এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ভোটবাক্স  বিধানসভা-২০২১  ইলেকশন

  • নির্বাচনী প্রচারে জনজীবনের মূল বিষয়গুলি কি উপেক্ষিত?

    কুমার রাণা
    ভোটবাক্স | বিধানসভা-২০২১ | ৩০ মার্চ ২০২১ | ২৮৬১ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • গত ২৭ মার্চ, ২০২১, আমরা মনভাসি ফেসবুক পেজে যে অনলাইন আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তাতে অংশগ্রহণ করেছিলেন অচিন চক্রবর্তী, অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় এবং কুমার রাণা। কুমার রাণার বক্তব্যের অংশটুকু এখানে প্রকাশিত হল। অন্য দুই আলোচকের বক্তব্যও এই পরিসরে প্রকাশ পেতে চলেছে। এই আলোচনাসভার লিখিত রূপ গুরুচণ্ডা৯-তে প্রকাশের ব্যাপারে সম্মত হওয়ার জন্য আমরা মনভাসি গোষ্ঠীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

    গোড়াতেই একটা কথা খোলসা করে বলে দেওয়া দরকার: জনজীবনের মূল বিষয়গুলো কী সেটা আমরা ঠিক করতে পারি না। সমাজ নানা ভাগে বিভক্ত, সে অংশগুলোর জনজীবনও আলাদা। এখন কোন জনজীবন কোন বিষয়টাকে গুরুত্ব দেবে, সেটা তার বাস্তব অবস্থার ওপর নির্ভর করে। যেমন, ছাত্র-যুবরা চাকরি চাইতে পারে, চাকরিজীবীরা চাইতে পারেন মাইনে বাড়ুক, ব্যবসায়ী বা শিল্পপতিরা দাবি করতে পারে ব্যবসা বাণিজ্যে আইনি বাধানিষেধগুলো তুলে নেওয়া হোক, কিম্বা ব্যাংক থেকে তাদের নেওয়া ঋণ পুরো মকুব করে দেওয়া হোক। এবার, কিছু অংশের বাস্তব অবস্থার সুবাদে তাদের দাবিগুলো নির্বাচনী প্রচারে জায়গা পেয়ে যায়, সুতরাং আমাদের বলার উপায় নেই যে, জনজীবনের দাবিগুলো একেবারে উপেক্ষিত থেকে গেল। কিন্তু, বহু মানুষ আছেন যাঁরা নিজেদের দাবিগুলো মুখ ফুটে বলেই উঠতে পারেন না, এঁদের মধ্যে অনেকে আছেন যাঁদের দাবি বিষয়ে কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। দুর্ভাগ্যের কথা, আমরা যারা নিজের এবং অন্যের মন কী বাত নিয়ে খুব বাতচিত করি, তাদের কাছেও এই দাবি তুলতে না পারা অংশটার গুরুত্ব খুব একটা স্বীকৃতি পায় না।

    একটা উদাহরণ হল, বাচ্চারা – বিশেষত সমাজের অসহায় অংশের বাচ্চারা। গেল বছর যখন লকডাউন হল, তখন দেড়-দু মাস ধরে টীকাকরণ হল না – লক্ষ লক্ষ বাচ্চা কিছু খুব জরুরি টীকা পেল না, এবং বিশেষ কিছু রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারল না। এখন এই বাচ্চা বা তাদের মা-বাবা যেহেতু দাবি তুলতে পারেন না, কোনো পার্টির প্রচারে আমরা শুনলাম না যে, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, বাচ্চাদের টীকাকরণ বন্ধ হবে না। আপনাদের মনে করিয়ে দিই, এক সময় আফ্রিকার দুই যুদ্ধরত দেশের মধ্যে একদিনের যুদ্ধবিরতির রফা হয়েছিল, শুধু যাতে বাচ্চাদের টীকাকরণ সম্পূর্ণ করা যায়। তেমনি, গত এক বছর ধরে দেশের সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে রয়েছে। বিপুল সংখ্যক শিশু না পারে অনলাইনে শিক্ষা নিতে না তাদের বাড়ি বা পরিজনে কেউ আছে যে তাদের পড়ার কাজটা জারি রাখতে সাহায্য করতে পারে। কার্যত, কয়েক কোটি বাচ্চা শুধু যে শিক্ষাবছরটা হারাল, তাই নয়, তাদের বিপুল অংশের জীবন থেকে লেখাপড়ার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেল। অথচ, সরকারি বা বিরোধী কোনো দলের কর্মসূচিতে এই জিনিসটা আসল না। তেমনি উঠল না মিড ডে মিলের প্রসঙ্গটা, স্কুলে তারা যে খাবারটুকু পেত সেটা থেকেও তাদের বঞ্চনার কথা।

    আর একটা উদাহরণ হল, সাধারণভাবে দিন-আনি-দিন-খাই লোকেদের এবং বিশেষ করে সামাজিক ও ভৌগোলিকভাবে প্রান্তিক মানুষদের ভয়াবহ জনজীবন। লোকালয়ে কাজ নেই। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার দশটি ব্লকে সীমিত আকারে করা একটি সমীক্ষায় ২৫০ জনের মধ্যে ডাক্তারি পরীক্ষায় সিলিকোসিস ধরা পড়েছে। এঁদের অনেকে মারা গেছেন, অনেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে বেঁচে আছেন। এই অঞ্চল থেকে আসানসোল, জামুড়িয়া, মহম্মদবাজার, প্রভৃতি অঞ্চলে পাথর খাদানের কাজ করতে যাওয়া আরো ৭০০ জনের মধ্যে সিলিকোসিসের উপসর্গ পাওয়া গেছে, রোগনির্ণয়ের প্রক্রিয়া চলছে। এই সব জায়গার কয়েক হাজার লোক পাথর খাদান, সিমেন্ট কারখানা, মার্বেল পাথরের কাজ, নির্মাণ শিল্প এবং দাদন পদ্ধতিতে ইটভাটার কাজের সঙ্গে যুক্ত – একপ্রকার বাঁধুয়া মজদুর। আজ সকালে কথা হচ্ছিল আমাদের বন্ধু স্বরূপ বিশুইর সঙ্গে, ওর গ্রামের বাড়ি বেলপাহাড়ির কাছে। সেখানে আছে ঢাঙ্গিকুসুম নামে একটা গ্রাম। শ’খানেক ঘর – জনসংখ্যা কমবেশি চারশ; ৯০% আদিবাসী, ১০% দলিত। সাক্ষরতার হার ৪৭% (পু ৫৬%, স্ত্রী ৩৮%)। জনগণনার তথ্য বলছে এই গ্রামে এক জন বাদ দিয়ে কেউই বছরে ছ মাস কাজ পান না। সারা দিন খেটে যা রোজগার হয় তা দিয়ে পেট ভরে খাবারটুকুও জোটে না। স্বরূপ বলছিলেন, দেখে চোখের জল ধরে রাখা যায় না। ওই রোদের মধ্যে মাথার ওপর ছায়া নেই, মেয়ে-পুরুষরা পাথর কেটে চলেছে, পাথরের গুঁড়ো ঢুকছে, পাশে শুয়ে থাকা বাচ্চা, তার নাকেও গুঁড়ো ঢুকছে। খাবার জল নেই। দূর থেকে নিয়ে আসতে হয়। খাবারের নিশ্চয়তা নেই। একই দশা জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ এলাকায়, বীরভূম-মালদা-মুর্শিদাবাদ-উত্তর দিনাজপুরে, কালচিনি-নাগরাকাটা-মাদারিহাটে।
    আবার, শুধু কুলতলি ব্লকের মেরিগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫,০০০ মানুষ ইটভাটার শ্রমিক – তাঁদের জীবনে ছুটি বলে কিছু নেই, থাকতে হয় ছোট ছোট খুপরিতে গাদাগাদি করে। স্বাস্থ্যের অবস্থা ভয়ংকর বিপজ্জনক। অথচ, তাঁদের দেহ বিগড়োলে ডাক্তারের কাছে যাওয়াটাও বিলাসিতা – একদিনের মজুরি কাটা যাবে, ডাক্তার দেখানো বা ওষুধ কেনার খরচ যদি নাও লাগে। সংখ্যায় প্রচুর হলেও ক্ষমতার দিক দিয়ে এঁরা নগণ্য, তাই এঁদের এই বন্দিদশা থেকে মুক্তির উপায়্ নিয়ে ভোটের প্রচার হয় না। কিছুদিন আগে কলকাতা শহরে পাঁচ জন দিনমজুর মারা গেলেন - সাফাইয়ের কাজ করতে গিয়ে, ম্যানহোলে ঢুকে। তাঁদের মৃত্যু নির্বাচনে ছাপ ফেলে না।

    লোকে যে কাজ পায় না, আইনে তাদের কাজ দেওয়ার যে স্বীকৃতি আছে সেটাও পায় না, সেগুলো ভোটের প্রচারে জায়গা পায় না। গতবছর আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে শুধু দেগঙ্গা ব্লকে ৬০০ জন মানুষ জব কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। এঁরা এতদিন আবেদনটাই করতে পারছিলেন না। মূল ধারার রাজনীতির বাইরে কাজ করে চলা কিছু কর্মীর উদ্যোগে তাঁরা আবেদনটা দিতে পারলেন। তা ছাড়া, এঁদের সহায়তায় আরো সাতশো মানুষ কাজের জন্য আবেদন করলেন। আবেদনপত্র নিতে প্রশাসনের ঘোর আপত্তি ছিল, কিন্তু চাপে পড়ে নিতে বাধ্য হয়। যদিও এখনো তেমন কাজ দেয়নি। উলটে এইসব কর্মী ও স্থানীয় কিছু লোককে গ্রেপ্তার করে, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। এই কর্মীদের উদ্যোগে আলিপুরদুয়ারে দু হাজারের বেশি লোক বিডিও অফিসে জড়ো হন। একইরকম জমায়েত হয়, কোচবিহার ও মালদায়, এবং উত্তর ২৪ পরগণার কিছু ব্লকে। সারা রাজ্য জুড়ে কাজের অধিকার ভাঙার অজস্র ঘটনা ঘটে চলেছে, কিন্তু সেগুলো ভোটের ইস্যু হয় না। আর কাজ চাইতে গিয়ে পুলিশের ডান্ডা খেলে, গ্রেপ্তার হলে, সেগুলো নিয়েও প্রশ্ন ওঠে না, কারণ, অধিকার হারানো মানুষগুলো ক্ষমতার বিচারে প্রান্তিক।

    আর একটি উদাহরণ দিয়ে থামব। সেটা হল, মেয়েদের সুরক্ষা, ইত্যাদি নিয়ে প্রচার দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু, যুগ যুগ ধরে মেয়েদের জীবনের মৌলিক একটা অ-স্বাধীনতা চলে আসছে, সেটা হল আইনসিদ্ধ বয়সের আগেই বিয়ে হয়ে যাওয়া – যাকে বালবিবাহ বলা যায়। আমাদের রাজ্যে এই রকম বিয়ের অনুপাত ৪২%, দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ – এ ব্যাধির জাত-পাত বা ধর্ম নেই, এমনকি শিক্ষিত-অশিক্ষিত, ধনী-গরিব ভাগটাকেও সে পাত্তা দেয় না – বিশেষত গ্রামাঞ্চলে মোটামুটি সব সমাজে বিরাজমান । এর পরিণতি কেবল মেয়েদেরই ভোগ করতে হচ্ছে তাই নয়, সেটা ভোগ করতে হচ্ছে গোটা জনসমষ্টিকে। অথচ, এই ভয়ানক সাংস্কৃতিক পশ্চাদমুখীনতা দূর করার ব্যাপারে কোনো বিজ্ঞাপন দেখি না।

    লোকসাধারণের এই অংশগুলো সংখ্যায় বিপুল, অথচ তাঁদের সঙ্গে আমাদের বাক-বিনিময় প্রায় হয়ই না, তাঁদের ভাষা আমরা শেখার চেষ্টা করিনি, আমাদের ভাষা তাঁদের অধরা। এই বিপুল লোকসমষ্টি যেমন একদিকে ভারতীয় গণতন্ত্রের শক্তি, তাঁদের চির-দুর্বল রেখে দেওয়াটাই আমাদের গণতন্ত্রের সব চেয়ে বড় দুর্বলতা। যাঁরা আছেন বলে আমরা আছি, যাঁদের শ্রমে ঘামে এই দেশের নির্মাণ, তাঁদের কথা আমাদের কথায় বড় একটা আসে না, তাই নির্বাচনী প্রচারেও এঁদের স্বার্থ গুরুত্ব পায় না। গণতন্ত্রের চাহিদা ও তার প্রয়োগের মধ্যে এই বিরাট ফাঁকটা আজ ভরাট করে চলেছে এক পশ্চাদমুখী রাজনীতি – যতক্ষণ মানুষের বস্তুজগতের প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি নিয়ে আন্দোলন থাকে, তর্ক-বিতর্ক থাকে ততক্ষণ মানুষের মনে কোনো কল্পিত বাস্তবের জায়গা হয় না, সমাজ পরিচ্ছন্ন থাকে। সবল বামপন্থী আন্দোলনের ইতিহাস তাই বলে: আজ খুব সহজে লোকের মধ্যে মুসলমান-বিদ্বেষ প্রচার করা হচ্ছে, কিন্তু, দুর্বল-অসহায় মানুষদের অবস্থা পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন যখন তীব্র ছিল, তখন কুকর্মীরা সমাজে এই বিষ ঢালার সাহস পেত না। আন্দোলন স্তিমিত হলে, নানা সামাজিক শ্যাওলা সমাজকে জড়িয়ে ধরে – মানুষের দৃষ্টি আচ্ছন্ন হয়ে যায়, এবং মিত্রকে শত্রু ও শত্রুকে মিত্র ভেবে বসে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ভোটবাক্স | ৩০ মার্চ ২০২১ | ২৮৬১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • প্র দীপ বসু | 103.151.156.69 | ৩০ মার্চ ২০২১ ১৪:২৭104296
  • অসাধারণ গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য। 

  • জয়ন্ত ভট্টাচার্য | 117.201.117.234 | ৩০ মার্চ ২০২১ ১৭:৪৭104307
  • "গণতন্ত্রের চাহিদা ও তার প্রয়োগের মধ্যে এই বিরাট ফাঁকটা আজ ভরাট করে চলেছে এক পশ্চাদমুখী রাজনীতি – যতক্ষণ মানুষের বস্তুজগতের প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি নিয়ে আন্দোলন থাকে, তর্ক-বিতর্ক থাকে ততক্ষণ মানুষের মনে কোনো কল্পিত বাস্তবের জায়গা হয় না, সমাজ পরিচ্ছন্ন থাকে। সবল বামপন্থী আন্দোলনের ইতিহাস তাই বলে: আজ খুব সহজে লোকের মধ্যে মুসলমান-বিদ্বেষ প্রচার করা হচ্ছে" - অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য। 

  • santosh banerjee | ৩০ মার্চ ২০২১ ২০:২৮104310
  • একটা রাজনৈতিক দল কে দেখান তো ...যারা কোনো সামাজিক ইসু নিয়ে সোচ্চার ????একটা ?? সবচেয়ে করুন দশা বাম পন্থী দের !!ওনারা তো এখন "secular" পদবি যুক্ত দল কে সঙ্গেনিয়ে প্রমান করতে চাইছেন ওনারা সেক্যুলার ( এতদিন সেক্যুলার হয়তো ছিলেন না তাই ) !! বাকি রা তো সামন্ত প্রভু দের মতো এলাকা দখলের লড়াই তে ব্যস্ত !!চুলোয় যাক মানুষের সমস্যা ......!!

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন