এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা  রাজনীতি

  • ২০২০ আমেরিকার ইলেকশান

    S
    আলোচনা | রাজনীতি | ৩১ অক্টোবর ২০২০ | ৩৫১৩ বার পঠিত
  • ভাটিয়ালিতে এসব লম্বা লম্বা পোস্ট লিখলে হারিয়েও যায়। নিজেরই খেয়াল থাকেনা দুদিন আগে কি লিখেছিলাম। তাছাড়া অনেকে পছন্দ করেনা। তাই এই টই। যতখুশি লেখো, যাখুশি লেখো।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 2a03:e600:100::39 | ৩১ অক্টোবর ২০২০ ০৮:২৬733083
  • ১) অ্যারিজোনাতে আগেরবার ভোট পড়েছিল ২৬ লাখ (৭৪% টার্নাউট)। এবারে এখনও অবধি আর্লি ভোট ২৩ লাখ। ডেমরা সামান্য এগিয়ে। তবে পার্টি অ্যাফিলিয়েশনের বাইরে অনেক ভোট পড়েছে। ২০০৮ থেকে ২০১৬ অবধি সব ইলেকশানেই ডেমরা পেয়েছে ৪৪-৪৫% ভোট। কিন্তু জিওপির ভোট ৫৪% থেকে কমে হয়েছে ৪৮%। ফলে বাইডেনের সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। বিশেষ করে যদি বহু রিপাব্লিকান সিনিয়ররা পার্টিলাইন ক্রস করে থাকে, যেমনটা শোনা যাচ্ছে।

    ২) কোলোরাডোতে ডেমরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারে। আগেরবার ভোট পড়েছিল ২৮ লাখ (৭৪% টার্নাউট)। এবারে এখনও অবধি আর্লি ভোট ২৪ লাখ। ডেমরা বেশ কিছুটা এগিয়ে আছে।

    ৩) ফ্লোরিডাতে আগেরবার ভোট পড়েছিল ৯৪ লাখ (৭৫% টার্নাউট)। এবারে এখনও অবধি আর্লি ভোট ৭৮ লাখ। ডেমরা সামান্য এগিয়ে। পোলিং বলছে এখানে কিউবানদের মেজরিটি ট্রাম্পকে ভোট দেবে। কিন্তু সিনিয়রদের (ভোটারদের ২০%) বাইডেণকে দেবে। হেলথকেয়ার বোধয় সত্যিই বড় ইস্যু এখানে। আমি এখনও ফ্লোরিডাকে ট্রাম্পের ঘরে রাখছি।

    ৪) জর্জিয়াতে আগেরবার ভোট পড়েছিল ৪১ লাখ (৭৬% টার্নাউট)। এবারে এখনও অবধি আর্লি ভোট ৩৬ লাখ। এখানে পার্টি ধরে ভোট ব্যালট ডিক্লেয়ার করেনা। কিন্তু মহিলাদের ভোট ৫৫%। ইয়ঙ্গরাও ভোট দিচ্ছে ভালো। তবুও জর্জিয়া এবারে হয়ত ট্রাম্পেরই থেকে যাবে ন্যারো মার্জিনে।

    ৫) আইওয়াতে আগেরবার ভোট পড়েছিল সাড়ে ১৫ লাখ (৭২% টার্নাউট)। এবারে এখনও অবধি আর্লি ভোট প্রায় ৯ লাখ। আর্লি ভোটের ৪৭% রেজিস্টার্ড ডেম আর ৩৩% রেজিস্টার্ড জিওপি। আমার ধারণা বাইডেন-্হ্যারিস ইতিমধ্যে প্রায় ৫ লাখ ভোট পেয়ে গেছেন। বাকী ভোটের ৪০% পেলেই ফাইটিং চান্স তৈরী হয়ে যাবে।

  • S | 2405:8100:8000:5ca1::523:5d1f | ৩১ অক্টোবর ২০২০ ০৮:৫২733084
  • ৬) মিনেসোটাতে গতবার হিলারি ক্লিন্টন জিতেছিলেন মাত্র ৪৫,০০০ ভোটে (দেড় পার্সেন্ট পয়েন্টে)। প্রায় ৩০ লাখে ভোট পড়েছিল। এইবারে এখনও অবধি মাত্র ১৬ লাখ। নট আ গুড নিউজ ফর বাইডেণ ক্যাম্পেইন। এইবারে ডেমরা পেয়ে গেলেও এই রাজ্য নিয়ে কিন্তু ডেমদের সিরিয়াস চিন্তাভাবনা শুরু করা উচিত ইমিডিয়েটলি। এইখানে কিন্তু হোয়াইট ওয়ার্কিং ক্লাস পপুলেশান এখনও ডেমদের সঙ্গে আছে। বেশিদিন থাকবেই সেই ভরসা নেই। ফার্ম সাবসিডিজ, লো ইনকাম ফ্যামিলিদের ট্যাক্স কাট দেওয়া (৪ লাখের বেশি আয়ের লোকজনদের ট্যাক্স বাড়ানো হোক কোনও আপত্তি নেই), আনএমপ্লয়মেন্ট বেনিফিট বাড়ানো, ওবামাকেয়ার এক্সপ্যানশান, ওষুধের দাম কমানো ইত্যাদি নতুন ডেম সরকারকে করতেই হবে।

    ৭) নর্থ ক্যারোলাইনাঃ গতবারে ভোট পড়েছিল ৪৭ লাখে (টার্ণাউট ৬৯%)। ইতিমধ্যে ভোট পড়েছে ৪১ লাখ। ডেমরা কিছুটা এগিয়ে আছে। তার থেকেও বড় খবর হল যা ভোট পড়েছে তার ২৭% গত ইলেকশানে ভোট দেয়নি। ডেমরা সত্যি খুশি হতে পারে, স্বপ্নও দেখতে পারে। আরেকটু ডিটেলে যাওয় যাক। ২০১৬তে যে কাউন্টিগুলো থেকে সবথেকে বেশি ভোট পড়েছিল, তার প্রথম ৭টাই হিলারি পেয়েছিলেন। এবং হিলারির আদ্ধেক ভোট এসেওছিলো এই ৭টা কাউন্টি থেকে। এই কান্টিগুলো থেকে এবারও ভালো ভোট পড়েছে। কিন্তু এখনও বহু ভোট আসতে পারে এই জায়্গাগুলো থেকে। এই স্টেট কে ক্যারি করবে, সেটা ঠিক হবে টার্ণাউট দিয়েই।

    ৮) নিউ মেক্সিকো ডেমদের পকেটেই থাকছে। গতবার ভোট পড়েছিল ৮ লাখ (৬২% টার্নাউট)। এবারে আর্লি ভোট পড়েছে ৭ লাখ। ডেমরা অনেক এগিয়ে। গতবার হিলারি যত ভোট পেয়েছিলেন, এবারে বাইডেণ বোধয় ইতিমধ্যে সেই ভোটের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।

  • S | 2405:8100:8000:5ca1::3c2:6e2 | ৩১ অক্টোবর ২০২০ ০৯:১৯733085
  • ৯) ছোট রাজ্য নিউ হ্যাম্পশায়ার। মাত্র ৪টে ইলেকটোরাল কলেজ সীট। গতবার ভোট পড়েছিল ৮ লাখ (৭৫% টার্নাউট) আর হিলারী জিতেছিলেন তিন হাজারেরও কম ভোটে। এবারে এখনও অবধি ভোট পড়েছে মাত্র ১ লাখ ৮০ হাজার। সমস্ত পোল বলছে বহু এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন। কিন্তু কম টার্নাউট বাইডেনের জন্য সমস্যা হতে পারে।

    ১০) নেভাডাতে গতবার ভোট পড়েছিল ১১ লাখ ২৫ হাজার (৭৬%+ টার্নাউট) আর হিলারী জিতেছিলেন ২৫ হাজার ভোটে। এবারে এখনও অবধি ভোট পড়েছে প্রায় ১০ লাখ। রেজিস্টার্ড ডেমোক্রাটদের ভোট পড়েছে একটু বেশি (৪০-৩৬)। বাকীদের থেকে অন্তত ৪০% ভোট পেতে হবে বাইডেণকে জিততে গেলে। এই রাজ্যে দুটো বড় শহর - লাস ভেগাস আর রিনো। লাস ভেগাস নাম করা সিন সিটি হিসাবে। রিনোতেও এখন অনেক ক্যাসিনো, হোটেল। ন্যাচারালি প্রচুর ডাইভার্সিটি। আর এই দুটো শহরেই রয়েছে রাজ্যের ৮০% ভোট। তারপরেও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে (আসলে এই রাজ্যে প্রচুর ইভান্জেলিকাল ক্রিশ্চান আছে যারা কট্টর রিপাব্লিকান) এখানে খুব কন্টেস্ট হয়। আশা করছি বাইডেণ জিতে যাবে।

    ১১) ২০০৮ এবং ২০১২ তে ওবামা জেতার পরেও গতবার ট্রাম্প খুব বড়সড় মার্জিনে জেতে ওহায়ো। প্রায় ৫৫ লাখ ভোট পড়েছিল (৭১% টার্ণাউট)। এখনও অবধি ভোট পড়েছে ২৬ লাখ। ২০১৯ অবধি এই রাজ্যের গভর্ণর ছিলেন জন ক্যাসিক যিনি ২০১৬ সালের প্রাইমারিতে হারিয়েছিলেন ট্রাম্পকে। এইবারে তিনি খোলাখুলি সাপোর্ট করেছেন বাইডেনকে। এমনকি এবছরের ডেমোক্রাটিক ন্যাশনাল কনভেনশানে তাকে বক্তব্য রাখতে দেওয়া হয়, যেটাতে নিজেদের পার্টির রাইজিং স্টার এওসি জায়্গা পেয়েছিল মাত্র ২ মিনিট। এমনকি এও শোনা যাচ্ছে যে ক্যাসিক বাইডেণ ক্যাবিনেটে জায়্গা পেতে পারে। এরপরও ট্রাম্পের এই রাজ্যে জেতার সম্ভাবনা প্রবল। এই রাজ্য থেকেই বোঝা যায় জে রিপাব্লিনা পার্টি এখনও আসলে ট্রাম্পের পার্টি। জাত, ধর্ম নিয়ে যে বিভাজনের খেলা রিপাব্লিকানরা বহুদিন ধরে খেলছে, ট্রাম্প সেই খেলার মাস্টার। ফলে রিপাব্লিকান ভোটাররা এখন সব ট্রাম্প ভোটারে পরিণত হয়েছে।

  • S | 2405:8100:8000:5ca1::3c2:8f78 | ৩১ অক্টোবর ২০২০ ০৯:৫২733086
  • ১২) পেনসিলভানিয়াঃ ১৯৮৮র পর প্রথম কোনও রিপাব্লিকান প্রেসিডেনশিয়াল ইলেকশান যেতে ট্রাম্প ২০১৬তে। মোট ভোট পড়েছিল প্রায় ৬২ লাখ (টার্নাউট ৬০%)। এখনও অবধি ভোট পড়েছে মাত্র ২৩ লাখ। রেজিস্টার্ড ডেমরা এগিয়ে আছে অনেকটা (৬৭-২৩)। অথচ প্রায় ৪০% ভোট এসেছে সিনিয়র সিটিজেনদের থেকে। এখনও কম ভোট পড়াটা যেমন ডেমদের চিন্তা হতে পারে, তেমনি সিনিয়ার সিটিজেনদের সাপোর্ট ফিরে আসা নিয়ে কিছুটা নিশ্চিন্তও হতে পারে। এইখানে প্রচুর গন্ডগোল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ইলেকশানের দিন এবং পরে।

    ১৩) টেক্সাস যদিও সুইঙ্গ স্টেট নয় এবং ট্রাম্প এখানে নিশ্চিন্তে জিতবে, তবু ডেমদের এইখানে জেতার স্বপ্ন অনেকদিনের। বিগত দুই দশকে ভোট অনেকটা বেড়েছে। গতবার ভোট পড়েছিল প্রায় ৯০ লাখ (৬০% টার্নাউট) এবং ট্রাম্প পেয়েছিল ৫২% ভোট। এইবারে ভোট পড়েছে ৯০ লাখ - ২০১৬র মোট ভোট ছড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে ইন পার্সন ভোট পড়েছে ৮০ লাখ। টেক্সাসে রিপাব্লিকানরা খুব চেস্টা করেছে যাতে টার্ণাউট কম থাকে। কিন্তু সেগুড়ে বালি। অনেকে খুব অসন্তুষ্ট রিপাব্লিকানদের এই আচরণে। তবু এই রাজ্য ট্রাম্পের পকেটে। হয়ত মার্জিন কমবে অনেকটা। সে হয়ত বহু রিপাব্লিকান স্টেটেই হবে। যেসব রাজ্যে ট্রাম্প নিশ্চিত জিতবে, সেখানে বহু রিপাব্লিকানরা ভোট না দিয়ে বা লিবারেটেরিয়ানদের ভোট দিয়ে ট্রাম্পকে সতর্ক করে দিতে চাইবে। তবে এটা সুইঙ্গ স্টেটগুলোতে আশা করা যায়্না।

    ১৪) একসময়ের রিপাব্লিকান স্টেট ভার্জিনিয়া এখন ডেমদের রাজ্য। গতবার ভোট পড়েছিল প্রায় ৪০ লাখ (৭২% টার্নাউট) এবং হিলারী পেয়েছিলেন প্রায় ৫০% ভোট। এবারে এখনও অবধি ভোট পড়েছে প্রায় ২৫ লাখ। সব পোলে বাইডেন অনেক এগিয়ে। এখানে ডেমরা জিতবে।  ওয়াশিংটন এলিটরা (ব্যুরোক্রাট, অফিশিয়ালস, লবিয়িস্ট ইত্যাদি) এখানে থাকে এবং বেশিরভাগ ডেমদের ভোট দেয় (এরাই একসময় জিওপির বাঁধা ভোটার ছিল)।

  • S | 2405:8100:8000:5ca1::30:f148 | ৩১ অক্টোবর ২০২০ ১০:১১733087
  • ১৫) ১৯৮৮ সালের পর মিশিগানে প্রথম কোনও জিওপি প্রার্থী জেতে গতবার। ভোট পড়েছিল ৪৮ লাখ (টার্নাউট ৬৩%) আর ট্রাম্প জিতেছিল মাত্র নয়্হাজার ভোটে। এবারে এখনও অবধি ভোট পড়েছে প্রায় ২৬ লাখ। তবে এর মধ্যে ৪৩% ভোট দিয়েছে সিনিয়র সিটিজেনরা। এই রাজ্যের ডেমোক্রাট গভর্ণরকে কিডন্যাপের প্ল্যান করেছিল একদল ট্রাম্পভক্ত। ট্রাম্প কিন্তু তাতে দমে যায়নি, উল্টে আরো বেশি আক্রমণ শুরু করে। মিশিগানে গত চারবছরে ট্রাম্পজনিত পাগলামো বেড়েছে বলেই মনে হচ্ছে। ফলে এই রাজ্যে খুব অদ্ভুতভাবে ট্রাম্প আবার জিতলেও অবাক হবনা। মাইকেল মূর সাবধানবাণী দিয়েছেন যে ট্রাম্প এখানে খুব বুদ্ধি করে ক্যাম্পেইন-্র‌্যালি করছে, এবং এর সুফল পেতে পারে। এই উইকেন্ডে সেখানে জয়েন্ট র‌্যালি করবে বাইডেণ এবং ওবামা। দেখা যাক তার ফলে ভোটের পরিবর্তন হয় কিনা। এই রাজ্যে এখনও অনেক ভোট পড়তে পারে।


    ১৬)  উইসকনসিনঃ ১৯৮৪ সালের পর প্রথম কোনও জিওপি প্রার্থী জেতে গতবার। ভোট পড়েছিল ৩০ লাখ (টার্নাউট ৬৭%) আর ট্রাম্প জিতেছিল মাত্র ২৩হাজার ভোটে। এখনও অবধি ভোট পড়েছে ১৭ লাখ। এর মধ্যে ১২ লাখ হল মেইল ভোট। তবে গতবার সবথেকে বড় দুটো কাউন্টিতে জিতেছিলেন হিলারী। এই দুটো কাউন্টি থেকেই মোট ভোট পড়েছিল সাড়ে সাত লাখ (রাজ্যের মোট ভোটের ২৫%)। এখনও অবধি এই দুটো কাউন্টি থেকে ভোট এসেছে পোনে চার লাখ। ডেমদের সম্ভাবনা আছে এই রাজ্য আবার ফিরিয়ে নেওয়ার।

  • PM | 45.250.49.161 | ৩১ অক্টোবর ২০২০ ২৩:৪১733096
  • এইসব এগিয়ে পিছিয়ে কেস গুলো কি এক্সিট পোল যা আসল ভোটের ফল আজ পর্যন্ত্য ?

  • S | 2405:8100:8000:5ca1::53:8c2f | ০১ নভেম্বর ২০২০ ০০:৩৭733097
  • সব রাজ্যেই প্রচুর আর্লি ভোট পড়ছে। দুইভাবেঃ মেইল-ইন ভোট আর ইন-পার্সন ভোট। কতগুলো রাজ্য এইযে আর্লি ভোট পড়ছে, তার রেজিস্টার্ড পার্টি মেম্বার অনুযায়ী হিসাব দেয়। যখন বলছি যে ডেমরা এগিয়ে আছে, তার মানে আর্লি ভোটারদের মধ্যে রেজিস্টার্ড ডেমদের সংখ্যা রেজিস্টার্ড রিপাব্লিকানদের থেকে বেশি। এটা ধরে নেওয়া যায় যে রেজিস্টার্ড ডেমদের মধ্যে অ্যারাউন্ড ৯৫% বাইডেনকে ভোট দেবে। রেজিস্টার্ড রিপাব্লিকানদের মধ্যেও ঐরকম ট্রাম্পকে ভোট দেবে। এবারে কোন পার্টি থেকে কত ভোটার পার্টি লাইন ক্রস করছে, সেটা খুব ইমপর্ট্যান্ট। মানে ৯৫টা ৯৭ হয়ে গেলে, বা অন্য ওআর্টির ৯৫টা ৯৩ হয়ে গেলেই সুবিধা। সবাই চাইবে যে অন্য পার্টির লোক কম ভোট দিক, দিলেও হয় থার্ড পার্টিকে দিক, বা উল্টো বড় পার্টিকে ভোট দিক।

  • S | 2405:8100:8000:5ca1::9e6:e70e | ০১ নভেম্বর ২০২০ ০০:৫২733098
  • এখনও হিসাব অনুযায়ী ৯ কোটি ভোট পড়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩৩ মিলিয়ন ইন-্পার্সন ভোট। ৫৭ মিলিয়নের একটু বেশি মেইল ব্যালট। আরো সাড়ে ৩৩ মিলিয়ন ব্যালট রিকোয়েস্ট হয়েছিল।

    পার্টি রেজিস্ট্রেশান অনুযায়ী সব রাজ্য রিপোর্ট করেনা। যেসব রাজ্য রিপোর্ট করে সেই রাজ্যগুলোতে এখন অবধি প্রায় চার কোটি চল্লিশ লাখ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে ৪৬% ভোটার রেজিস্টার্ড ডেম, ৩০% জিওপি, ১%এর একটু কম থার্ড পার্টিগুলো, আর ২৩% ভোটার কোনও পার্টির সাথে অ্যাফিলিয়েটেড নয়। এই ১৯টা রাজ্যের মধ্যে যেগুলো গুরুত্বপূর্ন হতে পারে সেগুলো হলঃ অ্যারিজোনা, কোলোরাডো, ফ্লোরিডা, আইওয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, নেভাডা, পেনসিলভানিয়া। এইবারের ইলেকশানে যে ছটা রাজ্যের উপর সবথেকে বেশি নজর থাকছে, তার মধ্যে চারটে রয়েছে এই লিস্টে।

    এই সাড়ে চার কোটির মধ্যে ইন-পার্সন ভোট পড়েছে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ। এই ইন-পার্সন ভোটারদের মধ্যে কিন্তু রিপাব্লিকান পার্টির রেজিস্টার্ড ভোটার বেশি। মার্জিন প্রায় ৪২-৩৬। বাকী ৩ কোটি ৩০ লাখ মেইল ইন ভোটের মধ্যে ৪৯-২৬এ এগিয়ে রয়েছে ডেমরা। এই মেইল ভোটগুলো না গুনলে বা কোনওভাবে চেপে দিতে পারলেই ট্রাম্প জিতে যাবে। আমেরিকাতে সবই সম্ভব।

  • S | 2405:8100:8000:5ca1::2fb:36f9 | ০১ নভেম্বর ২০২০ ০১:১৪733099
  • এবারে একটা এস্টিমেশান করছি।

    ২৫শে অক্টোবর অবধি ভোট পড়েছিল ৬ কোটি, সেই সংখ্যা এখন হয়েছে ৯ কোটি। আমি আশা করছি যে এই সংখ্যা আরো ২ কোটি বাড়বে ইলেক্শন ডের আগে। ইতিমধ্যে বেশিরভাগ রাজ্যে আর্লি ইন পার্সন ভোটিং বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু কিছু রাজ্যে এই শেষ একদুদিনে ডেমদের পক্ষে প্রচুর ইন পার্সন ভোট পড়েছে সোলস টু দ্য পোলস ইনিশিয়েটিভের জন্য। কিন্তু মেইল ইন ভোট আসতে থাকবে। এমনকি ইলেকশানের পরেও। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনও ব্যালট ৩ তারিখে পোস্ট করলেই ভ্যালিড। পেনসিলভানিয়াতে নিয়ম করা হয়েছে যে ৬ তারিখ অবধি আনডেটেড ব্যালট এলে সেগুলোকেও অ্যাক্সেপ্ট করা হবে। সুপ্রীম কোর্ট সায় দিয়েছে। তাছাড়া প্রবাসী আমেরিকানদের (এটা লিখতে গিয়ে খুব একচোট হাসি পেলো) ভোট আসতে সময় লাগবে। এই কারনেই ইলেকশানের অনেক পরে অফিশিয়াল ফল ঘোষণা করা হয়। ইলেকশানের দিন সন্ধ্যা বেলায় যেটা ঘোষণা করা হয় সেটা মিডিয়ার প্রোজেকশান। এই পার্থক্যটা যে সুপ্রীম কোর্টের একজন জাজ, যিনি নিজে ২০০০ সালে বুশ ক্যাম্পেইনের হয়ে ফ্লোরিডাতে ছিলেন, জানবেন না, সেটা তো সত্যি নয়। তাহলে এই বক্তব্যের মানে কি? ক্যাভেনাহকে মাগা হ্যাট উপহার দেওয়া উচিত।

    এনিওয়ে আই ডাইগ্রেস।

  • S | 2001:1b60:3:239:1003:103:0:1 | ০১ নভেম্বর ২০২০ ০১:৪১733100
  • ধরা যাক এবারে ভোট পড়বে মোট ১৫ কোটি। তার মধ্যে আর্লি ভোট ১১ কোটি, যার মধ্যে আবার ইনপার্সন ভোটার ৪ কোটি আর মেইল ভোট ৭ কোটি।

    হিসাব অনুযায়ী বাইডেণ যদি ৫০% ভোট পায় তাহলে জিতে যাবে। থাম্ব রুল বলছে যে বাইডেনকে ৪% পয়েন্টে এগিয়ে থাকতে হবে পপুলার ভোটে। বাইডেণ ৫০% পেলে, বাকী ছোট পার্টিরা ৪% ভোট কাটবে, তাহলে মার্জিন হয়ে যাবে ৪% পয়েন্ট। মানে বাইডেনকে এবারে জিততে গেলে সাড়ে ৭ কোটি ভোট পেতে হবে।

    এখানে দুটো ডেটা পয়েন্ট দেওয়া প্রয়োজন। গতবার ক্যালিফোর্নিয়াতে ১ কোটি ৪০ লাখে ভোট পড়েছিল। এবারে এখনও অবধি মাত্র ৯৮ লাখ। অথচ ব্যালট রিকোয়েস্ট গেছিল প্রায় ২ কোটি ২০ লাখের। মানে এখনও ক্যালিফোর্নিয়াতে মেইলে প্রচুর ব্যালট আসতে এবং ভোট পড়তে বাকী আছে।

    অন্যদিকে টেক্সাসে মেইল ইন ব্যালটের সেভাবে ব্যবস্থাই সেভাবে করেনি সেখানকার রিপাব্লিকানরা। তা সত্ত্বেও সেখানে ভোট পড়েছে ৯৭ লাখ, যার মধ্যে মাত্র ১০ লাখ মেইল ব্যালট। টেক্সাস একমাত্র স্টেট যেখানে এবারে ইতিমধ্যে আগেরবারের থেকেও বেশি ভোট পড়ে গেছে। তবে গতবার ভোটার টার্নাউট ছিল মাত্র ৪৬%। গতবারের ৯০ লাখের মধ্যে যে পাঁচটা সবথেকে বড় কাউন্টি থেকে ভোট এসেছিল (টেক্সাসের মোট ভোটের ৪২%), তার মধ্যে চারটেতেই জিতেছিল ক্লিন্টন। ফলে টেক্সাসের এত ভোট কিন্তু জিওপির জন্য সুখবর নয়।

  • S | 46.167.244.251 | ০১ নভেম্বর ২০২০ ০২:১৩733101
  • এবারে উপরের ডেটা এবং অ্যাজাম্পশানগুলো মাথায় রেখে বাকি হিসাবটা করছি।

    এবারের ইলেক্শানের মোট ভোট = ১৫ কোটি।

    ক) মোট আর্লি আর মেইল ইন ভোট ১১ কোটি।
      - ইন পার্সন ভোট = ৪ কোটি।
      - মেইল ভোট = ৭ কোটি।
    খ) বাকি ৪ কোটি ভোট পড়বে ইলেকশানের দিন।

    আর্লি ভোটের (ক) হিসাব।
    গ) পার্টি রেজিস্ট্রেশান অনুযায়ী ডেটা পাওয়া যাবে = সাড়ে ৫ কোটি। (নাম দিলাম রিপোর্টেড রাজ্য)
    ঘ) বাকী রাজ্যগুলো থেকে = সাড়ে ৫ কোটি।

    রিপোর্টেড রাজ্যগুলোতে (গ) হিসাব।
    গ১) ইন পার্সন = দেড় কোটি।
    গ২) মেইল ভোট = ৪ কোটি।

    আনরিপোর্টেড রাজ্যগুলোতে (ঘ) হিসাব।
    ঘ১) ইন পার্সন = আড়াই কোটি।
    ঘ২) মেইল ভোট = ৩ কোটি।

    এখনও অবধি গ১ এর ডেম-্জিওপি-অন্যান্য হিসাবঃ ৩৬-৪২-২২। ধরা যাক যে রেজিস্টার্ড ডেমদের ৯৫%এর ভোট, রেজিস্টার্ড রিপাব্লিকানদের ২%এর ভোট, এবং অন্যান্যদের মধ্যে ৪০% এর ভোট পাবে বাইডেণ। মোট ভোট = ৬৫ লাখ।

    এখনও অবধি গ২ এর ডেম-্জিওপি-অন্যান্য হিসাবঃ ৪৯-২৬-২৪। ধরা যাক যে রেজিস্টার্ড ডেমদের ৯৫%এর ভোট, রেজিস্টার্ড রিপাব্লিকানদের ৩%এর ভোট, এবং অন্যান্যদের মধ্যে ৫৫% এর ভোট পাবে বাইডেণ। মোট ভোট = ২ কোটি ৪০ লাখ।

    ফলে (গ) থেকে বাইডেণ পাচ্ছে প্রায় তিন কোটির ১০ লাখ ভোট।

    ঘ১ বা ঘ২ এর কোনও পার্টি অনুযায়ী হিসাব নেই। কিন্ত ধরা যাক যে ঘ১ এর মধ্যে ৪২% ভোট পাবে বাইডেণ। আর ঘ২ এর মধ্যে ৫৫% ভোট পাবে বাইডেণ। (ঘ) থেকে বাইডেন পাছে মোট ভোট = ২ কোটি ৭০ লাখ।

    অর্থাত (ক) এগারো কোটি আর্লি ভোটের মধ্যে বাইডেন পাচ্ছেন ৫ কোটি ৮০ লাখ।

    ফলে (খ) চার কোটি ভোটের মধ্যে ১ কোটি ৭০ লাখের মতন ভোট পেতে হবে বাইডেনকে। অর্থাত ৪৩%।

    বইডেনের এই ভোট পেতে অসুবিধা হওয়ার কড়া নয়। এক যদিনা সব রিপাব্লিকানরা বসে থাকে ইলেকশানের দিন ভোট দেওয়ার অপেক্ষায়। বিশেষ করে যেখানে বয়স্ক লোকেরা প্রচুর ভোট দিয়ে দিয়েছে, আর ছাত্ররা সাধারনতঃ ইলেকশানের দিন ভোট দেয়।

  • S | 2405:8100:8000:5ca1::60:4aed | ০১ নভেম্বর ২০২০ ০২:২১733102
  • এবারে বাইডেণের অ্যাডভান্টেজঃ বেশি টার্নাউট সাহায্য করবে, সবার্বান মহিলা এবং বয়স্ক লোকেদের মধ্যে আগেরবারের থেকে সমর্থন বেড়েছে, ছাত্ররা এখনও অনেকে ভোট দেবে এবং এবারে বেশি সংখ্যায় ভোট দিচ্ছে, কালোদের মধ্যে টার্নাউট বাড়বে, পোর্তোরিকানদের সমর্থন, কিছু সাদারা যারা আগেরবার ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিল এবারে ভোট দেবেনা, থার্ড পার্টিকে ভোট দেবে, এমনকি বাইডেনকেও ভোট দিতে পারে।

    ট্রাম্পের অ্যাডভান্টেজঃ বেসের মধ্যে ভোট ইনট্যাক্ট রয়েছে, সাদারা এখনও এদেশে ভালো মাত্রায় মেজরিটি, ফ্লোরিডাতে কিউবানদের মধ্যে সমর্থন বেড়েছে বিপুল পরিমাণে, কালোদের মধ্যেও সামান্য সমর্থন বেড়েছে।

  • S | 31.220.40.239 | ০১ নভেম্বর ২০২০ ২১:৩৩733118
  • যদিও সব পোলে বাইডেণ প্রচুর এগিয়ে আছে এবং অলরেডি প্রায় সাড়ে নয় কোটি ভোট পড়ে গেছে, এবং নেট সিলভারও বাইডেনকে প্রায় অবশ্যম্ভাবী জয়ী ঘোষণা করে দিয়েছে, তবু ইলেকশান ইজ ফার ফ্রম ওভার। এখনও প্রায় ৬ কোটি ভোট পড়বে, যার মধ্যে প্রায় ৫ কোটি ইনপার্সন ভোট পড়বে ইলেকশানের দিন। হিস্পানিকরা এবারে ট্রাম্পকে ভালো মাত্রায় সমর্থন করছে। অথচ যে সাবার্বান এবং সিনিয়র সাদা ভোটাররা আগেরবার ট্রাম্পকে সমর্থন করেছিল, এবারে তাদের সমর্থন কিছুটা বাইডেনের দিকে। তাছাড়া কলেজ পড়ুয়ারা একটু বেশিই ভোট দিচ্ছে এইবারে।

    আইওয়া, ওহায়ো, জর্জিয়াতে ট্রাম্প জিতবে ধরা যেতেই পারে। ফ্লোরিডাতে কিউবানরা এবারে ট্রাম্পকে সমর্থন করছে। হিস্পানিক সমর্থনের জোড়ে হয়ত অ্যারিজোনা আর ফ্লোরিডাও ট্রাম্পের ব্যাগে ঢুকলো। এরপরে নর্থ ক্যারোলাইনা আর পেনসিলভানিয়া জিতলেই ট্রাম্প থেকে যাবে। তবে এইদুটো স্টেট জিততে গেলে ট্রাম্পকে এবং জিওপিকে প্রচুর দুনাম্বারি করতে হবে।

  • PM | 113.21.76.32 | ০২ নভেম্বর ২০২০ ১৪:২৫733119
  • কিন্তু  হিস্প্যানিকরা  ট্রাডিশনাল  ডেম  ভোটার  বলে  জানতাম .


    মেক্সিকোর দেওয়াল ,  অত্যাচার  এর  পরেও  ওদের  ভোট  ট্রাম্প  পাবে ?

  • a | 110.174.50.120 | ০২ নভেম্বর ২০২০ ১৯:৩২733120
  • ধুর হাতি পাদেগা হাতি পাদেগা কেস হবে। ট্রাম্প জিতবে আর কিসুই আমরেস্ট হবে না হপ্তাখানেকের বেশি 

  • S | 2a0b:f4c2::1 | ০২ নভেম্বর ২০২০ ২০:৪৯733121
  • আমারও সেরকমই মনে হচ্ছে। পপুলার ভোটে মার্জিন আরো বাড়বে। মানে বাইডেণ অনেক বেশি পাবে। কিন্তু তারপরেও জাস্ট পেনসিলভানিয়া জিতেই হয়ত ট্রাম্প আবারও থেকে যাবে। আগেরবার যারা ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিল, সেইসব সাদা ভোটারদের মধ্যেও কিন্তু অনেকেই বুঝতে পেরেছে নিজেদের ভুলটা এবং এবারে বাইডেনকে ভোট দিচ্ছে। কিন্তু সেটা যথেষ্ট হবেনা।

    এর ফল যে খুব খারাপ অবস্থা হবে সেটা জানা কথা। এগজ্যাক্টলি কি কি হবে, সেটা তো বলতে পারছি না। আজকে যারা ট্রাম্পকে সাপোর্ট করছে, তাদেরই অনেকে হায় হুতাশ করবে (এবারেও করেছে)। রিপাব্লিকান পার্টির মেরুদন্ড বলে আর কিছু থাকবেনা। মিচ ম্যাকোনেল আরো কিছু ফেডারালিস্ট জাজ বসিয়ে যাবে, পরিবর্তে ট্রাম্প যাখুশি করতে পারে। যাদের একটু মেরুদন্ড আছে, তারা রাজনীতি থেকে অবসর নেবে। স্টিভেন মিলার বসে বসে আরো কিছু রেসিস্ট পলিসি লিখবে। দেশের অবস্থা আরো খারাপ হবে। অর্থনীতি নিয়ে কিছু প্রেডিক্ট করছিনা। কিন্তু রেসিয়াল টেনসন বাড়বে। এদিক সেদিক গোলাগুলি চলবে। ট্রাম্পের গুন্ডারা যাখুশি তাই করে বেড়াবে। কেউ আটকানোর থাকবেনা। গণতন্ত্র নিয়ে ফুটবল খেলা হবে।

  • S | 2a0b:f4c2::1 | ০২ নভেম্বর ২০২০ ২০:৫৪733122
  • এটা একটা আধুনিক সমস্যা। লোকে ভাবে যে কি এমন ক্ষতি হবে। সামনে সব সাইন থাকা সত্ত্বেও। কারণ সেসব চিন্তা করে দেখার সময় বা ইচ্ছাও নেই। তারপর যখন পরে যখন সমস্যা হয় তখন বলে যে আগে তো বুঝতে পারিনি। অথচ এই পুরো সময়টা ধরে কিন্তু তাদেরকে ওয়ার্ণ করে যাওয়া হয়েছে। তারা জাস্ট ইগনোর করে যাচচে। 

  • s | 100.36.157.137 | ০৩ নভেম্বর ২০২০ ০৪:০৯733123
  • এবার ইলেকশনে পেন্সিল্ভ্যানিয়া হচ্ছে ডিসাইডিং স্টেট। আর অ্যারিজোনা, জর্জিয়ার দিকে নজর রাখুন।

  • S | 2a0b:f4c1:2::247 | ০৩ নভেম্বর ২০২০ ০৪:১২733124
  • হ্যাঁ পেনসিলভানিয়া হল আসল স্টেট। অ্যারিজোনা আর ফ্লোরিডাও বুঝলাম। কিন্তু জর্জিয়া কেন? ওটা তো ট্রাম্পের পকেটে।

  • s | 100.36.157.137 | ০৩ নভেম্বর ২০২০ ০৪:৩৫733125
  • দু বছর আগে স্টেসি আব্রাহাম প্রায় গভর্নর হতে যাচ্ছিল। এখন জর্জিয়া হচ্ছে দশ বছর আগের ভার্জিনিয়া।

  • S | 2405:8100:8000:5ca1::58c:4ae | ০৩ নভেম্বর ২০২০ ০৪:৩৮733126
  • দেখা যাক। অ্যারিজোনা তো খুব ক্লোজ হওয়ার কথা। 

  • Amit | 121.200.237.26 | ০৩ নভেম্বর ২০২০ ০৪:৪৫733127
  • একটা কোশ্নো আছে। ৫০ টার মধ্যে একখান স্টেট্ কিভাবে এতটা  ডিসাইডিং ফ্যাক্টর হয় ? টোটাল ইলেক্টরেট এর ২৭০+ মতো পেলেই মেজরিটি পাওয়া উচিত না ? নাকি অন্য কোনো স্টেট্ wise মেথড এপলাই করা হচ্ছে ?

  • s | 100.36.157.137 | ০৩ নভেম্বর ২০২০ ০৪:৪৬733128
  • আর এবার জর্জিয়ার সেনেট ইলেকশনে ইউনিক এক্টা সিচুয়েশান। আমার ধারণা ডাউন ব্যালটের বদলে জর্জিয়ার এবার আপ ব্যালট এফেক্ট দেখা যাবে।

  • s | 100.36.157.137 | ০৩ নভেম্বর ২০২০ ০৪:৪৮733129
  • স্টেটের পপুলেশান অনুসারে ইলেক্টর নাম্বার ঠিক হয়। তাই ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, নিউ ইয়র্ক এদের ইলেক্টর বেশি।

  • S | 2405:8100:8000:5ca1::a97:5312 | ০৩ নভেম্বর ২০২০ ০৪:৫৩733130
  • এবারে জর্জিয়াতে ভোতার সাপ্রেশান কেমন হচ্ছে? ২০১৮তে তো স্টেসি আব্রামের জেতার কথা ছিল। 

  • Amit | 121.200.237.26 | ০৩ নভেম্বর ২০২০ ০৫:৪২733131
  • ট্রাম্প এর সাপোর্টার গুলোর "Fire Fauci " চ্যান্ট এর ভিডিও দেখে পুরো সেই দিল্লি ইলেকশন এ বিজেপির অনুরাগ ঠাকুরের " গোলি মারো শালো কো"  মনে পড়ে গেলো। 


    ফ্যাসিস্ট গুলোর রং-ঢং  সব দেশেই এক। ম্যাংগো লোক ইতিহাস বারবার দেখেও শিক্ষে পায়না  যতক্ষণ না বাঁশটা নিজের পেছনে ভালো করে ঢুকে যাচ্ছে। বাই দেন ইটস টু লেট্। 

  • d | 100.36.157.137 | ০৩ নভেম্বর ২০২০ ০৭:১৫733132
  • অমিত,
    হিসেবমত, বাইডেন উইসকনসিন, মিশিগান আর পেনসিল্ভ্যানিয়া জিতলে আর ২০১৬ এ হিলারি ক্লিনটনের জেতা স্টেট ধরে রাখলেই ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট হয়ে যাবে। ঊইস্কসিন আর মিশিগান নিয়ে বাইডেন ক্যাম্প কনফিডেন্ট। পেনসিলভ্যানিয়াতে বাইডেন এগিয়ে থাকলেও পুরোপুরি কনফিডেন্ট নয়। আবার ট্রাম্প যদি খালি মিশিগান আর উইস্কনসিন হারে কিন্তু পেনসিলভ্যানিয়া ধরে রাখে তাহলে জিতবে। তাই দুই ক্যাম্পেন ই পেনসিলভ্যানিয়া নিয়ে পরে আছে।
    কিন্তু ঐ তিনটে স্টেট ছাড়াও অ্যারিজোনা আর জর্জিয়ার দিকে নজর রাখতে হবে। ইন ফ্যাক্ট, বাইডেন ক্যাম্প এখন অফেন্সিভ স্টান্স নিয়েছে। ম্যাপ এক্সপ্যান্ড করতে চেষ্টা করছে। টেক্সাস, নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়া, ফ্লোরিডা আর অ্যারিজোনা।

  • s | 100.36.157.137 | ০৩ নভেম্বর ২০২০ ০৭:১৭733133
  • আগের পোস্ট আমার।

  • S | 2a0b:f4c2::1 | ০৩ নভেম্বর ২০২০ ০৭:২১733134
  • টেক্সাসে এত ভোট পড়ছে। এটা কি ব্যাপার?

  • s | 100.36.157.137 | ০৩ নভেম্বর ২০২০ ০৭:৪২733135
  • বেশ কয়েক বছর, বিশেষ করে লাস্ট দু বছর ক্যালিফোর্নিয়া, নিউ ইয়র্ক থেকে লোকে মুভ করছে টেক্সাসে। ডালাস, অস্টিন, স্যান অন্টোনিও আর হিউস্টনের সাবার্ব এক্সপোনেনশিয়ালি গ্রো করেছে। তার ফল। এই তালে টেক্সাস যদি ব্লু হতে যায় তাহলে ইলেক্টোরাল কলেজ নিয়ে ডেমোক্র‌্যাটদের আর চিন্তা নেই।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন