এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • পরাণ বাগ্দী - ১৩ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৯ জুন ২০২২ | ৬৬৪ বার পঠিত
  •     ( শেষ পর্ব )
    পরদিন দুপুরবেলা বড়পুকুরে ডুবুরি নামল । আদালতের নির্দেশ । কলতানের অনুমান এবং 
    গুল্টুর চাক্ষুষ বিবরণ সত্য প্রমাণিত করে  পুকুরে ডুব দেওয়া ডুবুরি জলের তলা থেকে আট ইঞ্চি লম্বা একটা ছুরি তুলে নিয়ে এল । জং ধরেনি , কারণ জলের তলায় অক্সিজেনের অভাব । 

    আদালত আর সময় দিল না । অসুস্থতার আর্জি বিচারক গ্রাহ্য করলেন না ।  হৃদয় এবং বসন্ত শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত দিনে কোর্টে হাজিরা দিল ।সঙ্গে প্রচুর দলবল । তিনটে টাটা সুমোয় করে এসেছে । তারা কোর্টের বাইরে দাঁড়িয়ে প্রচুর হৈ চৈ করছে ।  
    দেবমাল্য মৌসুমীকে বলল, ' একদম নার্ভাস হয়ো না ..... ওরা কিচ্ছু করতে পারবে না .... প্রোটেকশান পিটিশান করা আছে । কিছু করতে গেলেই অ্যরেস্টেড হবে । 
    ----- ' আমি কিছু নার্ভাস হইনি ..... হলে এখানে আসতাম না ..... আমাকে নিয়ে চিন্তা করবেন না ..... '
    ----- ' সাবাশ ..... আমি জানি এ কথা .... তাই তো ..... ' 
    পুকুরের তলা থেকে উদ্ধার হওয়া ছুরিটা আদালতে পেশ করা হয়েছে। বিচারক সেটাকে ফরেনসিক বিভাগে পাঠাবার নির্দেশ দিলেন । সত্যবানের বয়ানের সঙ্গে এই ছুরি উদ্ধারের ঘটনাক্রম পুরোপুরি মিলে গেছে । সেটা আদালতে নথিবদ্ধ হল । ব্যাপারটায় অবশ্য একটা ছিদ্র থেকে গেল যে, গুল্টু অন্ধকারের মধ্যে ঘুমচোখে পুকুরের জলে কিছু ছুঁড়ে ফেলা মানুষটাকে ঠিকমতো দেখতে পায়নি । 

        মৌসুমী কোর্টে দাঁড়িয়ে , বিচারকের সামনে , সে যা যা করেছে বসন্তকে জালে ফেলার জন্য এবং পরাণকে সুবিচার পাওয়ানোর জন্য, তার আদ্যোপান্ত সরল সত্য বর্ণনা দিল । দেবমাল্য মৌসুমীর বয়ানের প্রাঞ্জলতা এবং পরিমিতিবোধ দেখে মুগ্ধ হল । 
    উল্টোদিকের কাঠগড়ায় বসন্ত দাঁড়িয়েছিল পাথরের মতো । সে একদৃষ্টে মৌসুমীর মুখের দিকে তাকিয়ে তার কথা শুনতে লাগল । কুলতলার মাঠে ঘাসের ডগা চিবোনো মৌসুমীর সঙ্গে মেলাবার প্রাণান্তকর চেষ্টা করতে লাগল ।
        মৌসুমীর বক্তব্য আগাগোড়া রেকর্ড করা হল। বিপক্ষের আইনজীবীর প্রশ্ন ছিল যে , তাকে এ কাজটা করতে কে প্ররোচিত করেছিল এবং তার স্বার্থ কি ছিল । উত্তরে মৌসুমী নির্দ্বিধায় জানাল ----- স্বনামধন্য  প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর মিস্টার কলতান গুপ্ত এবং তার কোন স্বার্থ থাকার প্রশ্নই ওঠে না কারণ সত্য অনুসন্ধান করে মানুষকে বিচার পাইয়ে দেওয়াই তার কাজ । 
    ----- ' আচ্ছা ... বেশ বেশ ..... মিস্টার গুপ্তকে কে অ্যপয়েন্ট করল ..... আপনি নিজেই ? '
    এই সময়ে দেবমাল্য দাঁড়িয়ে উঠে বলল ---- ' আমি অ্যপয়েন্ট করেছিলাম । লোয়ার কোর্টের রায় আমার মক্কেলের বিপক্ষে যাওয়াটা আমি মেনে নিতে পারিনি । তাই আরও গভীর অনুসন্ধানের জন্য আমি মিস্টার গুপ্তর সাহায্য নেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ।
    বিপক্ষের কাউন্সেল বললেন ' ইয়োর অনার মিস্টার কলতান গুপ্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আমি আদালতের অনুমতি চাইছি । '
    বিচারক বললেন, ' এই মুহূর্তে এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কলতান গুপ্তকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করছি । ফরেন্সিক ল্যবরেটরি থেকে মৌসুমী সামন্ত দ্বারা সংগৃহীত এবং দেবমাল্য সরকার  দ্বারা পেশ করা বসন্ত মন্ডলের স্বীকারোক্তির রেকর্ড ফরেন্সিক ল্যবরেটরি থেকে যাচাই হয়ে ফিরে আসার পরে যদি কোন কারচুপি , অগ্রহণযোগ্যতা বা দুরভিসন্ধি প্রমাণিত হয় সেক্ষেত্রে কলতান গুপ্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা যেতে পারে ।  কিন্তু পেশ করা প্রমাণ সত্য প্রমাণিত হলে তার কোন প্রয়োজন থাকবে না ।
        মৌসুমী কাঠগড়া থেকে নেমে গিয়ে দেবমাল্যর পিছনে একটা চেয়ারে গিয়ে বসল । বসন্ত এখনও কাঠগড়া থেকে নামেনি । হৃদয়  মন্ডল কাঠগড়ার নীচে একটা চেয়ারে  বসে দরদর করে ঘামছে । বসন্ত নেমে গেলেই তাকে তোলা হবে । দুটো মোটাসোটা লোক তাকে হাত পা নেড়ে নেড়ে কি সব বোঝাচ্ছে । তার উকিল 
    সুভাষ পালিত একবার উঠছে, একবার বসছে ।
     আর কি সব কাগজপত্র ওল্টাচ্ছে । 
    জজসাহেব বোধহয় কিছুক্ষণ পরেই পরবর্তী শুনানির দিন ঘোষণা করবেন । বাইরে হৈ চৈ -এর আওয়াজ জোরালো হল । হৃদয় তার একজন পার্শ্বচরকে বাইরে পাঠাল গোলমালে রাশ টানার জন্য । বেশী বাড়াবাড়ি না করাই ভাল । কি থেকে কি হয় ..... এটা তো আর তার এলাকা নয়  ..... 
    একটু পরে বাইরে গোলমালের আওয়াজ ঝিমিয়ে গেল ।  বসন্ত কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েই আছে । দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি ভাবছে । সুভাষ পালিত তাকে এসে বলল , ' এখন আর দরকার নেই ..... আপনি নেমে যেতে পারেন ..... '
    ---- ' হ্যা ..... এই যাই ... ' বলে দাঁড়িয়েই রইল বসন্ত । মাথা নীচু করে কি ভাবতে লাগল । 
    বিচারক অনিন্দ্য বসু বোধহয় আজকের মতো এজলাসের কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণা করে পরবর্তী শুনানির দিন ঘোষণা করতে যাচ্ছিলেন।
    আশা করা যায় তার মধ্যে ফরেন্সিক রিপোর্ট এসে যাবে এবং সেইদিনই বসন্ত মন্ডল ও হৃদয় মন্ডলের বক্তব্য শোনা হবে । 
    ঠিক এই সময়ে বসন্ত মন্ডল আচমকা বলে উঠল , ' হুজুর ..... আমায় যদি একটু সময়  দেন .... আমার কিছু নিবেদন ছিল ..... তা'হলে বোধহয় এ মামলার ফয়সালাটা আজকেই হয়ে যায় .....পড়াশোনার ক্ষতি করে রোজ রোজ কোর্টে হাজিরা দেওয়াটা তো কোন কাজের কথা নয় ..... ছোট মুখে বড় কথা বলে ফেললাম স্যার ..... মাফ করবেন ..... '
    জাস্টিস অনিন্দ্য বসু বসন্তর মুখের দিকে তাকিয়ে কয়েক সেকেন্ড কি ভাবলেন । তার কথার প্রথমাংশটা তিনি বুঝতে পারলেন , আর শেষের দিকটা বুঝতে পারল শুধু দেবমাল্য আর ...... মৌসুমী  ......   
    বিচারক মহাশয় একবার তার ঘড়ি দেখলেন । তারপর বললেন , ' ঠিক আছে বলুন ..... কিন্তু আধঘন্টার বেশী না ..... '
    ------ ' না স্যার ..... আধঘন্টা কেন লাগবে ? এই তো কটা কথা ..... ' 
    ----- ' প্রসিড .... '
    ----- ' স্যার ..... বলছিলাম যে ..... ওসব ফরেন্সিক টরেন্সিকের কোন দরকার নেই ..... মৌসুমীর রেকর্ড করা কথা ...
    ----- ' মৌসুমী মানে , মৌসুমী সামন্ত ? '
    ----- ' হ্যা ... হুজুর । মৌসুমীর রেকর্ড করা কথাগুলো সব আমারই । যা বলেছি সজ্ঞানে বলেছি এবং শতকরা একশোভাগ সত্যি ..... গুল্টু যাকে ......
    ----- ' গুল্টু মানে , সত্যবান সামন্ত  ? '
    ----- ' হ্যা ... স্যার ।  গুল্টু যাকে সেদিন রাতে পুকুরে ছুরি ফেলতে দেখেছিল ..... সেটা আমিই ..... ' এজলাসে বজ্রপাত হল ......
    এবার কোর্টরুমে উপস্থিত সকলকে স্তম্ভিত করে দিয়ে বসন্ত মন্ডল বলল , ' আমি মৌসুমীর দিব্যি বলছি স্যার .....অনন্ত মন্ডলকে আমি খুন করিনি .... খুন করেছে আমার বাবা হৃদয় মন্ডল .... অস্বীকার করব না খুনের কাজে আমি সহযোগী ছিলাম ..... তার জন্য আমায় যা শাস্তি দেবেন মেনে নেব । ভাল হয়ে .... ধুয়ে মুছে পরিষ্কার হয়ে আবার মৌসুমীর কাছে  ফিরে আসব .....  সত্যি বলছি স্যার..... '  
    আঠান্ন বছরের পোড় খাওয়া সিঙ্গল বেঞ্চের বর্ষীয়ান বিচারক অনিন্দ্য বসু মশায় নির্বাক দৃষ্টিতে বসন্তর মুখের দিকে তাকিয়ে  রইলেন ..... । কোন ইষ্টদেবতা, গুরুদেব, মা বাবা বা   সন্তানের নামে নয় .... একটা খুনের আসামী যে তার  ঈপ্সিত সাথীর নামে দিব্যি  কাটতে পারে  তা তিনি তার দীর্ঘ বিচারক জীবনে এই প্রথম   জানলেন । এজলাসে ছুঁচ ফেলা নীরবতা । হৃদয় ছেলের কথা শুনে হাঁ হয়ে গেল  । উকিল সুভাষ পালিত অস্থিরভাবে একবার উঠতে  লাগল , একবার বসতে লাগল।
         এরপরে আর মামলার কিছু বাকি থাকে না। কিন্তু জজসাহেব নিয়মমাফিকভাবে রায়   ঘোষণার একটা দিন ঘোষণা করলেন । সেই দিনই হৃদয় মন্ডলের বক্তব্য শুনে নেওয়া হবে এবং ফরেন্সিকের আবিষ্কার উদ্ঘাটিত হবে .....
    ***********      ***********        ***********
    পরাণ যেই  সুজাতার সামনে গিয়ে দাঁড়াল অঝোর ধারায় বৃষ্টি নেমে গেল । অনেকক্ষণ ধরে স্লেট রঙা মেঘ জমছিল আকাশে । সঙ্গে বইছিল জলে ভেজা বাতাস । ছেলে মেয়ে দুটো  ছুটে এল কোথা থেকে গুচ্চের কাঁচা আম কুড়িয়ে এনে । সুজাতা কি বলবে ভেবে না পেয়ে বলল , ' বাবা রে ..... তোদের বাবা .... ছাড়া পেল আজকে .... কত বচ্ছর পরে ..... '
      একটু তফাতে দেবমাল্য দাঁড়িয়ে ছিল । সঙ্গে আরও দুজন ---- কলতান আর মৌসুমী ।
    হঠাৎ ঝেঁপে বৃষ্টি নামতে তিনজনে দৌড়ে   পরাণের ঘরের খড়ের ছাউনির তলায় গিয়ে
     উঠল । মজে যাওয়া বাঁশের ঠেকায় রোদে  জলে মজা পুরনো, কালচে মেরে যাওয়া খড়ের চাল । তুমুল বৃষ্টি পড়ছে খড়ের চালে । মৌসুমী অঝোর বারিধারার দিকে তাকিয়ে রইল  আনমনে । সে দেবমাল্যর কাছ থেকে খবর পেয়েছে যে  জাস্টিস অনিন্দ্য বসু নাকি সুপারিশ করেছেন  বসন্ত মন্ডলের হাজতবাস যাতে দুবছরের বেশী না হয় এবং বছরে অন্তত দুবার পনের দিনের প্যারোলে মুক্তি পায় । তার সুপারিশে যেটা উহ্য রইল সেটা হল .....মৌসুমীকে  দেখবার  জন্য  এবং তা অবশ্যই মৌসুমীর অনুমতি সাপেক্ষে ।  খবর পাওয়া গেল হৃদয় মন্ডলের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে । 
    ( সমাপ্ত ) 
    ************************************************************************************
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Mousumi Banerjee | ১৯ জুন ২০২২ ১৫:০৬509168
  • গুচ্ছ , গুচ্চ নয়।
     
  • Mousumi Banerjee | ১৯ জুন ২০২২ ১৫:০৯509169
  • শেষের অংশে আশার কথা! ভালো লাগল।  মানুষ অপরাধী হয়ে জন্মায় না। পরিবেশ অপরাধী করে তোলে।  বসন্ত সেইরকমই।
  • যোষিতা | ১৯ জুন ২০২২ ১৫:৩৯509170
  • তেঁতো নয়, তেতো।
     
    অসাধারণ হয়েছে গল্পটা। খুব টান টান।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:a11f:7518:c3bd:b0f7 | ১৯ জুন ২০২২ ২৩:২৭509179
  • বাঃ। বেশ গল্প 
  • Ranjan Roy | ২০ জুন ২০২২ ০২:৩৩509186
  • চমৎকার ! 
    অঞ্জনবাবুর আগের দুটোও বেশ লেগেছিল।
  • Mousumi Banerjee | ২০ জুন ২০২২ ১৫:৪২509194
  • পরের গল্পের অপেক্ষায় থাকছি।
  • বিপ্লব রহমান | ১৬ জুলাই ২০২২ ০৫:০৩509917
  • বসন্ত বিলাপের  শেষ পাঞ্চ টুকু আরোপিত, হিন্দি ছবির মতো মনে হয়েছে। বরং মামলার ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় কাহিনির "মধুর  পরিসমাপ্তি " হলেই যথেষ্ট ছিল। 
     
    আরও লিখুন। শুভ yes
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন