এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  বইপত্তর

  • বাঙালী লেখকের সাহস / প্রবুদ্ধসুন্দর করের কবিতা 

    সিএস লেখকের গ্রাহক হোন
    বইপত্তর | ০৯ আগস্ট ২০২২ | ৮৩৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • এক সময়ে ভেবেছিলাম, একটি সিরিজ লিখব, অপঠিত, অফবিট বাঙালী লেখকদের নিয়ে, বাঙালী লেখকের সাহস নামে। সুমন যেমন গেয়েছিলেন, 'কত কবি মরে গেল চুপি চুপি একা একা', না ঠিক সেইরকম কবিদের কথা নয়, কারণ কোন কবি একেবারেই চুপি চুপি একা মরে যায় না বলে মনে করি, কিছু প্রাপ্তি তার ঘটে বন্ধুদের বা অল্প কিছু পাঠকদের থেকে। কিন্তু অনেক লেখক বা বইই অল্পপঠিত থেকে যায়,  লেখকরা নিশ্চয় সেরকম চাননি, আশা করেছিলেন আরো কিছু পাঠকভাগ্য ঘটবে, নিতান্তই বন্ধুদের মধ্যে শুধুমাত্র পরিচিত হয়ে তার লেখাগুলো থেকে যাবে না। 
     
    তো ইদানীং এখানে প্রবুদ্ধসুন্দর করকে নিয়ে লেখাপত্র প্রকাশের পরে সিরিজটা শুরু করার  কথা মনে পড়ল। অল্প কিছুই লেখা হবে হয়ত , নোটস মাত্র, ব্যক্তিগত ধারণা, প্রবন্ধ নয়। 
     
    ১। 
     
    প্রবুদ্ধসুন্দরকে নিয়ে লেখাগুলো পড়তে গিয়ে দেখলাম, বিভিন্ন জনেই লিখেছেন ওনার বইপ্ত্রের আকালের কথা বা পশ্চিমবঙ্গের বাইরের লেখকদের অপঠিত থাকার কথা। মনে হল, একেবারে আকাল কিন্তু নয়, এই বাংলায় বসেও নয়। ত্রিপুরার 'অক্ষর প্রকাশনা' থেকে তো প্রবুদ্ধসুন্দরের বই আছে, দুটি কবিতার বই তো সেখান থেকেই কিনেছিলাম, বইমেলায়। একটি গদ্যের বইও দেখেছিলাম মনে আছে। গত এক-্দুই বছর জুড়ে আত্মস্মৃতিমূলক একটি লেখা লিখেছিলেন, দারুহরিদ্রা নামক ওয়েব ম্যাগাজীনে, সেটিও মনে হয় বই হয়েছে । এখন ব্যাপার হল, অক্ষর -এর স্টল তো ফাঁকাই যায় বইমেলায়,  যখনই ঢুকেছি, এবং প্রতিবারের বইমেলাতেই ঢুকি, দু - চারজনের বেশী তো লোক দেখি না, অথচ বাংলাদেশ বা পশ্চিমবঙ্গ বাদ দিয়ে বাংলা লেখালেখির যোগান তো ঐ প্রকাশনাতেই। হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের পাঠকের কাছে বাংলা লেখা মানে এই বাংলায় আর বাংলাদেশের, আসাম - ত্রিপুরা, শিলচর - আগরতলার লেখকদের কথা সে জানে না, বা খুব কম পাঠকই জানে, যারা জানে তারা এখানে সেখানে ঢুঁ মারে, খুঁজে বার করে বইপত্তর, লেখকের নাম আগে থেকে না জেনেও একটি বই তুলে নিয়ে পাতা উল্টে লেখার টানে সে বই হস্তগত করে। এর সমাধান কীভাবে হবে জানা নেই;  বিজ্ঞাপণ বা ফেসবুক দিয়ে কী এই সমস্যার সুরাহা হবে যে, এইসব লেখালেখি যা কলকাতা বইমেলাতে প্রায় এককোণেই পড়ে থাকল সেগুলো বেশী সংখ্যক পাঠকের কাছে কীভাবে পৌঁছবে ? 
     
    তো এই বিষয়ের সাথেই প্রবুদ্ধসুন্দর করের আত্মবিষ বইটির উৎসর্গপত্রটি যুক্ত করে দেখি। বইটি উৎসর্গ করা হয়েছিল উত্তরপূর্বের পনেরোজন কবি - লেখককে, শক্তিপদ ব্রক্ষ্মচারী, বীরেন্দ্রনাথ রক্ষিত, রণজিৎ দাস, অমিতাভ দেব চৌধুরী, পল্লব ভট্টাচার্য সুদ্ধ। তো এই উৎসর্গটি দেখে মনে হয়েছিল প্রবুদ্ধসুন্দর নিজেকে উত্তর - পূর্বের লেখকযুথের অংশ হিসেবেই দেখেছিলেন এবং যেন পাঠককে এইসব লেখকদের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। মনে হয়েছিল উত্তর - পূর্বের বাঙালী লেখকদের ক্রাইসিসই হয়ত তাদের বাধ্য করে এক জোট হওয়াতে;  প্রবুদ্ধসুন্দরের কবিতায় এমনই এক মধ্যবিত্ত, 'প্রতিকবিতা' রচনাকারী কবির ক্রাইসিস ছড়িয়ে আছে ( 'হুইস্কির গ্লাসেই চুমুক দিয়েই আজ আবিষ্কার করা গেল / এই রাজ্যে আমরাও কিছু লিখে টিখে থাকি' ), যে ক্রাইসিস দৈনন্দিন নিয়ে, যেখানে বাস করেন সেই স্থান নিয়ে, দাম্পত্য - বন্ধুত্ব - সম্পর্ক নিয়ে, বাংলা ভাষা নিয়ে এবং বাংলা কবিতা নিয়ে। এইসব ক্রাইসিস থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় হয়ত লেখকযূথ তৈরী করা, উত্তর-পূর্বের লেখকদের 'দুই ' বাংলায় অপঠিত থেকে যাওয়ার ক্রাইসিস থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় হয়ত লেখকদের নামের একত্রীকরণ করা, আত্মবিষ বইটির উৎসর্গটি আমি সেইভাবেই পড়েছিলাম।
     
    ২। 
     
    দীর্ঘদিন আগে , সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় এক লেখায় লিখেছিলেন, "সুনীল খুব স্মার্ট লেখে"। তো লেখার এই স্মার্টনেস, প্রবুদ্ধসুন্দরের কবিতায় ছড়িয়ে আছে, সমসাময়িক কবিদের মধ্যে যা ছিল রণজিৎ দাসের কবিতাতেও। স্মার্ট সেই কাব্যভাষার মধ্যেই প্রবুদ্ধসুন্দর চালান করেছিলেন ক্রাইসিসের রকমফের আর হয়তবা সেই ক্রাইসিস থেকেই তৈরী হওয়া শ্লেষ; শ্লেষের ব্যবহার ওনার কবিতার আইডেন্টিফিকেশন মার্ক যেন !  
     
    যেমন গাইড কবিতাটিতে পড়ি - 
     
    এখানে রাজার আস্তাবল ছিল । ঘোড়া ছিল । ছিল হ্রেষা ও সহিস । 
    এখন তো আগরতলা খচ্চরে ভরে গেছে। 
    কী বললেন ? হ্রেষা ? ওহ্হো , এক কথায় প্রকাশ পড়েননি ? 
    সেই যে ব্যাঙের ডাক মকমকি। ময়ূরের ডাক কেকা । 
    কুকুরের ডাক বুক্কণ । হাতির বৃংহণ। 
    তেমনি ঘোড়ার ডাক হচ্ছে হ্রেষা। 
     
    তবে, খচ্চরের ডাককে এক কথায় কী বলা হয় 
    তা অবশ্য আমাদের বাংলা ব্যকরণে নেই। 
     
    তো, আগরতলাতে জীবন কাটানো প্রবুদ্ধসুন্দরের সব কবিতাতেই আগরতলা ও ত্রিপুরা ছড়িয়ে আছে, সরাসরি বা আড়ালে, কখনও মনে হয় এও যেন বলা যায় যে প্রবুদ্ধসুন্দর তো আগরতলারই কবি, তো সেই আগরতলাকে নিয়ে ঠাট্টা করতে, শ্লেষবিদ্ধ করতে ওনার আঁটকায়নি। আবার, শ্লেষ থেকে ঈষৎ সরে এসে, পশ্চিম ত্রিপুরা নাম্ক কবিতায়ঃ 
     
    আমরা যেদিকে থাকি, সেইদিকে এই রাজ্যের সূর্যাস্ত হয়। 
     
    এই দিকে রাজধানী । মিশ্রসংস্কৃতি । উজ্জ্বয়ন্ত প্রাসাদ । 
    মেলারমাঠ। কোতোয়ালি । দৈনিক সংবাদ। মহিলা কমিশন। 
    বিশ্ববিদ্যালয় । দূরদর্শন । হরিগঙ্গা বসাক রোড । 
    আকাশবাণী । স্বশাসিত জেলাপরিষদ । মহকরণও এইদিকে । 
     
    আমরা এদিকেই থাকি, যেদিকে এই রাজ্যের সূর্য অস্ত যায়। 
     
    ৩। 
     
    ক্রাইসিসের কথা লিখেছিলাম। সেই ক্রাইসিস হয়ত তৈরী হয়েছিল মধ্যবিত্ত অস্তিত্ব থেকেই, সেই জীবনের টানাপোড়েন থেকে। আত্মবিষ বইয়ের চার পংক্তির প্রবেশক কবিতায় পড়ি - 
     
    বিপ্লবে অনাস্থা আছে বলে ক্ষমা কোরো 
    কখনোই মাড়াইনি প্রতিবিপ্লবের ছায়া 
    স্থিতাবস্থায় -ও বিশ্বাস নেই 
    প্রতিকবিতার  দিকে তাই সামান্য ঝুঁকেছি 
     
    ​রাজনীতি একটা আছে, কিন্তু কবিতার সেই রাজনীতি প্রথাগত বাম - ডানের রাজনীতি নয়, আবার কবি হিসেবে উৎসাহ হল কবিতায় ছক ভাঙা, অতএব প্রতিকবিতা লেখা , সেটাই রাজনীতি। মধ্যবিত্ত এক কবির যতখানি রাজনীতি সম্ভব, বিশেষ করে উনিশশ সত্তর পরবর্তী বাংলাভাষার এক কবির ক্ষেত্রে যা ঘটতে পারে;  এই অবস্থানটি ধরে থাকছেন ২০১০-এ যখন বইটি প্রকাশ হচ্ছে, সেই সময়েও। একজন কবি হিসেবে এই অবস্থান কিন্তু আর একরকম ক্রাইসিস তৈরী করে, ১৯৮০ - ৯০ সালের ত্রিপুরা - আগরতলায় , বামপন্থী রাজনীতির 'সুদিনে' যা ঘটে উঠতে পারে। বেশ কিছু কবিতায় সমসাময়িক রাজনীতির প্রতি, বামপন্থী রাজনীতির প্রতি এবং সেই রাজনীতি দ্বারা শিল্পসাহিত্য নিয়ন্ত্রণ করার দিকেও শ্লেষ ছড়িয়ে ছিল। 
     
    সামান্য ক্লাউন আমি, লবিপরবশ 
    ঝলমলে ট্রাউজার সহসা খসিয়ে 
    রুদ্ধশাস দর্শকের হর্ষধ্বনি শুনি 
    জাঙিয়াটি লাল বলে, দুমুঠো জোটাই । 
     
    ('নৈশশিষ'  বইয়ের 'সার্কাস 'নামক কবিতা থেকে )
     
    প্রসঙ্গত, বছরখানেক আগে, ফেসবুকে প্রবুদ্ধসুন্দর করের প্রোফাইল চোখে পড়েছিল, লক্ষ্য করেছিলাম বামপন্থী রাজনীতি এবং বিভিন্ন দেশে ও সময়ে শিল্পসাহিত্যর প্রতি বামপন্থী রাজনীতির মনোভাব নিয়ে লিখতেন, ছোট ছোট লেখা, ইতিহাসের অংশ যা। মনে হয়েছিল সমসাময়িক ত্রিপুরায় একজন বাঁকা পথের কবি হয়ে বামপন্থী রাজনীতির সাথে যে সংঘাত ঘটেছিল, সেখান থেকে তৈরী হওয়া ক্ষোভ থেকেই হয়তবা ঐসব লেখাগুলি। ত্রিপুরায় তখন রাজনৈতিক বদল ঘটে গেছে। 
     
    প্ররোচনামূলক আভা - গার্দ এক কবির এও এক ক্রাইসিস ! 
     
    ৪। 
     
    জীবনানন্দ দাস তো বরিশাল আর কলকাতার কবি, এইটুকু পরিচয়ই যথেষ্ট হয়ত। 
     
    চল্লিশ - পঞ্চাশ বছর পরের প্রবুদ্ধসুন্দর করকে  ত্রিপুরা বা আগরতলার বাংলা ভাষার কবি বলেই মনেই করি, সেরকমই তাঁর প্রধাণ পরিচয় বলে দেখি। একজন কবির যা হওয়া উচিত আর কী, স্থানিক থেকে আন্তর্জাতিক ! 
     
    'নন্দনকানন ' নামক কবিতায় বেশ সহজ ও  স্পষ্ট উচ্চারণে পড়ি, ত্রিপুরার বর্তমান থেকে উপ্ত হচ্ছিল যাঃ 
     
    ভাবো , একটি বার ভেবে দেখো।  নয়তো বারবার গৃহযুদ্ধ ছাড়া  এ  রাজ্যের আর কোনো ইতিহাস থাকবে না। 
     
    কিছু বিশদে লেখা ​​​​​​​হয়, ​​​​​​​'খুলি - আংটি' কবিতায় - 
     
    একদিন ঠিক লিখে ফেলব মাটি ও মানুষের কবিতা। ডেনকালির অরণ্য না লিখে লিখব জিওলছড়া ফরেস্ট। বেতালচূড়ো কেটে লিখব লংতরাই পাহাড়। এরপর আমবাসা থেকে সালেমার ভেতর দিয়ে ক্রমশঃ আভাঙ্গা ছুঁইয়ে ছোটো সুরমার দিকে বইয়ে দেব ধলাই নদী। যদি সন্ধ্যায় ফুটে ওঠে খুমপুই ফুল, বলব - পড়ো, এই-ই আঞ্চলিক কবিতা। 
     
    স্থানিক থেকে আন্তর্জাতিক হওয়ার কথা হয়ত আছে, 'রেলিং' নামের কবিতাটিতে -
     
    কোনও এক বিষণ্ণ বিকেলে 
    আস্তাবল ব্রিজকে, হয়তো ব্রুকলিন ভেবে দাঁড়িয়ে পড়েছ 
    তোমার ভেতর আলোড়িত করে এক তীব্র হার্ট ক্রেন
    ফিসফিসিয়ে উঠছে ঃ ঝাঁপ দাও, ঝাঁপ ....
     
    শুধু স্থানান্তরই নয়, কবিপ্রকৃতির বৈশিষ্ট্য হিসেবে যা লিখেছিলাম, স্মার্টনেস আর আধুনিক এক কবির ক্রাইসিস, দুই দিকই মিশে আছে এই চার লাইনের কবিতাটিতে ! 
     
    ৫। 
     
    বাংলা কবিতাকে প্রবুদ্ধসুন্দর জনস্থান মধ্যবর্তী এক ম্যাজিকস্থল হিসেবে কল্পনা করেছিলেন মনে হয়। ১৯৯০ - এর দশকে লেখা 'ইন্দ্রজাল কমিকস' বইটিতে - যেটি পরে 'আত্মবিষ' বইটির মধ্যে ঢুকে যাবে - কমিকসের চরিত্র ম্যানড্রেকের বাসস্থান জানাডুকে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল বাংলা কবিতার সাথে। কবি হলে যেন এইই ভবিতব্য, জীব্ন আর শিল্পের ফাঁদ পেরিয়ে, সম্মোহনকারী কবিতার দিকে প্ররোচিত হওয়া। 
     
    আমি জানি খুব কাছে গেলে ফটক খুলে যায়। এরপরও তো কত মায়াখাদ দুর্ধর্ষ পাঁচিল কোল্যাপ্সিবল গেট পেরিয়ে তোমার কাছে যেতে হয় - বলো সম্মোহন, বলো বাংলা কবিতা ? 
     
    নানা ​​​​​​​রকমের ​​​​​​​আলো - অন্ধকার ​​​​​​​পেরিয়ে, বাংলা ভাষা কবিতায় যেমন  -
     
    শিয়রের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বাংলাভাষা 
    ....
    ....
    তাকে কি বলব, শুধু আলো নয় 
    অনুভূতিদেশ থেকে কখনও কখনও অন্ধকার আসে ? 
     
    এই ​​​​​​​অন্ধকারই বিষ ​​​​​​​হয়ে ​​​​​​​ফুটে ​​​​​​​থাকে একাধিক ​​​​​​​কবিতায়। 
     
    রক্ত নয়, ছোপ ছোপ অশ্রুদাগ ধরে বিষাদস্পৃষ্ট আমাকে 

    আমিই শনাক্ত করে যাব আর প্ররোচিত প্রতিটি পংক্তির 

    মধ্যবর্তী শূন্যতায় লুকিয়ে রাখব তীব্র ছন্ন আত্মবিষ। 
     
    (সম্প্রচারিত ১৩টি লাইন কবিতা থেকে )

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • বইপত্তর | ০৯ আগস্ট ২০২২ | ৮৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ১০ আগস্ট ২০২২ ০৮:৩০510899
  • ভালো লেগেছে।  পড়ছি । আরও হোক। 
  • সম্বিৎ | ১০ আগস্ট ২০২২ ০৯:১০510900
  • খুব ভাল লাগছে।
  • সিএস | 103.99.156.98 | ১০ আগস্ট ২০২২ ১৭:৩৩510903
  • ধন্যবাদ সকলকে।
  • r2h | 165.1.172.196 | ১০ আগস্ট ২০২২ ১৮:৩৩510904
  • এই সিরিজটা শুক্রবারের কবিতায় পাতার জন্যে পাওয়া যায়?
    এক সঙ্গেও থাকলো, ধারাবাহিকও হলো, লেখার তাগাদার দরকার হলে সেও সময় মত দেওয়া যাবে।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:fc9a:8655:f9f1:deff | ১১ আগস্ট ২০২২ ০৬:৩১510910
  • সুন্দর। উপভোগ্য লেখা 
  • সুকি | 2409:4060:2181:467f::1b77:d0b0 | ১১ আগস্ট ২০২২ ০৭:৩২510912
  • এটা চলুক৷ সিরিয়াসলি কবিতা পড়া আর লেখার লোকজন কমে আসছে - ভরে উঠছে উপর চালাকি৷ তারই মাঝে এমন সব পাঠ আর লেখা ভরসা যোগায়৷ 
  • Ranjan Roy | ১১ আগস্ট ২০২২ ০৮:৩৩510916
  • ইয়েস, প্রতি শুক্রবার আগের মত কবিতার আসর বসুক। প্রবুদ্ধসুন্দর করের কবিতা দিয়েই শুরু হোক। সঙ্গে সুন্দর আলোচনাও চলুক। আর ওনার বই পাওয়ার সুলুক সন্ধান যদি দেওয়া যায়!
  • সিএস | 49.37.34.230 | ১১ আগস্ট ২০২২ ০৯:২৭510917
  • হুতো, হ্যাঁ, শুক্কুরবারের জন্য হতে পারে, যদিও আমি লেখাগুলো বা সিরিজটা শুধু কবিতার জন্য ভাবিনি। প্রতি শুক্কুরবারে লেখা একটু চাপ হতে পারে, তাগাদা - পেয়াদা তখন চেপে বসবে !

    রঞ্জনদা - কলকাতায়, ত্রিপুরার অক্ষর পাবলিকেশন - এর একটা দোকান আছে, কলেজ স্ট্রীট চত্ত্বরে, গোপাল মল্লিক লেনের ঠিকানা, সেখানে কিছু বই পাওয়া যেতে পারে।

    আবারও, সকলকে ধন্যবাদ, লেখাটার প্রসংসার জন্য।
  • একক | ১১ আগস্ট ২০২২ ১৩:১৯510918
  • নীট লেখা। হ্যাজ নাই, ফাঁপা কথা নাই। প্লিজ এটা শুক্কুরবারের পাতায় কন্টিনিউ করুন ঃ)। ওই পাতাটা করাই হয়েচিল কবিতা বিষয়ক লেখালেখির কথা ভেবে, শুধু কবিতা ছাপার জন্যে নয়। এরকম লেখা ওখানে সিরিজ হিসেবে থাকা জরুরি। 
  • Ranjan Roy | ১১ আগস্ট ২০২২ ১৩:৪০510920
  • ধন্যবাদ C S,
       কলকাতায় গেলে যাব।  
  • r2h | 208.127.71.78 | ১১ আগস্ট ২০২২ ২২:১৭510927
  • সিএস, শুক্রবার করেই হোক, কোন কোন পর্ব কবিতা না হয়ে কবিতার প্রতিবেশী বিষয়ক তো হবে! সাপ্তাহিক চাপ মনে হলে পাক্ষিক হতে পারে। স্বয়ংসম্পূর্ন পর্ব যেসব লেখায়, সেসবে নিয়ম একটু এলোমেলো হলে আমার তো তেমন অসুবিধে লাগে না। কিন্তু এই ধরনের একটা সিরিজ অনেকে অনেক বছর ধরে চেয়েছি গুরুর পাতায়।

    guruchandali জিমেলে পাঠিয়ে দিলে তুলে ফেলা যাবে; অথবা আমাকে sayankb-জিমেলে পাঠিয়ে দিলেও হবে। আমি অবশ্য সাম্প্রতিক স্থানান্তরজনিত কারনে কোন কাজ করছি না বেশ ক'দিন ধরে, খুব শিগ্গিরি নিয়মিত হবোও না, কিন্তু এইটা দেখে নিতে বা লেখাতুলিয়ে দলের কাছে সময় মত পাঠিয়ে দিতে পারবো।

    তাই, আমি বলি - হোক!
  • Abhyu | 97.81.101.181 | ২২ আগস্ট ২০২২ ১০:১৮511260
  • এই লেখাটা খুব ভালো লাগল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন