এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • দূরে কোথায় ১৩ 

    হীরেন সিংহরায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ০৮ এপ্রিল ২০২২ | ১৭৩০ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৩ জন)
  • গ্যাসের আমি গ্যাসের তুমি/ রুবেল দিয়ে যায় কেনা

    সোমবার ব্রাসেলসের  মিটিঙে জার্মানির অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিনডনার জানিয়েছেন  রাশিয়ান গ্যাসের কল বন্ধ করা যাবে না। তাতে জার্মান অর্থনীতির বিপুল ক্ষয় ক্ষতির সম্ভাবনা।  

    এদেশে এসে ইস্তক শুনে এসেছি  যে এঞ্জিন ইউরোপের তিরিশটা দেশের  অর্থনীতিকে  টেনে নিয়ে যায় তার নাম জার্মানি। তার গতি সীমিত বা রুদ্ধ হলে গোটা ইউরোপের যে সামুহিক সর্বনাশ হতে পারে এ কথাটা বলাই বাহুল্য।  সভাস্থল নিঃশব্দ দেখে তিনি বলেছেন ইউক্রেনের যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে অবশ্য আমরা রাশিয়ান কয়লার আমদানি বন্ধ আর এবং তেলের আমদানি কম করতে রাজি আছি।

    জার্মানির প্রয়োজনের চল্লিশ শতাংশ গ্যাস আসে রাশিয়া থেকে- গত বছরে তার পরিমাণ ছিল এগারশ কোটি কিউবিক মিটার।  বিশ শতাংশ বিদ্যুৎ এবং চার কোটি গৃহের উত্তাপ আসে রাশিয়ান গ্যাসের দৌলতে। অতএব সকল গ্যাসের ধারা জার্মানিতে হোক না হারা। বরং কাঁচা তেল অথবা কয়লা? সেগুলো নিয়ে আলোচনা হোক।

    রাশিয়ার বৃহত্তম রপ্তানি কাঁচা তেল, তার পরেই পেট্রোল ডিজেল এবং গ্যাস।  ঘণ্টা মিনিটের হিসেব করলে শুধু গ্যাস রপ্তানি থেকে রাশিয়ার আয় দিনে তিন কোটি ডলার, এর প্রায় সবটাই আসে ইউরোপ থেকে।  বালটিক সাগরের তলায় নরডস্ট্রিম নামক  পাইপলাইনের কল্যাণে  দু শো সত্তর কোটি কিউবিক মিটার গ্যাস পৌঁছোয়  উত্তর জার্মানিতে।  সেখান থেকে বাকি ইউরোপে।  এই কর্মকাণ্ডের দায়িত্বে আছেন প্রাক্তন জার্মান চ্যান্সেলর গ্যারহার্ড শ্রয়েডার।  বার্লিনের তখত ত্যাগ করার পরেই তিনি এ কাজে যোগ দিয়েছেন।

    জার্মান রাষ্ট্রপতি স্টাইনমায়ার গতকাল আত্মচিন্তন করে জানিয়েছেন শ্রী পুতিনকে এতোটা বিশ্বাস করা সমীচীন হয় নি।


    ভগবান এই মৃত্যু আলিঙ্গন থেকে বাঁচাও

    ইতালির বাৎসরিক প্রয়োজনের চল্লিশ শতাংশ গ্যাস আসে রাশিয়া থেকে।  তারা হঠাৎ সে কল বন্ধ করার কোন কারণ দেখছে না।  ফ্রান্স জানিয়েছে আমদানি বাতিল নয়, বরং তার ওপরে কর বসানো হোক – যারা পারবে তারা গ্যাস কিনুক বেশি দামে। সরকারের খাজনা বাড়ুক।

    মোদ্দা কথা বালটিকের তিনটি দেশ বাদে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আর কোন দেশ রাশিয়ান গ্যাসের নলের মুখে কুলুপ লাগানোর হঠকারিতা প্রদর্শনের পক্ষপাতী নয়।

    রুবেলে দাম না দিলে ৩১শে মার্চের পরে গ্যাস পাওয়া যাবে না এমন হুমকি দিয়েছিলেন রাশিয়ানরা। রুবেল কেউ দেয় নি তবে রাশিয়ানরা কলও  বন্ধ করে নি – একেই কি ইঁদুর বেড়ালের খেলা বলে? ক্যাট অ্যান্ড মাউস গেম?

    পরপর চতুর্থ বার প্রধান মন্ত্রীর গদি জয় করার পরে হাঙ্গেরির প্রধান মন্ত্রী ভিক্তর অরবান বলেছেন, ই ইউ যা করে করুক, হাঙ্গেরি রুবেলে তেল এবং গ্যাসের দাম দিতে রাজি আছে। রাশিয়া বন্ধু দেশ। অরবান সেই নেতা যিনি দশ বছর আগে দেশের বাজেটে নানান গোঁজামিল দিয়ে অডিটের কাছে ধরা পড়েন। তিনি  বলেন এটা  তিনি জেনে শুনেই করেছেন।ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন যে ধরনের বাজেট দেখতে চান তেমনি বানানো হয়েছে। অঙ্ক মিলল কি মিলল না তা নিয়ে  মাথা ঘামানো বৃথা।

    ইউক্রেন আক্রমণ ও বুচার বর্বরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার লাটভিয়া আজ রাশিয়ান রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছে তিনি যেন পত্রপাঠ তাঁর সেরেস্তার লোকজন সহ স্বস্থানে প্রস্থান করেন।  

    জার্মান চ্যান্সেলর শ্রীমতী মেরকেলের প্রিয় পাত্রী উরসুলা ফন ডের লাইয়েন ছিলেন জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। আপনজনদের লাভজনক সরকারি কনট্র্যাক্ট যোগাড় করা ও  স্বজন পোষণের অজস্র অভিযোগের ব্যাপারে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে তিন বছর যাবত- তারিখ পে তারিখ! সে বিড়ম্বনা এবং  বার্লিন থেকে তাঁকে দূরে সরিয়ে রাখবার সদিচ্ছায় আপন গদি ছাড়বার আগে মেরকেল এই  গুণী মহিলাকে  ইউরোপীয় ইউনিয়নে শুধু গছিয়ে দিয়ে গেলেন তাই নয়। সমস্ত আইনকানুন দুমড়ে মুচড়ে ফন ডের লাইয়েন হলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট। দুর্নীতির উদ্ভব এবং বিস্তার কাণ্ডে ভারতবর্ষের মনোপলি নেই- সেখানে ব্রাসেলস ও বার্লিন একাসনে বসতে পারে।

    প্রেসিডেন্ট ফন ডের লাইয়েন আজ বলেছেন রাশিয়ার ওপরে আমাদের আরও কঠিন, কঠিনতর  স্যাঙ্কশনের বোঝা চাপাতে হবে। ছয়টি সদস্যের ইউরোপিয়ান কমন মার্কেটের যুগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো কেবলমাত্র সর্বসম্মতিক্রমে। আজ এই সাতাশটি দেশের হট্ট মেলায় সেটা আর সম্ভব নয়, তাই বোধহয় কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না।

    হমে অভি সোচনা হ্যায়।

    ঘর আয়া মেরা পরদেসি

    ইংল্যান্ডে ইতিমধ্যেই দেড় লক্ষের মতো পরিবার ইউক্রেনীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দেবার জন্য প্রস্তুত। দু লক্ষ ভিসা দেওয়া হবে। অনেক মা জননী, মা মেরি তাদের অপেক্ষায় আছেন,  কিন্তু কাজে কর্মে ইংল্যান্ডের  সরকারের তৎপরতার তুলনা একমাত্র তারা নিজেই। ঠিককোন গুলো কাগজ জমা দিলে পরে ভিসা মেলে সেটা ক্রয়ডনের অফিস নিজেরাই জানে কিনা সন্দেহ।

    ইংল্যান্ডের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলস শরণার্থীদের ভিসা পদ্ধতি সহজ এবং বোধগম্য করে তুলেছে।  ইনভারনেস, কেনমোরের তাঁতে  বোনা হচ্ছে ঘন নীল আর হলুদ রঙের এক নতুন স্কটিশ  টারটান।  


    নতুন স্কটিশ টারটান

    এ যাবত পোল্যান্ডে আশ্রয় পেয়েছেন পঁচিশ, স্লোভাকিয়ায়  তিন, রোমানিয়ায় ছয়  লক্ষ। ছোট্ট দেশ মলডোভায় এসেছেন আড়াই লক্ষ, সে দেশের মোট জনসংখ্যা পঁচিশ লক্ষ।

    মার্চের মাঝে কলকাতা থেকে ফিরে দেখি আমাদের বাস ভবন  ত্রাণ সামগ্রীর বৃহৎ গুদামে পরিনত হয়েছে। বাড়িতে তিল ধারণের জায়গা হয়তো আছে কিন্তু আমার নিজের স্থান অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ। চতুর্দিকে ছড়ানো কালো প্লাস্টিকের ব্যাগ, পেল্লায় সুটকেস। এখানে ওখানে শুকনো খাবারের প্যাকেট এমনকি দশ কিলো বাসমতী চালের বৃহৎ ব্যাগ! প্রতিদিন আসেন আরও মানুষ, দিয়ে যান ত্রাণ সামগ্রী। এখুনি নিকটবর্তী গ্রাম অ্যাশ ভেল থেকে দুজন এলেন – বব এবং পলিন, এখানে  ত্রাণ সংগ্রহ  হচ্ছে খবর পেয়েছেন কোথাও থেকে। ববের বয়েস আশি,  ছিলেন ব্রিটিশ আর্মিতে (মালয়, সাইপ্রাস,  জার্মানি)  পলিন আটাত্তর,  আর্মিতে নার্স। তাঁদের বিয়ে হয় হানোভারে, পুরনো আউডি চালিয়ে  হনিমুনে গেছেন  জালতসবুরগ।


    সুখী গৃহকোণ

    বাড়ির বাইরে থেকে যখনই ফিরি, দেখি আমাদের অনুপস্থিতিতে কে বা কারা বাড়ির সামনে রেখে গেছেন আরও কিছু বস্তা! নাম বা টেলিফোন  নম্বর রেখে যান নি।

    এই বিশাল কর্মশালায় আমাদের প্রথম কাজ ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট - কোন ব্যাগের ভেতরে কি আছে সেটি জানা দরকার।  নইলে প্রয়োজন অনুযায়ী তার বিতরণ কঠিন।

    কুণ্ডু বাবুর কথা মনে পড়লো।

    দু বছরের  শিক্ষানবিশীর শেষে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কলকাতা  মেন ব্রাঞ্চে  চিরঞ্জীবদার ( চৌধুরী )  অধীনে জুট মিলের ব্যবসা বোঝার চেষ্টায় লেগে আছি  । একদিন করিডোরে বড়ো সাহেব সুপ্রিয় গুপ্ত দাঁড় করালেন, "জুট বা পাট কখনো চোখে দেখেছেন সিংহরায়?"  আমি বললাম "পাটের বস্তা দেখেছি সার"। গুপ্ত সাহেব বললেন, "আঃ, সেটা জুটের  একটা  প্রডাক্ট। পাট মাঠে গজায়। আমি কুণ্ডুকে বলে দিচ্ছি আপনাকে ইন্সপেকশনে নিয়ে যাবে"। কুণ্ডু বাবু নিয়ে গেলেন নৈহাটিতে পাটের গুদাম পর্যবেক্ষণে।  কাঁচা পাটের গাঁঠ বা বেল সে গুদামে  আনা হয় তারপরে তা  চলে যায় ফ্যাক্টরিতে। আমাদের দেওয়া ঋণের সুরক্ষার্থে জানা দরকার এই কাঁচা পাটের আসা যাওয়ার ধরনটা কি।  

    সাধারণ বুদ্ধি বলে যেটা আগে এসেছে সেটা আগে যাবে, এই মানুষের জীবন যে রকম! যে আগে আসে সে আগে যায়, সাধারণত। তাকে সংক্ষেপে বলে ফিফো, ফার্স্ট ইন ফার্স্ট আউট। কুণ্ডু বাবু হেসে বলেছিলেন অন্য পন্থা  ব্যবসার পক্ষে অনুপযুক্ত -  লাস্ট ইন ফার্স্ট আউট, লিফো!  যেমন মানুষের দাঁত, পরে আসে আগে যায়!

    রোদিকাকে লিফো আর ফিফো ব্যাখ্যা করে জানতে চাইলাম আমরা এখানে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করছি? সে বললে মনে হয় লিলো - লাস্ট ইন লাস্ট আউট!

    আজ সকালে তানিয়া ওয়েব নাম্নী এক ইউক্রেনিয়ান মহিলা এলেন, সঙ্গে দুটি টিন  এজার মেয়ে, দুটি ছেলে, বারো এবং তিন বছরের। তিনি আমাদের গ্রামে বাস করেন, স্বামী ইংরেজ।  এই ছেলে মেয়েগুলিকে তিনি আশ্রয় দিয়েছেন।  একবস্ত্রে আছে এক সপ্তাহ। কাল এদেশে এসে পৌঁছেছে।  প্রয়োজন বস্ত্রের, পাদুকার। রোদিকা তাদের বললো  যাও দেখো টেবিলে সব রকমের জামা জিনস কোট জ্যাকেট টি শার্ট সাজানো আছে, টেবিলের নিচে আছে ছেলেদের আদিদাস থেকে  মেয়েদের হানা মন্টানা টাইপের সব ধরনের জুতো।  যেটা খুশি নিয়ে  নাও, মায়ার ঘরে গিয়ে ট্রায়াল দিয়ে এসো। অনাবিল খুশিতে তারা বাড়ি আলো করে রাখল এক ঘণ্টা। ছোট ছেলেটি আমাদের কুকুরের সঙ্গে খেলা করলো, যেন কতদিনের চেনা!  তারা ফেলে এসেছে চেনা দুঃখ চেনা সুখ, চেনা মাটি,  চেনা পাড়া, চেনা ছেলেদের জোট,  চেনা মাঠ, ঘরের দেওয়ালে আন্দ্রি শেভচেনকোর পোস্টার, বাবা মায়ের নিশ্চিন্ত  আশ্রয়।


    ইউক্রেনের শিশুরা

    ছেলে মেয়ে গুলি ইংরেজি জানে যৎসামান্য। ভাষা আজ অর্থহীন।

    সব হারিয়ে আজ এই দূর দেশে এসে তারা যেন পায়  শুধু ঘর নয়  জুতো নয় জামা নয়, তার চেয়েও অনেক বেশি – মানুষের ভালবাসা। অন্তহীন।

     মানুষ  তবুও ঋণী মানুষেরই কাছে।

    ৮ এপ্রিল, ২০২২

    পুঃ কৃতজ্ঞতা স্বীকার - কবীর সুমন (চেনা দুঃখ চেনা সুখ গানের কয়েকটি পংক্তি আত্মসাৎ করেছি)  
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৮ এপ্রিল ২০২২ | ১৭৩০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Debanjan Banerjee | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ১০:৪১506156
  • অসম্ভব ভালো হয়েছে লেখাটি l উক্রেইনের মোট জনসংখ্যা প্রায় 4.5 কোটি যার মধ্যে প্রায় 1.5 কোটি 2014 theke ২০২১ এর মধ্যেই পালিয়ে যায় দেশ থেকে l বাকিদের মধ্যে এই গত দেড় মাসের মধ্যে কত লোক পালিয়েছে কোনো রাফ এস্টিমেট আছে কি আপনার কাছে হিরেনবাবু ?                                                             আরেকটি জিজ্ঞাসা আছে উক্রেইনের মূল শিল্পাঞ্চল হলো ডোনবাস যেটি রাশিয়া প্রায় নিয়েই নিয়েছে l উক্রাইনের উপকূল প্রায় পুরোটাই (ওডেসা বন্দর বাদে ) রাশিয়ার হাতে l তাহলে যুদ্ধ পরবর্তী উক্রাইনের অর্থনীতি বলে কিছু কি আদৌ থাকবে কি ? একজন ইনভেস্টমেন্ট banker হিসেবে আপনার কি মত ? 
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ১১:২১506157
  • হীরেনবাবুর লেখার ধরণটি ভারি সুন্দর।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::2a8:44d3 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ১১:৩৭506158
  • এই কাজের জন্য কোনও সাধুবাদই যথেষ্ট নয়।
  • হীরেন সিংহরায় | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ১৩:৫০506159
  • দেবাঞ্জন 
     
    ক্রিমিয়া দনেতস্ক লুহান্সক অঞ্চলের মোট জনসংখ্যা চল্লিশ লক্ষ, ইউক্রেনের দশ শতাংশ , আয়তনের  পাঁচ । লোহা কয়লা থেকে রপ্তানির আয় সত্তর কোটি ডলার । বাকি ইউক্রেনের জনসংখ্যা চার কোটি তাদের প্রধান আয় শস্য রপ্তানি থেকে ( দুশ কোটি ডলার )- বরাবর শুনে এসেছি ইউক্রেন হল ইউরোপের ব্রেড বাস্কেট । ইউ কে আর জার্মানিকে এখানে বসিয়ে দেওয়া যায় এমন  পেল্লায় তার আয়তন । দেশ ত্যাগ করেছেন এযাবৎ পঞ্চাশ লক্ষ এবং দেশের ভেতরে ঘর ছাড়া  হয়ে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজেছেন আরও পঞ্চাশ লক্ষ। কিইভে দোকানপাট খুলছে আবার । ১৯৪৫ সালে কেউ ভাবে নি  জার্মানি মনুষ্য বসবাসের যোগ্য হয়ে উঠবে কখনো । 
  • DJ | 2605:6400:30:f6ed:c6a7:9997:d411:cb21 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ১৪:০৫506160
  • ইউক্রেন ইউরোপের বৃহত্তম দেশ, কিন্তু ইকনমি এমন কিছু বড় নয়, ইউক্রেন ঠিক হয়ে যাবে।

    পুতিন রাশিয়াকে দায়িত্ব নিয়ে মায়ের ভোগে পাঠাল। এখন হাঙ্গেরি রুবলে তেল কিনবে সেই ভরসায় আছে। ভারত বা চিন অবধি পাইপলাইন/সাপ্লাইলাইন নেই।
  • Debanjan Banerjee | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ১৯:৪২506165
  • @DJ স্ট্যাটিসটিক্স বলছে উক্রাইনের ২০১৯ সালেও মাথাপিছু আয়( সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গার সময়ের ) ১৯৮৯ সালের মাথাপিছু আয় থেকে কম ছিল প্রায় ৩০ শতাংশ l ২০১৯ সালে উক্রেইনের মধ্যে মারিউপোল ও ওডেসা ছিল যেইগুলো আর কতদিন উক্রেনের মধ্যে থাকবে বলা যাচ্ছেনা (মারিউপোল তো প্রায় বেরিয়েই গেছে হাত থেকে ) হিরেনবাবুর বক্তব্য অনুযায়ি এখন উক্রেইনের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা গৃহহীণ শরণার্থী হয় দেশে বা বিদেশে l সুতরাং পরে থাকলো সুধু এখন পশ্চিম ইউক্রেইন্ যার জন্য পুতিন সাহেব গ্রজনি ট্রিটমেন্ট দেবেন কিনা বলা যাচ্ছেনা l তবে পশ্চিম উক্রেনেকে দিয়ে একটি শিক্ষা দেওয়া হতে পারে বাল্টিক ৩ টি দেশকে বেশি বেগড় বই না করতে l                            যুদ্ধ পরবর্তী উক্রেইনের সবচেয়ে বড়ো সমস্যা হতে পারে কোস্টলাইনের রাশিয়ার হাতে চলে যাওয়া l পশ্চিমা উক্রাইনের সবচেয়ে বড় সম্পদ গম রপ্তানি তখন প্রায় কোনো বন্দরের অভাবে বন্ধ হয়ে যাবে বলাই বাহুল্য l  পশ্চিম উক্রেনের মানুষের তখন সবচেয়ে ভালো আর্থিক জীবিকা হতে চলেছে ধনকুবের ইসরায়েলি দম্পতিদেরকে গর্ভ ভাড়া দেওয়া বা surrogate mom হয়ে যাওয়া l                                                                        মোদ্দা কথা হলো যে বৃহৎ ইউক্রেইন্ গণতন্ত্র আসার তিরিশ বছর পরেও এখনো সোভিয়েত মাথাপিছু আয় কেই ধরতে পারেনি তার পক্ষে এই যুদ্ধের পরে অনেক জনসংখ্যা ও জমি হারিয়ে আর্থিক ভাবে মাথা তুলে দাঁড়ানো অসম্ভব l ডিজে বাবু কি বলেন ? 
  • পলিটিশিয়ান | 76.174.114.1 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ২০:৫৪506168
  • আমি ইউক্রেনের পার ক্যাপিটা জিডিপি নিয়ে কোন নম্বর দেখিনি, কিন্তু ওই অঞ্চলের পরিচিতদের মুখে শুনেছি বহু ইউক্রেনিয়ান কাছাকাছি দেশগুলোতে বিভিন্ন রকম অড জব করে জীবিকা সংস্থান করে। সাধারণতঃ এদের রাশিয়ান বলে লোকালরা। তবে বেশিরভাগ আসলে ইউক্রেনিয়ান। এ বাদে আমেরিকায় রাশিয়ান মেইল অর্ডার ব্রাইডরাও নাকি অনেকেই ইউক্রেনিয়ান।
     
    হোপফুলি এই যুদ্ধের ফলে পশ্চিমী শক্তিগুলো একটা মার্শাল প্ল্যান করবে ইউক্রেনের জন্য। যাঁরা মারা গেলেন তাদের জন্য তো আর কিছু করা সম্ভব নয়। যাঁরা বেঁচে থাকলেন তাঁদের অবস্থার কিছু উন্নতি হয় তাহলে।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::25a:e4b3 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ২২:২৩506170
  • ইউক্রেনের পার ক্যাপিটা নমিনাল জিডিপি ইন্ডিয়ার মাত্র দুইগুন আর রাশিয়ার এক তৃতীয়াংশ (অ্যাপ্রোক্সিমেট)। ঐটুকু মাত্র পপুলেশান নিয়ে আর ভৌগলিক ভাবে ইয়োরোপের এত কাছাকাছি সত্ত্বেও এত কম দেখে অবাক লাগে। এই যুদ্ধের ফলে দুইদেশেরই অবশ্য অর্থনীতি গেলো।
  • হীরেন সিংহরায় | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ২৩:২৭506174
  • শ্রী স 
     
    সঠিক বলেছেন। এই যুদ্ধের ফলে দুই দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হলো । ইউক্রেন মাসে  চল্লিশ লক্ষ টন শস্য রপ্তানি করতো - বন্দর বন্ধ বলে এখন সেটা ছ লক্ষ টনে নেমে এসেছে।  এটুকু ইউরোপ যাচ্ছে ট্রেনে । শস্য বিক্রি থেকে বাৎসরিক ক্ষতির পরিমাণ ছ বিলিয়ন ডলারে ধার্য করা হচ্ছে। রাশিয়ার দুটো ডলার বন্ডের সুদ দেওয়ার কথা ছিল সোমবার চার তারিখ । কুল্লে সাড়ে ছ লক্ষ ডলার  রাশিয়া সমপরিমাণ রুবেল জমা করে জানিয়েছে এবারে বুঝে নাও। চুক্তি অনুযায়ী ডলারে পেমেন্ট করতে হবে সময় আছে তিরিশ দিনের  মধ্যে । না করলে রাশিয়ার লোণ  ডিফল্ট হয়েছে বলে ঘোষণা করা হবে। শেষ বার  রাশিয়া ডিফল্ট করে ১৯১৭ সালে তাদের রেটিং এখন জাঁকের কাছা কাছি । সমস্যা বন্ড হোল্ডারদেরও । বাজারে তাদের চল্লিশ বিলিয়ন ডলারের ধার আছে।  লন্ডনের রাশিয়ান ব্যাঙ্ক ভি টি বি দরজা বন্ধ করছে। 
     
    দেবাঞ্জন - ইউক্রেনে এযাবৎ ২৫% মানুষ ( এক কোটি ) গৃহ বা দেশ ছাড়া হয়েছেন , অর্ধেক নয়। 
  • dc | 122.183.160.216 | ১০ এপ্রিল ২০২২ ০৯:০২506183
  • হ্যাঁ, এই যুদ্ধের ফলে রাশিয়া আর ইউক্রেন, দু দেশের অর্থনীতিই ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্ত হলো। আর কয়েক মিলিয়ন নতুন উদ্বাস্তু তৈরি হলো, অলরেডি সিরিয়া, আফ্রিকা আর লটিন আমেরিকার বহু উদ্বাস্তু মানুষের সংখ্যায় আরও যোগ হলো। এদিকে য়ুরোপ আর অন্য আরও কিছু দেশ তেল আর গ্যাসের ব্যবহার কমানোর চেষ্টা করছিল, এমিশান টার্গেট মিট করার চেষ্টা করছিল, সেসবও গেল। এখন ইউরোপের প্রথম প্রায়োরিটি হয়ে গেল রাশিয়ার ওপর ডিপেনডেন্সি কমানো। অথচ এই যুদ্ধটার কোন দরকার ছিল না। শুধুমাত্র একজন অটোক্র‌্যাটের মেগালোম্যানিয়া আর গ্র‌্যানডিওর অফ ইলিউশানের ফল এই যুদ্ধ।  
  • dc | 122.183.160.216 | ১০ এপ্রিল ২০২২ ০৯:৩৮506184
  • আর পুটিন যে কতোগুলো লেভেলে নিজের কবর খুঁড়লো তার কোন ঠিক নেই। 
     
    এদ্দিনে পুটিনের বেশ একটা টাফ লাভ ইমেজ তৈরি হয়েছিল, হোমোফোবিয়া আর মেল শভিনিজম সত্ত্বেও কিছুটা ক্রেডিবিলিটি তৈরি হয়েছিল, ম্যাক্রন, মার্কেল, শলজরা কথা বলছিল, সেসব গেলো। আর ইউরোপিয়ান মার্কেটে রাশিয়ান তেল আর গ্যাসের সাপ্লাই বাড়ছিল, সেটাও ব্যাহত হলো। নর্ডস্ট্রিম ২ বোধায় আর চালু হবে না। 
     
    রাশিয়ান আর্মির ক্রেডিবিলিটি বিরাট প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিল। সামান্য ইউক্রেনের ক্যাপিটাল কিয়েভ দখল করতে পারলো না, তিন দিক থেকে আক্রমন করেও পিছিয়ে আসতে বাধ্য হলো। একই সাথে স্ট্র‌্যাটেজিক ফেলিওর, ট্যাকটিকাল ফেলিওর আর লজিস্টিক ফেলিওর। ওয়ার ক্রাইমস তো আছেই, তাছাড়াও সবকটা মেজর পাওয়ার এর প্ল্যানার রা জেনে গেলো রাশিয়ান আর্মির কি দুরবস্থা। এর থেকে ভালো হতো যদি ডনবাস দখল করেই থেমে যেতো, যা কিনা এতোবড়ো যুদ্ধ না করেও করা যেত। 
     
    লং টার্মে ইউক্রেনিয়ানদের মনে রাশিয়ানদের ওপর যে ঘৃণা জন্মালো সেটা যেতে অন্তত এক থেকে দুটো জেনারেশান লাগবে। ওয়েস্টার্ন বর্ডারে একটা পার্মানেন্ট এনিমি তৈরি করলো। আর ন্যাটারও সুবিধা করে দিল অন্য বর্ডারিং নেশানগুলোতে। 
     
    অলিগার্কদের ওয়েলথ বা পুটিনের পার্সোনাল ওয়েলথ নিয়ে লিখলাম না, কারন ওসব ওরা সামলে নেবে। 
  • বিপ্লব রহমান | ১১ এপ্রিল ২০২২ ১০:০১506214
  • এই পোস্টের মন্তব্যেও ভাষা অর্থহীন। 
     
    অনেক দেরীতে হলেও বিচ্ছিন্নভাবে পড়ছি। লেখকের গ্রাহক হলাম 
  • dc | 122.161.211.25 | ১২ এপ্রিল ২০২২ ০৯:০১506227
  • ওদিকে কিয়েভে হেরে গিয়ে পুটিন তো ক্যাম্পেনের জেনারালই পাল্টে ফেলল! নতুন জেনারাল কি পারবে মে ৯ এর মধ্যে ডনবাস দখল করতে? আমেরিকা-নেটো-টার্কির ওয়েপন আর ড্রোন সাপ্লাই চেন কি ভাঙতে পারবে? দেখা যাক। 
     
    Military experts and western officials have also speculated that Putin's generals are feeling the pressure to deliver some sort of results ahead of May 9, when Russia marks Victory Day, the defeat of Nazi Germany in 1945. But a fresh analysis from the Institute for the Study of War (ISW), a US-based think tank, casts some doubt on Russia's ability to concentrate the forces needed to make a breakthrough in the Donbas. "We assess that the Russian military will struggle to amass a large and combat-capable force of mechanized units to operate in Donbas within the next few months," the analysis states. "Russia will likely continue to throw badly damaged and partially reconstituted units piecemeal into offensive operations that make limited gains at great cost."
     
    Military analysts and observers say Russia may struggle to reorganize forces that have been battered by the Ukrainian military, particularly in the defense of Kyiv and northern Ukraine. Before the invasion, Russia had arrayed approximately 120 battalion tactical groups around Ukraine. According to one European official, about a quarter of those forces are "effectively inoperable" after heavy casualties and the destruction of hardware.
     
     
    রাশিয়ান আর্মির এই লেভেলে ট্যাকটিকাল ফেলিওর হবে, যুদ্ধের আগে কেউ ভাবতে পারেনি। 
  • Amit | 45.115.48.2 | ১২ এপ্রিল ২০২২ ০৯:০৪506228
  • দুর্ভাগ্যের বিষয় ম্যাংগো রাশিয়ান দের কোনো সুযোগ নেই বলার ওদের দেশ কে চালাবে। নাহলে সুযোগ থাকলে ওরা সবার আগে প্রেসিডেন্ট পাল্টাতো। 
  • dc | 122.161.211.25 | ১২ এপ্রিল ২০২২ ০৯:১৫506230
  • সেজন্যই তো পুটিন রাইট উইংগারদের এতো প্রিয়। অনেক দিন ধরে ডিসেন্টারদের দেশে বিদেশে মেরে আসছে, কখনো রেডিয়েশান তো কখনো পয়জন পিল। তবে রাশিয়ার ইকোনমি যতো বেহাল হবে অসন্তোষও ততো বাড়বে, একটা সময়ে টিপিং পয়েন্টে চলে যেতেও পারে।  
  • harinath | 2405:8100:8000:5ca1::1cc:80f4 | ১২ এপ্রিল ২০২২ ১০:৩৫506231
  • ইউক্রেনের জিডিপি ১৬০ বিলিয়ন ইউএস ডলার। ওয়েস্টের দেশগুলোর কাছে এই অ্যামাউন্ট কোনো ব্যাপার না, রিবিল্ডিং ইউক্রেন কোনো ইস্যু না। এলম মাস্ক বা জেফ বেজোস একাই ইউক্রেন রিবিল্ড করে দিতে পারে। মাস্ক তো কাজ শুরু করে দিয়েছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন