এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • বঙ্কিমচন্দ্র কমলাকান্ত ও আমরা

    Lipikaa Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৭ জুন ২০২১ | ১৬৪১ বার পঠিত
  • বঙ্কিমচন্দ্র, কমলাকান্ত আর আমরা...
     
    যেদিন হইতে কমলাকান্তের দপ্তরে আসিয়া  পড়িয়াছি, সেই দিন হইতে বঙ্কিমচন্দ্রকে লইয়া লিখিতে বসিলে চলিত ভাষা ভুলিয়া যাই। কমলাকান্ত আফিম খাইয়া নিজে নেশা করিয়াছে, আমাকেও নেশায় ফেলিয়াছে (চারিত্রিক দোষ খুঁজিবেন না  আবার )। আজ বঙ্কিমচন্দ্রের জন্মদিন। জীবিত থাকিলে উনার বয়স হইত একশত তিরাশি বা চুরাশি বছর এবং গিনিস বুকে নাম উঠিত। আমাদের দুর্ভাগ্য যে মাত্র পঞ্চান্ন বছর বয়সে উনি ইহলোক ছাড়িয়াছেন। জন্মদিন বলিয়াই আজকের দিনে উহাকে লইয়া এক কলম লিখিতে ইচ্ছা হইল। 
    এদিকে না লিখিলে এডমিন তাড়া করিবেন, পাঠক চিন্তায় পড়িবেন আমাকে করোনা সর্প দংশাইয়াছে ভাবিয়া। সমালোচকরা ভাবিবেন বিদ্যা শেষ হইয়াছে। তাহাদের কী করিয়া বুঝাই লেখার উদ্দেশ্য বিদ্যাদান আর জ্ঞান প্রকাশ নহে। শুধু বিদ্যা হইতে লেখা আসিতে পারে না, লেখা আইসে ভাবনা হইতে, হৃদয় হইতে। ভাবনার দ্বারা হৃদয়ের অন্তঃস্থলে রস উৎপন্ন হইয়া যখন মস্তিষ্ক ভ্রমণ করিয়া তর্জনী ও বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা কলমের ডগায় আইসে, থুড়ি  শুধু তর্জনী মোবাইলের কী প্যাড স্পর্শ করিয়া থাকে তখনই লেখা আইসে। যখন তখন লেখা আসিতে পারে না।  তবে সকলের লেখা যে রসাস্বাদন যোগ্য হয় না তাহা আমার লেখা পড়লেই বুঝিবেন। তবু তো অন্তর হইতে লিখিতেছি !!! 
    যে কথা কহিতেছিলাম, বঙ্কিমচন্দ্রের কথা। নৈহাটির কাঁঠালপাড়ার বঙ্কিমচন্দ্রের বসতবাড়ি বেশ কয় বার গিয়াছি। নীলের উপবাস করিয়া ঐ বাড়ির শিবমন্দিরে লিঙ্গরাজের মস্তকে জল ঢালিতে। তথায় অনেক গল্প শুনিয়াছি। তাঁহার প্রথম প্রেমের গল্প। তাঁহার প্রথম পক্ষের পিত্রালয়  নারায়ণপুরও নিকটেই। শুনিয়াছি প্রথম পক্ষ পিত্রালয় থাকিলে বিরহে কাটাইতেন, (বর্তমানে পতিগণ ভার্যাকে পিত্রালয় পাঠাইতে পারিলে নটরাজ গৃহে প্রবেশ করেন)। একবার এতটাই অস্থির হইয়াছিলেন যে  রাত্রিকালে দৌড়াইয়া শ্বশুরালয়ে পৌঁছাইয়াছিলেন। শিবপূজার তিথিতে এমন প্রেমিক- স্বামীর গল্প বেশ লাগিয়াছিল। প্রথম পত্নীর অকাল প্রয়াণ, খোঁপায় দেওয়া সোনার কাঁটা যত্ন করিয়া রাখা, প্রথম পক্ষের স্মৃতি ভুলিতে না পারায় বহুদিন দ্বিতীয় পক্ষকে সে কাঁটা দিতে না পারা এ সব হৃদয় কম্পিত গল্প আমায় পুলকিত করিয়াছিল। সবই শুনিয়াছিলাম। তাঁহার বাড়ির রাধা মাধবের মন্দিরে রথের দিন পূজাও দিয়াছি। ঐ “রথের রশি” লিঙ্গ, বর্ণ ভেদে সকলেই টানিতে পারে। আমিও টানিয়াছি। ঐ রথের মেলা দেখিয়া তাঁর “রাধারাণী”কে মনে পড়িত। কর্দমাক্ত রাস্তায় বার বার পড়িতেছিল, আর উঠিতেছিল। বৃষ্টির জল আর চোখের জল মিশিতেছিল। এখনও কত “রাধারাণী” বাঁচা আর বাঁচানোর আশায় জীবনের দুর্গম রাস্তার পড়িতেছে আর উঠিতেছে! বঙ্কিমচন্দ্র নারীদের লইয়া একটি প্রবন্ধ লিখিয়াছিলেন “সাম্য”। তথায় বাংলার তৎকালীন নারীর দুর্দশার কথা তুলিয়া ধরিয়াছিলেন। মিলের “অন অবজেকশন অফ ওমেন” গন্থ হইতে প্রেরণা পাইয়াছিলেন। তিনি লিখিলেন, “এখানে রমণী পিঞ্জরাবদ্ধ বিহঙ্গিনী”। আবার ইনিই বিধবা বিবাহ মানিয়া লইতে পারিলেন না।  পরে নিজেই “সাম্য” এর  প্রকাশ বন্ধ করিলেন।
    তাঁহার প্রথমদিকের রচনায় রুশো, বেন্থাম, মিল, কোঁতের প্রভাব পড়িয়াছিল, সমাজচেতনা ও রাজনৈতিক ভাবনা তাঁহার রচনায় প্রকাশ পাইলেও শেষ বয়সে গীতা’র প্রভাব পড়িয়াছিল। তাই একদিকে তিনি লিখিলেন “সাম্য” ও “বঙ্গদেশের কৃষক”। লিখিলেন, 
    “জীবের শত্রু জীব, মনুষ্যের শত্রু মনুষ্য, বাঙালী কৃষকের শত্রু বাঙালী ভূস্বামী”। 
    পরের দিকে লিখিলেন,
     “আমি নিজেও কৃষ্ণকে স্বয়ং ভগবান বলিয়া দৃঢ় বিশ্বাস করি”। 
    এই বিশ্বাসকে তিনি অভিনব যুক্তিবুদ্ধির দ্বারা প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন। বহু শাস্ত্র, বহু তথ্য, তত্ত্বের সাহায্য লইয়া কৃষ্ণকে আদর্শ মানুষ বলিয়া প্রমাণ করিয়াছেন। তিনি কৃষ্ণকে দেখাইলেন, “কৃষ্ণ সংসারী, গৃহী, রাজনীতজ্ঞ, যোদ্ধা, দণ্ডপ্রণেতা, তপস্বী, এবং ধর্মপ্রচারক। সংসারী ও গৃহীদিগের, যোদ্ধাদিগের, রাজপুরুষদিগের, তপস্বীদিগে, ধর্মবেত্তরদিগের এবং একাধারে সর্বাঙ্গীন মনুষ্যত্বের আদর্শ”। 
    আপনি আবার ভাবিতেছেন রাধা আর কৃষ্ণকে লইয়া পড়িয়াছি। না না বৈষ্ণব পদাবলী লইয়া আলোচনা করিব না। বরং তাঁহার প্রবন্ধের প্রসঙ্গে আসি।
     ইহাতেও কমলাকান্তের অবদান আছে, সাহিত্যের বড়বাজারে সব চেয়ে বড় দোকানে সেই লইয়া গিয়াছিল। প্রবন্ধ চিনাইল। ঐ যে লেখার কথা বলিতেছিলাম!!! তাঁহার বিবিধ বিষয় লইয়া বিবিধ জ্ঞান রহিয়াছে। তাহাতে বিজ্ঞান, ইতিহাস ও রহিয়াছে।  হ্যাঁ,  “বাংলার ইতিহাস সম্বন্ধে কয়েকটি কথা” প্রবন্ধে লিখিলেন, “বাঙালীর ইতিহাস চাই। নাহলে বাঙালী কখন মানুষ হইবে না।“
    আবার “বাঙলার ইতিহাস” প্রবন্ধে লিখিলেন, “ সাহেবরা যদি পাখি মারিতে যান, তাহার ইতিহাস লিখিত হয়, কিন্তু বাঙলার ইতিহাস নাই।“ গবেষণা করিয়া যুক্তি দিয়া,  সত্য ও নিরপেক্ষ ইতিহাস লেখার কথা বলিয়াছেন। ইতিহাস চর্চার মাধ্যমে জাতিকে পুনরুত্থানের কথা কহিয়াছেন। “ভারত কলঙ্ক”, “বাঙলার ইতিহাস”, “বঙ্গে ব্রাহ্মণাধিকার”, “আর্য জাতির সূক্ষ্মশিল্প” পড়িয়া দেখিতে পারেন। তবে আমি কিন্তু সেই কমলাকান্তেরই ভক্ত। উনার সম্পর্কে বেশি কহিলে তো আবার কী সব ভাবিবেন!!! থাক!!
    বঙ্কিমচন্দ্র বিজ্ঞান লইয়াও লিখিয়াছেন, জ্যোতির্বিদ্যা, পদার্থ বিদ্যা, রসায়ন, ভূ-বিদ্যা, তাঁর আলোচ্য বিষয় হইয়াছে।  উনি তো আর আমার মত ফেসবুকে সময় কাটাইতেন না, কাহার গাড়ি হইল, কাহার বাড়ি হইল তাহা দেখিয়া আর নিজের কী না হইল তাহা লইয়া আফশোস করিবার সময়ও পাইতেন না। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন যে।। কত বড় বড় কর্তব্য সামলাইয়াছেন। দেশ বিদেশ ঘুরিয়া চাকুরি করিয়াছেন। আবার বড় বড় বইও পড়িতেন। পাশ্চাত্য বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত তথ্য ভালো করিয়া পড়িয়াছিলেন।  তাহাদের তথ্যের উপর ভিত্তি করিয়া লিখিয়াছিলেন "বিজ্ঞান রহস্য "। তিনি লিখিলেন, 
    “বিজ্ঞান আমাদিগকে বলিতেছে, আমি যাহা তোমার কাছে প্রমাণের দ্বারা প্রতিপন্ন করিব তুমি তাহাই বিশ্বাস করিও, তাহার তিলটি অধিক বিশ্বাস করিলে তুমি আমার ত্যাজ্য”। 
    চলিয়া যাইবার চেষ্টা করিতেছেন কেন!! 
    লেখা লইয়া লিখিতে আসিয়া জ্ঞান দিতেছে বলিয়া, না?  তবে একবার আমাকে কমলাকান্ত সাহিত্যের  বড়বাজার লইয়াগিয়াছিল, আফিম কিনিতে না, বিবিধ জ্ঞান কিনিতে। বিবিধ বলিতেই বঙ্কিমচন্দ্রের বিবিধ প্রবন্ধের কথা স্মরণ হইল। যাহা রচনা করিবেন তাহা কেমন করিয়া করিবেন তাহা লিখিয়াছিলেন। “বিবিধ সমালোচনা”(1976) ও “প্রবন্ধ পুস্তক”(1979) একত্র করিয়া “বিবিধ প্রবন্ধ”(1987) লিখিয়াছেন। ইহা সাহিত্য ও ভাষা বিষয়ক প্রবন্ধ, আরো নির্দিষ্ট করিয়া বলা যায় “সাহিত্য তত্ত্ব সম্পর্কিত  প্রবন্ধ  “ বাঙালার   নব্য লেখকদের প্রতি নিবেদন”। পরবর্তী প্রজন্মকে সফল লেখক হইবার উদ্দেশ্যে কিছু উপদেশ দিয়াছিলেন আর কি! এই প্রবন্ধে সাহিত্যের উদ্দেশ্য, রীতি, এবং সাহিত্য বিষয়ক কতগুলি প্রয়োজনীয় বিষয়ে জ্ঞান রহিয়াছে।  অধিকমূল্য ধার্য করায় কিনিতে পারলাম না। তাই দোকানদারের চক্ষের আড়ালে মুখস্ত করিলাম।
    যাহা তিনি লিখিয়াছেন তাহা সহজে লিখিতেছি। না বরং যাহা নিষেধ করিয়াছেন তাহা বলিতেছি । তিনি লিখিয়াছেন, যশের লাগিয়া লিখিবেন না। আবার এও লিখিয়াছেন অর্থের লাগিয়া লিখিবেন না।
    -তাহা হইলে কীসের লাগিয়া লিখিব?
    - আ হা হা ..চটিয়া যাইতেছেন কেন?
    - যশ খ্যাতি কে না চাহে। লিখিয়া হয় যশ না হয় অর্থ একটা তো চাই ই চাই।
    - আর একটু শুনিয়া যান, সংক্ষেপে বলিব।
    যাহা অসত্য, ধর্ম বিরুদ্ধ, এবং পরনিন্দা, পরপীড়ন  স্বার্থসাধন হবার উদ্দেশ্য তাহা পরিহার করিবেন।
    যে বিষয়ে আপনার অধিকার নাই তাহা লিখিবেন না। যাহা লিখিবেন তাহা হঠাৎ ছাপাইবেন না। অলঙ্কার প্রয়োগ ও রসিকতার জন্য চেষ্টা করবেন না।
    -এই যে আপনি রসাইয়া লিখিতেছেন তাহার কী হইবে?
    - ( ফাঁসিয়াছি ! ) আমি তো লেখক নহি,  সাহিত্যের শিক্ষার্থী,  আমাদের ইহা না মানিলেও হইবে। সব গুলাইয়া দিলেন তো!!! হ্যাঁ তাহার পর লিখিলেন,  লিখিবার সময় বিদ্যা প্রকাশের চেষ্টা করিবেন না।
    - বর্তমানে তথ্য না  রাখিলে কেহ পড়িবে না। সমৃদ্ধ হইলাম,  সমৃদ্ধ হইলাম কমেন্টস আসিবে কেমনে?
    -আবার থামাইয়া দিতেছেন তো!  আপনি সমৃদ্ধ না হইয়া অন্যকে সমৃদ্ধ করিবেন কেমনে? আগে তো নিজে সমৃদ্ধ হউন।
    শুনুন আর একটা বিশেষ কথা। তিনি লিখিলেন, যে স্থানটি অলঙ্কার বা ব্যঙ্গ বড় সুন্দর মনে হইবে সেই স্থানটি বন্ধুকে দুই বার পড়িয়া শোনাইবেন না। যে কথার প্রমান দিতে পারিবেন না তাহা লিখিবেন না।
    -তাহার অর্থ ইউরোপ আমাদের পশ্চিমে, এটা লিখিলে ছাদে গিয়া পশ্চিমে মুখ করিয়া ইউরোপের ছবি না তুলিতে পারিলে লিখিব না?
    আপনি সকল কথার জট পাকাইতেছেন। কোন পুথিতে পড়িয়াছেন তাহা লিখিলেই হইবে।
     আরও লিখিয়াছেন, কাহাকেও অনুকরণ করিবেন না। 
    -বঙ্কিমচন্দ্রকে বিশেষ শ্রদ্ধা করি ঠিকই। কিন্তু উনার সবকটা পরামর্শ মানিতে পারিতেছি  না। 
    -মানিতে কে বলিয়াছে। শুনিলেই হইবে। কর্নের ভিতর দিয়া ঠিক একদিন মর্মে পৌঁছাইবে। শেষেরটি শুনুন, তিনি লিখিলেন, যদি মনে করেন লিখিয়া দেশ ও জাতির কিছু মঙ্গল সাধন করিতে পারিবেন অথবা সৌন্দর্য সৃষ্টি করিতে পারিবেন তাহা হইলে লিখিবেন।
    -এতক্ষণে একটি কাজের কথা কহিয়াছেন। 
    আরো আছে, ভাষা সম্পর্কে লিখিয়াছেন, ভাষা সরল হওয়া বাঞ্ছনীয়। সকল অলঙ্কারের শ্রেষ্ঠ অলঙ্কার সরলতা। সত্য ও ধর্ম সাহিত্যের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত বলিয়া তিনি অভিমত দিয়াছেন।
    পরবর্তীতে অধিক পরিমানে সুন্দর লেখক দেশ ও জাতির মঙ্গল করিতে পারে তাহার প্রচেষ্টা করিয়াছেন। মাণ্য করা বা  অমাণ্য করা আপনার বিবেচনা। উনি সাহিত্য সম্রাট। অকারণে তো আর তাহাকে কেহ উক্ত উপাধি দেন নাই। ওনাকে লিখিয়া অর্জন করিতে হইয়াছে। কলমের জোর না থাকিলে সাহিত্য সম্রাট হওয়া যায় না। এ সব অবশ্য আমি জানিতাম না। আমাকে কমলাকান্ত শিখাইয়াছে। কমলাকান্তের কতগুলি পড়শি আছে প্রসন্ন গোয়ালিনী, ভীষ্মদেব খোসনোবীশ, নসীরাম বাবু। ওর একটি বিড়াল আছে সে আমাকে ধর্ম শিখাইয়াছে। “পরোপকারই পরম ধর্ম”। ঐ যে  তখন কথা হইতেছিল সাহিত্যের উদ্দেশ্য সত্য আর ধর্ম হওয়া উচিত। সেই কারণে কহিলাম আর কী। ওহ, কমলাকান্তের একটি পতঙ্গ আছে, সে কহিয়াছে, মানুষ মাত্রেই পতঙ্গ । সকলের এক একটি বহ্নি আছে। সকলেই সেই বহ্নিতে পুড়িয়া মরিতে চাহে। সকলেই মনে করে সেই বহ্নিতে পুড়িয়া মরার তার অধিকার আছে। “ কেহ মরে, কেহ কাঁচে বাধিয়া ফিরিয়া আসে”।
    বহ্নির আকর্ষণে বঙ্কিমচন্দ্রের রাধা না মরিলেও, বৈষ্ণব দের রাধা মরিয়াছে। রাধার জন্য কৃষ্ণ -বঙ্কিমচন্দ্র  প্রেমবহ্নির আকর্ষণ বোধ করিয়া রাত্রে অভিসার করিয়াছেন। আবার তাঁহার কৃষ্ণ বহ্নি হইয়া সকলকে আকর্ষণ করিতেছে। বঙ্কিমচন্দ্রও সমাজদর্শন, বিজ্ঞান, ইতিহাস, কৃষকদের ছাড়িয়া গীতায় আকৃষ্ট হইয়াছেন। কমলাকান্তের সহিত সাহিত্যের বিবিধ বাজারে গিয়া আমি এমনি চকিত হইলাম এই অনুপাদেয় প্রবন্ধ লিখিতে আকৃষ্ট হইলাম। আমরা সবাই বহ্নিতে আকৃষ্ট হই। অবশ্য এ সব আমাকে কমলাকান্ত শিখাইয়াছে।
    কমলাকান্তের কথা বেশি বলিলে তো আবার ভাবিবেন...যাহা হউক আসিতেছি!!!
    তথ্যসূত্র: 
    বঙ্কিম সাহিত্য সমগ্র
     
    -
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৭ জুন ২০২১ | ১৬৪১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রঞ্জন রায় | 2405:201:4011:c8cc:2db2:aa90:81d3:7373 | ২৭ জুন ২০২১ ০৭:১৫495340
  • সুন্দর লেখা। কমলাকান্তের দপ্তর মুচিরাম শ্রীকৃষ্ণ চরিত্র বাদ দিয়ে বাকি প্রবন্ধগুলো আবার পড়ব।

  • Lipikaa Ghosh | ০৭ জুলাই ২০২১ ১৯:২৫495660
  • ধন্যবাদ 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন