এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  উপন্যাস  শনিবারবেলা

  • কালো রামধনু - ১

    অভিজিত মজুমদার
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ২৫ জুন ২০২২ | ৩২২৬ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৭ জন)
  • সেভেন ট্যাঙ্কসের গলির মুখে পাওয়া গেলো মন্ত্রীর ছেলে তুহিন মিত্রের মৃতদেহ। মুম্বাইতে না গিয়ে মাঝরাতে টালা ট্যাঙ্কের কাছে কী করছিলো সে? ঘটনাচক্রে নিহত ব্যক্তি আবার সৌম্যর প্রেসি-র বন্ধু। কলকাতার গোয়েন্দা-জুটি সৌম্য-রজতের কীর্তিকলাপের গল্প, যাদের নিজেদের সম্পর্ক - গোয়েন্দা-জুটির থেকে অনেক বেশি কিছু ... রহস্য ও সম্পর্কের আশ্চর্য টানাপোড়েনের পরত খুলবে একে একে …পড়তে থাকুন অভিজিত মজুমদারের নতুন পাক্ষিক ধারাবাহিক, "কালো রামধনু।"
    মূল ছবি - cottonbro

    পর্ব এক



    সিগারেটটা ধরানোর আগে একবার আড়চোখে রজতকে দেখে নিল সৌম্য। ডাইনিং টেবিলে বসে ঘাড় ঝুঁকিয়ে একমনে শশা কাটছে। শশা কাটার প্রতি এতটাই মনোযোগ, যে দেখলে মনে হবে এই শশার কুচির দৈর্ঘ্য-প্রস্থের ওপর পৃথিবীর ভবিষ্যত নির্ভর করে আছে। সৌম্য জানে এটা আসলে শীতল যুদ্ধের লক্ষণ। ঝড়ের আগের থমথমে অবস্থা। যে কোনো সময় কালবৈশাখী এসে সব লণ্ডভণ্ড করে দিতে পারে।

    কাল রাতে একপ্রস্থ ঝগড়ার পর থেকে আপাতত কথা বন্ধ। এই গুমোট কতক্ষণ চলবে ও জানে না। তবে নিশ্চিত আরেক দফা কথা কাটাকাটি হওয়ার আগে এই মেঘ কাটবে না। মোটামুটি প্রতিবারই, রজতের মা – মানে সোহিনীদেবীর – এই ফ্ল্যাটে আসার আগে এটা ওদের ধরাবাঁধা রুটিন। তার মানে এই নয়, যে রজত চায় না সোহিনীদেবী এখানে আসুন। বরং উল্টো। নিজের মা না থাকায় সোহিনীদেবী এলে রজতের ভালই লাগে। কিন্তু উনি এলেই ওকে এই বাড়ি ছেড়ে বাবার কাছে চলে যেতে হয়, এটা ওর না-পসন্দ। নিজেকে কেমন অপাংক্তেয়, অচ্ছুৎ মনে হয়। সৌম্যই বা কী করতে পারে? বাবা অল্প বয়সে চলে যাওয়ার পর এই মা ওকে একা হাতে বড় করেছেন, পড়াশুনো করিয়েছেন। যদিও পেশায় স্কুল শিক্ষিকা, তবুও শহরের হাওয়া থেকে দূরে থাকা সোহিনীদেবী যে এই সম্পর্কটা মেনে নেবেন না, সে ব্যাপারে সৌম্য ষোলোআনা নিশ্চিত। তাই এই বয়সে মাকে আর কোনো ধাক্কা দিতে চায় না ও।

    এইসব সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে সৌম্য সবে সিগারেটটা ধরাতে যাবে, এমন সময় সেন্টার টেবিলের ওপর রাখা ফোনটা বেজে উঠল। ডিলানের “হাও মেনি রোডস মাস্ট আ ম্যান ওয়াক”। সৌম্যর খুব প্রিয় গান। রজতেরও। বিশেষত ওই লাইনগুলো,
    “And how many years can some people exist, before they’re allowed to be free? Yes, and how many times can a man turn his head and pretend that he just doesn’t see?”
    সত্যি আর কতদিন এইভাবে নিজেদের সম্পর্ককে পরিবার পরিজনের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখতে হবে কে জানে?

    সৌম্য ফোনটা তুলল। দিব্যেন্দুকাকু, মানে রজতের বাবার ফোন।
    “গুড মর্নিং, কাকু।”
    দিব্যেন্দুকাকু ওপার থেকে ভারী গলায় বললেন, “আর গুড মর্নিং। সকাল থেকে যা দৌড় চলছে।”
    - কেন কাকু? কী হল?
    - আর বল কেন? সকাল সকাল মিনিস্টার তুষার মিত্রর ছেলের বডি পাওয়া গেছে দমদম সেভেন ট্যাংকসের কাছে এক গলির মুখে। সেই নিয়ে চলছে তুলকালাম।
    - তুষার মিত্রর ছেলে? মানে তুহিন মিত্র?
    - তুমি চেন নাকি?
    - আমরা তো একসঙ্গে প্রেসিতে ছিলাম তিন বছর। রজতও কমবেশি চেনে। কী হয়েছিল? এনি ফাউল প্লে?
    - সেটা এখনও জানি না। তবে কিছু খটকা আছে। তাই তোমাকে ফোন করলাম।
    - কাকুর কি তবে ছেলে আর জামাইয়ের গোয়েন্দাগিরির ওপর একটু হলেও ভরসা হয়েছে?

    সৌম্যর প্রশ্নে অট্টহাস্য করে উঠলেন দিব্যেন্দুবাবু। তারপর বললেন, “অতটাও বিশ্বাস হয়নি যে একটা হোমিসাইডের কেস তোমাদের দেব। সে গুড়ে বালি। তোমাকে ফোন করলাম অন্য কারণে। আসলে কানাঘুষোতে শুনলাম যে ছেলেটি গে। এদিকে বাড়িতে বৌ-বাচ্চা আছে। যা তদন্ত করতে হবে সেটা পাঁচকান বাঁচিয়ে। তাই সরকারিভাবে এই গে অ্যাঙ্গেলকে বেশি নাড়াঘাঁটা করা যাবে না। বোঝই তো, সব রাজা-উজিরের ব্যপার। তো সেই কারণেই তোমাদের ফোন করা।”
    - গে খুনে গে গোয়েন্দা?
    আবারও হেসে উঠলেন দিব্যেন্দু। তারপর বললেন, “আসলে খুন কিনা, সেটাই এখনো জানা নেই। বাইরে তো কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই, শুধু পায়ের তলায় একটা আটকে থাকা কাচের টুকরো ছাড়া। দেখে মনে হচ্ছে সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। আজকাল তো হার্ট অ্যাটাক একেবারে জলভাত হয়ে গেছে। তবু পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট এলে শিওর হওয়া যাবে।”
    - তাহলে? এনি রিজন টু সাস্পেক্ট ফাউল প্লে?
    - আসলে একটা খটকা। তুষারবাবুর কথামত অফিসের কাজে ওর এখন মুম্বাই থাকার কথা। পরশু গেছে, আগামীকাল ফেরার বুকিং। তাহলে যার মুম্বাই থাকার কথা, সে টালা ট্যাংকের কাছে মাঝরাতে কী করছিল? তাও আবার কোনো লাগেজ ছাড়া? এদিকে অফিসের কথামত তুহিন নাকি পার্সোনাল কাজে মুম্বাই গেছে, অফিস এর কোনো কাজে নয়। কী পার্সোনাল কাজ – সেটা অফিসের লোকেরা জানে না। আরও দু’-একটা কনফিউশন আছে। সেগুলো না হয়, দেখা হলে বলব। তা তুমি আর রুপু আসবে নাকি একবার তুহিনের বাড়ি? আমি ওদিকেই যাবো বলে বের হচ্ছিলাম। ভাবলাম তোমাদেরও ডেকে নেই।

    একবার রজতের দিকে দেখল সৌম্য। ও এখনও এক মনে শশা কেটে যাচ্ছে। কিন্তু বসার ভঙ্গি দেখেই বোঝা যাচ্ছে, যে কানটা এদিকে খাড়া। বাবা আর পার্টনারের মধ্যে কী কথা হচ্ছে, সেটাই শুনছে।
    সৌম্য ফোনটা মুখ থেকে সরিয়ে বলল, “কাকু কল করেছেন। তুহিন, আমাদের সাথে প্রেসিতে পড়ত, ও আজ সকালে মারা গেছে। সেই ব্যপারেই কাকু আমাদের একটু হেল্প চান। যাবি?”
    রজত শুধু ছোট করে বলল, “হুঁ।”

    সৌম্য আবার ফোনটাকে কানে লাগিয়ে বলল, “ওকে কাকু, আমরা আসছি। কোথায় আসব বল। তোমার ওখানে লালবাজারে, না ডায়রেক্ট তুহিনদের বাড়িতে?
    দিব্যেন্দুবাবু বললেন, “ডায়রেক্ট ওখানেই চলে যা। আমি অ্যাড্রেস হোয়াটস্যাপ করে দিচ্ছি। আর হ্যাঁ, আবার ঝগড়া করেছিস?”
    সৌম্য কাকুর এই তুমি থেকে তুইতে চলে যাওয়াটা লক্ষ্য করল। কাকু এখনও তুমি আর তুইতে গুলিয়ে ফেলেন। ছোট্ট করে হেসে বলল, “হ্যাঁ কাকু। তুমি তো জানই।”
    “জানি তো বটেই। কিন্তু তুইও এবার তোর মাকে তোদের ব্যপারটা বলে দেওয়ার কথা ভাব। আমিও তাহলে ওঁকে বেয়ান বলে ডাকতে পারি। তুই কিন্তু আমাকেও বেয়ানসুখ থেকে বঞ্চিত করছিস।”

    সৌম্য একটু অপ্রস্তুত হেসে বলল, “হ্যাঁ, দেখি এইবার।” তারপর কথা ঘোরানোর জন্য জিজ্ঞাসা করল, “কখন পৌঁছতে হবে বল।”
    দিব্যেন্দুবাবু ঘড়ি দেখে বললেন, “এখন তো সাড়ে এগারোটা। তোরা তাহলে একটা নাগাদ পৌঁছো। তবে খেয়াল রাখিস, প্রচুর মিডিয়া থাকবে। ভুলেও কিছু বলিস না যেন।”
    - তুমি নিশ্চিন্ত থাক। আমরা দু’জন একটার আগে পৌঁছে তোমার জন্য ওয়েট করব। তুমি এলে তারপর ঢুকব।”
    - “ঠিক হ্যায়। আমি পৌঁছে কল করছি। রাখছি এখন।” দিব্যেন্দুবাবু কলটা কেটে দিলেন।
    সৌম্য হাতে ধরে রাখা সিগারেটটা জ্বালাল। তুহিন নেই, ভাবতেই কেমন অবিশ্বাস্য লাগছে। যদিও গত কয়েক বছর তেমন যোগাযোগ ছিল না, তবুও তুহিনকে আর কখনো চাইলেও দেখতে পাবে না, এটা ভাবতেই সৌম্যর মনটা ভারী হয়ে গেল। প্যানডেমিক শুরু হওয়ার পর থেকে কত চেনাজানা মানুষ যে এরকম দুম করে নেই হয়ে গেছে, তার হিসেব রাখা মুশকিল। কার যে ক’দিন পরমায়ু কে জানে।

    রজতকে পেছন থেকে গিয়ে জড়িয়ে ধরল সৌম্য। তারপর কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলল, “সরি। এবার মা এলে তোকে আর বাড়ি যেতে হবে না। তুই এখানেই থাকিস।”
    ***
    ওলায় বসে জানলার কাচটা নামিয়ে দিল সৌম্য। এমনিতেই এসি ওর পছন্দ নয়, তার ওপর এই প্যানডেমিকের সময় মনে হয় একটু খোলামেলা থাকাই ভাল। সৌম্য ভেবেছিল তুহিনদের বাড়ি যেতে যেতে ও রজতের সাথে মায়ের এখানে আসার ব্যপারটা নিয়ে একটু কথা বলে নেবে। সোহিনীদেবী রজতকে চেনেন সৌম্যর বন্ধু এবং ওদের ডিটেক্টিভ এজেন্সি সৌরলোকের পার্টনার হিসেবে। তিনি জানেন, যে কাজের প্রয়োজনে রজতকে প্রায়ই সৌম্যর বাড়ি থেকে যেতে হয়। তাই সৌম্যর বাড়িতে সব সময়ই রজতের জন্য স্পেয়ার টুথব্রাশ, জামাকাপড়, ঘরে পরার পায়জামা, চপ্পল ইত্যাদি থাকে। কিন্তু রজত আর সৌম্য যে কাজের পার্টনারের থেকেও বেশি কিছু, সেটা ওঁর জানা নেই। ফলে, সোহিনীদেবী কলকাতায় এলেই রজতকে কিছু দিনের জন্য পাততাড়ি গোটাতে হয়। এবং প্রতিবারই এই নিয়ে একটা মন কষাকষি হয়।

    কিন্তু সৌম্য কিছু কথা শুরু করার আগেই রজতের ফোন বেজে উঠল। মানসের নাম্বার। মানসকে ওরা দু’জনে মজা করে কমিউনিটির শোভা দে বলে। হেন কোনও খবর নেই যা মানসের কাছে অজানা। কে কার সাথে প্রেম করছে, কে কার সাথে শুয়েছে, কে কোথায় কাকে ধোঁকা দিচ্ছে সব খবর ওর নখদর্পণে। মানস শুধু খবর রাখেও না, দেয়ও।
    রজত কল রিসিভ করে স্পিকারে দিল।
    - হ্যালো।
    - ওই, আমি মানস বলছি রে। কোথায় তুই?
    - বল। একটু বেরিয়েছি।
    - তোর বরের সাথে? উহ, তোর বরটা যা হ্যান্ডু না, দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে।

    রজত একবার আড়চোখে সৌম্যকে দেখল। সৌম্যর মুখে কোনও হেলদোল নেই। রজত জানে, সৌম্য এই রকম নির্বিকার মুখ করে বসে থাকলেও মনে মনে নিশ্চয়ই হাসছে।
    রজত মানসকে বলল, “এখানেই আছে, ফোন স্পিকারে দেওয়া। তোর কথা সব শুনছে”।
    - এ মা। আগে বলবি তো। তুই না, একটা যা তা। হ্যাঁ রে, তুহিনের খবরটা শুনেছিস?
    রজত তাড়াতাড়ি করে স্পিকার অফ করে কানে হেডফোন লাগাল। একটা গোঁজা রইল ওর কানে, অন্যটা সৌম্যর। ওলার ড্রাইভার এসব কথা শুনুক, ও চায় না।
    - হ্যাঁ, শুনেছি।
    - সত্যি চারিদিকে কী সব হচ্ছে বল তো।
    - “সিরিয়াসলি। কীভাবে কী হল, তুই কিছু জানিস?” রজত চেষ্টা করল যদি মানসের থেকে কিছু খবর আদায় করা যায়।

    মানস বলল, “টিভিতে তো বলল, হার্ট অ্যাটাক। কিন্তু এই রকম রাস্তার মাঝখানে তাও আবার মাঝ রাত্তিরে হার্ট অ্যাটাক? কী জানি বাবা, আমার তো কেমন গড়বড় কেস মনে হচ্ছে।”
    রজত জিজ্ঞেস করল, “গড়বড় কেস মানে? কমিউনিটির কেউ?”
    - হতেই পারে। আমার তো মনে হয় ওর ওই চিস্যা বয়ফ্রেন্ডটাই করেছে। কাল পার্টিতে যা ঝামেলা হল দু’জনের মধ্যে।
    রজত খবরের গন্ধ পেয়ে নড়েচড়ে বসল। পরের দশ মিনিটে মানসের কাছ থেকে যা জানা গেল, তার সারমর্ম হচ্ছে গতকাল হোটেল রাঁদেভুতে একটা পার্টি ছিল। সেখানেই ওর পার্টনার ঋককে নিয়ে এসেছিল তুহিন। নাচে, গল্পে, হাসাহাসিতে সময় ভালই কাটছিল। ছন্দপতন হয় যখন আমন শর্মা বলে কলকাতায় নতুন আসা একটি ছেলে হঠাৎ তুহিনকে জড়িয়ে ধরে ওর ঘাড়ে একটা চুমু খেয়ে বলে বসে, “আই সো মাচ লাভ ইওর সেক্সি লং নেক”। তুহিন যদিও আমনকে সরিয়ে দেয়, কিন্তু ঋক এরপরই খুব রেগে যায়। মানস আর অন্যরা মিটমাট করানোর চেষ্টা করলেও ঋক পার্টি ছেড়ে চলে যায়। পেছন পেছন তুহিন। তারপরেই সকালে এই খবর।

    রজত জানতে চায়, কেউ সকাল থেকে ঋকের সাথে কথা বলেছে কিনা। মানস বলল, যে ও কয়েকবার ট্রাই করেছিল কিন্তু ফোন বেজে গেছে, ঋক তোলেনি। সৌম্য ইশারায় ঋকের ফোন নাম্বারটা চাইতে বলল। মানস জানাল যে ও হোয়াটস্যাপ করে দেবে।
    ফোন রেখে রজত সৌম্যর দিকে ফিরল।
    - কী মনে হচ্ছে তোর?
    - আমার মনে হচ্ছে সামনের জিপটাই আমার শ্বশুরমশাইয়ের এবং শ্বশুরমশাই খুব টেনশনে আছেন। দ্যাখ, ড্রাইভারের সিটের পেছনে কেমন হাত দিয়ে চাঁটি মেরে চলেছেন।

    রজত সামনে তাকিয়ে দেখল সত্যিই তাই। ও এতটাই ফোনে ডুবেছিল, যে খেয়ালই করেনি ওরা ওদের গন্তব্যে পৌঁছে গেছে।

    গাড়ি থেকে নামার সময় ক্যাবের বয়স্ক ড্রাইভার ওদের দু’জনের দিকে তাকিয়ে অল্প হেসে বললেন, “দোনো খুশ রহো।”
    সকাল থেকে গুমোট বিষণ্ণ দিনটা এই তিনটে শব্দে হঠাৎ যেন ঝলমলে হয়ে উঠল।


    (চলবে)

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ২৫ জুন ২০২২ | ৩২২৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Sudipto Pal | ২৫ জুন ২০২২ ১৪:১৭509372
  • বাহ। ভালো এগোচ্ছে।
  • রৌহিন | ২৫ জুন ২০২২ ১৫:০৩509379
  • শুরুটা বেশ কম্প্যাক্ট হল। পরেরটার অপেক্ষায় রইলাম।
     
    ও, সব ভালো বলতে নেই, এট্টু ক্রিটিক না হলে লোকে পাত্তা দেবে না - তাই, ওলা কলকাতায় এখন খুব রেয়ার - পাওয়াই যায় না। উবার চলে। কলকাতায় রেট ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশী আর সার্ভিস সবচেয়ে খারাপ।
  • অভিজিৎ | 2402:3a80:777:bec:e840:3ff3:3d29:825d | ২৫ জুন ২০২২ ১৫:০৮509381
  • একটা ভুল আছে। রজতের নয়, সৌম্যর মা হলেন সোহিনীদেবী। 
  • যোষিতা | ২৫ জুন ২০২২ ১৫:৩৩509383
  • চলুক। মন দিয়ে পড়ছি।
  • যোষিতা | ২৫ জুন ২০২২ ১৬:১৩509384
  • নামকরণটা ব্ল্যাক সোয়ান থিয়োরির কথা মনে পড়াচ্ছে।
  • অনন্য | 103.120.160.171 | ২৫ জুন ২০২২ ১৬:৩৬509385
  • এখন তো আর রামধনু বলা হয় না এখন  রংধনু বলা হয় ।  
  • Arunabha Adhikari | ২৫ জুন ২০২২ ১৬:৪২509386
  • আগ্রহ নিয়ে পড়ছি 
  • | ২৫ জুন ২০২২ ১৮:১০509388
  • বাহ চমৎকার শুরু। আঁটোসাটো গল্প। 
     
  • dc | 2401:4900:2301:9549:9d05:bb87:a440:129f | ২৫ জুন ২০২২ ১৮:৩৯509389
  • প্রথম পর্বটা ভালো লাগলো। তবে আমার মনে হচ্ছে দারোগাবাবুই খুনী। 
  • Maria Koel | ২৫ জুন ২০২২ ১৯:১৯509391
  • গপ্প গপ্পের মতো চলুক। শুরুতেই ছয় মেরে আটকে দিয়েছ আমায় গপ্পে ঃ)
    'ভালো লাগছে' বলাটা নেহাতই ফর্মালিটি হবে। 
     
    শুধু এক্কেবারে লাস্ট লাইন টা পড়েই..... (লাভ ইমো অনেজ্ঞুলো) কেন যে সাইটে ইমো ব্যবহার টা শুরু হয়নাই! 
     ওই নামার সমযয়ের 'ক্যাবের বয়স্ক ড্রাইভার ওদের দু’জনের দিকে তাকিয়ে অল্প হেসে বললেন, “দোনো খুশ রহো।” বলাটা....মন টা ভরিয়ে দিল গো!! 
    চুমু চুমু চুমু আর আ্যত্তোওওওও গুলো চুমু
  • সাইটে ইমো ব্যবহার | 134.238.14.27 | ২৫ জুন ২০২২ ১৯:৫৪509393
  • heartkissenlightened
  • পারমিতা | 47.11.234.74 | ২৫ জুন ২০২২ ২২:০৬509401
  • চলুক।
  • kk | 2601:448:c400:9fe0:f07c:5720:fe81:2e2b | ২৫ জুন ২০২২ ২৩:৩৭509402
  • প্রথম পর্ব বেশ ভালো লাগলো।
  • :|: | 174.251.161.216 | ২৬ জুন ২০২২ ০৪:০৫509405
  • সত্যিই চারপাশ এতো এতো গে-তে ভর্তি?! অবশ্যই এটা গল্প; তবু ভারতে মাত্র ৩% হোমো (উইকি উবাচ)। গোরুকে একটু হাঁটিয়ে তারপর গাছে তুল্লে হয়না? 
    বিঃ দ্রঃ বা ডিঃ - গে ফোবিয়া ফিলিয়া কিছু নাই আর সেটা ভালো না খারাপ সে নিয়েও কোনও বক্তব্য নাই। প্রথম পর্বেই যাতে অ্যাজেন্ডামূলক উপন্যাস না মনে হয় -- সেজন্য বলা।
     
    আর একটা প্রস্তাব আছে। যেহেতু এটা হেটেরোর বিপরীতে দাঁড়ানো সম্পর্ক তাই ওদের নকল করে স্বামী শ্বশুর ইত্যাদি নাম না দিয়ে বন্ধনগুলোর অন্য নাম দেওয়া যায়না? 
  • যোষিতা | ২৬ জুন ২০২২ ০৪:১০509406
  • ওপরের পোস্টটি যথেষ্ট হোমোফোবিক।
  • kk | 2601:448:c400:9fe0:f07c:5720:fe81:2e2b | ২৬ জুন ২০২২ ০৫:১৫509407
  • "নকল" করা কেন হলো, আর সম্পর্কের অন্য নামই বা কেন দিতে হবে আদৌ বুঝলাম না। উইকির ভিত্তিতে ভারতে গে সংখ্যা কত সেটা বিশ্বাস করাটাও কতটা ঠিক সে নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। সবাই নিজের সেক্সুয়ালিটি প্রচার করে বেড়াননা। আর যে রেটে ডিসক্রিমিনেশন চলে তার ভয়ে অনেকে কাম আউটও করেননা।
  • যোষিতা | ২৬ জুন ২০২২ ০৫:২৭509408
  • দুজন গে র বিয়ে হলে তারা একে অপরের বর/স্বামী, দুজন লেসবিয়ানের বিয়ে হলে তারা একে অপরের বৌ/স্ত্রী বলেই পরিচিত হয়। ইনি মনে হয় এসব না জেনেই মন্তব্য করছেন। এটাই নিয়ম। ভারতে কত পারসেন্ট হেটারো সেটার হিসেব পাওয়া যাবে কি? তাহলে একশো থেকে সেটা বিয়োগ করলেই নন হেটারোদের সংখ্যা মিলে যাবে। সব সময় নিজের সেক্সুয়ালিটি জনে দনে পলে বেড়াতে হবেই বা কেন? এই গল্পটাকে এজেন্ডামূলক মনে হচ্ছে কেন? অদ্ভূত!
  • 4z | 2606:40:490:236a::661:de9b | ২৬ জুন ২০২২ ০৫:৩৫509409
  • ইনি আগেও এখানে হোমোফোবিক মন্তব্য করেছেন with similar kind of declaration.
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৬ জুন ২০২২ ০৬:০২509412
  • দ্বিতীয় প্যারাগ্রাফে একজায়্গায় সোহিনীদেবীকে রজতের মা বলা হয়েছে, অথচ পরের অংশটা পড়লে মনে হচ্ছে সৌম্যর মা। কনফিউজড হয়ে যাচ্ছি।
  • যোষিতা | ২৬ জুন ২০২২ ০৬:১৩509414
    • অভিজিৎ | 2402:3a80:777:bec:e840:3ff3:3d29:825d | ২৫ জুন ২০২২ ১৫:০৮509381
    • একটা ভুল আছে। রজতের নয়, সৌম্যর মা হলেন সোহিনীদেবী। 
  • dc | 2a02:26f7:d6c1:680d:0:a472:6ab5:35e3 | ২৬ জুন ২০২২ ০৬:১৭509415
  • :|:, হতে পারে ভারতে lgbtqia+ মানুষদের প্রোপোরশান কম, যদিও সেন্সাস ছাড়া সঠিক সংখ্যা জানার উপায় নেই। কিন্তু সেটা এখানে ইরেলিভ্যান্ট। ওনাদের গল্পের মুখ্য চরিত্র করা যাবে না, এ কোন কাজের কথা না। আর সম্পর্কের নামকরন তো হেটেরোনর্ম্যাটিভিটি :-)
  • :|: | 174.251.161.216 | ২৬ জুন ২০২২ ০৭:০৩509418
  • মনে হয় আর কারও সঙ্গে গোলাচ্ছেন @ ২৬ জুন ২০২২ ০৫:৩৫। 
    উইকি থেকে পেয়েছি লিখেছি @ ২৬ জুন ২০২২ ০৫:২৭। 
    এখন আর না। আজকাল আর ঝগড়া করতে ভালো লাগে না :)
  • অভিজিৎ | 103.21.127.60 | ২৬ জুন ২০২২ ০৮:০৬509421
  • ৩% না ৬% সেটা প্রশ্ন নয়, গল্পের প্রধান দুজন চরিত্র যদি গে হন  তবে তাঁদের পঞ্চাশ জন গে বন্ধু থাকাতেই পারে  এবং গল্পের চরিত্র হিসেবে তাঁদের মধ্যে পাঁচজন আসতেই পারেন। তাই না? আজ যদি কেউ বো ব্যরাক নিয়ে গল্প লেখেন  তাহলে গল্পের আশি শতাংশ চরিত্র অ্যাংলো হতে পারেন। তার মালে এই নয় যে কলকাতায় আশি শতাংশ অ্যাংলো মানুষের বাস। সেই জন্যই সৌম্যর মুখে "গে-খুনে গে গোয়েন্দা" ডায়লগটা আছে। 
     
    আর স্বামী-শ্বশুর-শাশুড়ি-বর-বউ ইত্যাদি সম্বোধন এলজিবিটিকিউ কমিউনিটির মধ্যে খুবই কমন। হয়তো শুনলে অবাক হবেন,কলকাতার মধ্যে আমার পরিচিত অন্তত দুজন কাপলের ক্ষেত্রে এ বছর জামাইষষ্ঠীও হয়েছে। হেটেরোনর্ম্যাটিভ সমাজে সেটাই স্বাভাবিক নয় কি?
     
    পড়তে থাকুন। শহুরে ক্যুইয়ার মানুষজনের দিনযাপনের আরও খণ্ডচিত্র দেখতে পাবেন। 
  • স্বাতী রায় | ২৭ জুন ২০২২ ২০:২৫509453
  • পড়ছি।  শুরুটা খুব ভাল হল। 
  • বিপ্লব রহমান | ২৬ আগস্ট ২০২২ ০৪:৫৮511367
  • কিছু দেরিতে পড়া শুরু করলাম। গে গোয়েন্দা যুগলের আইডিয়া দারুণ enlightened
  • Nirmalya Nag | ২৬ আগস্ট ২০২২ ১৪:৩৬511378
  • দারুণ শুরু। পরের গুলোয় যাচ্ছি। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন