এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • দূরে কোথায় - ১২ 

    হীরেন সিংহরায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ০৬ এপ্রিল ২০২২ | ২৩১৯ বার পঠিত | রেটিং ৩ (১ জন)
  • বুচা

    কিইভের উপকণ্ঠ বুচার পথে দেখা গেছে সারি সারি মৃতদেহ।

    রাশিয়ান বিদেশ মন্ত্রী সেরগেই ভিক্তরোভিচ লাভরভ বলেছেন রাশিয়াকে বদনাম করার  জন্য ফোটো শপের ছবি চাউর করা হচ্ছে। ভালো করে দেখুন ভিডিওতে – দেখবেন তারা উঠে চলে বেড়াচ্ছে। ফেক নিউজ।

    শ্রী লাভরভ বলেছেন রাশিয়ান সৈন্য দ্বারা কোন ব্যক্তি নিহত হন নি।  শ্রী লাভরভ একজন সম্মানিত ব্যক্তি (ফর হি ইজ অ্যান অনরেবল ম্যান)।

    ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেনসকি এই নির্মমতাকে গণহত্যা বলেছেন।

    কোনো এক জাতি বিশেষের  বহু সংখ্যক মানুষকে বধ করে সেই জাতিকে সমূলে উচ্ছেদ  করার যে প্রয়াস অক্সফোর্ড অভিধানের  মতে তার নাম জেনোসাইড বা গণহত্যা । অনেক হাজার বছরের  সভ্যতা এবং বর্বরতার ইতিহাসে মানুষের প্রতি মানুষের নিষ্ঠুরতার নিদর্শন অন্তহীন। তবে তার মধ্যে কোনগুলি গণহত্যার  অসম্মান অর্জন করতে পারে তা নিয়ে বিতর্ক আছে। রাজনীতিতে বিরোধী মতবাদের মানুষকে বা বিজিত শত্রুকে  ফায়ারিং স্কোয়াড দ্বারা অথবা ছুরিকাঘাতে নিধন করাকে গণহত্যা  আখ্যা দেওয়া যায় না। তাকে আমরা কখনো বলি লম্বা ছুরির রাত  (জার্মানি ৩০শে জুন ১৯৩৪) অথবা পারজ, এলিমিনেশন (অগুনতি) ।

    সঠিক সংজ্ঞা গুলি মেনে নিলে আধুনিক সভ্যতার ইতিহাসে প্রথম গণহত্যার কৃতিত্ব জার্মানদের প্রাপ্য।  স্থান জার্মান দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকা, আজকের নামিবিয়া, কাল ১৯০৪।  হেরেরো নামের স্থানীয় উপজাতির বিরোধিতায় ক্ষিপ্ত জার্মান সেনাপতি লোথার ফন ত্রথা নামের এক সেনাপতি লিখিত আদেশ দেন – "হেরেরো জাতিকে সমূলে বিনাশ করতে হবে,  শুধু বন্দুকের গুলিতে নয়,  তাদের ঠেলে পাঠাতে হবে এমন অঞ্চলে যেখানে জল নেই।" আশি হাজার হেরেরো নিধনের  পরে জার্মান কাইজারকে লিখলেন, "যেসব পুরুষ নারী ও শিশুকে পেয়েছি তাঁদের নির্মমভাবে (গ্নাদেনলোস) হত্যা করেছি।  এদের কারো কাছে অস্ত্র ছিল না।"  ফিল্ড মার্শাল আলফ্রেড ফন  শ্লিফেন সমর্থনে বলেন, "একটা জাতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই – তাদের বিনাশ আমাদের লক্ষ"। হিটলারের বয়েস তখন পনেরো,  গোয়েরিঙের এগারো, দুনিয়ার আলো দেখতে  আইখমানের দু বছর বাকি।  


    জার্মান সৈন্যদের  তত্ত্বাবধানে হেরেরো হত্যা

    আটত্রিশ  বছরে বাদে ভানজে কনফারেন্সে  হিটলার,  গোয়েরিং,  আইখমান  আরেক জাতিকে উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত নেবেন। ব্লু প্রিন্ট তো তৈরি।

    একশো সতেরো বছর বাদে জার্মানি হেরেরো নিধনকে গণহত্যা বলে স্বীকার করেছে।

    দ্বিতীয় দৃশ্য - অটোমান তুরস্ক;  কাল ১৯১৫-১৬। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের  শুরুতে আর্মেনিয়ান ক্রিশ্চিয়ানদের আনুগত্য সম্বন্ধে সন্দিহান অটোমান সুলতানরা বিশ লক্ষ আর্মেনিয়ানকে নিধন বা  নির্বাসনের সাজা দিলেন।  সঠিক সংখ্যা কখনো জানা যাবে না তবে বন্দুকের গুলি, অনাহার, শীতে মৃতের সংখ্যা দশ  লক্ষের বেশি বলে অনুমান করা হয়ে থাকে।  


    তুরস্ক ১৯১৫ - আর্মেনিয়ানদের মৃত্যু মিছিল

    আপনার কোন তুর্কী বন্ধু জনের সমক্ষে আর্মেনিয়ান গণহত্যার প্রসঙ্গ তুললে বিপদে পড়বেন। আজও তুরস্ক স্বীকার করে না এমন কোন ঘটনা ঘটেছিল। ফেক নিউজ। কোন দেশ -যেমন হালে ফ্রান্স – এই ভুল করলে তুরস্ক তাদের কড়ি সে  কড়ি নিন্দা করে থাকে।

    এক বিদেশি শক্তির তৈরি কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ বাঙালি দেখেছে -পঞ্চাশের মন্বন্তর। সেখানে কম করে তিরিশ লক্ষ মানুষ অনাহারে প্রাণ দিয়েছিলেন।
      
    ১৯৩২-৩৩ সালে ইউক্রেনে অন্তত সত্তর লক্ষ, মতান্তরে আরও বেশি মানুষ মারা গেছেন তাঁদের আপন দেশের তৈরি আরেক  দুর্ভিক্ষে। তার নাম  হলদমোর, বাঙলায় অনাহারে মৃত্যু।  এ নিয়ে কোন আলোচনা বারণ ছিল সোভিয়েত আমলে।  ১৯৯১ সালের পরে ইউক্রেন একে গণহত্যা বলেছে।


    ১৯৩৩ - ক্ষুধায় মৃত মানুষ - কিইভ, হলদমোর

    সোভিয়েত অর্থনৈতিক ইতিহাস পড়েছি অর্থনীতির ক্লাসে। সেখানে  যৌথ খামার (কোলখোজ) প্রকল্প ছিল  একটি বিশাল  অধ্যায়। আলেক নোভের বই ছিল পাঠ্য। ১৯১৭ সালে লেনিন সকল রাশিয়ানকে শান্তি, জমি ও রুটির যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার সফল রূপ দেবার জন্য প্রয়োজন ছিল চাষ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন। চাষি হারাবে তার দখলি স্বত্ব -  জমির আল গুলি ভেঙ্গে ফেলে মিলিয়ে তৈরি হবে এক বিশাল বিশ, তিরিশ হাজার হেকটরের চাষের জমি – যৌথ খামার।  যেখানে ঘোড়া আর লাঙ্গল নয়, চলবে ট্র্যাক্টর, কম্বাইন হারভেসটর।

    ফসল উৎপাদনে ইউক্রেন  সোভিয়েত ইউনিয়নের সকল রিপাবলিকের সেরা। ইউক্রেন একাই পশ্চিম ইউরোপকে দুধে ভাতে রাখতে পারে। সেখানকার চাষিরা  যৌথ খামার প্রকল্পের কথা  শুনেই ‘এ দেশ তোমার আমার আর আমরা গড়ি খামার’   এই   গান গাইতে গাইতে  সে মহান আন্দোলনে যোগ দিতে চান নি।  তাঁরা  সন্দিহান ছিলেন।  জারের আমলের ভূমিদাসত্ব কি এবারে আরেক রূপ নিতে যাচ্ছে? নতুন জমিদার? পার্টি?

    ১৯৩২/ ৩৩ সালের ফসল আশানুরূপ হয় নি।  তার কারণ বহুবিধ - বড়ো খামারের উপযুক্ত আধুনিকীকরণ হয় নি, সোভিয়েত ইউনিয়নের শিল্পায়ন অনেক দূরে,  ম্যানেজমেন্ট ক্রূর কিন্তু অকর্মণ্য, আপন জমি হারানোর ভয়ে  চাষিদের বিরোধিতা, খরা।


    ফুটপাথে মৃত মানুষ - হলদমোর

    সোভিয়েত ইউনিয়নে যোগ দেবার সময় (১৯২২) ইউক্রেন আপন পতাকা,  সংবিধান বজায় রাখার এবং আপন ইচ্ছায় সোভিয়েত ইউনিয়ন পরিত্যাগ করার (রাইট টু সিসিড ) অধিকার দাবি করেছিল। লেনিন তার সমর্থন করেন। কিন্তু স্টালিন ইউক্রেনকে সন্দেহের চোখে দেখেছেন, বিশেষ করে তাদের জাতীয়তাবাদী মনোভাবকে। ১৯৩২/৩৩ সালে ইউক্রেন  পেলো তার শাস্তি – একদিকে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি হচ্ছে দেশের অন্যত্র বা বিদেশে কিন্তু ইউক্রেনের অধিবাসীদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার চালু করলেন এক কঠিন র‍্যাশন ব্যবস্থা।  প্রথম দিকে কিইভ, খারকিভ, মারিউপোলে তবু র‍্যাশন জুটত, গ্রামের দিকে ত্রাহি ত্রাহি রব। ১৯৩৩ সালের ফেব্রুয়ারি মার্চ থেকে বড়ো শহরে খাদ্য দ্রব্য মেলা ভার হল – পথে পথে ক্ষুধার্ত মানুষের সারি, ফুটপাথে মৃতদেহ।  শুধু অনাহার নয়, ওডেসা খারকিভ ভিনিতসিয়াতে ম্যালেরিয়া টাইফয়েড দেখা দিলো মহামারি রূপে। ইউক্রেনিয়ানদের গতিবিধি আপন রাজ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ – তাঁদের হাতে যে পরিচয় পত্র ধরানো হয়েছে তাতে অন্য প্রদেশে যাওয়া মানা।

    জীনা য়হাঁ মরনা য়হাঁ।

    ইউক্রেনের সীমানার বাইরে বসবাসকারী  বহু ইউক্রেনিয়ানকে  খুঁজে খুঁজে মারা হয়। ইউক্রেনিয় ভাষা শিক্ষকদের নির্বাসন বা নিধন হল নিশ্চিত। ক্রাসনোদারে দু হাজার বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়। 

    বক্সিঙ্গের মতো টেকনিকাল পয়েন্টে হলদমোর গণহত্যা  কিনা এ নিয়ে বিসংবাদ আছে। থাকতেই পারে।  তবে ইউক্রেন সহ  অন্তত কুড়িটি দেশ আজ একে গণহত্যা বিবেচনা করে।

    বুচার ঘটনাকে কি হিসেবে মাপা হবে জানি না কিন্তু বর্তমান ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মৈত্রীর গভীরতা অনুধাবন করতে  গেলে হলদমোরকে  একবার স্মরণ করা সঙ্গত।


    বুচা

    **

    সারবিয়ার সঙ্গে রাশিয়ানদের হৃদ্যতা আজকের নয়। সেরায়েভো শহরের ল্যাটিন ব্রিজের কোনায়  সারবিয়ান  যুবক গাভরিলো প্রিঞ্চিপ যখন ভাবী অস্ট্রিয়ান রাজার ওপরে গুলি চালালেন এবং অস্ট্রিয়া  সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলো, তখন সেই দেশের সমর্থনে সবার আগেই  এসেছেন  রাশিয়ান জার।   ইয়ে দোস্তি অমর রহে।

    তার নমুনা আবার পাওয়া গেলো  রবিবার, জার্মান টেলিভিশনে।

    কেনিয়ার মাসাই জাতিকে বাদ দিলে  গড়পড়তা ডাচরা  দুনিয়ার সবচেয়ে লম্বা মানুষ। তারপরেই লিথুয়ানিয়ান। অনুমান করে নেওয়া সহজ যে এই দেশের  জাতীয় ক্রীড়ার নাম বাস্কেটবল!  সোভিয়েত ইউনিয়ন একাধিক অলিম্পিকে  বাস্কেটবলে সোনা জিতেছে।  লিথুয়ানিয়া আলাদা  হবার পরে একবারও  নয়!  ভিলনিউসের  বারো হাজারি স্টেডিয়ামে যে উন্মাদনা দেখেছি,  আর্সেনাল বনাম টটেনহাম হটস্পারের ম্যাচের চিল চিৎকার তার কাছে মৃদু কলরব মাত্র। অবশ্যই ইনডোর স্টেডিয়ামে আওয়াজ একটু বেশি কানে লাগে। দ্বিতীয় শহর কাউনাসের জালগিরিশ স্টেডিয়ামে পনেরো হাজার বসে এবং পাঁচ হাজার দাঁড়িয়ে খেলা দেখতে পারেন।  সেখানকার ডেসিবেল কোথায় পৌঁছুতে পারে তার নমুনা দেখা গেছে এই রবিবার তিন এপ্রিলে।


    কাউনাস লিথুয়ানিয়া ৩ এপ্রিল

    জালগিরিশ কাউনাস বনাম লাল তারা বেলগ্রেডের খেলা। জাতীয় সঙ্গীতের সময় ইউক্রেনের হলুদ নীল রঙের পটভূমিকায় স্টপ দি ওয়ার ব্যানার তুলে ধরা হলে বেলগ্রেডের প্লেয়াররা দূরে সরে দাঁড়ান। পতাকার সামনে থাকেন কাউনাসের পাঁচজন প্লেয়ার এবং তিনজন কর্মকর্তা। সমবেত বিশ হাজার লিথুয়ানিয়ান দর্শক পরবর্তী এক ঘণ্টা উচ্চস্বরে যে গাল মন্দ করেন (ইংরেজিতে ‘ফা- ইউ সার্বিয়া’  শোনা গেছে পুরো সময়) তাতে লাল তারার কর্তৃপক্ষ বিষম অপমানিত বোধ করে বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশনের কাছে কাউনাস ক্লাবের শাস্তি দাবি করেছেন। তাঁরা মনে করেন খেলার সঙ্গে রাজনীতির কোন সম্পর্ক থাকা উচিত নয়।

    লাল তারা বেলগ্রেড দলের  পৃষ্ঠপোষক রাশিয়ান তেল প্রতিষ্ঠান - গাজপ্রম।

    সেই একই দিনে  শ্রী পুতিনের প্রিয় মানুষ আলেকজান্দার ভুচিচ সার্বিয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন।

    পু: খেলার ফল কাউনাস ১০৩- লাল তারা ৯৮

    ৫ এপ্রিল, ২০২২
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৬ এপ্রিল ২০২২ | ২৩১৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • dc | 122.164.204.240 | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১১:৩৮506038
  • "শ্রী লাভরভ বলেছেন রাশিয়ান সৈন্য দ্বারা কোন ব্যক্তি নিহত হন নি।  শ্রী লাভরভ একজন সম্মানিত ব্যক্তি (ফর হি ইজ অ্যান অনরেবল ম্যান)।"
     
    টুপি খুললাম। 
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১১:৩৮506039
  • হীরেনবাবু, বেশ কয়েক জায়গায় গনহত্যা বানানটা চলে এসেছে, একটু ঠিক করে দেবেন?
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১১:৪১506040
  • আর আপনার লেখার ধরণটি অসাধারণ, সেটা অবশ্য নতুন করে বলার কিছু নেই।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::43:5005 | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১১:৫০506042
  • আর কোনও জেনোসাইডের কথা আসলো না দেখে হতাশ হলাম। অবাক হইনি অবশ্য। এনিওয়ে এইটা হল ইউএনের ডেফিনিশানঃ

    Article II

    In the present Convention, genocide means any of the following acts committed with intent to destroy, in whole or in part, a national, ethnical, racial or religious group, as such:

    Killing members of the group;
    Causing serious bodily or mental harm to members of the group;
    Deliberately inflicting on the group conditions of life calculated to bring about its physical destruction in whole or in part;
    Imposing measures intended to prevent births within the group;
    Forcibly transferring children of the group to another group.

    https://www.un.org/en/genocideprevention/genocide.shtml
  • হীরেন সিংহরায় | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১২:২৭506043
  • শ্রী অভু্ 
     
    অশেষ ধন্যবাদ। 
     
    বানানটা ঠিক করছি। 
  • হীরেন সিংহরায় | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১২:৩৫506044
  • শ্রী স
    যথার্থ বলেছেন । 
    সংজ্ঞা বিবাদিত হতে পারে তবে উদাহরণ অনেক -
     
    ইউরোপে হাজার বছরের ইহুদি নিধন
    তিরিশ বছরের ইউরোপীয় ধর্ম যুদ্ধ 
    পল পট কামবোডিয়া ১৯৭৫
    স্রেব্রেনিতসা ১৯৯৪
    রুয়ানডা ১৯৯৪
    বাংলাদেশ ১৯৭১ কে জেনোসাইড বলা হয়েছিল
     
    আমেরিকার আদি বাসিন্দারা কোথায় গেলেন? 
    অস্ট্রেলিয়া ?
     
    মানুষের সভ্যতা ও বর্বরতার তালিকা অন্তহীন 
     
     
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::3c8:784c | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১২:৪৪506047
  • রোয়ান্ডা আর ক্যামেরুনের জেনোসাইডে ফ্রেন্চদের কি ভূমিকা ছিল? কলোনীগুলোতে বৃটিশরা, স্প্যানিশরা কি করেছে? জাপানীরা কি করেছে? আর এই হল আমেরিকার কার্যকলাপের লিস্টি।

  • dc | 122.164.204.240 | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১২:৪৭506048
  • যুদ্ধ নিয়ে কিছু বলতে হলে গত পাঁচ হাজার বছরে কি কি করা হয়েছে সে নিয়ে আগে এক মাস আলোচনা করতে হবে। আর পৃথিবীর সবাইকে সবার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তবেই কিছু বলা যাবে। 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::52:5c92 | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১২:৪৯506049
  • সিরিয়াসলি? তাহলে এই লেখাটাতে ১৯০৪ এ কি হয়েছে, সেটা লেখা হয়েছে কেন? আর এই লেখাতে কি যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে?
  • Debanjan Banerjee | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১২:৫২506050
  • হীৰেনবাবুর অসাধারণ লেখার হাত l আচ্ছা মধ্যযুগের প্যাপাসি দ্বারা কৃত northern ক্রুসেড বা আলবিজেনসিয়ান ক্রুসেড কে কি পাশ্চাত্যে গণহত্যা বলে গণ্য করা হয় ? আমি শুনেছি হিটলার এর আমলে জার্মানি এই অপারেশন বারবোরোসা কে তুষার নিগ্রো (রাশিয়া) দের বিরুদ্ধে ক্রুসেড বলেছিলেন ইটা কি সত্যি ? আপনার উত্তরের অপেক্ষ্যায় রইলাম l
  • Debanjan Banerjee | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১২:৫৫506051
  • @S ধন্যবাদ l তালিকাতে আরো দুটি নাম জোগাড় হবে l ১৯৭৭ ও ২০২২ এ পাকিস্তানে নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটানো l 
  • হীরেন সিংহরায় | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১২:৫৫506052
  • শ্রী এল সি এম 
     
     
    মানুষের সভ্যতায়  বর্বরতার তালিকা অন্তহীন। আমার ব্লগে স্থান অকুলান ।  তবে হলদমোর আজ  অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক । 
     
    শ্রী স 
     
    রুয়ান্ডার টুটসি নিধনে ফরাসি ভূমিকার সম্বন্ধে আমি অবগত নই । ক্যামেরুনে জার্মান ফরাসি ইংরেজ তিন রাজাই কখনো না কখনো রাজত্ব করেছে । 
  • lcm | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১২:৫৬506053
  • বড়েসের এই তথ্য আনাদলু এজেন্সির, টার্কি-র সরকারি (স্টেট রান) প্রোপাগান্ডা মেশিন। এদের তথ্য​​​, বিশেষ করে ​​​​​​​সংখ্যাগুলো সব নির্ভরযোগ্য নয়। 
     
    France to Turkey’s state-run news agency: A propaganda body spreading fake news

    In a series of social media messages, France's Interministerial Committee for the Prevention of Crime and Radicalization has accused Turkey’s state-run Anadolu Agency (AA) of being a propaganda body and spreading fake news about France.
  • dc | 122.164.204.240 | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১৩:০০506054
  • মায়া সভ্যতা যে স্প্যানিশরা ধ্বংস করেছিল তার উল্লেখ করা হয়নি। আর রোমানরাও অনেক মেরেছিল।d
  • lcm | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১৩:১২506055
  • হীৰেনবাবু,
    ঠিক বলেছেন। বর্বরতার কোনো পুব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণ হয় না। 
     
    রাশিয়া-ইউক্রেন কনফ্লিক্ট নিয়ে পড়ছিলাম। অনেক পুরোনো ঝামেলা। সেই ১৬৫০ এর শতাব্দী থেকে চলে আসছে। 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::226:ed06 | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১৩:১৩506056
  • এই যুদ্ধে একটা জিনিসই প্রমাণিত হয়েছে যে যখন ফরেন পলিসি, যুদ্ধের কথা আসে তখন সব মিডিয়াই সরকারের প্রোপাগান্ডা মেশিনে পরিণত হয়।

    সমস্যা হল যারা পৃথিবীর সবথেকে বড় জেনোসাইডগুলোর জন্য দায়ী, তাদের হাতেই এখন দুনিয়ায় মরাল কম্পাস। ফলে তারা ডিসাইড করে দেয় কোন কোন অ্যাট্রোসিটির কথা বলা যাবে এবং কোন অ্যাট্রোসিটির এক্সপায়ারি ডেট কবে। আর বাকীরা সেসব মেনেও নেয়, নইলে আবার স্যান্কশান, ভিসা সমস্যা, আউটসোর্সিং বন্ধ হওয়ার ভয়।
  • dc | 122.164.204.240 | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১৩:১৪506057
  • সেকি, আমেরিকা আর ন্যাটো সেই ১৬৫০ থেকে রাশিয়াকে বাধ্য করছে ইউক্রেন আক্রমন করতে? কি সাংঘাতিক! 
  • হীরেন সিংহরায় | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১৩:১৯506059
  • দেবাঞ্জন 
     
    অপারেশন বারবারোসা নিয়ে যতটুকু জানি সেখানে  তুষার নিগ্রো শব্দটি আমি কখনো পাই নি ।
  • dc | 122.164.204.240 | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১৩:১৯506060
  • ইয়ে, বিল গেটস এর নাম আসে নি? 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::53:8964 | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১৩:২২506061
  • এই লিস্ট মোটেই কমপ্লিট না। পচ্চিমি দেশগুলো সারা দুনিয়াতে যে কোটি কোটি লোক মেরেছে, সেসব এখানে উল্লেখ নেই।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::3a7:b8c0 | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১৩:২৩506062
  • একটা উদাহরণঃ
    In sum, for the entire present-day United States from 1492 to the present, the total number of Indigenous deaths includes the 12 million estimated by Thornton; the additional approximately 790,000 deaths that occurred in Hawaii, Alaska, in Puerto Rico; and about 200,000 excess deaths since 1900. Thus, the Indigenous Holocaust in this country appears to have taken around 13 million lives. Signally, this horrific number of deaths was only a
    very small portion of the mind-numbing Holocaust throughout the Western Hemisphere. When Thornton’s estimated hemispheric population decline of 70 million is multiplied by 2.5, the total number of Indigenous deaths throughout the Western Hemisphere between 1492 and 1900 appears to be about 175 million. And the number of Indigenous people who have died in the hemisphere because of war, repression, racism, and harsh conditions of life since 1900 surely runs into the millions.

    https://www.se.edu/native-american/wp-content/uploads/sites/49/2019/09/A-NAS-2017-Proceedings-Smith.pdf
  • dc | 122.164.204.240 | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১৩:২৪506063
  • আর এলন মাস্কেরও তো নাম নেই। 
  • lcm | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১৩:২৬506064
  • বড়েস,
    আনাডলু যে টার্কির স্টেট রান প্রোপাগান্ডা মেশিন সেটার সঙ্গে যুদ্ধের বিশেষ কিছু নেই। বহুদিন থেকেই এই অভিযোগ আছে। হালে অনেকের অভিযোগ যে এর্গোদান এটাকে দিয়ে টার্কিতে প্যান-ইসলামিক, নিও-ওটোমান প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে এবং টার্কির ধর্মনিরপেক্ষতার স্ট্যান্ড বদল করতে চাইছে - এইসব অভিযোগ।
  • lcm | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১৩:৩১506065
  • অফ কোর্স, সাম্রাজ্যবাদী হত্যা, মানে যেগুলো অনেক বছর ধরে এক দেশ অন্য দেশে গিয়ে শাসন করার সূত্রে হয়েছে, সেগুলোকে তো সব জেনোসাইডের লিস্টের মধ্যে আনে নি। তাই ঐ লিস্টে সেসব আসে নি।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::1c7:3e5d | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১৩:৩৫506066
  • অন্তত জাপানে ফেলা দুটো বোমাকে রাখতে পারতো লিস্টে। আমার অন্তত ঐ টার্কির প্রোপাগান্ডার লিস্টটা মোটামুটি ঠিকঠাকই লেগেছে। সংখ্যাগুলো হয়তো কোয়েস্চেনেবল। সেতো এইসব ক্ষেত্রে সবসময়ই তাই হয়। হলোকস্ট ডিনায়ারও তো সারা দুনিয়াতেই আছে।
  • Amit | 14.200.235.253 | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১৫:২০506068
  • অশোক এর কলিঙ্গ যুদ্ধ আসবে না লিস্টিতে ? বড়ো আশাহত হলাম। 
  • Amit | 14.200.235.253 | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১৫:২১506069
  • বা হোমো সাপিয়েন্স দের হাতে নেয়ান্থারডাল দের জেনোসাইড ? তার জন্যে তো সব মানুষ কে ক্ষমা চাইতে হবে ?
  • Amit | 14.200.235.253 | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১৫:৪৮506070
  • যাকগে সেসব। মূল লেখাগুলোর জন্যে আর এতভাবে এক্টিভলি বিপদগ্রস্ত লোকেদের সাহায্য করার জন্যে হিরেনবাবুকে অনেক অনেক শুভেচ্ছ। 
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন