখ্যাকে মূলধন এবং TFR  কে সূদের হার ধরে কম্পাউণ্ড ইন্টারেস্টের ফর্মূলা লাগিয়ে আঁক কষে বলুন তো এভাবে চললে কত বছর পরে মুসলিম জনসংখ্যা হিন্দুদের ছাড়িয়ে যাবে?

    শেষপাতেঃ

    বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো বসে নেই। বিশেষ করে যেখানে একের পর এক নির্বাচন। উত্তরাখণ্ডে রিটায়ার্ড জাস্টিস রঞ্জনা দেশাইকে অধ্যক্ষ করে রাজ্য ল’ কমিশন কাজ শুরু করে দিয়েছে। হিমাচলের বিজেপি সরকার দু’মাস আগে বলেছিল – নির্বাচনে জিতলে ওরা রাজ্যে ইউসিসি চালু করবে। চিঁড়ে ভেজে নি। গুজরাতে মহারাস্ট্রে মধ্যপ্রদেশে এবং গুজরাতে শোনা যাচ্ছে ইউসিসি নিয়ে কমিটির কথা এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণেরও।

    কিন্তু সুপ্রীম কোর্টের প্রখ্যাত অ্যাডভোকেট সঞ্জয় হেগড়ে বলছেন — ভিন্ন রাজ্যের ভিন্ন সংস্কৃতি। তাহলে তো কোন প্রথা, ধরুণ বিয়ে এক রাজ্যে বৈধ হবে তো অন্য রাজ্যে অবৈধ। কিন্তু এটি তো গোটা দেশের জন্যে ‘ইউনিফর্ম’ হওয়ার কথা।

    নিন্দুকে বলছে — আরে এগুলো ইলেকশনের আগে জিগির তোলা। হবে সেই মার্চে কেন্দ্রীয় ল’ কমিশনের রিপোর্ট এলে।

    দিন গুণছি।

    =======================================================================
    [1] ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬।
    [2]  সুপ্রীম কোর্ট,অরুণাচল গৌন্ডার বনাম পন্নুস্বামী, জানুয়ারি ২০২২।
    [3]  দি স্টেটস্‌ম্যান, ১৬ অগাস্ট, ২০১৯।  
    [4]  দি হিন্দু, ১৬ অগাস্ট, ২০১৯।
    [5] ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ২ এপ্রিল, ২০২২।
    [6] হিন্দুস্থান টাইমস্‌ ২৪ জুলাই, ২০২১।
    [7] টাইমস অফ ইন্ডিয়া, ৯ জুন, ২০২২।
    [8] ঐ, ৯ ডিসেম্বর, ২০২২।
    [9]  টাইমস্‌ অফ ইণ্ডিয়া, ৬ মে, ২০২২।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ | ৫৯০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • BJPManifesto2019 | 178.218.144.99 | ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:১৬514546
  • Uniform Civil Code
    Aicle 44 of the Constitution of India lists Uniform Civil Code as one of the Directive Principles of State Policy. BJP believes that there cannot be gender equality till such time India adopts a Uniform Civil Code, which protects the rights of all women, and the BJP reiterates its stand to dra a Uniform Civil Code, drawing upon the best traditions and harmonizing them with the modern times.
  • Ranjan Roy | ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:৩৯514552
  • এটা জানা ছিল না। 
    লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে ইউনিফর্ম সিভিল কোড? দারুণ।
     
    কিন্তু আমার দুইটা কথা ছিল। 
    এক, যেমন মুম্বাইয়ের হাজি আলি দরগায় ওদের ট্র্যাডিশন অনুযায়ী মেয়েদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু লিঙ্গ বৈষম্যের গ্রাউন্ডে আদালত এই প্রথা তুলে দিতে বলায় আপনারা খুব খুশি হলেন, আমিও হলাম। ওরা মেয়েদের ঢুকতে দিল, কিন্তু আলাদা লাইন এবং মাঝে পার্টিশন বানিয়ে।
    কিন্তু কেরলের শবরীমালা মন্দিরে মেয়েদের প্রবেশের পক্ষে যেই সুপ্রীম কোর্ট রায় দিল, আমি খুশি হলাম। ভাবলাম আপনারা হবেন, কিন্ত ও বাবা!
    ট্র্যাডিশনের দোহাই দিয়ে আপনারা পথে নামলেন, উগ্র ভীড় মেয়েদের মন্দিরে ঢুকতে দিল না। কিছু হামলা হল।
    আমার প্রশ্ন বৈষম্যের প্রশ্নে আমরা-ওরা নিয়ে। 
    কাজেই ট্র্যাডিশনের বেস্ট প্র্যাকটিসের কথা বলছেন কিন্তু স্পষ্ট করুন -- কোন ট্র্যাডিশন? হিন্দু না মুসলিম? 
    দুই, এখন জেন্ডার খালি দুটো নয়, তিনটে।
    থার্ড জেন্ডার নিয়ে আপনাদের কোন বক্তব্য আছে?
  • Amit | 121.200.237.26 | ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১১:১২514554
  • হিন্দু মুসলিম ইত্যাদি ট্রাডিশন এর মধ্যে যাচ্ছি না। এক্কেরে সিম্পল কটা কোশ্নো: 
     
    ১। মিনিমাম বিয়ের বয়স ধর্ম কর্ম নির্বিশেষে (ছেলে মেয়ে বা তৃতীয় লিঙ্গ যাই হোক ) ১৮ বা ২১ আইন করা হলে সেটা নিয়ে আপনার কি স্ট্যান্ড ? আইন মানা হোচ্ছে কিনা সেটা একদম আলাদা কথা। সেটার মধ্যে ঢোকার দরকার নেই। সেকশন -৪৯৮ এসে যেমন পণ এর অত্যাচার বন্ধ হয়নি। কমেছে কিনা টু বি ভেরিফাইড। 
     
    ২। সিমিলারলি ধর্ম নির্বিশেষেএকের বেশি বিয়ে অপরাধ ঘোষণা হলে সেটা নিয়ে কি স্ট্যান্ড ? এগেন আইন মানা হবে কি হবেনা সেটা আলাদা কথা। 
     
    ৩। এখন হিন্দু দের ক্ষেত্রেও একের বেশি বিয়ে হলে প্রথম স্ত্রী অভিযোগ করলে তখনই  মামলা করা যায়- পুলিশ নিজের থেকে তদন্ত করতে পারেনা-যেমন ধর্মেন্দ্র হেমা। সেটার বদলে আইন এনে পুলিশ কে সুয়ো মোটু অভিযোগ করার ক্ষমতা দেওয়া হলে সেক্ষেত্রে কি স্ট্যান্ড ? 
     
    ৪। ইন্ডিয়ার জন্যে কারেন্ট ১৫০ কোটি জনসংখ্যা কি সাস্টেনেবল ফর নেক্সট ৫০-১০০ বছর ? যদি ধরেও নেওয়া যায় এভারেজ ফার্টিলিটি রেট রিপ্লেসমেন্ট রেশিও তে পৌঁছে গেছে এবং জনসংখ্যা আর বাড়বেই  না (যদিও এই বছরেই হয়তো চীনকে  ছাড়াবে) , ইন্ডিয়ার কি ওয়াটার বা এনার্জি বা ল্যান্ড বা অন্য সব রিসোর্স এভেলেবল আছে এই লেভেলের পপুলেশন কে নেক্সট ৫০ বছর একভাবে সাস্টেন করার ? এবং / অথবা ইমপ্রুভ করার ?
  • Ranjan Roy | ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১১:৪১514555
  • 1 এবং 2 এর ক্ষেত্রে অবশ্যই yes.
    বহু বিবাহ বন্ধ হোক। 
    আমি ছেলে মেয়ে সবার বিয়ের বয়স ২১ করার পক্ষের। 
    Why only boys have  all the fun?
    -- কিন্তু এর জন্যে UCC আনার কোন দরকার নেই।
    সংবিধানের gender equality মেনে সংশোধন করা যায়। যেমন দুটো ধর্মস্থানের ক্ষেত্রে হয়েছে।
    3. NO. 
    পুলিশকে মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে অনুপ্রবেশ এর suo moto অধিকার দেওয়া মানে খাল কেটে কুমির আনা।
    4. প্রশ্নটা অবাস্তব। ৫০ থেকে ১০০ বছর পরে?
    তখন technogical advancement এর লেভেল?
    তবু  বলব ভারতের arable land এবং অন্য ন্যাচারাল resource চিনের তুলনায় অনেক বেশি। 
    কাজেই sustainable হবে মনে হয়। 
  • Amit | 121.200.237.26 | ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:১০514556
  • ৩। সেক্ষেত্রে ১৯৫৬ এর পলিগ্যামি এক্ট রাখার দরকার কোথায় ? 
  • Ranjan Roy | ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:৩৫514558
  • 2  নাম্বারে উত্তরটা দেখুন।  ২১ শতাব্দীতে  বহুবিবাহ  চলে না। তার জন্যে আলাদা আইন করা যায়। UCC অপ্রয়োজনীয়।
    কিন্তু পুলিশ কে suo moto পাওয়ার? নেভার।
  • Amit | 121.200.237.26 | ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:৩৭514559
  • UCC র প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ডিটেলস এ আসছিনা এখনো, কিন্তু ১৯৫৬ পলিগ্যামি এক্ট টা যে সংশোধন দরকার সেটা নিয়ে তাহলে একমত? 
  • S | 185.220.100.251 | ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:৫৪514561
  • এই টইতে একটা কমেন্ট করেছিলাম। কত্তিপক্ষো দেখছি দায়িত্ব নিয়ে সেটা উড়িয়ে দিয়েছে। winkyes
  • Ranjan Roy | ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:৩৩514562
  • অমিত
    আপনার কি  সন্দেহ আছে? আমার উত্তর হ্যাঁ। এটা নিয়ে তিনবার হল।
    আর এই লেখা তো common civil code নিয়ে, সেই বিষয়টা ছেড়ে আমার ব্যাক্তিগত মতামত নিয়ে জেরা কেন?

    S,
    এটা আগে toi তে ছিল। এডমিন ওটা হরিদাস পাল sub head এ  ট্রান্সফার করেছে। তাতে কোন  টেকনিক্যাল ভুলে হয়তো আপনার কমেন্ট উঠে গেছে।
    আমি চাই ওটা আবার ফিরিয়ে আনা হোক।
    ওতে মুছে দেবার মত আপত্তিকর কিছু ছিল না তো।
  • Amit | 118.208.211.74 | ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৪৯514563
  • এটা জাস্ট একটা পয়েন্ট তুললাম। ইউনিফর্ম সিভিল কোডের ফাইনাল ফর্ম কি দাঁড়াবে সেটা কি কেউ জানে এখন? যতক্ষণ বিল সামনে ​​​​​​​আসছে ​​​​​​​সবই ​​​​​​​তো গেসওয়ার্ক। 
     
    ৫। মিক্সড রিলিজিওন ম্যারেজ এর ক্ষেত্রে ইনহেরিটেন্স বা ডিভোর্স সেটেলমেন্ট কিভাবে ঠিক করা হয় এখন? সেগুলোর ক্ষেত্রে কি ইউনিফর্ম একটা আইন থাকা জরুরি নয়? যাতে ধর্মীয় আইনের ফাঁক গলে কেও তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত নাহয়? 
     
    ৬। বহুবিবাহ বা পার্টনার কে না জানিয়ে অন্য জায়গায় বিয়ে ঠেকানোর জন্যে প্রতিটা বিয়ের রেজিস্ট্রি করা আধার কার্ড এর ডিটেল্স দিয়ে কি ম্যান্ডেটরি হওয়া আর সেন্ট্রাল ডাটাবেস থাকা উচিত নয়? এটা নিয়ে মুসলিম ল বোর্ড আপত্তি তুলেছে কারণ ওনাদের মতে অলরেডি কাজী র নিকাহনামায় সেটা রেকর্ড করা থাকে। সেসবে র কি সেন্ট্রাল ডাটাবেস থাকে? একজন বিহারে একটা বিয়ে করে কালকে কেরালায় আর একটা বিয়ে করতে গেলে কারেন্ট সিস্টেম কি করে ঠেকাবে?
     
    ৭।  কারেন্ট ইসলামিক ম্যারেজ আইন মেয়েদের ১৫ বছরে বিয়ে র অনুমতি দেয়। সুতরাং সবার জন্যে ২১ আইন হলে আশা করি সেটাও মডিফাই করতে ল বোর্ডের কোনো আপত্তি থাকবে না? খুব শান্তিপূর্ণ ভাবে মেনে নেওয়া হবে? 
     
    ওপরে বহুবিবাহ নিয়ে সুও মোটু কেস নিয়ে আপনার আপত্তি ও আদৌ বোধগম্য হলনা। আপনার বক্তব্য টা ঠিক কি? যদি পার্টনার দের রেকর্ডেড আপত্তি না থাকে পলিগ্যামি তে তাহলে সেটা অপরাধ নয়? আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার নেই? তাহলে একটা গুন্ডা তার ফার্স্ট বৌকে প্রাণের ভয় দেখিয়ে সম্মতি আদায় করে আরো বিয়ে করতে পারে? প্রাণের ভয়ে প্রথম স্ত্রী কোনোদিন অভিযোগ করবে না। সূতরাং অল ইজ ওয়েল? 
  • গুরুর রোবট ১৭ | 192.139.20.199 | ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:৪৩514566
  • এই লেখা থেকে কোন কমেন্ট ওড়ানো হয়নি।
  • Ranjan Roy | ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:৫৪514568
  • 5 বিয়ে যদি ধার্মিক নিয়মে না হয় তাহলে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট হবে। তার ডিভোর্স পাওনা ইত্যাদির আইন আছে তো!
     
    6 এবং 7
    ল বোর্ডের কিসে আপত্তি হবে সেটা ল বোর্ডের উকিল জিয়াকে ভাল হয়।
    শান্তিপূর্ণ?
    বাবরি মসজিদ রায়, তিন তালাক রায়, হাজি আলী রায়, হিজাব রায়ে কতটুকু অশান্তি হয়েছে?
    আর শবরীমালা মন্দিরে মেয়েদের প্রবেশের রায় বেরোনোর পর?
    বিয়ে ডিভোর্স ইত্যাদি সিভিল কোড, এতে পুলিশের suo moto পাওয়ার এর কথা আসে কেন?
    নাম ভাঁড়িয়ে বা আগের বিয়ের খবর লুকিয়ে অন্য শহর  বা রাজ্যে বিয়ের ঘটনা চিটিং এবং মিসরিপ্রেজেন্টেশনর অপরাধের আওতায় পড়ে। এর জন্য  ক্রিমিনাল ল আছে।
    এধরনের ঘটনা একাধিক সম্প্রদায়ের লোক ঘটিয়েছে।
     
    গুন্ডার জোর করে বিয়ের করা?
    আইন আছে তো। ধর্ষণ অপহরণ অনুপ্রবেশ ইত্যাদি।
     
    আমার আর কিছুই বলার নেই। 
  • Ranjan Roy | ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:৫৯514569
  • টাইপো।
    জিয়াকে নয়, হবে-- মুসলিম ল বোর্ডের উকিলকে জিগাইলে ভাল হয়।
  • r2h | 192.139.20.199 | ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:০৬514570
  • বিটিডাব্লিউ এই লেখাটার জন্যে রঞ্জনদাকে থ্যাংকিউ। এটা একটা গুরুতর ব্যাপার কিন্তু তেমন কোন লেখাপত্র চোখে পড়েনি।

    আমি অবশ্য এখনও পড়িনি, সময় নিয়ে পড়বো।
  • Amit | 121.200.237.26 | ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ০৩:৩২514576
  • আপনিই বিতর্ক চেয়েছেন। তাই অমিও প্রশ্ন করছি। একই সাবজেক্ট ​​​​​​​এর ​​​​​​​আলাদা ​​​​​​​আলাদা ভিউ ​​​​​​​পয়েন্ট ​​​​​​​থাকতেই ​​​​​​​পারে। 
     
    সবরীমালা রায়ের কথা তুলেছেন বেশ কয়েকবার। হ্যা যে অশান্তি হয়েছে সেটা নিশ্চয় লজ্জার। দুনিয়া জুড়ে হাজারটা নুইসেন্স হয়ে চলেছে। সব কি কন্ট্রোল করা যাচ্ছে বা যাবে? যাদের যেখানে প্রতাপ বেশি তারা সেখানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কি আর করা যাবে? জালিকাটু নিয়ে তামিলরা অশান্তি করেছে, সবরীমালা নিয়ে মালায়ালীরা, বেলগাওন নিয়ে কর্ণাটক মহা, বোরখা নিয়ে ইরান/তালিবান, ঘুষ খাওয়া নিয়ে তিনোমূলীরা - সব কি আটকানো গেছে? আটকাতে গেলেও তো আবার আম্রিগার কালো হাত ইত্যাদি নিয়ে হ্যাজ নেমে যায়। সেসব থাক। জাস্ট টপিক এ থাকা যাক। 
     
    আর ​​​​​​​কোথাও ​​​​​​​নাম ​​​​​​​ভাঁড়িয়ে ​​​​​​​একধিক ​​​​​​​বিয়ের ক্ষেত্রে ​​​​​​​কোনো ​​​​​​​সম্প্রদায়ের ​​​​​​​কথা ​​​​​​​আলাদা ​​​​​​​করে ​​​​​​​বলা ​​​​​​​হয়েছে ​​​​​​​কি? নিশ্চয় সব সম্প্রদায় এর মধ্যে এসব আছে। কিন্তু ​​​​​​​সেগুলো ​​​​​​​কিছুটা হলেও যদি ঠেকানো যায় -​​​​​​​​​​​​​​ ম্যারেজ রেজিস্ট্রি ম্যান্ডেটরি আর সেন্ট্রালাইজড ডাটাবেস করা ​​​​​​​হলে ​​​​​​​আপত্তি ​​​​​​​কোথায়? বা ​​​​​​​কেন? ক্রিমিনাল ​​​​​​​ল আছে ​​​​​​​নিশ্চয়। ​​​​​​​কিন্তু ​​​​​​​কোন অবজেক্টিভ​​​​টা প্রায়োরিটি? ক্রাইম ​​​​​​​ডিটেরেন্স ইম্প্রুভ করা ​​​​​​​নাকি ​​​​​​​ক্রাইম ​​​​​​​হলে ​​​​​​​তারপর সেটার ​​​​​​​পানিশমেন্ট?
     
    আর ​​​​​​​ইন্ডিয়াতে ​​​​​​​মামলা ​​​​​​​করতে ম্যাংগো ​​​​​​​লোকের ​​​​​​​খুব ​​​​​​​উৎসাহ ​​​​​​​থাকার ​​​​​​​কথা ​​​​​​​কি? বেচে থাকতে মামলার নিস্পত্তি হয়েছে এমন তো বেশি দেখা যায় না। 
     
    তিন তালাক রায় নিয়ে মনে হয় আগে অন্য একটা টইতে ও কোশ্নো তুলেছিলাম - উত্তর পাই নি। ইউপির রামপুরে ৫০% এর বেশি মুসলিম পপুলেশন। সেখানে রিসেন্টলি বিজেপির আকাশ সাক্সেনা জিতলো কি করে? রিগিং-এর অভিযোগ তুললে তো ওয়েস্টবেঙ্গল সরকারকে আগে ফেলে দিতে হয়? পব র মতো রিগিং বোমাবাজি অন্য কোনো স্টেট্ ইলেকশন এ হয় কি? 
     
    আর এটাও বলার যে তিন তালাক আইন আসার আগে সদ্য জেল নিবাসী পাত্থ চাটুজ্জে কলকাতায় বেশ কয়েকটা তিন তালাক সমর্থন সভায় গরম গরম বক্তব্য রেখেছিলেন বটে - "আমার বৌকে আমি ঘরে রাখবো না বের করে দেব সেটা আমিই ঠিক করবো। তুমি কে হে ?" - হায়। লোকের সময় যে কিভাবে পাল্টে যায়। 
     
    যাকগে - এগুলো অফ টপিক। 
     
    গুন্ডার জোর করে বিয়ের করা - আমার প্রশ্নটাই মনে হয় ঠিক বোঝাতে পারি নি। আর এটা কোনো সম্প্রদায়কে টার্গেট করেও লেখা নয় - যদিও সেটা বিশ্বাস করা না করায় কিছু আসে যায় না। ১৯৫৬ পলিগ্যামি আইন অনুসারে নন-মুসলিম কেউ মাল্টিপল ম্যারেজ করলে প্রথম স্ত্রী যদি অভিযোগ না করেন সেক্ষেত্রে আইন কোনো অ্যাকশন নিতে পারে না। আমার প্রশ্ন হলো এটার মিসইউস ঠেকানো যাবে কিভাবে? কোনো গুন্ডা তার প্রথম স্ত্রী কে প্রাণের ভয় দেখালে সে অভিযোগ করবে না। তো সেক্ষেত্রে আইনের হাত গুটিয়ে থাকা উচিত আপনার মতে? 
     
    একই ভাবে মুসলিম ম্যারেজ-ল তে সেকেন্ড ম্যারেজ করতে গেলে প্রথম স্ত্রী এর অনুমতি দরকার। ওপরের সিমিলার কেস এও আইনের হাত গুটিয়ে থাকা উচিত তো? 
     
    ইউনিফর্ম ​​​​​​​সিভিল ​​​​​​​কোড ​​​​​​​মানেই ​​​​​​​যে ​​​​​​​সেটা ​​​​​​​হিন্দু ​​​​​​​সিভিল ​​​​​​​কোড ​​​​​​​দাঁড়াবে ​​​​​​​এবং ​​​​​​​বাকিদের ​​​​​​​ওপর ​​​​​​​জোর ​​​​​​​করে ​​​​​​​চাপানো ​​​​​​​হবে - এই ​​​​​​​ধারণার বেসিক ​​​​​​​ভিত্তিটা ​​​​​​​কি? কোনো ​​​​​​​ড্রাফট ​​​​​​​কি ​​​​​​​দেখা ​​​​​​​হয়েছে?
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:d3cb:96a4:4c70:fbc7 | ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ০৫:৩৯514577
  • বহুবিবাহ বা গ্রূপ ম্যারেজ বন্ধ করা কেন রে ভাই? প্রাপ্তবয়স্করা স্বাধীন ইচ্ছায় সেরকম বিবাহ চুক্তি করলে অসুবিধা কোথায়?
  • Amit | 121.200.237.26 | ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ০৫:৪৮514578
  • কোনো অসুবিধা নেই। তারা বিয়ে করুক বা লিভ টুগেদার করুক অন্য কারোর কিছু বলার নেই। এডাল্ট যে ​​​​​​​কেউ ​​​​​​​নিজের ​​​​​​​মত ​​​​​​​জীবন ​​​​​​​কাটাক​​​​​​​, কিন্তু অন্যের ​​​​​​​অসুবিধা ​​​​​​​না ​​​​​​​করে ​​​​​​​এটাই সভ্য ​​​​​​​দেশের ​​​​​​​আইন। ​​​​​​​
     
    কিন্তু তারা সবাই যে নিজেদের স্বাধীন ইচ্ছায় সেটা করছে এবং নট আন্ডার ডিউরেস - তার প্রুফ দেখানোর দরকার আছে না নেই? কালকে ইনহেরিটেন্স বা প্রপার্টি নিয়ে মামলা হলে সেক্ষেত্রে সমাধান কি? 
     
    কারেন্ট আইনে তে আছে - দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে স্ত্রী সম্পত্তির অধিকার নাও পেতে পারে, কিন্তু দ্বিতীয় বিয়ের সন্তানরা এনটাইটেলড। অদ্ভুত আইন সব। যেখানে দ্বিতীয় বিয়ের প্রেমাইস টাই ইললিগাল এস পার ১৯৫৬ এক্ট, সেখানে সন্তানদের অধিকার আসে কোথা থেকে? এসব আজব সব জটিলতা এড়ানোর দরকার আছে কি না? 
  • Amit | 121.200.237.26 | ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ০৫:৫৭514579
  • ওপরেরটা মেনলি বিয়ে নিয়েই বলা। লিভ টুগেদার ইত্যাদি তে কোনো ইনহেরিটেন্স ল এখনো এপ্লিকেবল নয় মনে হয়। হয়তো ফিউচার এ হতে পারে। কিন্তু ওগুলো নিয়ে কোনো বক্তব্য নেই। 
  • Ranjan Roy | ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:৩৮514580
  • কোন গুন্ডা পুরুষ, যে কোন ধর্মের, যদি তার প্রথম স্ত্রীর আপত্তি সত্ত্বেও, দ্বিতীয় কোন নারীর সঙ্গে বিয়ে বা লিভ টুগেদার করে, এবং বৈধ স্ত্রী ভয়ে সিঁটিয়ে থাকেন, তাহলে পুলিশ suo moto অ্যাকশন নেবার ক্ষমতা পেয়ে ঘরে কড়া নেড়ে জিজ্ঞেস করলে মহিলা গড়গড়িয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন?
    - এটাই আপনার প্রেমিস?
    সহমত নই।
    উল্টে পুলিশ ঘরে ঘরে নানান অজুহাতে ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলাবে, পয়সা চাইবে।
     
    আর পলিগেমি তুলতে হিন্দু ল এর মত অন্য ল তো সংস্কার করা যায়।
     
    এবার আমি একটা স্পেসিফিক প্রশ্ন করি?
    -- বর্তমান প্রজন্মের মুসলিমদের মধ্যে কয়জনের একাধিক স্ত্রী দেখেছেন?
    আপনার চারপাশের পরিচিত মুসলিমদের দিকে তাকিয়ে বলুন। 
    আমি একটাও দেখি নি।
  • Amit | 118.208.211.74 | ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:৫৮514582
  • আমিও দেখিনি। উল্টে সাউথ এ হিন্দুদের মধ্যে পলিগ্যামি দেখেছি। কিন্তু পুলিশ অপব্যবহার করবে যদি এই যুক্তিতে আইন আনা নাহয় তাহলে তো সেকশন ৪৯৮ বা সেকশন ৩৭৬ কোনোটারই দরকার নেই। এই সবকটারই মিসইউস করা যায় এবং করা হয়। তাহলে কি ওগুলো তুলে দিতে বলেন?
     
    তাহলে বহুবিবাহের এগেনস্ট এ এন্ড এবং বিয়ের বয়স ধর্ম কর্ম বা লিঙ্গ নির্বিশেষে ১৮ বা ২১ করার জন্যে এন্ড বিয়ের রেজিস্ট্রি ম্যান্ডেটরি করার জন্যে সব আলাদা আলাদা আইন হলে কারোর আপত্তি নেই তো? জাস্ট সেসবকে ইউনিফর্ম সিভিল কোড না বললেই তো হলো?
  • Ranjan Roy | ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:০৩514583
  • কোন প্রাপ্তবয়স্ক লোক, পুরুষ  বা নারী, যা করছে সেটা বাস্তবে নিজের ইচ্ছায় করছে, নাকি কেউ করিয়ে নিচ্ছেন---- সেটা কী করে বোঝা যাবে?
    কোন আইন বা পুলিশ  এর গ্যারান্টি দিতে পারে?
     
    এই যে আমি আর আপনি  এই মায়াপাতায় তর্ক করছি, এসব নিজের ইচ্ছেয় বলছি, নাকি কেউ পেছন থেকে বলাচ্ছে --- সেটা কী করে বোঝা যাবে?
    Volition is presumed if not proved otherwise. 
  • Amit | 118.208.211.74 | ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:১১514584
  • না কোনো গ্যারান্টি নেই। আমি মালভ্যর থেকে টাকা খেয়ে লিখছি কিনা বা আপনি ওআইসির থেকে খেয়ে লিকছেন কিনা জানার কোনো উপায় নেই। কিন্তু ওটা অন্য টপিক। 
     
    আমার প্রশ্ন হলো পলিগ্যামি আইনের মিসিইউস হবে এই ভেবে আইন যদি না আনার কথা বলা হলে সেতো অন্য অনেক আইনের ক্ষেত্রেও খাটে। সেগুলো ও তাহলে তোলা হোক ? এক যাত্রায় পৃথক ফল কেন ?
  • Ranjan Roy | ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:২৭514587
  • এবার ঘেঁটে ঘ করেছেন। 
    নীতিগত আইন করা (substantive  law) এবং পুলিশ এর হাতে suo moto ক্ষমতা দেওয়া (procedural law) এর মধ্যে গুলিয়ে ফেলেছেন।
    খেয়াল করুন, section 498 এবং section 376, দুটোই substantive law ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের ধারা। এবং এর কোনটাতেই পুলিশকে suo moto ক্ষমতা দেওয়া হয় নি.
     
    আর in practice, যে জিনিসটা আপনারও চোখে পড়ছে না (বহু বিবাহ) সেটা নিয়ে এত হায় তওবা কেন?
    কাজ বা সমস্যা কিছু কম  পড়িয়াছে?
     
    এবং, জেন্ডার বা অন্য মানবিক ইস্যুত সমস্ত আইনের সংশোধন সম্ভব। 
    হিন্দু মেয়েদের সম্পত্তির অধিকার, মুখের কথায় তিন তালাক বাতিল এবং মন্দির ও দরগায় প্রবেশ অধিকার -- এগুলো তার প্রমাণ। 
  • Amit | 121.200.237.26 | ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:৩৭514588
  • সেতো তিন তালাক আইন পাসের  সময়েও অনেকের যুক্তি এসেছিলো সেসব নাকি বিশেষ চোখেই পড়ে না। ওসব আইন এই দরকার ই নেই। তারপর বিজেপি কেন রামপুরে জিতলো তার উত্তর পেলুম না। 
     
    হ্যা - substantive  law & procedural law প্রয়োগ নিয়ে আমার বেশি জানা নেই। কিন্তু নির্ভয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ নিজের থেকে মামলা রুজু করেছিল। সেকশন ৪৯৮ এর ক্ষেত্রেও দেখেছি প্রতিবেশীর কমপ্লেন এর ভিত্তিতে পুলিশ এসে শশুড়বাড়িতে ঢুকে এরেস্ট করেছে। সেক্ষেত্রে কিভাবে ব্যাখ্যা করা যায়? 
     
    যদি ২১ শতাব্দীতে বহুবিবাহ চলে না সেটা ইন প্রিন্সিপাল মেনেই নেওয়া হচ্ছে, সেক্ষেত্রে ১৯৫৬ এর আইন সংশোধন করে ইউনিফর্ম পলিগ্যামি এক্ট আনলে সমস্যা কোথায়? 
  • Ranjan Roy | ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:০৩514589
  • নীতিগত যে আইন, সিভিল বা ক্রিমিনাল, যাতে বলা হয় যে অমুকটা ভুল তমুকটা ঠিক, এই ভুল করলে অত ফাইন দিতে হবে বা অত বছর জেল হবে --- সেটি substantive law । 
    উদাহরণ: ইন্ডিয়ান সিভিল কোড (contract act, transfer of property act. Taxation ইত্যাদি) এবং ইন্ডিয়ান পেনাল কোড (চুরি, ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ ইত্যাদি)।
    আর ওই আইন প্রয়োগ করতে রাষ্ট্রের কোন বিভাগকে কী কী ক্ষমতা দেওয়া হবে -- যেমন অত টাকার মামলার শুনানি কোন আদালতে  হবে, আপিল কে শুনবে, তমুক অপরাধে গ্রেফতার কে করবে, সার্চ করার অধিকার জিজ্ঞাসাবাদ করার অধিকার, জামিন দেওয়ার অধিকার ---- এগুলি হল  procedural law।
    উদাহরণ, সিভিল প্রসিডিওর কোড (CPC) এবং ক্রিমিনাল  প্রসিডিওর কোড (Cr PC)।
    Cr PC তে পুলিশকে অনেক ক্ষেত্রেই Suo moto action নেবার ক্ষমতা দেওয়া রয়েছে।
    যেমন কোথাও কোন অপরাধ ঘটিত হয়েছে বা সম্ভাবনা আছে মনে হলে।
    ডেড বডি, মারপিট, সন্দেহজনক চলাফেরা বা জমায়েত ইত্যাদি। 
    আপনার নির্ভয়া এবং অন্য উদাহরণ সব এর মধ্যেই পড়ে।
    অপরাধ হলে বা তার সম্ভাবনা দেখলে তবেই পুলিশের ভূমিকা, সিভিল কেসে নয়।
    আমি আপনাকে বাড়িভাড়া না দিলে ওটা সিভিল কেস। পুলিশের কিছুই করার নেই।
    শেষ উদাহরণ মানহানির। 
    একই ঘটনার সিভিল ক্রিমিনাল দুরকম কেসই  হতে পারে। ক্রিমিনাল কেসে পুলিশ ধরবে, সিভিল এ নয়।
  • Ranjan Roy | ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:২২514590
  • এবার অন্য কথা।
    1)  কোন বিষয়ে পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি তর্ক বিতর্ক আসা তো ভাল কথা। সে তো গণতন্ত্রের স্বাস্থ্যের লক্ষণ। 
    রাম মন্দির হোক বা তিন তালাক।
    এতে আপনার উদ্ধার কারণ?
    2) মুসলিম বহুল রামপুরে কেন বিজেপি জিতল। আর হিন্দুবহুল হিমাচল কেন হারল -- এর উত্তর  আমার জানা নেই।
     কিন্ত বর্তমান টপিকের সঙ্গে এর সম্পর্ক?
    3) আর আমার আগের প্রশ্নের উত্তর?
    -- কী করে বোঝা যাবে যে আমি এবং আপনি এখানে যা বলছি তা নিজের ইচ্ছার প্রকাশ, অন্য কেউ চাপ দিয়ে বলাচ্ছে না?
    হ্যায় কোই গ্যারান্টি?
  • Amit | 118.208.211.74 | ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:৩৬514591
  • ১। আলোচনাই তো হচ্ছে। উষ্মা কোথায় দেখলেন? আমার মতে ধর্মীয় আইনের ওপরে দেশের আইন থাকা উচিত এবং সবার জন্যে এক আইন। আপনার অন্য মত থাকতেই পারে। 
     
    ২। কারণ আমার ​​​​​​​ধারণা ​​​​​​​মুসলিম ​​​​​​​মহিলাদের ​​​​​​​একটা ​​​​​​​বড়ো ​​​​​​​অংশের ​​​​​​​সমর্থন ​​​​​​​বিজেপি ​​​​​​​র ​​​​​​​সাথে ​​​​​​​গেছে পোস্ট ​​​​​​​তিন ​​​​​​​তালাক ​​​​​​​আইন। ​​​​​​​নাহলে ওই ​​​​​​​সিটে ​​​​​​​ওদের ​​​​​​​জেতা ​​​​​​​অংকের ​​​​​​​হিসেবে ​​​​​​​কঠিন। ​​​​​​​সুতরাং ​​​​​​​যারা ​​​​​​​তিন ​​​​​​​তালাক ​​​​​​​এর ​​​​​​​আইনের ​​​​​​​বিরুদ্ধে ​​​​​​​বলছিলেন এখন ​​​​​​​তারা ​​​​​​​ঢোক ​​​​​​​গিলছেন। 
     
    ৩ নম্বরের উত্তর তো ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:১১ অলরেডি দেওয়া হয়ে গেছে। 
  • Ranjan Roy | ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:৪৭514595
  • ঠিক বলেছেন। আমার দেখতে  ভুল হয়েছে।
    তাহলে আমাদের কারও আর নতুন কিছু বলার নেই।
    আর রামপুর ইলেকশন এ মুসলিম মেয়েরা দলে দলে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে ভেবে খুশি হতে চান। সেটা হতেই পারেন।
    তবে রামপুর এ ৭০% মুসলিম ভোটার, হিন্দু ৩০%।
    কিন্তু ভোট পড়েছে মাত্র ৩৩%!
    এবার ঘুমোতে গেলাম।
  • সিএস  | 103.99.156.98 | ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:০৭514596
  • ধুসস, রামপুরে তো মুসলমানদের ভোট দেওয়া আঁটকানো হয়েছে।

    এখানে তো অ্যানালিসিস আছেঃ

    https://indianexpress.com/article/political-pulse/rampur-low-polling-wide-gap-between-muslim-dominated-hindu-majority-booths-8315570/

    যে লোকটাকে ৯০টা কেস দিয়ে জেলে আঁটকে রেখে, তারপর সুপ্রীম কোর্টে গিয়ে জামিন পাওয়ার পরে, মোদীজীকে নিয়ে জনসভায় মন্তব্যর ভিত্তিতে হেট স্পীচের কেস দিয়ে এম এল এ পদ থেকে সরানো হয়, তার সীট তো যে কোন ভাবেই জিততে হবে। তো সেটাই করা হয়েছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন