এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  ভ্রমণ

  • আফ্রিকা

    যোষিতা লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | ০৫ অক্টোবর ২০২২ | ২৫৬৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ইদানীং মরক্কো বেড়িয়ে ফিরলাম, সেই নিয়ে লিখব।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ০৭ নভেম্বর ২০২২ ০১:১৪738806
  • কলঘর
  • যোষিতা | ০৭ নভেম্বর ২০২২ ০১:১৭738807
  • ব্রেকফাস্ট শেষ
  • যোষিতা | ০৭ নভেম্বর ২০২২ ০২:৫৩738808
  • বিকেল হয়েছে অনেকক্ষণ এখন সন্ধে নামবে ঝপ করে।  রাতের দিকে যখন ফিরব তখন চিনে চিনে ফিরতে হবে, তাই ল্যান্ড মার্ক ঠিক করে নিচ্ছি। রাস্তার ওপারে একটা গলি, গলির মুখেই বাঁহাতে একটা দোকানের মত, পরিস্কার লেখা রয়েছে স্পা।
    এই একটা বদওব্যেস আমার দুনিয়ার এমন কোনও জায়গায় বেড়াতে যাই নি, যেখানে চুল কাটিয়েছি বা বিউটি সালোনে না ঢুকেছি। রাবাট শহরেও চোরা চোখে বিউটি সালোন খুঁজতাম।
    তা সে যাকগে, ঢুকেই পড়লাম সেখানে। দোকানটা একটু নীচু রাস্তার তুলনায়, বেশ ক ধাপ সিঁড়ি নেমে ঠান্ডা মতন মোজাইক ঢাকা পরিবেশ। এটা কি হামাম? হতেও পারে। ভেতর থেকে বেরিয়ে এল স্থুলকায়া একজন মহিলা। সাদরে আমাদের ভেতরের দিকটায় ডেকে নিয়ে গেল। সে চমৎকার ইংরিজিও বলে। উঁহু, এটা হামাম নয়, স্পা ও নয়, কোনও প্রকার বিউটি সালোনও নয়। এটি ভেষজ প্রসাধনদ্রব্যের দোকান। মেয়েটিকে দেখে মনে হল, সে ই মালিক হয়ত বা। 
    আমার ত্বক দেখে এবং ছুঁয়েই সে বলে দিল, কোন কোন ভেষজ উপাদান এই চামড়াকে বাগে আনবে। নিমেষেই সে জয় করে নেয় মন। আমরা পরদিন আবার আসব, এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে বের হয়ে আসি। সে আমারই সব বয়সী, তার নাম সালমা। 
    এল কুতুবিয়ার মোড়ে পৌঁছেই দেখি বাঁহাতে জামা এলফ্ না যাবার পথনির্দেশ লেখা রয়েছে। এ রাস্তায় সাধারণ যান প্রবেশ নিষেধ। মোড়ের একধারে গোটা দশবারো সুদৃশ্য ঘোড়ার গাড়ি। দুজনের জন্য ভাড়া নিলে লম্বা সফর করিয়ে দেবে দশ পনেরো ইউরোতেই। 
    চড়ে বসলাম ঘোড়ার গাড়িতে।
    সে যে কী চমৎকার অভিজ্ঞতা। ঝলমলে সেই জায়গাটা কিছুদূর পরেই শেষ হলো, সান্ধ্য মার্রাকেশের মসৃণ রাস্তায় আলো আঁধারি ভেদ করে করে দুই ঘোড়া ছুটে চলেছে কখনো রাজপ্রাসাদের দিকে, কখনও ঘিঞ্জি গলি, কখনও ক্যাসিনো, বা পার্ক আরও কত কত জায়গা দিয়ে। এরকম অভিজ্ঞতার সময়ে ক্যামেরা বাগিয়ে ফোটো তুলে মৌতাত নষ্ট করার মত মূর্খ আমরা নই। সহিস গাইডের মত মাঝে মাঝে বলে দেয় কোথা দিয়ে যাচ্ছি, কোনটা কী, এইসব, বেশি ভ্যাজভ্যাজ করে কানের পোকা বের করে দেয় না।
    মরুভূমির দেশে সন্ধে এবং রাত বড্ড মনোরম। ইচ্ছে করে সারারাত জেগে থাকি, রাত যেন দেরি করে ভোর হয়।
  • যোষিতা | ০৭ নভেম্বর ২০২২ ০৩:২৩738809
  • প্রাসাদের মূল দরজা দিয়ে প্রবেশের মুহূর্তে ছবি তোলার বোকামি
  • Aranya | 2600:1001:b00f:1851:95c:ccfe:db6d:46dc | ০৭ নভেম্বর ২০২২ ০৪:১৪738810
  • বাঃ, দারুণ 
  • যোষিতা | ০৭ নভেম্বর ২০২২ ২০:১৭738816
  • নিজের অভিজ্ঞতায় জানি যে বেড়ানো দুরকমের হয়, যখন তুমি ভালোবাসার মধ্যে আছো তখন, অথবা তার মধ্যে নেই। এই দুরকমের মনের অবস্থার যেকোনও একটাকে নিয়ে কোথাও বেড়াতে গেলে যেমন লাগবে, অন্য অবস্থাটাকে সঙ্গে নিয়ে একই জায়গা অন্যরকম ঠেকবে। ঠেকবেই। নতুন কিছু নয় এ।
    রাত প্রায় দশটা বাজতে চলল যখন আমরা ফিরে এলাম ফিটন চেপে সেই এল কুতুবিয়া পেরিয়ে জামা এল ফ্না র মুখটায়। 
    অসংখ্য মানুষ চলেছে সেই চত্বরের পানে। আরও এগোলে কানে আসছে কনসার্টের শব্দ। আলো, গান, মিউজিক, ওপেন এয়ার কনসার্ট। কোনও অতিরিক্ত বাতি নেই। সব গান আফ্রিকার। ইংরিজি নয়। সে এক উত্তাল মাতাল করা পরিবেশ। ওরকম বাজনা বাজলে না নেচে কেউ পারবে না। 
    ছিঁচকে চোরেদের জন্যও খুবই উত্তম ব্যবস্থা। আমরা  অসতর্ক নই। এখানে খোয়া যাবার মত কিছু আনি নি সঙ্গে। দুমদাম কনসার্ট চলছে তো চলছেই, আমরা ওখান থেকে চললাম আরও ভেতরের দিকে, সেখানে বসেছে মেলার মত অসংখ্য দোকান। তেষ্টা পেয়েছে দুজনেরই, বেদানার রস এখানে যেমন সস্তা তেমনি মিষ্টি, পরিমানেও কার্পন্য করে না দোকানি। 
    একটু পরে পরেই কিছু না কিছু হচ্ছে। গান, বাজনা, ছোট ছোট ভিড়। আরেক দিকে শুধু খাবার আর খাবার। মশলাদার রগরগে চেহারার মাংসের খাবারই বেশি। দোকানদারেরা একে অপরকে পাল্লা দিয়ে চেঁচাচ্ছে, পারলে খদ্দেরদের পাঁজা কোলা করে তুলেও নিয়ে যেতে পারে। 
    এসব খাবার আমরা খাই না, খাওয়া আমাদের অনেক আগেই হয়ে গিয়েছে সালমার দোকান থেকে বেরোনোর পরে। এত রাত করে খাবার তো প্রশ্নই নেই।
    আরও ভেতরের দিকটায় যেতে ইচ্ছে করছিল যেখানে আরও কী কী সব রয়েছে যেন। বেদের মেয়েরা হাতে হেনা দিয়ে আলপনা এঁকে দেবার জন্য ডাকাডাকি করছিল। আমার খুব ইচ্ছেও করছিল, কিন্তু উনি বললেন ওসব হাতে লাগিয়ে হোটেলে ঢুকলে ওরা মারবে। বাথরুমের দেয়ালে নাকি সাবধানবানী লেখা ছিল, হেনা পরে বিছানার চাদরে দাগ লাগালে ফাইন করে দেবে।
    ইশ্ ভুলেই গেছি টাকা ভাঙাতে। কাল ভাঙাবো।
  • | ০৭ নভেম্বর ২০২২ ২০:৫৭738817
  • এই গান বাজনা খাওয়া দাওয়া পড়ে আমার হর্নবিল ফেস্টের কথা মনে হল। 
    লিখুন লিখুন। 
  • যোষিতা | ১০ নভেম্বর ২০২২ ০২:৪১738865
  • সালমা আমাদের সতর্ক করে দিয়েছিল, পথ হারালে বা কোনও জায়গা খুঁজে না পেলে কোনও পুরুষকে যেন জিজ্ঞাসা না করি। যে কোনও মহিলাকে যেন জিজ্ঞাসা করে নিই, সে জানলে সাহায্য করবে, না জানলে করবে না। কিন্তু পুরুষকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানুক বা না জানুক, চিনুক বা না চিনুক, কাজের শেষে টাকা আদায় করে ছাড়বে। মরক্কোয় এমনই রীতি, টুরিস্ট দেখলেই অমন করে।
    একথা শুনলে মনে হতেই পারে যে সালমা পুরুষবিদ্বেষী, কিন্তু রাবাট শহরে এমন পূর্ব অভিজ্ঞতা আমাদের হয়েছে।
    পরদিন সকালে আলি হোটেল খুঁজে পাচ্ছিলাম না প্রথমে, এক বৃদ্ধাকে জিজ্ঞাসা করতেই আমাদের এগিয়ে নিয়ে দেখিয়ে দিল। সে ফরাসী জানেনা, আরবীও তেমন জানে না, তার ভাষা বারবেরিয়ান। 
    সালমার দোকান থেকে অনেক কিছু কেনা হলো, যার মধ্যে অন্যতম আরগান অয়েল। আরেকটা জিনিসের নাম জানি না, প্রসাধনেরই জিনিস রাতে মুখে মেখে যুয়ে পরদিন মুখ ধুলে ত্বক খোলতাই হয়, মধু টধু দিয়ে বানানো। একটা কৌটোয় ভরা। এটা এখানে উল্লেখ করলাম, কারন এই প্রসঙ্গ পরে আবার আসবে।
    আমরা দোকানে গেলে নাকি খুব খদ্দের হয়, সালমা বলছিল, তোমরা কালকে চলে যাবার পরে হুড়হুড়িয়ে খদ্দের আসছিল। সকালেও সেরকম দেখলাম আমাদের সঙ্গেই ঢুকল দুজন ফরাসী মেয়ে, দুই বান্ধবী একত্রে বেড়াতে এসেছে। একজম কালো, অন্যজন ফর্সা।
    মরক্কো যাবার আগে লোকে কতরকম ভয় দেখিয়েছিল, ওখানে মাথা ঢেকে চলতে হবে, সুইমসুট পরা মানা, গে বা লেসবিয়ানদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ দেশ, ইত্যাদি প্রভৃতি। কোথায় কী! 
    সকালে ব্রেকফাস্ট করবার সময়েই দেখলাম সামনের ঘর খুলে বের হলো গে কাপল। ব্লগ দেখে বিশ্বাস করা আর চাক্ষুষ দেখবার মধ্যে অনেক ফারাক। আর ইউরোপিয়ানদের স্বভাবই হচ্ছে সব কিছুতে অহেতুক ভয় আর সন্দেহ করা। 
    এই একই জিনিস হয়েছিল টার্কিতে গিয়ে। অনলাইনে জিনিস কেনা আর দোকানে ঢুকে হাতে ধরে জিনিস কেনার মতো।
  • যোষিতা | ১০ নভেম্বর ২০২২ ০৩:৪৮738867
  • আলি হোটেলের সামনে লম্বা দুটো লাইন, দুটো কাউন্টারে টাকা এক্সচেঞ্জ চলছে পাশাপাশি, ইসলামের কোনও এক অনুশাসন মেনে এরা কমিশন নেয় না, পাসপোর্ট টাসপোর্টও দেখতে চায় না, এমনকি খুচরো পয়সা অবধি গুণে গেঁথে দেয়।
    আমরা অনেকক্ষণ মোড়ের মাথায় বসে ছিলাম। খেয়েওছিলাম ওখানেই কোথাও যেন। সমুদ্র থেকে দূরে বলেই হয়তো এখানে মাছ নেই, শুধু মাংস। 
    জামা এল ফ্না তে গেলেই আমার মনে হতো এখানে আমি আগে এসেছি, মানে ঠিক ঐ জায়গাটায় হয়তো নয়, কিন্তু ঐরকম দেখতে বা ঐ যে মাটির রং, বা দেয়ালগুলো, কিংবা বাড়ি, হয়ত আকাশও কিছুটা কেমন যেন পূর্ব পরিচিত। 
    বিকেলেও গেছলাম ওখানে। তখনও গান বাজনা শুরু হয় নি। মোড়ের মাথায় মধ্য এবং পূর্ব আফ্রিকার যুবকেরা নানান জিনিস বেচছিল, কালো চশমা থেকে শুরু করে আফ্রিকার ম্যাপ আঁকা গেঞ্জি, কেউ বা মাটি দিয়ে বানানো নানানরকমের ছোটোছোটো পুতুল যার অধিকাংশই উট।
    আজও যখন ফলের রসটস খেয়ে, ভেতরটায় ঘুরছি, পায়ে ব্যাথা করছিল হাঁটতে হাঁটতে, মেঝের ওপর বসে পড়েছিলাম। কিছুক্ষণ বসবার পরে দেখি একজন বারবেরিয়ান মানুষ পিঠি বোঝা নিয়ে আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে দেখছে। ঐ ওর দোকান পাতার নির্দিষ্ট জায়গা, আমি উঠে যাই। একপাশে অনেক বাহারি দামি দোতলা তিনতলা রেস্টুরেন্ট। 
    এদেশে হিন্দি সিনেমা খুব জনপ্রিয় এবং আমাদের দুজনকে দেখলেই লোকে চিনে ফ্যালে যে ভারতীয় চেহারা, একটু গান টান গেয়ে দেয়, আমরাও আপত্তি করি না।
    ভারতীয় নেই একদম। তারই মধ্যে হঠাৎ শুনলাম তীব্র প্রতিবাদ দৃঢ় ইংরিজিতে জোরে — ডোন্ট ডিসটার্ব!
    একেবারে ভারতীয় উচ্চারণ। পেছন ফিরে দেখি তাকে এবং তারপরেই আমাদের পাশ গিয়ে গটগটিয়ে হেঁটে যায় একজন নারী, পোশাক য়ুরোপীয় কিন্তু এই মেয়েকেতো আমি চিনি! সঙ্গে সুপুরুষ শ্বেতাঙ্গ পুরুষ। দুজনেই দ্রুততার সঙ্গে ঢুকে পড়ে রেস্টুরেন্টে। এরা নিজেদের মধ্যে ইংরিজিতেই কথা বলছিল।
    চেহারাতো চেনা, নাম মনে পড়ছে না, কিছুতেই না, সিনেমায় অ্যাকটিং করে, সিনেমাগুলোর নামও মনে পড়ছে না, উঃ কী জ্বালা, একটাতে টোটা রায়চৌধুরীর সঙ্গে অভিনয় করেছিল, যেটায় টোটা পুলিশ থেকে পুতুল হয়ে গেল, মনে পড়েছে রাধিকা! রাধিকা আপ্টে!
     
    অনেকটা হেঁটে ঐ চত্বরেই একটা বাড়ির রোয়ারের সিঁড়িতে বসলাম। পাশে সার দিয়ে মহিলারা বসে। একপাশে সিগারেটের দোকান দিয়েছে কেউ, কনসার্ট শুরু হয়ে গেছে, মেয়েদের মধ্যে কারো হাতে সদ্য লাগিয়ে আসা হেনা, তারা ধৈর্য ধরে হেনা শুকিয়ে নিচ্ছে। পৃথিবীর এই অঞ্চল একটু একটু করে ঠান্ডা হচ্ছে। আমি শুয়েই পড়লাম একপাশে। আকাশ পরিষ্কার, এখানে যতক্ষণ ইচ্ছে আমি শুয়ে থাকতে পারি, চাইও শুয়ে থাকতে।
  • যোষিতা | ১১ নভেম্বর ২০২২ ০৬:০৪738881
  • পরদিন সকাল থেকেই আমি বায়না করতে শুরু করেছি হাতে হেনা করাবোই করাবো। আকাশ মেঘলা করে রয়েছে, আমাদের ঘরের সামনে যে লম্বা ছাদটা আছে তার একটা দিকে ছাউনি দেওয়া, সেখানে গদি মোড়া সোফাসেট, টেবিল। সিগারেট খেতে হলে ওদিকেই যাই। ঐ ছাউনি দেয়া জায়গাটা পেরোলে সার সার তোয়ালে চাদর শুকোয় রোজ, হোটেলের ঘরে ঘরে রোজ চাদর তোয়ালে বদলানো হয়, সেগুলোই এরা কেচে কুচে মেলে দেয়। 
    ঐ ছাউনি দেয়া জায়গাটাতে প্রায় রোজই দেখি এক ফরাসী সাহেব বসে থাকে, ফোনে কীসব দযাখে আর ক্রমাগত একটার পর একটা সিগারেট খায়। সে সম্ভবত দোতলার একটা ঘরে এসে রয়েছে, আমাকে বলল গত দু সপ্তাহ ধরে এখানেই আছে। মনে হয় না কোথাও বিশেষ বেরোয় টেরোয় বলে, ইংরিজি এক্কেবারেই বোঝে না, শুধু ফ্রেঞ্চ। অচেনা লোকের সঙ্গে আগবাড়িয়ে আলাপ করা আমার বরাবরের ওব্যেশ। লোকটা কোথায় থাকে, কী করে এসব জানছিলাম। প্যারিসে থাকে, ওখানেই চাকরি, কোনও একটা সংস্থায় হিউম্যান রিসোর্সে কাজ করে। 
    এর মধ্যে উনি এসে উপস্থিত। আমি আলাপ করিয়ে দিলাম পরস্পরের। উনি হিউম্যান রিসোর্স শুনে রসিকতা করে বললেন, আমার একটা চাকরি করে দিন না।
    তাতে ফরাসী সাহেব ঘাবড়িয়ে বললেন, না না, আমি খুব উঁচু উঁচু পদের চাকরির জন্য লোক খুঁজি।
    তাতে উনি বললেন, তাহলে আমাকেও উঁচু পদেই চাকরি করে দিন, সেতো খুব ভাল হবে।
    এসব শুনে লোকটা কী বলবে বুঝতে না পেরে ফ্যাল ফ্যাল করে আমাদের দিকে চেয়ে রইল।
    কেমন যেন ম্রিয়মান দুঃখী দুঃখী মুখ।
    আমরা ফের চললাম জামা এল ফ্না তে।
    সকালে কনসার্টের জায়গাটা ফাঁকা, গোটা দুয়েক পুলিসের গাড়ি, আর সন্ধেবেলায় যেখানে লোকজনের খুব ভিড় থাকে সেখানটায় বারবেরিয়ান বেদেরা বসে আছে লাইন দিয়ে, তাদের সামনে রয়েছে ফনা তোলা সাপ। 
     
  • যোষিতা | ১১ নভেম্বর ২০২২ ০৬:৪২738883
  • সাপ যত নিরীহ প্রাণীই হোক না কেন, দলে দলে সাপুড়েরা একেক সুরে বাঁশি বাজিয়ে নিজ নিজ সাপেদের প্রতি দর্শকদের উৎসাহিত করে চলেছে,এবং এই ড্যামাডোলে কোনও একজন সাপ যদি বেকায়দায় সুড়ুৎ করে পালিয়ে যায়, তখন? তখন কী হবে? ভয়ে গা শির শির করলেও আচরণে প্রকাশ করছি না। বরং পিছিয়ে পুলিশদের গাড়িটার কাছে গিয়ে ফোনের ক্যামেরা জুম করে কাঁপা হাতে সাপ-সাপুড়ের ফোটো তুলে নিলাম। এখন দেখে শুনে চলতে হবে। চারদিকে এত বেদে এত সাপ, এদিকে আকাশ কালো করে আসছে, বেদেনিরা কই?
    দিনের বেলায় সাপ ছাড়া তেমন বেশি কিছু এক্সটিক দ্রষ্টব্য নেই। অবশেষে হেনা করাবার ব্যবস্থা হলো, এক কাঁড়ি সাপের অনতিদূরেই বেদেনিরা বসে ছিল। আমাকে দিয়ে ব্যবসায়ে বউনি হবে। যুবতী বেদেনি স্মার্টফোনে কার সঙ্গে যেন ঝগড়া করছিল, সে ই টেনে নিল আমার হাতখানা।
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ১১ নভেম্বর ২০২২ ০৬:৪৯738884
  • হিউম্যান রিসোর্স-এর লোকটির অবস্থা ভেবে জোর হাসলাম।
     
    পড়ে চলেছি।
  • যোষিতা | ১৮ নভেম্বর ২০২২ ০৩:১৩738933
  • সালমা আমাদের সামনে তার পন্যের গুনাগুন বোঝাচ্ছে
     
  • যোষিতা | ১৮ নভেম্বর ২০২২ ০৪:১৭738934
  • হেনা আঁকা আমার দুটি হাতের ছবি খুঁটিয়ে দেখলে বোঝা যাবে যে বাঁহাতের ওপর যে আলপনা আঁকা হয়েছে, সে তুলনায় ডানহাতের আলপনার কোয়ালিটি খারাপ। কারনটা শুনতে সহজ ও স্বাভাবিক হলেও এর রেশ আমার মনে দাগ কেটেছিল হেনার চেয়েও বেশি।
    ডান হাতটিতে আঁকা শেষ হবার পরেই আমি ক্যামেরাম্যনের দিকে তাকিয়ে একটু হাসলাম। আর ঠিক তখনই আবার বেজে উঠল আঁকিয়ের মোবাইল ফোন। আঁকতে বসার আগে তাকে ফোনে কার সঙ্গে যেন ঝগড়া করতে শুনেছি, সম্ভবত সে ই আবার কল করেছে। এরপর মেয়েটি ঠিক ঝগড়া করে না, ও প্রান্ত থেকে কী বলে শোনা যায় না, শুধু তার দুচোখ দিয়ে জলের ধারা বেরোতে থাকে। সে কয়েকবার কথা বলতে গিয়েও থমকায়। তার মুখ আবার কঠিন হতে থাকে, আমরা স্থির স্তব্ধ হয়ে সেদিকে তাকিয়ে থাকি। কী এমন হলো?
    ফোন রেখে দিয়ে সে ফাঁকা চোখে তাকিয়ে থাকে লক্ষ্যহীনভাবে। তার সঙ্গে একটু বয়স্ক বেদেনি যে ছিল, সে মেয়েটিকে সান্ত্বনা দিতে পাশে গিয়ে বসে। সেই মহিলাটিই টেনে নেয় আমার বাঁ হাতটি। কাস্টমারকে তো আর বসিয়ে রাখা যাবে না, সে কোনও মতে যাহোক তাহোক করে আঁকতে থাকে আমার হাতে, সকাল দশটা সাড়ে দশটা হবে এখন, কিংবা আরও বেশি। তবে আজ রোদ নেই, ঠান্ডা মত হাওয়া বইছে মাঝে মাঝে, যে কোনও সময় টুপটুপিয়ে বর্ষা নামতে পারে।
    অথচ অল্প কান্নার পরেই সেই যুবতী বেদেনির চোখে গনগনে আঁচ। বয়স্কা মহিলাটি তাকে খুব বোঝাচ্ছে, সেই বোঝানোর ভঙ্গি এবং যুবতীর অভিব্যক্তিতে বোঝা যায়, এইমাত্র কোনও সম্পর্ক তার টুকরো হয়ে গেল, মনটা হয়ত গুঁড়িয়ে ভেঙে দিয়ে গেছে ঐ টেলিফোন। তবু তার কিচ্ছু করবার নেই। সে আর কাস্টমার ডাকছে না। তার বাহ্যজ্ঞান তেমন একটা নেই। বয়স্কার দেওয়া স্তোতবাক্য তার কানে ঢুকছে কিনা সন্দেহ হয়।
    দাম চুকিয়ে আমরা উঠে পড়ি। বৃষ্টি নেমে গেছে, সাপুড়েরা সাপ তুলে নিচ্ছে ঝাঁপিতে, আমরা দৌড়ে ছায়া খুঁজি, নইলে আমার হাতের হেনা সব ধুয়ে যাবে। শর্টকাটে গলি খুঁজে দ্রুত বাড়ি পৌঁছতে গিয়ে হারিয়ে যায় আমাদের পথ, এক গলি থেকে আরেক গলি, সেখান থেকে আরেক গলি। বহু প্রাচীন সেই গোলক ধাঁধার রাস্তা, পুরো ভুলভুলাইয়া।
  • ইন্দ্রাণী | ১৮ নভেম্বর ২০২২ ০৪:৩০738935
  • খুবই ভালো লাগছে। যেন নিজেই  ঘুরে বেড়াচ্ছি। পাঠককে এই অনুভব এনে দেওয়া আপনার কলমে  অত্যন্ত সাবলীল, অনায়াস।অতীতে‌ও  আপনার লেখা পড়বার অনুরূপ অভিজ্ঞতা হয়েছে বহুবার।
  • ইন্দ্রাণী | ১৮ নভেম্বর ২০২২ ০৫:৪০738936
  • পর্যটকের বিস্ময়, আগ্ৰহ, কৌতূহল, আনন্দ সমস্ত সঞ্চারিত হয় পাঠকের মনে। আপনার লেখার মহ‌ৎ গুণ।
  • যোষিতা | ১৯ নভেম্বর ২০২২ ০৩:২০738942
  • — করিম, আমি এমন একটা অপরাধ করে ফেলেছি, তুমি আমাকে নির্ঘাৎ বকাবকি করবে।
     
    করিম হাঁ করে আমার মুখের দিকে তাকায়। কী বলবে সে বুঝতে পারছে না। আসলে এই নিপুণ চাতুরী আমি তৎক্ষণাৎ ইম্প্রোভাইজ করেছি। ঝামেলার চেয়ে অভিনয় অনেক বেশি কাজে দেয় কিছু কিছু ক্ষেত্রে।
     
    বললাম, দ্যাখো, কাল ভোরেই আমরা রওনা হচ্ছি মের্জুগা অভিমুখে, মধ্যিখানে শুধু একটা রাত। 
    এবার আমার হেনা পরা হাতদুটো তার সামনে এনে বললাম, হেনা পরেছি, বারণ জেনেও পরেছি, তুমি কি আমাদের ফাইন করবে? বলো?
    এতটা ন্যাকামি করার দরকার হয়তো ছিল না, কিন্তু আমি চান্স নিতে চাই নি।
    করিম হোহো করে হেসে ফেলল। বলল, আরে না না, নাহ, একেবারেই না। চমৎকার সুন্দর রং বসেছে হাতে, দেখি দেখি।
    তারপর সাবধান করে দিল, তোমরা ক্রমশ এগোচ্ছ সাহারার দিকে, পানীয় জল নিয়ে নিও সঙ্গে, যত গভীরে যাবে মরুভূমিতে, জল তত দুষ্প্রাপ্য এবং দুর্মূল্য হয়ে উঠবে। 
    তাইতো! এমনটাই তো শুনে এসেছি ছোটবেলা থেকে। আমরা দৌড়ে বেরিয়ে বেশ কয়েক লিটার জল কিনে আনি।
    এমনিতেই মাথাপিছু একটা পিঠব্যাগ আমাদের লাগেজ ছিল, এখন সেটাও কমিয়ে নিলাম। একটা ব্যাগ রেখে গেলাম করিমের কাছে। ন্যূনতম জিনিস ও জল নিয়ে বের হবো কাল ভোরে, সরু গলির মোড়ে গাড়ি আসবে। চিন্তা নেই, করিম খুব ভোরে আমাদের ব্রেকফাস্ট খাইয়ে দেবে, গাড়িতে তুলে দেবে। আজ সে রাতের ডিউটিতেও থেকে যাচ্ছে পাছে কাল ভোরে আমাদের অসুবিধে হয়।
    এমন আতিথ্য হয়তো মরক্কোতেই মেলে।
    বিশ্বাস করে খোলা ব্যাগ রেখে গেলাম আমরা। সামনে বিশাল জার্নি, মের্জুগা একদিনের পথ নয়, আমরা চলেছি পূবে, আলজিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি।
  • | ১৯ নভেম্বর ২০২২ ১১:৫৯738947
  • হ্যাঁ তারপর।
  • যোষিতা | ১৯ নভেম্বর ২০২২ ১২:৩৮738948
  • পরবর্তী বিবরণে যাবার আগে কেন জানি না একটা ইংরিজি শব্দ আমাকে ভাবাচ্ছে। কন্ট্রোল। এর সরাসরি এক শব্দে বাংলা অনুবাদ সম্ভবত হয় না। কারন কন্ট্রোল শব্দটার অনেক অর্থের মধ্যে একটা হচ্ছে নিয়ন্ত্রণ।
    এই নিয়ন্ত্রন বস্তুটার পেছনে কাজ করে ক্ষমতা। জোর।
    পাওয়ার।
    এই পাওয়ারের মধ্যেও অনেক ভাগ। মনের জোরটুকু বাদ দিয়ে দিলে বাকি যে পাওয়ারগুলো আমাদের মধ্যে অবশিষ্ট থাকে সেগুলো সাহারায় অর্থহীন হয়ে পড়বে একে একে।
    এটাই অ্যাডভেঞ্চারের মজা। তোমার টাকা পয়সা, শিক্ষা, দাপট, বড়লোক দেশের নাগরিকত্বের অহংকার, সমস্ত নিমেষে তুচ্ছ হয়ে যায় প্রকৃতির কাছে। মরু অরণ্যে হিসেব অন্যরকম। একদম প্রিমিটিভ জান্তব লড়াই। ক্ষমতাহীনতার কার্ভের পীকটুকুতে উঠে যাব আমরা। ঐটাই ক্লাইম্যাক্স।
  • যোষিতা | ১৯ নভেম্বর ২০২২ ১৪:০৪738951
  • পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুসারে পরদিন ভোর থেকেই শুরু হলো আমাদের পরবর্তী যাত্রা। করিম আমাদেরকে গাড়িতে তুলে দিল তো বটেই, সেই সঙ্গে একটা শর্ত ছিল আমার, সমগ্র যাত্রা পথে সব সময় আমরা দুজন যেন সামনের সীটে বসতে পারি, ড্রাইভারের পাশে। একটা সময়ে অবশ্য যেতে হবে উটে চড়ে। সেটা নিয়েই প্রচণ্ড উত্তেজিত মন। দীর্ঘ তিনঘন্টা উটে চেপে যাব এবং ফিরবার টাইমেও উট। সব মূল্য ধরা আছে প্যাকেজে। ব্রেকফাস্ট ও ডিনারের ব্যবস্থাও ওদেরই। শুধু লাঞ্চের খরচ আমাদের। এমনকি যেখানে যেখানে গাইড লাগবে, সেসবও ঠিক করা আছে।
    মোদ্দা কথা বডি ফেলে দাও।
    মার্রাকেশের নানান হোটেল গেস্টহাউজ থেকে যাত্রী তুলে তুলে ভ্যান এসে দাঁড়ালো সেন্ট্রাল একটা পিক আপ পয়েন্টে। অন্য একটা গাড়িতে উঠলাম আমরা। দুজনেই ড্রাইভারের পাশে। পেছনে আরও ছজন যাত্রী তিনজন পুরুষ, তিনজন নারী। আলাপ টালাপ তেমন হলো না। খুব ভোরে বের হয়েছি বলে সকলের চোখেই ঘুম ঘুম ভাব। কুয়াশা একটু কেটে যাবার পরে বুঝলাম পেরিয়ে এসেছি মার্রাকেশ, শুরু হচ্ছে পাহাড়ি রাস্তা, গ্রাম রয়েছে, বাড়িও রয়েছে কিছু কিছু, এবং আশ্চর্য জনকভাবে মার্রাকেশ পের হয়ে গেলেও লাল রং আমাদের ছাড়ছে না। সব লাল। বাড়ি, পাহাড়, ধুলো, লালে লাল। এমনকি তিরতির করে বয়ে যাচ্ছে যে নদী, তার জলটুকু পর্যন্ত লাল। 
    সারথি পাকা ড্রাইভার। তাকে দেখতে বলিউড ইন্ডাস্ট্রির এক শক্তিশালী অভিনেতার মত।
  • যোষিতা | ১৯ নভেম্বর ২০২২ ২১:২১738955
  • মার্রাকেশের সেই ফিটন যাত্রার আরেক ঝলক
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ১৯ নভেম্বর ২০২২ ২৩:৩৩738959
  • একটু একটু করে ক্লাইম্যাক্সেসের দিকে এগিয়ে চলেছি আমরা। smiley 
    yes
  • যোষিতা | ১৯ নভেম্বর ২০২২ ২৩:৫২738962
  • একটু ঘুম ঘুম পাচ্ছিলো। তারপর ঘুমিয়েই পড়েছি। ছোট্ট করে একটা স্বপ্নও দেখা হয়ে গেল। দেখলাম মঙ্গলগ্রহে বেড়াতে এসেছি। সেখানে আমাদের গাড়ি চালাচ্ছে যে লোকটা তার নাম দুবেজী। দুবেজীকে কী যেন বলতে যাচ্ছিলাম এক ঝাঁকুনিতে থেমে গেছে ভ্যান। বাইরে ঝিরঝিরিয়ে বৃষ্টি, উরি বাপ্রে কী ঠাণ্ডা!! 
    অনেকটা ওপরে উঠে এসেছি আমরা। একটা রেস্টুরেন্টের সামনে থেমেছে গাড়ি। 
    এখানেই লোকে কফি টফি কিনবে, সিগারেট টানবে, হিসু করবে। মিনিট পনেরোর ব্রেক। দুবেজীকেও তো রেস্ট নিতে হবে। সত্যিই ইনি দুবেজী বা রঘু রোমিওর মত দেখতে। বিলকুল অভিনেতা বিজয় রাজের মত ভাব ভঙ্গী চেহারা। 
    জনগনের টয়লেট আমি মরে গেলেও ব্যবহার করতে পারব না, কফি অর্ডার দিয়ে বসলাম দুজনে মুখোমুখি। গরম আরাবিকা কাটিয়ে দিচ্ছে ঘুম। গাড়িতে যারা ছিল তাদের একটু একটু করে চিনছি। দুজোড়া পোলিশ কাপল। চেহেরা ও হাবেভাবে মিলেনিয়ালদের মত স্মার্টনেস।
    আর একজন আরব যুবককে দেখা যাচ্ছে, ফর্সা, তবে মাথার চুল আফ্রিকানদের মতো। আর যে মেয়েটি ছিল সে রেস্টুরেন্টের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে, সে কফি খায় নি। খুবই উদ্বিগ্ন তার মুখ। ফর্সা ইউরোপীয় চেহারা। শে যখন আমার কাছে এসে আগবাড়িয়ে স্পষ্ট ইংরিজিতে প্রশ্ন করল, আমাদের পরবর্তী ডেস্টিনেশন কোথায়, কিছু জানো?
    আমি বিজ্ঞের মতো বললাম, হ্যাঁ মের্জুগা।
    মেয়েটি বলল, উঁহু, আমার মনে হচ্ছে ওয়ারজাজাৎ?
    তাই নাকি?
    সেরকমই মনে হচ্ছে। ড্রাইভারকে জিগ্যেস করতে হবে।
    কই গেল সে?
    সেই তো, কই গেল? বাই দ্য ওয়ে আমার নাম প্যাট্রিশিয়া, আমি ক্যালিফোর্নিয়া থেকে আসছি।
    আমিও ডাঁটের মাথায় পরিচয় দিলাম, আমরা জুরিখ থেকে আসছি।
    এরপরই দেখা গেল স্বপ্নের দুবেজী অর্থাৎ ড্রাইভার সায়েবকে। 
    এঁর নাম ইয়াসির।
    ইয়াসির কিন্তু আমাদের দেখেই ঝট করে ধরে ফেলল আমরা ভারতীয়। ব্যস, আর চিন্তা নেই, এরপরে ইয়াসিরের সঙ্গে চলবে আমাদের পথ পরিক্রমা। 
    ইয়েস আমদের পথে পড়বে ওয়ার্জাজাৎ। আরও অনেক কিছু পড়বে পথে।  তবে আগে থেকে সব বলে দিলে তো হয়েই গেল। তাইতো ইয়াসির কিচ্ছুটি আগে থে ফাঁস করে দিচ্ছে না।
  • যোষিতা | ২৫ নভেম্বর ২০২২ ১৪:৫৩739000
  • মারাত্মক সেঁকে আছি। লিখছি, এট্টু সময় নেব।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন