এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • আদালত ও কয়েকটি মেয়ে (পর্ব -১)

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়
    আলোচনা | বিবিধ | ২৬ মে ২০০৭ | ৯৮২ বার পঠিত
  • ১।

    ১৭৮৯ সালের কথা, অর্থাৎ, যে বছর ফ্রান্সে বিপ্লব হল। জানুয়ারি মাসের ১৪ তারিখে লন্ডনের ল্ড বেইলি কোর্টে তোলা হল এক গরীব লন্ডনবালিকাকে। তার নাম মেরি য়েড। কোর্টে তোলার সময় তার বয়স ছিল দশের কিছু বেশি। মেয়েটি রাস্তায় ভিক্ষে করত। যদি তার মা আদালতে জানান, যে, মেয়েকে ভিক্ষে করতে তিনি শেখাননি। অন্য বড়ো মেয়েদের পাল্লায় পড়ে মেয়ে নিজেই বখে গিয়েছিল, আর মা পিছন ফিরলেই সে তাদের সঙ্গে বেরিয়ে পড়ত ভিক্ষের কাজে। ভিক্ষা করার জন্য অবশ্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। হয়েছিল, অন্য এক অপরাধে, ল্ড বেইলি কোর্টের আইনী দস্তাবেজ অনুযায়ী তার নাম, "থেফট উইথ ভায়োলেন্স : হাইয়ে রবারি"।

    মেয়েটি যা করেছিল, তার বিবরণ শুনলে অবশ্য ঠিক "রাজপথে ডাকাতি" জাতীয় কঠিন একটা ব্যাপার বলে মনে হয়না। অন্তত: আজকের দুনিয়ায় বসে। বস্তুত: দশ বছরের মেয়ের পক্ষে এমনিতেই "ডাকাতি" করা ব্যাপারটা অসম্ভব মনে হয়। মেরি, তার মায়ের বর্ণনায়, যাদের পাল্লায় পড়ে বখে গিয়েছিল, সেইরকম আরেকটি মেয়ে হল জেন। জেন, মেরির চেয়ে বছর চারেকের বড়ো। আদালতের বিবরণ থেকে যা জানা যায়, যে, এরা দুজনে মিলে, প্রকাশ্য রাজপথে, আরেকটি ছোটো মেয়ের গা থেকে জোর করে পোশাক আশাক খুলে নিয়েছিল। সেই মেয়েটির বয়স ছিল আট। এবং তার নাম মেরি ফিলিপস। মেরি য়েড আর জেন, যাযা নিয়েছিল, আদালতের বিবরণে তার একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ পায়া যায়। সেই তালিকায় আছে, এক) একটি সুতির ফ্রক (যা মেয়েটি পরেছিল), দুই) একটি টিপেট ( tippet ),তিন) লিনেনের একটি টুপি।

    বয়সে বড়ো দুটি মেয়ের হাতে সমস্ত পোশাক আশাক খুইয়ে মেরি ফিলিপস তারপর বাড়ি চলে যায়। কোনো বাধাদান ছাড়াই। সে চেঁচামেচি করেছিল, বা প্রতিবাদ করেছিল, আদালতের নথী অন্তত: সেরকম কোনো সাক্ষ্য দিচ্ছেনা। মেয়েটি কেন চেঁচামেচি করেনি বা ছিনিয়ে নেবার চেষ্টা করেনি, বলা খুব শক্ত। আদালতে তার দেয়া সাক্ষ্য থেকে সেটা খুব স্পষ্ট করে বোঝা যাচ্ছেনা, যদি এই প্রশ্নটি বিচারককে ভাবিয়েছিল, জেরার ধরণ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আদালতে বিচারকের সাথে "ডাকাতি"র স্বীকার এই মেয়েটির দুদফায় কথা হয়। প্রথম দফাটি এরকম:

    তোমার বয়স কতো? -- আট বছর।
    তুমি কি জানো তুমি কেন এখানে এসেছ? -- হ্যাঁ।
    কেন? -- আমার ফ্রকের জন্য।
    তুমি কি সত্য আর মিথ্যার তফাত জানো? -- না।

    আট বছরের মেয়ে, ভয়ের কারণেই হোক, বা ঘাবড়ে গিয়েই হোক, আদালতে খুব স্বচ্ছন্দ বোধ করছে না সেটা বোঝাই যায়। দ্বিতীয় দফায় অবশ্য সে তুলনায় একটু বেশি স্বাভাবিক:

    তুমি কিকরে দেরকে তোমার জামাকাপড় খুলে নিতে দিলে? -- আমি জানিনা রা আমাকে আরেকটা বোতল দেবে বলেছিল (আগের বোতলটা ভেঙে গিয়েছিল --লেখক); রা আমাকে কাঁদতে বারণ করল; ছোটো মেয়েটা (মেরি য়েড -- লেখক) করল।
    কিন্তু তুমি খুব ভালো করেই জানতে তোমার জামাকাপড়ের সঙ্গে দের কোনো কারবার নেই? -- হ্যাঁ।
    তাহলে কিকরে? তুমি কিকরে দেরকে তোমার জামাকাপড় খুলে নিতে দিলে? -- আমি ভেবেছিলাম রা আবার পরিয়ে দেবে। কিন্তু পরিয়ে না দিয়ে রা দৌড়ে পালিয়ে গেল।
    তুমি খুলে নিতে দিলে কেন? -- আমি জানতামনা রা জামাকাপড় খুলে নেবে।
    কিন্তু তোমার ফ্রক খুলে নিল, সেটা তো জানতে? -- হ্যাঁ; রা তারপর আমার দুটো পেটিকোট খুলে নিল, আমার পকেট খুলে নিল, আবার পরিয়ে দেবে।
    তোমাকে রা শুধু এইটুকুই করেছে তো? -- হ্যাঁ।
    কেউ মেরেছিল? -- না।
    কেউ আঘাত করেছিল? --না।

    "ডাকাতি"র স্বীকার মেরি ফিলিপসের সঙ্গে আদালতের আদানপ্রদান এখানেই শেষ। এরপর, নথি থেকে দেখা যাচ্ছে, বিচারক অভিযুক্ত মেরি য়েডকে ঠিক তিনটি প্রশ্ন করেন:
    তোমার বয়স কতো? -- এগারোয় পড়েছি।
    তোমার কোনো বন্ধু আছে? -- হ্যাঁ।
    এখানে তারা আছে? -- না। রা য়েস্টমিনিস্টারে থাকে। রা আজ এখানেই ছিল, কিন্তু আমার সঙ্গে ভিতরে আসতে পারেনি।

    বিচারক মেরি য়েডকে আর কোনো প্রশ্ন করেননি। প্রশ্ন করার কিছু ছিলনা। দুটি বাচ্চা মেয়ে আরেকটি ছোটো মেয়ের জামাকাপড় খুলে নিয়েছিল লন্ডনের রাস্তায়, ঘটনা বলতে এইটুকুই। কেন খুলেছিল স্পষ্ট নয়, কারণ তারা জামাকাপড় বেচে দেবার কোনো চেষ্টা করেছিল বলে দেখা যাচ্ছেনা। কোনো প্রচ্ছন্ন যৌন ইঙ্গিত, অন্তত: আদালতের নথিতে নেই। স্পষ্টত:ই, আজকের নৈতিকতার বিচারে, এই বিচার এবং জেরা এবং গোটা অপরাধটিকেই আপাত:দৃষ্টিতে প্রহসন মনে হয়। বাচ্চাদের খেলাধুলা, মারামারিকে যেন হঠাৎই আদালতের গম্ভীর বিচারের বিষয় করে তোলা হয়েছে।

    দুই।

    কিন্তু আদালতের বিচারে এই বিষয়টি এতো সরল ছিলনা। বিচারক এই পর্যন্ত শুনে, কেস ডিসমিস করে দিয়ে চলে গেলে, এই লেখা ফাঁদারই কোনো দরকার হতনা। ফলে, বোঝাই যাচ্ছে, আদালত, এবং আইনব্যবস্থা অপরাধটিকে লঘু ভাবে দেখেনি। আজকের নৈতিকতার আলোতে বিচার করেনি। বরং তাদের কাছে, এই আপাত:তুচ্ছ বিষয়টি আইনের শৃঙ্খলা, বা ঐ জাতীয় কোনো বড়োসড়ো ব্যাপারের দ্যোতক ছিল।

    অতএব, এরপর, আদালত মেরির মাকে ভর্ৎসনা করে :"আপনার সন্তান কেমন আচরণ করেছে, আপনাকে এ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার কোনো অর্থ নেই;আপনি তার সঙ্গে সমান দোষে দোষি। তার যথাযোগ্য প্রতিপালন না করে, ঘরে বসিয়ে এইসব ব্যাপারে দক্ষ করে তুলে; কে রাস্তায় অবাধে ঘুরে বেড়াতে দিয়ে আপনিই এই জায়গায় নিয়ে এসেছেন; তাই বরং আপনাকে এইটুকু জিজ্ঞাসা করা উচিত, আপনার নিজের হয়ে কি বলার আছে, তারপরে র কথা?"

    উত্তরে মা বলছেন -- "অন্য মেয়েদের পাল্লায় পড়ে বাইরে বেরোতো, যখনই আমি পিছন ঘুরতাম, তখনই দের সঙ্গে ভিক্ষে করতে বেরোতো। আমি কখনই কে ভিক্ষে করতে নিয়ে আসিনি; খানকার সব কসাইরাই আমাকে খুব ভালো করে চেনে। আমার দের সঙ্গে খুব ভালো মেলামেশা। আমি আশা করব, বাকিটা আপনি দেখবেন, নইলে রা সবাই ফাঁসিকাঠে ঝুলবে।"

    এরপর আদালত জুরিদের বলে, যে, যদি তেমন হিংসাত্মক ব্যাপার স্যাপার এই ঘটনায় লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা, তবু, "একজন শিশু যে পরিপ্রেক্ষিতে দুজন অপরিচিতের কবলে পড়ে, যদি সেই অপরিচিতরা কমবয়সীই, তাকে দাঁড় করিয়ে জামাকাপড় খুলে নেয়া হয়, সেটা একজন পূর্ণবয়স্কর বুকে পিস্তল ঠেকানোর সমতূল্য; তাই, এটা যে ডাকাতির চেয়ে কম কিছু, সে কথা আমি বলতে পারছিনা; এই কাজের ফল হল, তাদের জীবন দিয়ে এর উত্তর দিতে হবে।" ... " I think you must say they are guilty of the crime for which they stand indicted, robbery, and not larceny. "

    অত:পর, মেরি য়েডের মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। শুনে যদি কেউ আঁতকে ঠেন (আমি নিজেই উঠেছিলাম), তাঁকে শুধু এইটুকু স্মরণ করিয়ে দেয়া যাক, যে, সালটা ১৭৮৯। মাসটা জানুয়ারি। বাস্তিলের পতন হতে তখন মাস ছয়েক বাকি, অতএব মুক্ত দুনিয়া, সাম্য, ইত্যাদি আজকের ক্যাটেগরিগুলি এই বিচারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তখন প্রতিশোধমূলক শাস্তির যুগ। ল্ড বেইলির রেকর্ডে দেখছি, ঠিক তার আগের বছরই রাজার বিরুদ্ধে অপরাধের কারণে দুজনকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার আদেশ দেয়া হয়েছে। শুধু একটাই খটকা, যে, সাহেবরা ভারতীয় সতীদাহ দেখে তাকে বর্বর বলতেন কেন?

    ফাঁসির আগে মেরিকে নিয়ে যায়া হয় নিউগেট জেলে। এটি তৎকালীন লন্ডনের সবচেয়ে কুখ্যাত কারাগার। সাধারণভাবে দ্বীপান্তরে যাবার অপেক্ষায় থাকা অপরাধীদের আর ফাঁসির আসামীদের সেখানে রাখা হত। সাড়ে সাতশোর মতো অপরাধীর সঙ্গে আর একজন হিসাবে মেরির ঠাঁই হয়ে যায় সেখানে। অপেক্ষা করতে থাকে শেষ দিনটির।

    (চলবে)

    26 May 2007
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৬ মে ২০০৭ | ৯৮২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন