এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  কাঁটাতার

  • ৫০ বছরে বাংলাদেশ যা পারে, ভারত পাকিস্তান এবং পশ্চিমবঙ্গ ৭৫ বছরে তা কেন পারে না?

    ইমানুল হক
    পড়াবই | কাঁটাতার | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১৫৯২৯ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৯ জন)
  • ১৯৪৭ উত্তর ভারতবর্ষ জন্ম দিয়েছিল নতুন কিছু শব্দবন্ধের। এই প্রবীণরা কখনও স্বাধীনতা বলেননি, বলেছেন পার্টিশন, তৃতীয় বিশ্বের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে যে শব্দ ভারতের অবদান। পার্টিশনের হাত ধরে এসেছে উদ্বাস্তু। রিফিউজি কলোনি। তারও পরে এসেছে অনুপ্রবেশ। বসেছে কাঁটাতার। এসেছে এনআরসি, নতুন নাগরিকত্ব আইন। শুরু হয়েছে "বৈধ-অবৈধ" বিচার। শোনা যাচ্ছে, নতুন শব্দবন্ধ, "অবৈধ অনুপ্রবেশ"। যাঁরা বিচার করছেন, তাঁদের বিচার কে করে। এসব শব্দের, আখ্যানের জন্ম হচ্ছে প্রতিনিয়ত। দেশভাগের এই আদি পাপ, মুছে দেবার আপ্রাণ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, এভাবেই থেকে গেছে বেদনায়, ভাষায়, আখ্যানে। থেকে গেছে, এবং এখনও যাচ্ছে। সেই আখ্যানসমূহের সামান্য কিছু অংশ, থাকল পড়াবই এর 'কাঁটাতার্' বিভাগের দ্বিতীয় সংখ্যায়।


    লেখা।

    দু অক্ষরের শব্দ।
    কিন্তু ব্যাপ্তি বিশাল।
    লেখার কোনো মূল্য নেই যদি না তাতে দর্শন থাকে। দর্শন মানে ভিন্ন চোখে দেখা ও একটি জীবন দর্শন। যে জীবন দর্শন না দেখাকে দেখতে বলে, অথবা দেখাকে ভিন্ন চোখে দেখতে শেখায়।

    অমল সরকার পেশায় সাংবাদিক, নেশায় জীবনপড়ুয়া।
    তিন দশকের বেশি সাংবাদিক জীবন। রাজনীতি অর্থনীতি সমাজের গভীরে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। ভারতের দুই তৃতীয়াংশ রাজ্য নির্বাচন ইত্যাদি কাজে গেছেন। গেছেন একাধিকবার বাংলাদেশ। পাকিস্তানে যান নি। কিন্তু পাকিস্তান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন মনস্ক ভাবে।

    অমল সরকার একটা বই লিখেছেন, আমার দেশ আমার দ্যাশ
    দেশভাগ ও পরবর্তী কুফল সুফল-- দুই আছে তাঁর আলোচনায়। ভারত পাকিস্তান বাংলাদেশ এবং অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গ আছে তার আলোচনায়।

    স্বাধীনতার পরও পশ্চিমবঙ্গ শিল্প, শিক্ষা  ও কর্মসংস্থানে অন্য অনেক রাজ্যের চেয়ে এগিয়েছিল। পিছিয়ে পড়ল। কেন? মূলত, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি। যে সরকারই দিল্লিতে এসেছে, কংগ্রেস, জনতা বা বিজেপি-- কেউই পশ্চিমবঙ্গের ভালো চায় নি। মাশুল সমীকরণ নীতি, লাইসেন্স দিতে গড়িমসি, প্রাপ্য টাকা না দেওয়া, ভারি শিল্প দুর্গাপুর ছাড়া আর কোথাও সেভাবে না গড়া, পশ্চিমবঙ্গের কয়লা দূরে গেলে সস্তা হবে, আর তুলো দূর থেকে পশ্চিমবঙ্গে আনলে দামি হবে-- এইসব কারণে পশ্চিমবঙ্গ মার খেয়েছে। এটা শুধু শ্রমিক অসন্তোষ বা বাম আন্দোলনের দায় নয়। শুধু ৩৪ বছরকে দোষ দেওয়া ঠিকনয়,মনে করেন লেখক।

    আর রাজ্যের যে-সব নেতারা কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী হয়েছেন তাঁদের মধ্যে গণি খান চৌধুরী, অজিত পাঁজা ও  মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া রাজ্যের জন্য কেউ তেমন কাজ করেন নি। এবং আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  ছাড়া বাকি দলের বড় নেতারা সর্বভারতীয় হতে চেয়ে গায়ে যাতে বাঙালি ও প্রাদেশিক ছাপ না লাগে তার দিকে নজর  রাখতে গিয়ে বাংলার ক্ষতি করেছেন। ১৯৭৭-১৯৮৬ বামফ্রন্ট বিশেষত, অশোক মিত্র বাংলার তপথা রাজ্যের অধিকারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। তিনি সরকার ছাড়লেন।পরে কম্ল। ১৮৮৪-এ ন্তুন শিল্পনীতি। নতুন ভাবনা।

    অশোক মিত্র পশ্চিমবঙ্গকে বঞ্চনার জন্য যাঁর বিরুদ্ধে সবচেয়ে সরব  ছিলেন, সেই প্রণব মুখার্জি রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। কিন্তু তিনিই তো আটকে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের টাকা, প্রক্রিয়া। গুজরাট ও রিলায়েন্সের স্বার্থে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসের লাইসেন্স প্রাপ্তি ২০ বছর আটকে রেখেছিল কে এবং কারা? কটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন রাজ্যের প্রভাবশালী কংগ্রেস বা বিজেপি নেতারা-- নিজের এলাকায়। পশ্চিমবঙ্গের একটা নেতিবাচক প্রবণতা হল, প্রাকৃতিক বিপর্যয় অন্য রাজ্যে সব দল কেন্দ্রীয় সহযোগিতা চেয়ে দিল্লিতে দরবার করে। এ-রাজ্যে সরকারি দলকে বিপদে ফেলতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে থাকা দল সবসময়ই বিরোধিতা করে। বলে, টাকা দিও না।

    রণজিৎ রায়ের পর সাংবাদিক  অমল সরকার বই লিখে চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছেন, কীভাবে বাংলা বঞ্চিত। অশোক মিত্র, তপন মিত্র, অশোক দাশগুপ্তরাও বাংলার বঞ্চনা নিয়ে লিখেছেন। অমল সরকার একটা আস্ত বই লিখে ফেলেছেন বাংলার বঞ্চনা নিয়ে।

    তিনি দেখিয়েছেন, ১৯৭৭ এর অবস্থা থেকে বামফ্রন্ট সরকার অনেকটা এগিয়েছিল রাজ্যকে। কিন্তু অসীম দাশগুপ্তের ঘাটতি শূন্য বাজেট নীতি, দিল্লিতে বছর বছর টাকা ফেরৎ যাওয়া, এই খাতের টাকা ওই খাতে খরচ করা, বেতন পেনশন ও ঋণশোধে  সিংহভাগ ব্যয়, কেন্দ্র থেকে প্রাপ্য ঠিক মতো ও সময়ে না পাওয়া, ভোটের ভয়ে কর না বসানো, বিক্রয়কর আদায়ে ঢিলেঢালা ভাব, কেন্দ্রীয় বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ কম আসা, সর্বোপরি স্থিতবস্থার রাজনীতি -- রাজ্যের উন্নয়নের বাধা।  ২০১৩ তে একটা আন্তর্জাতিক সমীক্ষা হয়, তাতে ৮১টি বিষয়ে তুলনামূলক বিচার করে ভারতের ৩৪ টি রাজ্যের একটা পর্যায়ক্রম করা হয়। তাতে পশ্চিমবঙ্গের স্থান দাঁড়ায় ২১।

    ২০১১ তেও তাই ছিল। তবে ২০২০তে অনেক  এগিয়েছে রাজ্য। লেখক জানাচ্ছেন, 'ইন্ডিয়া টুডে'-র সমীক্ষা অনুযায়ী বেস্ট পারফরমিং স্টেটের বিচারে পশ্চিমবঙ্গের স্থান এখন ১০। এবং বেস্ট ইমপ্রুভড স্টেটের বিচারে চতুর্থ। 

    বইটিতে অজস্র তথ্য, পরিসংখ্যান আছে। আগ্রহী পাঠক দেখতে পারেন। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক মানদণ্ডের বিচিত্র পরিসংখ্যান মিলবে  বইয়ে।

    লেখক লিখেছেন: বর্তমানকে জানতে, বুঝতে সুদূর এবং নিকট দুই অতীতকেই জানা জরুরি। সেই জানতে ও জানাতে লিখেছেন আটটি লেখা। এক জাতি, দুই দেশ, ধর্মনিরপেক্ষতা-স্বাধিকার-সাম্য এবং বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু ও রক্তাক্ত বাংলা, অনুপ্রবেশ-তোষণ-এনআরসি-সিএএ এবং বিভাজনের রাজনীতি, বাংলা-বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ, সোনার বাংলা ও এক বাবা ও মেয়ের কাহিনি, সোনার বাংলা সোনার পাথরবাটি, বাংলাদেশ: আমরা যা শিখতে পারি ।

    অমল সরকারের পূর্বপুরুষ পূর্ব বঙ্গের মানুষ। দেশভাগের আগেই চলে আসা। এই ধরনের পরিবারের সদস্যদের লেখায় অনেক সময় নস্টালজিয়া বা হা-হুতাশ বড় হয়ে দেখা দেয়। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে।

    কিন্তু অমল সরকার এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমের ব্যতিক্রমী।

    দেশভাগের পর পশ্চিমবঙ্গ ৭৫ বছর পার করল। আর বাংলাদেশ দুটো দেশভাগ দেখেছে। দ্বিতীয় দফায় তারা সম্পূর্ণ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। নতুন রাষ্ট্র। সমস্যা লাখ লাখ। কারখানা নেই তেমন। ভারি শিল্প নেই। বিপুল খনিজসম্পদ নেই। সোনার ভাণ্ডার নেই। বিদেশি মুদ্রা আসে দান হিসেবে। সেই দেশ  বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন, আত্মত্যাগ ও তাঁর কন্যার শাসনকালে এবং সবচেয়ে বড় সম্পদ মানবসম্পদ নিয়ে কীভাবে এশিয়ার সবচেয়ে বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি হারের দেশ হয়ে উঠল -- এটা দেখিয়েছেন অমল সরকার।

    দু পাড়েই বাংলা ও বাঙালি।
    বাংলাদেশ পারল পশ্চিমবঙ্গ  কেন পারল না?
    জানতে বুঝতে পড়তে হবে 'আমার দেশ আমার দ্যাশ'।

    ভারতের উন্নতি কেন থেমে গেল? পাকিস্তানে কেন মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্ম হল না, আর মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ না ঘটলে বাজার ও শিল্পের বিকাশ ঘটে না।
    অর্থনৈতিক উন্নয়ন অসম্ভব। দেখিয়েছেন অমল সরকার।
    বাংলাদেশ যে যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তানে। বঞ্চনা, অবকাঠামো, অনুন্নয়ন, বিমাতৃসুলভ মনোভাব-- সবকটির শিকার ভারতে পশ্চিমবঙ্গ।
    তাহলে পূর্ব পাকিস্তান  কেন পূর্ব বঙ্গ থেকে বাংলাদেশ হতে পারল?
    কারণ তাঁরা মেনে নেয় নি, এবং মনে নেয় নি।

    পশ্চিমবঙ্গের নেতাদের বড় অংশ দিল্লির কাছে সর্বভারতীয় হয়ে ওঠার দায় দেখাতে হয়েছে। ফলে বিধানচন্দ্র রায় থেকে জ্যোতি বসু বঞ্চনার কথা বলেও চুপ করে আপোস করতে হয়েছে।

    মুজিবুর রহমান 'বঙ্গবন্ধু' হয়ে ওঠার আগেই ছয় দফা দাবি তোলেন। তোলেন পূর্ববঙ্গের নিজস্ব মুদ্রা, মুদ্রাভাণ্ডার ও  নিজস্ব রিজার্ভ ব্যাংকের কথা। কেন্দ্রীয় সরকারের কেন অর্থমন্ত্রী থাকবে? এগুলো তো থাকবে প্রাদেশিক সরকারের হাতে। সোভিয়েত ইউনিয়নে তো তাই হয়েছে। তাই উন্নতি করতে পেরেছে। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন মুজিবুর রহমান। অমল সরকার মুজিবুর রহমানের সংসদ ভাষণ, ছয় দফার দাবি অনুপুঙ্খভাবে তুলে এনে দেখিয়েছেন পূর্ব বঙ্গ কীভাবে বঞ্চিত।

    'আমার দেশ আমার দ্যাশ' বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা ২৭২।
    লেখা মাত্র  আটটি। কিন্তু প্রতিটি লেখায় অজস্র উপপ্রসঙ্গ, স্মৃতিচারণ, অভিজ্ঞতা, পাঠ, মত বিনিময়, রাজনৈতিক বিশ্লেষণ, সমাজদর্শন, ভিন্নতর বীক্ষা ও দিশার বিপুল হদিস মিলবে। এই বইয়ের সব লেখার সঙ্গে আপনি একমত নাও হতে পারেন, বিশেষ করে, আপনার নিজের মত তৈরি থাকলে তো বটেই, কিন্তু বইটি পাঠ শেষ করে আপনাকে ভাবতে হবে-- আগের ভাবনায় কতটা দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেন। বা পারা উচিত নাকি আরেকবার পড়তে শুরু করবেন তর্ক করবেন বা তুলবেন বলে। এ বই তর্ক তোলার, তর্ক থামানোর নয়।

    বইটির উৎসর্গ পত্রে নাম আছে রণজিৎ রায়, দেবাশিস ভট্টাচার্য, পরিমল সরকারের।

    রণজিৎ রায় অতীতের নামী সাংবাদিক। পশ্চিমবাংলা কীভাবে বঞ্চিত হচ্ছে দিল্লির মসনদীদের হাতে, ধ্বংসের পথে বাংলা, বলে জানিয়েছিলেন তিনি। মাশুল সমীকরণ নীতি, লাইসেন্স রাজ, পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেশি টাকা নিয়ে গিয়ে কম টাকা ফেরৎ দেওয়া, বিমাতাসুলভ আচরণ-- অনুপুঙ্খভাবে দেখিয়ে দিয়েছিলেন রণজিৎ রায়। বাঙালি তাঁকে মনে রাখে নি। একদিন দিল্লির বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন। আর কোনো খবর পাওয়া পায় নি। তিনি স্মৃতিভ্রষ্ট না বাঙালি-- প্রশ্ন ওঠে। রণজিৎ রায়ের উত্তরসূরী হিসেবে কাজ করেছেন অনেকটাই অমল সরকার। যদিও আরো অনেক তথ্য দরকার। আরো বিস্তারিত আলোচনা। এই বিষয়ে আরেকটি পৃথক বই লেখার দাবি রইল।

    সাংবাদিকতার বিশ্বকোষ দেবাশিস ভট্টাচার্য। অমল সরকার এবং দুজনেই তাঁর সহকর্মী ছিলাম। তখন এবং পরে বহু বিষয়ে তিনি দিক নির্দেশনা দেন। এই বইয়ে দেবাশিস ভট্টাচার্যের সহকর্মের ও সহমর্মের পরিচয় কিছুটা মিলবে।।

    বইয়ের প্রথম লেখা শুরু স্মৃতিচারণ দিয়ে। উদ্বাস্তু কলোনির অভিজ্ঞতা। কিন্তু এখানে চোরা মুসলিম বিদ্বেষ নেই। দেশভাগ নিয়ে বহু লেখাতেই যা অনিবার্য বিষয়।
    ভালভভরা রেডিও ছিল কলোনির প্রধান আকর্ষণ। পাকা বাড়ি বলতে স্কুল। সালমান রুশদির  'স্যাটানিক ভার্সেস' এবং 'হ্যারি পটার'-এর প্রকাশক রিচার্ড চারকিন ঢাকা ক্লাবে এক সকালের প্রাতরাশে বলেছিলেন, উদ্বাস্তু কোনো দেশের বিপদ নয়, দেশের সম্পদ।
    তাঁরা নতুন বসতির উন্নয়ন ও দেশের অগ্রগতিতে যথেষ্ট সহায়তা করেন।
    ইউরোপ থেকে শুরু করে সব দেশের ক্ষেত্রেই এটা সত্য।
    আমাদের বাংলায় শিক্ষা সংস্কৃতির বিকাশে উদ্বাস্তু পরিবারের সদস্যদের ভূমিকা অপরিসীম।
    যেকোনো কলোনি এলাকা দেখবেন, বিদ্যালয় পাবেন একাধিক। নাটক খেলার সংস্থাও চলে জোর কদমে।
    এবং এঁরা এটা করে থাকেন মানসিক শক্তির জোরে।

    নিজের মায়ের উদাহরণ দিয়েছেন লেখক। আজকের দিনে 'সমাদৃত' কেন্দ্রীয় বাহিনী পুলিশের সহযোগিতায় নকশাল আন্দোলনের সময় ঘর থেকে যুবকদের রাতে তুলে নিয়ে যেত। এঁরা অনেকেই ফিরতেন না।
    মেজদার খাতায় লেখা ছিল কেমিস্ট্রির ফর্মুলা, তাকে বোমা বানানোর ফর্মুলা ধরে তরুণ সুবিমল সরকারকে ধরে নিয়ে যাবে উল্লসিত বাহিনী। শিকার পাওয়া গেছে।
    মায়ের অসাধারণ সাহস আর জেদের কাছে হার মানতে হয়।

    এই উদ্বাস্তু কলোনির কাছে মুক্তিযুদ্ধ এক নতুন বার্তা নিয়ে আসে। ঘরে ঘরে উচ্চারিত হয় মুজিবুর রহমানের নাম।
    তারপর বাংলাদেশ ও ভারতে পরিবর্তন এল। মুজিবুর রহমান নিহত হলেন।
    ইন্দিরা গান্ধী পরাজিত হলেন ভারতে।
    কলেজ বা বিভিন্ন বাড়ির দেওয়ালগুলো উঠল রাজনীতি ও অর্থনীতির বুলেটিন। দেওয়াল লিখন তখন নিছক ভোট দিন আর সম্মেলন সমাবেশের বিজ্ঞপ্তিতে পরিণত হয় নি‌।

    কেন্দ্র রাজ্যের পুনর্বিন্যাসের দাবিতে রাজ্যে গড়ে উঠল আন্দোলন। জ্যোতি বসু  প্রমোদ দাশগুপ্ত অশোক মিত্র তাকে অন্য ভাষা দিলেন। জ্যোতি বসু বললেন, খানিকটা যেন মুজিবের স্বরেই, কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে টাকা ছাপানোর মেশিন আছে। ওদের যখন ইচ্ছে টাকা ছাপিয়ে নেয়। রাজ্য সরকারকে ভাগ দেয় না। আর রাজ্য সরকারের হাতে টাকা ছাপানোর মেশিনও নেই।'
    স্বর আরেকটু উঁচু পর্দায় যেতে পারত। গেলে দেশের মঙ্গল হতো। গেল না। কারণ সর্বভারতীয় হতে চাওয়ার দায়।

    অমল সরকার লিখেছেন: কংগ্রেস, বিজেপি যখন যে দল ক্ষমতায় থেকেছে, রাজ্যগুলিকে শোষণ করেছে। রাজ্যগুলিকে একদিকে রাজস্বের ভাগ কমিয়ে দিয়ে বাজার থেকে ঋণ নেওয়ার সীমা স্থির করে দেওয়ার পাশাপাশি নানা শর্ত চাপিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার যে হাজার হাজার কোটি টাকা ( এখন লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা; গত সাত বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের ঋণ বেড়েছে ৪৯ লাখ কোটি থেকে বেড়ে এক কোটি দুই লাখ  কোটি টাকা)  ঋণ নিচ্ছে তা নিয়ে জবাবদিহির বালাই নেই।

    রেডিওর সামনে সত্তর দশকে মুজিবুর রহমানের কথা শুনে লেখকের মনে পড়েছে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর বীরত্বের কথা। 
    সাংবাদিকতা করতে এসে আরো বেশি করে চেনেন বাংলাদেশকে, এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে এ-দেশের মানুষের অজ্ঞতা ও নির্দিষ্ট ধারণা কে।
    যে ধারণা আসলে অনুকম্পা এবং বিদ্বেষজাত । তার বাইরে যে বাংলাদেশ, আসল বাংলাদেশ-- তাকে ছুঁতে পারেন এক বাংলাদেশি সাংবাদিকের কথায়:
    'আপনি ক্যাবল ইসসা লন।' আপনি কেবল ইচ্ছা করুন। থাকা খাওয়া ফ্রি।  অতিথি হয়ে থাকবেন।

    বাংলাদেশের পাশাপাশি এসেছে এই বাংলার কথা।
    সত্তর দশকে বামফ্রন্টের নেতৃত্বে মাতৃভাষায় শিক্ষাদান আন্দোলন নয়ের দশকের শেষে উল্টোপথে হাঁটতে থাকে। প্রতিক্রিয়ায় জন্ম নেয় 'ভাষা ও চেতনা সমিতি'। অশোক মিত্রসহ বহু প্রতিষ্ঠিত বামপন্থী বুদ্ধিজীবী বামফ্রন্ট সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই সরব হলেন। বাংলা ভাষা আন্দোলন গড়ে উঠল। সারাদিন নববর্ষ উৎসব, সারা বাংলা ভাষা উৎসব পালন শুরু হল। এরপর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে 'ভাষা শহিদ স্মারক সমিতি' ও অশোক দাশগুপ্তের নেতৃত্বে 'নবজাগরণ'। কলকাতায় হল বাংলায় নামফলক লেখা অভিযান।

    এর আগেই নয়ের দশকের শুরুতেই পশ্চিমবঙ্গ দেখেছে অযোধ্যায় বাঙালি করসেবক, ইটপূজা। আর লেখক তখনকার অতি শক্তিশালী বিশ্বহিন্দু পরিষদ নেতা অশোক সিঙ্ঘলের মুখে শুনেছেন ভিন্নকথা: আমি তো শুনেছি বাঙালিরা ভগবানে বিশ্বাসী নয়। বাংলা দেখেছে রামনারায়ণ রাম থেকে বাম, রাম সত্য হ্যায়, শুনেছে জয় শ্রীরাম।

    এর পটভূমি যে তৈরি ছিলি তার একাধিক উদাহরণ দিয়েছেন লেখক।
    মুসলিম বৃদ্ধসহ মুসলিমরা  ভোট দিচ্ছেন ১৯৯৮-এ দমদম কেন্দ্রে পদ্মের পক্ষে, আসলে সিপিএমের বিরুদ্ধে-- বাবরি মসজিদ ওখানে ভেঙেছে এখানে তো মসজিদ ভাঙেনি।

    দ্বিতীয় উদাহরণ ট্রেনের। ১৯৯৪-এর।
    নৈহাটি লোকালে দুই তরুণীকে বিরক্ত করছে কিছু অবাঙালি তরুণ। যাত্রীদের কারো কারো প্রতিক্রিয়া: এদের ঘাড় ধরে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত'। কথাকাটাকাটি। গণধোলাইয়ের জোগাড়। তখন তরুণরা বলে উঠল, 'আপলোগ কেয়া সোচতে হ্যায়, হামভি হিন্দু হ্যায়'।
    'বদলে গেল পরিবেশ। ছেড়ে দিন ছেড়ে দিন। এসব বয়সকালের অসুখ।' একটু আগেই তরুণদের মুসলিম ভেবে পাকিস্তান পাঠিয়ে দিতে চাওয়া লোকের গলায় ভিন্ন সুর।

    মনোজগৎ বদলেছে আগে। তারপর রাজনীতির দুনিয়া। উপলব্ধি লেখকের। লেখক আক্ষেপ করেছেন:
    লোকসভা উপনির্বাচনে অন্ধ্র থেকে প্রার্থী হলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের নেতা নরসিংহ রাও। অন্ধ্রপ্রদেশে তখন কংগ্রেস বিরোধী এন টি রামা রাও। তিনি বললেন, নরসিংহ রাও তেলেগু জনতার গরিব। আমরা প্রার্থী দেব না। জিতলেন নরসিংহ রাও।
    আর জ্যোতি বসুকে যখন বিজেপি বাদে কংগ্রেসসহ সব বিরোধী দল সাধাসাধি করছে বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ সিপিএম নেতা কেন্দ্রীয় কমিটিতে জ্যোতি বসুকে প্রধানমন্ত্রী হতে না দিতে ভোট দিলেন।

    বিজেপির সদর দপ্তরে সেদিন উল্লাস দেখেছিলেন বহু সাংবাদিক।
    বিজেপির সেই প্রথম কেন্দ্রীয় সরকার গড়া। আজ তাঁরা দেশের প্রধান নিয়ন্ত্রক শক্তি।

    ##

    ভারতের বাংলা ও বাঙালির পিছিয়ে পড়া লেখকের আক্ষেপ ও যন্ত্রণার বিষয়। কলকাতায় বাঙালি সংখ্যালঘু হতে দেখেছেন তিনি, রামমোহন রায়ের গ্রামে দেখেছেন তপশিলি জাতির জন্য শ্মশান আলাদা। 
    লক্ষ্য করেছেন, করাচ্ছেন, ১৯৯১ থেকে ২০০১ থেকে বাংলায় হিন্দু মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপাসনালয়, শনি মন্দির থেকে নানা মন্দির ও মসজিদ দ্বিগুণ বেড়েছে।

    আর এখন তো হনুমান মন্দির ক্রমবর্ধমান।
    বর্ধমান গির্জা ও মসজিদও।

    #

    লেখক ভারতের বাঙালি ও বাংলাদেশের বাঙালিকে পরস্পরের থেকে শিক্ষা নিতে বলছেন।
    পশ্চিমবঙ্গে নকশাল আন্দোলন, বাংলাদেশে বাকশাল--নিয়ে লেখকের সিদ্ধান্ত:
    নকশালবাড়ির রাজনীতির মতো এক সকালে উঠে চলো গ্রামে তাই বলে বিপ্লবের ডাক দিলে বিপ্লব হয় না।
    আবার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরে তাঁরা অর্থনীতি সংস্কৃতি স্বাস্থ্য সমাজকল্যাণে এতোটা এগোল স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও ভারত কেন তা পারল না।
    শিশুদের মৃত্যুহার বাংলাদেশে কম,  প্রসূতি মায়ের মৃত্যু কম, গড় আয়ু বেশি, গড় আয় বেশি-- কেন পারলো বাংলাদেশ।
    ইচ্ছাশক্তি ও মনের জোর এবং সদিচ্ছা এবং নিজস্ব জীবনাদর্শ। যা হারিয়ে যাচ্ছে।

    ###

    'বঙ্গবন্ধু ও রক্তাক্ত বাংলা' অধ্যায়ে লেখক বলেছেন: শেখ মুজিব শুধু রক্তাক্ত বাংলার নায়ক নন, তিনি গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রক্তাক্ত যুগসন্ধিক্ষণের নব নায়ক। নতুন ইতিহাসের নির্মাতা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইতিহাস ও ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে সন্দেহ নেই।

    আবার 'সোনার বাংলা এবং এক বাবা ও মেয়ের কাহিনি' অধ্যায়ে ' ইন্দিরা গান্ধী, বেনজির ভুট্টোদের মতো শেখ হাসিনা মৌলবাদী ও উগ্রপন্থী শক্তির নিশানায় রয়েছেন'  এই মন্তব্য করে লেখক বলেছেন, হাসিনাকে লড়াই করে ক্ষমতায় আসতে হয়েছে বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতে। ইন্দিরা গান্ধীর সরকারি উন্নয়ন ও হাসিনার উন্নয়নের মধ্যে মিল খুঁজে পেয়েছেন তিনি।

    বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার পাশাপাশি ব্যাঙ্ক জাতীয়করণ, খনি জাতীয়করণ একাধিক শিল্পের রাষ্ট্রায়ত্তকরণের মতো সাহসী পদক্ষেপ এই উপমহাদেশের ইতিহাসে তাঁকে চিরস্থায়ী আসন দিয়েছে।
    অন্যদিকে হাসিনার সময় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রগতি বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় ভালো। ভারতের তুলনায় তো যথেষ্ট ভালো। 

    ২০২১ এ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় চলে এসেছে বাংলাদেশ। কেবল ঢাকা নয় তৃণমূল স্তরে উন্নয়ন হয়েছে। গোটা দেশ জুড়ে হাইওয়ে সম্প্রসারণ ঘটেছে, ঢাকা মেট্রোসহ রেলের একাধিক প্রকল্পের সুবাদে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে।
    একের পর এক নদী সেতু নির্মাণ হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ বাড়ছে। মাথাপিছু আয় বাড়ায় চীন, জাপান, আমেরিকা বাংলাদেশের বাজার ধরতে আগ্রহী। 

    উল্টোদিকে পাকিস্তান পিছনে পড়েছে। পিছিয়ে পড়ছে ভারতও। বিশ্বব্যাঙ্ক, ইউএনডিপি, এশিয়ান ডেভেলাপমেন্ট ব্যাঙ্কসহ নানা প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যান বলছে, 'বাংলাদেশ দারিদ্র্য দূরীকরণ, সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক উন্নতির মতো বিষয়গুলিতে উপমহাদেশের অনেক দেশ এমনকী ভারতের থেকেও এগিয়ে।। বাংলাদেশের মহিলাদের আর্থিক স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি পেয়েছে লক্ষ্যণীয় হারে'।

    মায়ানমার থেকে নিপীড়িত অত্যাচারিত ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে নিজের ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন শেখ হাসিনা। 
    রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে স্যানিটারি প্যাড বিতরণের গল্প বলেছেন লেখক। বলেছেন রিলিফ নির্ভর দেশ আজ রিলিফ দিচ্ছে। 

    খোকা ইলিশ তথা জাটকা ধরতে না দেওয়ার হাসিনা সরকারের কঠোর নীতির প্রশংসা করেছেন লেখক। এতে ইলিশ উৎপাদন বেড়েছে। ১৬ হাজার কোটি টাকা আসছে ইলিশ থেকে। সামগ্রিক ভাবে মাছ উৎপাদনে উন্নতি চোখে পড়ার মতো। এর মধ্যে ১২-১৩ শতাংশ  ইংলিশ। প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যান বলছে, 'বাংলাদেশ দারিদ্র্য দূরীকরণ, সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক উন্নতির মতো বিষয়গুলিতে উপমহাদেশের অনেক দেশ এমনকী ভারতের থেকেও এগিয়ে।। বাংলাদেশের মহিলাদের আর্থিক স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি পেয়েছে লক্ষ্যণীয় হারে'।

    ###

    'অনুপ্রবেশ' শব্দটা সত্তর দশকে শোনেননি লেখক। লোকে গর্ব করে বলতেন, বরিশাল আমার দ্যাশ।  ১৯৯০-এর পর শব্দটিকে সুকৌশলে ব্যবহার করা হতো লাগল। ১৯৯৬-এর নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন সক্রিয় হল,নাম বাদ দিতে।লেখক দেখেছেন, বনগাঁ-তে বস্তা বস্তা নাগরিকত্বের  দরখাস্ত। রেশন কার্ড, ছেলে-মেয়ের জন্ম অশক্ষার প্রমাণপত্র। কিন্তু ভোটাধিকার মিলছে না।    ১৯৯৮ থেকে ' অনুপ্রবেশকারী' আর 'শরণার্থী' বলে বাংলাদেশ থেকে আসাদের ধর্মীয় পরিচয় বড় করে তোলা হল। তাতে কেন্দ্রের উপ্প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানি  ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একসুর।
    মতুয়া রাজনীতি, সিএএ--সব বিষয়েই আলোকপাত করেছেন লেখক।

    এসেছে সংখ্যালঘু তোষণের প্রসঙ্গ।লেখক মুজিবুর রহমানের পাকিস্তান সংসদে বক্তৃতা দীর্ঘভাবে উদ্ধৃত করে দেখিয়ে দিয়েছেন,হিন্দু মুসলিমের স্বার্থ অভিন্ন। মানুষ হিসেবে তাঁরা এক। জাতি হিসেবেও। পশ্চিমবঙ্গে 'সংখ্যালঘু তোষণ' চলের কথাটা মিথ--লেখক তথ্যসহ প্রমাণ করেছেন। সরকারি চাকরির ২০ ভাগ মাত্র মেয়ে। তার মধ্যে  মুসলিম মেয়ে অতি নগণ্য। বিজেপি নেতারা অন্য রাজ্যে লক ডাউনের মাঝে রাম মন্দিরের ঘটা করে উদ্বোধন করলেও কোনো রাজনৈতিক দল বা বড় সংবাদমাধ্যম প্রতিবাদ করতে পারে না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে মমতা মুসলিমদের কোনো অনুষ্ঠানে গেলে অনেকেই লাফিয়ে ওঠেন। লেখক বলছেন, এর পিছনে আছে মুসলিমদের নিয়ে অনীহা।

    এবং বহুদিন ধরে চলে আসা পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। লেখকের বক্তব্য, দুর্গাপুজা কালীপূজা ইদ মহরম  কোনো কিছুতেই শুভেচ্ছা জানানো্র রীতি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ছিলনা।এবং মন্দিরে দরগায় যাওয়া। যেটা এখন হচ্ছে। এবং চোখে পড়ছে।  অবশ্যই বামনেতারা ব্যতিক্রম।

    পাকিস্তান নিয়ে অমল সরকারের সাফ কথা মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ নেই। যারা জোতদার তারাই শিল্প-কারখানার মালিক,ব্যাংক বীমার মালিক, তারাই আমদানি-রফতানির মালিক, আবার তারাই সেনাবাহিনী এবং তারাই অসামরিক আমলা।

    ভারতেও সেদিকে আস্তে আস্তে চলে যাচ্ছে।
    এ বই সতর্কতার। এ বই সময়ের। 
    এ বই একজন গবেষক ও সাংবাদিকের।

    কিছু মুদ্রণপ্রমাদ আছে। অল্প পুনরুক্তি আছে। উপেক্ষণীয়। তবু লেখক ও প্রকাশক নজর দিতে পারেন। প্রচ্ছদ, ছাপা,  বাঁধাই ভালো।


    আমার দেশ আমার দ্যাশ
    অমল সরকার
    দে'জ পাবলিশিং, কলকাতা-৭৩
    মুদ্রিত মূল্য - ৩৯৯ টাকা


    বাড়িতে বসে বইটি পেতে হোয়াটসঅ্যাপে বা ফোনে অর্ডার করুন +919330308043 নম্বরে।



    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১৫৯২৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপ | 2402:3a80:1968:dbf0:a517:f65e:9bfd:a178 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ২১:৪০514662
  • বাংলাদেশের অসামান্য অগ্রগতির নমুনা!
    আসলে সাম্প্রদায়িকতা, বিদ্বেষ, জাতিগত ঘৃণা; এই উপমহাদেশে সর্বত্র ছড়িয়ে আছে। এর থেকে কবে মুক্তি আসবে জানিনা! 
     
  • দীপ | 2402:3a80:196c:598:8de1:fdf:e6cb:c04c | ১২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:১৭515199
  • গত পরশু  কতটা ওজন ছিল আমার, কতটা কমিয়েছি কদিনে তা লিখে একটি ছবি পোস্ট করেছি সেদিনের, একটি রেস্টুরেন্টে ডিনার শেষে ছবিটি তোলা, সঙ্গে এক বন্ধু ছিল। এর মধ্যে বেশ কয়েকদিন আমি কমেন্ট বক্স পাবলিক করেছি। তো সেই পোস্টে  কমেন্ট খোলা পেয়ে  জি হা দিরা ঝাঁপিয়ে পড়লো অন্য দিনের মতোই। মূলত মাদ্রাসার ছাত্র আর শিক্ষকরাই কমেন্ট করেছে। কমেন্টগুলো সবই সেক্স বিষয়ক, কজনের  সঙ্গে সেক্স হচ্ছে, কতবার হচ্ছে, কার বীর্য কেমন,   আমাকে পেলে কেউ বলছে খুন করবে, কেউ বলছে সেক্স করবে। বন্ধুটিকে ইঙ্গিত করে অজস্র অশ্লীলতা  আর  হায়েনার হাসি।  সেই সব কমেন্ট পড়লেই  ধারণা হয় বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলো ছাত্রদের মাথায় কী ঢালছে, আর শিক্ষকদের মানসিকতাই বা কী, বা জি হা দিদের ওয়াজ শুনে শুনে ধার্মিক  জনগণই বা কতটুকু কী  হয়েছে।  এরা বেড়ে উঠেছে প্রচণ্ড নারীবিদ্বেষ নিয়ে, এরা অবাধে  খুন ধর্ষণ জালিয়াতি বদমাইশি অনায় অত্যাচার   করে যাচ্ছে  মাথায় টুপি পরে আর মুখ ভর্তি দাড়ি রেখে আর নামতার মতো আল্লাহ রসুল মুখস্ত করে। এই লিঙ্গপালগুলোই মাদ্রাসার শিশুদের ধর্ষণ করছে। এই লিঙ্গপালগুলোর   মস্তিস্কে ধর্ষণেচ্ছা কিলবিল করে, এদের মুখে কৎসিত গালি ছাড়া কিছু নেই, এরা মেয়েদের যৌনবস্তু ছাড়া আর কিছু মনে করে না, এরা  আল্লাহ রসুলের প্রেমে উন্মাদের মতো লাফায় আর  মুক্তচিন্তকদের টুকরো টুকরো করে কোপানোর, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের  নির্যাতন করার, আর     মেয়েদের ধর্ষণ   করার লাইসেন্স আদায় করে সমাজের কাছ থেকে। এরা নামাজ রোজা করে শুধুই বেহেস্তে যাওয়ার জন্য, বেহেস্তে ৭২ হুরীর সঙ্গে অনন্তকাল সঙ্গম করবে বলে। এদের জীবনে আর কোনও উদ্দেশ্য নেই। এরা মানবতা, উদারতা, সমতা, সমানাধিকার, সভ্যতা, সৌন্দর্য, শিল্প সংস্কৃতি, বিজ্ঞান দর্শন    সম্পর্কে কিছু জানে না। 

    এই অশিক্ষিত অসভ্য  ধর্ষক খুনীদের সংখ্যা এত দ্রুত বাড়ছে যে আমার আশংকা বাংলাদেশ ক্রমে ক্রমে  এদেরই দেশ হয়ে উঠবে। যারা মুক্তচিন্তায় বিশ্বাস করে, গণতন্ত্রে, এবং বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে, তারা যেন তেন প্রকারে  ইউরোপ আমেরিকায় পাকাপাকিভাবে বাস করার জন্য  দেশ ছাড়ছে, আর যারা দেশ ছাড়তে পারছে না, তারা ভয়ে মুখ বন্ধ করে বসে আছে। 

    বাংলাদেশের নাম পাল্টে  রসুলের সৈনিকেরা  একদিন জি হা দিস্থান রাখলে অবাক হবো না। সুরা আল বাকারা  যদি এদের জাতীয় সঙ্গীত হয়   অবাক হবো না।
     
    -তসলিমা নাসরিন
  • দীপ | 2402:3a80:196c:598:8de1:fdf:e6cb:c04c | ১২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:১৮515200
  • দীপ | 2402:3a80:196c:598:8de1:fdf:e6cb:c04c | ১২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:১৯515201
  • অসামান্য অগ্রগতির সামান্য কিছু নমুনা!
  • দীপ | 42.110.144.99 | ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:৪৯515801
  • https://statewatch.net/post/26308
     
    বাবরি মসজিদ ভাঙা যেমন চূড়ান্ত অসভ্যতা, বাঙলাদেশের হিন্দু সমাজের উপর আক্রমণ‌ও তেমনি বর্বরতা ছাড়া আর কিছু নয়! কিন্তু এগুলো নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মহাবিপ্লবীদের মুখে একটি কথাও শোনা যায়না! আর তসলিমা এসব নিয়ে লেখালেখি করলে তার ব‌ই নিষিদ্ধ করা হয়, তাকে রাজ্য থেকে তাড়ানো হয়! 
    কেন আজ বিজেপি উঠে আসে, বুঝতে কোনো কষ্ট হয়না!
  • দীপ | 2402:3a80:196c:686c:6098:8e94:6508:44fb | ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:১০516145
  • বাংলাদেশের নেত্রকোনার ঘটনা! 
    অসামান্য অগ্রগতির সামান্য নমুনা! 
    তবে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন, এটাই আশার কথা!
  • দীপ | 42.110.147.10 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:৩০516187
  • বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন নিয়ে বাংলাদেশের সংবাদপত্রের প্রতিবেদন।
    আর এগুলো নিয়ে আলোচনা করলেই সে হিন্দুত্ববাদী, বিজেপির লোক! কথায় কথায় মনুসংহিতা নিয়ে নৃত্য শুরু হয়, কিন্তু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন নিয়ে একটা বাক্য‌ও বেরোয় না! কেউ কেউ আবার অভিসন্ধি খুঁজে পান! 
  • দীপ | 42.110.147.145 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:৪৮516294
  • হটপস://ওওও।সোজাসাপ্টা২.ক্সিজ/ট২৩/০২/ব্লগ-পোস্ট.হত্ম্য
  • দীপ | 42.110.147.145 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:৫১516295
  • বাংলাদেশের খবরের কাগজ থেকে বাংলাদেশের অসামান্য অগ্রগতির নমুনা! 
    আর এগুলো লিখলেই নামে বেনামে গালাগালি শুরু হয়!
  • দীপ | 42.110.138.193 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:৪৬516535
  • দীপ | 42.110.138.193 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:৪৮516537
  • দিনে ক প্যাকেট গাঁজা খেলে এসব থিয়োরি নামানো যায়? 
  • দীপ | 42.110.138.193 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:৫২516539
  • এবার আক্রান্ত স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ! অসামান্য অগ্রগতির প্রমাণ বটে! 
    তবে এটাও জানি, কোনো মহাবিপ্লবীর গলায় এই নিয়ে একটা কথাও শোনা যাবেনা! কেউ অভিসন্ধি খুঁজে পাবে! আবার কেউ মনুসংহিতা নিয়ে নৃত্য শুরু করবেন!
  • দীপ | 42.110.147.175 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:২১516586
  • রবীন্দ্রনাথ- যাঁকে বাতিলের চেষ্টা করে আসছে নষ্টরা পবিত্র পাকিস্তানের কাল থেকে; পেরে ওঠে নি। এমনই প্রতিভা ঐ কবির, তাঁকে বেতার থেকে বাদ দিলে তিনি জাতির হৃদয় জুড়ে বাজেন; তাঁকে পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দিলে তিনি জাতির হৃদয়ের কাব্যগ্রন্থে মুদ্রিত হয়ে যান, তাঁকে বঙ্গভবন থেকে বাদ দেওয়া হলে তিনি সমগ্র বঙ্গদেশ দখল করেন; তাঁর একটি সঙ্গীত নিষিদ্ধ হলে তিনি জাতীয় সঙ্গীত হয়ে ওঠেন।
    প্রতিক্রিয়াশীল নষ্টরা অনেক লড়াই করেছে তাঁর সাথে, পেরে ওঠে নি; তাঁকে মাটি থেকে বহিষ্কার করা হলে তিনি আকাশ হয়ে ওঠেন; জীবন থেকে তাঁকে নির্বাসিত করা হলে তিনি রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেন জাতির স্বপ্নালোকে। নষ্টরা তাকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে আপ্রাণ। যদিও তিনি জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা,তবুও তিনি জাতীয় কবি নন। তাঁর নামে ঢাকায় একটি রাস্তাও নেই; সংস্থা তো নেই। তাতে কিছু যায় আসে নি তাঁর; দশকে দশকে বহু একনায়ক মিশে যাবে মাটিতে। তিনি বেঁচে থাকবেন বাঙলায় ও বিশ্বে।

    (হুমায়ুন আজাদ)
  • দীপ | 42.110.147.135 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:০০516740
  • ১৯৪৮-১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন নিয়ে আরো কিছু কথা।
     
    ১. আন্দোলনটা বাংলা ভাষাকে রক্ষার আন্দোলন ছিল না। ছিল রাষ্ট্রভাষা করার আন্দোলন।  
     
    ২. ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠা ও আজাদী লাভের পর পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষার সমস্যা কেন্দ্রীয় সরকার তোলে নাই প্রথমে। এটা বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য তুলেছে তমুদ্দুন মজলিসের ব্যানারে পূর্ব-বাঙলায় মুসলিম লীগের ভেতর লুকিয়ে থাকা মুনাফিকরা।
     
    ৩. ঢাকায় জিন্নাহ সাহেব তাঁর ভাষণে বলেন নাই যে পূর্ব-বাঙলার ভাষা পরিবর্তন করে উর্দু ভাষা করা হবে। আর উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার কথা তিনি বলেছেন ভাষা নিয়ে যে ধুম্রজাল সৃষ্টি করা হয়েছিল তার প্রেক্ষিতে। যারা কায়েদে আজমের পুরো ভাষণটা পড়তে চান তাদের জন্য আমি মন্তব্যে লিঙ্ক দেব, ইনশাʾআল্লাহ! 
     
    ৪. কায়েদের মাতৃভাষা উর্দু ছিল না, ছিল গুজরাতী। তিনি দেশি ভাষাগুলোর মধ্যে আরো দুইটা জানতেন; সেগুলো হল সিন্ধী ও কুচী, কিন্তু তিনি উর্দু জানতেন না। তিনি বক্তৃতা দিতেন ইংরেজীতে। 
     
    ৫. উর্দু পশ্চিম পাকিস্তানের লোকদের ভাষা ছিল না। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান যখন প্রতিষ্ঠা লাভ করে তখন পাকিস্তানের জনসংখ্যার মাত্র ৪-৫% এর মাতৃভাষা ছিল উর্দু। এটা ছিল ভারত থেকে আসা মুহাজিরদের মাতৃভাষা। এখনও উত্তর ভারতের মানুষের মাতৃভাষা হল উর্দু/হিন্দুস্তানী।
     
    ৬. উর্দু গোটা ভারতের সব শিক্ষিত লোকেরা মোটামুটি সবাই জানত, এবং এটা ছিল একমাত্র সর্বভারতীয় ভাষা।
     
    ৭. ১৯৫২ সালে গোটা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ঢাকার খাজা নাজিমুদ্দীন এবং পূর্ববাঙলার মূখ্যমন্ত্রী ছিলেন নুরুল আমীন। তিনিও বাঙালী। 
     
    ৮. নুরুল আমীনের সরকার স্বৈরাচারী সরকার ছিল না; বরং ছিল পূর্ববাঙলার জনগণ কর্তৃক অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোটে নির্বাচিত। সেটা হাসিনার মত মধ্যরাতের ভোটার বিহীন নির্বাচনে জয়ী না।
     
    ৯. গুলি চালিয়েছিল যে পুলিশ তারা কেউই অবাঙালী ছিল না; সবাই ছিল বাঙালী।
     
    ১০. পুলিশ গুলি চালিয়েছিল সব রকমের আইন মেনে, নির্বিচারে নয়। গুলি চালানোর দরকার হয়েছিল, কারণ মিছিল থেকে গুণ্ডারা গভর্ণর হাউসে হামলা করেছিল। নিহতরা কেউই আন্দোলনকারী ছাত্র মিছিলের সদস্য ছিল না। নিহত বরকত বরং পুলিশেরই লোক ছিলেন। পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে খুন-জখমের সংখ্যা আরো অনেক অনেক বেশি হত।
     
    ১১. পরবর্তীতে উর্দুর সাথে সাথে বাঙলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বানানো হয়। 
     
    ১২. বাংলা ভাষা রক্ষার যে আন্দোলন হয়েছিল তা হয়েছিল মূলত ভারতে। আসামের প্রাদেশিক সরকার সে প্রদেশে বাঙলা ভাষার ব্যবহার নিষিদ্ধ করলে আসামের বাঙালীরা প্রতিবাদ করেন। এবং সে প্রতিবাদের একটা প্রোগ্রামে আসামের পুলিশ গুলি করলে শিলচর ট্রেন স্টেশনে ১৯৬১ সালে ১১ জন বাঙালী নিহত হন। বাঙলা ভাষার জন্য কেউ জান দিয়ে থাকলে তা এই আসামের বাঙালীরা দিয়েছেন।
     
    ১৩. পাকিস্তানের ১৯৫২ সালের আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছিলেন তারা কেউই ভাষার জন্য আন্দোলনকারী ছিলেন না। না তারা মাতৃভাষার জন্য জান দিয়েছেন, না রাষ্ট্রভাষার জন্য। কিছু হঠকারী গভর্ণর হাউস আক্রমন না করলে গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটত না। 
     
    ১৪. শহীদ মিনার নামে যা বানানো হয়েছে তা কোন মিনার নয়। মিনারের আকৃতি এরকম নয়। যা বানানো হয়েছে তা হল পূজার বেদী। এখানে অর্ঘ্য দেয়া নিশ্চিত শির্ক।
     
     
    ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।
  • দীপ | 42.110.147.135 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:০১516741
  • অসামান্য অগ্রগতির প্রমাণ!
  • দীপ | 42.110.147.135 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:০৯516745
  • দীপ | 42.110.147.135 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:১০516746
  • অসামান্য অগ্রগতির আরো কিছু জ্বলন্ত প্রমাণ!
  • দীপ | 2402:3a80:196f:a81d:bcc5:25ce:4b34:5c67 | ০৮ মার্চ ২০২৩ ২৩:২২517150
  • দীপ | 2402:3a80:196f:a81d:bcc5:25ce:4b34:5c67 | ০৮ মার্চ ২০২৩ ২৩:২৩517151
  • অসামান্য অগ্রগতির নমুনা!
  • lcm | ০৯ মার্চ ২০২৩ ০১:৩৯517156
  • দীপের ফ্যান | 2601:5c0:c280:d900:b56e:269d:2ec4:cdfd | ০৯ মার্চ ২০২৩ ০৩:৫৩517159
  • দীপকাকু, তোমার যা বক্তব্য সবি কিলিয়ার - যেন কব্জ-হর খাওয়ার পরে পৈষ্টিক তন্ত্র। এক্ষণে বিশ্রাম লৈয়া পুনরুজ্জীবিত হও, আরও পড়াশুনো ইত্যাদি করো, গ্রাফট্রাফ এঁকে অগ্রগতির ধুতি লুটাইয়া দাও। কাঁহাতক আর শ্রাবণ ইস্পাহানির পোস্ট চিপকাইয়া আমাদের ধৈর্যহানি আর টইয়ের অঙ্গহানি করবে? 

    তুমি ঘুমাও কমরেড দীপ, আমরা জেগে আছি।  
  • বাংলাদেশ | 2620:7:6001::168 | ০৯ মার্চ ২০২৩ ০৪:২৫517160
  • বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা বাড়ছে। ১৯৫০ সালে ৯ মিলিয়ন থেকে ২০২২ সালে ২৮ মিলিয়ন। শতকরা হিসেবে  কমেছে, ভারতেও শতকরা হিসেবে হিন্দু কমেছে। বাংলাদেশে ১৯৫০ থেকে হিন্দু জনসংখ্যা তিনগুণ বেড়েছে।
  • হ্যাহ্যাহ্যাহ্যা | 2001:67c:6ec:203:192:42:116:200 | ০৯ মার্চ ২০২৩ ০৪:৩০517161
  • দীপচাড্ডি  হোয়াটসাপে গ্রাফ টাফ পেলে চিপকাবেখন।  নিজে কিছু লেখা আঁকা নিদেন যুক্তি সাজানোর  মত মগজ বিদ্যে কিস্যুই ওর নেই।  পোস্টপিছু দুটাকা করে পায় আর কপিপেস্ট মেরে যায়।
  • lcm | ০৯ মার্চ ২০২৩ ০৪:৪৫517162
  • বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে সেদিন (মার্চ ২০২৩) ইকোনমিস্টে একটা আর্টিকল দেখলাম, তাতে বলছে -- 
     
     
    করাপ্ট পলিটিশিয়ান শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়। 
     
    ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে। কোভিড ইমপ্যাক্ট তো আছেই। 
     
    বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি অলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে জিডিপি পার ক্যাপিটা বৃদ্ধির জন্য। ইকোনমিস্ট আর্টিকলে এই চার্টটা দিয়েছে - 
     
    আর ভাল যেটা বলছে সেটা হল - মহিলা সাক্ষরতার হার - ৭৩% ।
     
    তবে, ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আছে, মানে প্রায় ১৪ বছর। দীর্ঘদিন এক পার্টি ক্ষমতায় থাকলে কিছু সুবিধে হয়, কিন্তু দুর্নীতি আরও বেশি করে বাসা বাঁধার সুযোগ পায়। 
     
    ইনফ্রাস্ট্রাকচার ভালো হয়েছে এবং হচ্ছে - রাস্তাঘাট, ট্রেন, ব্রিজ - কিন্তু বাংলাদেশের একটা সমস্যা - পাওয়ার জেনারেশন, ছোট স্কেলে সোলার পাওয়ার আছে কিন্তু বড় আকারে চাই। এটা একটা বড় অবস্ট্যাকল।
  • Hmm | 2a03:e600:100::83 | ০৯ মার্চ ২০২৩ ১১:১২517170
  • ভারত ও বাংলাদেশে শতকরা হিন্দু জনসংখ্যা কমছে। ভারতে সংখ্যাগুরুর অনুপাত কমছে,বাংলাদেশে সংখ্যালঘুর অনুপাত কমছে। বাড়ছে কারা?
  • দীপ | 2402:3a80:196f:a81d:907:f2eb:956f:f4b8 | ০৯ মার্চ ২০২৩ ১১:১৬517171
  • ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ; প্রত্যেকটি দেশ দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, ধর্মবিদ্বেষে জর্জরিত। কারো অবস্থাই বিশেষ ভালো নয়!
  • guru | 146.196.46.62 | ০৯ মার্চ ২০২৩ ২০:২৮517188
  • @বাংলাদেশ 
     
                   আপনার দেওয়া বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যার তত্ত্বে আমার একটি প্রশ্ন আছে | আপনি দেখিয়েছেন ১৯৫১ থেকে ১৯৭৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা বেশ কিছুটা বেড়েছে কিন্তু আমরা তো জানি যে পুরো ষাটের দশক জুড়ে বাংলাদেশে একের পর এক হিন্দু গণহত্যা হয়েছে যেটির সবচেয়ে ভয়াবহ পরিনাম ১৯৭১ সালের গণহত্যা | কিন্তু এতগুলি গণহত্যার পরেও কি করে বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা বেশ কিছুটা বেড়েছে ? হয় আপনার তথ্য ভুল না হলে আপনার মেথড ভুল | দয়া করে একটু সংশোধন করে দিন ভাই |
     
    @লসাগুবাবু 
     
                     আপনি একটি খুবই ভালো চিত্র দিয়েছেন বাংলাদেশের পাওয়ার সেক্টরের সমস্যা নিয়ে | তবে হয়তো সবচেয়ে বড়ো সমস্যা যেটি সেটি হচ্ছে আদানি কোম্পানিকে সঙ্গে এমন একটি বিদ্যুৎ কেনার ডিল করা ( আসলে শেখ হাসিনার এই ধরণের ডিল না করে কোনো উপায় ছিলোনা নিজের গদি বাঁচাবার জন্য ) যার ফলে বিদ্যুৎ না কিনলেও বাংলাদেশকে প্রচুর আর্থিক খেসারত দিতে হবে আদানীকে যার ফলে বাংলাদেশের লং-টার্ম অনেক ক্ষতির সম্ভাবনা | 
     
     
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন