এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

  • দুই গেঁয়ো যোগীর কথা

    মাধব চট্টোপাধ্যায়
    আলোচনা | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ২৭ আগস্ট ২০২১ | ৩১১৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৪ জন)
  • নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের একটা গল্পের মুখ্য চরিত্র গুড়ের ব্যবসায়ী বংশীবদন খাঁড়া বলেছিলেন “যে-শিক্ষে দেশ-গাঁয়ের খবরটুকুও জানায় না, তা থাকলেই কী আর গেলেই কী”? মাঝে-মাঝেই এমন সব পরিস্থিতির মুখোমুখি হই, এই কথাটা মনে ধাক্কা দেয়।

    কয়েক বছর আগে সস্ত্রীক কলকাতা গেছি কিছু ব্যক্তিগত প্রয়োজনে। উত্তর কলকাতার এক ঐতিহ্যমণ্ডিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক বন্ধু অধ্যাপক আমাদের দু’জনকে, সহকর্মী ও ছাত্রদের সামনে দু’টি বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য রাখার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তার আগে সল্টলেকে এক নামকরা বিজ্ঞানীর সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে এসেছি। অধ্যাপক বন্ধুর কাছে যখন ঐ বিজ্ঞানীর কথা বললাম, তিনি বা তাঁর সহকর্মীদের কেউই তাঁকে চিনতে পারলেন না। সবিস্তারে পরিচয় দিতে হল। সেই মুহূর্তেই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠলেন খাঁড়ামশাই।


    ডা. দিলীপ মহলানবিশ [১]

    সল্টলেকে যাঁর কাছে গিয়েছিলাম, তিনি হলেন ডা. দিলীপ মহলানবিশ। উদরাময় (diarrhea)-এর চিকিৎসায় তাঁর অবদানের জন্য সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীমহলে তিনি এক পরিচিত নাম। উদরাময়ে আক্রান্ত রোগীর শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে জল-মিশ্রিত মল বেরিয়ে যায়। এই জল আসে রক্ত থেকে। হার্টের কাজ হল রক্তকে পাম্প করে সারা শরীরে ছড়িয়ে দেওয়া। রক্ত যথেষ্ট পরিমাণ তরল থাকলে তবেই হার্ট নিজের কাজটা করতে পারে। উদরাময়ে আক্রান্ত রোগীর শরীর থেকে ক্রমাগত জল বেরিয়ে যাওয়ার ফলে রক্ত ক্রমশ ঘন হতে থাকে। একটা সময় আসে যখন রক্ত এত ঘন হয়ে যায়, যে হার্টের পক্ষে সেই রক্তকে পাম্প করা আর সম্ভব হয় না। হার্টফেল করে রোগী মারা যায়। সুতরাং সোজা-বুদ্ধিতেই বোঝা যায়, বাইরে থেকে জল সরবরাহ করে রক্তের তারল্য বজায় রাখতে পারলেই উদরাময় রোগীর প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। সেই কাজটাই ডাক্তারবাবুরা করেন রোগীর শিরার মধ্যে দিয়ে স্যালাইন ঢুকিয়ে। কিন্তু স্যালাইন যেখানে-সেখানে পাওয়া সম্ভব নয়। রোগীকে স্যালাইন দিতে, খুব সামান্য হলেও - কিছু সরঞ্জাম লাগে। রোগীর শিরার মধ্যে দিয়ে ছুঁচ ঢোকাতেও কিছুটা দক্ষতা লাগে। তেমন দক্ষ লোক সবসময় সর্বত্র পাওয়া যায় না। তাই উদরাময়ের চিকিৎসা-পদ্ধতি অত্যন্ত সরল হলেও সব ক্ষেত্রে সেটা প্রয়োগ করা যায় না। ফলে রোগীর মৃত্যু ঠেকানো যায় না। এমন একটা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বনগাঁয়, ওপার-বাংলা থেকে আসা উদ্বাস্তু-শিবিরে। সেখানকার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কলেরার ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা দিল। স্যালাইনের জোগান যথেষ্ট না হওয়ায় মুত্যু-মিছিল থামানো সম্ভব হল না। একসময় দেখা গেল, মোট আক্রান্তদের মধ্যে শতকরা ৩০জনই মারা যাচ্ছেন, অর্থাৎ মৃত্যুর হার ছিল ৩০% [সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে সবিশেষ গুরুত্ব পাওয়া করোনা ভাইরাস সংক্রমণে, গত মে মাসে দিল্লী শহরে মৃত্যুর হার ছিল ২.৯%, যা সারা দেশে এই রোগে গড়পড়তা মৃত্যুর হারের (১.৩%) দু’গুণেরও বেশি]।

    বনগাঁ উদ্বাস্তু-শিবিরে এইসময় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য পাঠানো হল ডা. দিলীপ মহলানবিশকে। তাঁর জন্ম হয়েছিল ওপার বাংলায়, ১২ই নভেম্বর ১৯৩৪। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডাক্তারি পাশ করে (১৯৫৯) তিনি কলকাতা, লন্ডন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে শিশুরোগের চিকিৎসায় প্রশিক্ষণ লাভ করেন। দেশে ফিরে তিনি কলকাতার Johns Hopkins University International Centre for Medical Research and Training-এ গবেষণা শুরু করেন। এই প্রতিষ্ঠানে তখন উদরাময়ের রোগীদের, স্যালাইন-চিকিৎসার বিকল্প হিসেবে, কিছু বিশেষ ধরনের দ্রবণ পান করিয়ে - তাঁদের শরীরে জলের অভাব দূর করার (Oral Rehydration Therapy বা ORT) চেষ্টা করছিলেন একদল গবেষক। ডা. মহলানবিশ তাঁদের দলে যোগ দিলেন।

    এইসব গবেষণা-লব্ধ জ্ঞান হাতে-কলমে কাজে লাগাবার সুযোগ পাওয়া গেল বনগাঁর উদ্বাস্তু-শিবিরে। ORT তখনও চিকিৎসক-মহলের অনুমোদন পায়নি। অনেকেই স্যালাইনের বিকল্প হিসেবে ORT-র কার্যকারিতা সম্বন্ধে নিশ্চিত ছিলেন না। বেশ কিছুটা ঝুঁকি নিয়েই ডা. মহলানবিশ জলে চিনি, খাদ্যলবণ ও খাওয়ার সোডা গুলে রোগীদের খাওয়াতে লাগলেন। উদ্বাস্তু শিবিরে রোগীদের পরিবারের যেসব সদস্য ছিলেন, তাঁরাও একাজে হাত লাগালেন। উল্লেখযোগ্য ফল পাওয়া গেল এই ঐতিহাসিক প্রচেষ্টায়। দু’সপ্তাহের মধ্যে মৃত্যুর হার অবিশ্বাস্যভাবে কমে গেল (৩০% থেকে ৩.৬%)। এখন আমরা পেট-খারাপ হলে যে ORS (Oral Rehydration Solutions) ব্যবহার করি,তার উৎপত্তি এই সাফল্য থেকেই। আরও কয়েকটি ক্ষেত্রে ডা. মহলানবিশের “Oral Saline” চিকিৎসার কার্যকারিতা প্রমাণিত হল।

    রবীন্দ্রনাথ-কথিত “বিজ্ঞানলক্ষ্মীর প্রিয় পশ্চিমমন্দিরে” অর্থাৎ পাশ্চাত্যের বিজ্ঞানী মহলে কিন্তু এই আবিষ্কারের কার্যকারিতা সহজে স্বীকৃতি লাভ করেনি। ১৮৩২ সালে ইংলন্ডের এক চিকিৎসক (Dr. Thomas Latta) শিরার মধ্যে দিয়ে স্যালাইন দিয়ে এক মহিলা কলেরা রোগীর চিকিৎসা করেন। তাঁর প্রচেষ্টা পুরোপুরি সফল না হলেও তাঁকেই এই চিকিৎসা-পদ্ধতির প্রবর্তক ধরা হয়। তারপর বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এই পদ্ধতি সারা-পৃথিবী জুড়ে উদরাময়ের কার্যকরী চিকিৎসা প্রণালী হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বহুদিন ধরে চলে আসা এই পদ্ধতি বাদ দিয়ে শুধু নুন-চিনি-সোডা জলে গুলে খাওয়ালেই মৃত্যুপথযাত্রী রোগী বেঁচে উঠছে আর এক অনুন্নত দেশে সেটা আবিষ্কার করেছে কি না সেই দেশেরই একজন ডাক্তার - এমন দাবী মেনে নেওয়া সম্ভব হল না সাহেবদের। ডা. মহলানবিশের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, তাঁর চিকিৎসা-পদ্ধতিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তাঁকে ঈজিপ্টের এক কলেরা রোগীদের শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ORT-র কার্যকারিতা প্রমাণ করতে বলা হয়। রোগীদের অবস্থা পরীক্ষা করে তিনি তিনজন সংকটজনক রোগীকে তাঁর তালিকা থেকে বাদ দেন। এঁদের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল, তাই তিনি ঝুঁকি নিতে চাননি। বাকী সবার ওপর সাফল্যের সঙ্গে ORT প্রয়োগ করে তিনি তাঁদের বাঁচিয়ে তোলেন। যথাযথ প্রমাণ পেলে সাহেবরা কোন কিছুকে স্বীকৃতি দিতে দ্বিধা করে না। ডা. মহলানবিশের দাবির সত্যতার সন্দেহাতীত প্রমাণ পেয়ে তাঁর প্রশংসায় মুখর হল পাশ্চাত্যের বিজ্ঞানী মহল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) স্বীকৃতি লাভ করল ORT। সহকর্মী গবেষকদের সঙ্গে একাধিক পুরস্কারে সম্মানিত হলেন ডা. মহলানবিশ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক বিখ্যাত পত্রিকায় (The Lancet) তাঁদের এই আবিষ্কারকে “potentially the most important medical advance of the 20th century” আখ্যা দেওয়া হল। এর আগে বিগত শতকের পঞ্চাশের দশকে ডা. হেমেন্দ্রনাথ চ্যাটার্জি গ্লুকোজ আর সোডিয়াম লবণের এক মিশ্রণ জলে গুলে কলকাতায় ১৮৬ জন কলেরা রোগীর চিকিৎসা করেছিলেন। কিন্তু পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে এই চিকিৎসা জনপ্রিয় হয় নি। ডা. মহলানবিশের চিকিৎসা-পদ্ধতি WHO- এর মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে যিনি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি হলেন WHO-এর Bacterial Diseases Unit-এর প্রধান ডা. ধীমান বরুয়া। বর্তমানে ORT-র ব্যাপক প্রয়োগের পশ্চাৎপটে এঁদের অবদান অনস্বীকার্য।


    ডা. শম্ভুনাথ দে (১৯১৫-১৯৮৫) [২]

    ভারতে, উদরাময়ে, প্রতি বছর প্রায় তিন লক্ষ পাঁচ-বছরের কমবয়েসী শিশুর মৃত্যু হয়। তা-ও এদেশে ORT-র প্রয়োগ আশানুরূপ নয়। এক সমীক্ষায় দেখা যায়, বিহারে মাত্র ৫৬% এবং পশ্চিমবঙ্গে ৭৫% উদরাময়-আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসায় ORT ব্যবহার করা হয়েছে। এ-ব্যাপারে সচেনতার প্রসার জরুরী। কিন্তু বিশ্বজোড়া খ্যাতিলাভ করেও ডা. মহলানবিশ কেন কলকাতার অধিকাংশ বিজ্ঞানীর কাছে প্রবাদ-কথিত “গেঁয়ো যোগী” হয়ে রইলেন, সেটা বুদ্ধির অগম্য থেকে যায়।

    নিজের গ্রামে ভিক্ষা-বঞ্চিত যে দ্বিতীয় “গেঁয়ো যোগী”র কথা বলব, তিনি হলেন চিকিৎসা-বিজ্ঞানী ডা. শম্ভুনাথ দে (১৯১৫-১৯৮৫)। কলেরা নিয়ে গবেষণায় তাঁর অবদানও সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানী সমাজে স্বীকৃতি লাভ করেছে। সবাই জানে কলেরার জীবাণু দূষিত জল আর নানারকম খাবার জিনিসের মধ্যে দিয়ে মানুষের শরীরে ঢোকে। তারপর বংশবৃদ্ধি করে একরকম বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য তৈরি করে, যার প্রভাবে রোগী উদরাময়ে আক্রান্ত হয় এবং সেইসঙ্গে বারবার বমি করতে থাকে। কিন্তু ঠিক কি ভাবে এই বিষাক্ত পদার্থ কাজ করে, সেটা বিজ্ঞানীদের জানা ছিল না। যিনি কলেরার জীবাণু আবিষ্কার করেছিলেন, সেই জার্মান বিজ্ঞানী ডা রবার্ট কখ (১৮৪৩-১৯১০) পর্যন্ত বিশ্বাস করতেন, এই বিষাক্ত পদার্থ আমাদের অন্ত্র থেকে শোষিত হয়ে রক্তে ছড়িয়ে পড়ে। ডা. শম্ভুনাথ দে অত্যন্ত সরল এক পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রমাণ করেন, কলেরার জীবাণু-নিঃসৃত বিষাক্ত পদার্থ জীবাণু-কোষের বাইরে চলে আসে এবং রোগের যাবতীয় লক্ষণ সৃষ্টি করে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের মধ্যে থেকেই। নেচার পত্রিকায় ১৯৫৯ সালে প্রকাশিত তাঁর এই আবিষ্কার একসময় সারা পৃথিবী জুড়ে কলেরা-গবেষকদের মধ্যে আলোড়ন তুললেও এই প্রচার-বিমুখ বিজ্ঞানী তাঁর নিজের দেশে অধিকাংশ মানুষের কাছেই অবজ্ঞাত হয়ে রইলেন। আমার ক্ষোভের সীমা ছিল না, যখন ব্যক্তিগত আগ্রহে তাঁর অবদান সম্বন্ধে বইপত্র ঘাঁটতে গিয়ে আবিষ্কার করলাম, যে-শহরে আমার বাড়ি, সেই শহরেরই এক কোণে তিনি থাকতেন। শহরের নামকরা বিজ্ঞানী হিসেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের নাম ছোটবেলা থেকেই শুনেছি, তাঁকে দেখার সৌভাগ্যও হয়েছে। কিন্তু ডা. দে-র কথা কেউই বলেন নি। এমন কি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক-স্তরের পাঠ্যক্রমে যখন কলেরা নিয়ে পড়তে হয়েছে, তখনও তাঁর নাম ও অবদান উল্লেখ করা হয় নি।

    সন্দেহ নেই, যাঁরা আমাদের শিক্ষা-ব্যবস্থার কর্ণধার, তাঁরা পাঠ্যক্রম তৈরি করার সময় “দেশ-গাঁয়ের খবরটুকুও” অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজন বোধ করেন না। খুব সম্ভবত ওসব খবর তাঁদেরও জানা থাকে না। পারিপার্শ্বিকের সঙ্গে সম্পর্ক-বর্জিত অজস্র তথ্য মুখস্থ করে আমরা প্রশিক্ষণ-প্রাপ্ত তোতাপাখি হয়ে উঠি। এইভাবেই চলছে আমাদের শিক্ষা-ব্যবস্থা। রবীন্দ্রনাথের “শিক্ষা সমবায়” প্রবন্ধে উল্লিখিত এলাহাবাদের স্কুল ছাত্র, রিভারের সঠিক ভৌগোলিক সংজ্ঞা মুখস্থ বলেও নিজের চোখে দেখা কোনও রিভারের দৃষ্টান্ত দিতে পারে নি। এ যুগের অজস্র বই-পড়া অনেক ছেলেমেয়ে চে গোয়েভারার কর্মকাণ্ডের খুঁটিনাটি জানলেও বিপ্লবী চারু বসুর নাম শোনে না, উদ্ভিজ্জ ওষুধের গবেষণায় ডক্টরেট-প্রাপ্ত বিজ্ঞানী থানকুনি পাতা চিনতে শেখেন না।





    ছবি-ঋণ:
    [১]  স্বাগতম দাসের ফেসবুক পোস্ট
    [২] উইকি-মিডিয়া - মূল আর্টিকল, Public Domain, ছবির লিঙ্ক


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৭ আগস্ট ২০২১ | ৩১১৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শিবাংশু | ২৭ আগস্ট ২০২১ ২২:২১497271
  • ভালো লাগলো, 
  • Nirjhar Mukhopadhyay | ২৭ আগস্ট ২০২১ ২৩:৩৪497274
  • পড়ে ভালো লাগলো। এটা সত্যিই দুঃখের যে আমরা গেঁয়ো যোগিদের সম্মান দিতে জানিনা। আমি শিক্ষাবিদ নই। লেখক আমার স্কুলের বন্ধু এবং একজন শিক্ষকও বটে। আশা করবো কিভাবে আমরা এই সমস্যার সমাধান করতে পারি সে ব্যাপারে সে ভবিষ্যতে কিছু সুচিন্তিত প্রবন্ধ লিখবে।
  • Suman Dhar | ২৮ আগস্ট ২০২১ ০৭:০১497281
  • জানলাম। ভালো লাল। আরো লেখার অপেক্ষায় রইলাম। 
  • রাহুল রায় | 173.76.209.230 | ২৮ আগস্ট ২০২১ ০৭:১৫497282
  • মাধব চট্টোপাধ্যায়ের - দুই গেঁয়ো যোগীর কথা 
     
    রবীন্দ্রনাথকে ইয়েতস ও অন্যান্যেরা চিনতে পারলে ও পরে তিনি নোবেল প্রাইজ না পেলে, বিবেকানন্দ অ্যামেরিকায় স্বীকৃতি না পেলে তাঁরা ও বোধহয় 'গেঁয়ো যোগীর'পর্যায়ে থেকে যেতেন।  ডাঃ মহলানবীশ ও দে-র কথা আমি নিজে বিজ্ঞানী হয়েও জানতাম না।  এটা আমার মস্ত আফসোস ও লজ্জার স্বীকৃতি।  আসলে বিজ্ঞানকে সাধারণ জনগণের মধ্যে না আনলে তারা এই কর্ণধারদের চিনবে কী করে?  ক'জন জানেন যে রবীন্দ্রনাথ বিজ্ঞানকে সাধারণের মধ্যে প্রচারে সচেষ্ট ছিলেন ও এই ব্যাপারে ভারতে তিনি একজন অগ্রপথিক? 
     
    ডাঃ মাধব চট্টোপাধ্যায় কে এই সুচিন্তিত প্রবন্ধটি লেখার জন্য ও 'গুরুচন্দালী'-কে এর প্রচারের জন্য অনেক ধন্যবাদ।  
  • Adwitiya | 122.182.197.7 | ২৮ আগস্ট ২০২১ ১২:৪০497298
  • খুব ভালো লাগলো
    আর নিজেদের ওপর লজ্জাই হচ্ছে 
  • ড: প্রণব কুমার ভট্টাচার্য, হায়দ্রাবাদ | 2409:4070:2004:56f3:852a:c275:3a6b:3d07 | ২৯ আগস্ট ২০২১ ২২:০২497361
  • লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগলো. অনেক অজানা তথ্য লেখকের লেখায় সাবলিলভাবে উঠে এসেছে. সরকারের কাছে অনুরোধ থাকবে, যে সব विज्ञानी তাদের কৃতির প্রকৃত অর্থে আমাদের অবহেলায় সম্মানে ভূষিত হননি, তাদের যোগ্য মর্যাদা দেওয়া হোক. 
  • ANIRBAN MITRA | ৩০ আগস্ট ২০২১ ২১:৫২497390
  •  বেশ কয়েক বছর আগে অধ্যাপক দে সম্পর্কে লিখেছিলাম। https://science.thewire.in/science/remembering-sambhu-nath-de-the-medical-man-for-the-blue-death/  প্রতিকূলতার মধ্যে করা দুর্দান্ত গবেষণা। আপনার লেখা পড়ে আবার সেই ভাল-লাগা বিষয় নতুন করে ভাল লাগল। দুজনের কাছেই আমরা ঋণী। লিঙ্ক শেয়ার করছি। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন