এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • সোমনাথবাবুর গলাধাক্কা পর্ব: সর্ষের মধ্যে ভূত?

    রঞ্জন রায়
    আলোচনা | বিবিধ | ৩১ আগস্ট ২০০৮ | ৬১২ বার পঠিত
  • বিগত দুইমাস ধরিয়া বোকাবাক্সের তামাশা আসমুদ্রহিমাচল ভারতবাসীর যারপরনাই আকর্ষণের কেন্দ্র হইয়াছিল। বিশেষ করিয়া চব্বিশঘন্টা নবীন-নবীন চটপটি খবর দেখানোর জন্য কৃতসংকল্প চ্যানেলগুলি। ইহাদের টিআরপি রেট এমন এক্‌স্‌পোনেন্‌শিয়ালি বাড়িতে লগিল যে লাফটার চ্যানেল, সিনেমা, ফ্যাশন প্যারেড ইত্যাদির সি ই ও দিগের চাকরি যায়-যায় রব উঠিয়াছিল। এই উচ্ছলজলধিতরঙ্গে গা' ভাসাইতে অনেক উৎসাহী কাঁচাপয়সা ওয়ালা গৌরীসেনের দ্‌ল কিছু নবীন কচিকাঁচা চ্যানেল শুরু করিয়া দিলেন। উপলক্ষ্য, বামেদের আনীত অনাস্থাপ্রস্তাবে ইউপিএ সরকার থাকিবে, কি যাইবে? যদিও এবংপ্রকার পরিস্থিতে কংগ্রেসের হাইকম্যান্ডের অধীনস্থ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের ট্র্যাক রেকর্ড অতীব ঈর্ষণীয়, তথাপি প্রতিদিন চ্যানেলগুলি ফ্যাশন প্যারেডের সুন্দরীদের র‌্যাম্পের আগমনের প্রেলুড- ইন্টার্ল্যুড সঙ্গীতের মত "" আয়া-আয়া, গয়া-গয়া'' ভঙ্গীতে কোন দলের কে কোন পক্ষে খাতায় নাম লিখাইতেছেন বা কে কোন দলের "" বাঁধা-রাঁঢ়'' এই সকল এক্‌স্‌ক্লুসিভ খবর এবং তৎসম্বন্ধীয় বাইট্‌ দিয়া জনতার মনোরঞ্জন সাধনে ব্যস্ত ছিলেন। উভয়পক্ষে দেশের স্বার্থে সরকার বিসর্জন, জনগণের দীর্ঘকালীন হিতসাধন জাতীয় হাতেগরম-পাতেগরম বক্তৃতা, কসমে-ওয়াদে,তালাক-ডিভোর্স, পুনর্বিবাহ-বহুবিবাহ আদি চলিতে লাগিল।

    জিরো আওয়ার সন্নিকট। উত্তেজনা চরমে । হায়! এক ব্যাপকসম্ভাবনা পূর্ণ সামুহিক অর্গ্যাজমের সম্ভাবনা শেষ মুহুর্তে বিনষ্ট হইল। একদিন পূর্বেই অশ্বব্যবসায়ীদের গ্রে-মার্কেট হইতে নিশ্চিত খবর পাওয়া গেল যে সরকার নিরাপদ। ইয়ে দেশ হ্যায় অব্‌ বাজারকা।থুড়ি, বাজারসরকারোঁকা,ফান্ড ম্যানেজারোঁকা । সংসদে কিছু অশ্ব ও অশ্বব্যবসায়ী নোটের প্যাকেট দুলাইয়া নবীন বাজারসংস্কৃতির চিয়ারগার্লদের ভূমিকা পালন করিলেন। স্পীকার দ্বারা ফলাফল ঘোষণার পর দুইদিন সমস্ত রাজনীতিবিদ কুশীলবেরা যেন রতিক্রিয়ার পর শ্রান্ত-ক্লান্ত। কিন্তু মিডিয়ার সখী- গণের প্রশ্নোত্তরে সলজ্জ হাসিয়া টিপ্পনি করিতে লাগিলেন।

    এমনসময় অ্যান্টিক্লাইম্যাক্স্‌।কমরেড্‌ প্রকাশ কারাতের নেতৃত্বাধীন সিপিএম পার্টি স্পীকার সোমনাথ চ্যাটার্জি মহোদয়কে দলবিরোধী কার্যের অভিযোগে পার্টির প্রাথমিক সদস্যপদ হইতে বহিষ্কৃত করিয়াছে।

    আমি হরিদাস পাল, চাকুরি করি, বাজারের থলি হাতে শাক-আঁটি লইয়া আসি। টিভিতে খবর, খেলা ও লাফ্‌টার চ্যানেল দেখিয়া ঘুমাইতে যাই। বড়োজোর কখনও -সখনও গিন্নিকে লুকাইয়া এ'-মার্কা ফিলিম দেখিয়া থাকি। আমার সাহসের দৌড় অতটুকুই। অতএব, উক্ত নিষ্কাসন-বহিষ্করণ-মারণ-উচাটনে আমার বা আমার স্বর্গত পিতৃদেবের কি যায় আসে? সোমনাথবাবু নামী ব্যারিস্টার। একবার কলিকাতা হাইকোর্টে সম্ভাবত: মিন্টোপার্ক এলাকায় কর্পোরেশনের পুকুরের পার্শ্ববর্তী ক্ষেত্রে বহুতলনির্মাণের কেসের শুনানির সময় উনার বাক্‌চাতুর্য, প্রত্যুৎপন্‌ন্‌মতিত্ব, ও কানুনের জ্ঞানের প্রদর্শন দেখিয়া মুগ্‌দ্ধ হইয়াছিলাম। তাহাতে কি যায় আসে? আর কিমাশ্চর্য্যম্‌! কমরেড সোমনাথ উক্ত মামলায় ""জনগণের জমির'' নয়, বহুতলনির্মাণকারী প্রোমোটারের পক্ষের কৌঁসুলী ছিলেন। তাহাতে কি যায় আসে?

    বিগত কিছুবছর উনি বোলপুর ডেভেলপ্‌মেন্টের জন্য বঙ্গসরকার গঠিত নিগমের অধ্যক্ষ ছিলেন। উনার অধ্যক্ষতার সময় শান্তিনিকেতন সাংস্কৃতিক তীর্থস্থলে পুণ্যার্থীদের কষ্ট লাঘব করিতে কয়েকটি লাক্সারি হোটেল নির্মিত হয়। আমার ভ্রমণকালে এক স্থানীয় ড্রাইভার জানাইল----আগে ছিলো ""মোদের শান্তিনিকেতন'', এখন হইয়াছে ""মদের শান্তিনিকেতন''। কিন্তু তাহাতে কি বা যায় আসে? উনার বিকাশের আরও অভিনব চিন্তার ঠেলায় ও সম্ভাবিত প্রোজেক্টের আশংকায় উক্ত ক্ষেত্রে"" খোয়াই বাঁচাও'' আন্দোলন শুরু হয়। মহাশ্বেতা দেবী নামক এক বিকাশবিরোধী "" আদ্যিকালের বদ্দিবুড়ি'' এই আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন। তাহাতে জনগণের কি হইলো? ইহারা বিকাশবিরোধী। ইহাদের আন্দোলন ও চিন্তা রামসেতু সংরক্ষণ আন্দোলনের সঙ্গে তুলনীয়। ইহারা কি জানে না যে সোমনাথবাবু আরেক বিলাতফেরত ব্যারিস্টার কমরেড্‌ জ্যোতিবাবুর সময়ে শিল্পবিকাশের জন্য এক ওয়ান-ম্যান সেলের সদস্য ছিলেন। সেইসময় উনি চীনভ্রমণোপরান্ত দেশে ফিরিয়া বিবৃতি দেন -- চীন বুঝিয়াছে যে একসাথে সবাইকে বড়লোক করা সম্ভব নয়। কাজেই তাহারা বিকাশের প্রথমচরণে কিছু নির্বাচিত লোককে বড়লোক করার লক্ষ্য নিয়া আগাইয়া যাইতেছে। এই পন্থা আমার খুব যুক্তিযুক্ত মনে হয়। এইভাবে উনি চীনের বকলমে সমাজবাদের নব ব্যাখ্যা ---( সমাজবাদ= সবাইকে একসাথে বড়লোক করা) করিয়া মার্কস্‌বাদের সৃজনাত্মক প্রয়োগে নব অবদান রাখিলেন। কিন্তু তাহাতে কি আসে যায়। আমার মত অন্ধের কি বা দিন, কি বা রাত।

    ইহা একটি রাজনৈতিক দলের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমি বড়ি বা পটলের ঝোল খাইয়া তক্তপোষে শুইলে বা একদিবসীয় দিবারাত্রির ক্রিকেট দেখিলে স্বধর্মপালন করিব।

    কিন্তু আমার রঞ্জন নামক হারামির-হাতবাক্স বন্ধুটি আমাকে শুইতে দিল না। চায়ের কাপ হাতে লইয়া শুরু করিল।
    --- ধুস্‌ শালা! নিকুচি করেছে! আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তা'লে প্রকাশ কারাত অত ঘটা করে প্রেস কন্‌ফারেন্স করে নিজেকে জাস্টিফাই করতে গেল কেন? দলীয় মুখপত্রে স্টেটমেন্ট দিলেই পারতো। তারমানে ও নিজেও চায় যে দেশের জনতা জানুক ও ঠিক করেছে। তাহলে আর আভ্যন্তরীণ ব্যাপার রইলো কই!
    আমি মিন্‌মিন্‌ করিয়া বলি
    -- ব্যক্তি যত বড়ই হউক, সমষ্টির চেয়ে বড় নয়। দলের ডিসিপ্লিন সর্বোপরি। সোমনাথবাবুও সংসদে ডিসিপ্লিন বজায় রাখার পক্ষে ছিলেন। আর দ্যাখ, ওনার দহরম-মহরম কাহাদের সঙ্গে? ভুলিও না, উনার পিতৃদেব আদিতে হিন্দু-মহাসভার লোক ছিলেন। আসানসোল হইতে পরে নির্দলীয় বাম-সমর্থিত সাংসদ হয়েন। ওনার মৃত্যুতে সীট খালি হইলে সোমনাথবাবু বামপ্রার্থীরূপে নির্বাচিত হন। মূলত: উনি বুর্জোয়া সংস্কৃতির ধারক-বাহক। অমন অনেক গ্ল্যামারাস্‌ চরিত্র জোয়ারের পুরীষের মত পার্টিতে আসে-যায়।
    রঞ্জন হাসে
    --- বেশ, বেশ, স্তালিনিস্ট পার্টির কায়দা-কানুন ভাল রপ্ত করেছিস্‌ তো! প্রথমে নিষ্কাশন, তারপর ক্যারেকটার অ্যাসাসিনেশন। দিল্লিতে থাকলে বোধহয় এনার ট্রট্‌স্কির হাল করে ছাড়তিস্‌? সোজা কথা বলতো, ওনাকে তাড়ানো হয়েছে দলীয় সংবিধানের ২৯ ধারায়। গুরুতর ডিসিপ্লিন-বিরোধী কাজের অভিযোগে। সেই কাজটা কি, কোথাও বলা নেই। তারপর ঐ ধারার ১৪ ও ৬ দুই উপধারায় বলা হয়েছে যে এক, এইশাস্তি সর্বোচ্চ। কাজেই সবচেয়ে গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। দুই, তাই এই ধারা প্রয়োগ করার আগে প্রচুর ভাবনা-চিন্তা করে অত্যন্ত সীমিত ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ করা উচিৎ।
    --- ইহা তো যে কোন চক্ষুস্মান নাগরিক বুঝেন যে পার্টির সর্বোচ্চ স্তর হইতে স্পীকার পদ পরিত্যাগের নির্দেশ পাওয়ার পরও উনি কর্ণপাত করেন নাই। তাই অবশেষে পার্টি উনাকে পরিত্যাগ করিয়াছে। আর উনি যদি পার্টি হুইপ না মানেন তাহা হইলে সাধারণ দিন-আনি-দিন-খাই কম্‌রেড গণ কি করিবে? কাজেই পার্টি দৃষ্টান্তস্থাপনের জন্য ঝিকে-মারিয়া-বউকে- শিখানোর পন্থা অবলম্বন করিয়াছে। ইহাতে আমি দোষ কিছুই দেখি না। আফ্‌টার অল, বিজেপি-সমাজবাদী সব দলই বিদ্রোহীদের শাস্তি দিয়াছে।
    রঞ্জনের মুখ বন্ধ হয় না।
    -- দুটো কেস এক হল নাকি? ১৪ এবং ১৭ জুলাই প্রকাশ প্রেসকে জানালেন যে পদত্যাগ করা -না-করা সোমনাথবাবুর ইচ্ছের উপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এও বলা হল যে স্পীকারের সাংবিধানিক পদকে সম্মান দিয়ে তাকে দলীয় রাজনীতির উর্ধ্বে রাখতে চায় সিপিএম। তাহলে সোমনাথবাবুকে পার্টিই অনুমতি দিয়েছিল পদ ছাড়া বা না ছাড়ার ব্যাপারে অন্তিম নির্ণয় নিতে। সেটা উনি নিলেন, পার্টির ভালো লাগুক বা না লাগুক। তাহলে ডিসিপ্লিনভঙ্গ ( গুরুতর বা লঘু) কি করে হল?
    -- হ্যাঁ, এইবার বলিতে পার।
    রঞ্জনের হা-ঁমুখ বন্ধ হয় না।-- মানে?
    ---পরস্তাব শুন। একব্যক্তি অন্য কাহারো বাগানে মূলা চুরি করিবার সময় মালিকের হাতে ধরা পড়ে। প্রশ্ন করা হইলে সে জানায় যে সে চুরি করে নাই। ভয়ংকর এক ঝড় তাহাকে উড়াইয়া আনিয়া এই বাগানে ফেলিয়াছে। তবে মূলা উৎপাটন কেন করিয়াছে শুধাইলে জানায় যে পুন: ঝড় আসিয়া উহাকে উড়াইবার উপক্রম করিয়াছিল। নিতান্ত প্রাণ বাঁচাইতে সে ক্ষেতের মূলাগুচ্ছকে আঁকড়াইয়া ধরে, তাহাতে---। অবশেষে মালিক প্রশ্ন করেন- সব বুঝিলাম, কিন্তু উৎপাটিত মূলার আঁটি বাঁধিয়াছ কেন? তখন চোর বিনীত ভাবে জানায় -- এইবার আপনি বলিতে পারেন। ইহার জবাব আমার কাছে নাই।
    তদনুরূপ তুমিও এইবার বলিতে পার। তবে একটি কথা। আমার এক তুতো ভগিনী যাদবপুরে মহিলাসমিতি করে। সে জানাইয়াছে ইহা প্রকাশ-সীতারাম আদি কেরালা গ্রুপ কর্তৃক বেঙ্গল গ্রুপকে ডমিনেট করার প্রয়াস মাত্র। তাই ১৯৬৮ হইতে পার্টি মেম্বার সোমনাথকে এবংবিধ গলাধাক্কা। অর্থাৎ সেই হিসাবে ইহা পার্টির আভ্যন্তরীণ ব্যাপার বটে।
    রঞ্জন দাঁত খিঁচাইল
    --- বাজে কথা। আশির দশকে ত্রিপুরার জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী নৃপেন চক্রবর্তিকে অনুরূপ ভাবে গলধাক্কা দেয়া হয়। উনি আজীবন হোল্‌টাইমার ছিলেন। অর্থাৎ রোটি-কাপড়া-মকানের জন্য পার্টি প্রদত্ত ভাতার উপর নির্ভরশীল ছিলেন । সোমনাথের মত তাঁর কোন স্বতন্ত্র জীবিকা ছিল না। গ্ল্যামার ছিল না। ফলে গলাধাক্কার পর ভাতা বন্ধ হওয়ায় উনি কায়ক্লেশে দিন গুজরান করেন। এবং রোগশয্যায় ২০০৪ সালে হাসপাতালে মারা যাওয়ার একদিন আগে পার্টিপদ ফিরিয়ে দিয়ে সম্ভবত: ওঁর পারলৌকিক ক্রিয়ার ব্যবস্থা হল।
    ----কিন্তু, ব্যাপারটা শুধু ক'জন ব্যক্তির নয়। হলে তোকে এত কথা শোনাতাম না। আমার কথা হচ্ছে যে সমাজতন্ত্রকে গণতন্ত্রের আরও উন্নত আরও ব্যাপক প্রকাশ বলা হয় কি না?
    আমি মাথা হেলাইলাম।
    ---- তাহলে যে দল সমাজতন্ত্রের নামে বহুজন হিতায়, বহুজন সুখায় বলে কসম খায় , তাদের আভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের এই দুর্দশা কেন? এরা জনতাকে কি শেখাবে?
    আমি মাথা চুলকাই।
    ---তোদের চুলকোনোর আরো দিন আসছে। শোন, ১৯৭৭ সালে জরুরী অবস্থার পর সিপিএম এর সদস্য সংখ্যা ছিলো ২১০০০। আজকে তিন লাখ। আর বিভিন্ন মাস্‌ ফ্রন্ট্‌মিলিয়ে আরো দশ মিলিয়ন দরদী। অর্থাৎ বেশির ভাগ লোকজনই এসেছে পার্টি পাওয়ারে আসার পর। ফলে কোন আদর্শগত ব্যাপার নয়, সম্পর্কটা ডোনার-ক্লায়েন্ট রিলেশনশিপ। কিছু পাইয়ে দেয়া। তাই আগামীদিনে হাত থেকে ক্ষমতা চলে গেলে অধিকাংশই যাবে রুটির যেদিকে মাখন লাগানো আছে সেদিকে। এইসব লোকজন নিয়ে মাথায় লালকাপড় বেঁধে সিঙ্গুর হতে পারে,তার বেশি কিছু না। এই কথাটা প্রাক্তন বিত্তমন্ত্রী অশোক মিত্র অনেকদিন ধরে বলে আসছেন।
    """ দেখবে তখন কোন কথাটি কেমন করে ফলে,
    আমায় তখন দোষ দিও না, আগেই রাখি বলে।''

    আগস্ট ৩১, ২০০৮
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ৩১ আগস্ট ২০০৮ | ৬১২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন