এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা   বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

  • কোভিড ১৯ঃ পরীক্ষাগারে তৈরি, না প্রাকৃতিক উপায়ে সংক্রামিত (zoonotic transmission)? 

    dc
    আলোচনা | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ০৬ জুন ২০২১ | ৪৩৮৮ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • ২০২০ সালে সারা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে কোভিড-১৯ অতিমারী, যার ফলে অনেকগুলো দেশে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়, বহু মানুষ মারা যান, আর্থিকভাবে ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্ত হন আরও অনেকে। হু এর টাইমলাইন ধরলে গত বছর জানুয়ারি মাসে চীনের উহান কাঁচাবাজারে (যেখানে সব্জি, ফলমূল, মাছমাংস, বন্যপ্রাণী ইত্যাদির কেনাবেচা হয়) প্রথম সংক্রমনের খবর পাওয়া যায়। তারপর অতিদ্রুত তা অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে। টাইমলাইন চাইলে এখানে দেখতে পারেনঃ 


    https://www.who.int/news/item/29-06-2020-covidtimeline


    এই অতিমারীর ফল কি হয়েছে তা আমরা সবাই জানি, কিন্তু মুশকিল হলো, এটা কিভাবে শুরু হয়েছিল সে নিয়ে যথেষ্ট পরিমাণ ধোঁয়াসা রয়ে গেছে। অথচ এই শুরুটা জানা অত্যন্ত জরুরি, কারন তাহলে আমরা এর পরের এরকম কোন সংক্রমণ থেকে সাবধান হতে পারবো। 


    প্রায় প্রথম থেকেই দুটি সম্ভাব্য হাইপোথিসিস নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিলঃ 


    ১। সার্স-কোভ-২ জীবানু বাদুড়ের দেহে পাওয়া যায়, অন্য অনেকগুলো সার্স ভাইরাসের মধ্যে এটি একটি। এরকম কিছু বাদুড় হয়তো উহানের কাঁচাবাজারে আনা হয়েছিল, সেখানে এই জীবানুটি প্যাঙ্গোলিন বা ঐ জাতীয় কোন প্রাণীকে ইনফেক্ট করতে সক্ষম হয়, এবং সেখান থেকে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। একে বলা হয় স্পিসিস জাম্প বা zoonotic transmission. এর আগেও এরকম হয়েছে, উদাহরন অ্যানথ্রাক্স আর ইবোলা। এর বহু কারন আছে, যার মধ্যে ক্লাইমেট চেঞ্জ একটা কারন (চাইলে এই রিভিউ পেপারটা পড়ে দেখতে পারেনঃ https://ehp.niehs.nih.gov/doi/full/10.1289/ehp.0901389)


    ২। সার্স-কোভ-২ ল্যাবে ইন্ঞ্জিনিয়ার্ড বা পরিবর্তিত একটি ভাইরাস। বাদুড়ের থেকে পাওয়া কোন ভাইরাস সংগ্রহ করে (সন্দেহ করা হচ্ছে এটি RaTG13 ভাইরাস) তার ওপর গেইন-অফ-ফাংশান পরীক্ষা চালানো হয়, সেটিকে অনেক বেশী সংক্রামক বানানো হয়, তারপর কোনভাবে সেটি উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি বা WIV এর ল্যাব থেকে ছড়িয়ে পড়ে। 


    এই টইটাতে এগুলো নিয়ে বিশদে আলোচনার ইচ্ছে আছে, অন্যদেরও যোগ দিতে অনুরোধ করছি। তবে তার আগে কয়েকটা ডিসক্লেমার দিয়ে দিঃ 


    আমি নিজে বায়োলজি, ভাইরোলজি ইত্যাদি নিয়ে খুব কম জানি, কাজেই অনেক ভুল করবো, অন্যরা সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দিলে ভালো হয়। আর এই আলোচনায় যেটা চেষ্টা করবো সেটা হলো, "ফলো দ্য সায়েন্স, নট দ্য সায়েনটিস্ট"। অর্থাত ফ্যাক্ট নিয়ে আলোচনা করবো আর কিছূ যুক্তিনির্ভর স্পেকুলেশানও থাকবে, কিন্তু কনস্পিরেসি থিওরি না হয়ে যায় সেই চেষ্টা করবো। 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • π | ০৬ জুন ২০২১ ২৩:৩০734486
  • আরে এই তো!  চলুক! 

  • dc | 122.164.28.232 | ০৬ জুন ২০২১ ২৩:৩৯734487
  • এই দুটো হাইপোথিসিস এর সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করার আগে এদের টাইমলাইন নিয়ে আলোচনা করা যাক। 


    প্রায় প্রথম থেকেই সব দেশের মেইনস্ট্রিম বা অফিসিয়াল মিডিয়া হাইপোথিসিস ১ এর ওপর জোর দিয়েছে। ওপরের হু টাইমলাইনে দেখা যাচ্ছে, ১৪ জানুয়ারি ২০২০ তে হু প্রথম বলে যে মানুষ-থেকে-মানুষে সংক্রমন এর সম্ভাবনা আছে, যদিও একইসাথে বলা হয় যে চীনেদের মতে এরকম কোন প্রমান পাওয়া যায় নি। পরে অবশ্য দেখা যায় যে ততোদিনে উহানে প্রচুর সংক্রমন হয়েছে, ১ জানুয়ারি উহানের ঐ কাঁচা বাজারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, অর্থাত তদ্দিনের চীনেরা বুঝে গেছেন যে হিউম্যান টু হিউম্যান সংক্রমন হচ্ছে (খেয়াল করবেন, আমরা এখনো হাইপোথিসিস ১ এর টাইমলাইনে আছি)। ফেব্রুয়ারি নাগাদ ইউএন এর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের প্রথম বৈঠক হয়, সেখানেও ঘোষনা করা হয় যে সম্ভবত উহানের কাঁচাবাজার থেকেই এই সংক্রমন শুরু হয়েছে। 


    এর পরেই একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে, যার ফলে মোটামুটিভাবে অফিসিয়াল বা সায়েন্টিফিক কনসেনসাস তৈরি হয় যে কোভিড-১৯ হলো জুনটিক ট্রান্সমিশানের ফল। ল্যান্সেট জার্নালে Dr. Peter Daszak এবং আরও ২৬ জন চিঠি লিখে ঘোষনা করেন, জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা করে বোঝা যাচ্ছে যে সার্স-কোভ-২ এর উদ্ভব প্রাকৃতিকভাবেই হয়েছে, ল্যাবে নয়ঃ We stand together to strongly condemn conspiracy theories suggesting that COVID-19 does not have a natural origin. Scientists from multiple countries have published and analysed genomes of the causative agent, severe acute respiratory syndrome coronavirus 2 (SARS-CoV-2), and they overwhelmingly conclude that this coronavirus originated in wildlife, as have so many other emerging pathogens. 


    https://www.thelancet.com/journals/lancet/article/PIIS0140-6736(20)30418-9/fulltext 


    এখানে সংক্ষেপে Dr. Peter Daszak এর পরিচিতি লিখে রাখা যাক, পরে কাজে দিতে পারে। ইনি ইকো হেল্থ অ্যালায়েন্স নামের একটি এনজিওর প্রেসিডেন্ট, আর সারা পৃথিবীতে এই এনজিওটি নানান গবেষনার কাজে যুক্ত আছে। আমেরিকান সরকার এই সংস্থাকে অনেক মিলিয়ন ডলার লোন দেয় আর ইকো হেল্থ আবার সেই গ্র‌্যান্টের টাকা অনেক সংস্থাকে দেয়। ২০১৪ সালে ডঃ আউচির সংস্থা NIAID ইকো হেল্থকে প্রায় চার মিলিয়ন ডলার গ্র‌্যান্ট দেয় (এর মাত্র পাঁচ মাস পর ওবামা সরকার গেইন-অফ-ফাংশান রিসার্চের ওপর মোরাটোরিয়াম ঘোষনা করেছিলেন), আর সেই টাকার কিছু অংশ পাঠানো হয় উহানের WIV ল্যাবে। তখন থেকেই ডঃ ডাশাক আর WIV এর ডিরেক্টর বাদুড়দের থেকে পাওয়া ভাইরাসের ওপর গবেষনা চালিয়েছেন, আর তার মধ্যে গেইন-অফ-ফাংশান রিসার্চও ছিল। মুশকিল হলো, ডঃ ডাশাক ল্যান্সেট এ যে চিঠি লিখেছিলেন তাতে এই কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট এর কথা তো বলেনইনি, বরং পরে দেখা যায় যে উনিই এই চিঠির মূল উদ্যোক্তাদের মধ্যে ছিলেন (এটা নিয়ে আমরা হাইপোথিসিস ২ এ আরও আলোচনা করবো)। 


    যাই হোক, ল্যান্সেট এ চিঠি প্রকাশ হওয়ার পর প্রায় সকলেই মেনে নেন যে সার্স-কোভ-২ এর ন্যাচারাল অরিজিন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। সায়েনটিস্টদের মধ্যে এই কননসেনসাস তৈরি হওয়ার একটা পরোক্ষ কারনও ছিল - সেটা হলো, রাইট উইং লোকজন আর বিশেষ করে ট্রাম্প তদ্দিনে কনস্পিরেসি থিওরি বানিয়ে ফেলেছেন যে সার্স ভাইরাস চীনেরাই ছড়িয়েছে, এভাবেই ওরা আমেরিকার (বা ট্রাম্পের) ক্ষতি করতে চায়। এই জেনোফোবিয়ার সামনে দাঁড়িয়ে স্বাভাবিকভাবেই শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষরা হাইপোথিসিস ১ এর দিকেই ধুঁকে পড়েছেন। এবং এখনও পর্যন্ত এই হাইপোথিসিস এর দিকেই বিজ্ঞানীরা বেশী ঝুঁকে আছেন, বায়োলজিস্ট বা ভাইরোলজিস্টদের একটা বড়ো অংশ এখনও মনে করেন সার্স-কোভ-২ এর প্রাকৃতিক উদ্ভবের সম্ভাবনাই বেশী। 


    এবার আমরা হাইপোথিসিস ২ এর টাইমলাইন নিয়ে আলোচনা করবো, কারন "বৈজ্ঞানিক পথ" অনুসারে সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা উচিত, আর অকামস রেজর দিয়ে হাইপোথিসিস ২ এখনও অবধি খন্ডন করা যাচ্ছে না।   

  • dc | 122.164.28.232 | ০৬ জুন ২০২১ ২৩:৫৮734488
  • ২০১৪ সালে ডঃ ফাউচির সংস্থা

  • &/ | 151.141.85.8 | ০৭ জুন ২০২১ ০৩:২২734489
  • এইটা খুব ভালো টই হয়েছে। সাগ্রহে পড়ছি। যেকোনো আপডেট এলেই পড়ে ফেলব।

  • dc | 171.49.175.246 | ০৭ জুন ২০২১ ০৯:৫৪734490
  • হাইপোথিসিস ২ আসলে বেশ কিছু "সারকামস্ট্যানশিয়াল এভিডেন্স" এর সমষ্টি। আর এই হাইপোথিসিস এর ভিত্তি হলো এই প্রশ্নঃ উহানে WIV অবস্থিত, যেখানে মূলত বাদুড়দের ভাইরাস নিয়ে গেইন-অফ-ফাংশান রিসার্চ হয় (এটা নোন ফ্যাক্ট, এই ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর Dr. Shi Zheng-Li "ব্যাট ওম্যান" নামে খ্যাত, চীনে এবং বিদেশেও ওনাকে প্রথম সারির ভাইরোলজিস্ট হিসেবে গণ্য করা হয়), আর ঠিক সেই উহানেই  কোভিড ১৯ এর আত্মপ্রকাশ, এটা কি নিতান্ত কাকতালীয়, নাকি এই দুয়ের কোন যোগসূত্র আছে? প্রসঙ্গত মনে করা যেতে পারে সেই অমর উক্তি, "Of All The Gin Joints In All The Towns In All The World, She Walks Into Mine" which was not so coincidental after all. এবার গেইন-অফ-ফাংশান নিয়েও দুয়েকটা কথা বলে নেওয়া যাক। আমাদের মতো ম্যাংগো পাবলিকের জন্য, এর মানে হলো ভাইরাস বা প্যাথোগেনকে ল্যাবে এমনভাবে মিউটেট করানো যাতে সেটার নতুন কিছু ফাংশান প্রাপ্তি হয়। এই রিসার্চ আমেরিকা আর চীনের ল্যাবে অনেকদিন ধরেই চলছে, আর আমেরিকার সরকারও নানান সংস্থার মাধ্যমে (যার একটি হলো ইকো হেল্থ অ্যালায়েন্স) WIV এবং অন্যন্য ল্যাবে গ্র‌্যান্ট দিচ্ছে। কিন্তু ২০১২ সালে ওবামা সরকার এই রিসার্চের ফান্ডিং বন্ধ করে দেয় (অবশ্যই লুপহোল রেখে), কারন জাপানী বিজ্ঞানীরা একটি পেপার পাবলিশ করেন, যাতে দেখানো হয় কিভাবে H5N1 ভাইরাস এই গেন অফ ফাংশানের মাধ্যমে পাখিদের থেকে মানুষদের মধ্যে চলে আসতে পারে। 


    এই সেই পেপারঃ https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC3388103/   


    এর পর অনেক হৈচৈ হয়, ফলে গেন অফ ফাংশান রিসার্চ কিছুটা লুকিয়ে, কিছুটা অন্য নাম দিয়ে চলতে থাকে। তো প্রথম যখন সার্স-কোভ-২ সংক্রমন এর খবর আসতে থাকে, তখন ওয়াকিবহল অনেকের মনেই প্রশ্ন ওঠে। এদের মধ্যে একজন প্রাক্তন সিডিসি ডিরেক্টর Dr. Richard Ebright, যিনি জানতেন যে বাদুড়দের নিয়ে ওরকম রিসার্চ পৃথিবীতে মাত্র তিনটে ল্যাবে হচ্ছেঃ টেক্সাস, নর্থ ক্যারোলিনা, আর উহান। ভ্যানিটি ফেয়ার এর রিপোর্ট অনুসারে, আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টেও এটা নিয়ে তদন্তের দাবী ওঠে। কিন্তু আমেরিকারই অন্যান্য সংস্থা বা ইনটেলিজেন্স এর তরফ থেকে এই তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার প্রবল চেষ্টা করা হয়, কারন তাহলে আমেরিকার গেন-অফ-ফাংশান রিসার্চ নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। এর পর ল্যান্সেটের পেপার বেরোয়, যার ফলে এই তদন্তের দাবী আরও স্তিমিত হয়ে আসে। আর ৩০ এপ্রিল ২০২০ তে ট্রাম্প স্বয়ং প্রেস কনফারেন্স ডেকে ঘোষনা করে দেন যে এই ভাইরাস উহান থেকেই এসেছে, তিনি এই বিষয়ে ইনটেলিজেন্স রিপোর্টও দেখেছেন কিন্তু সেটা প্রকাশ করতে পারবেন না। ফলে আমেরিকার এস্টাব্লিশমেন্ট আর ইনটেলিজেন্স কমিউনিটি "ল্যাব লিক হাইপোথিসিস" এর ঘোরতর বিরোধী হয়ে ওঠে। (এই প্রেস কনফারেন্স নিয়ে দ্য গার্ডিয়ান এর প্রতিবেদনঃ https://www.theguardian.com/us-news/2020/apr/30/donald-trump-coronavirus-chinese-lab-claim) 


    যাই হোক, কিছু রিসার্চার, ডেটা অ্যানালিস্ট বা এমনকি আম আদমির মনেও প্রশ্ন উঠতেই থাকে, বিশেষত কারন হাইপোথিসিস ১ এর পক্ষে তখনও অকাট্য কোন প্রমান পাওয়া যায় কি। যে ইন্টারমিডিয়ারি প্রাণীর মাধ্যমে জুনটিক ট্রান্সমিশার হয়েছে বলা হচ্ছে, সেই প্রাণীটাকেও শনাক্ত করা যায় নি (তবে এটাও কিন্তু আশ্চর্য না - ইবোলার ক্ষেত্রে এই ইন্টারমিডিয়ারি এখনও শনাক্ত করা যায়নি, আর ২০০২ এর সার্স এপিডেমিক এর সোর্স শনাক্ত করতে ১৪ বছর লেগেছিল (https://www.nature.com/articles/d41586-021-01383-3)). এই সংশয়বাদীদের একজন হলেন Gilles Demaneuf, পেশায় ডেটা সায়েন্টিস্ট, ব্যাংক অফ নিউজিল্যান্ডে চাকরি করেন। দেমানেউফ খেয়াল করেন, সার্স ভাইরাসের ল্যাব লিক চীনে আগেও হয়েছেঃ ২০০৪ সালে বেজিং এর ল্যাব থেকে লিক হয় এবং কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন (https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC7096887/). দেমানেউফ আর আরও দুয়েকজন মিলে সার্চ করতে শুরু করেন আর চীনের বিভিন্ন ল্যাব আর তাদের সেফটি প্রোটোকল নিয়ে Medium এ একটি পোস্ট করেন। এর পর এপ্রিল মাসে Yuri Deigin মিডিয়াম এ একটি পোস্ট করেন, যেখানে উনি RaTG13 নামের একটি প্রিকার্সর ভাইরাস নিয়ে লেখেন। ইউরির পোস্ট থেকেঃ 


     CoV2 is an obvious chimera (though not nesessarily a lab-made one), which is based on the ancestral bat strain RaTG13, in which the receptor binding motif (RBM) in its spike protein is replaced by the RBM from a pangolin strain, and in addition, a small but very special stretch of 4 amino acids is inserted, which creates a furin cleavage site that, as virologists have previously established, significantly expands the “repertoire” of the virus in terms of whose cells it can penetrate. Most likely, it was thanks to this new furin site that the new mutant managed to jump species from its original host to humans.


    https://yurideigin.medium.com/lab-made-cov2-genealogy-through-the-lens-of-gain-of-function-research-f96dd7413748


     (নোবেল লরিয়েট, মলিকিউলার বায়োলজিস্ট Dr. David Baltimore ও এই ফুরিন ক্লিভেজ সাইটের তত্ব সমর্থন করেছেন, যদিও এর বিরুদ্ধমতও অবশ্যই আছে, পরে আলোচনা করবো)। 


    ইউরির এই পোস্ট  অনেকের দৃষ্টি আকর্ষন করে, যাদের মধ্যে একজন আবার আমাদের পূর্ব ভারতীয়, মিডিয়ায় যাঁকে  The Seeker নামে অভিহিত করা হয়েছে। তো এরকম বেশ কয়েকজন রিসার্চার, ডেটা সায়েন্টিস্ট ইত্যাদি মিলে একটা গ্রুপ বানান, নাম দেন DRASTIK চলবে...

  • dc | 171.49.175.246 | ০৭ জুন ২০২১ ১০:০২734491
  • দুয়েকটা এডিটিং ভুল হচ্ছে।  "Of All The Gin Joints In All The Towns In All The World, She Walks Into Mine" এর পর which was not so coincidental after all আমার ​​​​​​​নিজস্ব ​​​​​​​সংযোজন, ​​​​​​​ভুল ​​​​​​​করে ​​​​​​​ইংরেজিতে ​​​​​​​লিখে ​​​​​​​ফেলেছি। ​​​​​​​আপাতত কাজ ​​​​​​​করি গিয়ে, দুপুরে ​​​​​​​সময় ​​​​​​​পেলে ​​​​​​​আবার ​​​​​​​পোস্ট ​​​​​​​করবো। 

  • dc | 171.49.175.246 | ০৭ জুন ২০২১ ১৪:১১734492
  • এই হলো Drastic গ্রুপের ওয়েবসাইট: https://drasticresearch.org/the-team/  


    আগেই লিখেছি এই গ্রুপের একজন সদস্য পূর্ব ভারতীয়, এছাড়াও এই গ্রুপে আছেন পুনার দুই ডাক্তার, Dr. Monali Rahalkar এবং Dr. Rahul Bahulikar।  এই এক্লেকটিক গ্রুপটি প্রায় এক বছর ধরে বিস্তর নেটে খোঁজাখুঁজি করে, নানান ডেটাবেস ঘাঁটাঘাঁটি করে বেশ কিছু তথ্য জনসমক্ষে তুলে ধরেন, যার ফলে মেনস্ট্রিম মিডিয়াতেও আলোচনা শুরু হয়। অবশ্য কেউ কেউ এমনও বলতে পারেন যে ট্রাম্প অ্যাডমিনিস্ট্রেশান বিদায় নেওয়ার ফলে আর বাইডেন অ্যাডমিনিস্ট্রেশান আসার ফলে আমেরিকার সরকারের অন্দরমহলে বিজনেস অ্যাজ ইউজুয়াল পরিস্থিতি ফিরে আসে, ফলে হাইপোথিসিস ২ নিয়ে জল্পনা হয়তো এমনিতেও শুরু হতো। যাই হোক, Drastic এর তুলে ধরা কিছু তথ্য দেখা যাকঃ 


    ১। চীনের কিছু ল্যাবে, যার মধ্যে অন্যতম WIV, বাদুড়ের থেকে পাওয়া প্যাথোজেন নিয়ে গবেষনা অন্তত ২০১২ থেকে চলছে। ঐ বছর চীনের য়ুনান প্রভিন্সের মোজিয়াং কাউন্টিতে একটি গুহায় ছজন কর্মীকে বাদুড়ের পটি পরিষ্কার করার কাজে পাঠানো হয়, এবং তাঁরা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন (পরে তিনজন মারা যান)। যে পালমোনজিস্ট এনাদের চিকিৎসা করছিলেন, তিনি বলেন এটা ২০০২ এর সার্স এর মতো কোন অসুখ, কিন্তু অনেক বেশী সংক্রামক।     


    ২। এই অসুখ নিয়ে ২০১৩ সালে এক ছাত্র একটি ডিসার্টেশান পেপার লেখেন (The Analysis of 6 Patients with Severe Pneumonia Caused by Unknown Viruses). এটা পোস্ট করার পর বিবিসি ও আরও কিছু সংবাদমাধ্যম সেই গুহায় যেতে চায়, কিন্তু তাদের মাঝপথে বাধা দিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য করা হয়। 


    ৩। WIV এর ডিরেক্টর ডঃ শি ঝেংলি অবশ্য এর আগে বেশ কিছু পেপার পাবলিশ করেছিলেন, যার একটাতে তিনি কিছু জেনেটিক কোডও প্রকাশ করেছিলেন। ড্রাস্টিক গ্রুপ এর এক সদস্য বার করেন যেই এই জেনেটিক কোড RaTG13   এর জেনেটিক কোডের সাথে হুবহু মিলে যায়। এর মধ্যে আবার ডঃ শি RaTG13 এর নতুন নাম দিয়েছিলেন RaBtCoV/4991, এই নিয়ে ​​​​​​​প্রশ্ন ​​​​​​​করা ​​​​​​​হলে তিনি ​​​​​​​বলেন ​​​​​​​ওটা ​​​​​​​স্রেফ ​​​​​​​নামকরনের সুবিধার ​​​​​​​জন্য। 


    ৪। আরও মুশকিল হলো, ড্রাস্টিক এর সদস্যরা বিভিন্ন মেটাডাটা ট্যাগ অ্যানালিসিস করে বার করেন যে WIV তে এই ভাইরাসগুলো নিয়ে লাগাতার গবেষনা চলেছে, অথচ ডঃ শি আর ডঃ পিটার দুজনেই অস্বীকার করেছেন, বলেছেন এরকম কোন রিসার্চ ঐ ল্যাবে হয়নি বা হচ্ছেনা। 


    ৫। ডঃ শি আরও বেশ কিছু বক্তব্য রেখেছেন যেগুলো হয় পরষ্পরবিরোধী নাতো এড়িয়ে যাওয়া উত্তর নাতো সরাসরি মিথ্যে। যেমন, WIV এর একটা অনলাইন ডেটাবেস ছিলো যাতে প্রায় ২২০০০ ভাইরাসের তথ্য আর জিন সিকোয়েন্স, যা পরে সরিয়ে নেওয়া হয়। ডঃ শি কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন সার্ভারে অ্যাটাক এড়ানোর জন্য ওটা অফলাইন  করে রাখা হয়েছে, অথচ ড্রাস্টিক এর সদস্যরা বার করেন যে অফলাইন করা হয়েছিল আসলে ২০১৯ এর ১২ ই সেপ্টেমবার।


    ৬। আর ২০১৯ এর নভেম্বরে নাকি WIV এর  তিনজন রিসার্চার অসুস্থ হয়ে পড়েন। এটা অবশ্য আমেরিকান ইনটেইজেন্সও আবিষ্কার করেছিল, তবে তাদের রিপোর্ট থেকে পরিষ্কার না যে এই অসুস্থতা সাধারন ফ্লু জনিত নাকি কোভিড-১৯ এর সিম্পটমও ছিল। 


    এছাড়াও ড্রাস্টিক গ্রুপের সদস্যরা আরও বেশ কিছু সারকামস্ট্যানশিয়াল এভিডেন্স পাবলিশ করেন, যার ফলে আস্তে আস্তে মিডিয়াতেও প্রশ্ন উঠতে থাকে। অবশেষে ১৪ মে ২০২১ সায়েন্স পত্রিকায় ১৮ জন সায়েন্টিস্ট চিঠি লিখে “transparent, objective investigation" এর দাবী জানান, বাইডেন অ্যাডমিনিস্ট্রেশানও আবার অনুসন্ধানের আদেশ দেয়। এই হলো মোটামুটি হাইপোথিসিস ২ এর টাইমলাইন, এর পর এই দুটো হাইপোথিসিস এর সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করবো। 


    এখনও অবধি যা লিখেছি তার তথ্যসূত্রঃ 


    https://www.newsweek.com/exclusive-how-amateur-sleuths-broke-wuhan-lab-story-embarrassed-media-1596958


    https://yurideigin.medium.com/lab-made-cov2-genealogy-through-the-lens-of-gain-of-function-research-f96dd7413748


    https://www.vanityfair.com/news/2021/06/the-lab-leak-theory-inside-the-fight-to-uncover-covid-19s-origins


    https://timesofindia.indiatimes.com/india/the-indians-who-made-world-take-chinese-lab-leak-theory-seriously/articleshow/83252411.cms


    https://theprint.in/theprint-essential/what-is-gain-of-function-research-field-back-in-focus-as-covid-linked-to-china-lab-accident/662625/


    https://www.forbes.com/sites/jemimamcevoy/2021/06/06/fauci-briefed-world-health-leaders-last-year-on-possibility-covid-came-from-lab-ex-fda-chief-says/?sh=7ae75dcb523f


    https://www.nbcnews.com/health/health-news/u-s-intel-report-identified-3-wuhan-lab-researchers-who-n1268327

  • dc | 171.49.175.246 | ০৭ জুন ২০২১ ১৬:৩৩734493
  • এবার এই দুই হাইপোথিসিস এর সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করা যাক। আগেই বলেছি, জুনটিক ট্রান্সমিশানের অজস্র উদাহরন আছে, আর অ্যানিমাল ক্যারিয়ার খুঁজে বার করতে অনেক ক্ষেত্রেই বহু বছর সময় লেগেছে। তাই এখনও অবধি বিজ্ঞানীদের একটা বড়ো অংশ মনে করছেন হাইপোথিসিস ১ এর সম্ভাবনাই বেশী, হাইপোথিসিস ২ এর সম্ভাবনা খুবই কম। আর সার্স-কোভ-২ এর যে অন্য ভাইরাসের সাথে ৯৬% অবধি মিল আছে সেটাও আগের বছরেই পেপারে প্রকাশিত হয়েছেঃ 


    Whole virus genome sequences were obtained either directly from patient samples or from cultured viruses from a number of patients hospitalised with pneumonia in Wuhan, showing that the aetiological agent was a betacoronavirus belonging to a new clade in subgenus Sarbecovirus in the Orthocoronavirinae subfamily. Phylogenetic studies of the new virus showed it shared about 79% nucleotide homology with SARS-CoV, as well as to two SARS-like coronaviruses isolated from Chinese horseshoe bats (Rhinolophus sinicus) in Zhoushan, with which it shared 89% nucleotide homology, and to a third SARS-like coronavirus from an Intermediate horseshoe bat (R. affinis), with which it shared 96% nucleotide homology.


    https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC7086482/


    এবার দেখা যাক হাইপোথিসিস ২ এর প্রবক্তারা কি বলছেন। এঁরা মূলত তিনটি যুক্তি সাজাচ্ছেনঃ 


    ১। ফুরিন ক্লিভেজ সাইট 


    ২। উহান ভাইরোলজি ল্যাব আর প্রথম কোভিড আউটব্রেকের আশ্চর্য সহাবস্থান


    ৩। চীনেদের সবকিছু লুকানোর প্রচেষ্টা, নানারকম ভাবে অবফাসকেট করা, কোভিড সংক্রমনের শুরু থেকেই মিথ্যে কথা বলা (চীনে কতোজন মারা গেছেন তাও ঠিকমতো জানা যায়নি) ইত্যাদি। 


    এগুলো খতিয়ে দেখা যাক। 


    ১। Dr. David Baltimore এবং আরও কয়েজনের মতে এই ভাইরাসের স্পাইকের মধ্যে চারটে অ্যামিনো অ্যাসিড আছে, যেটা সংক্রমনে সাহায্য করে - এর সাহায্যে ভাইরাসটা Ace2 রিসেপ্টরের ফুরিন ব্যবহার করে সেল কোটিং ভেঙ্গে দেয় আর নিজের জিন ইনসার্ট করে সেলটিতে সংক্রমন ঘটায়। কয়েকজন বায়োলজিস্ট বলেছেন যে সার্স গ্রুপের বিটা করোনা ভাইরাসে এরকম মিউটেশান বা মডিফিকেশান এর আগে দেখা যায় নি। কিন্তু সত্যিই কি তাই? ইমিউনোলজিস্ট Kristian Andersen একটি পেপারে দেখিয়েছেন যে আসলে কিন্তু করোনাভাইরাস গ্রুপে কিন্তু এই ফুরিন ক্লিভেজ সাইটের বহু উদাহরন পাওয়া যায়, সেগুলো সবই ন্যাচারাল মিউটেশানের ফল। যদিও সার্স-কোভ-২ তে ঠিক কিভাবে এই সাইটের উদভব হলো সেটা আমরা এখনো জানিনা, তবে আগে পাওয়া যায়নি মানেই যে ল্যাবে তৈরি হয়েছে, তা কিন্তু নয়। আরও জানতে হলে পড়ে ফেলুনঃ https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC7836551/


    ২। একথা অনস্বীকার্য যে WIV তেই বহুদিন ধরে করোনাভাইরাস নিয়ে গেইন অফ ফাংশান রিসার্চ চলছিল, আর ঠিক সেই শহরেই প্রথম আউটব্রেক হওয়াটা বেশ সন্দেহজনক। কিন্তু এও ঠিক যে চীনে যে স্কেলে বন্য জন্তু নিয়ে ব্যবসা হয় সেরকম আর কোথাও হয় না (আমার জানা মতে), আর প্যাঙ্গোলিন ইত্যাদি উহানের বাজারে বহুদিন ধরে বিক্রি হচ্ছে। কাজেই সেখানে প্রথম জুনটিক ট্রান্সমিশান হওয়ার চান্সও নেহাত কম না। 


    ৩। চীনেরা শুধু এই ব্যপারে না, অন্য অনেক কিছু নিয়েই লুকোচুরি খেলতে ওস্তাদ। চীন বহুকাল ধরে অথরিটারিয়ান রাষ্ট্র, সেখানে রাষ্ট্রের অনুমতি ব্যতিত কোনকিছুই করা বা বলা অসম্ভব। কেউ এর ব্যতিক্রম না, জ্যাক মার মতো বিলিওনেয়ারও নন, ডঃ শির মতো প্রখ্যাত ভাইরোলজিস্টও নন। আর উল্টোদিকটাও খেয়াল রাখবেনঃ ন্যারেটিভ  তৈরি করতে বা পাল্টাতে ওয়েস্টার্ন মিডিয়া আর আমেরিকাও কম ওস্তাদ না। উহানে প্রথম সংক্রমন হওয়া যদি সন্দেহজনক হয়, তাহলে ট্রাম্প যাওয়ার আর বাইডেন আসার ঠিক পরেই মিডিয়ায় হইচই শুরু হওয়াও কম সন্দেহজনক না। 


    যাই হোক, দুই হাইপোথিসিস এরই পক্ষে আর বিপক্ষে বেশ কিছু যুক্তি আছে। আশা করবো আমরা খোলা মনে এই নিয়ে আলোচনা করবো, কোন পক্ষে ঝুঁকবার আগে খতিয়ে দেখার চেষ্টা করবো সেই পক্ষ কতোটা যুক্তিগ্রাহ্য কথা বলছে। ভবিষ্যতে নতুন কিছু জানা গেলে আপডেট করবো। যারা এই অবধি পড়লেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। 

  • b | 14.139.196.16 | ০৭ জুন ২০২১ ১৭:২৪734494
  • এটা ভালো হল ।ডিসি ধন্যবাদ। 

  • π | ০৭ জুন ২০২১ ১৮:৩৩734495
  • অনেক থ্যানকু, ডিসি। 


    কিছু প্রশ্ন আছে, করব সময় করে 

  • dc | 171.49.175.246 | ০৭ জুন ২০২১ ১৯:২৫734496
  • ধন্যবাদ পুরোটাই পাই ম্যাডামের প্রাপ্য। 


    অবশ্যই প্রশ্ন করবেন, আশা করি সত্যিটা একদিন জানা যাবে। 

  • সায়ন্তন চৌধুরী | ০৮ জুন ২০২১ ০২:১২734498
  • ভালো লেখা। আমার একটা প্রশ্ন আছে; জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা করে যদি বলা যায় যে ভাইরাস প্রাকৃতিকভাবে এসেছে কিনা, সেই পরীক্ষা অন্যরা, যাদের কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট নেই, তারা রিপ্রোডিউস করে দেখছে না কেন?

  • সায়ন্তন চৌধুরী | ০৮ জুন ২০২১ ০৫:৩০734499
  • বস্তুতপক্ষে, এত রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত ইস্যুতে বাকি সবকিছুই বোধহয় স্পেকুলেশনের গন্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকবে, কিন্তু জিনোম সিকোয়েন্সের ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং। ভাইরোলজি, জেনেটিক্স ইত্যাদি সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই, কিন্তু এদিক-ওদিক যা পড়লাম সেটুকু লিখছি। প্লিজ টেক উইথ আ গ্রেন অফ সল্ট!


    এটা প্রায় একবছর পুরোনো থ্রেড, কিন্তু পড়ে দেখা যেতে পারে। কেন সার্স-কোভ-২ ল্যাবে পরিবর্তিত হতে পারেনা, তার সপক্ষে বিভিন্ন কারণ খতিয়ে দেখা হয়েছে (রেফারেন্সসহ)। এখানে পিডিএফ ভার্সান পাওয়া যাবে।


    ওপরের ডকুমেন্ট থেকে আমি ছোটো করে জিনোম সিকোয়েন্সের কথাটুকু লিখছি। বলছে, RaTG13 এর সঙ্গে তুলনা করলে সার্স-কোভ-২ এর জিনোম সিকোয়েন্সে ৩০০০০ লেটারের মধ্যে প্রায় ১২০০ খানা মিউটেশন দেখা গেছে। অর্থাৎ চার শতাংশ পার্থক্য। এই ১২০০ মিউটেশন জিনোমের বিভিন্ন অংশে ছড়ানো। এজন্যে সার্স-কোভ-২ কে বলছে মোজেয়িক ভাইরাস, কাইমেরিক নয়। মানে দুটো ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স AAAAAA এবং AAAABB হলে বলা হবে কাইমেরিক, কিন্তু ABAAAB হলে বলা হবে মোজেয়িক। যেহেতু জিনোমের একটি অংশে কেটে জুড়তে হয়, সহজবোধ্য কারণে কাইমেরিক ভাইরাস ল্যাবে তৈরি করা কম ঝামেলার। যেমন, ডঃ শিয়ের গ্রুপ থেকে ২০১৫ সালের পেপারে করা হয়েছিল। এমনিতেও ভ্যাক্সিন প্রভৃতি প্রস্তুত করার সময় এই টেকনিক ব্যবহার করা হয় এবং সাধারণত পরিবর্তিত ভাইরাসটি এক্ষেত্রে নিস্ক্রিয়তর হয়ে থাকে, যেহেতু পরিবর্তন প্রাকৃতিক বিবর্তনের মাধ্যমে না ঘটে কৃত্রিম উপায়ে করা হয়। 


    উল্টোদিকে, মোজেয়িক ভাইরাস ল্যাবে প্রস্তুত করতে হলে জিনোমের বিভিন্ন অংশে প্রায় ১২০০ খানা পরিবর্তন ঘটাতে হবে; বর্তমান প্রযুক্তিতে যা অত্যন্ত সময় এবং পরিশ্রমসাপেক্ষ, এতটাই যে তার চেয়ে ভাইরাসকে প্রাকৃতিকভাবে বিবর্তিত হতে দিয়ে 'লাকি' (অথবা 'আনলাকি', মানুষের দিক থেকে দেখলে) মিউটেশনের জন্যে অপেক্ষা করা ভালো। তাছাড়া যদি CRISPR ইত্যাদি প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রেও এতগুলি পরিবর্তন ঘটাতে গিয়ে কিছু ভুলত্রুটির চিহ্ন থেকে যাবেই, যাকে বলছে জেনেটিক ফুটপ্রিন্ট। সার্স-কোভ-২ এর ক্ষেত্রে, বলা বাহুল্য, তেমন কিছু দেখা যায়নি।


    এছাড়াও আরেকটি ব্যাপার হলো, জেনেটিক কোড হচ্ছে ডিজেনারেট; দুটি ভিন্ন কোডন অনেকসময়ই একই অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি করে। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির ট্রেভর বেডফোর্ড লক্ষ্য করেছেন, RATG13 ও সার্স-কোভ-২ এর মধ্যে তুলনা করলে নিউক্লিওটাইড পরিবর্তনের মাত্র ১৪.২ শতাংশ অ্যামিনো অ্যাসিডে পরিবর্তন ঘটায়। ন্যাচারাল সিলেকশনের ক্ষেত্রে এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু যদি জিনোমের বিভিন্ন অংশে ১২০০ খানা পরিবর্তন ল্যাবে ঘটানো হয়, তাহলে এত মিউটেশন রিডানডেন্ট হবে কেন? ডিজাইন প্রিন্সিপলের দৃষ্টিকোণ থেকে যত কম সংখ্যক গুরুত্বপূর্ণ মিউটেশন ঘটিয়ে কাজ উদ্ধার হয়, সেই চেষ্টা করাই যুক্তিযুক্ত ছিল।


    তো, জিনোম সিকোয়েন্সের বিচারে অন্তত মনে হয়না ল্যাবে পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে; প্রাকৃতিকভাবে বিবর্তনই অধিকতর সম্ভাব্য তত্ত্ব।

  • dc | 122.164.89.201 | ০৮ জুন ২০২১ ০৮:৪৪734500
  • সায়ন্তনবাবু, সঠিক অবসার্ভেশান। গত বছর অবধি বা এই বছরের গোড়র দিকে আমিও দুয়েকটা রিপোর্ট বা পেপারে পড়েছি যে কোভ-২ ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স বিচার করে এর প্রাকৃতিক বিবর্তনের বৈশিষ্ট্য পাওয়া গেছে। বস্তুতপক্ষে চীনেরাই ২০২০ র একেবারে প্রথমে, জানুআরি মাসে এই সিকোয়েন্স পাবলিশ করে দেয়। তখন এ নিয়ে আর কোন বিতর্ক ওঠেনি। এখানে সেই রিপোর্টঃ https://www.sciencemag.org/news/2020/01/chinese-researchers-reveal-draft-genome-virus-implicated-wuhan-pneumonia-outbreak


    অথচ এখন ন্যারেটিভ পাল্টানোর সাথে সাথে এ নিয়েও কথা শুরু হয়েছে। এটা পড়ে দেখুনঃ 


    In the case of the gain-of-function supercharge, other sequences could have been spliced into this same site. Instead of a CGG-CGG (known as “double CGG”) that tells the protein factory to make two arginine amino acids in a row, you’ll obtain equal lethality by splicing any one of 35 of the other two-word combinations for double arginine. If the insertion takes place naturally, say through recombination, then one of those 35 other sequences is far more likely to appear; CGG is rarely used in the class of coronaviruses that can recombine with CoV-2.


    In fact, in the entire class of coronaviruses that includes CoV-2, the CGG-CGG combination has never been found naturally. That means the common method of viruses picking up new skills, called recombination, cannot operate here. A virus simply cannot pick up a sequence from another virus if that sequence isn’t present in any other virus.


    Although the double CGG is suppressed naturally, the opposite is true in laboratory work. The insertion sequence of choice is the double CGG. That’s because it is readily available and convenient, and scientists have a great deal of experience inserting it. An additional advantage of the double CGG sequence compared with the other 35 possible choices: It creates a useful beacon that permits the scientists to track the insertion in the laboratory.


    Now the damning fact. It was this exact sequence that appears in CoV-2. Proponents of zoonotic origin must explain why the novel coronavirus, when it mutated or recombined, happened to pick its least favorite combination, the double CGG. Why did it replicate the choice the lab’s gain-of-function researchers would have made? 


    https://www.wsj.com/articles/the-science-suggests-a-wuhan-lab-leak-11622995184


    এটা আরেকটা লেখা, ফুরিন ক্লিভেজ সম্পর্কিতঃ 


    Viruses have all kinds of clever tricks, so why does the furin cleavage site stand out? Because of all known SARS-related beta-coronaviruses, only SARS2 possesses a furin cleavage site. All the other viruses have their S2 unit cleaved at a different site and by a different mechanism.


    How then did SARS2 acquire its furin cleavage site? Either the site evolved naturally, or it was inserted by researchers at the S1/S2 junction in a gain-of-function experiment.


    Proponents of natural emergence say SARS2 could have picked up the site from some as yet unknown beta-coronavirus. But bat SARS-related beta-coronaviruses evidently don’t need a furin cleavage site to infect bat cells, so there’s no great likelihood that any in fact possesses one, and indeed none has been found so far.


    https://science.thewire.in/the-sciences/origins-of-covid-19-who-opened-pandoras-box-at-wuhan-people-or-nature/


    এখন প্রশ্ন হলো, এগুলো নিয়ে এতোদিন কোন আলোচনা হয়নি কেন? ঠিক বাইডেন আসার পরেই ন্যারেটিভ পাল্টাতে শুরু করলো, এটা আমার বেশ সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। যাই হোক, সে তো জিওপলিটিক্স এর ব্যাপার। আশা করি জেনেটিসিস্ট আর মলিকিউলার বায়োলজিস্টরা এসবের সঠিক উত্তর দেবেন। 

  • সুকি | 49.207.197.3 | ০৮ জুন ২০২১ ১২:৫৬734501
  • এই নিয়ে রিসেন্টলি  Environmental Chemistry Letters জার্নালে বেশ ভালো একটা লেখা বেরিয়েছে "Should we discount the laboratory origin of COVID‑19?"


    আর সেই পেপারটার কনক্লুশনটা কপি পেষ্ট করছিঃ


    More than a year after the initial documented cases in Wuhan, the source of SARS-CoV-2 has yet to be identified, and the search for a direct or intermediate host in nature has been so far unsuccessful. The low binding affinity of SARS-CoV-2 to bat ACE2 studied to date does not support Chiroptera as a direct zoonotic agent. Furthermore, the reliance on pangolin coronavirus receptor binding domain (RBD) similarity to SARS-CoV-2 as evidence for natural zoonotic spillover is flawed, as pangolins are unlikely to play a role in SARS-CoV-2′s origin and recombination is not supported by recent analysis. At the same time, genomic analyses pointed out that SARS-CoV-2 exhibits multiple peculiar characteristics not found in other Sarbecoviruses. A novel multibasic furin cleavage site (FCS) confers numerous pathogenetically advantageous capabilities, the existence of which is difficult to explain though natural evolution; SARS-CoV-2 to human ACE2 binding is far stronger than SARS-CoV, yet there is no indication of amount of evolutionary adaptation that SARSCoV or MERS-CoV underwent. The flat topography of the ganglioside-binding domain (GBD) in the N-terminal domain (NTD) of SARS-CoV-2 does not conform with typical host evasion evolutionary measures exhibited by other human coronaviruses. The combination of binding strength, human and mouse peptide mimicry, as well as high adaptation for human infection and transmission from the earliest strains might suggest the use of humanized mice for the development of SARS-CoV-2 in a laboratory environment. The application of mouse strains expressing human ACE2 for SARS-CoV-related research is well documented (Ren et al. 2008; Hou et al. 2010; Menachery et al. 2015; Cockrell et al. 2018; Jiang et al. 2020).


    Additionally, culturing and adapting coronaviruses to different cell lines, including human airway epithelial cells, has been experimentally conducted in various laboratories (Tse et al. 2014; Menachery et al. 2015; Zeng et al. 2016; Jiang et al. 2020). While a natural origin is still possible and the search for a potential host in nature should continue, the amount of peculiar genetic features identified in SARS-CoV-2′s genome does not rule out a possible gainof-function origin, which should be therefore discussed in an open scientific debate.

  • সুকি | 49.207.197.3 | ০৮ জুন ২০২১ ১২:৫৭734502
  • অশনি সরকার | 2401:4900:3142:e621:fe84:26ed:7966:b707 | ০৮ জুন ২০২১ ১৩:২২734503
  • চলুক। আলোচনা হোক।

  • dc | 122.164.89.201 | ০৮ জুন ২০২১ ২২:০২734506
  • ভক্স এর এই রিপোর্টটা আমার বেশ ব্যালান্সড মনে হলোঃ 


    https://www.vox.com/22453571/lab-leak-covid-19-coronavirus-hypothesis-wuhan-virology-china


    বিশেষ করে এই জায়গাটাঃ 


    Several other factors point toward a natural origin of SARS-CoV-2, according to Vincent Racaniello, a virologist at Columbia University. Among them is that the 2003 SARS virus outbreak established a precedent for a coronavirus jumping from bats to an intermediary species to humans. In that case, the intermediary — civet cats — was identified; scientists have been warning for years that a similar scenario could easily occur again.


    Further animal investigations showed that there are a number of viruses like SARS-CoV-2 in bats, not just in China but also in Thailand, Cambodia, and Japan. These viruses are not direct ancestors of SARS-CoV-2, but they are closely related. Viruses mutate all the time, and the more widespread they are, the more changes can occur. Seeing a related virus over such a wide area shows there was ample opportunity for it to spread and mutate in nature before it made the final jump into humans.


    তবে আমার একটা খটকা আছে, সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটা হয়তো বাদুড়দের মধ্যেই পাওয়া যায়, কিন্তু ওই চারটে অ্যামিনো অ্যাসিড হয়তো ল্যাবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আর তারপর সেটা কোনভাবে লিক করেছে। এরকম কি হওয়া সম্ভব (অর্থাত হাইপোথিসিস ২) ? নাকি ওটাও মিউটেশানের ফলে হওয়ার চান্স বেশী? 

  • সায়ন্তন চৌধুরী | ০৮ জুন ২০২১ ২২:৩৫734507
  • WSJ ওপিনিয়ন আর্টিকেলটার বেশ কিছু সমস্যা চোখে পড়ল। প্রথমত, আর্টিকেলটার সমস্ত পয়েন্টই মোটামুটি নিকোলাস ওয়েডের লেখা থেকে নেওয়া; ডাবল সিজিজি, হিউম্যানাইজড মাইস, মানুষের কোষে দ্রুত মানিয়ে নেবার ক্ষমতা। কিন্তু এমনভাবে উপস্থাপনা করা হচ্ছে, যেন নতুন কংক্রিট এভিডেন্স পাওয়া গেছে। এটা সন্দেহজনক। 


    দ্বিতীয়ত, যে পিয়ার-রিভিউড স্টাডির রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে, সেখানে গবেষকরা কিন্তু খুব জোর দিয়ে ক্লেম করেনি: This furin-like cleavage site, is supposed to be cleaved during virus egress () for S-protein “priming” and may provide a gain-of-function to the 2019-nCoV for efficient spreading in the human population compared to other lineage b betacoronaviruses. This possibly illustrates a convergent evolution pathway between unrelated CoVs. Interestingly, if this site is not processed, the S-protein is expected to be cleaved at site 2 during virus endocytosis, as observed for the SARS-CoV. কোনো ল্যাব অরিজিনের সম্ভাবনাও বলা হয়নি। 


    তৃতীয়ত, পিয়ার-রিভিউড স্টাডির তুলনায় ওপিনিয়ন আর্টিকেলটার কনফিডেন্স বেশি লক্ষ্য করছি, কিন্তু ওপিনিয়ন আর্টিকেলের দুজন লেখকের একজন অঙ্কোলজিস্ট আরেকজন পদার্থবিদ; সামান্য খোঁজখবর নিয়ে মনে হল পদার্থবিদের বোধহয় একটু ভুলভাল বকার ইতিহাস আছে। লাইনের লোক দিয়ে ওপএড লেখানো গেল না?


    চতুর্থত, ডাবল সিজিজির উপস্থিতি কতটা বিরল সেটা বুঝতে পারছি না। আর্টিকেল যেমন ক্লেম করেছে, ৩৫টি সিকোয়েন্সের মধ্যে যেকোনো একটা উপস্থিত থাকতে পারত, এদিকওদিক পড়ে মনে হল ওরকম ইকোয়াল লাইকলিহুড থাকেনা; সেক্ষেত্রে ডাবল সিজিজির সম্ভাবনা বাড়বে। তাছাড়া "In fact, in the entire class of coronaviruses that includes CoV-2, the CGG-CGG combination has never been found naturally." এই বাক্যটাও মিসলিডিং, কারণ প্রচুর করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স এখনও জানা নেই; 'entire class' মানে তো বিরাট ব্যাপার।


    পঞ্চমত, ওয়াশিংটন জার্নালের ওপএড সেকশন একটু গোলমেলে; হান্টার বাইডেনের ল্যাপটপের গপ্পোও ছেপেছিল। তাছাড়া এই আর্টিকেলটা নিয়ে ফক্স নিউজ, নিউইয়র্ক পোস্ট, এমনকি আমাদের প্রিয় রিপাবলিক ওয়ার্ল্ডও খবর করেছে দেখলাম; সবই রাইট উইং মিডিয়া, সবাই বলছে ‘Damning’ science shows COVID-19 likely engineered in lab: experts. না তো লেখকরা 'এক্সপার্ট', না তো ড্যামিং সায়েন্স অতটাও ড্যামিং। নিউইয়র্ক টাইমস বা অন্যান্য ক্রেডিবল 'লেফট উইং' মিডিয়া রিপোর্ট করে কিনা দেখা যাক।


    তবুও, তবুও, সবকিছু সত্ত্বেও ডাবল সিজিজির একটা পরিস্কার ব্যাখ্যা পাওয়া দরকার, যদিও মনে হয়না এটা প্রকৃত এক্সপার্টদের কাছে খুব একটা গুরুত্ব পাবে।

  • &/ | 151.141.85.8 | ০৮ জুন ২০২১ ২২:৫৫734508
  • চীনের কাগজে কিছু বেরোচ্ছে এই নিয়ে? "ঠাকুরঘরে কে রে আমি তো কলা খাই নি" টাইপের?

  • &/ | 151.141.85.8 | ০৮ জুন ২০২১ ২৩:০১734509
  • কথা নেই বার্তা নেই একটা বন্যপ্রাণীর ভাইরাস প্রাকৃতিকভাবেই এত মিউটেট করে ফেলল যে মানুষকে তো সংক্রামিত করলই, শুধু তাই না ভয়ানক সংক্রমণশীল হয়ে কয়েক মিলিয়ন মানুষ সাবাড় করে ফেলল?

  • সায়ন্তন চৌধুরী | ০৮ জুন ২০২১ ২৩:০১734510
  • দুঃখিত, ওয়াশিংটন আবার কি, ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল।

  • dc | 122.164.89.201 | ০৮ জুন ২০২১ ২৩:০৩734511
  • "কিন্তু এমনভাবে উপস্থাপনা করা হচ্ছে, যেন নতুন কংক্রিট এভিডেন্স পাওয়া গেছে। এটা সন্দেহজনক। "


    সম্পূর্ণ একমত। ইন ​​​​​​​ফ্যাক্ট ​​​​​​​গত ​​​​​​​কয়েক সপ্তাহ ​​​​​​​যে পয়েন্টগুলো ​​​​​​​নিয়ে ​​​​​​​হৈচৈ ​​​​​​​হচ্ছে সেগুলোর ​​​​​​​বেশ কয়েকটা ​​​​​​​পয়েন্ট ​​​​​​​কিন্তু ​​​​​​​আগের বছরেই ​​​​​​​পাবলিশ ​​​​​​​হয়েছে। ​​​​​​​তখন ​​​​​​​এগুলো ​​​​​​​নিয়ে ​​​​​​​কেউ ​​​​​​​তেমন এগোয়নি। ​​​​​​​তার ​​​​​​​একটা ​​​​​​​কারন ​​​​​​​হয়তো ​​​​​​​এগুলো ​​​​​​​রাইট ​​​​​​​উইং কনস্পিরেসি ​​​​​​​থিওরিগুলো ​​​​​​​আরও ​​​​​​​জোরদার ​​​​​​​করবে ​​​​​​​সেই ​​​​​​​ভয়ে ​​​​​​​মেনস্ট্রিম ​​​​​​​মিডিয়া এগুলো ​​​​​​​সেভাবে ​​​​​​​হাইলাইট ​​​​​​​করেনি। ​​​​​​​তবে ​​​​​​​সেটাও ​​​​​​​খুব ​​​​​​​একটা ​​​​​​​গ্রহনযোগ্য ​​​​​​​কারন ​​​​​​​না। গত ​​​​​​​এক-দুমাস ​​​​​​​ধরে ​​​​​​​যেভাবে ​​​​​​​ন্যারেটিভ বিল্ডিং চলছে ​​​​​​​সেটা ​​​​​​​সত্যিই খুব ​​​​​​​আশ্চর্যের, যেখানে ​​​​​​​ফ্যাক্টগুলো ​​​​​​​প্রায় ​​​​​​​সবই ​​​​​​​গত ​​​​​​​বছরের। 


    সায়ন্তনবাবুর বাকি বক্তব্যের সাথেও সহমত। 

  • dc | 122.164.89.201 | ০৮ জুন ২০২১ ২৩:০৮734512
  • &/, কোভ-২ কিন্তু গত এক বছরেও মিউটেট করেছে, ল্যাবের সাহায্য ছাড়াই। ইন্ডিয়ার সেকেন্ড ওয়েভটা মিউটেটেড স্ট্রেন, এছাড়াও দক্ষিন আফ্রিকা প্রভৃতি জায়গাতেও মিউটেশান পাওয়া গেছে যেগুলোর সংক্রমন ক্ষমতা আগের থেকে বেশী। অর্থাত "ইন দ্য ওয়াইল্ড" মিউটেট করছে। এর আগেও যে করেনি তাই বা কে বলতে পারে? সেরকম যদি হয়ে থাকে তো ল্যাব লিক হাইপোথিসিস দাঁড়াবে না। 

  • &/ | 151.141.85.8 | ০৮ জুন ২০২১ ২৩:১৩734513
  • আরে এখন তো মিউটেট করছে মানুষে সংক্রামিত হওয়া শুরুর পরে। এখন তো করবেই, যদি সেইভাবেই এনহ্যান্স করা হয়ে থাকে একে, যদি সেইটাই মূল উদ্দেশ্য হয়। ধরুন, "চাবি মাইরা দিলাম ছাইড়া" , তখন? আর খেয়াল করুন, মিউটেশনগুলো এমনই হচ্ছে যে ক্রমাগতঃ বেশি বেশি সংক্রমণশীল হয়ে উঠছে, উল্টোটা নয়।

  • dc | 122.164.89.201 | ০৮ জুন ২০২১ ২৩:১৮734514
  • "মিউটেশনগুলো এমনই হচ্ছে যে ক্রমাগতঃ বেশি বেশি সংক্রমণশীল হয়ে উঠছে, উল্টোটা নয়।"


    আমি যেটুকু জানি, সবরকম মিউটেশানই হয়, ​​​​​​​তবে ​​​​​​​যে ​​​​​​​মিউটেশানগুলোর ইভোলিউশনারি অ্যাডভান্টেজ ​​​​​​​থাকে ​​​​​​​সেগুলো ​​​​​​​ট্রান্সমিটেড ​​​​​​​হয়। অর্থাত ​​​​​​​এক্ষেত্রে ​​​​​​​যে ​​​​​​​মিউটেটেড ​​​​​​​স্ট্রেনটা বেশী ​​​​​​​সংক্রামক ​​​​​​​সেটা ​​​​​​​টিকে ​​​​​​​থাকবে, ​​​​​​​বাকি ​​​​​​​স্ট্রেনগুলো ​​​​​​​দুয়েক জেনারেশানের ​​​​​​​পরেই ​​​​​​​উবে ​​​​​​​যাবে ​​​​​​​(ভুলও ​​​​​​​জানতে ​​​​​​​পারি)। ​​​​​​​

  • dc | 122.164.89.201 | ০৮ জুন ২০২১ ২৩:১৮734515
  • "মিউটেশনগুলো এমনই হচ্ছে যে ক্রমাগতঃ বেশি বেশি সংক্রমণশীল হয়ে উঠছে, উল্টোটা নয়।"


    আমি যেটুকু জানি, সবরকম মিউটেশানই হয়, ​​​​​​​তবে ​​​​​​​যে ​​​​​​​মিউটেশানগুলোর ইভোলিউশনারি অ্যাডভান্টেজ ​​​​​​​থাকে ​​​​​​​সেগুলো ​​​​​​​ট্রান্সমিটেড ​​​​​​​হয়। অর্থাত ​​​​​​​এক্ষেত্রে ​​​​​​​যে ​​​​​​​মিউটেটেড ​​​​​​​স্ট্রেনটা বেশী ​​​​​​​সংক্রামক ​​​​​​​সেটা ​​​​​​​টিকে ​​​​​​​থাকবে, ​​​​​​​বাকি ​​​​​​​স্ট্রেনগুলো ​​​​​​​দুয়েক জেনারেশানের ​​​​​​​পরেই ​​​​​​​উবে ​​​​​​​যাবে ​​​​​​​(ভুলও ​​​​​​​জানতে ​​​​​​​পারি)। ​​​​​​​

  • &/ | 151.141.85.8 | ০৮ জুন ২০২১ ২৩:২৩734516
  • আমিও এটা ঠিক করে জানি না। কিন্তু কিছুদিন আগে অরিন বলছিলেন মিউটেট করে করে ডোসাইল হয়ে যায়, প্রাকৃতিকভাবে মিউটেট করলে এমনটাও দেখা যায়।

  • সায়ন্তন চৌধুরী | ০৮ জুন ২০২১ ২৩:২৭734517
  • @dc চারটে অ্যামিনো অ্যাসিড PRRA আসছে বারোটা নিউক্লিওটাইড লেটার থেকে CCUCGGCGGGCA. S1/S2 জাংশানে এই সিকোয়েন্সটা সার্স-কোভ-২ তে আছে কিন্তু RaTG13 এর জিনোমে নেই। ঠিক কথা। কিন্তু এরকম মিউটেশন ৩০০০০ লেটারের মধ্যে মোট ১২০০ খানা দেখা গেছে। যদি ফিউরিন সাইটের সিকোয়েন্সটাই ভাইরাসকে যথেষ্ট লেথাল করে তোলে, তাহলে ল্যাব ডিজাইনের ক্ষেত্রে এতগুলো অতিরিক্ত মিউটেশন কেন করা হবে? ১২০০ এর জায়গায় ১২ তেই কাজ মিটত। 


    এবার যদি ধরেও নিই ১২০০ খানা মিউটেশন ল্যাবে করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে মানতে হবে চীন উন্নত প্রযুক্তি আবিষ্কার করে ফেলেছে, কেননা বর্তমান প্রযুক্তিতে মোজেয়িক করা নিদারুণ শক্ত। কতটা শক্ত সেব্যাপারে আমার কোনো পরিষ্কার ধারণা অবশ্য নেই।


    তবে আমিও একমত যে, নতুন কোনো এভিডেন্স পাওয়া যায়নি; সবই আগে জানা ছিল। এখন যা হচ্ছে পুরোটাই ন্যারেটিভ তৈরি, ইট'স নট সায়েন্স।

  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন