এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  বলবই

  • আমাদের স্ক্রিনশট সভ্যতা

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়
    পড়াবই | বলবই | ০৫ ডিসেম্বর ২০২১ | ৩০৬৩ বার পঠিত | রেটিং ৪.৬ (৭ জন)

  • অভিযোগ, কবি শ্রীজাত নাকি লেখক কনিষ্ক ভট্টাচার্যের লেখা চুরি করেছেন। শ্রীজাতর উপন্যাসের নাম ‘খরগোশ ও মারুবেহাগ’। এ বছর শারদীয়া আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত। আর যা থেকে চুরির অভিযোগ, কনিষ্ক ভট্টাচার্যের সেই ছোটোগল্পটির নাম ‘এইচ এম টি’ (গ্রন্থাকারে অন্য নামে প্রকাশিত)। ২০১৮র ‘বাতিঘর’ বইমেলা সংখ্যায় প্রকাশিত। অভিযোগ, প্রত্যুত্তর, সবই সাধারণ্যে প্রকাশিত, হইচইও প্রচুর হয়েছে। ফলত দু’টি লেখাই পড়ে ফেললাম। চুরি-চামারি হয়েছে না হয়নি, অভিযোগ যথার্থ না অমূলক, এসব কিছুই এই লেখার বিষয়বস্তু নয়। কিন্তু হইচই না হলে, এই দুই লেখার কোনোটাই পড়া হত না। তাই পর্যবেক্ষণটুকু লিখে দেওয়া যাক। যে, যথাসাধ্য অভিনিবেশ সহকারে পড়েও আমি ‘চুরি’র অভিযোগের কোনো যথার্থতা খুঁজে পাইনি। দু’টি আখ্যানের মধ্যে মিল এই, যে, দু’টিতেই একজন করে ব্যর্থ জাদুকর আছে। একটিতে আছে একজন ব্যর্থ সানাইবাদক, অন্যটিতে একজন ব্যর্থ কণ্ঠীশিল্পী। একে মিল বললে মিল। কিন্তু সমস্যা হল জাদুকরের উপর তো কপিরাইট নেওয়া যায় না। দুনিয়ায় যখন জাদুকরের অভাব নেই, তখন তারা গল্পে-উপন্যাসেও থাকবে। একাধিক আখ্যানেও থাকতেই পারে। খুবই স্বাভাবিক, তারা জাদুই দেখাবে। বুড়ো হলে সে নিয়ে জাবরও কাটবে। মাস্টাররা পড়ায়, নাবিকরা সমুদ্রে ভাসে, জাদুকররা জাদু দেখায়, ইডেন গার্ডেনে গিয়ে সাধারণত ক্রিকেট খেলে না। দুনিয়ার ওইরকমই নিয়ম। আমার নিজের উপন্যাসেই আছে জাদুকর ম্যানড্রেক। সে আবার সম্মোহনের ভঙ্গি করে সম্মোহনও করে। সব্বাই জানেন, একদম নাম-ধাম সমেত একই চরিত্র আছে কমিক স্ট্রিপে। এবং ভেবেচিন্তে সেই নামই উপন্যাসে ব্যবহার করা হয়েছে। এবার কেউ এসে “আপনি তো মশাই অমর-চিত্র-কথা থেকে টুকেছেন” বললে ভারি দুঃখ পাব। অভিযোগটা ভুল, ভুল তো বটেই, কিন্তু সেজন্য নয়, পুরো চরিত্র-সৃষ্টিটাই মাঠে মারা গেল, এই কথা ভেবে।

    তো, জাদুকরদের উপস্থিতি ভিন্ন দু’টি লেখার মধ্যে আর বিশেষ কোনো মিল খুঁজে পাইনি। আখ্যান এবং ঘটনাপরম্পরায়। হ্যাঁ, প্রেম এবং ব্যর্থ প্রেম আছে। সে তো পৃথিবীর অর্ধেক আখ্যানেই আছে মনে হয়। ও দিয়ে মিল খুঁজতে গেলে সবাই ‘বনলতা সেন’ থেকে টুকেছেন বলতে হয়। মূল চরিত্রদ্বয়ের মধ্যেও জাদু দেখানো ছাড়া আর কোনো মিল নেই। উপন্যাসের জাদুকর, ম্লানমুখ নির্ভেজাল ভালোমানুষ, আর গপ্পের জাদুকর, ব্যর্থ হলেও, কামকাতর অ্যাকশন হিরো, ব্যর্থ এবং ভেঙে পড়া এক জেমস বন্ড যেন। উপন্যাসের সানাইবাদক শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে পোক্ত, মারুবেহাগের দুইটি মধ্যম নিয়ে তার দাবীর শেষ নেই। ওদিকে গপ্পের কণ্ঠীর সঙ্গীতপ্রতিভার একমাত্র পরিচয়, যে, সে পুং-নারী দুই গলায়ই গাইতে পারে। প্রসঙ্গত, গপ্পের গায়ক নারীভাবাপন্ন, উপন্যাসের নায়ক বিচ্ছিরি রকমের সোজা, ট্রেনে কাটা পড়া প্রেমিকার স্মৃতি নিয়েই সারাজীবন কাটিয়ে দেয়।

    অবশ্য এসব পর্যবেক্ষণই, কোনো রায় নয়। ফলে, কেউ বলতেই পারেন, যে, মূল দু’টি চরিত্রকে একটি গল্প থেকে তুলে উপন্যাসে অন্যভাবে বানিয়ে নেওয়া হয়েছে। সে হতেই পারে, সৃষ্টির প্রক্রিয়া ঠিক কী, নেহাৎই ভিতরের খবর না থাকলে সেটা বলা মুশকিল, যা আমার কাছে নেই। কিন্তু যদি তাও হয়, তবে বলতেই হবে, চরিত্রদের সম্পূর্ণ অন্যরকম করে তৈরি করা হলে, সেটা আর টোকা হয় কী করে? আমি যদি হ্যারি-পটারের থেকে জাদুকরটিকে তুলে নিয়ে, পাড়ার মোড়ের চায়ের দোকানে ফেলে দিই, তো হ্যারি-পটারের চরিত্রটাই তো আমূল বদলে যাবে। তাকে তো আর হ্যারি-পটার বলা যাবে না। সে হয়তো হয়ে উঠবে মফঃস্বল শহরের চায়ের দোকানের এক বিফল পিসি সরকার, যে, পাড়ার মোড়ে নানা ম্যাজিক দেখায়, লোকে তাকে প্যাঁক দেয়। তারপর কোনো একদিন আসে, যখন তার কোনো ম্যাজিক হয়তো পাড়াটাকেই বদলে দেয়।

    এটা লিখতে গেলে অবশ্য বিস্তর ঘাম ঝরাতে হবে, যদি প্রসাদগুণ আনতে হয়। প্রসাদগুণও এই লেখার উপজীব্য নয়, কিন্তু উপন্যাসটা যখন কষ্ট করে পড়েই ফেললাম, তখন ধান-ভানতে সেই নিয়েও দু’-চার কথা বলে নিই। বিগত মোটামুটি বছর-দশেক আমি মূলধারার শারদীয়ার উপন্যাস পড়ি না। তার আগে পড়তাম। বেশিরভাগ সময়েই গাল দিতাম, কোনো-কোনো ক্ষেত্রে মুগ্ধ হয়েছি। কিন্তু পড়তাম। কারণ, জনপ্রিয় লেখালিখির জগতে বেশিরভাগ লেখাই খারাপ হবে, হাতে-গোনা কিছু চমৎকার হবে, এমনটাই প্রত্যাশিত। মোটামুটি বছর দশেক আগে পড়া বন্ধ করি, কারণ, শারদীয়াগুলি, ওই সময়েই, উপন্যাসের ধরণ বদলে ফেলে। ব্যাপারটা এরকম দাঁড়ায়, যে, আপনি পড়ছেন উপন্যাস, কিন্তু মনে হবে টিভি-সিরিয়াল দেখছি। পরপর হইহই করে নানা ঘটনা ঘটে যাবে, কম্পোজিশনের মাথামুণ্ডু থাক বা না থাক। আমার আন্দাজ, এই চরিত্রবদলের সিদ্ধান্তটা প্রতিষ্ঠানেরই, কিন্তু তার পক্ষে কোনো সাক্ষ্য ইত্যাদি আমার হাতে নেই। কিন্তু এইটা আন্দাজ করেই আমি পড়া ছেড়ে দিই। ফলে এবার যখন এই উপন্যাস পড়তে গেলাম, তখনও টিভি সিরিয়াল দেখব, এর চেয়ে বেশি কোনো প্রত্যাশা ছিল না। কিন্তু ওই শারদীয়ার খান-দুই পড়ে যা দেখলাম, চুরি-টুরি একেবারেই গ্রহণযোগ্য কোনো অভিযোগ না বটে, কিন্তু এগুলো কি পাঠযোগ্য ভালো লেখা? সত্যি কথা বলতে কী, বাংলা ভাষার পাঠকরা যদি বাংলা ফিকশন পড়া ছেড়ে “এর চেয়ে তো টিভি ভালো” বলে টিভি দেখতে বসে যান, কিংবা ফেসবুকে নাগাড়ে সেলফি পোস্ট করতে থাকেন, তাঁদের বিশেষ দোষ দেওয়া যায় না। গতি-নেই, বাঁধুনি-নেই, কম্পোজিশনের বালাই নেই, শুধু শুদ্ধ এবং কড়িমা সম্পর্কে বক্তৃতা, এ উপন্যাসের শেষ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে পড়াই কঠিন। সিরিয়ালে তবু গতি থাকে, এতে কী আছে? শুধু কয়েকটা ভালো বাক্য, সঙ্গে মনের মধ্যে দারুণ ভাব, এদের যোগফল তো সার্থক আখ্যান হতে পারে না। আখ্যানের জন্য ন্যূনতম যা দরকার, তা হল, আখ্যানসুলভ কম্পোজিশন। শুধু এই উপন্যাসে নয়, কৌতুহলে আরও একখানা উপন্যাস পড়েও তার কোনো চিহ্নমাত্র দেখা গেলনা। কেন লেখা, কীইই-বা সম্পাদনা, বোঝা কঠিন শুধু নয়, অসম্ভব।

    তা, এই লাইনে এ লেখার সমালোচনা হওয়া খুবই সম্ভব ছিল। কিন্তু সেটা হয়নি। হয়নি, সেটাই এই লেখার উপজীব্য। হয়নি, কারণ, একটা বড় অংশের লোক, যাঁরা হইচই করছেন, তাঁরা উপন্যাস এবং গল্প, কোনোটাই পড়েননি। কী পড়েছেন? না, ফেসবুক আর আনন্দবাজারের চিঠি। কনিষ্কর অভিযোগ, শ্রীজাতর উত্তর। হয় প্রোফাইলে গিয়ে পড়েছেন, কিংবা তাও নয়, স্ক্রিনশট পেয়েছেন, হাতের গোড়ায়, এবং চোখ বুলিয়ে উদ্ধার করেছেন। এরকমও লোকজন গর্ব করে বলছেন, যে, দু’পক্ষের বক্তব্যই পড়লাম, অমুকেরটা আমার বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। অতএব অমুক চোর (অথবা নয়)। এ যেন, “জানলার বাইরে কি বৃষ্টি পড়ছে?” – এই প্রশ্নের উত্তরে আপনি বলছেন, “গুগল আর ইয়াহু দু’জনেরই বক্তব্য পড়লাম। আমার জানলার বাইরে বৃষ্টি পড়ছে কিনা, এ ব্যাপারে ইয়াহুর বক্তব্যই অধিকতর গ্রহণযোগ্য মনে হল”।

    এ এক অর্থহীন অনুশীলন। উকিলরা ফৌজদারি মামলায় এরকম করে একটা কেস বিচারকের কাছে উপস্থাপন করেন। সেখানে সেটা জরুরি, কারণ, পুরোটা কারও জানা নেই। তদন্ত এবং তার প্রক্রিয়ার অনুধাবন – এর উপরেই অনেক কিছু নির্ভরশীল। কিন্তু এখানে তো তা নয়, এখানে হাতের কাছেই লেখাদুটো আছে। চাইলেই ঝপ করে পড়ে নিতে পারেন। নাও পড়তে পারেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে মতামতটা কীসের ভিত্তিতে? আখ্যান ছেড়ে, স্রেফ দু’খানা চিঠি পড়ে?

    যাঁরা কষ্টটা করেছেন, এবং তারপরও আমার মতের উল্টোদিকে, তাঁদের মতামত নিয়ে অবশ্য কিচ্ছু বলার নেই। সবই পর্যবেক্ষণ এবং মনে হওয়া, ফলে উল্টোটাও মনে হতেই পারে। কিন্তু তার পরেও যেটা নিয়ে বলার থাকে, তা হল, লেখা নিয়ে এঁরা কিচ্ছু বলছেন না। শুধু চুরিবিষয়ক মন্তব্য বা খণ্ডন। এছাড়া লেখা বিষয়ক কোনো আলোচনা নেই। অথচ, আলোচনা-সমালোচনা, প্রয়োজনে লেখাবিষয়ক গালাগাল, লেখার স্বার্থেই এগুলো দরকার। লেখককে ব্যক্তিগতভাবে আঘাত করা খুবই অনুচিত, কিন্তু লেখার নির্মম সমালোচনা তো দরকার। সেটা হচ্ছে না। সেটা একটা বিরাট সমস্যা। কিন্তু তার চেয়েও বেশি সমস্যাজনক হল, এর বাইরে বিপুলসংখ্যক একটা সংখ্যার মানুষ আছেন, যাঁরা এই পড়ার কষ্টটাও করছেন না, কিন্তু কিছু একটা মতামত তৈরি করে সজোরে ঘোষণা করছেন। ফলত সমালোচনার ক্ষেত্রটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, লেখার চেয়েও বেশি সঙ্কটময়। একদল লোক, মূল লেখা পড়ছেন না, কেবল টীকা পড়ছেন – টীকা বা টীকার স্ক্রিনশট। শুধু এই লেখা নয়, কোথাও কোনো বিষয়েই টীকার স্ক্রিনশট ছাড়া আর কিছু পড়ছেন না। এবং তারপর তার ভিত্তিতেই তাঁরা নির্ধারণ করে ফেলছেন, কে চোর, কে নয়। বাইরে বৃষ্টি পড়ছে, নাকি পড়ছে না। অমুক ডাইনি, নাকি নয়। অমুক ধর্ষক, নাকি নয় (সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের একটা গপ্পের স্ক্রিনশট নিয়ে নানা কাণ্ড হয়েছিল, অনেকেই মনে করতে পারবেন)। তারপর দলবদ্ধ মতামত-প্রকাশ ‘ট্রেন্ড’ হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। আর আমরা নিরাপদে বাস করছি আমাদের স্ক্রিনশট সভ্যতায়, যেখানে টেক্সট নয় – মানেবই-ই সত্য, সমালোচনা নয় – ডাইনিসন্ধানই মোক্ষ, বিষয়বস্তু নয় – ট্রেন্ডই ঈশ্বর। কারণ, এর বাইরে আর কিছু চোখে পড়ে না।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ০৫ ডিসেম্বর ২০২১ | ৩০৬৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 45.95.98.48 | ০৫ ডিসেম্বর ২০২১ ১০:০৭501747
  • সামারিঃ এনি পাবলিসিটি ইজ গুড পাবলিসিটি। 
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৫ ডিসেম্বর ২০২১ ১০:০৯501748
  • ফেসবুকে এই ব্যাপারটা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে এখানে খাপ ওখানে খাপ বসছে শুনছি, মাঝে মাঝে চোখেও পড়ে যাচ্ছে। কিছু লোকে নিজেদের ওয়ালে নানারকম গুরুগম্ভীর পোস্ট দিচ্ছেন আর সঙ্গে সঙ্গে সেসব পোস্টের কমেন্টে কমেন্টে শুরু হয়ে যাচ্ছে যাত্রার শাখাপ্রশাখা।
  • :|: | 174.251.169.106 | ০৫ ডিসেম্বর ২০২১ ১১:১৭501752
  • কি যে উপকার করলেন! কী বলবো! একজন শারদীয়া আবাপ পিডিফ পাঠিয়েছিলেন। খরগোশ আর মারুবেহাগ নামটাই এমন বিচিত্র যে শুরু করবো কিনা ডিসিশন নিতে পারছিলুম না। আপনার এই লেখাটা সব দ্বিধা থেকে এক ঝটকায় মুক্তি দিলো। অনেকটা সময় বাঁচিয়ে দিলো। ধন্যবাদ! 
  • !! | 103.76.82.231 | ০৫ ডিসেম্বর ২০২১ ১৫:১২501765
  • জাদুকর ম্যানড্রেক অমর চিত্রকথায় ছিল পড়ে হুব্বা হয়ে গেলাম। ইন্দ্রজাল কমিকস, ডায়মন্ড কমিকস, কিং ফিশার  এসবের নাম মনে পড়েনি বলে অমর চিত্র কথা লিখে দেবে?
     
    জাদুকর চরিত্র নিয়ে আজ অবধি কি কি গল্প উপন্যাস লেখা হয়েছে - সেটাও একটা ভালো অনুশীলনী।
     
    ভালো কথা ম্যাজিক আর্কাইভ কিছু হয়েছে ওয়েবে? নানান ম্যাজিক আর তা দেখানোর উপায় শেখানো? এটা অডিও ভিশুয়াল ডেমনস্ট্রেশন সহ টেকস্ট ও ছবিসব করা যায়। বাংলা পত্র পত্রিকায় বহুদিন থেকেই কিন্তু ম্যাজিক শেখানো বা ম্যাজিক নিয়ে প্রবন্ধ লেখা হচ্ছে। গাদা ম্যাজিক শেখানোর বই ও আছে। সেগুলো কালেক্ট করা যায়। এখান থেকে একটা লিস্টিং হয়।
     
    বাঙালী অবাঙালী ম্যাজিশিয়ানদের পরিচিতি ও জীবনীতথ্যের আকরও কি সেভাবে কোথাও আছে? 
     
    লেখাটা নিয়ে কিছুই বলার নেই। স্বভাবতই চার লাইনের বক্তব্য, (ট্যুইট) কে বাড়িয়ে কম্পোজিশন (ফেসবুক পোস্ট) বানানো হয়েছে।
  • বিপ্লব রহমান | ০৫ ডিসেম্বর ২০২১ ১৫:৩৬501767
  • "তারপর দলবদ্ধ মতামত-প্রকাশ ‘ট্রেন্ড’ হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। আর আমরা নিরাপদে বাস করছি আমাদের স্ক্রিনশট সভ্যতায়, যেখানে টেক্সট নয় – মানেবই-ই সত্য, সমালোচনা নয় – ডাইনিসন্ধানই মোক্ষ, বিষয়বস্তু নয় – ট্রেন্ডই ঈশ্বর। কারণ, এর বাইরে আর কিছু চোখে পড়ে না।"
     
    হা ঈশ্বর! আমাকে বরং মুক ও বধির করে দাও, আমি আর নিতে পারছি না :/ 
  • আফতাব | 2409:4061:2d12:4634::e28a:1f0f | ০৫ ডিসেম্বর ২০২১ ১৮:৫৬501772
  • পরের টপিক টা নিয়েও লেখার অনুরোধ রাখলাম ।
    টপিক টা হল - ' সাহিত্যের হুজ হু '
  • ঝর্না বিশ্বাস | ০৫ ডিসেম্বর ২০২১ ২০:১১501777
  • কে কার থেকে লিখছে্ন বা অনুপ্রেরণা পেয়েছেন এই ব্যাপারটা সত্যিই আজকাল লোকে চেপে যায়...সেদিন ডক্টর সৌমিক দাসের "ডেলিভারি বয়" গানটির প্রায় কপি বললেই ঠিক হয় অমন একটা কবিতা একজন পোস্ট করলেন। ওপরে বড় বড় করে তাঁর নাম...কিন্তু কোথাও মূল সৃষ্টি কর্তার নাম উল্ল্যেখ করা নেই। এসব দেখে সেই গানটারই ভিডিও দিলাম। পরে দেখলাম সেই পোস্টটি ডিলিট হয়ে গেল,নতুন পোস্টে আবার সেই লেখা তবে এখন সৌমিক দাসের নাম একদম কবিতার শেষে।.. যাহোক নাম তো এলো দেখে ভালোলাগলো। আমিও একচোট ধন্যবাদ দিলাম। 
  • Pall Lobe | ০৬ ডিসেম্বর ২০২১ ০৪:৩১501796
  • হক কথা 
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৬ ডিসেম্বর ২০২১ ০৪:৪৭501797
  • বাঙালী ম্যাজিশিয়ান বলতে কেবল তো শুধু সরকারদের কথা শুনি, বিশেষ করে জাপানে ম্যাজিক দেখাতে গিয়ে জাদুকর পিতার মৃত্যু ও জাদুকর পুত্রের দ্বারা সেই ম্যাজিক দেখানো সম্পূর্ণ করা। আরো নানা গল্প, সিংহের বাচ্চা নিয়ে বেড়াতে বেরোনো, পোষা হাতিকে স্নান করানো --এইসব। কিন্তু অন্যান্য বাঙালি জাদুকরদের নিয়ে প্রায় কিছুই শুনিনা। একবার এই জুনিয়র পি সি সরকারেরই এক লেখায় জাদুকরদের গ্রামের কথা শুনেছিলাম, সেখানে প্রায় সকলেই জাদু দেখাতে পারেন। অথচ অনেকেই খুব দরিদ্র ও অসুস্থ। কেজানে ওই লেখা প্রকাশের পরে হয়তো সরকারী সাহায্য কিছু পেয়েছেন তাঁরা।
    বাঙালি জাদুকরদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে বিস্তারিত গবেষণাধর্মী কাজ হওয়া খুবই দরকার।
  • b | 14.139.196.16 | ০৬ ডিসেম্বর ২০২১ ১০:৫৭501801
  • কেন আছেতো ।গনপতি চক্রবর্তী,  আমাদের অকৃব , (বড় ) পি সি সরকারের  ভাই এ সি সরকার (ইনি সন্দেশে লিখতেন ) , এনারা সবাই হুদো হুদো  ম্যাজিশিয়ান । 
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:০১501885
  • এ সি সরকারের নাম শুনেছি। উনিও সেই সরকারদেরই তো। এঁদের বাইরে জনপ্রিয় জাদুকরদের সেরকম নাম শুনি না। এটা কি প্রচারের অভাবে? নাকি অন্য কোনো কারণ? গান ইত্যাদির জন্য যেমন নামকরা শিল্পীদের প্রচুর দক্ষিণা কবুল করে নিয়ে যাওয়া হয় গাঁ মফস্বলের অনুষ্ঠানে, জাদুর ক্ষেত্রে সেরকম হয় কি?
  • | ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ ০৯:৩৮501889
  • আচ্ছা এই প্রসঙ্গে বলে যাই সন্দীপনের ওই লেখা নিয়ে আমি রিমি আর হুচি তোমার সাথে তর্ক করছিলাম,  তখন তুমি জিগ্যেস করেছিলে আমি পুরোটা পড়েছি কিনা। তখন পড়া ছিল না বলেওছিলাম সেকথা। এর পরে যোগাড় করে পুরওটাই পড়েছি। আরো যা যা ছিল বইতে সবই। 
    আর পড়ার পরে 'ওয়াক এবং থু' উপলব্ধিটা আরো শক্ত হয়েছে।
  • একক | ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:৪৭501898
  • দুটো আলাদা সেট কে কম্পেয়ার করতে গেলে এওয়ান ভারসাস এটু,  বি ওয়ান ভারসাস বি টু এভাবে তুলনা হয়। 
     
    এখানে লেখক যা করেচেন, তা হল : আরে এ ওয়ান?  সে ত সি ওয়ান এর সঙ্গে ও মেলে। বি ওয়ান?  ওরকম ত ই ওয়ান ডি ওয়ানে ও আচে। 
     
    এর ফলে,  দু টো সেটের মধ্যে কত গুলো সিকোয়েন্স মেলে,  এক সঙ্গে এতগুলো সিকোয়েন্স মেলা আদৌ কো ইন্সিডেন্স হতে পারে কিনা সেই তর্কটাই দাঁড়ায় নি। 
     
    সাহিত্যগুন ইত্যাদি ত এই প্রেক্ষিতের বিষয় নয়। বিষয় হল, প্লটের ক্যারেক্টর ও ইভেন্ট ধরে কতটা মিল আচে বা নেই। 
     
    আর হ্যাঁ, কনিষ্কর গপ্পটা পড়া।  শ্রীজাত র টা টান্তে পাড়িনি।  সেদিক দিয়ে লেখকের ধইজ্জ্যের প্রশংসা করি। খুপি চাপের কেস ঃ((
  • HH | 202.94.70.60 | ১৩ ডিসেম্বর ২০২১ ১৮:৩৩502061
  • কিন্তু এই পল্লবগ্রাহিতা ব্যাপারটা গুরুচন্ডালির নানা লেখাতেও দেখি। যেমন বাংলাদেশের মন্ত্রী মুরাদ মাসদুয়েক আগে "রাষ্ট্রধর্ম" না রাখা বিষয়ে একটা আলগা কথা বললেন — তাই নিয়ে হাসিনা-কে ধন্য ধন্য করে গুরুচন্ডালি লেখা প্রকাশ করে ফেললো — ওটা যে স্রেফ ভাঁওতা, আওয়ামী লীগ -এর সরকারের সেরকম কিছু করার কোনো অভিপ্রায়ই নেই, সেটা লেখক বাংলাদেশ সম্বন্ধে খুব সুপারফিশিয়ালি জানেন (সম্ভবত), তাই বোঝেন নি, কিন্তু গুরুচন্ডালির এইভাবে নিখরচায় আওয়ামী লীগের ঢপবাজির পাবলিক রিলেশন করার আগে একটু ভাবা উচিত ছিল।
  • Neptune_Plato | 180.149.235.185 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৮:১১504153
  • Yes...even Jean D Arc was e ecuted as a witch...
    That's our civilisation.. 
     
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন