এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা   বই

  • আপনার প্রিয় কল্পবিজ্ঞান/ ফেবারিট সায়েন্স ফিকশন 

    জয়
    আলোচনা | বই | ২২ ডিসেম্বর ২০২১ | ৬১১৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • বই উপন্যাস নভেল
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:5d05:c4d3:c61a:ec12 | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:৫১735499
  • আমি ফিজিক্স মোটে জানি না তাই উদগান্ডুর মত কোশ্চেন করে চলেছি।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:5d05:c4d3:c61a:ec12 | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:৫৩735500
  • অন্য ওয়েভ কেন মাধ্যম ছাড়া যেতে পারে না?
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:৫৩735501
  • এলিয়েনদের 'চোখ' বা ইলেকট্রোম্যাগ্নেটিক ওয়েভ ধরতে পারা অর্গান যেভাবে ইভল্ভড হয়েছে, তার উপরে নির্ভর করবে। টেকনিকালি এরা এক্সরে, ইন্ফ্রারেড, আল্ট্রাভায়োলেট সবই 'দেখতে' পারে, আমাদের মতন শুধু ভিজিবল উইন্ডোটুকু নয়।
  • জয় | 82.1.126.236 | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:৫৪735502
  • @সায়ন্তন
    অসাধারন। ধন্যবাদ। সঙ্গের গল্পটিও দারুন।
    বোঝাই যাচ্ছে এব্যাপারে আপনার আগ্রহ ও দখল।
     
    কল্পবিজ্ঞান (বই/ লেখক/ মুভি/ ব্যাকস্টোরি/ ম্যাগাজিন-ওয়েবসাইট/ আপনার যা ভালো লাগে বা তত ভালো লাগে না) নিয়ে লিখুন প্লীজ।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:5d05:c4d3:c61a:ec12 | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:৫৫735503
  • সে তো সাপও পিট অরগ্যান দিয়ে অবলোহিত রশ্মি দেখতে পায়। মানুষ পারে না।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:5d05:c4d3:c61a:ec12 | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:৫৬735504
  • এটা লাস্ট কোশ্চেন। শূন্য বা মহাশূন্য কি সত্যিই শূন্য?
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:৫৮735505
  • অন্য ওয়েভ মানে ধরো জলের তরঙ্গ, এ তো জলের সারফেসেই তৈরী, সারফেসটাই ওঠানামা করছে, যখন ওয়েভ যাচ্ছে। তাই তার বাইরে তরঙ্গটা তৈরী হবে কী করে? একইভাবে তারযন্ত্রে। ঐ তারটাই কাঁপছে, তরঙ্গ তৈরী হচ্ছে। কিংবা ধরো শব্দতরঙ্গ। বাতাসের মধ্যে ঘনীভবন তনুভবন পর পর হয়ে লঙ্গিচুডিনাল তরঙ্গ তৈরী হচ্ছে। ওই মাধ্যমের বাইরে তো তৈরীই হতে পারবে না।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:5d05:c4d3:c61a:ec12 | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:০২735506
  • লাস্টের পরের কোশ্চেন — ব্ল্যাকবডি তো সব কিছু টেনে নেয় শুষে নেয়। তো আলোক কণিকাকেও টেনে নিলো, তারপর কী হয়?
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:০৪735507
  • মহাশূন্য, মানে কোনো বস্তু ও শক্তি যেখানে নেই, একেবারে ফাঁকা। কিন্তু কোয়ান্টাম ফিল্ড তত্ত্ব অনুসারে, এরকম সর্বশূন্য জায়্গাও আসলে শূন্য না, ক্রমাগতঃ সেখানে চলছে সৃষ্টি আর ধ্বংস। জোড়া জোড়া কণা-প্রতিকণা তৈরী হচ্ছে আর ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তবে সেগুলো ভার্চুয়াল পেয়ার। এত অল্প সময়ের জন্য তৈরী হয় যে ডিটেক্ট করা সম্ভব না। এদের পরোক্ষ পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব কাসিমির এফেক্ট থেকে।
    https://en.wikipedia.org/wiki/Casimir_effect
  • সায়ন্তন চৌধুরী | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:১৪735508
  • ধন্যবাদ, আমি এটা পড়ি মাঝে মাঝে। ডিসি মোটামুটি সবই লিখে দিয়েছেন; আমার সবচেয়ে প্রিয় ফিলিপ কে ডিক। নিউরোম্যান্সার নিয়ে পড়তে চাই। গিবসন কিন্তু ব্লেড রানার দেখে উৎসাহী হয়েছিলেন, লিখে ফেলেন ঐ চমৎকার লাইনটা: বন্দরের ওপর আকাশের রঙ ঝিলঝিল করতে থাকা টিভি চ্যানেলের মতো।
     
    আর আমার ধারণা ভারতে খুবই ভালো সাইবারপাঙ্ক লেখা সম্ভব; হাই টেক লো লাইফ এখানে পাশাপাশি। কিন্তু ভারতীয় লেখকরা আধুনিক ফিকশনে নানারকমের আইডিয়া নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষার জায়গায় যথেষ্ট পিছিয়ে।
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:১৮735509
  • ব্ল্যাকবডি সমস্ত তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো শুষে নেয়। তারপরে বিকিরণ করতে থাকে। ব্ল্যাকবডির উষ্ণতা অনুযায়ী বিকিরণের প্রধান তরঙ্গদৈর্ঘ্য। তেমন বেশি গরম না হলে লালচে, আরো গরম হলে কমলা, আরও গরম হলে হলুদ, আরো গরম হলে নীলের দিকে।
  • dc | 122.164.52.56 | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৮:৫২735510
  • সে র কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করি। যদিও আমি নিজেও ফিজিক্সের খুবই কম জানি, আমি ভুল করলে আর অন্যরা ধরিয়ে দিলে খুশী হবো :-)
     
    "আলো যখন তরঙ্গের মত আচরণ করে, সে তো তখনও কণিকা নয়"
     
    আলো, বা ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশান একই সাথে তরঙ্গ আর কণার মতো আচরণ করে। কখনো পার্টিকেল, কখনো ওয়েভ না, একই সাথে পার্টিকল আর ওয়েভ। বা বলা ভালো যেকোন কোয়ান্টাম পার্টিকল একই সাথে ওয়েভের মতো আচরন করে আর ভাইসি ভার্সা। একে বলে ওয়েভ-পার্টিকল ডুয়ালিটি। আরও বলা যেতে পারে যে ওয়েভের এনার্জিকে কোয়ান্টাইজ করা যায়, এই কোয়ান্টাইজড প্যাকেটগুলো পার্টিকল এর মতো বিহেভ করে, এই প্যাকেটগুলোর নাম দেওয়া হয়েছে ফোটন। শুধু আলো না, সমস্ত সাব অ্যাটোমিক পার্টিকল, বা সমস্ত কোয়ান্টাম সিস্টেম, একই সাথে পার্টিকল আর ওয়েভের মতো ব্যবহার করে।  এই ভিডিওটা দেখতে পারেন, এখানে বক্তা বুঝিয়েছেন কিভাবে বিংশ শতাব্দীর শেষে নানান এক্সপেরিমেন্টের মাধ্যমে এই কোয়ান্টাইজেশান ব্যপারটা এস্টাব্লিশ হয়েছিলঃ 
     
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৯:০৪735511
  • তা কিন্তু নয়। যখন অব্জার্ভড হয়, মেজারড হয়, তখনই ফোটন, ইলেক্ট্রন ইত্যাদিরা কণিকারূপ নেয়, এদের ওয়েভ ফাংশান কোলাপ্স করে যায়। যখন অব্জার্ভ্ড হয় নি, তখন কিন্তু এরা কণিকা নয়। এটাকে বলে মেজারমেন্ট প্রবলেম। ঠিক কিভাবে এটা হয়, কেন হয় এখনও সমাধান হয় নি।
  • dc | 65.49.68.94 | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৯:১২735512
  • "আলো তো ট্রান্সভার্স ওয়েভ ( হয়ত ভুল বললাম), তো অন্য যে কোনও এরকম ওয়েভের আচরণ কি আলোর মতই হবে না? মানে আলো নিয়ে ( দৃশ্যমান আলো) এত মাতামাতি কেন?"
     
    হ্যাঁ, আলো ট্রান্সভার্স ওয়েভ। আবার ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভও, অর্থাত ইলেকট্রিক আর ম্যাগনেটিক ফিল্ডের ডিসটার্বেন্স। তাছাড়াও আলো অন্য যেকোন ট্রান্সভার্স ওয়েভের মতো পোলারাইজড ওয়েভ। অর্থাত ঐ ডিসটার্বেন্সটার রোটেশান হয়। তবে দৃশ্যমান আলো নিয়ে এতো মাতামাতি কেন, তা বলতে পারিনা :-)
     
    "সাইফাই এ গ্রহান্তর বা অন্য ছায়াপথের প্রাণীদের দৃষ্টিশক্তি কেন শুধুই দৃশ্যমান আলো (বামার সিরিজ) র মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে?" 
     
    একদমই না! অনেক সাইফাইতে অনেকরকম দৃষ্টিশক্তি নিয়ে লেখা হয়েছ। পুরো ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম ব্যবহার করা হয়েছে, আবার মাস সেনসিটিভ অর্গান নিয়েও গল্প আছে। 
     
    "অন্য ওয়েভ কেন মাধ্যম ছাড়া যেতে পারে না? " 
     
    আলো কেন মাধ্যম ছাড়া, অর্থাত ভ্যাকুয়াম এর মধ্যে দিয়ে যেতে পারে? এই প্রশ্নটার উত্তর আমরা জানি, তাই প্রশ্নটা সহজ :-) আলো হচ্ছে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশান। এই ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড একটা কোয়ান্টাম ফিল্ড, যা পুরো ইউনিভার্সে ছড়িয়ে আছে। ফলে এই ফিল্ডের ডিসটার্বেন্স এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় প্রোপাগেট করে, যাকে আমরা আলো হিসেবে দেখতে পাই। শুধু ইএম ফিল্ড না, এই ইউনিভার্সে অনেক রকম কোয়ান্টাম ফিল্ড ছড়িয়ে আছে, যেমন ধরুন হিগস ফিল্ড, ইলেকট্রন ফিল্ড, পজিট্রন ফিল্ড, ইত্যাদি ইত্যাদি। এই ফিল্ডগুলোর ডিসটার্বেন্স প্রোপাগেট হয়, যেমন ধরুন ইলেকট্রন ফিল্ডের ডিসটার্বেন্স যখন প্রোপাগেট করে তখন আমরা বলি একটা ইলেকট্রন এখান থেকে ওখানে যাচ্ছে। (আগেই বলেছি, ইলেকট্রন একই সাথে ওয়েভ আর পার্টিকল (প্রথম দেখিয়েছিলেন লুই ডি ব্রগলি))। তো অন্য ওয়েভ যদি এই কোয়ান্টাম ফিল্ডের ডিসটার্বেন্স না হয় তো ভ্যাকুয়াম দিয়ে প্রোপাগেট করতে পারবে না (যেমন সাউন্ড ওয়েভ, যা আসলে প্রেশার এর ডিসটার্বেন্স)। 
  • dc | 65.49.68.94 | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৯:১৫735513
  • "তা কিন্তু নয়। যখন অব্জার্ভড হয়, মেজারড হয়, তখনই ফোটন, ইলেক্ট্রন ইত্যাদিরা কণিকারূপ নেয়, এদের ওয়েভ ফাংশান কোলাপ্স করে যায়। যখন অব্জার্ভ্ড হয় নি, তখন কিন্তু এরা কণিকা নয়। এটাকে বলে মেজারমেন্ট প্রবলেম। ঠিক কিভাবে এটা হয়, কেন হয় এখনও সমাধান হয় নি।"
     
    একেবারে ১০০% ঠিক। ওটা লিখতে গিয়েও লিখলাম না এই ভেবে যে ওটা পরের ধাপ। তাছাড়া ওয়েভ ফাংশান কোল্যাপ্স আবার একরকম ইন্টারপ্রেটেশান, পাইলট ওয়েভ ইন্টারপ্রেটেশান আরেকরকম (ডি ব্রগলি আরো বোম), মেনি ওয়ার্ল্ডস আরেকরকম (ডি উইট আর এভারেট)। এই সব আর কি :-) 
  • dc | 65.49.68.94 | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৯:২১735514
  • "এটা লাস্ট কোশ্চেন। শূন্য বা মহাশূন্য কি সত্যিই শূন্য?"
     
    না। মহাশূন্য একদমই শূন্য নয়। আগেই লিখলাম, অনেকগুলো কোয়ান্টাম ফিল্ডে মহাশূন্য ভর্তি। আবার অবিরাম ভার্চুয়াল পার্টিকলরা তৈরি হচ্ছে আর একে অপরকে অ্যানাইহিলেট করে মিলিয়ে যাচ্ছে, একে বলে ক্যাসিমির এফেক্ট। খুব ছোটবেলায় একটা বই পথেছিলাম, সামথিং কলড নাথিং। অসাধারন বই, এখানে পড়তে পারেনঃ 
     
     
    লাস্ট কোশ্চেনের উত্তর দেওয়া হয়ে গেছে, এবার আমি কাটি :-)
  • dc | 65.49.68.94 | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৯:২৮735515
  • "সাইফাই এ গ্রহান্তর বা অন্য ছায়াপথের প্রাণীদের দৃষ্টিশক্তি কেন শুধুই দৃশ্যমান আলো (বামার সিরিজ) র মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে?"
     
    আরেকটু বলার ছিল, আমাদের দৃষ্টিশক্তি কেন শুধুই দৃশ্যমান আলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ? কারন সূর্য যা এনার্জি রেডিয়েট করে, তার বেশীর ভাগ ঐটুকুর মধ্যে করে। কাজেই পৃথিবীর প্রাণীরা এমন একটা অর্গান ইভল্ভ করেছে যেটা ঠিক ঐ ব্যান্ডে সবচেয়ে সেনসিটিভ। ঐ ব্যান্ডটার নাম আমরা দিয়েছি আলো, আর ঐ অর্গানটার নাম চোখ। এবার যাই। 
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:5d05:c4d3:c61a:ec12 | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ১৪:০৩735518
  • dc এবং &/ 
    দুজনকেই অনেক থ্যাংকু
  • জয় | 82.1.126.236 | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ১৪:৪৫735519
  • হেপ্টাপডের লোগোগ্রাম (Courtesy: Emma Hollen)
  • জয় | 82.1.126.236 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:১৯735688
  • @ &/, dc, সায়ন্তন, বা আর কোন ভালোমানুষ গুরুবোন/ গুরুভাই,
     
    Fermi's paradoxটা বুঝিয়ে দুলাইন কেউ লিখবেন, প্লিজ? 
     
    অ্যালিস্টার রেনল্ডস এর "পুসিং আইস" পড়া শুরু করেছি।
     
    ফেসবুকের সায়েন্স ফিকশন বুক ক্লাবের এ মাসের বই (মডার্ন গ্রুপ)। আর কেউ পড়ছেন?
     
    আমি এই গ্রুপে সদ্য- রোগভোগের এই সুবিধা, হাতে ফাউ সময় (ফুরিয়ে যাবার আগে)! আপনারা? 
  • জ্যোতি বোস | 45.12.223.68 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২০:৫৫735689
  • আমার সবচেয়ে প্রিয় science fiction হল covid আর fakecine.
  • জয় | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:৫৫735690
  • আর প্রিয় কাজ? ট্রোলিং? 
  • জ্যোতি বোস | 84.247.50.30 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০০:৫৪735692
  • আরে রেগে গেলেন নাকি? আমি তো আপনাদের প্রশংসাই করছি। এত পরিশ্রম করে, কত বছর ধরে প্ল্যান করে এত সব ভালো গুল্প, সরি, গল্প রচনা করা হয়েছে, তাই বলছিলাম। এদের নিশ্চয়ই সবার কোভিড হয়েছে - তারিফ করলে কামড়াতে আসে। এটাও একটা সিম্পটম।
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:০৬735703
  • জয়, এই সঙ্গে লিংকটা দেখুন। এখানে ফার্মি প্যারাডক্স তো আছেই, সঙ্গে ড্রেক ইকোয়েশন ইত্যাদিও আছে।
    ফের্মি (তাঁর আগেও কেউ কেউ) এই নিয়ে বলেছেন। এই আমাদের মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সি, একটা মাঝারি গ্যালাক্সিমাত্র, এতে আছে বহু হাজার কোটি নক্ষত্র। এইসব নক্ষত্রদের অনেকেরই গ্রহমন্ডলী আছে। সেইসব গ্রহদের মধ্যে কিছু কিছু গ্রহ পৃথিবীর মত। সেইসব উপযুক্ত গ্রহের মধ্যে কিছু গ্রহে যদি প্রাণের উদ্ভব হয়ে থাকে, তার মধ্যে কিছু গ্রহের জীবকূল যদি বিবর্তনের মাধ্যমে উন্নত পর্যায়ে পৌঁছয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অধিকারী হয়, স্পেস ট্রাভেল শুরু করে, তারপরে একসময় আন্তর্নাক্ষত্রিক অভিযানও শুরু করে, এতদিনে তাহলে গোটা গ্যালাক্সি তাদের ঘোরা হয়ে যেত। পৃথিবীও ঘুরে দেখে যেত অনেক এলিয়েন জাতিই। ফার্মি বললেন, কিন্তু তারা কোথায়? কেউ তো আসে না?
    এটাই বিখ্যাত ফার্মি প্যারাডক্স। আমার লেখাটা তেমন ঘনসন্নিবদ্ধ হল না, কিন্তু মোদ্দা কথাটা মোটামুটি এইই।
    (আমার একটা জবাবী ভাবনা আছে বটে, কিন্তু সেটা বলা উচিত হবে না। ওঁরা পন্ডিত মানুষ, যা বলেছেন তা অনেক ভেবেচিন্তে অংক কষেই বলেছেন তো। )
    https://en.wikipedia.org/wiki/Fermi_paradox
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৪:৫১735718
  • জয়, আপনি কি আজ অফলাইন?
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৫:২৪735725
  • এতদিনে পড়ে উঠতে পারলাম 'স্টোরি অব ইয়োর লাইফ'। চমৎকার লেখা। সিনেমাটা দেখিনি, তবে সিনেমায় হয়তো বহুকিছু যোগ করা হয়েছে বা পাল্টে দেওয়া হয়েছে, যেমন হয়ে থাকে। মূল গল্প সহজ অথচ গভীর। ভাষাতত্ত্ব, পদার্থবিদ্যা, সময়, জীবন, প্রেম, জন্ম, মৃত্যু ---সব আশ্চর্যভাবে জড়িয়ে আছে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় হল হেপ্টাপডদের ওই ভাষা যা কিনা একইসঙ্গে অতীত ও ভবিষ্যৎ দুইই বলতে পারে। সবটাই জানা, শুধু অ্যাকচুয়ালাইজ করা হয় পারফর্ম করে'। চমৎকার ধারনা।
  • Amit | 121.200.237.26 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৫:৪৮735726
  • কিন্তু ইন্টারগ্যালাক্টিক ট্রাভেল - এতটা সোজাও তো নয় ? আলোর স্পিড এচিভ করাটা যাস্ট থিওরিটিক্যাল। বা স্পেস টাইম বেন্ডিং। আলোর স্পিড ​​​​​​​এ ​​​​​​​গেলেও ​​​​​​​তো গ্যালাক্সি ​​​​​​​টু ​​​​​​​গ্যালাক্সি ​​​​​​​কয়েক ​​​​​​​হাজার ​​​​​​​লাইট ​​​​​​​ইয়ার্স লেগে যাবে । ​​​​​​​আধুনিক ​​​​​​​মানুষের ​​​​​​​ইতিহাস - মানে ​​​​​​​প্রপার ​​​​​​​স্পেস ​​​​​​​স্টাডি ​​​​​​​তো ​​​​​​​মাত্তর ​​​​​​​কয়েকশো ​​​​​​​বছর। 
     
    ধরা যাক মানুষের থেকে কোনো এলিয়েন সভ্যতা ২০-৩০ হাজার বছৰ এগিয়ে আছে। কিন্তু তার মানেই যে তারা এগুলো সব সল্ভ করে ফেলেছে তা নাও হতে পারে। তারাও হয়তো খুঁজে যাচ্ছে এলিয়েন লাইফ ওদের হিসেবে। 
     
    আর কয়েকটা মেটেওর এর গায়ে বেসিক অর্গানিক কার্বন কম্পউন্ডস পাওয়া গেছিলোনা ?সেগুলোই তো অ্যামিনো অ্যাসিড বেসিক বিল্ডিং ব্লকস। এডভান্সড সিভিলাইজেশন না হোক , এতো হাজার হাজার এক্সো প্ল্যানেট - তার মধ্যে একটা দুটো য় মাইক্রোবিয়াল লাইফ ফর্মস তো  থাকতেই পারে। 
     
    ড্রেক ​​​​​​​একুয়েশন হচ্চে ​​​​​​​একটা জাস্ট ​​​​​​​ম্যাথেমেটিক্যাল ​​​​​​​প্রবাবিলিটি। 
     
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৫:৫৩735727
  • আগের ইন্টারস্টেলার ভ্রমণই করুক তো! ইন্টারগ্যালাক্টিক নাহয় আরও পরে হবে। আমাদের গ্যালাক্সিতেই তো নক্ষত্রের মেলা, বেশিরভাগেরই চারপাশে গ্রহমন্ডলী। গড়পড়তা চার/পাঁচ আলোকবর্ষ ছেড়ে ছেড়ে নতুন নতুন নক্ষত্র।
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৫:৫৪735728
  • আগে
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:০০735729
  • গ্যালাক্সি টু গ্যালাক্সি গড়পড়তা দূরত্ব কুড়ি /পঁচিশ লাখ আলোকবর্ষ। মহাবিশ্বে স্পেস বিপুল, তারই মধ্যে বিন্দু বিন্দু গ্যালাক্সিরা ক্লাসটার বেঁধে বেঁধে আছে। ভেসে চলেছে প্রসারণশীল মহাবিশ্বের ক্রমপ্রসারমান স্পেসের সঙ্গে। যেন 'নোটন নোটন পায়রাগুলি ঝোটন বেঁধেছে'। :-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন