এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হাতিবাগান রহস্য - ২

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৭১৩ বার পঠিত
  • সন্ধেবেলা নীলাম্বরবাবু ফোন করে জানালেন যে উচ্চমাধ্যমিকে তার ছেলের ‘পাস আউট ইয়ার’ দু হাজার নয় এবং মেয়ের দু হাজার কুড়ি। 

    কলতান জানাল, ‘ঠিক আছে ধন্যবাদ। আমি দুদিন বাদে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করব। এই দুদিনের মধ্যে আপনার কেসটা সলভড হয়ে যাবে বলে আশা করি। তবে আপনি কিন্তু বাড়ির মধ্যেও সাবধানে থাকবেন। সাবধানের মার নেই। ঠিক আছে রাখছি এখন ..... গুড নাইট।’

    কুলচা নতুন মামলার তীব্র রহস্যের গন্ধ পেয়ে আজ আর আর মামার বাড়ি থেকে নড়তে চাইল না। আজ এখানেই থেকে গেল। 

    নীলাম্বরের ফোন নামিয়ে কুলচাকে বলল,  ‘আমি আপাতত কেসটা একটু গুটিয়ে ছোট করে নিচ্ছি। নীলাম্বরবাবুর দোতলার বাসিন্দাদের আপাতত ফ্রেমের বাইরে রাখছি। এখন আমার অপারেশন মিশন হল নাগেরবাজার সাতগাছিয়ার নন্দী বাড়ি এবং মতিঝিল কলেজের বাংলায় অনার্সের নাইন্টিফোরের পাস আউট ব্যাচ। সুতরাং নিতাইবাবু, মানে নিতাই দাসের শরণাপন্ন হতেই হচ্ছে।’ 
    — ‘ নিতাই দাস কে ?’
    — ‘ ইউনিভার্সিটির রেকর্ড সেকশানের প্রবীণ কর্মী। অবসরের আর এক বছর বাকি। ’
    কুলচা বলল, ‘ আর ওই মেরুন শার্ট, মানে সত্রাজিৎ ? ’
    — ‘ ওটা আওতার মধ্যেই আছে। কান টানলে মাথা আসে । ’
    — ‘ মানে ? ’
    — ‘ ক্রমশ প্রকাশ্য ম্যাডাম .... জাস্ট ওয়েট অ্যান্ড সি .... এখন আমার স্কুল জীবনের বন্ধু বটতলা থানার ওসি ঋজু চ্যাটার্জীকে একটা ফোন করি। আলটিমেটলি ওরাই তো ক্যাজুয়ালটি ট্যাকল করবে। ’
    — ‘ হুমম্ .... সারারাত এক্সাইটমেন্টে ঘুম হবে না আজকে ..... আই সোয়্যার ...’
    — ‘ হা: হা: হা:  ..... ’
    কুলচা একটু চুপ করে থেকে বলে, ‘ আচ্ছা .... তুমি তো বললে নীলাম্বরবাবুর আরও দুই ভাই আছে। তাদের হোয়্যারঅ্যাবাউটস তো কগনিজেবল ..... ’
    ‘ ইয়েস অফ কোর্স মাই ডিয়ার .... তবে তাদের অ্যাপারেন্টলি কোন মোটিভ ডিটেক্ট করা যাচ্ছে না প্রপার্টিঘটিত ব্যাপারে। তবে কোন পার্সোনাল গ্রাজ বা জেলাসি আছে কিনা আর দুদিনের মধ্যে বার করে ফেলব। ’
    — ‘ দুদিন ওয়েট করাটা একটু লেট হয়ে যাবে না ? ’
    — ‘ আশা করি লেট হবে না । এই এক দু দিনই স্পেশালি ক্রুশিয়াল। এর মধ্যেই কালপ্রিট স্ট্রংগলি রিঅ্যাক্ট করবে। আমাদের একটা টোপ ফেলে রাখতে হবে কালকের মধ্যেই। খেয়াল রাখতে হবে টোপটা যাতে মিস না হয়।’
    — ‘ সেটা কিভাবে ? ’
    — ‘ ক্রমশ প্রকাশ্য। এই রিঅ্যাকশানটার ওপরই নির্ভর করছে নীলাম্বরের ভাইয়েদের ব্যাপারে কোন ইনফর্মেশান দরকার আছে কি নেই। ’

    আজ শনিবার। নিতাই দাস বিকেলের দিকে জানালেন যে মনীষা নন্দীর নাইনটিন নাইন্টিফোরে মতিঝিল কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স নিয়ে পাস করার কথাটা সত্যি। কলতান ভাবল, আপাতত সাতগাছিয়ায় নন্দীবাড়ির অস্তিত্বের ব্যাপারে খোঁজ চালাবার দরকার নেই। 

    কলতান নীলাম্বর মৈত্রকে একটা ফোন করল — 
    — ‘ হ্যালো .... হ্যাঁ বলুন .... কলতানবাবু’, নীলাম্বরবাবুর গলা পাওয়া গেল।
    — ‘ হ্যাঁ মিস্টার মৈত্র .... সব ঠিক আছে তো ? ’
    — ‘ হ্যাঁ .....এখন ঠিক আছে। আর কিছু হয় নি। তবে সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকি। ’
    — ‘ ঠিক আছে। শুনুন মিস্টার মৈত্র .... কাল সকালের দিকে আমি আপনাদের বাড়ি যাব। কাল তো রবিবার ছুটির দিন। আপনার ছেলেমেয়েকেও বাড়িতে থাকতে বলবেন। ’
    — ‘ আচ্ছা দেখি .... বলব’খন। তবে শুনবে কিনা জানি না। ’
    — ‘ আপনি আমার নাম করে বলবেন কাল সকালে দশটা থেকে বারোটার মধ্যে একটু টাইম স্পেয়ার করতে। তার পরেও যদি না থাকে তাহলে কিছু করার নেই। ঠিক আছে। রাখছি এখন। কাল দেখা হচ্ছে।’ 

    পরদিন সকাল দশটা নাগাদ কলতান কুলচাকে নিয়ে নীলাম্বরবাবুর বাড়িতে হাজির হল।

    দেখা গেল শ্রুতি এবং ইরাবান বাড়িতে আছে। 

    নীলাম্বরবাবু বললেন, ‘ আরে ... আসুন আসুন ..... আপনার জন্যই অপেক্ষা করছি আমরা। আমার ছেলেমেয়েরাও আপনার সঙ্গে আলাপ করার খুব আগ্রহী।’
    — ‘ থ্যাঙ্ক ইউ.... থ্যাঙ্ক ইউ। সবাই ভাল আছেন তো ? মানে, আর কোন বিপত্তি হয়নি তো? ’
    নীলাম্বরবাবু কি একটা বলতে যাচ্ছিলেন। মনীষা দেবী তাড়াতাড়ি বললেন, ‘ না না .... আর কিছু হয়নি .... সব ঠিকই আছে।’
    নীলাম্বরবাবু এবং তার স্ত্রী বারবার কুলচার দিকে তাকাচ্ছেন দেখে কলতান বলল, ‘ ইনি একজন লইয়ার। অল্প বয়সেই অনেক নাম করেছে। আমাকে অনেক ব্যাপারে হেল্প করে। প্রপার্টি রিলেটেড ব্যাপারে অগাধ জ্ঞান। এখানে অনেক রিকোয়েস্ট করে এনাকে নিয়ে এলাম যাতে আপনাদের সম্পত্তিঘটিত ব্যাপারগুলোয় আলোকপাত করতে পারে। ’
    কুলচা মনে মনে চমকে গেলেও সামলে নিল। 
    ইরাবান এবং শ্রুতি চুপচাপ বসে ওদের কথা শুনছিল। তারা এর ওর মুখের দিকে তাকাতে লাগল। 
    কুলচা কলতানের কথাবার্তা শুনে বেশ থতমত খেয়ে গেলেও সামলে নিল কয়েক মুহুর্তে। বুঝতে পারল তাকে আগে কিছু না বলাটা কলতানের একটা গেম প্ল্যান।
    নীলাম্বরবাবু বললেন, ‘ কিন্তু কেন .... আমরা তো ..... ’
    কলতান কথাটা শেষ করতে দিল না । বলল, ‘ বুঝেছি .... বুঝেছি। কিন্তু এটা খুব ভাইটাল এ ব্যাপারে। নইলে প্রসিড করতে পারব না। একটু কোঅপারেট করুন মিস্টার মৈত্র। ’
    কলতান তার জোরালো কথায় নীলাম্বরকে কোনঠাসা করে ফেলল। বারবার বলতে লাগল, ‘ প্রপার্টির হিসেবটা খুব এসেনশিয়াল..... না হলে প্রবলেম আছে..... বুঝতে পারছেন ? ’

    স্বামী স্ত্রী দুজনের দিকে পর্যায়ক্রমে তাকিয়ে সে প্রভাববিস্তারি ভঙ্গীতে বলতে লাগল, ‘ বিশেষ করে অ্যাক্সিডেন্টাল ডেথ ক্লেমের পলিসিটা। ওটার একটা জেরক্স আমাকে দিন। কুলচার দিকে দেখিয়ে বলল, ‘ .... আর বাকি ডকুমেন্টগুলো এনাকে দেখান। নইলে কিন্তু খুব শিগ্গীর আপনার বিরাট বিপদ ঘটার সম্ভাবনা আছে। প্রাণসংশয়ও হতে পারে।’

    কলতানের কথাবার্তা শুনে পরিবারের চারজনই কেমন হতবাক হয়ে গেল। নীলাম্বরবাবু এত বিস্মিত এবং সম্মোহিত হয়ে গেলেন যে, তিনি কলতানের এই অনধিকারচর্চাপ্রসূত পরামর্শের প্রতিবাদ করে উঠতে পারলেন না। কলতান বলতে লাগল, ‘বাঁচতে গেলে পলিসিগুলোর নমিনি চেঞ্জ করুন আর আপনার ফ্যামিলির বাইরে কাউকে নমিনি করুন ইন কেস অফ অ্যাক্সিডেন্টাল ডেথ। তাতে আপনার বিপদের সম্ভাবনা থাকবে না এটুকু অ্যাসিওরেন্স দিতে পারি।’
    নীলাম্বরবাবু কোনরকমে বললেন, ‘মানে ? কি .... কিভাবে!  ঠিক বুঝলাম না .... এসব কেন করতে হবে ? মানে ..... ’

    মনীষা দেবী স্থির অপলক দৃষ্টিতে কলতানের দিকে তাকিয়ে রইলেন। কলতান তার মনের কথা পুরোপুরি পড়তে পারল না। বলল, ‘আমি ওয়েল উইশার হিসেবে আপনাদের অ্যাডভাইস দিলাম। এখন সেটা মানা না মানা আপনাদের ব্যাপার। ভেবে দেখুন কি করবেন। যদি করা ডিসাইড করেন তাহলে ইনি আপনাদের সব ব্যবস্থা করে দেবেন। আপনাদের কোথাও যেতে হবে না। তবে নমিনি চেঞ্জের ব্যাপারে যদি ডিসাইড করেন সেটা কালকের মধ্যেই করতে হবে। দেরি করা যাবে না। নইলে বিপদ আছে। কেন সেটা পরে জানাব আপনাদের। কোন বিশেষ কারণে এক্ষুণি জানাতে পারছি না। ..... ঠি ক আছে ..... আমরা উঠি এখন । ডিসিশান নেবার পর ফোন করবেন। মনে রাখবেন কালকের মধ্যেই যা করার করতে হবে। আদারওয়াইজ বড় রিস্ক আছে...... ভেবে দেখুন ..... আসছি এখন .... ’

    বেরোবার সময় কলতান লক্ষ্য করল ইরাবান আর শ্রুতি নির্বিকার মুখে বসে আছে। তাদের কোন হেলদোল দেখা গেল না। মনীষা মাথা নীচু করে কি ভাবছে।

    রাস্তায় বেরিয়ে কলতান কুলচাকে বলল, ‘ খুব অবাক হয়ে গেলি তো? এটার দরকার ছিল। কালকেই বুঝতে পারবি। তোকে আগে থেকে কিছু বলি নি কারণ তার কোন প্রয়োজন ছিল না। আগে বললে হয়ত তুই এক্সট্রা কশাস হয়ে যেতিস। সে যাই হোক, আমার ক্যালকুলেশান অনুযায়ী কালকের দিনটা খুব ক্রুশিয়াল। দেখা যাক হাউ দা ম্যাটার আনফোল্ডস।’
    — ‘ কিন্তু সত্যি যদি আমাকে কিছু করতে হয় তাহলে...... মানে, ওসব লিগ্যাল ব্যাপারে আমি কিভাবে .....’, কুলচা তার অস্বস্তি প্রকাশ করে।
    — ‘ আরে না না ..... তুই অত চিন্তা করিস নি। তোকে আলটিমেটলি কিছুই করতে হবে না ...... হা: হা: হা: .....’, কলতান তার ভাগ্নীকে আশ্বস্ত করে ।
    বাড়ি পৌঁছে বটতলা থানার ওসি ঋজু চ্যাটার্জীকে ফোন করল কলতান। বলল, ‘শোন ... একটু রেডি থাকিস। হরি ঘোষ স্ট্রীটের কেসটা কালকেই ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছে যাবে মনে হচ্ছে ..... ’
    — ‘ হ্যাঁ হ্যাঁ কোন প্রবলেম নেই। ডোন্ট ওয়ারি ..... আমি অ্যালার্ট আছি। ক্যারি অন .... ’।

    পরদিন সকাল সাড়ে ছটা । কলতান এখনও ঘুম থেকে ওঠেনি। লক্ষ্মী একবার উঁকি মেরে দেখে গেছে। কলতানের ঘুম ভাঙার আভাস পেলেই সে বেড টি রেখে যাবে টেবিলে।

    বিছানায় বালিশের পাশে রাখা মোবাইল বেজে উঠল। ঋজু চ্যাটার্জীর ফোন। 
    — ‘ হ্যাঁ ..... হ্যালো ... ঋজু বল.....’,  কলতান ঘুম জড়ানো গলায় বলে।
    — ‘ আরে ইয়ার .... এদিকে তো একটা মিসহ্যাপ হয়ে গেছে ’
    — ‘ কিরকম .... কিরকম ? ’
    — ‘ নীলাম্বর মৈত্র কাল রাত্রে এক্সপায়ার করে গেছে। ’
    — ‘ ও মাই গড ..... আমার এইরকমই কিছু হাঞ্চ্ হচ্ছিল। আমার আরও কশাস হওয়া উচিৎ ছিল। কুলচার কথাই ফলে গেল — দুদিন একটু লেট হয়ে যাবে না ? ’
    — ‘ এনিওয়ে .... এটা সুইসাইড না হোমিসাইড সেটা ডিটেক্টেড হয়নি। ওরা ডেথ সার্টিফিকেট পায়নি এখনও। নীলাম্বরের ওয়াইফ ফোন করে আমাদের ইনফর্ম করেছে। ’
    — ‘ তুই এখন কোথায় ? ’
    — ‘ আমি থানাতেই আছি। মিনিট দশেকের মধ্যেই স্পটে যাচ্ছি। বডি হোল্ড করছি। তুই তাড়াতাড়ি চলে আয়।’
    — ‘ ওকে ... ওকে .... যাচ্ছি আমি। দেখিস বডি যেন ওয়েল কর্ডনড্ থাকে এবং কেউ টাচ না করে।’
    — ‘ হ্যাঁ .... ঠিক আছে।আমার লোক আছে ওখানে। ডোন্ট ওয়ারি .... ’
     
    কলতান বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়ল বেড টি না খেয়েই।

    নীলাম্বরবাবুর বাড়ির তিনতলায় পৌঁছে ঘরের বাইরে বেশ কিছু লোক — খুব সম্ভবত পাড়ার চেনা পরিচিত হবে, জড়ো হয়েছে। আত্মীয় স্বজন বোধহয় খবর পায় নি এখনও। নীলাম্বরবাবুর ঘরে ঢুকে দেখল ঋজু দাঁড়িয়ে মনীষার সঙ্গে কথাবার্তা বলছে। ভদ্রমহিলাকে বেশ উদভ্রান্ত এবং বিচলিত মনে হচ্ছে। কলতান দেখতে পেল ঘরে একটা চেয়ারে সেই মেরুন জামা পরা যুবক বসে আছে চিন্তিত মুখে। 

    নীলাম্বর মৈত্রের শরীর বসে রয়েছে একটা ফোমের গদিওয়ালা রেক্সিনে মোড়া কেদারায় যেটা পিছনে হেলানো যায়।  মাথা একপাশে হেলানো। ওখানে বসেই নাকি তার ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল।

    কলতান ডেডবডির সামনে গিয়ে দাঁড়াল প্রায় পাঁচফুট দূরত্ব রেখে। কেদারার চারপাশে চোখ বোলাতে লাগল একমনে। তেমন সন্দেহজনক কিছু চোখে পড়ল না। চেয়ারের বাঁদিকে একটা খালি গোল্ড ফ্লেক সিগারেটের প্যাকেট পড়ে রয়েছে। নীলাম্বরবাবু খুব সম্ভবত: প্যাকেট থেকে শেষ সিগারেটটা বার করে নিয়ে খালি প্যাকেটটা ওখানেই ফেলে দিয়েছিলেন। কলতান নীচু হয়ে চেয়ারের তলায় চোখ বোলাতে লাগল। একটা টান মেরে ফেলে দেওয়া সিগারেটের শেষ টুকরো চোখে পড়ল। একটা অ্যাশট্রে রয়েছে পাশের একটা ছোট টুলে। কিন্তু একটান মারা প্রায় গোটা সিগারেটটা পড়ে আছে চেয়ারের পাশে মেঝেতে। কলতান প্রায় হামাগুড়ি দিয়ে চেয়ারের আশপাশ দেখতে লাগল, অবশ্যই ঋজুর অনুমতি নিয়ে। তন্ন তন্ন করে চোখ বোলাতে বোলাতে চেয়ারের বাঁ পাশে চোখে পড়ল একটা ছোট্ট মেরুন রঙের টিপ। একটা ছোট্ট সোয়েটের বিন্দি। সবার অলক্ষ্যে কলতান ওটা তুলে নিয়ে নিজের বুক পকেটে রাখল।

    ঋজুকে ডেকে বলল, ‘এই দুটো অবজেক্ট কালেক্ট করতে হবে ফরেনসিক টেস্টের জন্য। সিগারেটের প্যাকেট আর সিগারেটের টুকরো ..... আলটিমেটলি যদি ডেথ সার্টিফিকেট কেউ না দেয়, তোরা মর্গে বডি ট্রান্সফারের জন্য প্রিপারেশান নিতে পারিস। মানে আমার কোন অসুবিধে নেই .....’।

    কলতান এবার মনীষা দেবীর কাছে গেল। ভারাক্রান্ত গলায় বলল, ‘কি যে হয়ে গেল .... ওনার কি কোনরকম ক্নিনিক্যাল প্রবলেম ছিল? কি করে যে হঠাৎ .... ’
    মনীষা শোকাচ্ছন্ন মৃদু গলায় বলল, ‘না না .... সেরকম কিছু ছিল বলে তো আমার জানা নেই। কি করে যে এরকম হল.... হায় ভগবান .... আমি  যে কি করি এখন ..... ’
    কান্নায় মনীষা দেবীর গলা বুজে এল। তিনি আঁচল দিয়ে চোখ এবং মুখ চাপা দিলেন।  
    কলতান বলল, ‘ও .... সরি .... ভেরি সরি .... আর শুধু একটা কথা জিজ্ঞেস করব। আচ্ছা   নীলাম্বরবাবু কি রেগুলার স্মোকার ছিলেন?’। 
    মনীষাদেবী একটু সময় নিলেন। তারপর আগের মতোই মৃদুকন্ঠে বললেন, ‘না ..... দুবেলা খাওয়ার পর ......একটা করে ..... ’
    — ‘ ও আচ্ছা .... ’

    মেরুন জামা পরা যুবক অবশ্য এখন আকাশি রঙের একটা শার্ট পরে আছে। কলতান ভাবল বিবেকানন্দ রোডের মোড়ে সেই বাইক চালিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা নিছকই একটা আকস্মিক ঘটনা হতে পারে। এর পিছনে হয়ত কোন দুষ্ট অভিসন্ধি ছিল না। না হলে কোন দুষ্ট চরিত্রের লোকের পক্ষে কলতানকে দেখেও এরকম অচঞ্চল থাকাটা বেশ অস্বাভাবিক বলেই মনে হল কলতানের। মনস্তাত্বিক চাপ বলে তো একটা ব্যাপার আছে। তার চিহ্ন মুখে ফুটে ওঠে। ঢাকা দিয়ে রাখা কঠিন, তা সে যত বড় মাপের অভিনেতাই হোক না কেন।

    কলতান ওর পাশের চেয়ারে গিয়ে বসল। চেয়ারে হেলান দিয়ে যুবকের দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে বলল, ‘আপনাকে ঠিক চিনলাম না তো ! ’
     
    মেরুন জামা সবিনয়ে বলল, ‘আমার নাম সত্রাজিৎ। সত্রাজিৎ সেন। এই বিল্ডিং-এর দোতলায় থাকি। এই ফ্যামিলির সঙ্গে আমাদের অনেক দিনের, মানে প্রায় দশ বছরের ঘনিষ্ঠতা।ব্যাপারটায় আমি খুব শকড হয়েছি...... মিস্টার মৈত্র ওয়াজ আ রিয়েল জেন্টলম্যান ..... কি করে যে হঠাৎ ..... ’
    সত্রাজিৎ-এর কথাবার্তা বেশ পরিশীলিত। কলতান বলল, ‘সার্টেনলি..... রিয়েলি শকিং .... । আচ্ছা .... একটা কথা জিজ্ঞেস করছি, কিছু মনে করবেন না...’
    — ‘ না না .... নট অ্যাট অল, নট অ্যাট অল .... বলুন না .... আমি জানি আপনি কেসটা আনঅফিসিয়ালি ইনভেস্টিগেট করছেন .... ’
    — ‘ আপনি কি বিবাহিত ? ’
    সত্রাজিৎ একটু হেসে বলল, ‘ ও এই কথা ? না: .... ওটা এখনও করে ওঠা হয়নি। ’
    কলতান হেসে বলল, ‘ও আচ্ছা আচ্ছা .... সরি কিছু মাইন্ড করবেন না’।  তারপর হঠাৎ বলল, ‘আগে কোথায় থাকতেন?’ 
    —‘দমদম গোরাবাজারের দিকে’
    — ‘ হুঁ ..... মনীষা মৈত্রের সঙ্গে আপনার কতদিনের পরিচয়?’
    কলতান আচমকা জিজ্ঞাসা করল। 
    কথাটা শুনে সত্রাজিৎ-এর মুখ দেখে মনে হল যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত হয়েছে। দুটি শান্ত পরিশীলিত চোখের তারা যেন এক লহমায় দপ করে জ্বলে উঠল। 
    — ‘ তার মানে ? বললাম তো এ বাড়িতে দশ বছর এসেছি।’
    — ‘ আ:হা .... ব্যাপারটা ওভাবে নিচ্ছেন কেন? অনেক সময় কারো কারো সঙ্গে পূর্বপরিচিতি তো থাকে। সেটাই জিজ্ঞেস করছিলাম। নেভার মাইন্ড ... ’

    সত্রাজিৎ আর কোন কথা না বলে  নীলাম্বরবাবুর ডেডবডির দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে কি যেন ভাবতে লাগল। কলতান হিসেব করে দেখল, সত্রাজিৎ মনীষা মৈত্রের থেকে বছর দশেকের ছোট।  
    কলতান খুব হিসেব করে স্বগতোক্তির মতো মৃদুস্বরে কথা তথা হাল্কা করে সত্রাজিৎ-এর কানের পাশে ভাসিয়ে দিল, ‘ অল রাইট .... এখন তালে যাই ..... রাত  দশটার সময় আবার আসতে হবে ..... ওই সময় মনীষা দেবী আসতে বলেছেন.... কি সব কনফিডেন্সিয়াল বয়ান দেবেন বললেন। জানি না ..... তার জীবনের গোপন কোন ব্যাপার আছে কিনা ....’

    বলে ওখান থেকে উঠে পড়ল কলতান । এক ফাঁকে লক্ষ্য করল  সত্রাজিৎ সেন  বিভ্রান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে। কলতান স্মিত হাসি মাখা মুখে সরে গেল ওখান থেকে। মনীষার বয়ান দিতে চাওয়ার কথাটা সম্পূর্ণভাবে বানানো কথা। সে ঋজুর কাছে গেল।
       
     কলতান ঋজুকে বলল, ‘আমি এখন বাড়ি যাচ্ছি। পুলিশের যা করণীয় তোরা কর। তবে আগে থেকে বলে রাখছি আজ রাত্রে একটা জমাটি নাটক ঘটার সম্ভাবনা আছে সাড়ে নটা থেকে দশটার মধ্যে। ওই পিরিয়ডটায় তৈরি থাকিস।’
    — ‘ আচ্ছা! হাইলি ইনট্রিগিং .... ফোর্স রেডি রাখতে হবে ? ’
    — ‘ না না ..... ওসব কিছু লাগবে না। তুই একা থাকলেই হবে। সঙ্গে একজন কনস্টেবল থাকলে ভাল হয়। আমি আমার ভাগ্নী কাম অ্যাসিস্ট্যান্ট কুলচাকে সঙ্গে নিয়ে আসব। আর হ্যাঁ.... তোকে আর  একটা কাজ করতে রিকোয়েস্ট করব। তুই এই পুরো বাড়িটার রেসিডেন্টদের ওপর একটা নোটিফিকেশান ইসু করে দে যে, কেউ যেন কাল সকাল দশটা পর্যন্ত এ বাড়ি থেকে না বেরোয়। বেরোলে যেন থানাকে ইনফর্ম করে বেরোয়।’

    নেট সার্চ করে কলতান দেখল ডেক্সটার অ্যান্ড স্মিথের কলকাতায় অফিস এবং প্রোডাকশন ইউনিট বা ল্যাবরেটরি বেহালা তারাতলায়।

    ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টের সৌমাল্য আচার্য কলতানের দীর্ঘদিনের পরিচিত। কুদঘাট এরিয়ায় একটা মৃত্যুরহস্যের কিনারা করতে গিয়ে ওর সঙ্গে প্রথম আলাপ হয়েছিল। 

    কলতান সৌমাল্যকে একটা ফোন লাগাল। 
    — ‘ হ্যাঁ .... কলতান বল ।কি খবর ? অনেকদিন পরে ..... ’
    — ‘ আর বল কেন? আমার যেমন বদস্বভাব .... স্বীকার করতে আপত্তি নেই .... সাহায্যের দরকার  না হলে কারো কথা মনেই পড়ে না। ক্রিমিনাল ঘাঁটতে ঘাঁটতে নিজেই না কোনদিন ক্রিমিনাল হয়ে যাই .... হা: হা: হা: .... ’
    — ‘ আরে না না .... তা কেন হবে? আমাদের সবারই তো একই অবস্থা। হ্যাঁ বল .... কি ব্যাপার ....’
    — ‘ ওই হাতিবাগানের নীলাম্বর মৈত্রের বডি আর তার সঙ্গে যে সিগারেটের প্যাকেট এবং সিগারেটের টুকরোটা পাঠানো হয়েছে তার আনঅফিসিয়াল রিপোর্টটা যদি জানা যেত তাহলে প্রসিড করতে সুবিধে হত। অফিসিয়াল রিপোর্টটা পরে পুলিশ ডিপার্টমেন্টে দিলেই হবে। ইট ইজ অফ কোর্স বিটুইন ইউ অ্যান্ড মি অনলি। ডোন্ট মাইন্ড ’
    — ‘ ঠিক আছে, ডোন্ট ওয়ারি .... হয়ে যাবে। আমার কাছে ওটার রেজিস্ট্রেশানের ব্যাপারে কোন খবর আসে নি। আমি চেক করে নিচ্ছি। কোন রিপোর্ট পেলে তোমায় ফোন করব। তবে পিএম ফাইন্ডিং এত তাড়াতাড়ি পাওয়া যায় না’, সৌমাল্য জানায়। 
    — ‘ ওকে ওকে, আই উইল ওয়েট .... থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ সৌমাল্য .... ’
    —- ‘ ওয়েলকাম .... ওক্কে .... বায় ... ’

    রাত পৌনে দশটা হল। কুলচা একটু অধৈর্য হয়ে কলতানকে বলল, ‘কি ব্যাপার তানমামা ..... দশটা তো বাজতে চলল। ওখানে আর কখন যাবে? ’
    — ‘ কোথায় ? ’
    — ‘ কেন হরি ঘোষ স্ট্রীটে।’
    — ‘ না:, ওখানে এখন যাবার দরকার দরকার নেই। বরং কাল সকালে ওখান থেকেই কেউ আমার কাছে আসবে। এটা অবশ্য আমার ক্যালকুলেশান। জাস্ট অন দা বেসিস অফ লজিকাল সারমাইজ। ক্যালকুলেশানটা নাও মিলতে পারে। দেখা যাক .....। ’
    — ‘ ইজ ইট রিয়্যালি ? ’
    — ‘ মোস্ট হোপফুলি। কেসটা আমার কনজেকচার অনুযায়ী..... ইজ এ কম্বিনেশান অফ প্রথম রিপু অ্যান্ড তৃতীয় রিপু। রিপু বুঝিস তো?’, কলতান বলে হাল্কা চালে।
    — ‘ আরে হ্যাঁ হ্যাঁ ..... কি ভাবো আমাকে বল তো .... লাস্ট অ্যান্ড গ্রীড .... তাই তো?’, কুলচা মানে সম্পৃক্তা ছদ্ম রাগে ভ্রু কুঁচকে তাকায় তার মামার দিকে।
    — ‘ অ্যাবসোলিউটলি রাইট .... নাউ লেট আস ওয়েট অ্যান্ড সি টি ল টুমরো মর্নিং ..... ’

    ঋজু চ্যাটার্জিকে ফোন করে বলল স্পটটা মোটামুটি দশটা থেকে দুটো পর্যন্ত একটু ওয়াচে রাখিস... মানে কেউ ঢুকছে কিংবা বেরোচ্ছে কিনা। আমি এখন যাচ্ছি না। যাওয়ার দরকার নেই .... ওক্কে?’
    — ‘ অলরাইট বস .... অ্যাজ ইউ উইশ .... আমার লোক অলরেডি স্পটে পৌঁছে গেছে। রাস্তা থেকে ওয়াচ রাখছে।’

    ভোর পাঁচটা । কলতান আধোঘুমে জড়িয়ে আছে। বালিশের পাশে রাখা মোবাইল ডাক দিল— কোঁয়াক কোঁয়াক ...। একটা এসএমএস ঢুকল।

    কলতান আধবোজা চোখে মেসেজটা খুলে উৎফুল্ল হয়ে উঠল। তার খুশি হওয়ার কারণ তার তার অঙ্কের হিসেব মিলে যাওয়া। মোবাইল বার্তার প্রেরক ইরাবান মৈত্র। 
    ‘আমার কিছু কথা আছে আপনার সঙ্গে। কথাগুলো আপনার বাড়িতে গিয়ে বলতে চাই। নাম্বারটা কালেক্ট করেছি মিস্টার নীলাম্বর মৈত্রের মোবাইল থেকে। pl. reply soon’

    কলতান তক্ষুণি জবাব দিল — ‘সকাল দশটা থেকে বারোটার মধ্যে চলে এস। কেউ যেন জানতে না পারে। টেক কেয়ার।’

    বটতলা থানার ওসি ঋজু চ্যাটার্জিকে ফোন লাগাল।

    ‘ হ্যাঁ ..... সব ঠিক  আছে তো? আচ্ছা আচ্ছা .... শোন ... বেলা দশটার পরে আর কাউকে হোল্ডে রাখার দরকার আছে বলে মনে হয় না। এখন তোরা ডিসিশান নে কি করবি ....। ওক্কে .... ওক্কে ... থ্যাঙ্ক ইউ  থ্যাঙ্ক ইউ .... টেক কেয়ার ... আর হ্যাঁ.... নীলাম্বরবাবুর মোবাইলটা সিজ করা উচিৎ ছিল । যাক, যা হবার হয়ে গেছে। ’
    — ‘ না .... আমরা কোন বেসিসে মোবাইল সিজ করব? ডাক্তারের ডেথ সার্টিফিকেট না পাওয়া পর্যন্ত তো ওয়েট করতেই হবে। সেটা অবশ্য শেষ পর্যন্ত পাওয়া গেল না। যেহেতু একটা জিডি লজ করা হয়েছিল তাই আমরা প্রোব করতে পারছি ...... আদারওয়াইজ এটা তো পার্সোনাল ম্যাটার .... আমরা তো আইনত:  ঢুকতে পারি না’, ঋজু জানায়।
    — ‘ আচ্ছা ঠিক আছে .... রাখছি এখন ।’

    ( ক্রমশ: )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৪:৪৫504364
  • খুব বাংলিশের বাড়াবাড়ি। রীতিমতো পড়তে গিয়ে হোঁচট খেতে হচ্ছে। গোয়েন্দা প্রবর কী বাংলায় বলতেই পারেন না!? আর তার পুলিশ বন্ধুও? 
     
    সম্পাদনার বিনীত অনুরোধ রইলো।
     
    দ্বিতীয় পর্বেই খুন -- বাড়তি উত্তেজনা তৈরি করেছে।... 
     
    আগের পর্বের লিংক, এই জুড়ে দেবেন? তাহলে আরও পাঠবান্ধব হবে। 
  • dc | 2401:4900:230a:d760:b1ad:46ff:427e:9aa8 | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:১৭504366
  • আমার তো পড়তে অসুবিধে হচ্ছেনা। চেঞ্জ না করলেই ভালো হয়। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন