এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • বাপরে, টাটাকে তাড়াবে কে? 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ২০ অক্টোবর ২০২২ | ১৮৯১ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৯ জন)
  • ১৯২০-৩০ এর দশকে, বিড়লা বা ঠাকুরদাসরা যখন শ্যাম-রাখি-না-কুল-রাখি, ব্রিটিশকে একটু তোয়াজ করি, নাকি বাপুর দলে নাম লেখাই, এই নিয়ে কিঞ্চিৎ দোলাচলে, টাটা তখন অব্যর্থভাবেই ব্রিটিশপন্থী। বিড়লা একই সঙ্গে ব্রিটিশের সঙ্গে সমঝোতায় আগ্রহী, এবং গান্ধি-প্যাটেলের ঘনিষ্ঠ, প্রচুর অর্থসাহায্য করেছিলেন, বাজাজ তো জেলও খেটেছিলেন (স্মৃতি থেকে লেখা, জেলের ব্যাপারটা একবার চেক করে নেবেন), টাটার ওসবের বালাই ছিলনা। তিনি ছিলেন ব্রিটিশের চোখের মণি। তার কারণও ছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মেসোপটেমিয়ায় ঝাড় খাবার পর, ব্রিটিশ বুঝেছিল, যে, এই সুদূর প্রাচ্যেও একটা বড় ইস্পাত কারখানা দরকার, সামরিক প্রয়োজনেই, ফলে একরকম করে প্রত্যক্ষ মদত দেওয়া হত। টাটা দেউলিয়া হবার হাত থেকেও বেঁচেছিল, প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর একটা সময়। 

    যাহোক, এইসব কারণেই, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত টাটার ব্রিটিশ-পুজো অক্ষত ছিল। অবস্থাটা কেবলমাত্র তখনই বদলাল, যখন ভারত-্ছাড় ইত্যাদির পর, ভারতের স্বাধীনতা যখন চোখের সামনে দেখা যাচ্ছে। বিশ্বযুদ্ধ যখন শেষ হয়ে এসেছে, সেই ৪৪-৪৫ সালে বিড়লা, ঠাকুরদাস, টাটারা মিলে বসে, স্বাধীন ভারতের অর্থনীতি কেমন হবে, তার একখানা পরিকল্পনা বানিয়ে ফেললেন। তার ডাকনাম 'বোম্বে প্ল্যান'। ভারতের স্বাধীনতায়, যার পরোক্ষও মদৎও শুন্য, সেই টাটা ছিলেন, স্বাধীন ভারতের অর্থনীতি পরিকল্পনার অন্যতম মধ্যমনি। এর বছরখানেকের মধ্যেই বিড়লা দেশভাগ কেন হওয়া উচিত, সেই নিয়ে একটি মনোজ্ঞ পুস্তক রচনা করলেন। 

    ৪৬-৪৭ সাল থেকে ভারত চলল, একেবারেই টাটা-বিড়লা নির্ধারিত পথে। ভারত সরকার, বিড়লার পুস্তিকা, বা বোম্বে পরিকল্পনার প্রভাব, কোনোটাই কখনও স্বীকার করেনি। কিন্তু ভারত ভাগও হল। প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, এবং পরবর্তী অর্থনোতিক নীতির সঙ্গে বোম্বে প্ল্যানের বিশেষ তফাত ছিলনা। দেশীয় শিল্পপতিদের জন্য নিরাপত্তা, শিল্পক্ষেত্র ভাগাভাগি করে দেওয়া, বড় সরকারি ক্ষেত্র, ডেফিসিট ফাইনান্সিং -- এর সবকটাই বোম্বে পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। এই সেই কুখ্যাত লাইসেন্সরাজ, যার বিরুদ্ধে গর্জে উঠে উদারীকরণ শুরু হবে চল্লিশ বছর পরে। 

    এর নাম ছিল মিশ্র সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি। তার নানা দিক আছে। ভালো-মন্দ সবই আছে। কিন্তু এখানে স্রেফ টাটা-বিড়লার কথা হচ্ছে। সেই প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতিরা তখন ভয়াবহ খুশি ছিলেন এই ব্যবস্থায়। কারণ, কোথাও কোনো প্রতিযোগিতা নেই। আপনি গাড়ির ব্যবসা করছেন, কিংবা ইস্পাতের, তো সেটা একচেটিয়া। সরকার বলে দিয়েছে, ওই ব্যবসায় আপনিই একচ্ছত্র। দেশী-বিদেশী, আর কেউ নাক গলাবেনা। ব্যস। এর চেয়ে সুখের ব্যবসা হওয়া সম্ভব। ভারতীয় পুঁজির বেড়ে ওঠা, এই সরকারি ঠেকনায়। যেখানে ব্যবসায় মুনাফা করাকে সমাজসেবা বলে ধরা হত এবং সরকার সেই সমাজসেবায় প্রত্যক্ষ মদৎ দিত।

    বিবাদী কণ্ঠস্বর ছিল মূলত বামপন্থীদের। গুজরাতি-মারোয়াড়ি পুঁজির বিরুদ্ধে তাঁদের গর্জন ছিল। পূর্বাঞ্চল থেকে সম্পদ ফানেল করে পশ্চিম এবং উত্তরাঞ্চলে নিয়ে যাবার বিরুদ্ধে স্লোগান ছিল। এবং পাল্টা সরকারি ব্যবস্থাও ছিল। কেরলে ১৯৫৭ সালে, বাংলায় এর দশ বছর পরে, সরকার ফেলে দেওয়া হয়, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে। এ সবই সরকারি কর্মকান্ড। মহারাষ্ট্রে সরকার ছিলনা, শ্রমিক আন্দোলন ছিল। মূলত ঠেঙিয়ে এবং খুন-টুন করে ধ্বংস করে দেওয়া হয়।

    যা হোক, এ সব চলল তিরিশ বছর। ১৯৭৭ পর্যন্ত। তার পরের কয়েকবছর একটু ঘাঁটা। কিন্তু তারপরেই এল বিখ্যাত উদারীকরণ। ধাপে-ধাপে সরকারি ক্ষেত্র কমিয়ে আনা হল। দেশীয় শিল্পের উপর নিরাপত্তার হাত তুলে নেওয়া হল। মাশুল সমীকরণ উঠে গেল। হঠাৎই সমাজতন্ত্রের বদলে মুক্ত অর্থনীতির জয়গান গাওয়া শুরু হল। ভাবা হচ্ছিল ফরাসি বিপ্লব হতে চলেছে, এই দুনিয়ায় সবাই সমান। যে যেখানে খুশি ব্যবসা করতে পারে, যত খুশি লাভ করতে পারে। কারো মাথায় সরকারি হাত নেই, ইত্যাদি। রাজ্যগুলো শিল্পপতি ধরে আনতে ছুটল। কে বা আগে প্রাণ করিবেক দান। চন্দ্রবাবু নাইডু ভারতবর্ষের প্রথম হাইটেক মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চিহ্নিত হলেন, যেভাবে পরবর্তীতে 'ব্র‌্যান্ড বুদ্ধ' নির্মিত হয়েছিল বাংলায়।  

    একটা জিনিস কেবল অপরিবর্তিত রইল। শিল্পপতিরা যে মুনাফা করেন, সমাজসেবা নয়, সেইটা তখনও ধামাচাপা রইল। মুনাফায় কোনো নৈতিক দোষ আছে, এমন এখানে বলা হচ্ছেনা, কিন্তু মুনাফা যে সমাজসেবা না, সেইটুকু স্বীকৃতি রইলনা। শোনা যেতে শুরু হল, শিল্প মানেই কর্মসংস্থান, উন্নয়নের জোয়ার। এবং শিল্প মানে জনস্বার্থ। কিন্তু মুনাফা নয়। এই নৈতিক একটা ধারণা গোটা নব্বই এবং শূন্যের দশক ধরে তৈরি করা হল। ফলে দেখা গেল, সেই সরকারি ঠেকনা তখনও অপরিবর্তিতই থেকে গেছে। মুক্ত প্রতিযোগিতা নেহাৎই অলীক। শিল্পপতিদের দাবী হল, বিনামূল্যে বা প্রায় বিনামূল্যে বিরাট জমি চাই, বিদ্যুৎ চাই, আরও কী কী চাই, কারণ তাঁরা শিল্প করে দেশোদ্ধার করছেন। বিশ্বের সব পুঁজিবাদী দেশেই, শিল্পপতিরা 'বিশেষ সুবিধে' চান। কর-ছাড় ইত্যাদি। সেখানেও কর্মসংস্থান ইত্যাদির কথা বলা হয়। কিন্তু এমনকি আমেরিকাতেও, পুঁজি আর মুনাফার সম্পর্ককে এরকম উহ্য করে দেওয়া হয়না। বিনামূল্যে জমি চাওয়া হয়না। কারণ, এখনও, পুঁজিপতিদের আমেরিকা বা ইউরোপে, প্রতিযোগিতা করতে হয়। সরকারি ছত্রছায়া সেখানে মেলেনা, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হয়। আর ভারতবর্ষে শিল্প মানেই সরকারি ঠেকনা। বাবা-বাছা ইত্যাদি।  

    নতুন কেন্দ্রীয় সরকার আসার পর আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বিষয়টা। এখন শিল্প মুনাফা তো নয়ই, বরং ওইটাই দেশপ্রেম। আর কোনো প্রতিযোগিতার লেশমাত্রই নেই। ঠেকনা চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছেছে। ব্যবসার নতুন মডেল হল, শিল্পপতি ব্যাংক থেকে ধার নেবেন। সেই টাকায় শিল্প বানাবেন। তারপর সেই ধারের টাকা ব্যাংক মকুব করে দেব। অর্থাৎ দেশবাসীর টাকায় শিল্প হবে, মুনাফা করবেন শিল্পপতি। কিন্তু সে তো মুনাফা নয়, সেটাই হল দেশপ্রেম। এই নতুন মতাদর্শ এখন বছর দশেক চলছে। ওইটাই এখন ইনথিং। এখন চুপচাপ আস্ত বন্দর আদানির হাতে চলে যায়। কোথাও একটিও বিবাদী কণ্ঠস্বর শোনা যায়না। এখন টাটাকে কে তাড়িয়ে মহা অপরাধ করেছিল, এই নিয়ে তর্জা হয়। কারণ, শিল্পপতিরা মুনাফা নয়, তৈরি করেন কর্মসংস্থান, সমাজসেবার ঠিকাদারি তাঁদের। তাঁরা আমাদের স্বজন। তাই আমাদের কোনো মুক্ত অর্থনীতি নেই, আছে স্বজনপোষিত অর্থনীতি। ক্রোনি ক্যাপিটালিজম। পোষিত পুঁজিবাদ। ঠেকনা দেওয়া পুঁজিবাদ। স্বাধীন, স্বাবলম্বী মুক্তবাজার অর্থনীতি বলে কিছু নেই। স্বাধীন ভারতের উৎপত্তির আগে থেকেই। ভারতবর্ষের পুঁজির ইতিহাস মূলত স্বজনপোষণের ইতিহাস। 

    মুক্ত অর্থনীতির নামে যা চলছে, খুব খোলা চোখে দেখলে, সেটা মুক্ত অর্থনীতি না, খোলা লুটপাট। কিন্তু কোনো দল আর এই নিয়ে মুখ খোলেনা। কারণ, ঐকমত্য হয়ে গেছে, যে, পোষিত অর্থনীতিই হল একমাত্র পথ। আমরা যারা ইন্টারনেটে চরে বেড়াই, তারাও বিশেষ কিছু বলিনা। আমরাও এই স্বজনপোষণের সুবিধাভোগী অংশ। এই লেখক সহ। আমরা উপরের ১%। আমরা, এই পোষিত পুঁজিবাদে খুশি। অতএব এই জয়রথ রুধিবে কে? 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২০ অক্টোবর ২০২২ | ১৮৯১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • প্যালারাম | ২০ অক্টোবর ২০২২ ২২:১২513037
  • এই যে একটা করে ইস্যুর কোঁৎকা এলে খানিক গড়গড় করে সহজ ভাষায় ইতিহাস লেখো, অথচ বারংবার স্পষ্ট কথা দিয়েও "বাঙালির খাপছাড়া ইতিহাস" লেখার সময় করে উঠতে পারো না, তোমার বিবেকদংশন হয় না? লোকে খেটেখুটে বই স্ক্যান করে দেওয়ার পরেও?
    এরপর খাপ বসাবো -- বলে গেলুম...
  • রৌহিন | ২০ অক্টোবর ২০২২ ২২:৪২513039
  • জাস্ট কান্ট এগ্রী মোর
  • S | 185.243.218.46 | ২১ অক্টোবর ২০২২ ০১:২৭513043
  • "কিন্তু এমনকি আমেরিকাতেও, পুঁজি আর মুনাফার সম্পর্ককে এরকম উহ্য করে দেওয়া হয়না। বিনামূল্যে জমি চাওয়া হয়না। কারণ, এখনও, পুঁজিপতিদের আমেরিকা বা ইউরোপে, প্রতিযোগিতা করতে হয়। সরকারি ছত্রছায়া সেখানে মেলেনা, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হয়।"

    এইটা কিন্তু একদম ভুল কথা। এবং ইশানদাও সেটা জানেন। আমেরিকায় মাঝে মধ্যেই ট্যাক্স কাট দেওয়া হয়েছে কোম্পানিগুলোকে। এই ট্রাম্পের আমলেও কর্পোরেট ট্যাক্স বিশাল পরিমানে কমানো হয়েছিলো। একটু গুগল সারচ করলেই সেসব পেয়ে যাবেন। ক্যরিয়ার এয়ারকন্ডিশনিং কোম্পানি বললো একটা ফ্যাক্টরি বন্ধ করে কিছু চাকরি মেক্সিকোতে নিয়ে যাবে। ট্রাম্প ট্যাক্স ক্রেডিট দিয়ে রেখে দিলো। আমাজনের সেকেন্ড হেডকোয়ার্টারের জন্য শহরগুলোর মধ্যে কম্পিটিশান হয়েছিলো। ২৩৮টি শহর প্রোপোজাল জমা দিয়েছিলো অ্যামাজনের কাছে। এবং সেই সব শহরগুলো বহুরকমের ইনসেনটিভ (বিশেষ করে ট্যাক্স ওয়েইভার আর ক্যাশ গ্রান্ট) দিয়ে আমাজনকে নিজের শহরে টানছিলো। অতএব পুঁজিপতিদের ইয়োরোপে আর আমেরিকাতেও পুঁজিকে নিজের জায়্গায় আনার জন্য প্রতিযোগীতা হয়।
  • Amit | 14.202.239.131 | ২১ অক্টোবর ২০২২ ০২:১৭513044
  • সেই কবে মুজতবা আলী ঢাকার কুট্টি দের গল্প লিখে গেসলেন -   "আস্তে কন কত্তা। ঘুড়ায় শুনলে হাসবো"- এই পরিমান হ্যাজ দেখে সেটা মনে পরে গেলো। 
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ২১ অক্টোবর ২০২২ ০২:৪৪513045
  • S | 185.243.218.46 | ২১ অক্টোবর ২০২২ ০১:২৭
    সহমত।
     
    বাকি লেখা ভালো লেগেছে, ঠিক মনে হয়েছে। 
     
    Amit | 14.202.239.131 | ২১ অক্টোবর ২০২২ ০২:১৭
    বুঝতে পারলে ভালো লাগত। সহমত হই বা না হই, সাধারণতঃ আপনার মন্তব্য মন দিয়ে পড়ি।
  • Amit | 121.200.237.26 | ২১ অক্টোবর ২০২২ ০৩:১৬513046
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ২১ অক্টোবর ২০২২ ০২:৪৪- 
     
    না না - আমার কমেন্টস এক্কেরে মন দিয়ে পড়বেন না। আমি আসি জাস্ট খিল্লি করার জন্যে। 
     
    তবে সেই ক্রিমিনাল সাইকোলজি তে বলে না - ক্রিমিনাল ক্রাইম স্পট এ ফিরে আসে বারবার দেখার জন্যে ? ঠিক সেই রকম মমব্যান সিঙ্গুর নিয়ে কিছুদিন পরে পরে একখান করে বাণী ছাড়েন আউট অফ নাথিং আর তাঁর স্নেহধন্য বুজিদের দল অন্তর্জালে তার জাস্টিফিকেশন দিতে ব্যস্ত হয়ে পরে ? ঠিক সেই রকম লাগলো আর কি। গুরুর পাতায় সেই ২০০৭-০৮ থেকে সিঙ্গুর নিয়ে হ্যাজানো চলছে - শিল্প কত খারাপ জিনিস - টাটা বুদ্ধ র কালো হাত ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বারবার- সে এক দিন ছিল। আর দিনের শেষে আজকে বিকল্প হিসেবে জুটছে চপ মুড়ি ঘুগনি শিল্প। :) 
     
    নিজে রা সেফ জোনে থেকে দূর থেকে বাংলার গরিব চাষিদের জন্যে কুমিরের কান্না কাদঁলে আমার সেটাকে পার্সোনালি হিপোক্রেসি মনে হয়। জাস্ট এটুকুই। সিরিয়াসলি নেওয়ার কিচ্ছু নেই। আফটার অল এখানে মায়াপাতায় ঝড় উঠলেও  বাস্তবে মাটিতে একটি পাতাও ওড়েনা। 
  • এই জয়রথ রুধিবে কে? | 185.14.97.176 | ২১ অক্টোবর ২০২২ ০৩:৩৮513047
  • রোদ্দূর রায়
  • r2h | 192.139.20.199 | ২১ অক্টোবর ২০২২ ০৩:৫৮513048
  • মায়াপাতার ঝড়ে বাস্তবে পাতা নড়ে না কিছু হয়না কিন্তু মায়াপাতায় শিল্পপতিতোয়াজের নিন্দে করলে নিন্দাকারী ক্রিমিনাল হয়ে যান, এ বেড়ে মজা।

    এইটা আমারও মনে হলো
     
    • S  | ২১ অক্টোবর ২০২২ ০১:২৭
    • ...আমেরিকায় মাঝে মধ্যেই ট্যাক্স কাট দেওয়া হয়েছে কোম্পানিগুলোকে। এই ট্রাম্পের আমলেও কর্পোরেট ট্যাক্স বিশাল পরিমানে কমানো হয়েছিলো। 
      ...সেই সব শহরগুলো বহুরকমের ইনসেনটিভ (বিশেষ করে ট্যাক্স ওয়েইভার আর ক্যাশ গ্রান্ট) দিয়ে আমাজনকে নিজের শহরে টানছিলো। ... পুঁজিপতিদের ইয়োরোপে আর আমেরিকাতেও পুঁজিকে নিজের জায়্গায় আনার জন্য প্রতিযোগীতা হয়।
    আর আমার এটাই অবাক লাগে। ধনতন্ত্রের কালো হাত যেসব পদ্ধতির জন্যে আলুথালু, আগমার্কা বামেরাও সেই বৃহৎ পুঁজিই উন্ননয়েনের উৎস বলে জন্যেই জীবনপণ করে ফেললো।
  • Amit | 121.200.237.26 | ২১ অক্টোবর ২০২২ ০৪:১৫513049
  • তো এদ্দিনে ভিয়াবল বিকল্প ইকোনমিক মডেল কিছু কি পাওয়া গেলো ? যেটাতে শিল্প কি অন্য কারোর পতি দের তোয়াজ ​​​​​​​না ​​​​​​​করে ​​​​​​​ইকোনমি ম্যানেজ ​​​​​​​করা ​​​​​​​যায় ? একটা ​​​​​​​আস্ত ​​​​​​​জেনেরেশন ​​​​​​​কে ​​​​​​​বাইরে ​​​​​​​যেতে ​​​​​​​হয়না ​​​​​​​পেট ​​​​​​​চালাতে ​​​​​​​? 
     
    ইয়ে মানে ঘুগনি চপ টিভি সিরিয়েল বা ঘুষ দিয়ে চাকরি -এগুলোকে শিল্প হিসেবে কে ধরিনি অবশ্য। এগুলো ভালোই চলছে সন্দেহ নেই। 
  • S | 184.167.3.14 | ২১ অক্টোবর ২০২২ ০৫:৫৭513050
  • আগমার্কা পোকিত বাম পোবোন্ধো লেখকদের কি বাড়িতে আয়না নাই। পরেরবার দেখা হলে নাহয় একটা কিনে দেবো। 

    যে সিস্টেমে বাস করি, সেখানে পুঁজি কিছু লোকের হাতে কুক্ষিগত। আমি সেই পুঁজিকে অস্বীকার করলে তো আর পুঁজির সমবন্টন হয়ে যায়্না, সিস্টেমও পাল্টায় না। পুঁজিটা জাস্ট অন্য পাড়ায় চলে যায়। আমি অন্য পাড়াতে সেই পুঁজির পয়সাতেই বেড়ে উঠবো আর সেই পুঁজি আমার পাড়ায় এলে যদি পাশের বাড়ির ছেলেটার একটা চাকরি হয় সেই হিংসায় পোতিবাদ করবো, এইরকম বামপন্থী হতে পারছিনা দাদা। আমার কাছে আমার নিজের হিপোক্রিসির থেকে অন্যের পেটের ভাতের দাম বেশি।
  • S | 185.16.38.112 | ২১ অক্টোবর ২০২২ ০৬:০৩513051
  • সিঙ্গুর নিয়ে দিদির বক্তব্যগুলো আসলে ভুল স্বীকার আর হতাশার বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু অমুকের গাড়ি ভালো না বা তমুকে কেন বৃটিশদের সঙ্গে ছিলো, তাই তাদেরকে টাকা ঢালতে দেবোনা - এইসব যুক্তি জাস্ট ইন্টেলেকচুয়াল ডিজনেস্টি।
  • dc | 2401:4900:1cd0:da24:a01e:5eab:c515:9f45 | ২১ অক্টোবর ২০২২ ০৭:৩৫513052
  • ওহায়োতে ইনটেল এক হাজার একর জমির ওপর ফ্যাব বানাচ্ছে, সেখানে ২ এনএম চিপ বানানো হবে। ওহায়ো নানান ইনফ্রা আর অন্যান্য সুবিধা দিচ্ছে, যার মূল্য এক বিলিয়ন ডলার। এছাড়াও ট্যাক্স ​​​​​​​ছাড় ​​​​​​​ইত্যাদি, ​​​​​​​আর ​​​​​​​জমি ​​​​​​​অধিগ্রহনে ​​​​​​​সাহায্য। ​​​​​​​টোটাল ​​​​​​​ইনভেস্টমেন্ট ভ্যালু ​​​​​​​কুড়ি ​​​​​​​বিলিয়ন ​​​​​​​ডলার। 
     
    টেক্সাসের ​​​​​​​টেলর এ ​​​​​​​স্যামসাং ​​​​​​​আরেকটা ​​​​​​​ফ্যাব ​​​​​​​বানাচ্ছে, ​টোটাল ​​​​​​​ইনভেস্টমেন্ট ভ্যালু ​​​​​​​সতেরো ​​​​​​​বিলিয়ন ​​​​​​​ডলার। টেক্সাস ৯০% ট্যাক্স ছাড় দিচ্ছে, এছাড়াও এক বিলিয়ন ডলারের ইনফ্রা, অন্যান্য প্রেফারেন্সিয়াল ট্রিটমেন্ট ইত্যাদি। 
     
    অ্যারিজোনায় টিএসএমসি এগারশো একর জমিতে বারো বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করে ফ্যাব বানাচ্ছে। অ্যারিজোনা দিচ্ছে ট্যাক্স ব্রেক, অন্যান্য প্রেফারেন্সিয়াল ট্রিটমেন্ট ইত্যাদি।
     
    এই কয়েকটা উদাহরন দিলাম কারন চিপের সাপ্লাই চেন ক্রাইসিস চলছে, তাই কোথায় কি কি ফ্যাব বানানো হচ্ছে সে নিয়ে আমি মাঝে মাঝে পড়ি। এগুলো ছাড়াও এশিয়া, আমেরিকা বা য়ুরোপে যেসব বড়ো ইনভেস্টমেন্ট হয়, সেগুলোতে সেই সব দেশের সরকার নানাভাবে ইনসেনটিভ দেয়। যেমন টিএসএমসিকে তাইওয়ানে প্রচুর ইনসেনটিভ দেওয়া হয়, য়ুরোপে বিএমডাব্লু বা জাপানে টয়োটাকে দেওয়া হয়।  
     
    হাজার ​​​​​​​একর ​​​​​​​জমিতে ​​​​​​​গাড়ি ​​​​​​​কারখানা ​​​​​​​হবে ​​​​​​​না নাট্যশালা, ​​​​​​​সে ​​​​​​​নিয়ে ​​​​​​​প্রশ্ন ​​​​​​​ওঠে ​​​​​​​মনে ​​​​​​​হয়, ​​​​​​​তবে টাটাবাবুকে ​​​​​​​তাড়ানোর ​​​​​​​মতো পরিস্থিতি ​​​​​​​সব ​​​​​​​সময়ে ​​​​​​​হয় ​​​​​​​না। ​​​​​​​
     
     
  • dc | 2401:4900:1cd0:da24:a01e:5eab:c515:9f45 | ২১ অক্টোবর ২০২২ ০৭:৩৯513053
  • দুইটা ডিসক্লেমার আছে। 
     
    ইনটেল, টিএসএমসি, স্যামসাং, বিএমডাব্লু ইত্যাদিদের ইতিহাস জানিনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে আর কোরিয়ান ওয়ারের সময়ে এরা কাদের দিকে ছিল তাও জানিনা। (টাটাবাবুদের ইতিহাসও অবশ্য জানতাম না)। 
     
    দেশপ্রেম কাকে বলে জানিনা। দেশকে কেউ কেন ভালোবাসে তাও বুঝিনা। (সিয়াচেনের সৈন্যদের কাছে সরি চাইছি)। 
  • সংজ্ঞা | 2405:8100:8000:5ca1::7a:b196 | ২১ অক্টোবর ২০২২ ০৭:৫৬513054
  • টাটাবিড়লাভক্তদেরই তো বামপন্থী বলা হয়। নতুন নাকি?
  • Soham | 2601:647:5b00:8010:b025:fdbe:3b16:4fbf | ২১ অক্টোবর ২০২২ ২১:২০513076
  • একমত হতে পারলাম না। মুক্ত বাজার অর্থনীতি বলে কিছু হয়না। Free market capitalism ultimately turns into monopolistic crony capitalism or grand economic failure. The idea of Milton Freedman is dead long ago! 2008 economic crash এর পর থেকে এটা উন্নত দেশেও গৃহীত সত্য। বড় কোম্পানিগুলোই ঠিক করে অর্থনীতি কি হবে। আর শুধু ভারতে নয়, আমেরিকাতেও বড় কোম্পানিদের ঘরে আমার জন্য রাজ্যগুলোর লালা নিঃসৃত হয়। কেস ইন পয়েন্ট: Amazon (https://www.businessinsider.com/amazon-headquarters-cities-in-a-bidding-war-2017-9) 
    ২০০৮ এবং ২০২০ economic downturn, এই দুটো থেকেই দেশকে বের করে আনতে কেন্দ্রীয় ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংককে হয় ঋণ মুকুব করতে হয়েছে বা প্রচুর টাকা প্রিন্ট করে debt তৈরি করতে হয়েছে। এভাবেই উন্নত দেশগুলোও চলছে।
     
    এছাড়া China demonstrate করেছে কিভাবে ৪০-৫০ বছরের মধ্যে একটা পিছিয়ে পড়া দেশ থেকে দুনিয়ার প্রথম সারির দেশগুলোর মধ্যে পৌঁছনো যায় শুধুমাত্র state sponsored capitalism দিয়ে। তার ভালো খারাপ নিয়ে আলোচনা করা যেতেই পারে, কিন্তু পৃথিবীতে কোথাও মুক্ত বাজার অর্থনীতি বলে কিছু নেই। তাই ভারতে বা তার থেকেও বড় কথা পশ্চিমবঙ্গের মত অঙ্গরাজ্যে তার অন্যথা কি করে হবে! বরং তার মধ্যেই যাতে শ্রমিকরা তাঁদের শ্রমের ন্যায্য মূল্য পায় (বা চাষীরা তাঁদের জমির), সেটার চেষ্টা সরকার করতে পারে।
  • Kuntala Lahiri-Dutt | ২২ অক্টোবর ২০২২ ০৬:৩৫513087
  • কি  যে হাস্যকর  নতুন ইতিহাস কি বলবো 
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:ba74:44e2:9c78:8a3 | ২২ অক্টোবর ২০২২ ০৭:১৯513088
  • সংজ্ঞা | 2405:8100:8000:5ca1::7a:b196 | ২১ অক্টোবর ২০২২ ০৭:৫৬
     
    খোঁচা দিলে পাল্টা খোঁচা খেতে হয়। খোঁচাখুঁচি বাদ দিয়ে সাবস্ট্যান্স আছে এমন কথা বললে ভাল হয়। টইতে ভাল আলোচনা হচ্ছে। নষ্ট না করলেই ভাল।
  • Prabhas Sen | ২২ অক্টোবর ২০২২ ০৭:২১513089
  • মতামত দিতে গিয়ে কেউ কেউ "ঘুগনী,চপ শিল্প "ইত্যাদি নিয়ে ব্যঙ্গোক্তি করেছেন। যাঁরা কোথাও কোন রকম ঝঞ্ঝাট না পাকিয়ে যৎসামান্য পুঁজিতে নিজের পরিশ্রমে দুমুঠো অন্ন সংস্থান করছেন,যাঁরা আগেও ছিলেন , তাঁদের কে এভাবেই "সম্মান" জানানোর আগে একটু ভাবুন।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:ba74:44e2:9c78:8a3 | ২২ অক্টোবর ২০২২ ০৮:০০513090
  • আমার মনে হয়না কেউ ঘুগনি বা চপ বিক্রেতাদের নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন। যারা সরকারের কর্মসংস্থানের অক্ষমতা ও অনিচ্ছা ঢাকতে ঘুগনি ও চপ বিক্রির ফোকটিয়া পরামর্শ দিয়েছেন ব্যঙ্গ তাদের উদ্দেশেই করা। সেটা ন্যায্য ব্যঙ্গ।
  • Amit | 14.202.239.131 | ২২ অক্টোবর ২০২২ ০৮:৩৩513091
  • ঘুগনী চপ শিল্প নিয়ে কে আবার ব্যঙ্গ করলো ? কার এতো সাহস ?আফটার অল মমতার রাজত্বে ওগুলোই মেজর রেভিনিউ আর্নার। 
     
    মানে ঘুষ গুলোকে হিসেবে ধরা একটু মুস্কিল কিনা। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন