এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  প্রথম পাঠ

  • চারটে দশের ঘন্টা

    প্রতিভা সরকার
    পড়াবই | প্রথম পাঠ | ১৩ জুন ২০২২ | ২০২০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)

  • জনপদগুলি স্থানে স্থিতু, কালে চঞ্চল। চারটে দশের ঘন্টায় দ্রুতপরিবর্তনশীল পারিপার্শ্বিকের দৃশ্যপটে 'লাজুক' মফস্বলের শান্ত ছবি এঁকেছেন কৌশিক ঘোষ। প্রথম পাঠে প্রতিভা সরকার


    মফস্বল তখন “লাজুক” ছিল। এই লাজুক কথাটি অব্যর্থ শব্দভেদী বাণের মতো মর্মে গিয়ে বেঁধে। কারণ এর চেয়ে ভাল যুতসই বিশেষণ আর হয় না। গ্রামে গঞ্জে তখন হ্যাপি বাড্ডেতে কেক কাটা আর মদ খাওয়ার চল ছিল না, মায়ের হাতের লুচি পায়েস পেলেই বর্তে যাই। প্রেমে পড়লে বড়জোর কারও হাত দিয়ে চিঠি পাঠান, তার নিচে লেখা থাকতেও পারে “ইতি তোমার মৌমাছি।” কারণ সিনেমা হলের টিকেট তখন ৫০ পয়সা। আর নারী পুরুষের প্রেম মানে ঐ ফুলের ওপর ঘুরে বেড়ানো জোড়া মধুকর।

    লেখক আমার থেকে বয়সে ছোট, কিন্তু জীবনের এক একটা ঢেউ তো আর সমুদ্রের মতো নয় যে দ্রুত এল আর গেল । বিশেষ করে মফস্বলে দূরত্ব এবং সুযোগের অভাবে সময়ের বিরাট ঢেউ পিছু হটে খুব ধীরে ধীরে, নতুনকে বরণ করে নিতে দেরি হয়। তাই সময়ের পলি মফস্বলের মানুষকে একই ছাঁচে ঢালাই না করলেও, নেমে যেতে যেতে বোধে অনেক মিল-ছাপ রেখে যায়। সে কারণে চারটে দশের ঘন্টাকে মনে হয় আমার নিজেরও কথা, বিশেষ করে যখন অনবদ্য গদ্যে পড়ি, “যে বছর মারাদোনা,সে বছরই জানুয়ারিতে প্রাথমিক ড্রাফট লেখা হয় ‘খোলা হাওয়ার’। তখন কি আর জানতাম পাঁচেক পরে আমার কমিউনিস্ট পিতার সাধের সমাজতান্ত্রিক দেশ সোভিয়েত ইউনিয়ন টুকরো টুকরো হয়ে যাবে!”
    এই মারাদোনা, এই পেরেস্ত্রোইকা, আর সোভিয়েতের জাস্ট উবে যাওয়া, এ তো আমারও জীবন জুড়ে রয়েছে চাঁদের ওপর বিছানো কলঙ্কের মতো!

    চারটে দশের ঘন্টা পড়তে গিয়ে তাই নিজেকেই ফিরে পড়ি। মনে হয় এ কোনো বিশেষ ব্যক্তির স্মৃতি-গাথা নয়, বরং সত্তর আশির দশকে ব্যাপ্ত মফস্বল তার সমস্ত কাহিনি নিয়ে এইখানে জ্যান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে৷ অরহান পামুকের স্মৃতিকথা ইস্তানবুলের মতোই এতে শুধু ব্যক্তি নয়, প্রাধান্য পেয়েছে বিশেষ সময় এবং স্থান। নাই বা হলো সে কোনো বিখ্যাত শহর, কিন্তু মেদিনীপুরের কাঁসাই কী মন্ত্রবলে উত্তরবঙ্গের মানসাই নদীকে স্মৃতির জলোচ্ছ্বাসে মিলেমিশে একাকার করে দিয়েছে।

    আর কে না জানে মফস্বলের চরিত্র চলন পুরোই আলাদা। সে চলে আড়ে আড়ে, সে চলে পাতায় পাতায়। নাহলে শ্রাবন্তী-স্বরের এই অলৌকিক ব্যাখ্যান সম্ভব হয় কী করে! “মাথার চুল যখন মরুভূমি হয়ে যায়-- তখন এ-ই মরু- বেদনার একমাত্র উপশম শ্রাবন্তী মজুমদারের আলহাদিত ওয়েসিস- মায়াধ্বনি।...ওয়েসিস আদতে শ্রাবন্তীর তুরীয় ন্যাকামি, আবদারে তিনি হয়ত অপর্ণা সেনকেও টেক্কা মারতে পারতেন। শুষ্কতায়, রুক্ষতায়,ত্বক যদি ছড়ে যায়, বার মাস সারা অঙ্গে মেখে নিন...বারোমাসের সেই সুরভিত এন্টিসেপটিকের আসল নাম কি বোরোলিন? নাকি শ্রাবন্তী? যাকে আমরা চোখে কখনও দেখিনি, শুধু বাঁশির মতো শুনেছি?”

    এক শ্যামল কিশোরের আশ্চর্য বড় হয়ে ওঠার গল্প এই উপন্যাস। তার নিষিদ্ধ আস্বাদের গ্রহণ, তার নিজের সঙ্গে লুকোচুরি, জগত সংসারকে ক্রমশ বুঝে ওঠা, সবই এসেছে অনন্য মায়াময় এবং একই সঙ্গে তির্যক ভাষায়। কৌশিক ঘোষের বোড়ের চাল এই ভাষা, ঝরঝরে, বুদ্ধিদীপ্ত শ্লেষাত্মক, আবার শেষ বিচারে দূর বাতাসে ভেসে আসা বাঁশির সুরে আলতো চোবানো। বন্ধু টাইগার মিথ্যে বলায় অতি পারদর্শী, তাকে নাকি সুদূর দক্ষিণ দেশ থেকে শিশু অবস্থায় আনা হয়েছিল, তার হাতের “তক্তি”তে এর প্রমাণ আছে, আর ঠাকুমার মৃত্যুকালীন জবানবন্দি। বন্ধুদের সবটুকু সহানুভূতিতে ধন্য হয়েও সে তো মুছে ফেলতে পারে না বাবার সঙ্গে চেহারার হুবহু সাদৃশ্য, তবু ডায়েরিতে লেখা হয় অচেনা কিশোরীকে তিন পাপাত্মার হাত থেকে উদ্ধার করবার সমীহ জাগানো কাহিনি, কংসাবতীতে ভেসে আসা কাঠ তার কল্পনায় হয়ে ওঠে হয়ত প্রাগৈতিহাসিক দারুখন্ড আর নাচার বন্ধুরা সারা জীবন বুকের মধ্যে বয়ে বেড়ায় এই অতি কল্পনাপ্রবণ ছেলেটিকে, " এখনও কোথাও যখন ট্রেন লাইনে মরচে রঙের মালগাড়ি চলে যাওয়া দেখতে পাই, টাইগারের কথা অনিবার্য মনে পড়ে। আমার তার কাছে কিছু ঋণ থেকে যাবে। অনেক কিছুর সঙ্গে সে আমাকে ওই তৎকালীন গোপটিলার চূড়া থেকে একদিন সূর্যাস্ত ও অনেক দূরের অন্যরকম কাঁসাই দেখিয়েছিল।"

    বড়বেলার গল্প বলে না চারটে দশের ঘন্টা, কেবল বাল্য কৈশোরের কাহিনি আসে খন্ড খন্ড মেঘের মতো, তবু ছায়া ঘনিয়ে ওঠে, যেন বর্ষণের আভাস আসে হঠাত। শহিদ বেদি অংশটি বা বিয়ে বাড়িতে অনেক দেরিতে আসা লম্বা কালো মানুষটি, যিনি পার্টি মিটিং সেরে সামাজিকতা রক্ষায় আসতে পারেন, নাও পারেন, তাঁর দিকে তাকিয়ে গর্বে বুক ভরে ওঠা আত্মজের একান্ত উপলব্ধি, আমাদের জানান দেয় ছায়া ঘনাইছে, অপ্রতিরোধ্য জীবন বৃক্ষটি তার সমস্ত ভার নিয়ে ঝুঁকে পড়েছে বালকটির দিকে, তার যাত্রাকে পরিণতি দেবে বলে। একটু উদ্ধৃতির লোভ সামলাতে পারছি না৷ “একদিন ছয় বছরের বালক বয়সে একটা অচেনা মেয়ে না-চিনেই নির্দোষ হাত ধরেছিল...আরও বছর পনের পরে অন্য কোনো আধচেনা মেয়ে এসে আবার তার হাত ধরবে… সেই গল্প অন্য জায়গার, অন্য সময়ের। এবং শেষ অব্দি ব্যর্থতার...কিন্তু তারও অনেক অনেক বছর পরে যখন তার কোলেস্টেরল ও ব্লাড প্রেসারের ওষুধ নিত্যসঙ্গী,... এক একদিন ভোরে সে শুনতে পায় রিনরিনে একটা অচেনা কমলা টিউনিকের গলার পাখিডাক…
    একদিন সমস্ত টুকরো ও অবান্তর গল্পগুলোকে ঢেকে দেয় সময়ের পলি। কিন্তু কোথাও পড়ে থাকে এলোমেলো নুড়ি বিছানো একটা শান্ত পথ,বেজে ওঠে একটা মন্ত্রের মতো সুর, ঘন্টার ধ্বনির আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকে একটা একলা নাগকেশর।”

    চারটে দশের ঘন্টা উপহার দিয়েছে অসাধারণ একটি পাঠ-অভিজ্ঞতা। প্রকাশককে ধন্যবাদ। ছাপা প্রচ্ছদ যথাযথ। টাইপো নেই বললেই চলে। তবে মনে হয়েছে শেষাংশ আরও এডিট করবার দরকার ছিল। তাহলে কাহিনি-সূত্র আরও আঁটোসাটো হতে পারত।

    মুখ চেনাচিনির সূত্রে অনেক বই কিনি আমরা। সেটা খারাপ আমি বলছি না। নিছক কৌতূহলেও অনেক ভালো বই এসেছে হাতে। তবে মুখ না চিনেও এই বই কিনলে ঠকতে হবে না। বরং একটা ভরন্ত অনুভূতি মনে ছেয়ে থাকবে অনেকক্ষণ। পড়তে পড়তে ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসির রেখা ফুটতেও পারে। আমার বই, আমিই পড়ছি, আমার থেকে আমাকে নিলে আমিই পড়ে থাকে !


    চারটে দশের ঘন্টা
    কৌশিক ঘোষ
    লোক সেবা শিবির

    মূল্য - ২২৫ টাকা

    বাড়িতে বসে বইটি পেতে হোয়াটসঅ্যাপে বা ফোনে অর্ডার করুন +919330308043 নম্বরে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ১৩ জুন ২০২২ | ২০২০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • স্বাতী রায় | 117.194.40.24 | ১৩ জুন ২০২২ ১৭:৩৬508963
  • বইটি পড়েছি। মফঃস্বলকে এমন আঁতিপাঁতি না চিনলেও, কৈশোরের ছবিগুলো কিছুটা চেনা। তবে সব কিছুর উপর কৌশিকের সচেতন ভাষা। ছবি গড়ে, ছবি ভাঙ্গে। ভাষার দিক দিয়ে এই বই পড়াটা একটা ইন্টারেস্টিং জার্নি।    
     
    আলোচনাটাও ভাল লাগল। বিশেষত ওই শেষের উদ্ধৃতিটি। এই বই থেকে একটি মাত্র অংশ কোট করতে বললে ওটাই আমিও পছন্দ করতাম।  
  • Maria Koel | ১৩ জুন ২০২২ ২১:৪৫508974
  • বইটা তখনই নেবার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু যেদিন আনতে যাবো, সায়ন দা কেমন মুচকি হেসে, পিছনে রাখা একখান বই সমেত হাত সামনে বাড়িয়ে দিয়ে দেখিয়ে বলল - "সে আজ আর তোমার কেনা হবে না, কারণ বইমেলার লাস্ট কপিটা আমি একটু আগেই নিয়ে চলে এসছি" 
    ঃ(
    তারপর এখনো আর নিয়ে উঠতে পারিনি ঃ(
     
    প্রতিভা দি তোমার লেখাটা পড়ে সব আবার মনে পড়ে গেল, ইচ্ছেও বাড়লো সে তো বলাই বাহুল্য 
  • শিবাংশু | ১৩ জুন ২০২২ ২৩:৫১508986
  • পাঠ প্রতিক্রিয়াটিও একটা স্বতন্ত্র শিল্প হয়ে উঠেছে। মূল লেখক ও মুগ্ধ পাঠকের জন্য অনেক অভিনন্দন।
  • | ১৪ জুন ২০২২ ০৭:১৬508992
  • এই বইটা লিস্টে আছে, কেনা হয় নি এখনো।  আলচনা পড়ে  তাড়াতাড়ি যোগাড় করার ইচ্ছে বাড়লো। 
    চমৎকার আলোচনা। 
  • Sara Man | ১৪ জুন ২০২২ ১০:১৪508995
  • বইটি পড়ার ইচ্ছে জাগল, তবে এই রসালো পাঠ প্রতিক্রিয়াটির স্বাদও তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করলাম। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন