এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

  • বিজ্ঞান কি সত্যিই কোনোদিন 'সাপের পাঁচ পা' দেখবে?

    আত্রেয়ী ঘটক ও শুভংকর মুখার্জী
    আলোচনা | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ২৯ জুলাই ২০২০ | ৩১৩২ বার পঠিত
  • ১৭৯১ সালে প্রকাশিত গ্যালভানির গবেষণার ছবি (সূত্র: https://archive.org/details/AloysiiGalvaniD00Galv/page/n63)


    নামটা মজা করে দিলেও লেখার আসল বিষয় জৈবতড়িৎ (bio-electricity) বা দেহতড়িৎ (body electricity)।

    বিষয়টির সূত্রপাত অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে, ইতালীয় শরীরতত্ত্ববিদ লুইগি গ্যালভানির একটি পৃথিবীবিখ্যাত ও বিতর্কিত গবেষণার মাধ্যমে। হঠাৎই একটি মৃত ব্যাঙের দেহে তড়িৎ সঞ্চারের মাধ্যমে অঙ্গসঞ্চালন লক্ষ করেন গ্যালভানি। তারপর বেশ কয়েক বছর এনিয়ে পরীক্ষা করার পর একদিন এক ঝড়ের দুপুরে গ্যালভানি অপেক্ষা করলেন তাঁর পরীক্ষার সব সরঞ্জাম সাজিয়ে। যখন বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড় এল, তখন তিনি লক্ষ্ করলেন, মৃত ব্যাং যদি কোনো ভাবে বিদ্যুৎবাহী তারের সংস্পর্শে আসে, তাহলে তার পায়ের পেশিতে টুইচিং লক্ষ করা যাচ্ছে—যা মৃত ব্যাঙের শরীরে নতুন প্রাণসঞ্চারের মতোই মনে হয়েছিল তাঁর। ১৭৯১ সালে গ‍্যালভানি যখন এই বিতর্কিত ও বহুচর্চিত গবেষণার ফলাফল প্রথম প্রকাশ করেন, তিনি দাবি করেছিলেন এর কারণ ‘animal electricity’। তাঁর ব্যাখ্যা অনুযায়ী, প্রাণীর শরীরের স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে পেশিতে বিদ্যুৎ সঞ্চার ঘটে, অর্থাৎ, স্নায়ুকোশ থেকে তড়িৎ পেশি অবধি পৌঁছোয় প্রাণীর দেহের অভ্যন্তরীণ বিদ্যুতবাহী তরলের মাধ্যমে। পরবর্তীকালে এই বিষয়ে বহু বছর ধরে অনেক পরীক্ষানিরীক্ষার পর জানা যায় যে আদপে এই শক্তি বা এনার্জি সঞ্চারের পিছনে আয়ন (ion) বা charged particle-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

    এই bio-electicity বা ‘দেহতড়িৎ’ কিন্তু আমাদের পাঠ‍্যপুস্তকে পড়া দুইধরনের তড়িৎ (স্থির বা static electricity ও পরিবাহী তড়িৎ বা current electricity)- এর থেকে একটু আলাদা। এই বিষয়টি বুঝতে গেলে আমাদের যেতে হবে দেহের কোশের ভিতরে। একটি কোশ তার বৈদ্যুতিক বৈশিষ্ট্যগুলি (electrical properties) অর্জন করে তার নিজস্ব কোশপর্দার থেকে। কোশপর্দা হল প্রোটিন ও লিপিডের একটি দ্বি-স্তরীয় আবরণ, যা আবার তার নিজস্ব বৈদ্যুতিক বৈশিষ্ট্যগুলি অর্জন করে আয়ন চ্যানেল এবং ট্রান্সপোর্টারদের কাছ থেকে (এই আয়ন চ্যানেল ও ট্রান্সপোর্টাররা নিজেরাও বিভিন্ন প্রকার প্রোটিন ও লিপিড)। এবার একটি কোশের মেমব্রেন ও তার মধ্যে অবস্থিত লিপিড এবং প্রোটিন-এ সব মিলিয়ে কোশের অভ‍্যন্তরীণ ও বাহ‍্যিক একটি তড়িৎবিভেদ (electrical potential difference) সৃষ্টি হয়। এর ফলে প্রতিটি কোশ এক-একটি আয়ন (ion/charged particle)- এর মতো আচরণ করে। সাধারণত যে-কোনো তড়িৎপরিবাহী বস্তু তড়িৎক্ষেত্রে তার তড়িৎবিভেদের কারণে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য লাভ করে। এই তড়িদ্‌বিভেদ voltage নামে পরিচিত এবং চিহ্নিত করা হয় V/∆V দিয়ে। মাপা হয় Voltmeter দিয়ে।
    এর উপরে পরবর্তীকালে অনেক বিজ্ঞানী অনেক উল্লেখযোগ্য কাজ করেন যা এই তুলনামূলক ভাবে রহস্যাবৃত বিষয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। যেমন, ১৯৭০ সালে লিওনেলজাফি এবং রিচার্ড বর্গেন্স নামের দুই বিজ্ঞানী সাধারণ ব্যাটারির মাধ্যমে তড়িৎ চালনা করে ব্যাঙের অঙ্গ পুনর্নির্মাণ করার চেষ্টা করেছিলেন। যদিও সেই পরীক্ষা তখন সফল হয়নি, কিন্তু তার অনেকদিন পরে তাদের সেই পরীক্ষা থেকে উদ্‌বুদ্ধ হয়ে মাইকেল লেভিন এই কাজকে বহু দূর এগিয়ে নিয়ে যান। ইদানীংকালে এই জৈবতড়িৎ বা bio-electricity নিয়ে সব থেকে বেশি কাজ সম্ভবত লেভিনই করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিজ্ঞানের এই শাখাটি বর্তমানে ‘electro-physiology’ নামে পরিচিত।
    শরীর গঠনের প্রথম পর্যায়ে ভ্রূণের কোশবিভাজনের সময় কীভাবে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঠিক অবস্থান নির্নয় হয়, তা ছিল প্রথম থেকেই লেভিনের খুব প্রিয় বিষয়। এই যে বিভিন্ন প্রাণী নিজেদের শরীরের নির্দিষ্ট জায়গায় নিৰ্দিষ্ট অঙ্গ, যেমন, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস ইত্যাদি নিয়ে জন্মায়, তার পিছনে ডিএনএ ছাড়াও আরও কোনো অন্য কারণ থাকতে পারে কি? আশির দশকে বড়ো হওয়া লেভিনের কাছে এই প্রশ্নটা ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৮৬ সালে লেভিন হাতে পান রবার্ট বেকার ও গ্যারিসেল্ডেন-এর লেখা বই, ‘body electric’, এবং এই বইটি লেভিনের জীবনের স্বপ্ন ও ধারা বদলে দেয়। অস্থি-শল্যচিকিৎস কবে কার দেহতড়িতের সঙ্গে শরীরের চৌম্বকক্ষেত্র (magnetic field) মিলিয়ে মিশিয়ে এমন একটি শক্তির খোঁজ করছিলেন যার দ্বারা শরীরের পেশি আর মস্তিষ্ক সাড়া দেবে। সেই সংক্রান্ত একটি পরীক্ষায় একটি ব্যাং ও একটি স্যালামান্ডারের (একরকম সরীসৃপ) প্রথমে একটি করে অঙ্গ (হাত) হানি করা হয়। তারপর সেই দুই জায়গায় একটি করে ভোল্টমিটার রেখে উভয়ক্ষেত্রের ভোল্টেজ পরিবর্তন লক্ষ করা হয়, যা ব‍্যাঙের ক্ষেত্রে -১০ মিলিভোল্ট থেকে +২০ মিলিভোল্ট এবং অন‍্য ক্ষেত্রে তা -৩০ মিলিভোল্ট। এরপর বেকার ভাবেন এইরকম ভোল্টেজ পরিবর্তন করে কী অঙ্গ পুনর্গঠন করা সম্ভব?
    এর উপর ভিত্তি করে, আর তার সঙ্গে ১৯৭০ সালে করা জাফি এবং রিচার্ড বর্গেন্স-এর সেই ব‍্যাটারি দিয়ে করা পরীক্ষা—এই সব মিলিয়ে লেভিন কিছু সরঞ্জাম নিয়ে শুরু করেন তাঁর নিজের গবেষণা।
    প্রতিটি কোশের মধ্যে আয়ন চ‍্যানেল (ion channel) নামক একটি ফাঁপা অংশ থাকে এবং charged particles বা আয়ন ওই চ‍্যানেলের মধ্য দিয়েই যাতায়াত করে। এই চ‍্যানেলের মধ্যে কিছু সূক্ষ্ম দরজা থাকে, যা নিয়ন্ত্রণ করে ওই পথে কতটা আয়ন কোন্‌ গতিতে ও কোন্‌দিকে যাবে। কোশগুলি আবার অন‍্যান‍্য কোশের সঙ্গেও তথ্য আদানপ্রদান করে গ্যাপ জাংশান (gap junction)-এর মাধ্যমে। লেভিনের উদ্দেশ্য ছিল একটি মাইক্রোস্কোপিক যন্ত্র কেনিউরোটক্সিনের মতো কাজ করিয়ে যে-কোনো চ‍্যানেলের ওপর আধিপত্য বিস্তার করা, যার ফলে যে-কোনো কোশের বিভাজন, অঙ্গগঠন, আকার ও অবস্থান নির্ধারণ করতে পারা যাবে ইচ্ছেমতো। মানে খুব সহজ ভাষায়—একটা ত্রিভুজাকৃতির ব্যাং বা আমাদের বিখ্যাত প্রবাদ অনুযায়ী ‘সাপের পাঁচ পা’ গঠন করাও সম্ভব হতে পারে!
    এরপর নানা পরীক্ষার দ্বারা লেভিন এই সিদ্ধান্তে আসেন যে অসংখ্য আয়ন চ‍্যানেলের মধ্যে শুধুমাত্র কিছু চ‍্যানেলের ওপরই সব সিদ্ধান্ত নির্ভর করে। ধরা যাক, চারটি চ‍্যানেলের মধ্যে যে-কোনো একটি চ্যানেলই কেবল কোনো অঙ্গের অবস্থান নির্ধারণ করছে, সেক্ষেত্রে সেই নির্দিষ্ট চ্যানেলটিকে ম‍্যানিপুলেট করতে পারলে যে-কোনো অঙ্গের অবস্থান বা গতি পরিবর্তন করা সম্ভব। বিগত দু-দশক ধরে লেভিনের গবেষণাগারে বহু প্রাণীর ওপরে এই দেহতড়িৎ বা bio-electricity নিয়ে প্রচুর পরীক্ষা হয়েছে, যেমন, ব্যাকটেরিয়া, শৈবাল (algae), ব্যাং, বিভিন্নরকম মানবকোশ (human cultured cell), এবং প্ল্যানেরিয়া (একধরনের কৃমি বা flat worm)। সাধারণত প্ল্যানেরিয়ার শরীরে পুনর্গঠন লক্ষ করা যায়, অর্থাৎ এই কৃমির শরীর যদি টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়, তবে আবার সেই টুকরোগুলির থেকে আর-একটি নতুন পূর্ণাঙ্গ কৃমি তৈরি হয়। কিন্তু, লেভিন ও তাঁর সহযোগীরা দেখান যে প্ল্যানেরিয়ার এই টুকরোগুলির মধ্যে যদি যথাযথ ও সুনির্দিষ্ট জৈব-বৈদ্যুতিক সংকেত (bio-electric signal) পাঠানো যায়, তাহলে একটি কৃমির শরীরে দুটি মাথা, বা দুদিকে দুটি লেজ গজানো সম্ভব।


    প্ল্যানেরিয়ার শরীরে পুনর্গঠনে জৈব- তড়িতের ভূমিকা
    উপরে – সাধারণভাবে পুনর্গঠিত প্ল্যানেরিয়া
    মাঝে – দুটি মাথাওয়ালা প্ল্যানেরিয়া
    নীচে – দুটি লেজযুক্ত প্ল্যানেরিয়া
    ছবি সৌজন্যে– মাইকেল লেভিন, টাফ্টস বিশ্ববিদ্যালয়

    অঙ্গ বৃদ্ধির নিয়ন্ত্রণ ও অঙ্গ পুনর্গঠন নিয়ে আর-একটি উল্লেখযোগ্য পরীক্ষা লেভিন করেন ব‍্যাঙাচির লেজ পুনর্গঠন নিয়ে। যেখান থেকে লেজ পুনর্গঠন হবে, সেই ক্ষতস্থানটি একটি তড়িৎ-সুপরিবাহী তরলে ডুবিয়ে রাখা হয়, যার ফলে আয়নগুলিকে জৈববিদ্যুতের দ্বারা চার্জ করা সম্ভব হয়। দেখা যায়, ওই ক্ষতস্থানটি তরলে ১ ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখলে ৮ দিনে লেজের পুনর্গঠন হচ্ছে; অথচ হাত বা পায়ের ক্ষেত্রে ক্ষতস্থানটি ২৪ ঘণ্টা তরলে ডুবিয়ে রাখার পরেও অঙ্গ পুনর্গঠনে সময় লাগছে প্রায় ছয়মাস।
    এরপর লেভিন এই পরীক্ষা বা এক্সপেরিমেন্টটি অন‍্যান‍্য উষ্ণ রক্তের স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ক্ষেত্রে চেষ্টা করেন, কিন্তু তখন কিছু সমস্যার সম্মুখীন হন তিনি। সেগুলো কীরকম?

    ১. উষ্ণ রক্তের স্তন্যপায়ীদের রক্তচাপ সরীসৃপের থেকে অনেক বেশি, ফলে অধিক রক্তক্ষরণ একটি বড়ো সমস্যা।
    ২. উষ্ণ রক্তের স্তন্যপায়ীদের অঙ্গবৃদ্ধির গতি সরীসৃপের থেকে অনেক কম, এবং
    ৩. ক্ষতস্থানটি তড়িৎপরিবাহিতার জন্য আর্দ্র রাখা প্রয়োজন; কিন্তু সেক্ষেত্রে সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়।

    লেভিনের নিজের কথা অনুযায়ী, বিজ্ঞানীরা যদি বুঝতে পারেন যে, কোন্‌ বৈদ্যুতিক সংকেতগুলি (ইলেক্ট্রিক্যাল সিগন্যাল), এখানে ‘একটি হাত বা পা তৈরি’ করার নির্দেশ বহন করে, তবে প্ল্যানেরিয়া যেমন মাথা ফেরাতে পারে, বা দুটি লেজ গজাতে পারে, ঠিক তেমনই একদিন কোনো মানবশরীরে আঘাতের পরে আবার একটি অঙ্গকে পুনর্গঠন করার নির্দেশও দেওয়া যেতে পারে! তাই, রিজেনারেটিভ মেডিসিন বা ওষুধ তৈরি করার ক্ষেত্রে এই জৈবতড়িৎ অপরিহার্য ভূমিকা নিতে পারে।
    অন্যান্য কাজের পাশাপাশি, শেষ একদশক বা তার কিছু বেশি সময়ে, ক্যানসারের ক্ষেত্রে bio-electricity-এর প্রভাব নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে, এবং তার প্রাথমিক ফলাফল যথেষ্ট আশাব্যাঞ্জক। ২০১৯ সালে প্রকাশিত দুটি বহুল-চর্চিত গবেষণাপত্র (রিসার্চ পেপার) অনুযায়ী, ক্যানসারের অগ্রগতির প্রথমদিকে bio-electric potential অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। টিউমারের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ (tumor micro environment) ক্ষেত্রবিশেষে আয়ন চ্যানেল ও bio-electric সিগন্যালের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। কেমোথেরাপি দিয়ে যে ক‍্যানসার-কোশগুলি নষ্ট করা হয়, bio-electricity বা জৈবতড়িতের সাহায্যে সেই ক‍্যানসার-কোশগুলিকে তাদের পূর্ব অবস্থানে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। শুধু তাই নয়, ক্যানসার মেটাস্টেসিস নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে এখন এই bio-electric সিগন্যালের খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই, ক্যানসার নিরাময়ের নতুন পথের দিশারি হতে পারে এই জৈবতড়িৎ বা bio-electricity। শুধু তাই নয়, লেভিন ও তাঁর দল বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টে্লিজেন্সকে কাজে লাগিয়ে আণবিক ও জেনেটিক স্তরে গিয়ে ভ্রূণের গঠন, প্যাটার্ন সৃষ্টি এবং মরফোজেনেসিস-এর বহু অজানা রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করছেন।
    বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সব চেষ্টা সবসময় যে সফল হয়, তা নয়; কিন্তু ব্যর্থতার আশঙ্কায় সৃষ্টি তো থেমে থাকতে পারে না! তাই, গ্যালভানির পর বহু পথ পেরিয়ে আজ আমরা যে এই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি, সেখান থেকে নিশ্চয়ই আমরা পারব আরও এগিয়ে যেতে। বিজ্ঞানের বিজয়রথ সফলহবেই।

    তথ্যসূত্র:
    https://wyss.harvard.edu/news/mike-levin-on-electrifying-insights-into-how-bodies-form/
    https://courses.cit.cornell.edu/bionb4910/labresources/AxonGuideCh01.pdf
    https://www.pbs.org/wgbh/nova/article/bioelectric-potential/
    https://onlinelibrary.wiley.com/doi/full/10.1002/bies.201100136
    https://helix.northwestern.edu/article/experiment-shocked-world
    https://archive.org/details/AloysiiGalvaniD00Galv/page/n63
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৯ জুলাই ২০২০ | ৩১৩২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Sekhar Sengupta | ২৮ জুলাই ২০২০ ১২:০০95635
  • বায়ো-ইলেকট্রিসিটি সম্পর্কে অনেক তথ্যই জানতে পারলাম। লেখক দুজনকেই ধন্যবাদ প্রাঞ্জল করে বিযয়টা তুলে ধরার জন্য। ইংরেজি cell এর বাংলা প্রতিশব্দের বানান তো কোষ বলেই জানি, কিন্তু সারা লেখায় বারবার কোশ কোশ কেন?   

  • পিনাকী মিত্র | ২৮ জুলাই ২০২০ ১৬:০৪95636
  • বাংলা অ্যাকাডেমি কোষকে কোশ বানিয়ে দিয়েছে। 

  • শিবাংশু | ২৮ জুলাই ২০২০ ২২:১৮95643
  • উত্তম লেখা। সহজ বিশ্লেষণ। ভালো লাগলো।

    @পিনাকী,
    কিন্তু 'কোষ'কে 'কোশ' বানাবার পিছনে অ্যাকাডেমি যুক্তি কী দিয়েছে?
  • Pinaki | 136.228.209.39 | ২৯ জুলাই ২০২০ ০৪:১০95647
  • কারণ জানি না।
  • Du | 47.184.29.20 | ৩০ জুলাই ২০২০ ০৭:১৯95674
  • ওরেব্বাবা এ তো দারুন ব্যাপার!!!
  • রনিতা চ্যাটার্জ। | 2409:4060:10e:6610:4506:c971:8867:f5c3 | ০১ আগস্ট ২০২০ ০০:২৩95772
  • তথ্যবহুল।ভালো লাগলো।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন