এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা  রাজনীতি

  • উত্তরপ্রদেশ বিধান সভা নির্বাচন সম্পর্কে রঞ্জন দা র লেখা 

    bodhi
    আলোচনা | রাজনীতি | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ২৯৬৯ বার পঠিত
  • উত্তরপ্রদেশ বিধান সভা নির্বাচন সম্পর্কে রঞ্জন দা র লেখা 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:১৩735822
  •  
    • Abhyu | 47.39.151.164 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৩:৫০495530
    • রঞ্জনদার প্রেডিকশন কী? এক কথায় উত্তর চাই। উত্তরপ্রদেশে কি বিজেপি সরকার গড়বে না গড়তে পারবে না?

    • Ranjan Roy | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১০:২৫495533
    • অভ্যু
        স্পষ্ট করে বড় অক্ষরে 'না'।
      মাঝখানে ইউপি ইলেকশন নিয়ে আর কিস্যু বলব না। সোজা ১০ মার্চ দুপুর ১২ টায়। 
      উত্তরাখন্ডে কংগ্রেসের ফিরে আসার সম্ভাবনা বেশি। পাঞ্জাবে আপ দলের ভগবন্ত সিং মানএর চান্স বেশি। কিন্তু প্রথম দলিত মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চান্নিকে ফেলে দেওয়া যায়না। উনি মোদীজির হাইওয়ে ক্রাইসিস এবং অন্য কিছু ইস্যুতে বেশ ব্যালান্স ও দক্ষতা দেখিয়েছেন। তবু মানকে এগিয়ে রাখব। কারণ দিল্লিতে আপ সরকারের অধিকাংশ পোল প্রমিজ পূর্ণ করা এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষা এবং পরিষেবা প্রদানে দক্ষতা। তার প্রভাব সোজা পাঞ্জাবে পড়ছে।
      মণিপুরে অবশ্যই বিজেপি। 
      কিন্তু গোয়া? মনে হয় স্টেলমেট হবে, তারপর ঘোড়া কেনাবেচা।
      অধিকাংশ চ্যানেল হয় "বেস রেট" অথবা "  রিপ্রেসজেন্টেটিভ  হিউরেস্টিক " এর ভিত্তিতে ফোরকাস্ট করে যাচ্ছে।ঃ)) কিন্তু ফিল্ড থেকে অনেক বেশি ডেটা, বিশেষ করে লার্জার স্যাম্পল্‌ ,  পেলে বেস রেট এবং হিউরেস্টিকের গুরুত্ব কমে যায়। :)) টুকলি করলাম। অভ্যু এবং যদুবাবুকে চিমটি কাটতে।

    •  Ranjan Roy | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২০:৪৮495538
    • সবাই খুশি হলে আমিও খুশি!
       
      এবার প্রেডিকশনঃ
        ইউপি মোট সীট= ৪০৩।
       বিজেপি= ১৩৫,
      সপা+ আরএলডি+ রাজভর=  ২১৫
      বসপা=  ২৩
      কংগ্রেস = ১৮
      অন্য= ১২।
       এরর(+/-) ৫%। 
       
      স্যাম্পল সাইজ ২, ৫৮,০০০। ২২টি প্রশ্নের ভিত্তিতে। 
      যদুবাবু
        প্রায়র ধরা হচ্ছে-- ২০১৪ থেকে ২০১৭ , এই দুটি ইলেকশনের দল এবং এলাকা ভিত্তিক সীট ও ভোট পার্সেন্টেজ।
      একটা হিউরিস্টিক ডেটা। ইউপিতে প্রতিবার সরকার বদলে যায়। রিপিট হয়না। অ্যান্টি-ইঙ্কাম্বেন্সি প্রবল।
      সতর্কবাণীঃ কেরলারও তাই ছিল। কিন্তু এবার  বামফ্রন্ট রিপিট করল। কিন্তু তার কারণ বিজয়ন সরকারের বন্যা, ঘুর্ণিঝড় এবং কোভিডের প্রথমভাগে দারুণ কাজ। চমৎকার রিপোর্টকার্ড, অনেকটা কেজরিওয়ালের মত।   তাই কেরালায় ও দিল্লিতে অ্যান্টি- ইনকাম্বেন্সি ছিল না।আস্থা ভোট ছিল। ইউপিতে প্রবল অ্যান্টি- ইনকাম্বেন্সি।
       
      বঙ্গে ভোট কিন্তু যত না আস্থাভোট তারচেয়ে বেশি 'নো ভোট টু বিজেপি'! কাজ করেছিল। এক অর্থে নেগেটিভ ভোটিং।
      এখানে ইউপিতে বেরোজগারি, কৃষি সংকট (এর মধ্যেই রয়েছে আওয়ারা পশু সমস্যা) সবচেয়ে বড় সমস্যা। যারা গতবার উনিজীর নাম নিয়ে চেঁচিয়েছিল এবং বিশ্বাস করেছিল চাকরি পাবে তারা দেখছে বয়েস বেড়ে যাচ্ছে। 
      স্বাস্থ্যব্যবস্থার ভেঙে পড়া  এর পরে। ধর্মকার্ডে প্রতিধ্বনি উঠছে না।
      চরণ সিং এর নাতি জয়ন্ত চৌধুরিকে দু'বছর আগে পুলিশ বিচ্ছিরি লাঠিপেটা করেছিল। সেসব আহত জাঠ আইডেনটিটিকে উসকে দিচ্ছে। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর 'গর্মী ঠান্ডা করে দেব' হুমকি। জাঠেরা বড্ড ইমোশনাল ক্ল্যান।
       মুসলিমদের ঠেলতে ঠেলতে এমন কোনঠাসা করা হয়েছে যে ওরা এবার অস্তিত্বের সংকটে এককাট্টা হয়ে ভোট দিচ্ছে। তাই মায়াবতী ও আসাউদ্দিন ওবেইসিকে বিজেপির সেকন্ড ফ্রন্ট ভোট-কাটুয়া বলছে। যেমন বঙ্গে ফুরফুরা শরীফের  আব্বাসের কথিত সেকুলার ফ্রন্টকে ভোট দেয়নি।  আর ইউপিতে মুসলমান জনসংখ্যা বঙ্গের থেকে অনেক বেশি, যদিও সব জায়গায় সমান ডিস্ট্রিবিউশন নয়।
       

    • Ranjan Roy | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০০:২৪495781
    • ইউপি নির্বাচনঃ দ্বিতীয় পর্ব
       খেলা জমে উঠেছে। আজকের ৫৩টি সীটে সোজা ওয়ান টু ওয়ান। কং ও মায়াবতী মাঠে নেই বললেই হয়। এখানে ২৫টি সীটে মুসলিম ভোট নির্ণায়ক পজিশনে। ১৫টিতে দলিত ভোট। আর যাদব ও জাঠ (কিছুকম)ও গুরুত্বপূর্ণ
       মুসলিম ভোট একতরফা  গঠবন্ধনে বা গাঁটছড়ায়।  ওরা ক্যান্ডিডেট হিন্দু কি মুসলিম দেখছে না। দেখছে কারা সরকার বদলানোর সম্ভাবনা রাখে। তাই সমাজবাদীরা চালাকি করে মুসলিমের চেয়ে হিন্দু প্রার্থী বেশি দাঁড় করিয়েছে। বসপা ও কং বেশি মুসলিম প্রার্থী। 
      ভাগ হচ্ছে দলিত ভোটও--যারা একচেটিয়া মায়াবতীকে দিত, কিছু অতি দলিত বিজেপিতে। ৫০ + দলিতেরা মায়াবতীর দিকে। কিন্তু নতুন প্রজন্ম বলছে  - কারা চাকরি দেবার কথা বলছে? 
      একটি ঘটনাঃ বর্তমান যোগী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী রাণাজি ডিএম এর কাছে নালিশ করেছেন যে ওঁর ৪০টি বুথ নাকি সমাজবাদীরা ক্যাপচার করেছে। কমিশন পাত্তা দেয় নি। ক্ষী ক্কান্ড!
      দুই, গ্রামীণ এলাকায় ভোট পড়েছে ৭০% এর মত। কিন্তু শহরের কেন্দ্রগুলোতে , যেখানে বিজেপির গড়, ভোট পড়েছে কম। সমর্থকেরা নিরুৎসাহ। 
       প্রথম দুটো পর্বের পর নিঃসন্দেহে জোট এগিয়ে। কিন্তু এরপর টাফ হবে। আওধ  ও বুন্দেলখণ্ডে বিজেপির পাল্লা ভারি মনে হচ্ছে। তারপর হাড্ডাহাড্ডি হবে পূর্বাঞ্চলে। যেখানে জাঠেরা বলার মত নেই। চাষিদের ছোট ছোট জোত। দারিদ্র্য খুব বেশি। চাষির ছেলে চাকরি খুঁজছে। এখন অব্দি ধর্মীয় জিগির ( হিজাব ঝা মেলার পরও) কোন ঢেউ তোলেনি। কিন্তু আগামী দিনগুলোতে? জোট নেতারা সাবধানে ব্যাট করছেন। ধর্মীয় প্ররোচনার বাম্পার ডাক করছেন। ডিবেট কে রোজগার, নির্মাণ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে বেঁধে রাখতে চাইছেন। দেখা যাক, বিজেপি কোন নতুন তাস খেলতে পারে কিনা।


     
    •  Ranjan Roy | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:২৬496012
    • অভ্যু
        উত্তর প্রদেশের  ভোটদানের  প্রথম তিনটে  পর্ব আজ শেষ হল। বাকি  চারটে ফটাফট হবে। ২৩, ২৭, ৩ মার্চ, ৭ । রেজাল্ট ১০ই মার্চ।
          প্রথম দু'রাউন্ডে সপা ও লোকদলের গাঠ ভাল ভাবে এগিয়ে গেছে। জাঠেদের , বিশেষ করে গ্রামীণ, ৭০% (কনজার্ভেটিভ এস্টিমেট) গাঠবন্ধনে। দলিত (জাটভ, শাক্য, লোধী) মায়াবতী ও বিজেপির মধ্যে বিভাজিত। কিন্তু মুসলিম ভোট বিহার (নেগেটিভ লেসন)  ও বাংলার (পজেটিভ লেসন) উদাহরণ দেখে এককাট্টা। ৯৫% গাঠবন্ধনে। ওদের সপার প্রতি বিশেষ ভক্তি রয়েছে এমন নয়, আর জাঠদের প্রতি (মুজফফরনগর দাঙ্গার স্মৃতিতে) খানিকটা সন্দেহ এখনও রয়েছে। কিন্তু ওদের প্রচেষ্টা-- বিজেপিকে হারাতে হবে। ফলে মোট ১১৩ সীটের মধ্যে কম করে ৮০ সপা+ লোকদল পাচ্ছে মনে হয়।
           কিন্তু ডিসিসিভ লড়াই এখন শুরু হলঃ তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম পর্বে। এ হল বুন্দেলখন্ড ও অবধ এলাকা। বিজেপির গড়। 
      বুন্দেলখন্ড সবচেয়ে অনুন্নত এলাকার একটি। এর ঝাঁসি মধ্যপ্রদেশের সঙ্গে (গোয়ালিয়র) গায়ে লাগা এলাকা। এই তিন পর্বে জাঠ নেই বললেই চলে, সামান্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে। এইখানে অতি দলিতদের মধ্যে বিজেপির ফ্রি রেশন ( চাল, ডাল, গম, নুন, তেল) কাজ করবে বলে ওরা আশা করছে। বলছে লাভার্থির কৃতজ্ঞতা -ভোট। আবার লক্ষনৌ কানপুরের শহুরে এলাকায় বিজেপির শক্ত পকড়। এই এলাকায় মুসলিম ভোট ছড়িয়ে ছিটিয়ে , কিন্তু একেবারে ফেলনা নয়।
                    এখানে যোগী বাবার শাসনে গুন্ডা ও মাফিয়া নিয়ন্ত্রণের কথা বাতাসে ভাসছে। এখানে জাঠ বিশেষ নেই। ফলে অখিলেশকে একাই লড়তে হবে। প্রশ্ন হল বিজেপির সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পালটা অখিলেশ দলিত ভোটে কতটুকু ভাঙন ধরাতে পারবে। মায়াবতীর ১৫% কোর দলিত ভোটে যদি বিশেষ ফাটল না ধরে তাহলে সপার লাভ। যদি একটা বড় অংশ বসপাকে ছেড়ে বিজেপিতে যায়, তবে সপা'র ক্ষতি।
                  অখিলেশের পক্ষে রয়েছে বিজেপির দুই তিন কাস্ট-লীডার মন্ত্রীর সপার সঙ্গে গাটছড়া বাঁধাঃ রাজভর , স্বামীপ্রসাদ লোধী। অখিলেশ সাবধানে খেলছে। বিজেপির ধর্মীয় জিগিরে কান না দিয়ে সামনে আনছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও রোজগারের প্রশ্নকে। অ্যান্টি-ইঙ্কাম্বেন্সিকে খুঁচিয়ে দিচ্ছে। এই তিনটে পর্বে লড়াইয়ের ফল যদি ৫০ঃ ৫০ বা স্টেলমেটে নিয়ে যেতে পারে তাহলে শেষ দুটো পর্বে (পূর্বাঞ্চলে) সপা নক -আউট পাঞ্চ দিতে পারবে। সেখানে বিহারের থেকে পরিবর্তনের স্ট্রং উইন্ড বইছে। ফসলের মধ্যে লাবারিশ ষাঁড় ও গাইয়ের ঢুকে পড়া, সময়মত সার না পাওয়া, বিজলির বাড়তি দর, সরকারি চাকরির পরীক্ষা বারে বারে নাকচ হওয়া, বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবা, গঙ্গাতীরে লাশ, ইত্যাদি ফ্যাক্টর হবে। 
              মাওয়ের গেরিলা যুদ্ধের থিওরিতে তিনটে স্তরঃ স্ট্র্যাটেজিক ডিফেন্স, স্ট্র্যাটেজিক স্টেলমেট ও স্ট্র্যাটেজিক অফেন্স। সপা-জোট প্রথম স্টেজ সাকসেসফুলি পেরিয়ে অতি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিতীয় স্টেজে ঢুকেছে। 
        কেমন মনে হচ্ছে -মাও খুব একটা নতুন কিছু বলেননি। দাবা খেলাও তো এই তিনটের মধ্য দিয়ে এগোয়।
       কাহ্নম্যানের  Regression to the Mean  এবং  Taming Intuitive Predictions চ্যাপ্টার দুটো মাত্র পড়েছি। ফলে আমার প্রেডিকশনে কিঞ্চিৎ পরিবর্তন করলামঃ
       মোট সীট= ৪০৩
        বিজেপি=  ১৬০
        সপা জোট= ২২০
         বসপা=    ১৩,   
        কংগ্রেস=    ৭
          অন্য=     ৩।          এরর (+/-) ৫%।
       
          
  • রৌহিন | 103.220.210.223 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২০:০০735823
  • এটা ভালো হয়েছে - সব এক জায়গায় থাক
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০১:৫১735824
    • Ranjan Roy | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০০:১৯496044
    • এস,
        ফেয়ার এনাফ! 
       পরশুদিন ৪র্থ রাউন্ড। অবধ ক্ষেত্র। লক্ষ্ণৌ, ইত্যাদি। বিজেপির গড়। কিন্তু অবস্থা থমথমে।নেতাদের ব্যবহারে ভয়ের ছাপ।
      যেমন আজ লখিমপুর খেরিতে একনম্বরের ঘোষিত সভা শেষ মুহুর্তে বাতিল। যোগীজি সেখানে সভা না করে ৮ কিলোমিটার দূরে করলেন। সমর্থকদের মধ্যে হতাশা। কারণ  কাজকম্ম বিশেষ হয়নি। অ্যান্টি ইঙ্কাম্বেসি ঠেকাতে আদ্দেক সিটিং বিধায়কদের বদলে দেবার কথা বলেও খুব কম বদলানো হয়েছে।  পাবলিকের প্রশ্নের সামনে তাদের ডিফেন্ড কুরতে অসুবিধে হচ্ছে। অনেক কট্টর সমর্থক ভোটের দিনে বসে যাচ্ছেন। তাই শহরের সীটগুলোতে, যেমন কানপুর, (বিজেপির শক্ত ঘাঁটি)  এবার গত দুবারের তুলনায় ৪% ভোট কম পড়েছে। বেশ কিছু রোড শোতে পাবলিকের ভিড় আশানুরূপ নয়।
      প্রশান্ত কিশোরের বুদ্ধিতে মমতা গতবার অধিকাংশ জায়গায় নতুন মুখ দিয়ে ফল পেয়েছেন।
       
      ২০১৭তে সপা ছিল ডিভাইডেড হাউস। দুভাগ। যদুকুলপতি মুলায়েম সিং নিজের ছেলের জায়গায় সমর্থন দিলেন ভাই শিবপাল যাদবকে। শিবপাল আলাদা দল বানিয়ে লড়লেন। সমর্থকেরা কনফিউজড, অনেকে বসে গেল। সপা ছিল সিটিং ডাক। এবার ইউনাইটেড যদুকুল। ২০ তারিখে ওদের গড় ইটাবা ও মৈনপুরী জেলায় ওরা সেই ঐক্য দেখিয়ে ব্যাপক পোলিং করিয়েছে। মুলায়েম বুড়ো বয়সে বড় জনসভা করে খোলাখুলি ডাক দিয়েছেন।
  • S | 2a0b:f4c0:16c:6::1 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৪:২৮735825
  • থ্যান্কু রন্জনদা।

    "অনেক কট্টর সমর্থক ভোটের দিনে বসে যাচ্ছেন।"

    দিস ইজ দ্য হাইলাইট। এইটা হয়ে থাকলে বিজেপির খবর আছে। ইডিওলজি বেসড পার্টির ক্ষেত্রে তাদের কর্মী কট্টর সমর্থকরাই হল ভোট বেস।
  • bodhisattvagc dasgupta | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:০৯735826
  • রঞ্জন দা, আমি হয়তো একটা কিছু মিস করছি ।
    ১. এই সার্ভেটা কারা করছে আর কারা করাচ্ছে? ২৫৮০০০ স্যাম্পল সাইজ তো হিউজ। নাকি এটাই সব বা কিছু কাগজ টিভি চ্যানেল‌ করাচ্ছে , আপনি সেই ডেটয় আকসেস পেলেন‌ কি ভাবে, নাকা অলরেডি এই আনালিসিস কোনো একটা সংস্থা প্রকাশ করছে? স্যাম্নাপল সাইজ নাম্বারটা আমার বড় লাগছে কেন সেটা বলছি , পশ্চিম বঙ্গের ভোটের পরে রে কটা সার্ভে রিপোর্ট প্রকাশ পায় , যে গুলোকে ২০১১ র সেনসাস বেটার বদলে ব্যবহার করা হয় তার স্যাম্পল‌সাইজ ছিল সাড়ে তিন‌হাজার মতো। অপিনিয়ন পোল গুলো ও ওরকম ই সাইজ। আমি কি কিছু সম্পূর্ণ ভুল বুঝছি? 
    ২. ওই ২২ টা প্রশ্ন পাওয়া যাবে? 
  • Abhijit | 103.208.68.122 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৬:৩৬735835
  • ইনি গাঞ্জা টেনে এনালাইসিস করেন ২০১৬ তে সুজ্জি র কোথায় নেচেছিলেন। 
  • Abhyu | 198.137.20.25 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০১:৩৮735837
    • NM | 2401:4900:4e0d:e35e:43a3:da56:d551:b9a6 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:৪৮496090
    •   রঞ্জনবাবু কী  সত্য হিন্দি  বা  4 PM  এর  আলোচনা র  ভিত্তি তে  বলছেন ? যদি হ্যা  হয় তা  হলে কোনো কথা নেই  ।  একদম সঠিক বিশ্লেষণ  ।
     
    • Ranjan Roy | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০০:০৭496093
    • @NM
        ঠিক বলেছেন। প্রধানতঃ সত্যহিন্দি. কম,   4PM, শরৎ প্রধান, লল্লন টপ এর ফিল্ড ডেটা ও অ্যানালিসিস।
      এর মধ্যে দি পলিটিশিয়ান এর মিঃ জৈন এর ডেটা কলেকশন ও বিশ্লেষণ। এঁদের মধ্যে অন্ততঃ তিনজন প্রায় তিন দশক আগে একই ইউনিতে স্ট্যাটিসটিক্সের ছাত্র ছিলেন।
      @ বোধি,
          সঙ্গত প্রশ্ন। ওই অস্বাভাবিক লার্জ স্যাম্পল দেখে ভেবড়ে গেছলাম। পরে দেখলাম বঙ্গের তুলনায় ভোটার সংখ্যাও অনেক বেশি। বোধহয় ১৬কোটির মত। সার্ভে করেছে হায়দ্রাবাদের একটি পেশাদার সংস্থা। এক্ষুণি নামটা মনে পড়ছে না। প্রেডিকশন ১০ তারিখে ভুল/ঠিক যাই প্রমাণিত হোক, তখন নামটা আসবে এবং আমি খেয়াল করে এখানে দেব।
  • bodhisattvagc dasgupta | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:০১735838
  • রণ্জন দা, ওকে। আপনি সোর্স সহ একটা পূর্ণাঙ্গ প্রবন্ধ লিখুন , তাতে পোল অফ সোর্স ও একটা দিন, আর নিজে যদি কিছু ক্যালকুলেশন করে থাকেন সেটা একটু লিখুন নাহলে কত প্রশ্নোত্তর করবেন, আপনার হাতে তো ৯ মার্চ অব্দি সময় আছে। উত্তর প্রদেশে লোক বেশি হলেও আমার বহুত আবসার্ড‌ লাগছে এই স্যাম্পল সাইজ , তবে এটাও সত্য যে পোলিটিকাল পার্টি বা বিজনেস হাউজ গুলোর করানো সার্ভে তে কতটা যথাযথ ডেমোগ্রাফিক রিপ্রেজেন্টেশনের  কথা ভেবে গোটা কোয়েশ্চেনেয়ার সবার কাছে নিয়ে যায় বা প্লশ্ন কতটা সবার জন্য করা হয় সন্দেহ আছে, সেগুলোকে আড্রেস করলে বাড়তে পারে সাইজ, এবং এই সার্ভে বিরাট খরচসাপেক্ষ।
    জেনেরালি বলা হচ্ছে , ওয়েস্টার্ন ইউ পি তে পি কৃষক আন্দোলনের জন্য চাপ আর ইস্টার্ন ইউ পি তে প্যান্ডেমিক ম্যানেজমেন্ট ফেলিওর এর জন্য চাপে আছে বিজেপি। আর মোদীর লোকেরা যোগীকে আর রোগীর লোকেরা মোদীকে পারফরম্যান্স এর সঙ্গে ডিসোসিয়েট করার একটা চেষ্টা করছে সেটা খানিকটা ধরা যাচ্ছে। কিন্তু আরো অবজেক্টিভ ডেটা দেখিনি বলে আমি আর এই লাইনে এগোই নি। আপনি প্রশ্ন গুলো যোগাড়ের ধান্দা করুন, আর কোন প্রশ্ন কাকে করা হয়েছে তার কোনো ডিস্ট্রিবিউশন যদি পান একটু দেখুন।
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:০৩735841
    • Ranjan Roy | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১১:৫০496129
    • NM,
      ইয়েস, গ্রুপটির নাম 'আত্মসাক্ষী'। [বুড়ো হয়েছি, সহজেই নামপদ ভুলে যাই। (কিন্তু খিস্তি-খেউড়-স্ল্যাং ঠিক মনে থাকেঃ))]।
      অপু,
        অবশ্যই স্যাম্পল রিপ্রেজেন্টেটিভ হতে হবে।
         ওনাকে ইন্টারভিউ করার সময় হোস্ট ভদ্রলোক বেশ কিছু প্রশ্ন করেছিলেন--স্যাম্পল নিয়ে, তার ডিস্ট্রিবিউশন ও রিপ্রেজেন্টেটিভ ক্যারেক্টার ও ২০/২২টা কোশ্চেন নিয়ে। প্রফেশনাল টিম, আশা করা যায় কাজে সেই রিগার দেখিয়েছে। 
      আমার কাজ হয়ে গেছে। এই উপলক্ষে আড্ডা, নানান অভিমত উঠে এসেছে--সেটাই নগদ লাভ।
       
      অভ্যুর সেমিনারের প্রশ্ন করার চার্ট ও যদুবাবুর আইন-এডিংটন বেশ লেগেছে।
      আজকে ৪র্থ পর্ব। বিজেপির দুর্গ অবধ ক্ষেত্র। সবার চোখ দুটো এলাকায়-- রাজধানী লক্ষ্ণৌ ও লখিমপুর খেরি। 
      ১ কেন লক্ষ্ণৌ? যারাই ওখানে বেড়াতে গেছেন তাঁরা জানেন ওখানে খুব বড় মুসলিম পপুলেশন, বিশেষ করে হজরতগঞ্জ, আমিনাবাদ, চৌক এলাকায়। রেখা ও মীনাকুমারীর বিখ্যাত ফিল্মগুলোর সীনগুলো মনে করুন। কিন্তু গত দু'দশকের বেশি সময় ধরে এটা বিজেপির সীট। কেন? মুসলিম ভোট কংগ্রেস , বহুজন ও সমাজবাদীর মধ্যে বিভক্ত ছিল। এবার কিন্তু ওদের পিঠ দেয়ালে, তাই গোটা ইউপিতে পাখির চোখ করে দেখছে --'কে আগে কাড়বে যুথীর গন্ধ, কার হাতে বড় নখ'? এখানে ৫টি সীট।
      তাই এবার অঘটন ঘটলে অবাক হবেন না। 
      ২ লখিমপুর -খেরিতে চারজন শিখ কৃষকের গাড়িচাপা দিয়ে হত্যার থেকেও বড় ইস্যু -- অ্যান্টি ইনকাম্বেন্সি। ৫টি সীট। দেখা যাক।
  • Ranjan Roy | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:১৮735842
  • বোধি,
      আমাকে এত সিরিয়াসলি নিও না। এখানে আমার কোন ইন্ডিপেন্ডেন্ট সোর্স নেই। গুরগাঁওয়ে একটা ফ্ল্যাটে আটকে আছি। সকাল সন্ধে বিভিন্ন ক্রাউড ফান্ডেড সাইট এবং যাদের প্রফেশনাল সততা নিয়ে আমার আস্থা আছে তেমন কিছু লোকের বক্তব্য ও বিশ্লেষণ শুনি। যেমন গর্গ, সতীশ সিং, আলোক জোশী, নিউজ ২৪ এর সন্দীপ চৌধুরি ইত্যাদি। এঁরা অনেক সময় নিজেদের ব্যক্তিগত পছন্দ/বিশ্বাসের বিপরীত ডেটা পেলে সেগুলো তুলে ধরতে কসুর করেন না--সেটাই ভরসা। মনে হয় NM ভদ্রলোক বেশ ফোকাসড্‌। উনি লিখলে ভালো হয়।
      বলা ভাল, আট বছরের পুরনো সান্ধ্য পত্রিকা এবং চ্যানেল 4PMকে গত তিনচার দিন আগে ইউটিউবে আপলোড করা হ্যাক করে আটকে দেওয়া হয়েছে। ইউটিউবে লিখেও উত্তর পাওয়া যায়নি। প্রমোটার সাংবাদিক শর্মাকে অনেক দিন ধরে থ্রেট করা এবং ইঙ্কাম ট্যাক্স রেইড ও গুন্ডা দিয়ে অফিস ভেঙে দেওয়া, সরকারি ভাবে ডেকে পাঠানো, প্রলোভন সব করেও দমানো যায়নি। উনি মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় সরকার এবং পুলিশ কমিশনার --সবাইকে লিখে জানিয়েছেন, লাভ হয়নি। 
    ট্রিগার ছিল সম্ভবতঃ একটি ছোট্ট ক্লিপ ভাইরাল হওয়া-যেখানে দু'নম্বর ক্ষমতাশালী ব্যক্তিটি একটি রোড শোতে বলছেন-দূর, এইসব শো করে কিস্যু হচ্ছে না। ক্লিপটি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে।
      উনিজীর নতুন নতুন জনমোহিনী ন্যারেটিব ও রেটোরিক তৈরি করার প্রবাদ প্রতিম ক্ষমতায় কি ভাটা পড়িয়াছে? এখন জনসভায় বলছেন-- সপার সাইকেল চিহ্ন চয়ন থেকেই স্পষ্ট যে ওরা আতংকবাদীদের সঙ্গে আছে। কারণ আমেদাবাদ্ বম ব্লাস্টের বিস্ফোটক নাকি সাইকেলে বাঁধা ছিল! 
       মেনে নিচ্ছেন ছাড়া গরু বড় সমস্যা। বলছেন ১০ই মার্চের পর উনি এর সমাধান করে দেবেন। দুধ না দিলেও গরুর গোবর কীভাবে আয়ের ভাল উৎস হতে পারে সেটা উনি দেখিয়ে ছাড়বেন। বলছেন ওনার কথায় আস্থা রাখতে।
      যোগীজি বলছেন-- বুল্ডোজার এবং জেসিভি সার্ভিসিং এ গেছে। ইলেকশনের সময় লুকিয়ে থাকা আতংকবাদীরা মুখ বের করেছে। খোমা চিনে রেখেছি। ১০ তারিখের পর ঘরদোর গুঁড়িয়ে দেব।
      এদিকে সুপ্রীম কোর্ট এক আপীলের নিষ্পত্তি করে বলেছে যে ইউপি সরকার আন্দোলনের সময় সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার কথিত অপরাধে ফাইন আদায় করার যত কেস করেছে সব খারিজ করে আদায় করা টাকা ফেরত দিয়ে দিতে। কারণ এগুলো আইন মেনে করা হয়নি, জুডিশিয়াল প্রসেস মানা হয়নি।  ডিএম একই সঙ্গে অভিযোগ কর্তা, বিচারক ও আদায়কারী প্রশাসকের ভূমিকা পালন করেছে। অভিযুক্তকে কিছুই বলতে দেওয়া হয়নি।
       একেবারে ডিউ ডিলিজেন্স ও ন্যাচারাল জাস্টিসের মা-মাসি হয়েছে।
  • Ranjan Roy | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:২২735843
    • Ranjan Roy | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১১:৫০496129
    • NM,
      ইয়েস, গ্রুপটির নাম 'আত্মসাক্ষী'। [বুড়ো হয়েছি, সহজেই নামপদ ভুলে যাই। (কিন্তু খিস্তি-খেউড়-স্ল্যাং ঠিক মনে থাকেঃ))]।
      অপু,
        অবশ্যই স্যাম্পল রিপ্রেজেন্টেটিভ হতে হবে।
         ওনাকে ইন্টারভিউ করার সময় হোস্ট ভদ্রলোক বেশ কিছু প্রশ্ন করেছিলেন--স্যাম্পল নিয়ে, তার ডিস্ট্রিবিউশন ও রিপ্রেজেন্টেটিভ ক্যারেক্টার ও ২০/২২টা কোশ্চেন নিয়ে। প্রফেশনাল টিম, আশা করা যায় কাজে সেই রিগার দেখিয়েছে। 
      আমার কাজ হয়ে গেছে। এই উপলক্ষে আড্ডা, নানান অভিমত উঠে এসেছে--সেটাই নগদ লাভ।
       
      অভ্যুর সেমিনারের প্রশ্ন করার চার্ট ও যদুবাবুর আইন-এডিংটন বেশ লেগেছে।
      আজকে ৪র্থ পর্ব। বিজেপির দুর্গ অবধ ক্ষেত্র। সবার চোখ দুটো এলাকায়-- রাজধানী লক্ষ্ণৌ ও লখিমপুর খেরি। 
      ১ কেন লক্ষ্ণৌ? যারাই ওখানে বেড়াতে গেছেন তাঁরা জানেন ওখানে খুব বড় মুসলিম পপুলেশন, বিশেষ করে হজরতগঞ্জ, আমিনাবাদ, চৌক এলাকায়। রেখা ও মীনাকুমারীর বিখ্যাত ফিল্মগুলোর সীনগুলো মনে করুন। কিন্তু গত দু'দশকের বেশি সময় ধরে এটা বিজেপির সীট। কেন? মুসলিম ভোট কংগ্রেস , বহুজন ও সমাজবাদীর মধ্যে বিভক্ত ছিল। এবার কিন্তু ওদের পিঠ দেয়ালে, তাই গোটা ইউপিতে পাখির চোখ করে দেখছে --'কে আগে কাড়বে যুথীর গন্ধ, কার হাতে বড় নখ'? এখানে ৫টি সীট।
      তাই এবার অঘটন ঘটলে অবাক হবেন না। 
      ২ লখিমপুর -খেরিতে চারজন শিখ কৃষকের গাড়িচাপা দিয়ে হত্যার থেকেও বড় ইস্যু -- অ্যান্টি ইনকাম্বেন্সি। ৫টি সীট। দেখা যাক।
  • Ranjan Roy | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:২৪735844
  • সরি অভ্যু,
      আগে দেখিনি, ডাবল হয়ে গেছে। এবার থেকে এখানেই কমেন্ট করব।
     
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 2405:201:8008:c03c:d1e1:3fe3:e3c2:879c | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৩:৪২735845
  • যা সালা, প্রেডিকশন দেবেন কিন্তু সোর্স দিয়ে আলোচনা করবেন না। তাইলে সুদু লিং দ্যান। আর কি। 
     
  • Ranjan Roy | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:০৪735848
  • বোধি,
      কোথায়? সোর্স তো দিয়েছি। এন এম লার্জ স্যাম্পল সার্ভের সংস্থাটির নামও দিয়েছেন--হায়দ্রাবাদের "আত্মসাক্ষী"।  সীটের প্রেডিকশন আমার নিজের। ফিল্ড থেকে অনেকগুলো রিসেন্ট রিপোর্ট রোজ আসছে। কারা আনছে? দ্য পলিটিশিয়ান সংস্থার মিঃ জৈন, সত্য হিন্দি ডট কমের শীতল পি সিং, সতীশ সিং, রাজেশ তিওয়ারি। এঁরা সবাই ইউপি বলয়ের নিবাসী ও পুরনো সিনিয়র জার্নালিস্ট। তিনজন লক্ষ্ণৌ ইউনির স্ট্যাটিস্টিকসে মাস্টার্স।  4PM  এর সঞ্জয় শর্মা ও টিম। এবং  ইউপি বিশেষজ্ঞ সাংবাদিক শরৎ প্রধান। আলোচনায় এঁরা ছাড়াও শাবা নাকভি, ইউনিভার্সিটির প্রো রবি ও স্ট্যাটিস্টিক্সের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক শ্রীবাস্তব। তিনজন ডেটা বিশেষজ্ঞ ও একজন আমেরিকা থেকে অ্যানালিস্ট কার্তিক।
    আরও আছে লল্লন টপ এর প্রমোটার-- প্রাক্তন জে এন ইউয়ের ইউপি নিবাসী সাংবাদিক সৌরভ দ্বিবেদী ও টিম। 
      এঁরা কেউ সীট ফোরকাস্ট করেন না। কিন্তু ট্রেন্ড ও ইস্যু এবং ভোটদাতাদের বিভিন্ন লেয়ার ও ন্যারেটিভ এবং সেগুলোর কম্প্যারেটিভ ওয়েটেজ নিয়ে আলোচনা করেন।
       আমি রোজ সকাল সন্ধ্যে এঁদের হাঁ করে গিলি এবং নিজের ধারণা বানাই। আবার বলছি--ফোরকাস্ট আমার নিজের। তাই সীটের  সংখ্যার চেয়ে ইস্যু ও বিশ্লেষণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ--কারণ ওগুলি এক্সপার্ট ও জমিতে পা রাখা সংস্থা ও লোকদের থেকে আসছে।
      যা বললাম সেগুলো রোজ ইউটিউবে সার্চ করে পাওয়া যাবে। এছাড়া নেহা সিং এর রোজ একটা করে ভোজপুরি শৈলীতে বানানো পলিটিক্যাল লোকগীত "ইউপি মেঁ কা বা?" দেখা যেতে পারে। রোজ একটা করে নতুন গান, কারেন্ট ইস্যু নিয়ে। 
  • ar | 173.48.167.228 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:২৫735850
  • r/india - Just a random vegetable seller with not so random appeal.
  • b | 117.194.213.1 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৮:৫০735855
  • ভোটিং নাকি কম হচ্ছে?  ভোট কম হলে, সাধারণভাবে  ক্ষমতায় যারা আছে তাদের  সুবিধা তো .
  • Ranjan Roy | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:০৩735866
  • @ বি,
     ব্যাপারটা এত একরৈখিক নয়। কোন এলাকায় এবং কারা ভোট দিতে যাচ্ছে এবং কারা যাচ্ছে না সেটা দেখতে হবে। সাধারণতঃ শহরে ভোট কম হচ্ছে, যেখানে বিজেপির জোর বেশি। আবার গ্রামীণ এলাকায় ভাল ভোট হচ্ছে। মোট গড় ভোট ২০১৭ র তুলনায় এক বা দেড় পার্সেন্ট কম। 
      দেখুনঃ চতুর্থ পর্যায় হয়ে গেল। আশা করা গেছল এখানে বিজেপি প্রথম তিন পর্যায়ের ঘাটতি কভার করবে। 
    প্রথম রাউন্ডঃ জাঠ ক্ষেত্র। ৫৮ টি সীটে গতবার বিজেপি সুইপ করে পেয়েছিল ৫১। এবার খুব বেশি হলে ১৫।
    দ্বিতীয় রাউন্ডঃ মুসলিম প্রধান। ৫৫টি সীটে গতবার বিজেপি  ৪২। এবার ১৭। 
    তৃতীয় রাউন্ডঃ যাদব প্রধান। ৫৯ সীট। গতবার  বিজেপি  ৫১।  এবার ১৯। 
    ৪র্থ রাউন্ডঃ  ওবিসি এবং দলিত (পাশী, কোলি, মল্লাহ, কাশ্যপ)।  ৫৯ সীট।এবার সবচেয়ে ভাল করলে ৩০। 
    রবিবার হবে ৫ম রাউন্ড। ব্রাহ্মণ, দলিত ও অবিসি কুর্মী। ৬১ সীট।  বিজেপি গতবার পেয়েছিল ৫০টি। এবার দেখা যাক।
     
    চতুর্থ রাউন্ডের ক'টি সীট নিয়ে একটু পরে লিখছি।
     
     বিজেপির ক্যাম্পেনঃ  মোদীজি বলছেন-- সাইকেল চিহ্ন মানে টেররিস্টের সিম্বল। আমেদাবাদে বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল সাইকেলে বেঁধে। প্রথমবার স্বীকার করলেন ছাড়া পশু ও ফসল নষ্ট হওয়ার সমস্যা। বললেন আমি মোদী বলছি, ১০ তারিখের পর এই সমস্যার সমাধান হবে। দেখাব কীভাবে গরুর গোবর থেকে আয় বাড়ানো যাবে। আর উনি এবং অমিত শাহ বলছেন-- প্যান্ডেমিকের সময় ঘরে বসে চালডালতেল নুন পেয়েছ, লাভার্থীদের কৃতজ্ঞতা বোধ আছে না? কৃষকেরা ব্যাংকের খাতায় ২০০০ করে বছরে তিনবার টাকা পেয়েছে। গুণ্ডাগর্দী থেমেছে। মা বোনেরা নিরাপদে ঘর থেকে সূর্যাস্তের পর বেরোতে পারছেন। যোগীজি বলছেন অযোধ্যায় রামললাকে মন্দিরে বসানো আমার সর্বোচ্চ প্রাথমিকতা। ১০ তারিখের পর আতংকবাদীদের ঘরে বুলডোজার চলবে। সমাজবাদী ও কংগ্রেসের পরিবারবাদ।
     
    বিরুদ্ধে  পালটা প্রচারঃ  সাইকেল উত্তর ভারতে এবং সমগ্র গ্রামীণ ভারতে গরীবের প্রধান সম্বল। প্যান্ডেমিকে একটি মেয়ে তার বাবাকে সাইকেলে বসিয়ে১৫০০ কিমি চালিয়ে ঘরে নিয়ে গেছল। এভাবে গ্রামীণ জনতাকে অপমান! 
     ৫ কিলো খাবার দিয়েছে কিন্তু জানোয়ার ছেড়ে দেওয়ায় আদ্দেক ফসল (মানে প্রতি একর ১০ কুইন্টাল ) নষ্ট হচ্ছে। সেটা পাঁচ বছর পর প্রধানমন্রীর চোখে পড়ল? ঠাকুর জাতের বাহবলী ও মাফিয়ার বিরুদ্ধে এই সরকার কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তেলের দাম বাড়িয়ে জিনিস্পত্রের দাম বাড়িয়ে আয় কমিয়েছে। 
    রোজগার নিয়ে কোন কথা নেই কেন? ছাত্রদের কেন পেটানো হল? দলিত মেয়েকে ধর্ষণের পর পুলিশ ঠাকুর ধর্ষণকারীদের বাঁচাতে চেষ্টা করল। মেয়েটাকে পুলিশ রাতারাতি চট ও কাঠ জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিল। ব্যবসায়ীকে পুলিশ টাকা আদায়ের চেষ্টায় হোটেলে পিটিয়ে মারল। মুসলমান ছেল্এদের কাস্টডি কিলিং!
    রাজনাথ সিং এর জনসভায় যুবকদ্দের প্রদর্শনঃ আর্মিতে রিক্রুটমেন্ট বন্ধ কেন? উনি বললেন--হবে হবে। 
     ফ্রি খাবার ৩১ মার্চের পর বন্ধ হচ্ছে। কিন্তু অখিলেশ বলছে গরীবদের জন্য চালু থাকবে।
     খেল দেখাচ্ছে অখিলেশের 'পুরনো পেনশন' চালু করার অঙ্গীকার। বিজেপির কাছে এর জবাব নেই। রাজস্থানের  কংগ্রেস সরকার ঘোষণা করেছে ১ এপ্রিল থেকে ওরাও পুরনো পেনশন ফিরিয়ে আনবে।
    এই দাবি যারা দেশ জুড়ে করেছে সেই সরকারি কর্মীরা সংখ্যায় কত সেটা গৌণ, আসল কথা এরা ভোটে 'ওপিনিয়ন মেকার'। বাকি পরে লিখছি।
  • Ranjan Roy | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:৩১735868
  • আগামী কাল সকাল সাতটা থেকে ৫ম পর্বের ভোট। বিজেপি এখনও প্রথম তিন রাউন্ডের ক্ষতি কভার করতে পারেনি। আশা করছে বাকি তিনটে রাউন্ডে সেটা হয়ে যাবে। কালকের ভোটিং থেকে নাকি শুরু। 
    মধ্য ইউপির  অবধ, বুন্দেলখন্ড ছাড়ি য়ে আমরা ঢুকে পড়ছি পূর্বাঞ্চলে। নজর রাখুন অযোধ্যা, বহরাইচ, গোণ্ডা , এলাহাবাদ ও আমেঠির দিকে। বর্তমান উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য্যের সীটও তেমন সেফ নয়। 
    অযোধ্যায় সবচেয়ে বড় কমিউনিটি ব্রাহ্মণ, তারপরে মুসলমান। বিজেপি বর্তমান বিধায়ক (কোন কাজ করেননি) এর পুত্র জনৈক গুপ্তাজীকে ( বৈশ্য জাত) টিকিট দিয়েছে। বাকিরা কেউ মুসলমান প্রার্থী না দিয়ে ব্রাহ্মণ প্রার্থী দিয়েছে। কংগ্রেসের প্রার্থী একজন মহিলা।  বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাচ্ছে এই প্রেস্টিজ সীটের জন্য। কারণ ব্রাহ্মণদের একাংশ ঘরে বসে না গিয়ে ভোট দেবে এসপির ব্রাহ্মণ প্রার্থীকে। ছোটখাট সন্তরাও নারাজ, কারণ রামমন্দির নির্মাণের কমিটিতে তাদের পাত্তা দেওয়া হয়নি।
    কাল রাত্তিরে বড় করে লিখব বিজেপির এই গরীব এলাকায় মুখ্য অস্ত্র 'লাভার্থী' নিয়ে। এবং আওয়ারা পশু এবং স্থানীইয় কৃষি ইকনমি নিয়ে।
  • Ranjan Roy | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:১৭735886
  • ভুল বলেছি, বিজেপি বর্তমান বিধায়ককেই ( গুপ্তাজী, ওঁর পুত্র নয়) টিকেট দিয়েছে।
      কাল বেলা দশটার পর থেকেই মোবাইলে মেসেজ আসতে শুরু করে--'আপনার একটি ভোট মানে রামমন্দিরের গাঁথনিতে একটি ইঁট। কাজেই ভোট দিতে চলে আসুন।
    দুয়েকটি ভোটকেন্দ্রের বুথ ম্যানেজার নিজের ভোটটুকু দিয়ে ঘরে চলে এসেছেন। মুসলমান এলাকায় পুরুষ ও মহিলারা ভিড় করে ভোট দিয়েছেন।  আবার মন্দির এলাকায় বিভিন্ন মোহান্তদের মধ্যে পক্ষে বিপক্ষে বিতর্ক দেখা গেছে। উল্লেখযোগ্য -- অযোধ্যার মন্দির  পাড়ায় ৬০% সন্ত জাতিতে যাদব। আগে এটা ছিল ফৈজাবাদ মিউনিসিপ্যালিটির  অংশ , এখন পরিসীমন করে ১৫টি গ্রামের পঞ্চায়েত ভেঙে দিয়ে এর সঙ্গে জুড়ে আলাদা মিউনিসিপ্যালিটি হয়েছে। কোন লাভ হয়নি। রাস্তাঘাট দশ বছঅর আগে যা ছিল তাই। কিন্তু পঞ্চায়েত প্রধানদের ক্ষমতা ও ফান্ড বাতিল!
      সপা বুথের বাইরের অফিসে ভিড়।
    সূত্রঃ ফিল্ড থেকে অযোধ্যা প্রেস ক্লাবের ভিডিও ও ইন্টারভিউ। 
  • Ranjan Roy | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:৫৪735887
  • আগামী ৩ ও ৭ তারিখে বাকি ১১০ কেন্দ্রের ভোট। পূর্বাঞ্চল। খুব গরীব এলাকা।  এখানেই গোরখপুরে সপা দাঁড় করিয়েছে প্রাক্তন বিজেপি নেতার বিধবাকে-- উনি ব্রাহ্মণ।
     এই অঞ্চলে ব্রাহ্মণ পপুলেশন ও নন-যাদব ওবিসি ও পাসী কোলি ইত্যাদি  অতি দলিত জাতির উল্লেখযোগ্য ভোট। আর জাটভ দলিতরা মায়াবতীর পাক্কা ভোট ব্যাংক।
    কিন্তু এবার সব পুরনো স্টিরিওটাইপ ভেঙে যাচ্ছে। অধিকাংশ জায়গায় বাইপোলার প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
     মায়াবতী লড়াইয়ে নেই। 
    বিজেপির অস্ত্র রামমন্দির, হিন্দু মুসলিম, পাকিস্তান ভোঁতা হয়ে গেল, হিজাবও। 
    কাজের অস্ত্র ঃ আইন শৃংখলার ফাঁপানো ন্যারেটিভ এবং 'লাভার্থী'র কৃতজ্ঞতা। মোদী ও যোগীর থেকে আলাদা করে ছবি ওলা ব্যাগে চাল-গম-তেল নুন। নিমকহারামি না করার আবেদন। 
    সম্ভাব্য টার্গেট গ্রুপ মহিলারা। যেমন বিহারে নীতিশ কুমারের ভক্ত মহিলারা ৫% সুইং করিয়েছিল।  কারণ মদ বন্ধ করায় ঘরে দুটো পয়সা আসছিল। মহিলারা মাতলামি ও মারপিটের থেকে রেহাই পাচ্ছিল। 
    দুর্বল জায়গাঃ সরকারি চাকরিতে ভ্যাকেন্সি সত্ত্বেও বারবার ক্যানসেল হওয়া। দলিতদের রিজার্ভেশন কম করে দেওয়া।  গোরক্ষার নামে বুড়ো গাই ও ষাঁড়কে ক্ষেতে ছেড়ে দেওয়া। আখ সাপ্পলাইয়ের পেমেন্ট দেড় বছর করে বাকি রাখা। হাসপাতালের দুর্দশা। 
     
    সপার অস্ত্রঃ পুরনো পেনশন চালু করার আশ্বাস। এপ্রিল থেকে আগামী পাঁচবছরের জন্যে গরীবদের ফ্রি রেশন, চাষের জন্য ফ্রি বিজলি, ছাড়া গরুর সমস্যা সমাধানের আশ্বাস। হিন্দু মুসলিম টেনশন কম করা ও সবরকম জাত কে নিয়ে চলার আশ্বাস। 
    ধৈর্য ধরুন। সাতদিন পরে আগামী সোমবার  সন্ধ্যে সাতটা থেকে এগজিট পোল, ১০ তারিখে রেজাল্ট। তারপর ফলাফল যাই হোক,  বিভিন্ন সোশ্যাল  ও ইকনমিক  ফ্যাক্টর নিয়ে কোর্স করেকশনের উদ্দেশে কথা বলা যাবে। 
    কম ভোট/বেশি ভোটঃ
      বঙ্গে গত বিধানসভা ও বর্তমান লোক্যাল ভোটে প্রতিশত বেশ হাই। কিন্তু এগুলো যে পরিবত্তোনের জন্য নয় সে বিষয়ে বোধহয় কারও সন্দেহ নেই।
    ইউপিতে ক্ষমতাসীন দলের কোর ভোটের লোক নিরুৎসাহ। কিন্তু বিরোধীদের কোর ভোটার দলবেঁধে ভোট দিচ্ছে। কাজেই ফাইট ক্লোজ। যদিও আমি পাঁচ রাউন্ডের পরও মনে করছি যে পরিবর্তনের আন্ডারকারেন্ট তীব্র হচ্ছে। হয়ত এই সাতভাগে ভোট করাটাই কাল হবে। হাওয়া ছড়িয়ে যাচ্ছে।
  • Ranjan Roy | ০২ মার্চ ২০২২ ২২:২১735913
  • কালকে উত্তর প্রদেশ নির্বাচনের ৬ষ্ঠ পর্ব -- এতে রয়েছে গোরখপুর সীট যাতে জীবনে প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়ছেন যোগী আদিত্যনাথ, মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং।  আর রয়েছে বিজেপি মন্ত্রীসভা থেকে বেরিয়ে সদ্য বেরিয়ে আসা স্বামীপ্রসাদমৌর্য (কূর্মীদের বড় নেতা)। কাল তাঁর কাফিলায় হামলা হয়েছে --ভিডিও দেখলাম। প্রতিবাদে বিজেপি ছাড়ছেন এম পি সঙ্ঘপ্রিয়া মৌর্য, উনি স্বামীপ্রসাদের মেয়ে। আরেকটিতে দেখা যাচ্ছে বিজেপির স্থানীয় সভায় লোকেদের প্রশ্নের জবাব দিতে না পেরে জনৈক সিটিং এম এল এ হঠাৎ বলা নেই, কওয়া নেই কান ধরে ওঠবোস করতে লাগলেন। ওর সঙ্গীরা বলছে আরে আরে কর কি! তো উনি শুয়ে পড়ে নাকখত দিতে লাগলেন। 
     
    এরপর ১০ তারিখ সোমবার শেষপর্ব , যাতে আছে বারাণসী জেলা--মোদীজির লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধানসভার সীট গুলো। তিনদিন ধরে মোদীজি ঘাঁটি গেড়েছেন বেনারসে। ঝোড়ো প্রচার করছেন তাঁর এলাকায়। দেখা করছেন তৃণমূল স্তরের কার্যকর্তাদের সঙ্গে, তাদের মান ভাঙাচ্ছেন। 
    বিজেপি শেষ দুটো কেন্দ্রে তাদের সমস্ত হেবিওয়েট লোকজনকে অন্য জায়গা থেকে আনিয়ে কাজে নামিয়েছে। এই এলাকায় বিভিন্ন ছোট ছোট জাতি (সবাই গতবার বিজেপির সাথে ছিল) রয়েছে। তেমনি রয়েছে ছোট চাষি আর ক্ষেতমজুর। বেকারি, খেতে পশুর হামলা এসব এখানেই বেশি। বিজেপির অস্ত্র কেন্দ্র ও রাজ্য দু জায়গা থেকেই ফ্রি রেশন--তেল নুন সমেত।
     বিরোধী জোটের রণনীতি তাতে ভাঙন ধরানো। হাতিয়ারঃ ২০০৪এর আগের পেনশন ফিরিয়ে আনা, পাঁচবছরের রেশন, চাষে ফ্রি বিজলি, সরকারি বিভাগে খালি পদে ভর্তি এবং উন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থা।
     পাবলিক ইউনিটগুলোর প্রাইভেটাইজেশনের বিরুদ্ধে অখিলেশের প্রচারঃ ওরা সব প্রাইভেট করে দিচ্ছে। তাহলে তোমাদের রিজার্ভেশন খালি কাগজে থেকে যাবে। কারণ ওটা তো প্রাইভেট চাকরিতে প্রযোজ্য নয়। 
    এই প্রচার লোকে খাচ্ছে, এর পালটা বিজেপি কিছু বের করতে পারেনি। মোদীজি এবার প্রচারে ব্রডস্পেক্ট্রাম ট্রিটমেন্ট করছেন। বালাকোট, আতংকবাদ, পাঞ্জাবে ওঁর ওপর হামলার সম্ভাবনা, মেয়েদের সুরক্ষা, রামমন্দির কিছুই বাদ নেই।
       আগামী সোমবার স্ন্ধ্যে সাতটা থেকে এগজিট পোল। দশ তারিখে রেজাল্ট!! 
  • b | 14.139.196.16 | ০৪ মার্চ ২০২২ ১২:৫৯735918
  • আপডেট কই ? 
  • Ranjan Roy | ০৪ মার্চ ২০২২ ১৯:২৮735919
  • ভোট % দিন দিন কমছে।
    রাউন্ড                                  %    
    ১                                        ৬১.২
    ২                                       ৬২.৪
    ৩                                       ৬১ 
    ৪                                        ৫৮.৯
    ৫                                        ৫৭.৪
    ৬                                         ৫৫
     
    কিন্তু একই জেলার গ্রামীণ কেন্দ্রে ভোট অপেক্ষাকৃত বেশি। শহরে ৪৪ থেকে ৪৮।  
    যা মনে হচ্ছেঃ যোগী জিতবেন গোরখপুর সদর কেন্দ্রে। কিন্তু বাকি পাঁচটার তিনটে সম্ভবতঃ জোটের কাছে যাবে। এবার বিএসপি কয়েকটি কেন্দ্রে ভাল লড়ছে। কোথাও কোথাও তেকোনা লড়াই।  কংগ্রেস অন্ততঃ দুটি কেন্দ্রে জিততে পারে। কুশীনগর জেলায় শহর বিজেপি। কিন্তু গ্রামে? এখন লাভার্থী প্রচার দাগ কাটছে না। দাগ কাটছে না হিন্দু-মুসলিম, শ্মশান-কব্রিস্তান।  সামনে উঠে আসছে মূল্যবৃদ্ধি, চাকরি, প্রাইভেট হলে রিজার্ভেশন চলে যাওয়ার ভয়। 
    বিজেপি জোর দিচ্ছে গূন্ডামি আইন শৃংখলা, মেয়েদের সুরক্ষা। জোর দিচ্ছে অতি পিছড়া দলিতদের উপর যাদব ও জাঠদের দাদাগিরির উপর।
    অখিলেশ বলছে যারা আইন ভাঙতে চায়, সংবিধানের তোয়াক্কা করেনা তাদের ভোট চাইনা।
    এই পূর্বাঞ্চল এলাকায়, (৬ষ্ঠ ও আগামী সোমবার ৭ম) প্রায় প্রত্যেক পরিবারে কেউ না কেউ ছোট বড় সরকারি চাকরিতে আছেন। দাগ কাটছে অখিলেশের সেই পুরনো পেনশন ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব।
    এই এলাকায় খুব বড় সমস্যা হয়েছে আওয়ারা গরু ও ষাঁড়। এর কোন উত্তর বিজেপির কাছে নেই।
    আগে দুধ না দেওয়া বুড়ো গরু বলদ সব বাজারে বেচে দেওয়া হত। এই এলাকা থেকে বিশ্বের বাজারে বীফ রপ্তানি হত। কসাইরা মুসলিম, কিন্তু ব্যবসায়ীরা হিন্দু।
    গোরক্ষা আইনে সব ডামাডোল। গরীব চাষী নিজেরাই ভাল করে খেতে পায়না, অকর্মণ্য গোধনকে কী করে খাওয়াবে?
    বেশির ভাগ বিরোধী পার্টি এ নিয়ে চুপ। কারণ যদি পালটা আসে--ও, তুমি তাহলে গরু কাটতে বলছ!
    কিন্তু বাস্তবে এই সমস্যা গরীব চাষিদের মাথাব্যথার কারণ। 
    যা মনে হচ্ছে মুসলিম ভোট পুরোপুরি মায়াবতী থেকে সরে এসে এককাট্টা হয়ে জোটকে দিচ্ছে--ক্যান্ডিডেট মুসলিম না হলেও। যে বিজেপিকে হারাতে পারবে তাকে দিচ্ছে।
    দলিত ভোট অনেকটা বিএসপিতে থাকলেও বেশ কিছু জোটের পক্ষে যাচ্ছে। ওদের সমাজের বুদ্ধিজীবিরা জোটের পক্ষে বলছেন। ইন্ডিয়া টুডে--১৫ দিন আগেও সার্ভে করে বিজেপির বিশাল জয়ের চান্স এবং যোগীজি প্রায় আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী গোছের রেজাল্ট দেখাচ্ছিল। কিন্তু ৫ম রাউন্ডের পর থেকে সি-ভোটারও সুর পালটে বলছে এখন কিছু বলব না। এগজিট পোলের আগে মুখ খুলতে কমিশনের মানা। এটুকু বলতে পারি হাড্ডা হাড্ডি লড়াই।
    মোদীজি বেনারসে ঘাঁটি গেড়ে আছেন।  কালকেও রোড শো করবেন।
    সোমবার সন্ধ্যে সাতটা থেকে এগজিট পোল। তখন আমি চুপ, ১০ তারিখ সন্ধ্যেয় মুখ খুলব।
     
     
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ০৪ মার্চ ২০২২ ২০:০৭735920
  • besh
  • Ranjan Roy | ০৬ মার্চ ২০২২ ২০:৫৭735940
  • আগামী কাল সকাল সাতটায় সপ্তম বা শেষ পর্বের ভোট গ্রহণ শুরু। উনিজী স্বয়ং বেনারসে এসে তিনদিন ঘাঁটি গেড়েছেন। কেন? আসলে এই দক্ষিণ -পূর্ব এলাকাতেই বিজেপি অপেক্ষাকৃত দুর্বল। ২০১৭ সালে ছ'মাস আগের বিমুদ্রাকরণের আবেগে  সবাই ভেসে গেলেও এখানে বিজেপি ৫৪র মধ্যে সবমিলিয়ে ৩৮ দখল করেছিল। বাকি ৬টায় ৪৪, ৪৮, ৫১, ৫৩ --এইহারে জিতেছিল। ২০১৯শে বালাকোটএর পরও ভোট প্রতিশত এবং বিধানসভার সীটে অগ্রগমন দেখলে ছবিটা প্রায় একই। 
    বিহার রাজ্যের সংলগ্ন এই গরীব এলাকায় জাতএর অনুপাত মোটামুটি এরকমঃ
    মুসলিম ১৪% + যাদব ১৬%  হল সপা'র কোর ভোট।
    সামান্য মুসলিম+ দলিত (২২%) হল বসপার কোর ভোট।
     এই দলিতের মধ্যে আবার ৭০% হল জাটভ -- কয়েক দশক ধরে মায়াবতীর ।
    ব্রাহ্মণ ১২%+ ক্ষত্রিয় ৭% + বৈশ্য ৩% হল বিজেপির কোর ভোট।
    এছাড়া আছে এক গাদা ছোট ছোট জাত এবং কায়স্থ ইত্যাদি ।
    মোদ্দা কথা হল কোন দলই শুধু কোর ভোটের উপর নির্ভর করে সরকার গঠনের অবস্থায় আসতে পারেনা।
    সবার রণনীতি হল কীভাবে ফ্লোটিং ভোটারদের নিজের শিবিরে টানা যায় এবং বিপক্ষের কোর ভোটে ফাটল ধরানো যায়, যত সামান্যই হোক।
    এবার মুস্লিমরা এন ব্লক সপা গঠবন্ধনের পক্ষে ভোট দিচ্ছে, অনেকটা নিরুপায় হয়ে।
    দলিতদের বেশির ভাগ মায়াবতীর সঙ্গে রয়েছে , বিশেষ করে জাটোভ। কিন্তু সামান্য হলেও ফাটল ধরেছে। তারা বেশিরভাগ গেছে বিজেপির দিকে, অল্প সপার দিকে।
    কিন্তু অখিলেশ রাজভর (৪%), কুর্মী (৭%) এবং আরও কিছু (সৈনী , কৈরি , কোলি) এদের নিজের দিকে টানতে পেরেছে।
    এখন এই এলাকাতেই মায়াবতী স্ট্রং। এখানকার মীর্জাপুর থেকেই ফুলন দেবী এমপি  হয়েছিলেন। যদি মায়াবতী বেশি সীট না পেলেও (কারণ উনি বিজেপির ভবিষ্যতের সঙ্গী) যদি ১৬% ভোট নিজের দিকে ধরে রাখতে পারেন তাহলে সপা'র এই এলাকায়  ল্যান্ডস্লাইড ভিক্ট্রি হবে।
     এই স্লগ ওভারে ব্যাট করছেন মোদীজি, ওনার ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মা তো রয়েছে। কিন্তু এটা বিধানসভা , তবে ২০১৭র সময়ের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, বিমুদ্রাকরণের ন্যারেটিভ নেই। আস্কিং রেট বেড়ে গেছে। সম্ভবতঃ প্রথম তিনপর্বের বিপুল ডেফিসিট পরের তিনপর্বে কভার হয় নি।
     মাঝখানে গোরখপুরেও যোগীজির ছবি সরিয়ে শুধু মোদীজির ছবি লাগানো হয়েছিল। ইউপির ভারপ্রাপ্ত শাহজী নাড্ডাজী কেউই সামনে খুব একটা নেই। আর মোদীজিও কেবল নিজের সংসদীয় কেন্দ্রের মধ্যেই আটকে রইলেন। সম্ভবতঃ ২০২৪এর কথা ভেবে।
    আজকের টাইমস অফ ইন্ডিয়ার পোস্ট এডিটোরিয়ালে স্বামীনাথন আইয়ারের বড় লেখা রয়েছে। ভদ্রলোক অর্থনীতি ও রাজনীতির বিষয়ে বাজারপন্থী। উনি তিনজনেরই জনসভা দেখে এসে মন্তব্য করেছেনঃ
      অখিলেশ স্টেজে আসা মাত্র উৎসাহী ভলান্টিয়ার ও যুবজনতা ্বেড়া ভেঙে স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে গেল, ওকে ছোঁবে বা ছবি তুলবে বলে।
     মোদীজির সভায় বিজেপির কার্যকর্তাদের অভ্যাস করে আসা শ্লোগান ছিল, কিন্তু উৎসাহ কেমন মিইয়ে গেছে। জনতাও বক্তার কথায় সাড়া দিচ্ছে না। আগের মো-দী মো-দী গর্জন নেই। 
    যোগীজির সভায় লোক কম, কেউ ভাষণ শুনছে না।যেই আইন শৃংখলা বূলডোজার হয়ে উনি নিজের সাফল্যের খতিয়ান পেশ করছেন লোক উঠে চলে যাচ্ছে। একটা ব্যাপার, সম্ভবতঃ ২০১৯ সালেই ২০০ জন বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্ণায় বসেছিল।
      মোদীজিও কাশী-বিশ্বনাথ কোরিডোর, আইন-শৃংখলা এমনকি উক্রাউনের উদাহরণ টেনে শক্ত মজবুত সরকারের জন্য ভোট দিতে বলছেন। ওঁর মন্ত্রীরা দাড়ি ও জালিদার টুপি নিয়ে কথা বলছে। 
    অখিলেশ ব্যক্তিগত আক্রমণ এড়িয়ে কথা বলছেন, রোজগার, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিকাশ, পেনশন এবং গরীবদের আগামী ৫ বছর ফ্রি রেশনের। 
     কাল সন্ধ্যে সাতটা থেকে শুরু হবে এগজিট পোল। বেড্রুম বাবা রঞ্জনানন্দ এবার কাট মারছে। কথা হবে ১০ তারিখ সন্ধ্যেয়। আমার কথা ভুল বা ঠিক যাই হোক। হেরে গেলেও বিরিয়ানি ও কফির স্বাদ একইরকম থাকবে। 
     আমি বলিঃ
            বক আর ঝক, কানে দিয়েছি তুলো।
          মার আর ধর, পিঠে বেঁধেছি কুলো।। 
        
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ০৭ মার্চ ২০২২ ২০:০১735952
  • NDTV বলছে বিজেপি ফির্ছে ক্ষমতায়
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ০৭ মার্চ ২০২২ ২১:১৫735954
  • b | 117.194.78.230 | ০৭ মার্চ ২০২২ ২১:৩১735955
  • ইবাবা , এই আপনার  ফিল্ড অ্যানালিসিস ?  এই আপনার আঁখো দেখা হাল ? এই আপনার ইয়ে ?
  • ধোর | 104.148.30.74 | ০৭ মার্চ ২০২২ ২১:৩২735956
  • রঞ্জন সালা খোরাক পিস। আবার পাঁচ পার্সেন্ট এরর মার্জিন লিকেচে!
     
    statistics এর বইগুলো গঙ্গায় ভাসিয়ে দিন মশাই।
  • S | 2a0b:f4c2:1::1 | ০৭ মার্চ ২০২২ ২১:৪৫735957
  • এখানে একটা পান্জাবী ফ্যামিলির সাথে আলাপ রয়েছে। তাঁরা তো বহুদিন ধরেই কট্টর মোদি বিরোধী। ব্যতিক্রমি এনারাই। আর ফার্মার প্রোটেস্টের সময় নাকি এনারাই পান্জাবীরা দেশের লোকেদের বলে দিয়েছিলো পরের ইলেকশানে আপকে ভোট দিতে, নইলে নিজেরা নিজেদেরটা বুঝে নিও, আমাদের ডাকতে যেও না। এইরকম কিছু একটা। ফলে পান্জাবে আপের ভালো ফলের সম্ভাবনা প্রবল।

    গোয়াতে এখন বিজেপির অবস্থা খুব ভালো না। গোয়াতে তিনোরা খাতা খুলতে চলেছে। সেক্ষেত্রে মনে হচ্ছে কঙ্গদের সঙ্গে সরকার বানাবে। দেখা যাক।

    কিন্তু ইউপির যদি এই ফল হয়, সেটা ভেরি ডিজ্যাপয়েন্টিং আর ডিস্টার্বিং। ২০২৪ তো তাহলে মোদি শাহের হাতের মুঠোয়।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন