এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বুদ্ধদেববাবুর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পিছনের রাজনীতি

    gautam roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ মার্চ ২০২১ | ১৯৬৪ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • গত ২০১১ সালে বামফ্রন্ট হেরে যায়। কেন হেরে যায়, তার চর্বিতচর্বণ না করে, যে নেতিবাচক ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেতেন, তারপরের সময়কাল গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে এক ভয়ঙ্কর মুষল পর্বের কাল। বালির বাঁধের মতো ভেঙে পড়তে থাকে বামপন্থী দলগুলির সংগঠন। বামফ্রন্টের শেষ পনের আঠারো বছরে শরিক দলগুলিকে মাথা তুলতে না দেওয়ার যে প্রবণতা অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল, তার ফলশ্রুতিতে দুই দিনাজপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বাসন্তী, গোসাবা, মুর্শিদাবাদে আরএসপি প্রায় হারিয়ে যেতে বসে। যদিও মুর্শিদাবাদে আরএসপি নিজের তৈরি স্বখাত সলিলে অনেকটাই নিজেরা ডুবেছে। আজ যে অধীররঞ্জন চৌধুরী কংগ্রেসের নেতা, তিনি তো আরএসপির দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৃষ্টি। আরএসপি এই অধীরবাবুকে তৈরি করেছিল সিপিআই(এম)কে শায়েস্তা করতে, যেমন করেছিল কলকাতায় পরেশ পালকে। ফরোয়ার্ড ব্লকের অশোক ঘোষ তাঁর বিশেষ পছন্দের অপরাজিতা গোপ্পীকে রাজনীতিতে তুলে ধরতে একদিকে কমল গুহকে উত্তরবঙ্গে চাপে রেখেছিলেন, অপরদিকে সিপিআই(এম)কে শায়েস্তা করতে এই কমল গুহকেই মাথায় তুলেছিলেন। যেমন করেছিলেন কলকাতা বন্দর এলাকায় অপরাধ জগতের সঙ্গে মিতালী পাতানো কলিমুদ্দিন শামসকে মাথায় তুলে।

    এই ধরণের বিষয়গুলি জ্যোতি বসু দেখেও বামফ্রন্ট টিকিয়ে রাখার দায়বদ্ধতায় না দেখার ভান করেছেন কি না সেটি বিতর্কিত বিষয়। ডি সি পোর্ট বিনোদ মেহতা হত্যার ঘটনার পিছনে ফরোয়ার্ড ব্লক নেতা কলিমুদ্দিন শামসের ভূমিকা ছিল না, এটি একটি অমিমাংসিত বিষয় হলেও, গোটা ঘটনাটি যে সিপিআই(এম)কে ম্যালাইন করার জন্যে হয়েছিল, সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। বিনোদ মেহতাহত্যার দায়ে ধৃত ইদ্রিশের পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু কলিমুদ্দিন শামসকে বাঁচালেও আখেরে তারজন্যে অনেক মূল্য দিতে হয়েছিল সিপিআই(এম) কে।সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম পর্ব থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তথা সিপিআই(এম) কে ক্ষমতাচ্যুত করতে অতীতের এই ঘটনাগুলির যে কোনো ধারাবাহিকতা ছিল না, তা জোর গলায় বলা যায় না। ফরোয়ার্ড ব্লক নেত্রী ছায়া ঘোষকে দেখেছি একাংশের সাংবাদিকদের উসকানিতে বিধানসভার ভিতরে যেভাবে সরকার, বিশেষ করে বামফ্রন্টের প্রধান শরিক সিপিআই(এম) এর সমালোচনা করেছেন, তা সেইসময়ে বিরোধীদেরই শক্তি জুগিয়েছে।

    সততার প্রশ্নে বুদ্ধদেববাবু কখনো চোখকান বুজে থাকা মানুষ ছিলেন না। দলের ভিতরে বা বাইরে নানা কীর্তি করে একটা সময়ে সিপিআই(এম) দলের অনেকেই পার পেয়ে গেলেও বুদ্ধবাবু ক্ষমতার রাশ নিজের হাতে নিয়ে বুঝিয়েছিলেন, কোনোরকম অন্যায়, দুর্নীতির সঙ্গে তিনি এতোটুকু আপোষ করবেন না। প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার অল্প দিনের ভিতরেই দমদমের সিঁথি অঞ্চলে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। অভিযোগের তীর ওঠে বুদ্ধবাবুর দলেরই দুলাল ব্যানার্জী নামক স্থানীয় এক ডাকাবুকো নেতার বিরুদ্ধে। শাসক দলের কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর পুলিশ কোনো দিকে না তাকিয়ে অপরাধীর অপরাধকেই একমাত্র গুরুত্ব দিচ্ছে - এটা কেবলমাত্র বামফ্রন্টের আমল কেন, স্বাধীনতার পর কখনো পশ্চিমবঙ্গে দেখতে পাওয়া যায় নি।রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, 'হয় না যা তা, সেটাও হবে'-র পরিবেশ যে বুদ্ধদেববাবু রচনা করলেন, এটা কি প্রশাসনিক, কি রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে একটা নোতুন বার্তা দিল। এমন নিরপেক্ষ প্রশাসন পশ্চিমবঙ্গ স্বাধীনতার পর থেকে কখনো পায় নি। নিজের মন্ত্রীদের দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় ওয়াংচু কমিশন করেছিলেন। কিন্তু সেই কমিশন করেছিলেন কেবলমাত্র পোষ না মানা মন্ত্রীদের শায়েস্তা করতে। বুদ্ধবাবু আগুনে হাত দিচ্ছেন, সেই আগুন তাঁকে পোড়াতে পারে জেনেও কিন্তু নিজের পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা করেন নি। এই আপোষহীনতা পশ্চিমবঙ্গ কিছুটা হলেও মাত্র আর একজন মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে পেয়েছিল, তিনি প্রফুল্লচন্দ্র সেন।

    দুলাল ব্যানার্জীর ঘটনার প্রেক্ষিতে পার্টিধর্ম পালন করেন নি বুদ্ধবাবু। পালন করেছিলেন রাজধর্ম। এমন ভাবে রাজধর্ম পালনের নজির পশ্চিমবঙ্গবাসী অনেককাল দেখেন নি। সাধারণ মানুষ, যাঁরা হয়তো বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে সেভাবে থাকেন না, তাঁরা সেদিন দুহাত তুলে আশীর্বাদ করেছিলেন বুদ্ধদেববাবুকে। আর যারা জায়গায় জায়গায় এক একজন দুলাল ব্যানার্জীদের দৌলতে করে কম্মে খাচ্ছিলেন বেশ ভালোরকম ভাবে, তারা আদাজল খেয়ে নেমে পড়লেন বুদ্ধবাবু কতোটা খারাপ, হিটলারের সঙ্গে তাঁর কতোখানি সাদৃশ্য আছে তা বোঝাতে।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামকে ঘিরে নিজের রাজনৈতিক ভাগ্যান্বেষণে বেরোলেন, সেই কাজে নিশ্চিত ভাবে বোঝা যায়, দুলাল ব্যানার্জী, লক্ষণ শেঠদের মতো যাদের পাকা ধানে মই দিয়েছিলেন বুদ্ধবাবু তাদের ভূমিকা এবং অবদান ছিল অনেকখানিই। যে নন্দীগ্রামে কেমিকাল হাবের কোনো সরকারী সিদ্ধান্তই হয় নি কখনো, সেখানে পঞ্চায়েত সমিতির একটি নোটিশ, যে নোটিশকে ছিঁড়ে ফেলে দেওয়ার কথা বলেছিলেন বুদ্ধবাবু, ওই নোটিশের কেমিকাল হাবের গপ্পো ঘিরে এতোবড় ধুন্দুমার কান্ড ঘটে গেল, যারা যারা ওই কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন, তারাই যে বুদ্ধবাবুকে ম্যালাইন করতে পরবর্তী কান্ড কারখানা করেন নি - সেই আশঙ্কা কখনোই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

    বুদ্ধবাবু গয়ংগচ্ছ ভাবে প্রশাসন চালান নি। দল ও চালাতে চান নি। কিন্তু দলের ভূমিস্তরের যেসব লোকেরা কার্যত দলীয় ক্ষমতা দখল করে ছিলেন, তাদের বেশিরভাগই পুলিশ পুলিশের মতো চলবে, দলের মেজ, সেজ, ন নেতারা পুলিশের উপর খবরদারি করবে না - এটা কি কখনো মেনে নিতে পারেন? বিশেষ করে বুদ্ধবাবুর মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশমন্ত্রী হওয়ার আগে দলের নেতারা যেভাবে থানার আইসি, ওসি থেকে জেলার পুলিশ সুপারকে কার্যত কানধরে ওঠবোস করাতেন, তারা কি করে পারবেন সেই পুলিশ, প্রশাসনের কথা শুনে চলবে, এটা সহ্য করতে? তাই সিঙ্গুরে টাটাকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যে মমতার পাশে, নকশালদের, বিজেপির পাশে, যাবতীয় বামফ্রন্ট বিরোধী শক্তির পাশে খাতায় কলমে বুদ্ধবাবুর বন্ধু পরিচয় দেওয়া লোকজনেরা, তাঁর নিজের দল এবং শরিকদলের লোকেরা, যাঁদের করেকম্মে খেতে বাদ সেধেছিলেন বুদ্ধবাবু, তাঁরাই যে কোমর বেঁধে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একজোট হন নি, তা কিন্তু জোর দিয়ে বলা যায় না।

    লক্ষণ শেঠরা যে কার্যত দুটি মেদিনীপুরেই সমান্তরাল প্রশাসন চালিয়েছিলেন সেই সময়, মহাকরণের কোনো নির্দেশ ই মেদিনীপুরের দুটি অংশেই তারা লাগু হতে দিতেন না - এই সত্য ঘটনার ভিতরেই কিন্তু লুকিয়ে আছে নন্দীগ্রামে গুলিবর্ষণ থেকে শুরু করে সিপিআই(এম)কে ভিতর থেকে ফোঁপড়া করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের ই একটি অংশ। এই ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে মমতা এবং তাঁর সঙ্গীসাথীদের যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল না, তেমনটা ভেবে নেওয়ার আদৌ কোনো কারন নেই। তবে এই ষড়যন্ত্রকারীরা যে বুদ্ধদেববাবুকে একদম ক্ষমতাচ্যুত করতে চেয়েছিলেন, এটা খুব মনে হয় না। কারন, বুদ্ধদেববাবু ক্ষমতায় না থাকলে এই ষড়যন্ত্রকারীরা যে বিপদের সামনে পড়বে, সেই বিপদ মোকাবিলার ক্ষমতা তাদের আছে কি না,সে সম্পর্কে এরা নিঃশংশয় ছিলেন না। এরা চেয়েছিলেন বুদ্ধদেববাবুকে নিজেদের কব্জার মধ্যে পুড়তে। বুদ্ধদেববাবুর প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধাশীল মানুষদের ক্ষমতা খর্ব করতে। যাতে বিধানসভাতে বুদ্ধবাবুর ক্ষমতা কমে, তিনি এইসব ষড়যন্ত্রকারীদের হাতের পুতুলে পরিণত হন।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এইসব ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে পেয়ে নিজের ক্ষমতায় আসা নিয়ে এতোটাই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন যে, ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তারে তিনি প্রণব মুখার্জী, এল কে আডবাণী, রাজনাথ সিং, মোহন ভাখবত, প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সী , সঙ্কীর্ণতাবাদী রাজনীতিক - যাদের প্রতি 'অতি বাম' বিশেষণ টা অনেকেই ব্যবহার করেন, এইসমস্ত লোকজনদের নিয়ে, কিছু আন্তর্জাতিক স্তরের কমিউনিস্ট বিরোধী এনজিও, তাদের মালিক, মেধা পাটেকরের মতো মানুষদের নিয়ে তখন অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন।

    সংবাদমাধ্যম এবং একটি বড়ো অংশের বুদ্ধিজীবী যে বুদ্ধবাবুকে সেই সময়ে দানব হিশেবে উপস্থাপিত করতে চেয়েছিলেন, বুদ্ধবাবুর ছবির গায়ে রক্তের ছিটে, ছিঃ লেখা পোস্টার - এইসব গুলো হয়েছিল, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ছাড়া আর একজন ও সেদিন কোনটা সাদা, কোনটা কালো, সেটা প্রকাশ্যে বলেন নি। নন্দীগ্রামের ঘটনাবলী ঘিরে বুদ্ধবাবুকে গণহত্যার নায়ক বলতে দ্বিধা করেন নি শঙ্খ ঘোষ থেকে অম্লান দত্ত। অথচ বুদ্ধবাবুর সৌজন্য এতোখানিই আন্তরিক যে, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর যখন তাঁকেই ঘরে বাইরে অভিযুক্ত করা হচ্ছে পরাজয়ের জন্যে, তখন ও শঙ্খ ঘোষ টিবি আক্রান্ত হয়েছেন শুনে, সব মান অভিমান দূরে সরিয়ে রেখে কবিকে ফোন করে তাঁর শরীর, স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নিতে তিনি ভোলেন নি।

    গত (২০১৯) লোকসভার ভোটে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বামপন্থীরা খুব খারাপ ফল করে। একটি আসনও তারা পায় না। ভোটের শতাংশ ও উল্লেখযোগ্য রকম ভাবে নেমে যায়। গুণগত মান না দেখে, কোন কর্মী কোন নেতাকে সাংঠনিক স্তরে সমর্থন করবে, তার ভিত্তিতে দলের শ্রীবৃদ্ধি ঘটালে যা হওয়ার তাই ঘটেছিল সেদিন। ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চার বাইরে গিয়ে নাস্তিকতার চর্চার অভিনয় একটা বড়ো অংশের বামপন্থীরা করেছেন। নিজেরা আড়ালে আবডালে কোমরের ঘুনসিতে তাবিজ, কবজ, তাগা সবই জড়িয়েছেন, অথচ অপরে ধর্মাচারণ করলে সেই সহযোদ্ধাকে কিভাবে বংশখন্ড দেওয়া যায়, তার জন্যে পাঁয়তারা কষেছেন। সুভাষ চক্রবর্তীর বীরভূমের তারাপীঠে পুজো দেওয়ার ঘটনা তখন চাপা পড়ে গেলেও ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারের দিকে ঝোকার প্রবণতা বামপন্থীদের ভিতরে কি ভাবে হয়েছিল, তা '১৯ এর ভোটে আমরা দেখেছি।

    সেই জায়গা থেকে রামরাজ্যের শ্লোগানকে কর্মরাজ্যের শ্লোখানে, ঘামরাজ্যের শ্লোগানে যিনি রূপান্তরিত করেছেন, সেই জাদুকরের নামটি হল, বুদ্ধদেববাবুর সার্থক উত্তরসূরি মহঃ সেলিম। বিজেপি একদিকে ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার ঘটিয়ে যাকে পারছে তাকেই গৈরিক বসন পড়িয়ে স্বঘোষিত ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব তৈরি করে দিচ্ছে, তারপর তাকে রাজনীতিতে নামিয়ে নিজেদের কোলে ঝোল টানবার চেষ্টা করছে। একই কাজ বিগত দশ বছর ধরে মমতা মোসলমান সমাজের একটা বড়ো অংশের মানুষদের নিয়ে করেছেন। নিজের এবং দলের পেটোয়া ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের দিয়ে কেবল ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারের কথাই মমতা গত দশ বছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে বলে ধর্মনিরপেক্ষ হিন্দুদের ও একটা অংশকে সাম্প্রদায়িক শিবিরের দিকে ঠেলে দিলেন। সেখানে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট এবং তার মূল স্তম্ভ আব্বাস সিদ্দিকি, শিমুল সোরেন, নওসাদ সিদ্দিকি, বিক্রম চ্যাটার্জীদের রাজনীতির মূল স্রোতে এনে, তাঁদের দিয়ে নিপীড়িত, শোষিত, বঞ্চিত মানুষের হকের দাবি আদায়ের কথা তুলে ধরবার নেপথ্য কারিগর হলেন সেলিম। মন্দির, মসজিদের সামনে যে মানুষটি ভিক্ষে করছে, তাকে ভিক্ষের টাকা একটা, দুটো বাড়িয়ে রাজনৈতিক চমক দিচ্ছে মোদি-মমতা। আর সেলিম যে মানুষদের রাজনীতির মূলধারাতে যুক্ত করে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির ধারাপ্রবাহ কেই বদলে দিতে চলেছেন, সেই প্রবাহের ধারক বাহক আব্বাস, নওশাদ, শিমূল, তাপস ব্যানার্জী, বিক্রম চ্যাটার্জীরা লড়ছেন, ওই এতিম ফকির মিশকিনটিকে অর্থনীতির মূল স্রোতে স্থাপন করবার জন্যে। সেলিম বাংলার রাজনীতিতে এই যে নোতুন প্রবাহ সৃষ্টি করলেন, তেমনটাই তো চেয়েছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন,এ কে ফজরুল হক, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অপূর্ণ কাজ এঁরাই সম্পূর্ণ করবেন বুদ্ধদেবের যোগ্য উত্তরাধিকার হিশেবে ভারতের রাজনীতিতে সেলিম অচিরেই হয়ে উঠবেন ধ্রুবতারা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • manimoy sengupta | ২৩ মে ২০২১ ১৭:৪৬106363
  • এতো মহম্মদ সেলিমের পি আর হচ্ছে মনে লাগছে। সেলিমকে ধ্রুবতারা নাবলে মুক্তিসূর্যও বলতে পারতেন । কী উচ্ছাস।

  • সম্বিৎ | ২৪ মে ২০২১ ০৯:৪৯106387
  • মন ছুঁয়ে গেল।

  • দীপ | 42.110.146.49 | ২২ জুলাই ২০২২ ০০:৪৪510115
  • মানুষ একদিন বামফ্রন্টকে চেয়েছিল বলেই বামফ্রন্টকে বিপুল‌ ভোটে ক্ষমতায় এনেছিল, টানা চৌত্রিশ বছর ক্ষমতায় এসেছিল। আবার সেই মানুষ‌ই বামফ্রন্টের উপর তিতিবিরক্ত হয়ে বামফ্রন্টকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়েছে । এর মধ্যে আর কোনো রহস্য নেই। গণতন্ত্রে মানুষের ইচ্ছাই জয়ী হয়েছে।
  • দীপ | 42.110.146.49 | ২২ জুলাই ২০২২ ০০:৫৫510116
  • লক্ষ্মণ শেঠ মেদিনীপুরে সমান্তরাল প্রশাসন চালাতেন, বেশ‌ ভালো কথা। তা রাজ্য প্রশাসন কি করতেন? কুম্ভকর্ণের মতো দিবানিদ্রা দিয়েছিলেন। নাকি প্রতিবছর লক্ষ্মণ শেঠের আলিমুদ্দিনে পাঠানো‌ প্রণামীতে মুগ্ধ হয়ে থাকতেন? 
    মহাবিপ্লবীরা তো কথায় কথায় মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেন। জর্জ বুশ নাকি ভয়ে কাঁপতে! তাই লক্ষ্মণ শেঠকে সামলাতে পারলেন না?
  • দীপ | 42.110.146.49 | ২২ জুলাই ২০২২ ০১:০৩510117
  • আর ২০০৭-১১ মহাশ্বেতা দেবী, শঙ্খ ঘোষ প্রমুখ ব্যক্তিত্বদের উদ্দেশ্যে যে ভাষা বাম নেতারা ও তাদের চামচারা প্রয়োগ করেছে, তা আমরা এখনো ভুলিনি! আর সৌজন্যের অনেক পরিচয় দেখেছি! তপন সিংহ প্রয়াত হবার পর মহাবিপ্লবী মুখ্যমন্ত্রী তপন সিংহের বাড়িতে যাওয়ার সামান্য সৌজন্যটুকুও দেখাননি, কারণ উনি "আমাদের লোক" নন!
  • দীপ | 42.110.146.49 | ২২ জুলাই ২০২২ ০১:০৬510118
  • মরিচঝাঁপি, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম বাম আমলেই হয়েছে! ভিখারি পাসোয়ান থানা থেকে নিখোঁজ হয়েছে! তসলিমার ব‌ই নিষিদ্ধ হয়েছে, তসলিমাকে তাড়ানো হয়েছে! পণ্ডিত মহোদয় বোধহয় এগুলো বিস্মৃত হয়েছেন!
  • দীপ | 42.110.146.49 | ২২ জুলাই ২০২২ ০১:২১510119
  • "আমরা ২৩৫, ওরা ৩০। ওরা কি করবে?" 
    "চারপাশ ঘিরে পেটাবো।"
    "লাইফ হেল‌ করে দেব।"
    এই হুমকি গুলো মনে আছে? কোনো সভ্য দেশে এইভাবে প্রকাশ্য জনসভায় হুমকি দিলে লাথি মেরে জেলে ঢোকানো হতো! 
    এরপরও বড়ো বড়ো কথা বলতে এসেছেন!
  • Ranjan Roy | ২২ জুলাই ২০২২ ১৫:১৩510143
  • Indian Sector Front! আব্বাস नामक পির সেটার নেতা। তিনি মহিলা অভিনেতা के গাছে বেঁধে পেটানো দরকার বলে निदान দিয়েছিলেন। 
     
    মমতা ও  বুদ্ধদেব के দেখতে গিয়েছিলেন। 
    তা সেই সেকুলার Front এখন কোথায়?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন