এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  স্মৃতিচারণ  নস্টালজিয়া

  • চেনা মানুষ অজানা কথা - ৭ 

    সুকান্ত ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    স্মৃতিচারণ | নস্টালজিয়া | ০৯ মার্চ ২০২২ | ১০৭১ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • প্রথম পর্বে মানিক-দার কথা লিখে কত কিছু মনে পড়ে যাচ্ছে – অনেক ঘটনা তো আমরা সবাই জানি নানা জনের মুখে শুনে বা লেখা পড়ে। কিন্তু সেই সব বাদেও কত কিছু না বলা গল্প লুকিয়ে আছে, যা কেবল মাত্র তাঁর কিছু ঘনিষ্ট জনেরাই জানতেন।

    এই ধরুণ যেমন আমরা সবাই জানি নায়ক সিনেমায় উত্তমকুমারকে হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনের খন্যান স্টেশনে চা-খেতে নামিয়ে মাষ্টার স্ট্রোক দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনদিন ভেবে দেখেছেন কি এত স্টেশন থাকতে খন্যান কেন? এখনকার খন্যান স্টেশন আর সেই ১৯৬৫-৬৬ সালের খন্যান স্টেশনের মধ্যে যদিও অনেক পার্থক্য, কিন্তু তখনো খন্যান স্টেশনের একদিকে ছিল তালান্ডু আর অন্যদিকে পান্ডুয়া। তাহলে খন্যান কেন?  

    আর এই খন্যান স্টেশনের সাথে কি ভাবে পরে জুড়ে গিয়েছিল মরুভূমি আর সোনার কেল্লার গল্প – সেই সবই আমরা কয়জন জানি? 

    অথচ সত্যজিৎ রায়ের সাথে খন্যানের প্রথম পরিচয় সেই নায়ক সিনেমা করতে গিয়ে চা খেতে নেমে নয়। বরং উল্টোটাই – আগে থেকে চেনাশোনা জুড়ে গিয়েছিল বলেই সেইদিন ওখানে চা খেতে নামা!

    সে ১৯৫৬-৫৮ সালের কথা – পরশপাথর, জলসাঘর করছেন, আর ওদিকে মাথায় ঘুরছে অপুর সংসার করার কথা। মনের মত অপর্ণা খুঁজছেন – কত যে তাঁকে খুঁজতে হয়েছিল সেই সব কথাও অনেক জায়গায় লিপিবদ্ধ আছে। শেষে রিংকু (শর্মিলা) যে অপর্ণার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সেটাও আমরা জানি। অথচ রিংকু কিন্তু মানিক বাবুর প্রথম পছন্দ ছিলেন না – লিষ্টে ছিলেন দ্বিতীয়।

    একদিন কলেজ স্ট্রীট গেছেন সত্যিজিৎ রায় কাজে, আর হালকা একটু ভাট মেরে আসতে। সেখানে গেলেই প্যারামাউন্টের সরবত খাওয়া চাই – সত্যজিৎ, উত্তম, সুচিত্রা সহ অনেকেরেই প্যারামাউন্টের স্পেশাল ডাবের সরবত ছিল প্রিয় – আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের রেসিপি দিয়ে যা প্রথম বানানো হয়।  তো দোকানে গেলেই মানিক বাবুকে বলতে হত না – দূর থেকে হেঁটে দোকানের দিকে আসতে দেখলেই প্যারামাউন্টের কর্মচারীরা ডাবের সরবত বানাতে লেগে যেত। সেদিনও লম্বা পায়ে হেঁটে দোকানের সামনে এসে সরবতের জন্য অপেক্ষা করছেন, হঠাৎ চোখ চলে গেল দোকানে সরবত খেতে থাকা এক মেয়ের দিকে। সেই মেয়ের মুখটি দেখেই একদম চমকে গেলেন – একেবারে খাতায় অপর্ণা-র মুখ যেমন এঁকে রেখেছেন অবিকল তেমনই! 

    মেয়েটির সাথে এক বয়ষ্ক ভদ্রলোক ছিলেন – কথাবার্তা শুনে বোঝা গেল তিনি মেয়েটির বাবা। নিজে যেচে আলাপ করলেন তাঁর সাথে মানিক-বাবু। জানা গেল উনারা এসেছেন প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তির ফর্ম তুলতে। ইংলিশে অনার্স নিয়ে পড়ার ইচ্ছে আছে। কোথায় বাড়ি জানতে চাইলেন – মেয়েটির বাবা বললেন ইটাচুনা। সত্যজিৎ রায় ইটাচুনা কোথায় চিনতেন না – ভদ্রলোক জানালেন খন্যান স্টেশনে নেমে যেতে হয় এই গ্রামে। মানিক বাবুর সেই প্রথম শোনা খন্যানের নাম। 

    এর পর বেশ কয়েকবার মেয়েটির বাবার সাথে কথা বার্তা হয় মানিক বাবুর। মেয়েটিকে অপর্ণার ভূমিকায় অভিনয় করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু ক্রমশঃ বোঝা যায় ভদ্রলোকের পরিবার খুব গোঁড়া – সিনেমায় নামা তো দূরের কথা, কলকাতায় পড়তে এলে যদি আবার কেউ সিনেমায় নামার অফার দেয়, তাই মেয়েটিকে শেষ পর্যন্ত ভর্তি করা হয় খন্যানের “বিজয় নারায়ণ মহাবিদ্যালয়”-এ। এই কলেজ অনেকের কাছে ইটাচুনা কলেজ বলেই পরিচিত। বাই দি ওয়ে, ইটাচুনা কলেজের ব্যাপার স্যাপার কিন্তু ফ্যালনা নয় – এখানকার এক সময়ের অধ্যক্ষ ছিলেন মোহনবাগানের গোলকিপার তনুময় বসুর বাবা। যাই হোক, সেদিনের সেই অপর্ণা-র ভূমিকায় প্রায় অভিনয় করে ফেলা মেয়ে পরে ইটাচুনা কলেজেই ইংরাজী বিভাগের প্রধান হন – উনার সৌন্দর্য্যর খ্যাতি ছিল বিশাল, এবং পাবলিকে ফিসফাস করত এই মর্মে যে মূলত সেই কারণেই নাকি ইটাচুনা কলেজে ইংলিশ ডিপার্টমেন্টের সিট পাওয়া খুব চাপের ছিল।

    এরপর কয়েকবছর কেটে গেছে। একদিন মানিক বাবু ও বিজয়া রায় বেরিয়েছেন গাড়ি করে লোকেশনের সন্ধানে। অনেকে হয়ত জানেন না যে কষ্টিউম ডিজাইনে হেল্প করার সাথে সাথে বিজয়াদেবী মানিক বাবুকে লোকেশন চ্যুজ করতেও সাহায্য করতেন। অভিযান সিনেমার বানাবার কথা চলছে – তখনো দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে হয় নি, তাই জি টি রোড ধরেই গাড়ি্তে যাচ্ছিলেন ওঁরা। এক সময় বিজয়া দেবী বললেন, “সেই কখন লাঞ্চ করে বেরিয়েছি, এবার রাস্তার পাশে কোথাও একটু দাঁড়িয়ে চা খেলে হয় না!” তো গাড়ি দাঁড় করানো হল – রাস্তার পাশের দোকান, খুব একটা ভীড় নেই। বিজয়াদেবী কাঁচের বয়ামে ‘বাসনা’ দেখে একটা দিতে বললেন, মানিক বাবু চিনি দেওয়া বিস্কুট খাবেন না বলে দুটো লেড়ো নিলেন। খানিক পরে কাঁচের গ্লাসে যে চা দিয়ে গেল তাতে চুমুক দিয়ে মানিক-মঙকু মুখ চাওয়া চাওয়ি করলেন! কি অপূর্ব স্বাদ! এমন চা তাঁরা আগে খেয়েছেন কিনা মনে করতে পারলেন না। সত্যজিৎ বাবুর ভিতর থেকে অনুসন্ধিৎসু মন জেগে উঠলে দোকানীকে বললেন - 

    - দাদা, এতো অপূর্ব চা!
    - আপনাদের ভালো লেগেছে? (দোকানদার মানিকবাবুকে চিনতে পারে নি) কোলকাতার বাবুরা অনেকেই দারুণ বলে গেল গত কয়েকদিনে
    - কিন্তু এত ভালো চা কি করে বানালে তুমি? স্পেশাল কিছু চায়ের পাতা দিয়েছো নাকি?
    - না বাবু, স্পেশাল কিছু পাতা নয়। খালি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উটের দুধের চা বানাচ্ছি
    - উটের দুধের চা? বলছো কি? উঠ এখানে পেলে কোথায়? [উটের দুধ শুনে বিজয়া দেবী চায়ের কাপে শেষ চুমুকটা আর দিলেন না – বাসনাটা মন দিয়ে খেতে লাগলেন]
    - কেন পান্ডুয়া থেকে! 
    - পান্ডুয়া কোথায়? ওখানে কি কোন জমিদার থাকেন নাকি যাঁর পোষা উট আছে?
    - না বাবু তা নয়, কোন জমিদার নেই ওখানে। এখান থেকে মিনিট পনেরো গাড়ি করে গেলেই তো পান্ডুয়া
    - কিন্তু ওখানে উট তাহলে এল কি করে?
    - সামনে কুরবানি ঈদ আসছে না! ছাগল, ভেড়া, গরু, উট সব পশুর মেলা বসে তো। এই উটগুলো এবারে এসেছে বলেই যা একটু বাজারে দুধ পাওয়া যাচ্ছে এখনো
    - কিন্তু গরুর দুধে কি সমস্যা হল?
    - আর বলবেন না বাবু, এবারে তো বৃষ্টি একদম নেই দেখেছেন – মাঠে কোথাও ঘাস নেই, নেই সবুজের লেশমাত্র। শুধু খড় খেয়ে কতদিন আর কত দুধ দেবে গরুতে! কিন্তু উটগুলোর তো দেখা গেল সে সমস্যা নেই! মরুভূমির জীব বলে কথা! খড়, কাঁটা যে পাচ্ছে খাচ্ছে – আর দেদার দুধ দিচ্ছে!

    মানিক বাবুর মাথায় উটের দুধের চা আর তাদের কাঁটা খাবার কথা থেকে গেল অবচেতনে। এই ঘটনার প্রায় বছর সাতেক পরে যখন সোনার কেল্লা লিখতে বসলেন তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দিলেন মরুভূমিকে, তারও তিন বছর পরে সিনেমা বানাতে গিয়ে উটের দুধের চা এবং কাঁটা গাছকেও অবচেতন মন থেকে তুলে আনলেন

    সেদিন চা খেতে খেতে বেশ সন্ধে হয়ে গেল, লোকেশনে আর যাওয়া হল না। ফেরার আগে সত্যজিৎ রায় ভাবলেন, আরে এত ভালো চা খেলাম যেখানে, সেই জায়গাটার নামটা তো আর জানা হল না!  

    - আচ্ছা ভাই, এই জায়গাটায় নাম কি?
    - আজ্ঞে বাবু, এই জায়গাটার নাম খন্যান। ওই দূরে দেখতে পাবেন হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনেই খন্যান স্টেশন।

    সিনেমার অনেক মাষ্টার স্ট্রোক প্ল্যান করে হয় না – জাষ্ট হয়ে যায়! তা সে কাশ ফুল দেখা থেকে চুনীবালা দেবী, বা অপর্ণার চুড়ির পজিশনিং, ছবি বাবুর হাঁপানির টান ইত্যাদি। নায়ক সিনেমা শ্যুটিং এও সেদিন তেমনই হয়ে গেল

    খন্যান স্টেশনে উত্তম বাবুর নেমে চা খাওয়াও স্ক্রীপ্টে ছিল না প্রথমে।  সবাই ট্রেনে যাচ্ছেন সেদিন কোলকাতা থেকে – তালান্ডু স্টেশন পেরিয়ে সিগন্যাল না পেয়ে ট্রেন দাঁড়িয়ে গেল।  বেশ অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর কেউ খবর নিয়ে এল সামনে বেশ ভালো রকমের গন্ডগোল হয়েছে, তাই ট্রেনটাকে নাকি একটু এগিয়ে নিয়ে সামনের প্লাটফর্মে দাঁড় করানো হবে। সত্যজিৎ রায় জিজ্ঞেস করলেন, “সামনের স্টেশনের নাম কি?”। উত্তর এল ‘খন্যান’ আর মানিক বাবুর স্মৃতিতে ফ্ল্যাশব্যাক খেলে গেল – হবে হবে করে না হওয়া অপর্ণা, লোকেশন হান্টিং-এ বেরিয়ে জি টি রোডের ধারে চা খাওয়া। মাথায় চট করে ঝলক খেলে গেল – মুখ ঘুরিয়ে সুব্রত মিত্রকে বললেন – 

    - সুব্রত, একটু রেডি থেকো তো। সামনের স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ালে উত্তম চা খাচ্ছে এমন একটা শট নিয়ে নেব। 

    ট্রেন খন্যান স্টেশনে গিয়ে দাঁড়ালে সেই শট নেওয়া হল – চা-ও খাওয়া হল। উত্তমকুমার বললেন, “মানিক-দা, এই পানসে চা খেয়ে আমি বলেই মুড ঠিক রেখে শট টা দিতে পারলাম! এত বাজে চা কি করে বানায় এরা!”

    মানিক বাবু  উত্তরে বললেন – “এর থেকে আর ভালো চা কি করে হবে! এবারে ভালো বৃষ্টি হচ্ছে, মাঠে মাঠে সবুজ ঘাসে ভর্তি, শুধু খড় তো আর খেতে হচ্ছে না!” 

    - সবুজ ঘাসের সাথে চায়ের স্বাদের কি সম্পর্ক দাদা?
    - বাদ দাও! 

    দুজনা ট্রেনের দিকে এগিয়ে গেলেন – উত্তমের মুখে বিষ্ময়, মানিকের মুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট দেখা গেল সেই কমে আসা আলোতেও।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • স্মৃতিচারণ | ০৯ মার্চ ২০২২ | ১০৭১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:7913:8f45:d16:39f3 | ০৯ মার্চ ২০২২ ২২:৫৩504803
  • এই হচ্ছে আসল সুকি।
  • Amit | 121.200.237.26 | ১০ মার্চ ২০২২ ০৫:৩৬504810
  • সলিড  সুকি। না থেমে পড়ে ফেললাম। সত্যজিৎ আর উত্তম - এক্কেরে বাঙালি নস্টালজিয়ার ​​​​​​​হদ্দমুদ্দ। :) 
     
    উটের দুধের চা খেয়েছি মিডল ইস্টে। আমার বাঙালি টেস্ট বাড এ ঠিক স্যুট করে নি। কেমন যেন একটা গন্ধ। অবশ্য  মেন্টাল ব্লক ও হতে পারে। না জেনে খেলে হয়তো টেরও পেতাম না। 
  • :|: | 174.251.162.12 | ১০ মার্চ ২০২২ ০৬:০১504811
  • উটের দুধের চা বড় ব্যাপার না। কথা হলো সঙ্গে কী ছিলো? বাসনা না লেড়ো? মিডল ইস্টে ওসব পাবা যায় নাকি! 
    এই লেখাটি সত্যই নষ্টালজি হইসে। কমে আসা আলোর মতো। 
  • Ranjan Roy | ১০ মার্চ ২০২২ ২০:৩৯504814
  • সুকির লেখা নিয়ে কোন কথা হবে না! জাস্ট অসা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন