এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • কাতার বিশ্বকাপ, ২০২২

    Muhammad Sadequzzaman Sharif লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ১৯ নভেম্বর ২০২২ | ৮৫২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • যে কারণেই হোক মানুষের কেন জানি অগাদ আস্থা ফিফার প্রতি। সকাল বিকাল আমরা আইসিসিকে গালিগালাজ করলেও কেন জানি ফিফাও দুই নাম্বারই করতে পারে এইটা আমাদের মাথায় আসে না। আমরা ধরেই নেই যে ফিফা অতান্ত সৎ ভাবে চলে, কোন দুর্নীতির আশেপাশে তারা নাই। সাধারণ চিন্তা অনেকটাই এমন।
    কিন্তু আমরা এখন জানি ফিফার দুর্নীতির কাছে সব শিশু। ফিফা নিজেকে প্রচণ্ড ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রের মত মনে করে। নিজের ইচ্ছা মত একনায়কতন্ত্র চালায়, কারো কোন টু টা শব্দ পর্যন্ত করার উপায় নাই।
    ফিফা যে শুধু মাত্র এখন এমন তা না। বহু আগে থেকেই চলে আসছে। কিন্তু ফুটবলের প্রচণ্ড আবেগের কাছে তা নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় নাই। দীর্ঘদিন এডিডাসের কাছ থেকে অবৈধ টাকা ঘুষ নিয়ে মার্কেটিঙের সমস্ত দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়েছিল এডিডাসকে। সেই ১৯৭৮ সাল থেকেই চলছিল। এরপরে যিনি দায়িত্ব নেন, স্লেপ ব্লাটার তিনি এই দুর্নীতির খবর দিয়েই ব্লাকমেইল করে ক্ষমতায় আসেন। সরাসরি আসা যায়নি। নির্বাচন ছিল। তৎকালীন উইফার প্রধান নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। তাকে এক প্রকার ঘোল খাইয়ে ক্ষমতায় আসেন ব্লাটার। কনকাকাফ আর আফ্রিকার ভোট গুলো রীতিমত টাকা দিয়ে কিনে নেন। আফ্রিকাকে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি প্রেসিডেন্ট হলে আফ্রিকায় বিশ্বকাপ নিয়ে যাবেন।

    প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে আফ্রিকায় বিশ্বকাপ নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা শুরু হয়। কিন্তু আফ্রিকায় কোথায়? মিশর? দক্ষিণ আফ্রিকা? কোথায়? ভোটে দক্ষিণ আফ্রিকা জিতে যায়। কিন্তু ভোট আসল কোথা থেকে? মাত্র ১০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ভোট বিক্রি করেন কনকাকাফের প্রেসিডেন্ট! আর এই ঘুষ লেনদেন হয় ফিফার মাধ্যমে!
    ২০২২ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব কাতারকে দেওয়ার পর থেকেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল যে ঠিক সঠিক তরিকায় কাতারকে আয়োজক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ২০২২ সালের বিশ্বকাপ আয়োজকের জন্য সেবার আগ্রহ দেখিয়েছিল ইংল্যান্ড, আমেরিকা। দুই দেশের রথী মহারথীরা হাজির ছিলেন অনুষ্ঠানে। আমেরিকা থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ছিলেন, মরগান ফ্রিম্যান ছিলেন। ইংল্যান্ড থেকে প্রিন্স উইলিয়াম, ডেভিড ব্যাকহাম উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সবাইকে অবাক করে নাম ঘোষণা করা হয় কাতারের! এখন সবাই জানে কত টাকার লেনদেন হয়েছিল। এরপরে রীতিমত মাফিয়া অপরাধীদের যেভাবে ধরা হয় তেমন করে ফিফার কর্মকর্তাদের ধরা হয়েছিল। নানা সময়ের দুর্নীতি নিয়ে বহিষ্কার হয়েছেন স্লেপ ব্লাটার।

    কাতার দায়িত্ব পাওয়ার পরে শুরু করে কর্মযজ্ঞ। এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি এই প্রথম শীতে আয়োজন করা হচ্ছে বিশ্বকাপের। কাতারের মত কট্টরপন্থী দেশ অনেক আইন কানুন পরিবর্তন করেছেন। এবং সেই সাথে যা করেছেন তা হচ্ছে মানবাধিকারের চরম ভাবে লঙ্ঘন। গার্ডিয়ান একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে যে গত বছরের হিসাব বাদেই দশ বছরে শ্রমিক মারা গেছে প্রায় সাত হাজার! ( ৬৭৫১ জন), এর মধ্যে বাংলাদেশিই আছে ১০১৮ জন। এবং এই মৃত্যুর কোন জবাবদিহির চেষ্টা করেনি কাতার কর্তৃপক্ষ। নানা সময়ে নানা রকমের বুঝ দেওয়ার চেষ্টা করেছে। বলেছে এগুলা স্বাভাবিক মৃত্যু। অন্যদিকে অ্যামিনেস্টি সহ আরও বেশ কিছু মানবাধিকার সংস্থা দাবী করছে মৃত্যুর সংখ্যা গার্ডিয়ান যা প্রকাশ করেছে তার প্রায় দ্বিগুণ! আয়োজনের পূর্বেই কাতারের হাতে নিরীহ শ্রমিকদের যে রক্তের দাগ লেগে গেছে তা আর কোনমতেই মুছা সম্ভব না। ফুটবল ইতিহাসে সব সময়েই কলঙ্ক হিসেবে চিহ্নিত হবে।

    কাতার শুধু যে শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে মিথ্যাচার করেছে তা না। তারা যারা ওই দেশে এখনও আছে তাদেরকে জোর করে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে। দূরে শরণার্থী শিবিরে গিয়ে থাকতে বাধ্য করছে। মজুরি দেয় নাই, ছুটি দেয় নাই। স্রেফ চলে যাও এখান থেকে! কেন? কারণ এই নোংরা, দক্ষিণ এশিয়া থেকে আগত শ্রমিকদের ইউরোপ আমেরিকার ঝকঝকে মানুষের সামনে আনা যাবে না। কারণ এতে কাতারের লক্ষ্য পূরণে সমস্যা হবে। সেখানে থাকবে শুধু টাকা পয়সার পসার সাজিয়ে যারা বসে থাকবে তারা। শ্রমিক তুমি দূরে যাও!
    ঘুষ দিয়ে আয়োজক হয়ে, স্টেডিয়াম তৈরি করে আবার ভেঙে ফেলে যে আয়োজন কাতার করতে চাচ্ছে তার কারণ কী? মানে এমন একটা কাণ্ড কেন করতে হল কাতারকে? যতদূর বুঝা গেছে তা হচ্ছে কাতার নিজেকে আরব আমিরাতের মত তৈরি করতে চায়। মানুষ কাতারে খেলা দেখতে যাবে, শান শওকত দেখবে। মুগ্ধ হয়ে এরপরে ছুটিতে যাবে, ব্যবসার আলোচনা করতে যাবে, ইত্যাদি! সেই স্বপ্ন পূরণে খেটে খাওয়া শ্রমিক বড্ড বেমানান। তাই হটাও শ্রমিক!

    কাতারের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন আগেও ছিল। তবে মানবাধিকার নিয়ে আসলে ফিফা চিন্তাই করে না। ১৯৭৮ সালে একনায়কতন্ত্র চলা অবস্থায় আর্জেন্টিনায় বিশ্বকাপ আয়োজন করে ফিফা। সেই সময় নানা জায়গা থেকে প্রতিবাদ করা হয়েছিল। ফিফা বলেছে খেলার সাথে রাজনীতি মেশানো যাবে না। তাই সামরিক জান্তার সাথে এক মঞ্চে বসে খেলা উপভোগ করেন ফিফা প্রেসিডেন্ট। আর স্টেডিয়াম থেকে কয়েকশ মিটার দূরে বন্দী শিবিরে হাজার হাজার আর্জেন্টাইন, যারা বিনা বিচারে, অমানুষিক অত্যাচার সহ্য করে বন্দী হয়ে আছে। ১৯৭৮ সালের ফুটবল বিশ্বকাপকে তুলনা করা হয় ১৯৩৬ সালের জার্মানি অলিম্পিকের সাথে, সেই অলিম্পিকে হিটলার মঞ্চে বসে অলিম্পিক উপভোগ করেছিল!

    ফুটবল উম্মাদনার কাছে সব কিছুই ভেসে যায়। খেলাই দেখা বাদ দিয়ে দিবে সবাই, এমনও বলার কোন যুক্তি নাই। কারণ আমি রক্তের বদলা হিসেবে খেলা দেখা বাদ দিলাম, তাতে কারো কিছুই যাবে আসবে না। বাতিল করতে চাইলে আরও আগে পুরো দুনিয়া জুড়ে যদি প্রবল আন্দোলন করা যেত তাহলে হয়ত সম্ভব হত। এখন বাতিলের কোন সুযোগ নাই। এখন এই আয়োজন ব্যর্থ মানে হচ্ছে অনেক মানুষের স্বপ্নের মৃত্যু। একেকটা খেলোয়াড় শৈশব থেকে স্বপ্ন দেখে বিশ্বকাপের মঞ্চে একদিন খেলবে। আমাদের এশিয়ার সংস্কৃতি থেকে ফুটবল উম্মাদনা বুঝা মুশকিল। ল্যাটিন আমেরিকা বা ইউরোপে যেভাবে ফুটবলকে আরাধনা করা হয় তা এক কথায় অবিশ্বাস্য। প্রজন্মের পরে প্রজন্ম বয়ে বেড়ায় ফুটবল ঐতিহ্য। ব্রাজিলের বস্তির ভিতরে হয়ত একজন বসে আছে যে বড় হলে একদিন ফুটবল বিশ্বকে মাতাবে। আর তাই অধীর হয়ে টেলিভিশনের সামনে বসে সে, এবারের খেলটা তার দেখা খুব দরকার! এমন করেই তৈরি হয় সেখানকার ফুটবলাররা।

    কাজেই এখন, রাত পোহালে যখন খেলা শুরু হয়ে যাবে তখন বিশ্বকাপ বাতিল করার মত কথা বলার যুক্তি নাই। আমার চাওয়া কী? খুব ছোট্ট চাওয়া। আমি চাই উম্মাদনায় ভেসে যাওয়ার সময় মনে রাখুন ওই ক্রংক্রিটের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য যা আমরা দেখছি তার প্রতি পরতে পরতে রক্ত লেগে আছে আমার দেশের ভাইদের। মানুষের রক্ত লেগে আছে, ঘাম মিশে আছে, যার ন্যায্য মূল্য দেয়নি অসভ্য কাতার সরকার। আমরা মনে রাখি শ্রমিকদের কথা, কাতার একটা রক্তচোষা দেশ, এইটা যেন আমরা মনে রাখি। ব্রাজিল আর্জেন্টিনা, জার্মান ফ্রান্স, বেলজিয়াম প্রেমে ভুলে যেন না যাই যে আমরা এই আয়োজনে হেরে যাওয়া দল। আমাদের ভাইদের হারিয়ে দিয়েছে জোর করে। রক্ত দিয়েও জিততে পারেনি তাঁরা।

     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৯ নভেম্বর ২০২২ | ৮৫২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • guru | 146.196.45.83 | ১৯ নভেম্বর ২০২২ ০৯:৪০513876
  • খুব ভালোই লিখেছেন সাদেক ভাই | কিন্তু আপনি একটি জিনিস দেখূন গাল্ফ দেশগুলোতে সস্তা শ্রমিক হিসেবে না গেলে উপমহাদেশের দেশগুলি ডলার পাবে কোথা থেকে ? শুধু বাংলাদেশের ১০১৮ জন নয় 2,711 জন ভারতীয় এবং সমগ্র উপমহাদেশের ৬৭৫১ জন শ্রমিক মারা গেছে |
     
    আপনি কাতার কে অভিযুক্ত করছেন কিন্তু আমার মনে হয় উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশের সরকারগুলির দায় অনেক বেশি এখানে | স্বাধীনতার এতো বছর পরেও এখনো উপমহাদেশের দেশগুলির অর্থনীতি, অভিবাসী সস্তা শ্রমিকের ঘাম রক্ত ঝরানো ডলার এর উপরে নির্ভরশীল | আপনি ঢাকার একটি সরকারের নাম বলতে পারবেন যে গাল্ফে শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করে দেবে ? দিল্লী ঢাকা কাঠমান্ডু কলম্বো ইসলামাবাদ কেউই এই ইসু নিয়ে কাতার কে কিছু বলবেনা | বলার ক্ষমতা নেই যেহেতু যদি কাতার সস্তা শ্রমিক আমদানি বন্ধ করে দেয় তাহলে এই দেশগুলোর মিগ্রান্ট লেবর নির্ভর ডলার অর্থনীতি বসে যাবে |
     
    শ্রমিকের মৃত্যু এইভাবে কাতারে হওয়া খুবই দুর্ভাগ্যজনক আপনি এটা তুলে ধরেছেন খুবই ভালো কথা কিন্তু এইখানে মূল দায় উপমহাদেশের যে যে দেশের সরকার তার নিজের দেশের গরিব মানুষকে পাচার করে ডলারের লোভে তার দায় অনেক বেশী বলেই আমি মনে করি | আপনার মতামতের অপেক্ষাতে রইলাম |
     
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ১৯ নভেম্বর ২০২২ ১৪:২৭513884
  • @ guru, আপনি চোরকে দায়ী না করে গৃহস্থ কেন দরজা খোলা রাখছে সেই কথা বলছেন! চোরের কোন দোষ নাই, সব দোষ দরজা খোলার রাখার।  আমাদের সরকারদের দায় তো আছেই। আমি অস্বীকার করব কীভাবে? প্রতিবাদ অবশ্যই করা উচিত। কিন্তু সেই দায় কোনমতেই কাতারের অন্যায়ের সম পর্যায়ের দায় হতে পারে না। আমাদের অর্থনীতি শ্রম বাজার নির্ভর। আমাদের উপায় নাই তাই আমাদের অর্থনীতি প্রবাসী শ্রমিকদের উপরে নির্ভরশীল। পিচ্চি একটা দেশে মানুষ উপচে পড়ছে, আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আমরা চাইলেও সবাইকে সুশিক্ষিত করে দেশের সম্পদ হিসেবে তৈরি করতে পারব না। এখন তাই যতদূর সম্ভব প্রশিক্ষণ দিয়ে শ্রমিক পাঠানো হয়।কিন্তু তাও যথেষ্ট না। আরও ভাল ভাবে প্রশিক্ষণ দিতে পারলে ভাল হত। আমরা গরিব দেশ, এই সুযোগে ধনী দেশেরা যদি এমন অবিচার অন্যায় করে তাহলে আমাদের আসলে মুশকিল। আমরা চাইলেই অনেক কিছু করতে পারব না। আমাদের এখানে এত মানুষ বিদেশ যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে আছে যে সরকারকে দোষ দেওয়ার উপায় নাই। আমাদের যে অর্থনীতি তাতে এক লক্ষ পাঁচশ সত্তর বর্গ মাইল এলাকায় আঠারো উনিশ কোটি মানুষকে সমস্ত সুযোগ সুবিধা দিয়ে ভাল ভাবে রাখা কঠিন, আমি বলব অসম্ভব। আমাদের এমন কোন প্রাকৃতিক সম্পদ নাই যে যার উপরে নির্ভর করব আমরা। আমাদের ভরসার জায়গাই গার্মেন্টস আর প্রবাসী শ্রমিক। মানুষও যেতে এক পায়ে রাজি, তাই সরকার যতখানি সম্ভব তাদেরকে সাহায্য করে। 
    যাই হোক, প্রতিবাদের বিকল্প না আমার কথা গুলো। প্রতিবাদ অবশ্যই হওয়া উচিত। 
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ১৯ নভেম্বর ২০২২ ১৫:০৪513885
  • *এক লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার পাঁচশ সত্তর বর্গ কিলোমিটার। 
  • guru | 146.196.44.121 | ১৯ নভেম্বর ২০২২ ২২:০৩513896
  • সাদেক ভাই দেখেন দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশেই আসলে সাধারণ মানুষকে মানুষ বলে গুরুত্ব দেওয়া হয়না | আপনার কাতার তো অনেক দূরের ব্যাপার | আপনি রানা প্লাজা ঘটনা কেই দেখেন | আজ পর্যন্ত এই অপরাধের কোনো বিচার নেই | রোহিঙ্গিয়া সমস্যা এর আরো বড়ো আরেকটি উদাহরণ | যেইভাবে ভাসানচর রোহিঙ্গিয়া নিয়ে প্রথম আলোর প্রতিবেদন দেখেছি মনে হয় সাধারণ মানুষকে উপমহাদেশের সরকারগুলি এখনো অবমানব ও সস্তা শ্রমের যন্ত্র হিসেবেই মনে করে | যতদিন রানা প্লাজা ও রোহিঙ্গিয়া জাতীয় ঘটনা ঘটে যাবে ততদিন আমাদের মতো দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের মুখ থাকবেনা কোনো এই কাতার জাতীয় দূরবর্তী ঘটনার বিচার করবার |
  • হীরেন সিংহরায় | ২১ নভেম্বর ২০২২ ১১:০৮513971
  • অসাধারন, সাদেক ভাই। এই কথাগুলি বলার ও শোনার প্রয়োজন আছে। কাতারের সংগে ফিফার পরিচালকদের দুর্নীতি ও ভাঁড়ামো অসহনীয় । দু দিন আগে জিয়ানি ইনফানতিনোর একঘন্টার ভাষণ সভ্য সমাজের  মাথা নীচু করে দিলো। তিনি বললেন তিনি সবার কষ্ট বোঝেন কেন না কখনো তিনি পরিযায়ী শ্রমিক কখনো আফ্রিকান কখনো গে । টাইমস পত্রিকার চিঠিতে লিখেছি এক সুন্দর খেলায় কেন এত কুৎসিত পরিচালকের সমাবেশ। 
    অনেক ধন্যবাদ লেখাটির জন্য 
  • Ranjan Roy | ২২ নভেম্বর ২০২২ ০৮:৪০514028
  • দরকারী লেখা. ভালো লাগলো. 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন