এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  শনিবারবেলা

  • পূর্ব ইউরোপের ডায়েরি - রাশিয়া ৫

    হীরেন সিংহরায়
    ধারাবাহিক | ২৭ আগস্ট ২০২২ | ২৫৬১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • বার্লিন দেওয়ালের পতনের পরে পূর্ব ইউরোপের দরোজা খুলে গেলো। লৌহ যবনিকা উত্তোলিত হলেও একটা অজানা অস্বস্তি থেকে গেছে মনে। তাই নয়ের দশকে সপ্তাহান্তের ছুটিতে প্রাগ বা বুদাপেস্ট যাবার কথা আমরা কেউ ভাবিনি, মস্কো সেন্ট পিটার্সবুর্গ আরও অনেক দূরের দ্বীপ। হেলসিঙ্কির বন্দরে এসপ্লানাদির বেঞ্চে বসে নৌকো আর জাহাজের আনাগোনা দেখছি আনমনে। পিরকো বললে লাপল্যান্ড যাবে? আমি বললাম শুধু লাপল্যান্ড কেন? সেখানে তো তিনটে দেশ এসে মেলে, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, রাশিয়া। সর্বত্র না হয় পদধূলি দিয়ে আসি!
    আমার যে সব দিতে হবে - মস্কো ১৯৯০


    তৈল তণ্ডুল (১)


    ১৯৯৫



    য়োখেন মলারের ফোন ড্রেসনার ব্যাঙ্ক লুক্সেমবুর্গ থেকে।
    সে বললে, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরিতে সিটি ব্যাঙ্ক দেদার ছড়ি ঘোরাচ্ছে দেখি। রাশিয়া বাদ কেন?

    পূর্ব ইউরোপের বাজারে আমাদের পদসঞ্চার তারা লক্ষ্য করে যাচ্ছে। বিশ্বের বাজার থেকে পোল্যান্ডের জাহাজ কারখানা, হাঙ্গেরির ব্যাঙ্ক, চেকের বিদ্যুৎ উৎপাদক, ইত্যাদি অজানা অচেনা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিদেশী মুদ্রায় ঋণ সংগ্রহ করে আমরা শুধু ইতিহাস লিখিনি, ড্রেসনার সহ আরও অনেক পশ্চিমি ব্যাঙ্কের ঈর্ষা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। তবে এই ব্যাঙ্কের সঙ্গে আমার বিশেষ সম্পর্ক ছিল।

    জার্মানিতে পদার্পণের পরে ড্রেসনার ব্যাঙ্কে আমার ছ’মাসের ট্রেনিং হয়। তাঁরাই আমাকে ভাষা শিখতে পাঠান আপন খরচে। সেই বদান্যতার ঋণ শোধ হবার নয়। বাকি জীবন সেটি ভাঙিয়ে খেয়েছি। কয়েক বছর আগে জার্মানির কমারৎস ব্যাঙ্কের সঙ্গে মিশে গিয়ে ১৮৭২ সালে ড্রেসডেন শহরে প্রতিষ্ঠিত এই ব্যাঙ্কটির নাম আজ লুপ্ত।

    ১৯৯০ সাল নাগাদ ড্রেসনার ব্যাঙ্ক তাদের যাবতীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কিং ব্যবসা ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে লুক্সেমবুর্গে স্থানান্তরিত করে। তার প্রাথমিক কারণ লুক্সেমবুর্গের শিথিল ব্যাঙ্কিং তাঁবেদারির সুযোগ্য সদ্ব্যবহার করা এবং কর্পোরেট ট্যাক্স বাঁচানো। তবে এর পিছনে আরেকটা গভীর উদ্দেশ্য নিহিত ছিল। বার্লিনের ছেলে দিতমার এই স্থানান্তকরণের হোতা – সে আমাকে বলেছিল, ফ্রাঙ্কফুর্টের মুখ্যু বড়সাহেবরা আমাদের ব্যবসা বোঝে না; তারা কেবল জানে তোমার-আমার কাছে সস্তায় টাকা ধার নিয়ে বেশি সুদে অন্যদের ধার দিতে। তবু তাদের শ্যেন দৃষ্টি নিক্ষেপ করে প্রত্যহ। নিত্যিদিনের খবরদারি অকারণ যন্ত্রণা বাড়ায়।

    লুক্সেমবুর্গের আরেকটি আকর্ষণ, তার ব্যক্তিগত আয়কর আদায়ের নিয়মাবলী। সে দেশ চায় জনসংখ্যা বৃদ্ধি – একটা সময় ছিল, যখন চারটি সন্তান হলে দেয় আয়করের পরিমাণ প্রায় শূন্যে পৌঁছত। লুক্সেমবুর্গে পেট্রোলের দাম কম! শনি-রবিবারে জার্মান, বেলজিয়ান, এমনকি ডাচ গাড়ির লাইন দেখেছি পেট্রোল পাম্পে। জার্মানির পশ্চিম প্রান্তের ট্রিয়ার শহর (যেখানে কার্ল মার্ক্সের জন্ম) থেকে লুক্সেমবুর্গ এক ঘণ্টাও লাগে না গাড়িতে। নিজের দেশে থাকা হল, আবার প্রত্যহ বিদেশে কাজ করতে গিয়ে সস্তার তেল-সিগারেট জুটল। যেমন অজস্র ফরাসি তাঁদের আপন গ্রাম থেকে জেনিভায় দৈনন্দিন ক্ষেপ মারেন। কথিত আছে, দুপুর নাগাদ জেনিভার জনসংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। ফরাসি কর্মীকূল সন্ধেবেলা আপন দেশে ফিরে গেলে জেনিভা খানিকটা নির্জন হয়ে পড়ে। দিতমার যে ঠিক কী ভাবে ফ্রাঙ্কফুর্টের উরগেন পনটো প্লাতসের ছত্রিশ তলার বড়সাহেবদের এই সব সাত-পাঁচ বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কিং বিভাগটি লুক্সেমবুর্গে নিয়ে আসতে সক্ষম হয় জানি না, তবে সেই সময় থেকেই তার সঙ্গে আমার পরিচয় ঘনীভূত হয়েছিল।

    উন্নয়নশীল দেশগুলিতে, বিশেষ করে নব উন্মোচিত পূর্ব ইউরোপের জন্য বাজারে হানা দিয়ে ডলার, মার্ক, ইয়েন যোগাড় করে খ্যাতি ও পারিশ্রমিক (ফি) অর্জনের জন্য উদগ্রীব সিটি ব্যাঙ্কের সঙ্গে ড্রেসনার ব্যাঙ্ক লুক্সেমবুর্গের এক নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে নয়ের দশকে। আমরা একদিকে যেমন একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী, তেমনি অনেক সময় সহযোগীও ছিলাম। চোরে চোরে মাসতুতো ভাই বললেও ভুল হবে না। খদ্দেরের পকেটের বোঝা হালকা করার মহান উদ্দেশ্যে সকল ব্যাঙ্ক নিয়োজিত। এক সূত্রে বাঁধিয়াছি সহস্র ধান্দা।

    সে এক আশ্চর্য সময় ছিল। ১৯৮৯ সালের বার্লিন দেওয়াল পতন, নেলসন ম্যান্ডেলার কারামুক্তি, তিয়ানানমেন স্কোয়ারের ঘটনাবলি, ভারতীয় অর্থনীতির উন্মোচন এনে দিয়েছে এক নতুন উন্মাদনা – একদিকে আমরা খুঁজেছি নতুন বাজার, নতুন ঋণ গ্রহীতা – সে ক্রোয়েশিয়ান রেলওয়ে, কলকাতা বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠান, রোমানিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক, স্লোভাকিয়ার টেলিফোন কোম্পানি, চিলির ব্যাঙ্ক, সেনেগালের চিনেবাদাম কোম্পানি – যাই হোক না কেন; অন্যদিকে এই সুসমাচার নিয়ে টাকা যোগাড় করার বাসনায় হানা দিয়েছি পশ্চিমের ধনী অর্থ প্রতিষ্ঠানের দুয়োরে। দীর্ঘদিনের অপরিচয়ে ঋণদাতা ও গ্রহীতার মাঝে যে শঙ্কা ও দ্বিধার প্রাচীর গড়ে উঠেছিল, সেটা বার্লিন দেওয়ালের চেয়ে কম দুর্ভেদ্য ছিল না। এঁরা রবার্ট ম্যাক্সওয়েলের মতন চেনা ডাকাতকে ধার দিতে কুণ্ঠা করতেন না, কিন্তু পোল্যান্ডের কোম্পানিকে জাহাজ বানানোর জন্য টাকা দিতে গভীর চিন্তায় পড়তেন।

    আমাদের মস্কো শাখা সবে খোলা হয়েছে। ড্রেসনার ব্যাঙ্কের রাশিয়া অফিস খোলা হয়েছে তার অনেক আগেই, সোভিয়েত ইউনিয়নের আমলে। আমার প্রিয় বন্ধু কার্ল শ্লুয়ে প্রথমে সেন্ট পিটার্সবুর্গ (মেয়রের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা জনৈক ভ্লাদিমির পুতিন, কার্লের বাড়িতে আসতেন – তার ছবি দেখেছি) ও পরে মস্কোর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হয়। তার কাছে গল্প শুনি, মস্কো বিমানবন্দরে নেমে সে দেখে, তার জন্য অপেক্ষা করছে যে বুলেটপ্রুফ কালো মার্সিডিজ গাড়ি, তার ড্রাইভারের পাশে অধিষ্ঠিত বন্দুকধারী এক সুরক্ষা প্রহরী। সেকালে নাইজেরিয়ার লাগোস বিমানবন্দরে সিটি ব্যাঙ্ক আমাদের জন্য পাঠাত একইরকম রক্ষীসহ বাহন।

    ফ্ল্যাটের চাবি ঘোরাতে গিয়ে কার্ল দেখে, সেখানে একটা নয়, দুটো দরোজা। প্রথমটি সম্পূর্ণ স্টিলের, তারপর আধ মিটার গ্যাপ – এবার একটি সশক্ত কাঠের দরোজা – সেটি খুললে গৃহে প্রবেশ করা যায়। কার্লের মনে হয়েছিল, বাসভবন নয়, সে একটা সিন্ধুকের ভেতরে ঢুকছে। ফ্ল্যাটের জানলা দিয়ে কার্ল দেখেছে বাড়ির সামনে রাস্তায় একজন গাড়ি পার্ক করার পরে একে একে খুলে নিলেন গাড়ির স্টিরিও, জানলার ওয়াইপার, দরোজার পাশের আয়না। সেগুলি সুরক্ষিত করে ব্যাগে পুরে আপন আস্তানায় গমন, নইলে রাতে সব চুরি হয়ে যাবে।

    স্টুয়ার্ট উইলসন, আমাদের প্রথম ব্রাঞ্চ ম্যানেজার, সান্ধ্যভোজনের পরে এক বন্ধুসহ আরবাতস্কায়া নামক বিখ্যাত সরণিতে ট্যাক্সির অপেক্ষা করছেন। কোনো ট্যাক্সি চোখে পড়ে না। হঠাৎ একটি গাড়ি থামল, তার নাকের ডগায় পতাকা বাঁধা। বেরিয়ে এলেন এক ভদ্রলোক – অত্যন্ত উত্তেজিত কণ্ঠে বকাবকি শুরু করলেন।

    আপনারা কী উদ্দেশ্যে এখানে দাঁড়িয়ে আছেন?

    আমরা সিটি ব্যাঙ্ক মস্কোয় কাজ করি। ডিনারের পরে বাড়ি ফিরব। ট্যাক্সি খুঁজছি।

    শহরে নতুন? দেখুন, এটা মস্কো। প্যারিস, বার্লিনের মত রাস্তায় দাঁড়িয়ে ট্যাক্সি ধরা যায় না। কোনোকালে হয়তো এ দেশে আইনকানুন ছিল আজ নেই। খুঁজলে ট্যাক্সি পাবেন না সরাসরি কোনো বিপদে পড়বেন। আসুন আপনাদের পৌঁছে দিচ্ছি। চিন্তার কারণ নেই, গাড়ির সামনে পতাকাটা দেখে নিন। আমি আমেরিকান এম্বাসিতে কমার্শিয়াল আতাশে।

    মস্কো তখন ওয়াইল্ড ইস্ট।

    ১৯৮৫ সালে পলিতব্যুরো যাকে সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বেসর্বার পদে অধিষ্ঠিত করে, সেই মিখাইল গরবাচভ চাইলেন সামাজিক ও অর্থনীতিক কাঠামোর পরিবর্তন। স্তালিনিজমের অন্তিম সৎকার। দু’টি রাশিয়ান শব্দ বিশ্বে বিদিত হয়ে গেল তৎক্ষণাৎ! গ্লাসনস্ত এবং পেরিস্ত্রইকা।

    যতদূর শুনেছি গলা (গোলাস) খোলার অধিকার বা বাক স্বাধীনতার নাম গ্লাসনস্ত এবং পুনর্গঠন বা পুনর্নির্মাণের নাম পেরিসত্রইকা। অভিপ্রায় নিঃসন্দেহে ছিল সাধু – কেন্দ্রীয় নির্দেশ দ্বারা ব্যক্তিকে উপেক্ষা করে সমষ্টির শুভ সাধনা করার যে আপাত প্রয়াস চলে এসেছিল স্তালিনের সময় থেকে, সেটির ব্যর্থতা স্বীকার করলেন গরবাচভ। লক্ষ্য – এক স্বচ্ছ সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলে দেশের নবনির্মাণ ব্রতে ঝাঁপিয়ে পড়া। এবার ব্যক্তি তার মত প্রকাশের অধিকার পেল। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ, মতান্তরে কেজিবি নিরুদ্দেশ। অন্ধের নগরী, চৌপট রাজা। বাজার থেকে অদৃশ্য হল খাবার। ১৯৯০-এর আগে লাইন দিলে কিছু জুটত। যদিও মস্কোর বাজারে একটা রসিকতা চালু ছিল – কোথাও লাইন দেখলেই মানুষ দাঁড়িয়ে পড়তেন, পরে জানতে চাইতেন এটা কিসের লাইন। জনজীবন বিপর্যস্ত, তার কিছুটা আগেই দেখেছি সেন্ট পিটার্সবুর্গে।



    লাইন লাগাও - মস্কো ১৯৯২


    একের পর এক রিপাবলিক ভ্রাতা সোভিয়েত সংসার ছেড়ে গেছে। এবার রাশিয়ার একলা পথ চলা শুরু। ১৯৯১ সালে বড়দিন নাগাদ সোভিয়েত ইউনিয়নের এন্তেকাল। লেনিনের দেশে কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ হল।

    য়োখেন জানতে চায়, পুবের অভিযান তো শুরু করেছি – রাশিয়া সম্বন্ধে আমাদের কী মত?

    ইচ্ছে থাকলেও বলা গেল না, সিটি ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠার বছরে নাপোলেওঁ এবং তার একশ’ উনত্রিশ বছর বাদে তোমাদেরই নেতা রাশিয়া অভিযানে গিয়ে বিশেষ সুবিধে করতে পারেননি। ন্যাড়া কী হেতু তৃতীয়বার বেলতলায় যাবে?



    ম্যাকডোনাল্ড মস্কো ১৯৯০: তিরিশ হাজার লাইন দিয়েছিলেন


    বললাম, মস্কোয় দোকান দিয়ে ম্যাকডোনাল্ড দিনে এক লক্ষ হামবুর্গার বেচলেও আমাদের বড় সাহেবরা রাশিয়ার ব্যাপারে বিশেষ স্বস্তি বোধ করেন না। ইয়েলৎসিন বাজার খুলে দিয়েছেন বটে, কিন্তু সেখানে পথেঘাটে দিনেদুপুরে চুরিডাকাতি হচ্ছে। ব্যক্তিগত মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত এমন কোনো কোম্পানি নেই, যারা অন্তত দু’বছরের ইতিহাস দেখাতে পারে। সামান্য ভাউচারে সই করে সরকারি তেল কোম্পানিকে কিনে নিচ্ছে কিছু সুবিধেবাদী। অগতির গতি পুরো সরকারি প্রতিষ্ঠান। ঝুঁকি হিসেবে তারা অবশ্যই কাম্য, কিন্তু ব্যাল্যান্স শিট তৈরি করা তাঁদের বুদ্ধির বাইরে। ঋণ যদি আমরা আমাদের আপন মুদ্রায় ফেরত না পাই, রাশিয়ান সরকারকে আদালতে নিয়ে যাওয়া যাবে না। দ্যাখোনি, যে কোনো ঋণপত্রে সার্বভৌমতাকে অতিক্রম (সভারেন ইমুনিটি) করা যাবে না বলে দাসখত লিখে দিয়ে থাকি! চেক পোল্যান্ড হাঙ্গেরিতে এটা অনেকটা আলাদা – তাই অনুমতি পাওয়া সহজ হয়েছে।

    আমাদের মস্কো অফিস সবে খুলেছে। নতুন দেশের বাণিজ্যিক নীতি পদ্ধতি আমাদের চেনা ম্যানহাটানের পাঠ্যপুস্তক থেকে অনেকটাই আলাদা। কীভাবে এদের মিলন ঘটিয়ে দু’পয়সা করা যায়, সেই চিন্তায় লন্ডন স্ট্রান্ড রোডের চারতলায় আমাদের ক্রেডিট গুরুরা নিমজ্জিত হয়ে আছেন। ব্যবসাবাণিজ্যের গতি মন্থর। আয় নগণ্য আর ব্যয় আকাশছোঁয়া। মস্কোর হোটেল ঘরের ভাড়া কম করে দিনে আড়াইশ’ ডলার, ঠিক সে সময়ে অর্ধেক খরচায় থেকেছি নিউ ইয়র্কের বার্কলে ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেলে। একদা বার্লিনে কাঁটাতার, ইটের দেওয়ালের এ’পার দেখেছে ও’পারের আলো, ও’পার দেখেছে অন্ধকার। আজ কোনো দেওয়াল নেই। আজ দু’টি বিভিন্ন আর্থিক ব্যবস্থা দাঁড়িয়েছে মুখোমুখি। এক সংঘর্ষ অনিবার্য।

    একটি ঘটনা খুব মনে পড়ে।



    ফ্রাঙ্কফুর্টার হোফ


    মার্চ, ১৯৯৫। ফ্রাঙ্কফুর্টের কোনো হোটেলে একটি পথসভা (রোড শো) চলছে। তার হোতা একটি বিখ্যাত জার্মান ব্যাঙ্ক। এক রাশিয়ান প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫০ লক্ষ ডলার সংগ্রহ করতে চান আন্তর্জাতিক বাজার থেকে। প্রথামত জার্মান ব্যাঙ্কের বক্তারা পরিচয় করিয়ে দিলেন সেই রাশিয়ান প্রতিষ্ঠানটির বোর্ড চেয়ারম্যান এবং সিইও-র সঙ্গে। তাঁরা দু’জন স্বল্পভাষী, ইংরেজিতে স্পষ্টত অস্বচ্ছন্দ। আয়োজক জার্মান ব্যাঙ্ক এবং সমাগত আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্কারদের ধন্যবাদ জানালেন – তাঁরা সভায় এসেছেন, এই প্রকল্পে ঋণ দানের বিষয়টি বিবেচনা করছেন বলে। কোম্পানির শীর্ষ আধিকারিকদের কাছে এর বেশি আশা করা যায় না। তাঁদের ভাষণের পরে উঠলেন তাতিয়ানা, তিনি সেই কোম্পানির ফাইনান্সিয়াল ডিরেক্টর। ইংরেজি ও জার্মান দু’ভাষায় তিনি সমান দক্ষ বলে শুনেছি। ভাষণটি বাধাহীন ইংরেজিতে দিলেন।

    সম্ভাব্য ঋণদাতারা জানতে চান কোম্পানির অর্থনৈতিক খুঁটিনাটি, বিগত ট্র্যাক রেকর্ড ও ভবিষ্যতের যাত্রাপথ সম্বন্ধে কিছু বাণী। এই কোম্পানির ইতিহাস তিন বছরের পুরনো। তার আগে এটি ছিল সোভিয়েত সরকারের একটি বিভাগ মাত্র। সেখানে ছিল না কারো কোনো ব্যক্তিগত দায়িত্ব। সবাই ছিলেন সরকারি কর্মচারী। শেয়ার হোল্ডার নামক দানবের আবির্ভাব তখনও হয়নি, তাই আয়-ব্যয়ের হিসাবের দাবিদার ছিলেন না কেউ। তাতিয়ানা পেশ করলেন বিগত তিন বছরের আয়-ব্যয়, বাণিজ্যের সংখ্যানুক্রমিক বিবরণ, আগামী তিন বছরের পথচিত্র বা রোডম্যাপ। এরপর প্রশ্নোত্তরের আসর। কোম্পানির অফিসাররা কখনও বিদেশী কেন, দেশি ব্যাঙ্কের প্রশ্নের সামনাসামনি মোকাবিলা করেননি (দেশি ব্যাঙ্কের একমাত্র কাজ ছিল অর্থ সরবরাহ করা, এক ডিপার্টমেন্ট যেমন অন্য ডিপার্টমেন্টকে জিনিস পাঠায়)। এটা আমি অন্যান্য দেশেও, যেমন পোল্যান্ডের রোড-শোতে দেখেছি আগের বছরে, ভিয়েনাতে। নানান ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি চোখা চোখা প্রশ্ন করলেন – এই সংখ্যাগুলি পরীক্ষিত (অডিটেড) কিনা, কোনো বিদেশি সংস্থা তা করেছেন কিনা। তাতিয়ানা কোনোমতে তাল দিয়ে গেলেন। বোমাটি ফাটাল ডেকা ব্যাঙ্কের পিটার হফমান। সে আমার বহু দুষ্কর্মের সাগরেদ। মাইন্তসে তার বাড়িতে থেকেছি। রাইনের পাড়ে হেঁটেছি।

    পিটার বললে, “আপনার দেশের বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার তেমন বড় নয়। ধরুন আপনারা দেশে ভাল ব্যবসাবাণিজ্য চালালেন। ধার শোধ দেবার সময় আপনারা রুবলের গোছা কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ককে দিয়ে ডলারে পরিবর্তন করার অনুরোধ করলেন। তাঁরা যদি কোনো কারণে সেটি মান্য করতে অস্বীকার করেন, তাহলে আমাদের ডলার কী উপায়ে ফেরত পাব?”

    আমাদের ভাষায় মুদ্রা বিনিময়ের ঝুঁকি।

    তাতিয়ানা একবার আপন বোর্ড চেয়ারম্যান, একবার সিইও-কে নিরীক্ষণ করলেন। তাঁরা প্রস্তর মূর্তিবৎ বসে আছেন। নীরবতা বাঙ্ময়। উপায় না দেখে তিনি নিজের হাতে রাশ তুলে নিলেন। এ যাবৎ অনুষ্ঠান ইংরেজিতে চলছিল। এবার পিটারের চোখে চোখ রেখে পরিষ্কার জার্মানে বললেন, “সে ধরনের কোনো পরিস্থিতি যদি দেখা দেয়, আমরা নিজেদের দেউলিয়া বলে ঘোষণা করব। আমাদের ব্যবসা (ইস্পাত) দেশের ও রাষ্ট্রের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকার তখন এগিয়ে এসে এ সমস্যা সমাধানে সহায়তা করবেন – আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ককে বিদেশী মুদ্রা সরবরাহ করার নির্দেশ দেবেন, যা থেকে আমাদের ঋণ শোধ হবে। অতএব এ বিষয়ে আপনাদের ঋণ দাতাদের, কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয়”।

    ফ্রাঙ্কফুর্টার হোফ হোটেলের সভাগৃহে সমবেত ব্যাঙ্কিং মাতব্বরদের নীরবতা সহজেই অনুমেয়।

    চোখের সামনে দুই পৃথিবীর সংঘর্ষ দেখছি। সত্তর বছর দু’টি বিভিন্ন আর্থিক ও সামাজিক ব্যবস্থা আপন গতিতে, আপন নিশানায় চলেছে। দু’টি সমান্তরাল রেখায়। কোনটা সঠিক, কোনটা বেঠিক – তার মীমাংসা হয়নি। কোনোদিন হবে কিনা সন্দেহ। মাঝেসাঝে দেখা হয়েছে এ পাড়া – সে পাড়ায়। কখনো একই বেড়ার অন্যদিকে, যেমন পূর্ব আর পশ্চিম বার্লিনে। সরাসরি আর্থিক আদান প্রদান কিছু হয়েছে। তবে সেটা একেবারে সরকারী স্তরে। ব্যবসায়ে লাভক্ষতির তর্ক যে এক নিতান্ত ধনতান্ত্রিক ব্যারাম, তা বুঝে নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি কমিউনিস্ট সরকার। আমরা যে সিলেবাসের কেতাব পড়ে মাঠে নেমেছি, সেটা প্রতিপক্ষ পড়েননি। তাহলে খেলাটা হবে কোন আইনে? আমাদের এগারো জন। ওঁরা কি আঠারো জন নিয়ে নামবেন? রেফারি কাদের?


    ক্রমশ...

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ২৭ আগস্ট ২০২২ | ২৫৬১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Ranjan Roy | ২৮ আগস্ট ২০২২ ১১:২৭511431
  • খুব ইন্টারেস্টিং। আগামী কিস্তির অপেক্ষায়।
  • হীরেন সিংহরায় | ২৮ আগস্ট ২০২২ ১১:৩৮511433
  • ধন্যবাদ ।  নতুন বাজার ধরার স্বার্থপর উচ্ছ্বাসে আমরা  কঠিন সত্য এবং অপ্রিয় তথ্যকে গালচের তলায় পাঠিয়েছিলাম।  পরের তিন বছরের ভেতরে রাশিয়ায় যা ঘটতে যাচ্ছে তার বহু ইঙ্গিত সামনেই ছিল । আমরা উপেক্ষা করেছি । জানি ব্যাংকিং ও অর্থনীতির কচকচিতে লেখাটা ভোরে উঠছে ।  উপায় নেই।  সেই দুরন্ত উন্মাদ সময়ের  এজাহার না দেওয়া অবধি  পৃথিবী থেকে   শেষ ফ্লাইটটা  নিতে পারছি না! 
  • যোষিতা | ২৮ আগস্ট ২০২২ ১২:৩৪511436
  • এই লেখাটায় এত বেশি ভুল তথ্য যে আর আপনার লেখায় কমেন্ট করব না। যে সময়টার কথা বলছেন সে সময়টা জুড়ে ঐ দেশে বাস করেছি ঐ রাস্তাগুলো আমার সমস্ত চেনা। ১৯৯০? রিয়েলি?
    নাহ্। আপনি লিখে যান। আর কিস্যু বলার নেই।
  • হীরেন সিংহরায় | ২৮ আগস্ট ২০২২ ১৩:২৯511440
  • তথ্যের গলতি জানালে বাধিত হবো ।
     
    আমি রাশিয়ায় বাস করি নি  , ব্যাংকিং ব্যবসা করেছি।  আপনি বহু দিন সে দেশে  কাটিয়েছেন। 
     
    যাদের নাম ও ঘটনা উল্লেখ করেছি ( কার্ল, স্টুয়ারট, পিটার হফমান, য়োখেন মলার , দিতমার    ) ঈশ্বরের আশীর্বাদে সকলে জীবিত আছেন ।আমি তাঁদের ইমেল দিতে পারি।  ম্যাকডোনালড মস্কো খোলা হয় জুন ১৯৯০ -তিরিশ  হাজার লোক লাইন দেয় প্রথম দিনে। যেমনটা মুরমানসক সেন্ট পিটারসবুরগে দেখেছি , তেমনি  খাবার যোগাড়ের   লাইন পড়েছে মস্কোতে ।আমি সেন্ট পিটারসবুরগ পর্বে লিখেছিলাম  কেমন ভাবে এক রবিবার পথের পাশে সম্ভ্রান্ত চেহারার মানুষকে  শেষ সুট বা ড্রেস বিক্রি করার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি।ছবি গুলি ফোটোশপ করা হয় নি।  
  • | ২৮ আগস্ট ২০২২ ১৪:০৬511441
  • ভীষণ আগ্রহোদ্দীপক। 
    'সশক্ত' বোধহয় বাংলা শব্দ নয়। লাইনের কথায় মনে পড়ল মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় দফায় চেকোশ্লোভাকিয়া বাসের সময় লিখেছেন চলতে চলতে লাইন দেখলেই তার পিছনে দাঁড়িয়ে পড়ার অভ্যেসের কথায়। কোথায় কী পাওয়া যাচ্ছে না জেনেই লোকে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে যাতে যাই মিলুক সেটা অন্তত সংগ্রহে থাকে যেন। 
     
    সম্প্রতি আপনার 'উত্তরের আলোয় ইউরোপ'  পড়ছি।  আর অল্প কয়েক পাতা বাকী আর কিছুক্ষণের মধ্যেই হয়ে যাবে। তো সেখানে আইসল্যান্ডের পতন এবং সেই সম্পর্কিত বিবরণ দুর্দান্ত লেগেছে। আইসল্যান্ডের সাব্গ্লেশিয়াল আগ্নেয়গিরি কাতলা আর উদার অকৃপণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ছাড়া আর বিশেষ কিছুই জানতাম না। 
    ডেনমার্কে পরে গিয়ে যেরকম সাইকেল দেখেছেন ঐরকম সাইকেল ব্যবস্থা পুণেতে চালু ছিল। ২০২১ এও কয়েকটা পড চালু ছিল।   লকডাউনের পুরোপুরি খোলার পরে এসে দেখছি আর নেই।  বিভিন্ন জায়গায় সাইকেল পড থাকত তাতে সাইকেল রাখা। বেশ গিয়ার টিয়ারওয়ালা ভাল সাইকেল। স্মার্টফোনে অ্যাপ নামিয়ে রেজিস্ট্রেশান করে রাখতে হত। এরপরে রিচার্জ করে করে দিব্বি এদিক ওদিক যাওয়া।  গন্তব্যে পৌঁছে সাইকেল পডে পার্ক করে রেখে চলে গেলেই হল। ফেরার সময় আবার আরেকটা আনলক করে চলতে থাকো। গ্রিন পুণে ইনিশিয়েটিভের অঙ্গ হিসেবে চালু হয়েছিল। এখন মেট্রোর কাজের জন্য সমস্ত উলোট্পালোট হয়ে আছে। আশা করি আবার চালু হবে। 
     
     
  • হীরেন সিংহরায় | ২৮ আগস্ট ২০২২ ১৪:৩৯511445
  • উত্তরের আলোয় অচেনা ইউরোপ বইটি পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।  আমি তরুণ ব্যাংকারদের সনির্বন্ধ অনুরোধ করে যাচ্ছি অন্তত আইসল্যান্ড অধ্যায়টি যেন দেখেন - যে টাকা ধার দেওয়া হলো সেটি কি খাতে ব্যয় হবে সেই প্রশ্ন করতে পশ্চিমের ব্যাংকাররা ভুলে গেছেন। রাশিয়াতেও ঠিক এমনি ঘটেছে।  ক্রমশ প্রকাশ্য । স্টেট অফ ইন্ডিয়ার ক্রেডিট গুরুরা যা শিখিয়েছিলেন পঞ্চাশ বছর আগে সেটিই সত্য । আজ কাল এবং পরশু। 
     
    ডেনমার্কের মতন পডে রাখা বাইক আজ ইউরোপের প্রায় সব বড়ো শহরে চালু । পুনের ধারায় । 
    সশক্ত হয়তো তেমন শক্ত নয়! সংসদ দেখি একবার। 
  • নীলু | 117.226.221.255 | ২৮ আগস্ট ২০২২ ১৫:০৮511447
  • উত্তরের আলোয় অচেনা ইউরোপ বইটি কলেজ স্ট্রীটে কোন দোকানে পাব? 
  • হীরেন সিংহরায় | ২৮ আগস্ট ২০২২ ১৫:২৫511448
  • দে পাবলিকেশন বা আদি দে বুক স্টোর বা দেজ 
    ১৩ বংকিম চট্টোপাধ্যায় স্ট্রিট 
     
    তপন দে 83350 32545
     
    অথবা 
     
    কলেজ স্ট্রিট ডট নেট 
     রাধাকানত সরদার 
     
    96358 07228
  • dc | 2401:4900:1cd1:a862:a07c:584:6b6:90ad | ২৮ আগস্ট ২০২২ ১৫:৩৩511450
  • হীরেনবাবুর অন্য লেখাগুলোর মতোই পড়তে ভালো লাগলো। আর "ব্যাংকিং ও অর্থনীতির কচকচি" তো একেবারেই মনে হলো না, বরং এক টুকরো লিভড এক্সপিরিয়েনস পড়লাম মনে হলো। আর রাশিয়ার (বা ​​​​​​​সেই ​​​​​​​সময়ের ইউএসএসআর এর) কিউ ​​​​​​​নিয়ে ​​​​​​​অনেক ​​​​​​​জোক ​​​​​​​তো ​​​​​​​আগেও ​​​​​​​পড়েছি। ​​​​​​​
     
    আশির দশকের শেষে কমিউনিস্ট অর্থনীতি আর ওয়ে অফ লাইফ বিপর্যস্ত হয়ে পড়া আর তৎকালীন ইউএসএসআর ভেঙে যাওয়া - এই পিরিয়ডটা খুবই ইন্টারেস্টিং। এগুলো নিয়ে আগেও কিছু কিছু পড়েছি বা নানান ডকু দেখেছি, এই লেখাটাতেও সেরকম বিবরণ আবার পড়লাম। 
  • | ২৮ আগস্ট ২০২২ ১৫:৩৫511451
  • @নীলু, আমি রিডবেংগলিবুকস থেকে নিয়েছি। গুরুতে যে বিজ্ঞাপন আসে তার থেকে ২০-কম দাম ছিল আর সার্ভিস একদম মাখন।  Readbengalibooks.com 
  • হীরেন সিংহরায় | ২৮ আগস্ট ২০২২ ১৬:১৯511452
  • শ্রী দ 
     
    আপনার কথা ঠিক বলেছেন। সশক্ত বাংলা শব্দ নয়। বদলাতে হবে। 
     
    ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ 
  • Ranjan Roy | ২৮ আগস্ট ২০২২ ১৬:৪৮511453
  • মরেছে! আমিও হিন্দির প্রভাবে "সশক্ত" শব্দ ব্যবহার করি। আজ থেকে শুধরে নেবো।ঃ))
    দ'কে আরো ধন্যবাদ ওই Readbengalibooks.com এর সুলুক সন্ধানের জন্য।
  • গবু | 103.42.173.138 | ২৮ আগস্ট ২০২২ ১৭:১৮511454
  • এই সিরিজটার অপেক্ষায় থাকি।
     
    আর শেষ ফ্লাইট এখন নেই, বালাই ষাট!!
  • নীলু | 117.226.221.255 | ২৯ আগস্ট ২০২২ ০১:৩৯511469
  • বইয়ের খবর দেওয়ার জন্য 'দ' এবং 'হীরেন সিংহরায়' কে ধন্যবাদ।
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৯ আগস্ট ২০২২ ০৩:৫৫511470
  • একটা কোশ্নো ছিল। সোভিয়েত ভাঙার আগে যদ্দুর জানি রুবল রেস্ট্রিক্টেড ট্রেডেড কার্রেন্সি ছিল। রাশিয়ান সরকার থেকে ডলার-রুবল এক্সচেঞ্জ রেট ফিক্সড করে রাখা হতো , কিন্তু ব্ল্যাক মার্কেটে সম্ভবত তার দশপনেরো গুন দাম দিয়ে লোকে চোরাই ডলার কিনতো। 
     
    সোভিয়েত ভাঙার পরে কি রুবল ফ্রি মার্কেট কারেন্সী তে কনভার্ট হয়েছিল ? তখন আমেরিকান ব্যাঙ্ক গুলো ডলারে লোন দিলে কি টার্মস থাকতো একমাত্র ডলারেই শোধ দিতে হবে ? নাকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে একটা এক্সচেঞ্জ রেট এগ্রিমেন্ট করা হতো ? 
     
    এই ফিক্সড রুবল-রুপি ​​​​​​​এক্সচেঞ্জ ​​​​​​​রেট ​​​​​​​দিয়ে ​​​​​​​প্রচুর ​​​​​​​রাশিয়ান ​​​​​​​আর্মস ​​​​​​​ইত্যাদি একগাদা ​​​​​​​দামে ​​​​​​​ইন্ডিয়া ​​​​​​​কিনেছে যেগুলো হয়তো ফ্রি মার্কেট ডলার এক্সচেঞ্জ ​​​​​​​হলে ​​​​​​​হয়তো হাফ ​​​​​​​বা ​​​​​​​কোয়ার্টার ​​​​​​​দামে ​​​​​​​পাওয়া ​​​​​​​যেত। যদিও এটাও ঠিক যে ৬০-৯০ এর কোল্ড ওয়ার জেওপলিটিক এর সময় ইন্ডিয়াকে কোনো ওয়েস্টার্ন দেশ আর্মস বেচতো না। দাম এর দিকটা ছেড়ে দিলে একমাত্তর রাশিয়াই ইন্ডিয়ার পাশে ছিল সবসময়। 
  • dc | 2401:4900:1f2a:5536:bcc6:e02f:defb:8079 | ২৯ আগস্ট ২০২২ ০৭:১৩511471
  • রাশিয়ার সেন্ট্রাল ব্যাংক তো ম্যানেজড ফ্লোট পলিসি মেনটেন করে, মানে একটা রেঞ্জের মধ্যে রাখে। তবে কিনা এতোবার এক্সটার্নাল শক এসেছে যে বাস্তবে প্রায় ফিক্সড রেটে পরিবর্তিত হয়ে গেছে। যেহেতু রাশিয়ান ইকোনমি ইনহারেন্টলি উইক, তাই ব্যাংক অফ রাশিয়া ছেড়ে দিলে হুহু করে পড়ে যাবে।  
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৯ আগস্ট ২০২২ ০৭:৩০511473
  • এই সিরিজটা মন দিয়ে পড়ি। খুবই সাগ্রহে।
  • হীরেন সিংহরায় | ২৯ আগস্ট ২০২২ ১৩:৩১511481
  • অমিত 
     
    আপনার প্রথম দুটো প্রশ্নের উত্তর পাবেন আগামী পর্বে । 
     
    বাঁধা বিনিময় দরে রুপী রুবল ট্রেড আমাদের পক্ষে রাশিয়ান অস্ত্র কেনার সুরাহা করেছে হয়তো । অন্যদিকে এটাও জানা যায় যে রাশিয়ানরা ওই বাঁধা দরে ভারতীয় চা কিনে চেক পোল্যান্ড হাঙ্গেরি ইত্যাদি কমিকন  দেশে ডলারে বেচেছে। এর ফল হল দুটো- আমাদের সরাসরি বিক্রি কমল এবং রাশিয়ানরা বাঁধা রুবল দরে চা কিনে হার্ড কারেন্সি কামালো । 
  • হীরেন সিংহরায় | ২৯ আগস্ট ২০২২ ১৩:৪৫511482
  • ডি সি 
    এক্কেবারে ঠিক বলেছেন। তবে এবার এই যুদ্ধের মধ্যে ডলার রুবলের সেই রেঞ্জকে ১০২ ( ২ মার্চ ) থেকে ৬৫ ( ১৯ আগস্ট ) অবধি ঘোরাফেরা করতে দেখলাম। এটাই  আপনার ওই মানেজড ফ্লোটের কারিকুরি ! বত্রিশ বছর আগে যখন এ বাজারে উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছি তখন কিছু দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ককে  ( যেমন পোল্যান্ড) রোলিং পেগ বা পূর্ব নির্ধারিত ফ্লোট  পদ্ধতি অনুসরণ করতে দেখেছি - জলোতি ( Zloty) প্রতি মাসে দেড় শতাংশ নিচে নামতো। এর ফলে আমাদের ফোরকাস্টিং সহজ হয়েছে,   Zlotyর কোন আকস্মিক অধঃপতন হয় নি। একই সময়  চেক করুনা প্রায় বাঁধা ছিল ৩২ এ । ফলে বাজার ঘুরে যাবার পরে চেক করুনা একটা প্রকাণ্ড ধাক্কা খায় ফল ব্যাংকিং বিপর্যয় । 
     
    কতো গপ্প যে করার আছে । আপনাদের প্রশ্ন এবং মন্তব্য আমাকে উৎসাহিত করে। 
  • dc | 2401:4900:232c:6eaa:d9f7:4df5:edb8:2479 | ২৯ আগস্ট ২০২২ ১৪:৪০511483
  • হীরেন বাবু, জলোতি বা করুনার কথা জানতাম না, ধন্যবাদ। 
     
    আর ফিক্সেড রেট, ফুল ফ্লোট, ম্যানেজড ফ্লোট ইত্যাদির কতোরকম যে থিওরি আর প্র‌্যাক্টিস আছে সে তো আপনি জানেনই। সত্যিই, গল্পের কোন শেষ নেই :-)
  • Kishore Ghosal | ২৯ আগস্ট ২০২২ ১৬:৫৬511486
  • দুর্দান্ত লেখা স্যার। আপনি যে বিষয় নিয়ে লিখছেন - অর্থাৎ ব্যাংকিং এবং প্রত্যেকটি দেশের কারেন্সি পোটেনশিয়ালিটি - সেগুলি সম্বন্ধে আমার বিন্দুমাত্র ধারণা ছিল না, তাও এতই ইন্টারেস্টিং লাগল - সে শুধু আপনার লেখার গুণে। 
     
    হয়তো  এই বয়সে কোন কাজে লাগবে না, তবু জানার ইচ্ছেটা রয়ে যাচ্ছে যে!
  • Kishore Ghosal | ২৯ আগস্ট ২০২২ ১৭:৪৭511487
  • "এবার একটি সশক্ত কাঠের দরোজা" - সশক্ত শব্দটি বাংলায় অপ্রচলিত - এর পরিবর্তে আপনাকে লিখতে হবে শক্তপোক্ত বা মজবুত কাঠের দরোজা। কিন্তু সশক্ততেও ক্ষতি কি? অর্থ বুঝতে কোন অসুবিধে তো হল না - বরং অশক্ত শব্দের বিপরীতার্থক একটা নতুন শব্দ পাওয়া গেল। সশক্ত-র ব্যাসবাক্য এমন করাই যায় - শক্তির সহিত  বা শক্তিসহ, বিপরীতে অশক্তর ব্যাস বাক্য - শক্তির অভাব।  নতুন এই শব্দটি বাংলায় প্রচলন করলে ক্ষতি কি?    
  • | ২৯ আগস্ট ২০২২ ১৮:৫০511489
  • "২৮ আগস্ট ২০২২ ১৬:১৯511452
    শ্রী দ 
     
    আপনার কথা ঠিক বলেছেন। সশক্ত বাংলা শব্দ নয়। বদলাতে হবে। "
     
    হ্যাঁ হীরেনবাবু, সশক্ত হিন্দি শব্দ। উধার'ও হিন্দি।  অচেনা ইউরোপ  বইয়ে এই দুটো শব্দই ব্যবহার হয়েছে। সশক্ত করমর্দন, সিন্দুক ইত্যাদি। উধার নেওয়া। smiley
    তো এর বদলে বাংলা শব্দ ব্যবহার করাই যায়। ধার নেওয়া,  সজোরে করপমর্দন, শক্তপোক্ত সিন্দুক ইত্যাদি। যেখানে প্রচলিত বাংলা শব্দ আছে সেখানে হিন্দীর ব্যবহার দেখতে ভাল লাগে না আর কি। 
     
    অনেক ধন্যবাদ সহজেই মেনে নেবার জন্য। 
  • | ২৯ আগস্ট ২০২২ ১৮:৫১511490
  • *সজোরে করমর্দন 
  • Amit | 121.200.237.26 | ৩১ আগস্ট ২০২২ ০৫:১৫511527
  • ভাবলাম এখানেই লিখে যাই। আজকে মিখাইল গর্বাচেভ মারা গেলেন হসপিটালে। বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। 
     
    অদ্ভুত ওঠা পড়া নিয়ে লোকটার জীবন। কমিউনিজম এর শেকল থেকে প্রায় একা হাতে সোভিয়েত কে বের করে আনলো। ১৯-২০ টা দেশ ফ্রিডম পেলো রাশিয়ান ভাল্লুকের কবল থেকে। বার্লিন ওয়াল ভেঙে গেলো। কোল্ড ওয়ার থেমে গেলো। দ্বিতীয় বিশ্ব যাকে বলা হতো সেটার অস্তিত্বই প্রায় মুছে গেলো  মাত্তর কয়েক বছরে। 
     
    আবার তার বেঁচে থাকার সময়কালেই রাশিয়ায় ম্যাসিভ ইকোনমিক কায়স। রাইস অফ দা মাফিয়া ইকোনমি। আরো কয়েক বছরের মধ্যেই পুতিনের আমলে রাশিয়া আবার আগের মতো অটোক্রাটিক সিস্টেম এ ফেরত আসা। আবার কোল্ড ওয়ার ফিরে আসা। এই সাইকেল কে কিভাবে এক্সপ্লেন করা যায় জানিনা। 
     
  • হীরেন সিংহরায় | ৩১ আগস্ট ২০২২ ১১:২০511529
  • অমিত 
     
    সম্পূর্ণ একমত! 
     
    আজকের লন্ডন টাইমস এক্কেবারে একই কথা লিখেছে 
     
    In death, Mikhael Gorbachev, the last Soviet leader, is hailed in the West as the man who precipitated the collapse of Soviet Communism and ended the Cold War.
    Yet at home he is reviled as the man responsible for what Vladimir Putin called the “greatest geopolitical catastrophe of the century”, the break-up of the Soviet empire, a Russian source of shame that this invasion of Ukraine was meant to begin to undo.
  • dc | 2401:4900:1cd0:86fb:b0e4:7ab2:210a:ca53 | ৩১ আগস্ট ২০২২ ১২:৫২511530
  • আমার মনে হয় গর্বাচেভ, বা ওনার জায়গায় যিনিই থাকতেন, তাঁকে রিফর্ম করার ডিসিশান নিতেই হতো। কারন ততোদিনে কমিউনিস্ট ইকোনমিক মডেল পুরোপুরি ফেল করে গেছিল আর সোভিয়েত ইউনিয়ন ফাইন্যানসিয়ালি কোল্যাপ্স করতে শুরু করেছিল। সমস্ত কিছুর ওপর সরকারি কন্ট্রোলের ফলে সোশ্যাল মডেলটাও ফেল করে গেছিল। কাজেই সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়া অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছিল। গর্ভাচেভ জাস্ট হ্যাপেনড টু বি দ্য ফল গাই। 
  • হীরেন সিংহরায় | ৩১ আগস্ট ২০২২ ১৪:৪৮511531
  • সেটাও তেমনি সত্য । বাজারি অর্থনীতির চোখে দেখেছি - মনে হয়েছে অংকটা মেলে না! বাডি ভেংগে পড়াটা অবধারিত পরিণতি! পরবর্তী পর্ব পড়ুন !
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ৩১ আগস্ট ২০২২ ২১:০৯511536
  • dc | 2401:4900:1cd0:86fb:b0e4:7ab2:210a:ca53 | ৩১ আগস্ট ২০২২ ১২:৫২
     
    আমারও সেই রকমই মনে হয়।
  • Amit | 121.200.237.26 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৫:১৫511544
  • ফল গাই টাই বলে আলাদা কিছু হয়না। সব কিছুই দুনিয়ায় অনেক ফ্যাক্টর্স একসাথে কাজ করলে জাস্ট ঘটে যায়। নট রিপিটেবল। টিপিক্যাল বাটারফ্লাই ইফেক্ট। তার মধ্যেও ইন্ডিভিজুয়াল অ্যাকশন বা ডিসিশন অনেক ইম্পরট্যান্ট রোল প্লে করে যেটা সেই পসিশন এ অন্য কেও থাকলে অন্য রকম হতেই পারতো। তাতে তেনার কৃতিত্ব বা এফোর্ট কিছু কম হয়না। 
     
    যেমন আজকে জেলেনস্কি নিশ্চয় পারতো ল্যাজ গুটিয়ে পুতিনের কাছে সারেন্ডার করতে ? অনেক লোকের প্রাণ বেঁচে যেত। রেফিউজি ক্রাইসিস এড়ানো যেত। এবার তার জায়গায় অন্য কেও থাকলে সেটাই করতো কি না বা ইউক্রেন যে এতটা ক্ষতি স্বীকার করে লড়াই করে যাচ্ছে তাতে দেশটার ইকোনমিক হাল কি দাঁড়াবে দশ বছর পরে , যদি ইকোনমি ভেঙে পরে তখনও ইউক্রেনের লোকেরা এই লড়াইকে একনলেজ করবে কিনা নাকি ওকেই ব্লেম করবে গোয়ার্তুমির জন্যে সেটা কেউ আজকে বলতে পারে না- এ সমস্তই অজস্র প্রোবাবিলিটি র মধ্যে জাস্ট কয়েকটা মাত্র ।  তাতে এই মুহূর্তে জেলেনস্কির ক্রেডিট কম হয়না। গান্ধী অনশন করে ব্রিটিশ দের চাপ দিতে সফল হয়েছিল মানে এই নয় যে একই ট্যাকটিকস নাত্সি বা তালিবান দের সাথে কাজে আসতো। হতেও পারতো আবার নাও পারতো- তার মানে এই নয় যে তার ক্রেডিট কিছু কমে যাচ্ছে। ইট জাস্ট রাইটলি ক্লিকড এট দ্যাট পার্টিকুলার সার্কাম্সিটান্সেস। 
     
    আমি নিজেই দেখেছি যে নেলসন ম্যান্ডেলা সাউথ আফ্রিকা যখন স্বাধীন হলো (অপার্থেইড তুলে দেওয়া হলো ) তখন তিনি দেশের লোকের কাছে সুপার হিরো। তার ১২ বছর বাদে যখন আমি যাই , দেশের ইকোনমির হালত খারাপ - লোকে ওপেনলি গালাগাল করছে ওনাকে (ইনক্লুডিং ব্ল্যাক এবং ইন্ডিয়ান রা)  দেশটার এমন হাল বানানোর জন্যে। 
     
    তেমনই রাশিয়ার কমুনিস্ট ইকোনমি ভেঙে পড়ার হলেও সেই সময় গর্বাচেভ যেসব ডিসিশন নিয়েছিল সেটার ক্রেডিট তাকেই দিতে হয়। সেখানে ওল্ড স্কুল কমুনিস্ট কেউ থাকলে সে হয়তো ভেঙে পড়তেই দিতো - দেশটাকে সিভিল ওয়ার এর দিকে ঠেলে দিতে পারতো-সেগুলোও  পসিবল প্রোবাবিলিটির মধ্যে পরে। গ্লোবালি খুঁজলে তেমন অনেক এক্সাম্পল ও পাওয়া যায়। যে সময় যা ঘটেছে সেটার ক্রেডিট বা ব্লেম যারা ছিল তাদেরই। 
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন