এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • যাত্রাপথে

    Mousumi Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১০ আগস্ট ২০২১ | ১৩৭৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)
  • বছরে বেশ কয়েকবার দূরপাল্লার মেল বা এক্সপ্রেসের যাত্রী হওয়ার সুযোগ আমার হয়েই থাকে। ট্রেনে সবসময়ই আমার বড় পছন্দের জালনার ধার। নির্দিষ্ট সীটটি বেশ কিছু ঘন্টার জন্য আমার নিজস্ব পৃথিবীর মতো হয়ে যায়। একই পথে বহুবার আসা যাওয়া করলেও জালনার বাইরের পরিবেশ ও প্রকৃতি  প্রতিবারই আমাকে  নতুনভাবে আকর্ষণ করে থাকে।  বিভিন্ন সময়ে,  বিভিন্ন ঋতুতে সেই বিশেষ যাত্রাপথটি বিভিন্ন রূপ, রসে আমার চোখে ধরা দেয়।  যত বয়স বাড়ছে, ঐ পরিচিত রূপ রসের দুনিয়ার বহু গোপন রহস্য  অন্তরে উন্মোচিত হচ্ছে। বুঝতে পারি এই পাঠশালার পাঠ্যক্রমের কিছুই বিশেষ পড়া হল না আজও।  তাই বারেবারে ইচ্ছে হয় অমনভাবে জালনার পাশে বসে সৃষ্টিকর্তার অতি যত্নে রচিত প্রকৃতিকে দু চোখ ভরে দেখতে, মনের পরতে পরতে অনুভব করতে। যাত্রাপথের এই বাঁধা সময়টিতে মনকে বেঁধে রাখি এই অনুভবের সঙ্গেই।

    এমনই কোনোও একবারের কথা লিখছি। [©মৌসুমী ব্যানার্জী]

    গরমের দুপুর গড়িয়ে বিকেলের দিকে সময়। খাল, বিল, সবুজ ক্ষেত, বড় গাছপালা --- সব পার করে ট্রেন ছুটছে। জালনার বাইরের দৃশ্য সমান তালে বদলাচ্ছে। আকাশ ধীরে ধীরে বেলাশেষের গোলাপী আলোয় সাজাচ্ছে নিজেকে। আরও কিছু পরে গোলাপী রং গাঢ় হল। ক্ষেত, নদী, খাল--- সর্বত্র সেই নরম গোলাপী আলোর পোশাকে মায়াময় হয়ে উঠল। এরই মধ্যে চা-ওয়ালার 'চায় --চায়-- চায়' রব মনকে ট্রেনের কামরার মধ্যে ফিরিয়ে আনল। ট্রেন চলছে। জালনার বাইরে অন্য ছবি। দূরের পাহারশ্রেণী এবার আমার দৃষ্টিপথে। ততক্ষণে আকাশের রঙে কত বৈচিত্র্য! দিনমণি পাড়ি দিচ্ছেন অন্য পৃথিবীর আকাশে। বিদায়বেলার উৎসবে মেতেছে প্রকৃতি। পাহাড়, জঙ্গল, নদী, আকাশ আবীর খেলায় মেতে উঠেছে যেন। সেই রঙের ছোঁওয়া জালনার ভিতরে আমার মনেও লাগল। আহা! মনপ্রাণ কি এক আনন্দে ভরে উঠল।  

    ধীরে ধীরে অন্ধকার নামতে শুরু করল। একটি স্টেশন আসতে ট্রেন থামল। নানারকম শব্দ, হট্টোগোল, লোকজনের নামাওঠার শেষে ট্রেন চলতে শুরু করল। দূরের সেই পাহাড় এখন অনেক কাছে। কালচে ঘন সবুজ জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে ছুটছি। রেললাইনের ধার ঘেঁষে কিছু মাটির কুঁড়ে ঘর দেখা যাচ্ছে। আবছা আলো আঁধারিতে দেখলাম সেই  কুঁড়েঘরগুলির উঠোনে কাঠের আগুন জ্বালিয়ে রান্নার তোড়জোড় চলছে। আমার পরিচিত জগতের বাইরে এ আর এক জগৎ। ঘুটঘুটে অন্ধকারে কাঠের আগুনের শিখা এক অদ্ভুত রহস্যময়তা তৈরী করেছে যেন! এক আদিম পৃথিবীর পরশ পেলাম যেন!

    কিছু পরেই আকাশ  নতুন রূপে  ধরা দিল। পরিষ্কার দূষণমুক্ত আকাশ রাশি রাশি মণি মুক্তোর সাজে সেজে উঠেছে। অজস্র গ্ৰহ, নক্ষত্রের সমাবেশ। যেটুকু দেখা যায় জালনা দিয়ে তাতেই বিভোর হয়ে রইলাম।

    এক জায়গায় কোনোও কারণে ট্রেন থামল। ঝিঁ ঝিঁ পোকার  নানারকমের আওয়াজের সঙ্গে সঙ্গে  দেখলাম আকাশের হীরে, মণি, মুক্তোর সম্ভার রেললাইনের পাশেই! অনেকটা জায়গা জুড়ে! জোনাকী!! মনে তখন রবিঠাকুরের গান ---
    'ও জোনাকী, কী সুখে ওই ডানা দুটি মেলেছ। আঁধার সাঁঝে বনের মাঝে উল্লাসে প্রাণ ঢেলেছ।' 
    মনে মনে ওদের সঙ্গে নিজেও ছোটাছুটি করছি। ট্রেন চলতে শুরু করল। জোনাকীর ঝাঁক অদৃশ্য হয়ে গেল কিন্তু মনের মধ্যে ক্যামেরাবন্দী হয়ে রইল তারা। রবিঠাকুরের গানের লাইন মনে বাজছে তখন ---"তুমি ছোট হয়ে নও গো ছোটো"---

    রাত বাড়বার সঙ্গে সঙ্গে বাইরে আবছা অন্ধকার । চাঁদের আবছা আলো বড় বড় গাছপালার মধ্যে দিয়ে থেকে থেকেই দেখা যাচ্ছে।  এই অবস্থায় খাওয়া সেরে শোবার আয়োজন চলছে পুরো কামরাতেই।  নানারকম কথাবার্তা কামরার মধ্যে। একটি ছোট বাচ্চা থেকে থেকেই  এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছিল। এরই মধ্যে প্যান্ট্রি থেকে বিভিন্ন খাবারের চলমান পসরা, ওদিকে পানি বটল.... অদ্ভুত এক গতিময় জগৎ কামরার ভিতরে। যাই হোক, লাইট নিভিয়ে শুয়ে পড়ছে ধীরে ধীরে লোকজন। আমিও নিজের বেডিং গোছগাছ করে লাইট নিভিয়ে জালনার বাইরে চোখ রাখলাম। আকাশে তখন শুক্লা একাদশীর চাঁদ। মেঘমুক্ত আকাশ। জ্যোৎস্নায় মাঠ প্রান্তর হাসছে। অপূর্ব!! এমন মায়াবী রাত! না শুয়ে বসেই রইলাম। থেকে থেকেই পাহাড়ের সারি। অজানা কারণে ট্রেন থেমে গেল। জালনার বাইরে কিছু দূরেই বেশ উঁচু পাহাড়। পাহাড়ের মাথায়  গ্ৰহ, নক্ষত্রের মুকুট। মুকুটের মাঝখানে  চাঁদ উজ্জ্বল মণির মতো জ্বলজ্বল করছে। পাহাড়ের অঙ্গে জ্যোৎস্নার উত্তরীয়। অদূরেই দেখা যাচ্ছিল একটি নদীর কিছু অংশ। মন তখন কল্পনার জগতে দিশাহারা হয়ে পাড়ি জমাল সেই ছোটবেলার মতো। ঐ তো!  ঐ নদীর বাঁকে যেন পরীদের দল ভীড় করেছে ! জ্যোৎস্নার পোশাক তাদেরও অঙ্গে! তাহলে কি নিছক রূপকথার গল্পেই নয়?  বাস্তবেও? এমন  নিরিবিলি রাতেই  এরা মর্ত্যে অবতরণ করে? কি আনন্দ! আমারও যে ওদের সঙ্গী হতে ইচ্ছে করছে!

    একটা ঝাঁকুনি দিয়ে ট্রেন চলতে শুরু করল। আমারও কল্পনার জগতের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হল। একটু পরেই ঝমঝম করে এল নদীর উপরের ব্রীজ। দেখলাম সেই নদীকে। আকাশ,  চাঁদ, পাহাড় সকলেই নদীর জলের আয়নায় নিজেদের প্রতিবিম্ব দেখছে। তবে নদীর কি তাতে কিছু এল গেলো?  কিসের এত সাজগোজ! জনবসতিহীন এমন সব এলাকায় প্রকৃতি নিশ্চিন্তে নিজের রূপ মেলে ধরে! কার জন্য? 

    কিছু পরেই বড় গাছপালার জঙ্গল শুরু হল। প্রকৃতি যেন মুখ লুকালো ঘন গাছপালার আড়ালে। আমিও শুয়ে পড়লাম। 

    কোনও স্টেশন এলেই ঘুম ভেঙে দেখা আমার অভ্যাস। গভীর রাতে জনশূন্য স্টেশন চত্বর বেশ লাগে দেখতে। প্ল্যাটফর্ম লাগোয়া বেঞ্চে হয়তো কেউ ঘুমিয়ে আছে। কিছু দূরে খান কয়েক কুকুরও এলোমেলো ভাবে  গভীর নিদ্রায়। নিরিবিলি পরিবেশকে খানখান করে সিগন্যাল বেজে উঠে ট্রেন চলল। 

    ভোরবেলায় ঘুম ভাঙল। গন্তব্যের কাছাকাছি এসে যাওয়ায় নামবার প্রস্তুতি শুরু হল। এরই মধ্যে আবার আকাশে রঙের খেলা।  ধীরে ধীরে সূর্যোদয় হচ্ছে। আগের দিনের শেষে  গোলাপী আবীর খেলে যাওয়ার সময় সূর্যদেব প্রকৃতিকে  দিয়ে গিয়েছিলেন রাত পোহালেই ফিরে আসবার আশ্বাস। বীরশ্রেষ্ঠকে বরণ করে নেওয়ার জন্য প্রকৃতির ঝুলিতে তখন মুঠো মুঠো কমলা রঙের সম্ভার। শুরু হল রঙের খেলা। 

    আরও একটি নতুন দিনের সূচনা হল। [©মৌসুমী ব্যানার্জী]


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Sudeshna Sanyal | 202.142.78.134 | ১০ আগস্ট ২০২১ ২০:৪৯496636
  • Khub bhalo  laglo. Ami o train bromon er somoy janlar dhare boshe bairer jagat ta ke dekhte khub bhalobashi.... andhokar hoye jaoyar pore o. Thik lekhika Mousumi r moto! 


    Tobe lekhika r moto ashadharon bhasaye bornona kora ami bhabtei pari na

  • শাশ্বতী মুখার্জী | 2409:4060:2e11:56f7::2dca:a707 | ১০ আগস্ট ২০২১ ২১:৪৩496637
  • অসাধারণ লেখা

  • শিল্পী সান্যাল | 202.142.78.39 | ১১ আগস্ট ২০২১ ১৫:২৫496659
  • বাহ খুব ভালো লাগলো

  • MANISHA DEB SARKAR | 2405:201:800d:961:b578:522:7013:af4d | ১২ আগস্ট ২০২১ ১৮:৪৬496692
  • খুব সুন্দর লেখা I  পড়তে পড়তে মনে হলো আমিও যাত্রী হয়ে চলেছি I লেখা  সব ছবি হয়ে চোখের সামনে ফুটে উঠেছে I  

  • সেঁজুতি | 2409:4060:2e0a:eb3a:68b9:e136:20cc:1009 | ১২ আগস্ট ২০২১ ২১:৪১496699
  • খুব ভালো লাগল। আরও লিখুন।

  • Kasturi Das | ১৪ আগস্ট ২০২১ ২২:২৬496765
  • বার বার তোমার লেখা পড়তে মন চায়। খুব সুন্দর লেখা। এমন আরো লেখো।

  • বিপ্লব রহমান | ২১ আগস্ট ২০২১ ১১:৩১496950
  • অপূর্ব গতিশীল লেখনি। গ্রাহক হলাম

  • Mousumi Banerjee | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ২২:৪৫506172
  • লেখাটি পড়ে মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ সকলকে।
  • Swati Chakraborty | ১৩ এপ্রিল ২০২২ ১১:৫২506296
  • খুব ভাল লাগল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন