এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  সিনেমা

  • ওটিটি বনাম প্রেক্ষাগৃহ প্রদর্শন : কার লাভ, কার ক্ষতি? 

    Sandipan Majumder লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | সিনেমা | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ২১৭১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • ওটিটি কথাটির পুরো অর্থ হল ওভার দ্য টপ। টেলিভিসন, স্যাটেলাইট চ্যানেল বা কেবল বাহিত নয় শুধু ইনটারনেটের মাধ্যমে ভিডিও কনটেন্ট পরিবেশন করাই ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কাজ। এই সংজ্ঞা অনুসারে আমাদের সকলের পরিচিত ইউটিউবও একটি ওটিটি। ওটিটির কাজই হচ্ছে ভিওডি সরবরাহ করা। ভিওডি মানে ভিডিও অন ডিমাণ্ড। এই ভিওডি দুই ধরণের হয়ঃ (১) এভিওডি (অ্যাডভার্টাইজমেন্ট বেসড ভিডিও অন ডিমাণ্ড ) যেমন ইউটিউব, ভিমিও, ডেইলিমোশন ইত্যাদি (২) এসভিওডি (সাবস্ক্রিপশন বেসড ভিডিও অন ডিমাণ্ড) যেমন নেটফ্লিক্স, আমাজন প্রাইম ভিডিও, আমাদের বাংলায় হইচই ইত্যাদি। অবশ্য ইউটিইব প্রিমিয়ামের ক্ষেত্রেও সাবস্ক্রিপশনের ব্যবস্থা আছে বিশেষ কনটেন্টের ক্ষেত্রে।

    মূল বিষয়ে ঢোকার আগে আমরা দেখে নিই ভারতে বর্তমানে ইনটারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা কত। জানুয়ারি ২০২১ এর হিসেব অনুযায়ী ভারতে ইনটারনেট ব্যবহার করেন বর্তমানে ৬২ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ। ২০২০র জানুয়ারি মাসের তুলনায় এই সংখ্যাটা বেড়েছে ৪ কোটি ৭০ লক্ষ অর্থাৎ প্রায় ৮ শতাংশ। এর মধ্যে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ প্রভৃতি সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করেন ৪৪ কোটি আশি লক্ষ মানুষ। এই সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীর সংখ্যাটা বেড়েছে একবছরে প্রায় ২১ শতাংশ। এই ৬২ কোটি ইনটারনেট ব্যবহারকারীর মধ্যে গ্রাম শহরের ব্যবধানটা ক্রমশ কমে আসছে। শহরাঞ্চলে যেখানে ব্যবহারকারী ৩২ কোটি, গ্রামাঞ্চলে সেই সংখ্যাটা ৩০ কোটিতে পৌঁছে গেছে (বৃদ্ধি ১৩ শতাংশ)। এখন সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক ওটিটি গুলির সদস্যসংখ্যা ২০১৯ এ ছিল মোট তিন কোটি ২০ লক্ষ যা ২০২০র শেষে পৌঁছোয় ৬ কোটি ২০ লক্ষ। কার কত সাবস্ক্রাইবার তা নিয়ে অনেক পরস্পর বিরোধী তথ্য থাকলেও বলা যায় সবচেয়ে বেশি সদস্য সংখ্যা ডিজনি হটস্টারের, তারপর আছে ইরোস, আমাজন প্রাইম ভিডিও এবং নেটফ্লিক্স।তবে গ্রাহক সংখ্যা কম হলেও আর্থিক অংকে নেটফ্লিক্স অন্যদের থেকে এগিয়ে। হটস্টারের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির একটা বড় কারণ আইপিএল দেখানোর সম্প্রচার স্বত্ব পাওয়া।

    আমাদের ভাবনার বিষয় ডিজিটাল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম কি অন স্ক্রিন ছবির ক্ষতি করছে? দেখতে হবে এই ক্ষতি বলতে আমরা ঠিক কী বুঝতে চাইছি? এটা কী চলচ্চিত্র নির্মাতা বা প্রযোজকদের ক্ষতি, হল মালিকদের ক্ষতি নাকি দর্শকদের ক্ষতি ? এই ক্ষতির চরিত্র কী বাণিজ্যিক বা আর্থিক শুধু, নাকি তার একটা শৈল্পিক অভিঘাতও আছে? নাকি আদতে ক্ষতির পাল্লা কম, লাভের পাল্লাই বেশি? লাভ হলে সেটা কার লাভ, কোন দিক থেকে? এতকাল যেটা হয়ে এসেছে তা হল বড় বাজেটের ছবি গুলি কয়েক সপ্তাহ মাল্টিপ্লেক্সে চালিয়ে লাভের টাকা তুলে ফেলেছে। তারপর সেটা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আসে যেখান থেকে একটা বাড়তি টাকা আসে। কিন্তু হল যখন কোভিড পরিস্থিতিতে বন্ধ থাকে তখন হিসেবটা পালটে যায়। যেমন অমিত মাসুরকরের ছবি "শেরনী" মুক্তি পায় আমাজন প্রাইম ভিডিওতে। যতদূর জানা যায় এই ছবির বাজেট ২০ কোটি টাকা। আমরা জানিনা আমাজন কত টাকা এই ছবির জন্য দিয়েছে। নিশ্চয় প্রযোজক ক্ষতি করে ছবিটা সেখানে রিলিজ করান নি। কারণ যতদূর জানা যাচ্ছে মুক্তির প্রতীক্ষায় থাকা অন্তত পনেরটি হিন্দী ছবি আগামী দিনে ওটিটিতেই রিলিজ হবে। এর মধ্যে ডিজনি হটস্টারে আটটি এবং আমাজন প্রাইম ভিডিওতে সাতটি ছবি মুক্তি পাবে বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু অনেক বড় বাজেটের ছবি যেভাবে হল থেকে টাকা তুলতো সেটা এখানে কীভাবে হবে সেটা অনিশ্চিত। এছাড়াও ছোট বা মাঝারি বাজেটের ছবিগুলিও যদি দুই জায়গাতেই মুক্তি পায় তবেই তার আর্থিক সাফল্যর সম্ভাবনা বাড়ে। অর্থাৎ ছবির টাকা তুলে আনার ক্ষেত্রে ওটিটির ভূমিকা সহযোগী হিসেবেই ভালো। সেটাই যদি একমাত্র নির্ভরতার জায়গা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে দুশ্চিন্তার কারণ আছে বইকি ছবির নির্মাতাদের। কোভিড উত্তর পরিস্থিতিতে লোকের প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমা দেখার অভ্যাস আবার কতটা ফিরে আসবে তার ওপর এই নির্ভর করছে এই সমস্যার সমাধান। অনেকে বলছেন লোকে হলে গিয়ে সিনেমা দেখে একটা সামাজিকতার অংশ হিসেবে । সেই অভ্যাস যদি পুরোপুরি নষ্ট না হয়ে যায় তাহলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দর্শক হলে ফিরবেই। সেক্ষেত্রে হলও থাকবে পাশাপাশি ওটিটি ও থাকবে। আবার শুধু সামাজিকতা নয়, একটা ছবিকে পুরোপুরি উপভোগ করতে হলে, অনুভববেদ্য করে তুলতে গেলে বড় পর্দায় ছবি দেখার একটা আলাদা মাহাত্ম্য আছে। ব্যাপারটা অনেকটা টিভিতে খেলা দেখা আর মাঠে গিয়ে খেলা দেখার মত। লং শটের গরিমা, স্পেসের শৈল্পিক ব্যবহার – এগুলি ছোটো পর্দায় বোঝা গেলেও, বড় পর্দায় তার অভিঘাত অনেক বেশি হয়। যদিও স্মার্ট টিভিতে ওটিটি ব্যবহার করে যাঁরা দেখেন, বড় স্ক্রিনের টিভি আর থিয়েটার সাউণ্ড দিয়ে সেই অভাব তাঁরা অনেকটাই পুষিয়ে নিচ্ছেন।

    ওটিটি যেটা করেছে সেটা হল সিনেমার ডিস্ট্রিবিউশন সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁরা একটা আলাদা চ্যানেল তৈরি করেছে। বরাবরই এই ডিস্ট্রিবিউশন ব্যাপারটা বড় পুঁজি এবং বাণিজ্যক স্বার্থেই পরিচালিত হয়।দিনে দিনে সেটা আরো বেড়েছে। যাঁরা সিনেমার বিনোদনধর্মকে প্রাধান্য না দিয়ে ছবি তৈরি করেন জীবন, মনস্তত্ত্ব, দর্শন বা সমাজবাস্তবতার গভীর সত্যগুলিকে প্রকাশ করার জন্য তাঁদের ছবি করাটা যত কঠিন তাকে প্রদর্শন করানো তার চেয়েও কঠিন হয়ে পড়েছে। সেটা এই ওটিটি আসার আগেই ছিলো। বরং ওটিটি আসার পর আমরা দেখতে পাচ্ছি সেই সমস্ত ছবি দেখানোর কিছুটা সুযোগ সেই নিরীক্ষাশীল চলচ্চিত্র নির্মাতারা পাচ্ছেন এবং দর্শকও যে ছবি কোনোদিন হলে গিয়ে দেখার সুযোগ পেতেন না সেটা দেখতে পাচ্ছেন। ওটিটিও মুনাফার সন্ধানে চলে, পুঁজির নিয়ম মেনেই চলে। কিন্তু সেখানে বিভিন্ন ধাঁচের দর্শককে টার্গেট করার কৌশলের মধ্যে কিছু অন্য ধারার ছবিও স্থান পাচ্ছে। যেমন ভারতে সর্বত্র হিন্দী ছবির দাপটে আঞ্চলিক ছবি দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন দর্শকরা। কিন্তু ওটিটিতে, বিশেষ করে আমাজন প্রাইম ভিডিওতে আঞ্চলিক ছবির বেশ ভালো সংগ্রহ রয়েছে। এর মধ্যে অনেক ছবিই বাণিজ্যসফল ছবি। সেগুলি রীতিমতো উপভোগ্য। কিন্তু এতকাল সেগুলি দেখার কোনো সুযোগ দর্শকের ছিলো না । বিশেষত কেরলের ছবির ফ্যান হয়ে গেছেন অনেক ওটিটির দর্শক। ভারতের সেরা অভিনেতাদের নাম বলতে বললে তাঁরা এখন অনেকেই ফাহাদ ফাজিলের নাম বলছেন যেটা আগে অভাবনীয় ছিলো। তাঁরা ধনুষ বলতে এখন শুধু রজনীকান্তের জামাই বা কোলাভেরি ডি বোঝেন না, তামিল সিনেমা কারনানে তাঁর অসাধারণ অভিনয় বোঝেন যেটা আমাজন প্রাইম ভিডিওতে দ্রষ্টব্য।

    ২০১৫ সালের ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে অস্কারে যায় চৈতন্য তামহানে পরিচালিত মারাঠি ছবি কোর্ট। ২০১৯ সালে আসামের বীণা দাস পরিচালিত ছবি ‘ভিলেজ রকস্টার’ এবং ২০২১ সালে মালয়ালম ছবি ‘জাল্লিকাট্টু’ সেই স্থান পায়। এর মধ্যে চৈতন্য তামহানে এবং রিমা  দাসের ছবিটি তাঁদের প্রথম কাহিনী চিত্র। রিমা  দাস একজন স্বশিক্ষিত চলচ্চিত্রনির্মাতা যিনি ছবির ফোটোগ্রাফি এবং সম্পাদনার কাজ নিজেই করেছেন। অত্যন্ত অল্প বাজেটে ক্যানন ডি ফাইভ ক্যামেরা দিয়ে তৈরি এই ছবিতে তিনি নিজের আত্মীয় বা অপেশাদার গ্রামের লোকদের দিয়ে অভিনয় করিয়েছেন। ছবিগুলি দেখলে মন ভরে যায় কিন্তু আমি নিশ্চিত যে সাধারণ দর্শক হিসেবে হলে গিয়ে এই ছবিগুলি দেখার সুযোগ আমরা কোনোদিনই পেতাম না। এই ছবিগুলি কিন্তু ও টিটি প্ল্যাটফর্মের দৌলতেই অনেকে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। প্রথম দুটি ছবি নেটফ্লিক্স এবং শেষেরটি আমাজন প্রাইমে দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ ভালো ছবির নির্মাতারা হলের রিলিজ চেনের বাইরে ওটিটিতে তাঁদের ছবি প্রদর্শনের একটা স্থায়ী সুযোগ পেতেও পারেন।

    সিরিয়াস সিনেমার দর্শকদের কাছে মাথায় তুলে রাখার মত একটি চ্যানেলও ভারতে কাজ করছে যার নাম ‘মুবি’। এর সদর দপ্তর লণ্ডনে। পৃথিবীর সমস্ত চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবি, সিনেমার মাস্টার হিসেবে গোটা বিশ্বে যাঁরা স্বীকৃত তাঁদের সকলের ছবি এই প্ল্যাটফর্মে আছে। এদের সাবস্ক্রাইবার হওয়াটা একটু খটোমটো ব্যাপার কিন্তু দুঃসাধ্য নয়। এ ব্যাপারে আমার নিজের অভিজ্ঞতা বলতে পারি । ঘটনাচক্রে এদের একটা একমাসের ফ্রি সাবস্ক্রিপশন জুটে যাওয়ার পর আমি একমাসে যে মানের যতগুলি সিনেমা দেখেছি তা আমি আমার সিনে ক্লাবের বারো তেরো বছরের সদস্য জীবনেও দেখার সুযোগ পেয়েছি কিনা সন্দেহ। ক্রিস্তফ জানুসির সমস্ত ছবি, কিয়েসেলোস্কির প্রায় সমস্ত ছবি,তারকোভস্কি, এরিক রোমার, ফ্রাসোয়াঁ ত্রুফো, অ্যাগনেস ভার্দার ছবি, চীন, ব্রাজিল এবং ইরানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ছবি এই সময়ে দেখেছি। আরো কত যে দেখার আছে। আছে শর্ট ফিল্ম ও তথ্যচিত্র। এটাও ওটিটি প্ল্যাটফর্মের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক। বেশ কিছু ভালো তথ্যচিত্র নেটফ্লিক্স বা আমাজন প্রাইমেও আছে। অনেক তথ্যচিত্র ওরাই তৈরি করিয়েছেন। যেমন সমাজমাধ্যম ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম বা টুইটারের পেছনের মুনাফারহস্য নিয়ে আলোড়ন ফেলে দেওয়া তথ্যচিত্র ‘সোস্যাল ডাইলেম্মা’ নেটফ্লিক্সের প্রযোজনাতেই তৈরি। সব মিলিয়ে একজন চলচ্চিত্রপ্রেমীর কাছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এখন পর্যন্ত বেশ কিছু সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

    কিন্তু অনেক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থাকলেই যে ভালো কনটেন্ট পাওয়া যাবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। সব ওটিটি প্ল্যাটফর্ম মুবির মত বিশেষ উদ্দেশ্যে চালিত নয়। মুনাফার লক্ষ্যেই তারা চালিত, তা সে নেটফ্লিক্সই হোক আর আমাজন প্রাইম। আর বেশি চ্যানেল হলেই যে মানের উন্নতি হয় না তা বাংলা বিনোদন বা সংবাদ চ্যানেলগুলি দেখলেই বোঝা যায়। রুচির যদি সামগ্রিক অবনমন হয় (যেটাকে আরো বাড়িয়ে তুলছে মানুষের ডিজিটাল আসক্তি) তখন বিনোদন ছাড়া আর কিছুতেই মন বসতে চায় না। তখন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিল্পসফল সিনেমা দেখানো হলেও মানুষ দেখবে না। বিনোদনের সন্ধানে অন্য কোথাও চলে যাবে। তাই যেটা বেশি দরকার সেটা হল এই ওটিটি সংস্কৃতিকে কাজে লাগিয়ে ফিল্ম কেন্দ্রিক চর্চা, আড্ডা এবং তর্কবিতর্কের ব্যবস্থা করা। দশ পনের জন মিলে মুবির মত একটি ওটিটি চ্যানেলের গ্রাহক হয়ে একটি স্মার্ট টিভিতে সেটা একটি ঘরে দেখতে পারেন এবং সেটা নিয়ে এরকম ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশনের গোষ্ঠী গড়ে তুলতে পারেন দিকে দিকে। ফিল্ম সোসাইটিগুলিও তাদের নিয়মিত প্রদর্শনের বাইরে আগ্রহীদের জন্য এরকম একটা কোর গ্রুপ তৈরি করতে পারেন। ভালো ছবি আর দর্শকের মধ্যে সংযোগের সেতু হিসেবে চলচ্চিত্র আস্বাদন বা ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশনের গুরুত্ব থাকবেই। সমঝদার থাকলে তবেই শিল্প থাকবে। সিনেমার বাণিজ্য হিসেবে সম্ভাবনাকে বিচার করার জন্য অনেক লোক ছিলেন ও আছেন। তার শিল্পসম্ভাবনাকে বাঁচানো নিয়ে বরং আমরা ভাবি। কিন্তু সেই কাজ শুধু সিনেমা দেখার মধ্য দিয়ে সম্ভব নয়। দরকার একটা সংবেদী চলচ্চিত্র সংস্কৃতি গড়ে তোলা। ওটিটি আমাদের সেই পরিসর কিছুটা হলেও দিচ্ছে। সেই সুযোগের সদব্যবহার আমরা কতটা করতে পারছি তার ওপর নির্ভর করছে সিনেমার অযুত সম্ভাবনার বিকাশ।
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ২১৭১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ramit Chatterjee | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৪:৫৮497733
  • ভালো লাগল।
  • Sandipan Majumder | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:০২497747
  • @Ramit Chatterjee অনেক ধন্যবাদ  উৎসাহিত  করার  জন্য।
  • বিপ্লব রহমান | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৮:২১497783
  • মাঠে গিয়ে খেলা দেখার চেয়ে টিভিতে খেলা দেখার সংখ্যাই বেশি, সাধারণ পরিস্থতিতে এই যখন চিত্র, তখন মহামারিতে সহসাই দর্শক সিনেমা হলে ফিরবেন বলে মনে হয় না। 
    অনলাইনেই ব্যবসা হবে ছবির, সময়ের দাবি 
  • Sandipan Majumder | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:৫৪497800
  • @বিপ্লব  রহমান  ঠিকই  বলেছেন আপনি। 
  • নাম | 202.142.96.199 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১০:২৪497830
  • ভালো লাগলো। তবে একটি ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। ভিলেজ রকস্টার সিনেমার পরিচালক রিমা দাস,বীণা দাস নয়। 
  • -- | 103.76.82.207 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:১৬497843
  • বড় পর্দা প্রিয় দর্শকেরা টিভির বদলে প্রোজেক্টর কিনবেন, আর ভালো সাউন্ড সিস্টেম। ঘরের একটা দেয়াল ফাঁকা পেলে কম খরচেই হবে। সপ্তাহে একটি করে সপরিবার   সিনেমা দেখার খরচ ৫০০ টাকা করে বাঁচলেও ধরুন বছরে মোটামুটি ২৫০০০ টাকা বাঁচে।  OTT- এর সাথে ইউটিউব জাতীয় ওপেন ভিডিও চ্যানেল এবং টরেন্ট থেকে ডাউনলোড করা  সিনেমা যোগ করলে (বন্ধুবান্ধব বা মুভিবাফ তরুণ  প্রজন্মের থেকে কপি করা হলেও) ইচ্ছেখুশি লিস্ট বানিয়ে দেখা যোগ করলে বিনিয়োগ উশুল তো বটেই।
  • -- | 103.76.82.207 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:৩৯497845
  • সময়ের দাবি -- গুরু বা ফেসবুকের মতো লিখে (ব্লগ মোড) কমিউনিকেট করার চেয়ে বেশি ভয়েস ক্লিপ দিয়ে কমিউনিকেট করার মতো ফোরাম। সিনেমা নিয়ে সেক্ষেত্রে কম লিখে বরং ভয়েস কমিউনিকেট করে বেশি লোক তাড়াতাড়ি সিনে অ্যাপ্রিশিয়েশন করতে পারবে। সমমনস্ক সিনেপ্রেমীদের ফোরাম হিসেবে ভয়েস ব্লগের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। হোয়াটস্যাপের মত মাইক এ ট্যাপ করে বক্তব্য বলেই পোস্ট করে দেওয়ার মত ফোরাম দরকার। হোয়াটস্যাপ গ্রুপ হিসেবে এটা খুব সহজ,কিন্তু ওপেন অ্যাকসেস ভয়েস ব্লগ ফোরাম - যেখানে সিনেপ্রেমীদের এইরকম আলোচনার অসংখ্য নির্বাক শ্রোতা ও থাকবেন - এমনটা দরকার। সিনেমা,মিউজিক এসব নিয়ে আলোচনা ভয়েস ব্লগে বেটার হবে।
  • dc | 122.164.64.53 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:০৭497846
  • ঠিক বলেছেন। সবার ভয়েসটা আসা দরকার। 
  • Sandipan Majumder | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:৩৭497858
  •  বাহ,বেশ কিছু নতুন  কনসেপ্ট  পাওয়া  গেলো। 
  • Sandipan Majumder | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:৩৯497859
  • এই ওপেন অ্যাক্সেস  ভয়েস ব্লগ  ফোরাম এটা  বেশ মনে ধরেছে।
  • Sandipan Majumder | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৮:০৮497860
  • ভিলেজ রকস্টার  ছবির পরিচালকের নামটি ভুল হয়ে গিয়েছিলো। ঠিক করে দিলাম। ভুল ধ ধরিয়ে দেওয়ার  জন্য ধন্যবাদ। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন