এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  কাব্য  শুক্রবার

  • অন্য ভাষার কবিতারা

    ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ
    কাব্য | ০২ অক্টোবর ২০২০ | ৩৬১৯ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)


  • কবি কে? এর উত্তর হয় না, নেই। যা কিছু সংজ্ঞায়িত করা যায় না, সেভাবে দেখলে, জীবনের আসল জিনিসগুলোই সংজ্ঞায়িত করা যায় না, জীবন কি তার উত্তর তক আজও জানা নেই মানুষের, সেরকমই একটা জিনিস কবিত্ব। তবে, কবির কি কি গুণ থাকতে পারে, তার একটা ফর্দ পন্ডিতেরা বানিয়েছেন বটে। যদিও সে ফর্দের হ্যাপা অনেক, কোন কবি সেই লিস্টির একটা কোয়লটি নিয়ে আসে, কেউ একাধিক নিয়ে আসে, আবার কেউ একদম নতুন মাল নিয়ে আসে, তখন আবার পন্ডিতেরা চোখে চশমা এঁটে বসে বলেন, তবে এই কোয়লটি'টিকেও লিস্টিতে জুড়ে ফেলা যাক।

    সেই লিস্টির একটা খুব জনপ্রিয় আইটেম হল, কবিরা সেইটে দেখতে পান, যা আমরা দেখতে পাই না। আপনি আমিও চেয়ে আছি, নিচে জনসমুদ্র, জানালা দিয়ে দেখছি আর বিড়ি খাচ্ছি, কবিও তাই করছে, কিন্তু তার মধ্যেও একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তির আচরণ সে লক্ষ করে, তার মধ্যে নতুন সত্য খুঁজে পায়, নিহিত অর্থ খুঁজে পায়। আমাদের রোজকার জিন্দেগী, তার মধ্যে ঘটে চলা আপাত রেগুলার আমাদের জীবনধারণ, কবির রসদ সেখানেই লুকিয়ে, শুধু তিনি দেখতে পান আর আমরা পাই না। তাই তিনি কবি, আমরা নই।

    বা ধরুন, আপনিও দেখতে পেলেন, কিন্তু দেখবেন, বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না, ভাবছেন ঠিক কি করে বোঝাবো, অমনি কবি এসে টুক করে দুটো লাইন বলে দেবে, আপনি চেঁচিয়ে উঠবেন, ঠিক ঠিক, একদম এটাই বলতে চাইছিলাম ভাই, তুমি আমায় বাঁচালে। এইটে সেই লিস্টের আরেকটি জনপ্রিয় আইটেম।
    কালকে বকরি ঈদ গেল, সেই উপলক্ষে বন্ধু সৈকত মিত্র পাঠালেন একটি কবিতা, মির্জা গালিবের লেখা, আমি আগে পড়িনি।
    نظر بہ غفلتِ اہلِ جہاں ہوا ظاہر
    کہ عیدِ خلق پہ حیراں ہے چشمِ قربانی
    নজর বেগফলত এ এহল এ জহাঁ হুয়া যাহির
    কে ঈদ এ খলক পে হয়রান হ্যায় চশম এ কুরবানী

    মানুষমারা উর্দু! আমার উর্দুর জ্ঞান মোটামুটি হাম খাতা, তুম জাতা পর্যন্ত গড়ায়। কেঁদে ককিয়ে এর মর্মার্থ উদ্ধার করলুম। মোটামুটি ভাবে এরকম,

    নিরলস পার্থিবতার পূজারীরা দিল ধরা নজরে
    পৃথিবীর ঈদ দেখে বিস্ময় মানে কুরবানীও আজ।

    আরেকটু বাড়িয়ে ছড়িয়ে লিখলে, এমনধারা হয়, এহল এ জহাঁ, অর্থাৎ, দুনিয়াওয়ালা লোকেরা, অর্থাৎ দুনিয়ায় যাদের ধ্যানজ্ঞান, মোক্ষ; এবং তারা এই কাজে বেগফলত, (পড়ুন, বে-গফ-লত) অর্থাৎ নিষ্ঠাবান, সোজা কথায় যারা সারা দিন দুনিয়ার মোক্ষর পিছনে ছুটে বেড়ায়, আজ তারা আমার নজরে জাহির হয়ে গেল, অর্থাৎ কিনা, তাদের ভণ্ডামি প্রকাশ পেয়ে গেল।
    কি ঘটলো রে বাবা? পরের লাইনে তার খুলাসা করছেন কবি, খল্ক অর্থাৎ পৃথিবী, পৃথিবীতে তাদের ঈদ পালন বা উৎসব দেখে আজ কুরবানীর নজরও, দৃষ্টিও, বিস্ময়াতুর।

    কারণ? কারণ, কুরবানী অর্থাৎ উৎসর্গ, বনের পশুর প্রতীকে মনের পশুর বলিদান। কিন্তু দুনিয়ার মোহে যারা অন্ধ, তারা মনের পশুর কুরবানী দিলে কেস খেয়ে যাবে যে, যার পিছনে তারা দৌড়ায়, ঠিক যে জিনিসগুলোর পিছনে দৌড়ানো থেকে মানা করা হয়েছে, সেগুলোর বলি! তার থেকে বকরি কাটা অনেক সহজ, এবং তাতে বেশ ভালো করে লোক দেখানোও যায়, প্রতিবেশী নজরে খানিক মান ইজ্জত রুৎবা আরো বেড়ে যায়, সোশ্যাল সার্কলে আরেকটু কলার তুলে ঘোরা যায়। আর তাই, কুরবানী নিজের বিস্ময় লুকোতে পারে না, সে অবাক হয়ে দেখে, তার রূপকের উল্টো রূপের সেলিব্রেশন, তাই সে অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে এই দুনিয়াবী ঈদের নজারার দিকে, বিশ্বাস করতে পারে না। মনে মনে সে কি ফরিয়াদ জানায় বিশ্বপ্রভুর কাছে?

    যা বলছিলুম, কবি তা দেখতে পান, যা আমরা দেখতে পাই না। আর কবিরা তা বলতে পারেন, যা আমরা বলতে চেয়েও বলার শব্দ বা শব্দের সঠিক কম্বিনেশন খুঁজে পাই না। চাচা, তাই বোধহয়, সত্যিই কবি ছিলেন



    ~~~~



    আহ কো চাহিয়ে ইক উমর অসর হোনে তক
    কওন জীতা হ্যায় তেরি জুলফ কে সর হোনে তক

    গালিবের অন্যতম সেরা কবিতার ওপেনিং লাইন্স। প্রথম লাইনের অনুবাদ ভারী সোজা, 'আকুতি পূরণ হতে কেটে যায় সারাটা জীবন'। মুশকিলটা পাকায় দ্বিতীয় লাইনে এসে। সোজাসুজি অনুবাদ করে দিলে অর্থ এমন "তোমার কেশের যত্ন নেওয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত কে বাঁচতে চায়"। হাতামাথা খুঁজে পেলেন না তো? পাওয়া উচিতও নয়। এখানেই কবিতার অনুবাদে অনুবাদকের ডিলেইমা ও উৎকৃষ্টতা দেখানোর সুযোগ। দেখি তুমি কত বড়ো অনুবাদক যে কবিতার মূলভাব অক্ষুন্ন রেখে অনুবাদ করতে পারো, তেমন ব্যাপার আর কি।

    একটি কথা, এই সহজ সরল উর্দুতে জট পাকিয়ে যায় একটি শব্দে, সর। শব্দটি হিন্দি উর্দু জানা লোক মাত্রই অনুবাদ করবেন মাথা হিসেবে। কিন্তু উচ্চারণ এক হলেও, এই শব্দের বানান আলাদা। বানান দুটি লিখলাম না কারণ, উর্দু পড়তে পারেন এমন বন্ধু সম্ভবত নেই আমার বন্ধু বৃত্তে। এই সর অর্থ লাইন, রেখা। এই থেকেই এসেছে তুলনামূলক পরিচিত সরহদ কথাটি। সর অর্থাৎ লাইন, হদ অর্থাৎ বাউন্ডরি, মিলেমিশে হল, বাউন্ডরি লাইন। বলছি যখন, বলে নিই, আহ অর্থাৎ দীর্ঘশ্বাস, এখানে আকুতি বোঝাচ্ছে।

    এখানে তখন টিকা লিখতে হয়, প্রেমিকার কেশ পরিচর্যা উর্দু সাহিত্যে কবিদের এক প্রিয় মুহূর্ত। তাঁরা ঐটি দেখতে বেজায় ভালোবাসেন। ওই সময় এক মিষ্টি মধুর দ্বন্দ্বে ভোগেন তাঁরা। মনে হয় তাঁদের, চলতেই থাকুক এ কাজ, আমি দেখতেই থাকি, এ শেষ যেন না হয়। আবার মনে হয়, ঐটি শেষ হলেই তো তিনি আসবেন আমার হয়ে, আমার বাহুডোরে। কখন যে শেষ হয়, কখন যে তিনি আমার হয়ে ধরা দেন, কাছে আসেন, পাশে আসেন। দুই সমান কিন্তু বিপরীত কামনায়, প্রেমের আগুনে দগ্ধাতে থাকেন কবি। ওই পোড়াতেই কবির আনন্দ। ওই মধুর দ্বন্দ্ব প্রেমের শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি।

    আরেকটি অর্থ করেন অনেকে, নিজেকে সুন্দর করে তুলছেন তিনি ধীরে ধীরে, সুন্দরতর করে তুলছেন, এই প্রক্রিয়া যেন শেষ না হয়, কোথাও গিয়ে যেন থেমে না বলতে হয়, এইটেই তার রূপের চরম সীমা, এখানেই শেষ, এইটেই লিমিট, এর থেকে সুন্দর আর তিনি হতে পারবেন না।

    এখানে চাচা বলছেন, তোমার জুলফ সর হয়ে যাবে, অর্থাৎ, তোমার কেশ পরিচর্যা শেষ হয়ে যাবে, সেদিন দেখার জন্য আমি বেঁচে থেকে কি করবো। আমার জন্য প্রেমের আকর্ষণ শেষ হয়ে যাবে, আমি জেনে যাব তোমার রূপ অসীম নয়, সীমায় বাঁধা, সে realisation আসার আগে, খোদা, আমাকে তুলে নিও। আমি এই জেনে মরতে চাই যে যাকে আমি ভালোবেসেছি, সে অসীম রূপবতী। পার্থিব সীমারেখার বন্ধন হতে মুক্ত সে রূপ। তার কেশ পরিচর্যা দেখতে দেখতে আমি চোখ বন্ধ করব, সে জীবনই তো সার্থক। তারপরে জীবনে আর কি চাওয়ার আছে, পাওয়ার আছে। তারপরে শুধু আছে মোহভঙ্গের বেদনা।

    তাহলে অর্থ গিয়ে দাঁড়ালো কোথায়?

    আকুতি পূরণ হতে কেটে যায় সারাটা জীবন (তাঁকে কাছে পাবার আকুতি, যার জন্য তাঁর কেশ পরিচর্যা শেষ হতে হবে)
    বাঁচতে কে চায় বল তোমার রূপ প্রসাধন শেষের আশায় (তাঁর কেশ পরিচর্যা শেষ না হওয়ার আকুতি)

    প্রেমের দ্বন্দ্বের এই মধুরতম প্রকাশ চাচা ছাড়া আর কেই বা লিখতে পারতেন



    ~~~~



    বাজারে গুজব রটেছে আমি বিশাল উর্দু জানি। ফলে বিভিন্ন বন্ধু আমাকে বিভিন্ন জিনিস জানতে চেয়ে মেসেজ করেন, আমিও গুগল করে তাদের উত্তর দিয়ে ঝোলটুকু নিজের পাতে টেনে নিই। এই করে যদ্দিন চলে মন্দ নয়, নাহলে লকডাউনে তো কিছুই চলে না।

    তেমনি কালকে এক বন্ধু একটি লাইন পাঠিয়ে জানতে চাইলেন দুটি শব্দের অর্থ। বহু বহু দিন পর শুনলুম অতি প্রিয় শেরটি এবং তারপর থেকে মাথার মধ্যে ঘুরেই যাচ্ছে। বন্ধু এক লাইন লিখেছিলেন কারণ তাঁর দুটি শব্দের অর্থ দরকার ছিল। আমি দু লাইন-ই লিখে দিই?

    সুরজমে লগে ধব্বে, কুদরত কে করিশমে হ্যায়
    বুত হমকো কহে কাফির, আল্লাহ কি মর্জি হ্যায়

    যারা হিন্দি জানেন, তাদের দু একটা শব্দ বলে দিলেই ধরে ফেলবেন কবিতাটি। করিশমা অর্থ জাদু বা অদ্ভুত ব্যাপার, বুত মানে মূর্তি বা প্রতিমা।

    আপাত-অসংলগ্ন এই দুই লাইনকে একসাথে বলার কারণ কি? কিন্তু কিছু বলার আগে, যারা হিন্দি উর্দুতে আমার মতোই 'পারদর্শী' তাদের জন্য অনুবাদটা গুগল থেকে টুকে দিই এই বেলা।

    সূর্যেও আছে কলংক, প্রকৃতির আজব লীলা
    প্রতিমা আমায় বলে বিধর্মী, আল্লাহরই তো এ মর্জি

    এবারে জ্ঞান নেবেন খানিকটা? বাহ্! পড়ুন তাহলে।

    আমাদের চারিপাশে খেয়াল করে দেখেছেন, কি অদ্ভুত বৈপরীত্য নিহিত আছে প্রত্যেক বিষয়ে? মানে আমি বিভিন্ন জিনিস দেখতে বলছি না। একই জিনিসের মধ্যে কি কন্ট্রাস্টিং ব্যাপারস্যাপার? শিঙি মাছে মারলে কাঁটা, ওষুধ জানেন তো, তার পিত্তথলির রস। এত ছোট উদাহরণ ভালো লাগলো না? বড় উদাহরণ নিন। তীর্থস্থানের পাশে গজিয়ে ওঠা বেশ্যাখানা কেমন হবে উদাহরণ হিসেবে? এ তো আপনি নিজেই জানেন। বা, সেই আমাদের ক্লিশে উদাহরণ, আমাদের পরিষ্কার করে যে মেথর, তাকেই আমরা নোংরা বলে স্পর্শ এড়িয়ে যাই না? বা, পরিষ্কার করার জন্য, তাকে নোংরা ঘাঁটতে হয় না? যে চোখ সব কিছু দেখে, সে কিন্তু নিজেকে দেখতে পায় না, তাই চোখে পোকা পড়লে আমরা পাশের লোকটাকে বলি দেখতে। ডাক্তার সবার অপারেশন করে, তার পেটে ব্যামো হলে? জোনাকির নিজের বুকে আলো, তবু সে ধেয়ে আসে আলোর উৎসের দিকে। এ উদাহরণ অন্তহীন। জ্ঞানী লোকেরা হলে উদাহরণ দিয়েই বুঝিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু আপনি পড়েছেন আমার পাল্লায়। অত জ্ঞানী হলে আজ আমি প্রফেসর হতুম। সে যাক গে।

    এখানেও, এই দুই সম্পর্কহীন লাইন জুড়ে আছে, ওই থিমে। কেমনে বলুন তো?

    যে সূর্য এই মহাবিশ্বের আলোর উৎস, যে দূরীভূত করে সমস্ত অন্ধকার, তার গায়েই অজস্র কলংকের কালো দাগ। (এ থেকেই বোঝা যায় লেখাটি বেশ আধুনিক, কবি সৌরকলংক সম্পর্কে অবহিত)। এ প্রকৃতির লীলা না এক অদ্ভুত ডার্ক সেন্স অফ হুমর, নাকি yin yang এর চিরন্তন ব্যালান্সবোধ, আমি জানি না, কিন্তু কিছু তো একটা হবেই, আর, যাই হোক না কেন, ব্যাপারটি বেশ অদ্ভুত। ঠিক তেমনি, নিরাকার ব্রহ্ম ছেড়ে যে প্রতিমাউপাসক হয়ে আজ আমি কাফের তকমা পেয়েছি, (ম্যান্ডেটরি নোট: কাফির বা কাফের শব্দের অর্থ অমুসলিম নয়, নাস্তিক। ভুল ইন্টারপ্রিটেশনে লোকে দুই অর্থ গুলিয়ে ফেলে, কবি এখানে সেই অর্থ ব্যবহার করেছেন যেটি লোকে ভুলবশত ব্যবহার করে। কবি তো আর তকমা বেছে নেননি, দিয়েছে অন্যে, এবং তাদের সীমাবদ্ধ জ্ঞানে, তারা তকমাটুকুও ভুল দিয়েছে), যার উপাসনা করেছি আমি সেই মূর্ত্তি যখন আমাকে কাফির বলে বিদ্রুপ করে, তখন সেটাকে আল্লাহর মর্জি বলে মেনে নেওয়া ছাড়া আর কি উপায় আছে? রূপকার্থে, যার প্রেমে পাগল আমি, সেই আমাকে পাগল বলে এড়িয়ে চলে। এ সেই নজরুলের, "যার তরে আমি চোর বটি দাদা, সেই বলে, এ হে চোর, ছি ছি"। নজরুলের লেখাটায় বিদ্রূপটা মূল, কাব্য পরে, এখানে কাব্যটিকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, তাতে মেসেজের ঝাঁজ খানিক কমেছে বটে, কিন্তু তাতেও দিব্যি উৎরে যায়।

    আমাদের জ্ঞাত জগতের আলোর উৎসের বুকে জড়িয়ে থাকে অন্ধকার, কি অদ্ভুত ব্যাপার না?
    যে আমার কুফরীর* উৎস, সেই প্রতিমা আমাকে বলে কাফির, এও আরেক আজব ব্যাপার।
    (কুফরী = কাফেরের গুণাবলী, কার্যাবলী, সহজ ভাষায়, যে কুফরী করে, সে কাফের )

    দুটোই মনে হয় আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া আর কিছুই নয়।

    (নজরুলের লাইনটি হালকা ভুল হতে পারে, সেক্ষেত্রে ক্ষমাপ্রার্থী এবং নিবেদন যে সঠিক লাইনটি জানিয়ে বাধিত করবেন)


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • কাব্য | ০২ অক্টোবর ২০২০ | ৩৬১৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ০২ অক্টোবর ২০২০ ২৩:০৩97962
  • ভেবলে গেছলাম 'ফয়েজ আহমদ ফয়েজ' দেখে। ভাবলাম ফয়েজের কবিতার কথা হবে,দেখি গালিবের! 


    পরে মনে হল আসলে সমীক্ষকের নামই বোধহয় 'ফয়েজ আহমদ ফয়েজ' । মাশআল্লা!!

  • r2h | 73.106.235.66 | ০৩ অক্টোবর ২০২০ ০৮:৩৮97979
  • লেখকের নামের জায়গায় লেখকের নাম আছে - ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ। কিছু অস্পষ্টতা থেকে গেল কি?

  • রঞ্জন | 182.69.63.96 | ০৩ অক্টোবর ২০২০ ১৫:২৮97997
  • হয়তো


    না না। ব্যাপারটা অন্য  এবং মজার।  আসলে ফয়েজ আহমদ  ফয়েজ  গুরুতে কোন  লেখকের নাম হবে এটা ধাতস্থ  হতে সময় লাগে বইকি।


    যদি বড় বড় করে লেখকের  নাম  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  লেখা হয়। 

  • রঞ্জন | 182.69.63.96 | ০৩ অক্টোবর ২০২০ ১৬:০০98003
  • সরি 


         লিখেছিলাম  হুতো,  হযে গেল  হয়তো। 

  • moulik majumder | ০৭ জুন ২০২১ ০০:৪৩494682
  • ভালো লাগল

  • ঝর্না বিশ্বাস | ২৫ জুলাই ২০২১ ২১:৪৯496092
  • পর পর দুটো পোস্ট পড়লাম। চাচা আমারও মস্ত ফেভারিট...খুব সুন্দর লিখছেন...আরো বেশি করে ওনার শের-ও-শায়রীর ক্যোট করে পরের পর্ব আসুক। অপেক্ষা রইল। 

  • তৌহিদ হোসেন | 2402:3a80:1cd3:847c:478:5634:1232:5476 | ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ ২১:৪৯514922
  • দারুণ! বলার কায়দাটা ঈর্ষণীয় ❤
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন