এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  পথ ও রেখা

  • রিট্রিট ডায়রি : উত্তরাখণ্ড (৫)

    শঙ্কু মহারাজ লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | পথ ও রেখা | ১৬ অক্টোবর ২০২২ | ১২৫৭ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৩ জন)
  • ১৬. ১০. ২০২২, সকাল ৭-৫৫, আলমোড়া রামকৃষ্ণ কুটির

    আগের দিনের তুলনায় আজ উঠতে একটুখানি দেরীই হলো। সাড়ে ছটায় ঘুম ভাঙার পর নিত্যকর্ম সেরে যখন তিনজন গিয়ে পৌঁছলাম খাবার ঘরে, তখন ঘন্টাখানেক পেরিয়ে গেছে, সকালের মন্ত্রপাঠও শেষ ততক্ষণে। অবশ্য উপাসনাঘরে ভিড়ভাট্টা ছাড়াই বসা শ্রেয়। গতকাল টুরিস্টদের একটি দল এসে উঠেছে এই আশ্রমে। বাঙালি – বলাই বাহুল্য; এবং একেবারে notorious, কান ঝালাপালা করে দেওয়া বাঙালি! এঁদের দলের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে – এঁরা একসঙ্গে দল বেঁধেও খেতে আসেন না, আবার খুব এলোমেলো ভাবে একে অন্যের অনেক আগে পরেও আসেন না। এঁরা কেমন একটা ভাঙা ভাঙা লাইনের মতো করে আসেন; এবং তার ফলে মিনিট কয়েকের তফাতে একই জায়গা দিয়ে একই বিষয়ে আজেবাজে বকতে বকতে দু'তিনজন করে এগিয়ে যান। দল বেঁধে এলে সুবিধে হতো – বাজে কথাটা একজনই বলতেন, বাকিরা "হ্যা হ্যা" করতে করতে চলে আসতেন, বা তারা যদি বাজে বকার কম্পিটিশনও করতেন, একসঙ্গে যা হবার হয়ে যেত। কিন্তু এখানে আমরা যারা ওই পঞ্চাশ সিঁড়ি পেরিয়ে উপরে উঠছি বা নামছি, প্রতি বাঁকে বাঁকে যেন বাজে বকার সম্মেলন!কাজেই, এঁরা সকালে মন্ত্রপাঠের সময়ে গিয়ে উপস্থিত হলে আমাকে যে রিট্রিটের অন্য অর্থ ব্যবহার করে কেটে পড়তে হতো, অনুমান করতে পারি।

    আজকের ব্রেকফাস্ট টিপিকাল রামকৃষ্ণ মিশন ডেলিকেসি – আটার পুরি আর ছোলার ডাল। রামকৃষ্ণ মিশনের সেন্টার বদলে বদলে যায়, কিন্তু এই আটার পুরির স্বাদ বদলায় না। ছোলার ডালটা অবশ্য একটু অন্যরকম – টমেটো দিয়ে টক টক করে তৈরি করা।

    বেলা ১০-৩৪

    বেশ ঘন্টা দেড়েক সময় কাটানো গেল উপাসনাঘরে। প্রায় ফাঁকা, একেবারে পিনপড়া স্তব্ধতা। আমার থেকে একটু এগিয়ে বসা প্রদ্যুমন, নিবিষ্ট হয়ে ধ্যান করছে। তারও সামনে বসে আছেন এক ব্রহ্মচারী মহারাজ; নিজের উত্তরীয়টি গায়ে জড়িয়ে জপ করছেন সম্ভবত। প্রয়ান্ধকার ঘরটিতে যেটুকু আলো ছড়িয়ে আছে, ঠাকুরের আসনের সামনে জ্বলা হলুদ আলোই তার উৎস। বাইরে খুব মেঘ আজ। বর্ষার মেঘ নয়, কুয়াশা মেঘ। গতকাল এই সময়ে মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল নীচের উপত্যকা মেঘের আড়াল কেটে; কিন্তু আজ সেরকম লক্ষণ নেই। সকালের সেই ভারী মেঘ কেটেছে বটে, কিন্তু একটা ভেজা, ঠাণ্ডা বাতাস বইছে বাইরে।
     

    অল্প কিছু সময় জপ করে, শেষে ধ্যান সারলাম। ধ্যানে আমার বরাবরের সমস্যা (হয়তো অনেকেরই) – মনোনিবেশ করবো কিসের/কার উপর? কোনও ঈশ্বরমূর্তি? ঠাকুর? মা? স্বামীজী? কোনও জ্যোতির্বলয়? আলোকবিন্দু? এখনও দেখি, এক এক সময়ে এক একটি বিষয়ে মনোনিবেশ ভালো হয়। তারপরের প্রশ্ন – স্মরণ যে করবো, কোথায় স্মরণ করবো তাঁকে? নরেন্দ্রপুরের বলরাম মহারাজ বলেছিলেন, স্মরণ সবসময় নিজের বুকের মধ্যিখানে করতে। ঠাকুরেরই কথা, বুক ডঙ্কাপেটা স্থান; ওখানে স্মরণ করলে ধ্যান ভালো হয়।

    ভালো ধ্যান কাকে বলে জানি না, আমি বেশিরভাগ সময়ই আলোকবিন্দুকে ভাবি বুকের মাঝখানে। যেন কেউ তুলো ঘষার মতো ওই আলোকবিন্দু ঘষে দিচ্ছে আমার বুকের মাঝে। কখনও বা ঠাকুরের মুখও ভাবি। এই দুয়েই দেখি, কিছুটা মন লাগে আমার। গোলপার্ক মিশনের মেডিটেশন রুমে মাঝে নিয়মিত ধ্যান করে বিষয়টাকে একটু বাগে এনেছিলাম; কিছু মাসের অনভ্যাসে আবার একটু পিছিয়ে পড়েছি। আমাদের রোজকার জগৎ, কাজকর্ম, বোঝাপড়া, লেনদেন এইসব থেকে এত ভিন্ন, এত দূরে অবস্থিত, এবং বেশি সময়ই এত বেশি করে এইধরণের অস্থায়িত্বে গা ডুবিয়ে বসে আছি, যে স্থায়ী, ধ্রুব কিছুকে স্মরণ করা, মনন করা এক একসময় দুঃসাধ্য মনে হয়।

    বেলা ১২-৪৫

    এখানে একটি পরিবারের সঙ্গে আলাপ হয়েছে এসে – রায় পরিবার। বাবা, মা এবং মেয়ে, তিনজনে শ্যমলাতাল হয়ে এসেছেন আলমোড়ায়। ভদ্রলোক সাউথ-ইস্টার্ন রেলের চাকুরীজীবি ছিলেন, এই বছর জানুয়ারিতে রিটায়ার করেছেন। মেয়েটি সারদা মিশন কলেজে সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্রী, জার্নালিজমে। কথায় কথায় বেরিয়ে এল, আগামীকাল তাঁরাও যাবেন লোহাঘাট, আর পরশু মায়াবতী। এতটা অব্দি ওঁদের প্ল্যান আমাদের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। (তারপর পরশু থেকে অবশ্য ওঁরা ক'দিনের জন্য থেকে যাবেন অদ্বৈত আশ্রমেই; আর আমরা মায়াবতী থেকে আবার লোহাঘাট ফিরে তরশু বেরিয়ে পড়বো শ্যমলাতালের উদ্দেশ্যে।) তাই, ওঁরাই বললেন – আলমোড়া থেকে লোহাঘাট যাওয়াটা যদি আমরা দুই দল একসঙ্গে একটা গাড়ি ভাড়া করে করি, তাহলে খরচটাও কম হয়, একই গন্তব্যে যাওয়াও যায় কম কাঠখড় পুড়িয়ে। বেশ কথা, তাইই হোক। সেই অনুযায়ী একটা ৬-সিটার গাড়ি বলা হলো, সে আগামীকাল সকালে সাড়ে আটটার মধ্যে আমাদের আশ্রম থেকে তুলে নেবে। যাওয়ার পথে বোধ হয় জাগেশ্বর শিবমন্দির ঘুরে যাওয়া হবে। সে হোক; আগামীকাল লোহাঘাট পৌঁছে আর কোথাও যাওয়ার নেই, কাজেই তাড়াও নেই কোনও।

    কলেজে-পড়া মেয়েটির (সুনন্দা) সঙ্গে তিতলির বেশ ভাব জমে গেছে। তাঁদের কটেজের উঠোনে বসে তিতলি এখন ওর আলমোড়া আসার যাত্রাপথের কথা ইংরাজিতে লিখছে দিদির দেওয়া একটা কাগজে। আমরাও ওদের কটেজের বাইরেই দাঁড়িয়ে কথা বলছি এই-সেই। এরই মধ্যে, ফেরার দিন শ্যমলাতাল থেকে বেরিলিতে আসার জন্য আর গাড়ির অবকাশ না রেখে ট্রেনের টিকিট কেটে নিল অমিতাভ দা। শ্যমলাতাল থেকে একটু দূরের স্টেশন টনকপুর। ওখান থেকে ১১-২৫ এর জনশতাব্দী এক্সপ্রেস নিয়ে দুপুর আড়াইটার মধ্যেই পৌঁছে যাবো বেরিলি। তারপর সেখান থেকে সাড়ে চারটের ট্রেন কলকাতা ফেরার। এইসব নিয়ে কথাবার্তা চলছে; এমন সময় কটেজের চাল থেকে ধুপধাপ করে লাফিয়ে নামতে থাকলো গাদা গাদা বাঁদর, এবং বেশিরভাগের কোলেই এক্কেবারে পুঁচকে বাচ্চা। দেখেই বোঝা গেল, এরা কেবল দল নয়, পরিবার নয়, একান্নবর্তী পরিবারও নয়, গোটা জ্ঞাতি-গুষ্টি সমেত কোনও নেমন্তন্নে যাচ্ছে, যেমন জামাইষষ্ঠীতে দেখি লোকাল ট্রেনে পিলপিলিয়ে লোকজন এন্ডি-গেন্ডি সমেত যাচ্ছে ভোজ গিলতে।
     


    বিকেল ৫-৪৭

    আলমোড়ায় এবারের মতো আমাদের শেষ সন্ধে নামছে। সূর্য চলে গেছে সেই বড় পাহাড়ের আড়ালে। আজ সারাদিনের অনেকটাই মেঘ-না-কাটা, তাই সূর্য একটু নিস্তেজ হতেই আবার ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে সামনের উপত্যকাগুলো। ইনিয়ে বিনিয়ে নীচ থেকে উঠে আসছে পাহাড়ি রাস্তা ... বাস আসছে, প্রাইভেট গাড়ি আসছে। আর বড়জোর কুড়ি-পঁচিশ দিন; তারপর শীতের তিন মাসের জন্য অতিথিদের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে এই আশ্রম, ঘুমিয়ে পড়বে ছোট ছোট কুটিরগুলো। ঝিম মেরে থাকবে পর্যটন; বাস, গাড়ি কমতির দিকে এগোবে।
     

    আশ্রমের অফিস থেকে একটা সিঁড়ি নীচের দিকে নেমে গেছে; ওখানেই নেমে একটা ধাপে দাঁড়িয়েছি আমরা। পাইন গাছে জমাট বাঁধা ছায়ার মতো ঝুলছে পাইন কোন। মনে পড়ে, ২১ বছর আগে যখন প্রথমবার কুমায়ুনে এসেছিলাম, কৌশানীর পথে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা অজস্র পাইন কোন কুড়াতাম আমি আর রুনি দি।

    জংলার ফুটেছে স্থলপদ্ম, বেগুনি ঘন্টাফুল। ধীর গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে শুঁয়োপোকা, জাল বুনছে মাকড়সা। পাহাড়ের গায়ে কাটা রাস্তা ধরে উপরে উঠে আসছেন মহারাজ – প্রার্থনা সঙ্গীত শুরু করবেন এবার; নীচে আশ্রমের ছোট্ট জমিতে শাক, সবজির ফলনও দেখভাল করতে হয় তাঁকেই, সেখান থেকেই আসছেন। আশ্রমের অধ্যক্ষ তিনি, সন্ন্যাসের এই সংসার সামলাতে হয় তাঁকে। আমাদের দিকে তাকিয়ে, হেসে, দুয়েক কথার শেষে এগিয়ে যান। এখন দূরের উপত্যকার আর কোনও রঙ নেই; পুরোটাই ছায়া। তার সামনে আরও গাঢ় অন্ধকার ছায়া হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে পাহাড়ি গাছগুলো, ঝিরিঝিরি সরু পাতা নিয়ে। শনশন হাওয়া শুরু হয় আবার; দূরের আকাশে সদ্য জলরঙ করতে শেখা শিশু কমলা যেন কিছুটা বেশি ঢেলে দিয়েছে।
     

    তবু, আগামীকাল আলমোড়া ছেড়ে যাওয়ায় বিষাদ থাকলেও, পিছুটান নেই। যে কোনও কিছু ছেড়ে যাওয়াতেই এক ধরণের 'sense of an ending' অনুভব করা প্রায় অনিবার্য; কিন্তু ছেড়ে যাওয়া, চলে যাওয়ায় এখন আর অপ্রাপ্তিবোধ কাজ করে না। যে ক'দিন রইলাম, যা পেলাম, যেটুকু পেলাম, এ-ই কি কম নাকি?
    সন্ধ্যারতি শুরু হয়েছে; খোল, মন্দিরা, তবলা আর হারমোনিয়াম মিলে সে কী আনন্দের গান! এই সব গান আনন্দ ছাড়া আর কিছুই মনে করায় না। যা থাকার, যাঁর থাকার, আছেন। কথামৃতে দক্ষিণেশ্বরের ঘরের কথা মনে পড়ে; জমায়েত হয়েছেন ভক্তেরা। গুরুগম্ভীর ঈশ্বরপ্রসঙ্গ নয়; এ কথা, সে কথার পর – "নরেন, গান ধর!"
     
    সে' সব দিন হয়তো আর নেই; কিন্তু আছে সেই আনন্দ, সেই ভাব, সেই স্পর্শ। যে সত্যিকারের, চাওয়ার মতো চাইবে, তার কাছেই আছে। আর আছেন এক বিবেকানন্দ; হিমালয়ের কোলে এই আশ্রমকে আগলে দাঁড়িয়ে আছেন, আরেক হিমালয়।
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভ্রমণ | ১৬ অক্টোবর ২০২২ | ১২৫৭ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ** - sumana sengupta
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • santosh banerjee | ১৬ অক্টোবর ২০২২ ২০:৩৮512893
  • ভালো লাগলো।ঐ বাঙ্গালী তীর্থ যাত্রীদের কথা কি বলবো। এক বিচিত্র প্রাণী ওরা যখন কোথাও ভ্রমনে যায়। এত ছ্যাবলামী, এতো খাই খাই ভাব, চারপাশে যারা আছেন তাদের সদর্পে জানান দেয়া এই বলে ""আমরা বাঙালী "" ,,,,""দেখো আমাদের "" ‌‌‌এই গোছের কিছু। এটা যতো জায়গায় গেছি এক ধরনের। 
  • Shreyasi | 122.171.20.54 | ১৬ অক্টোবর ২০২২ ২০:৫৪512894
  • কখনো  ওখানে  যাওয়ার  ইচ্ছে  রইলো . আর  বেড়াতে  গিয়ে  fellow বাঙালি  পাবেনা  এটা  হোতেই  পারেনা
  • kk | 2601:448:c400:9fe0:190:3075:5c2a:7ee8 | ১৬ অক্টোবর ২০২২ ২১:৫০512897
  • যাঃ, শেষ হয়ে গেলো? বেশ ভালো লাগছিলো পড়তে। মানুষের মনের ভেতরের দুনিয়া নিয়ে আমার খুব আগ্রহ। তাই রিট্রিটের গল্প, আর সেই সাথে বাইরের ও ভেতরের প্রকৃতির রূপের উপলব্ধি এইসব পড়তে খুব ইচ্ছে করে। আপনার লেখায় পেয়েছি তা। আরেকটু ডিটেলে পেলেও ভালো লাগতো। তবে এই যে অতিকথন থেকে নিজেকে মুক্ত রেখে লেখার স্টাইল, এটাও প্রশংসনীয়।
  • শুভংকর | ১৬ অক্টোবর ২০২২ ২১:৫৮512899
  • @ kk শেষ তো হয়নি। আলমোড়ায় থাকা আজ শেষ হলো। কাল যাবো লোহাঘাটের উদ্দেশ্যে, সেখান থেকে মায়াবতী আর শ্যমলাতাল। এখনও ঢের দেরী শেষ হতে। 
    আপনি পড়ায়, ভালোলাগ জানানোয় আনন্দ পেলাম। আশা করি পরের পর্বগুলিও দেখবেন।
  • শুভংকর | ১৬ অক্টোবর ২০২২ ২২:০০512900
  • @ সন্তোষ বাবু, কাল থেকে একেবারে আশ্রম মাত করে রেখেছেন এঁরা!
  • শুভংকর | ১৬ অক্টোবর ২০২২ ২২:০২512902
  • @ Shreyasi ফেলো বাঙালি পেলে তো চাপ নেই, কিন্তু ফেলোরা এত চাপ দিলেই সমস্যা!
  • kk | 2601:448:c400:9fe0:190:3075:5c2a:7ee8 | ১৭ অক্টোবর ২০২২ ০১:০২512907
  • যাক। আমিও সেই ভাবছিলাম যে লোহারঘাট ও অন্যান্য জায়গাগুলোর গল্পও তো আসা উচিৎ। হ্যাঁ, পুরোটাই পড়ছি ও পড়বো। আপনি লিখুন।
  • সম্বিৎ | ১৭ অক্টোবর ২০২২ ০২:৪৯512908
  • চমৎকার লেখা। 
     
    তবে অন্যদের সম্বন্ধে জাজমেন্টাল হলে ভাল লাগে না। আর ভাল লাগে না মিশনের ছেলেদের ধোলাই মগজের, সুযোগ পেলেই, বহিঃপ্রকাশ।
  • Jayetree halder. | 2409:4060:e99:d501:3488:d151:dc4e:f987 | ১৭ অক্টোবর ২০২২ ১২:২৬512910
  • শুভঙ্ক র  দা , তোমার লেখা রিট্রেট  ডায়েরী   পড়ে খুব ভালো লাগলো . মনে হোলো  পাহাড়ী প্রকৃতি কে ছুয়েঁ  নিলাম .  ঘরে বসে  পাহাড়ী পাখি হয়ে বেশ  ভালো লাগলো . আর ও  পাহাড়  ঘুরতে  চাই পাহাড়ের  আনাচে কানাচে, পাহাড়ী  লোকের  ও  পাহাড়ী  মরশুমের সাথে . খুব  আনন্দ  দেয় . আর  ও  লিখে  যাও . . ধন্যবাদ . 
  • শুভংকর | ১৭ অক্টোবর ২০২২ ১৭:১২512917
  • @ জয়িত্রী হালদার, আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন। আপনার মতামত পেয়ে খুব ভালো লাগলো। আগামী পর্বগুলোও পড়লে, জানাবেন কেমন লাগছে। 
  • Prabhas Sen | ১৭ অক্টোবর ২০২২ ১৯:৩৬512920
  • বেশ ভাল লাগল। আলমোড়া আশ্রমে থাকা হয়নি, তবে শামলাতাল ও মায়াবতী আশ্রমে দিন তিনেক থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল। সে বছর বিশেক আগে।সে সময় অদ্বৈত আশ্রমের প্রধান ছিলেন স্বামী মুমুক্ষানন্দ , আমাদের কলেজ (নরেন্দ্র পুর)জীবনের প্রিন্সিপাল। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। 
  • Mousumi Banerjee | ১৭ অক্টোবর ২০২২ ২০:২৯512921
  • কতদিন আগে গিয়েছেন আপনি?
     
    বা লাগল ছবি দেখে। বড় পরিচিত সবকিছু আমারও।
  • শুভংকর | ১৭ অক্টোবর ২০২২ ২০:৩১512922
  • @ মৌসুমী ব্যানার্জি, আমি এখন এখানেই আছি। প্রতিদিনই ডায়রি লিখছি।
  • Mousumi Banerjee | ১৭ অক্টোবর ২০২২ ২০:৩৮512924
  • বাহ্! 
    আমার ২০১৬ তে মায়াবতী ও আলমোড়া রামকৃষ্ণ কুটীরে থাকবার সৌভাগ্য হয়েছিল। শ্যামলাতাল বাকি রয়ে গিয়েছে। আবার ইচ্ছে আছে
  • aranya | 2601:84:4600:5410:d5c5:2079:9cb5:d256 | ১৭ অক্টোবর ২০২২ ২৩:৩৭512932
  • ভাল লাগছে 
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ১৯ অক্টোবর ২০২২ ০১:০৭512973
  • অন‍্যদের সম্পর্কে জাজমেন্টাল হওয়া অংশটি পড়তে গিয়ে হঠাৎ আহত বোধ করার ভোঁতা অনুভূতির মুখোমুখি হওয়া ছাড়া আর সব উপভোগ করেছি। 
  • শুভংকর | ১৯ অক্টোবর ২০২২ ১২:৪৯512993
  • @ aranya, @ অমিতাভ চক্রবর্ত্তী, ধন্যবাদ।
  • Reeta Bandyopadhyay | ২০ অক্টোবর ২০২২ ১৩:০৫513030
  • অপূর্ব ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন